16 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
15 September 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - অসীম জগতের পিতা অসীমের আসরে গরিব বাচ্চাদের কোলে তুলে নিতে এসেছেন, তাঁকে দেবতাদের আসরে আসার প্রয়োজন নেই”
প্রশ্নঃ --
কোন্ দিনটি বাচ্চাদের খুব ধুমধাম করে পালন করা উচিত ?
উত্তরঃ -:-
যেই দিন মরজীবা জন্ম হয়েছে, বাবার উপরে দৃঢ় নিশ্চয় হয়েছে … সেই দিনটি খুব ধুমধাম করে পালন করা উচিত। সেই দিন হল তোমাদের জন্মাষ্টমী। যদি নিজের মরজীবা জন্ম দিন পালন করবে তো বুদ্ধিতে স্মরণ থাকবে যে আমাদের পুরানো দুনিয়া থেকে মুক্তি প্রাপ্ত হয়েছে। আমরা বাবার আপন হয়েছি অর্থাৎ স্বর্গের উত্তরাধিকারী হয়েছি।
গান:-
আসরে জ্বলে উঠলো দীপশিখা…..
ওম্ শান্তি । গীত-কবিতা, ভজন, বেদ-শাস্ত্র, উপনিষদ, দেবতাদের মহিমা ইত্যাদি তোমরা ভারতবাসী বাচ্চারা অনেক শুনেছো। এখন তোমরা জ্ঞান প্রাপ্ত করেছো যে, সৃষ্টির চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়। অতীতের কথাও বাচ্চারা জেনেছে। বর্তমান দুনিয়ার কি রূপ, তাও দেখছো। সেসবই প্রাক্টিক্যালে অনুভব করেছো। বাকি যা কিছু ভবিতব্য আছে – তা এখনও অনুভব করোনি। অতীতে যা হয়েছে সেসব অনুভব করেছো। একমাত্র বাবা বুঝিয়েছেন, বাবা ব্যতীত কেউ বোঝাতে পারবে না। অসংখ্য মানুষ আছে কিন্তু তারা কিছুই জানে না। রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানেনা। এখন কলিযুগের অন্তিম সময়, এই কথাও মানুষ জানেনা। হ্যাঁ, পরে অন্তিম সময়কে জানবে। মূল বা মুখ্যকে জানবে। বাকি পুরো নলেজ জানবে না। যারা পড়াশোনা করে কেবল সেই স্টুডেন্টরাই জানবে। এ হল মানুষ থেকে রাজার রাজা হওয়া। তাও আবার আসুরিক রাজা নয় দৈবী রাজা, যাদেরকে আসুরিক রাজারা পূজা করে। এইসব কথা তোমরা বাচ্চারাই জানো। বিদ্বান, আচার্য ইত্যাদি একটুও জানে না। ভগবান, যাঁকে বহ্নিশিখা বলা হয় তাঁকে জানেনা। যারা গীত গাইছে তারাও জানে না। শুধু মহিমা গান করে। ভগবানও কোনো এক সময়ে এই দুনিয়ার আসরে এসেছিলেন। আসর অর্থাৎ জন সমাবেশ হয় যেখানে। এই আসরে খাবার দাবার, মদ্য পানীয় ইত্যাদি পাওয়া যায়। এখন এই আসরে তোমরা বাবার কাছে অবিনাশী জ্ঞান রত্নের খাজানা প্রাপ্ত করছো অথবা এমন বলা হবে আমরা বৈকুণ্ঠের বাদশাহী বাবার কাছে প্রাপ্ত করছি। এই সম্পূর্ণ আসরে আত্মা রূপী বাচ্চারাই বাবাকে জানে যে, বাবা আমাদের উপহার দিতে এসেছেন। বাবা আসরে কি দিচ্ছেন, মানুষ আসরে একে অপরকে কি দেয়, রাত-দিনের পার্থক্য আছে। বাবা যেমন হালুয়া খাওয়ান এবং তারা অতি সস্তার চানা খাওয়ায়। হালুয়া আর চানা (ছোলা) – দুটোর মধ্যে অনেক তফাৎ আছে। একে অপরকে চানা খাওয়াতে থাকে। কেউ উপার্জন না করলে বলা হয় – এ তো চানা চিবোচ্ছে।
এখন তোমরা বাচ্চারা জানো অসীম জগতের পিতা আমাদেরকে স্বর্গের রাজত্ব প্রদান করছেন। শিববাবা এই আসরে আসেন তাইনা। শিব জয়ন্তীও তো পালন করে তাইনা। কিন্তু তিনি এসে কি করেন – সে কথা কেউ জানেনা। উনি হলেন পিতা। বাবা নিশ্চয়ই কিছু খাওয়ান, দান করেন। মাতা-পিতা জীবনের দেখাশোনা তো করেন তাইনা। তোমরাও জানো উনি হলেন মাতা পিতা, তিনি এসে জীবনের প্রতিপালন করেন। দত্তক নেন। বাচ্চারা নিজেরাই বলে বাবা আমরা আপনার ১০ দিনের সন্তান অর্থাৎ ১০ দিন হয়েছে আপনার আপন হয়েছি। তখন বোঝা উচিত যে, আমরা বাবার কাছে স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত করার অধিকারী হয়েছি। বাবার কোলে স্থান পেয়েছি। জীবিত অবস্থায় কারো কোলে স্থান পাওয়া অন্ধ শ্রদ্ধার দ্বারা হয় না। মাতা পিতাও সন্তানকে দত্তক দেয়। ভাবে যে, আমাদের সন্তান তাদের কাছে বেশি সুখী থাকবে। তারা অনেক ভালোবাসার সাথে লালন পালন করবে। তোমরাও লৌকিক পিতার সন্তান এখানে এসে অসীমের পিতার কোলে স্থান প্রাপ্ত ক’র। অসীম জগতের পিতা কতখানি ভালোবাসা দিয়ে সন্তানকে আপন কোলে স্থান দেন। বাচ্চারাও লেখে বাবা আমি আপনার সন্তান হয়েছি। শুধু দূরে থেকে তো বলবে না। প্রাক্টিক্যালে দত্তক নেওয়া হয় তার অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়। যেমন করে জন্মদিন পালন করা হয় তাইনা। সুতরাং এখানেও সন্তান রূপে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়, বাচ্চারা বলে আমরা আপনার হয়েছি তো ৬-৭ দিন পরে নামকরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা উচিত। কিন্তু কেউ তো পালন করে না। নিজের জন্মাষ্টমী তো খুব ধুমধাম করে পালন করা উচিত। কিন্তু পালন করে না। জ্ঞানও নেই যে আমাদেরকে জন্ম জয়ন্তী পালন করতে হবে। ১২ মাস হলে পালন তো করে । প্রথমে যখন পালন করো না তো ১২ মাস পরে কেন পালন করো ? জ্ঞানই নেই, নিশ্চয় নেই হয়তো। এক বার জন্ম দিন পালন করলে সে তো মজবুত হয়ে গেল কিন্তু যদি জন্ম দিন পালন করে ভাগন্তী হয়ে গেল অর্থাৎ বাবাকে পরিত্যাগ করে পালিয়ে গেল তখন বুঝবে মরে গেল। জন্মও কেউ তো ধুমধাম করে পালন করে। কেউ গরিব যদি হয় সে গুড় ছোলাও বিতরণ করতে পারে। বেশি নয়। বাচ্চাদের পুরোপুরি বোধ থাকে না তাই খুশীর অনুভূতিও হয় না। জন্ম দিন পালন করলে স্মরণও মজবুত হবে। কিন্তু তেমন বুদ্ধি নেই। আজ তবুও বাবা বোঝাচ্ছেন যারা নতুন বাচ্চারা, তাদের দৃঢ় বিশ্বাস যদি থাকে তবে জন্মদিন পালন করবে। অমুক দিনে আমাদের নিশ্চয় হয়েছে, যার থেকে জন্মাষ্টমী শুরু হয়। অতএব বাচ্চাদেরকে বাবা ও স্বর্গের অধিকারকে (বর্সা) পুরোপুরি স্মরণ করা উচিত। সন্তান কখনও ভুলে যায় না যে, আমি অমুকের সন্তান। এখানে বলে যে, বাবা তোমার কথা আমাদের স্মরণে থাকে না। এমন কথা জ্ঞান পাওয়ার পূর্বে কখনও বলে না। স্মরণে না আসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তোমরা বাবাকে স্মরণ করো, বাবা তো সবাইকেই স্মরণ করেন । সব আমার সন্তানরা কাম চিতায় বসে জ্বলে পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে। এমন কথা কোনো গুরু বা মহাত্মা ইত্যাদি বলবে না। এই কথাটি হল ভগবানুবাচ যে সবাই আমার সন্তান। সবাই (আত্মারা) তো ভগবানের সন্তান, তাইনা। সব আত্মারা হল পরমাত্মার সন্তান। বাবাও যখন শরীরে আসেন তখন বলেন – এই সব আত্মারা হল আমার সন্তান। কাম চিতায় বসে ভষ্মীভূত তমোপ্রধান হয়েছে। ভারত বাসীরা কতখানি আয়রন এজেড হয়ে গেছে। কাম চিতায় বসে সবাই শ্যাম বর্ণে পরিণত হয়েছে। যে পূজ্য একনম্বরের গৌর বর্ণ ছিল, সে-ও এখন পূজারী শ্যাম বর্ণে পরিণত হয়েছে। যে সুন্দর সে-ই শ্যাম হয়েছে। এই কাম চিতায় বসা অর্থাৎ সাপের উপরে বসা। বৈকুণ্ঠে সাপ ইত্যাদি হয় না যে, দংশন করবে। এমন কোনও ব্যাপারই হয় না। বাবা বলেন – ৫ বিকার প্রবেশ করেছে তাই তোমরা জঙ্গলের কাঁটায় পরিণত হয়েছো। বাচ্চারা বলে বাবা আমরা বিশ্বাস করি যে, এই দুনিয়া হলই কাঁটার জঙ্গল। একে অপরকে কাঁটা বিদ্ধ করে সবাই ভষ্মীভূত হয়েছে। ভগবানুবাচ – আমি জ্ঞানের সাগর, আমার সন্তানেরা যাদেরকে আমি কল্প পূর্বেও এসে স্বচ্ছ বানিয়েছিলাম তারাই এখন পতিত কালো হয়েছে। বাচ্চারা জানে আমরা সুন্দর (গৌর) থেকে অসুন্দর (শ্যাম) কীভাবে পরিণত হই। সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি নাটশেলে (সার রূপে) বুদ্ধিতে আছে। এই সময় তোমরা জানো কেউ ৫-৬ বছর থেকে নিজের বায়োগ্রাফি জানে নম্বর অনুযায়ী বুদ্ধি অনুসারে । প্রত্যেকে নিজের পাস্ট বায়োগ্রাফিকেও জানে – আমরা কি-কি খারাপ কাজ করেছি। মুখ্য মুখ্য কথা তো বলা হয় – আমরা কি-কি করেছি। পূর্ব জন্মের কথা তো বলতে পার না। জন্ম-জন্মান্তরের বায়োগ্রাফি কেউ বলতে পারে না। যদিও ৮৪ জন্ম কীভাবে নিয়েছ সে কথা বাবা বসে বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন, যারা পুরো ৮৪ জন্ম নিয়েছে, তাদেরই স্মরণে আসবে। ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য আমি তোমাদেরকে শ্রীমৎ প্রদান করি তাই বাবা বলেন এই নলেজ সর্ব ধর্মের মানুষের জন্য। যদি মুক্তিধাম ঘরে যেতে চাও তবে কেবল বাবা নিয়ে যেতে পারেন। বাবা ব্যতীত কেউ নিজের ঘর অর্থাৎ পরমধামে ফিরে যেতে পারে না। কারো কাছে এই যুক্তি নেই যে বাবাকে স্মরণ করবে আর সেখানে পৌঁছে যাবে। পুনর্জন্ম তো সবাইকে নিতে হবে। বাবা ব্যতীত কেউ নিয়ে যেতে পারবে না। মোক্ষ লাভের আশা তো কখনও করবে না। সে তো অসম্ভব। এই হল অনাদি পূর্ব রচিত ড্রামা, এর বাইরে কেউ বেরোতে পারে না। এক পিতাই হলেন সকলের লিবারেটর, গাইড। তিনি স্বয়ং এসে যুক্তি বলে দেন যে, আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। নাহলে দন্ড ভোগ করতে হবে। পুরুষার্থ না করলে মনে করা হবে যে এখানকার নয়। মুক্তি-জীবনমুক্তির পথ তোমরা বাচ্চারা নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে জানো। প্রত্যেকের নিজস্ব বোঝানোর গতি আছে। তোমরাও তো বলতে পারো – এই সময় হল পতিত দুনিয়া। কত মারামারি ইত্যাদি হয়। সত্যযুগে এইসব হবে না। এখন হল কলিযুগ। এই কথা তো সব মানুষ স্বীকার করবে। সত্যযুগ ত্রেতা… গোল্ডেন এজ, সিলভার এজ… অন্য ভাষায় অন্য নাম বলা হবে নিশ্চয়ই। ইংলিশ ভাষা তো সবাই জানে। ডিকশনারিও হয় – ইংলিশ হিন্দির। ইংরেজরা অনেক বছর রাজত্ব করে গেছে তাই তাদের ইংরেজি কাজে লাগে।
মানুষ এই সময় এই কথা তো স্বীকার করে যে, আমাদের কোনও গুণ নেই, বাবা তুমি এসে দয়া করো পুনরায় আমাদেরকে পবিত্র বানাও, আমরা পতিত হয়েছি। এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো যে, পতিত আত্মারা একজনও ফিরে যেতে পারবে না। সবাইকে সতঃ রজঃ তমঃতে আসতেই হবে। এখন বাবা এই পতিত আসরে আসেন, এই হল বিশাল আসর । আমি দেবতাদের আসরে কখনও আসি-ই না। যেখানে অনেক ঐশ্বর্য, ৩৬ প্রকারের ভোজন প্রাপ্ত হয়, সেখানে আমি আসি-ই না। যেখানে বাচ্চাদের রুটি প্রাপ্ত হয় না, তাদের কাছে এসে কোলে নিয়ে সন্তান রূপে আপন করে স্বর্গের অধিকার প্রদান করি। ধনীদের সন্তান রূপে আপন করি না, তারা তো নিজের নেশায় ডুবে থাকে। তারা নিজেরাই বলে আমাদের জন্য তো স্বর্গ এখানেই, তারপরে কেউ মারা গেলে ব’লে স্বর্গবাসী হয়েছে। অর্থাৎ নিশ্চয়ই এই দুনিয়া হল নরক তাইনা। তোমরা কেন বোঝাও না। এখনও খবরের কাগজে কেউ যুক্তিযুক্ত ভাবে লিখে ছাপায় নি। বাচ্চারাও জানে ড্রামা আমাদের পুরুষার্থ করায়, আমরা যে পুরুষার্থ করি – সেসব ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে। পুরুষার্থ অবশ্যই করতে হবে। ড্রামা ভেবে বসে থাকবে না। প্রতিটি কথায় পুরুষার্থ নিশ্চয়ই করতেই হবে। কর্মযোগী, রাজযোগী তোমরা, তাইনা। তারা হল কর্ম সন্ন্যাসী, হঠযোগী। তোমরা তো সবকিছু ক’র। লৌকিক ঘরে থাকো, সন্তানদের রক্ষণাবেক্ষণ ক’র। তারা তো পরিত্যাগ করে পালিয়ে যায়। ভালো লাগে না। কিন্তু সেই পবিত্রতাও তো ভারতের প্রয়োজন তাইনা। তবু ভালো। এখন তো পবিত্রও হয় নি। এমন তো নয় তারা পবিত্র দুনিয়ায় যেতে পারে। বাবা ব্যতীত কেউ নিয়ে যেতে পারবে না। এখন তোমরা জানো – শান্তিধাম তো আমাদের ঘর। কিন্তু যাবে কীভাবে ? অনেক পাপ করেছে। ঈশ্বরকে সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে। কাঁর সম্মান নষ্ট হচ্ছে ? শিববাবার। কুকুর বেড়াল, প্রতিটি কণায় কণায় পরমাত্মা আছেন বলে দেয়। রিপোর্ট কাকে করবে ! বাবা বলেন আমিই শক্তিশালী (সমর্থ) । আমার সঙ্গে ধর্মরাজও আছে। এই সময় হল সবার জন্য বিনাশের সময়। সবাই সাজা ভোগ করে ফিরে যাবে। ড্রামার রচনা এমনই হয়ে আছে। সাজা ভোগ করতেই হবে। এইরূপ সাক্ষাৎকার তো হয়। গর্ভজেলেও সাক্ষাৎকার হয়। তোমরা এই কাজ করেছো যার দন্ড প্রাপ্ত হয়, তবেই তো বলে যে, এই জেল থেকে মুক্ত করো। আমরা পুনরায় পাপ কর্ম করবো না। বাবা এখানে সম্মুখে এসে এই সব কথা বোঝাচ্ছেন। গর্ভেও দন্ড ভোগ করে। সেও তো একটি জেল, দুঃখ অনুভব হয়। সেখানে সত্যযুগে দুটি জেল হয় না, যেখানে সাজা ভোগ করবে।
এখন বাবা বোঝাচ্ছেন বাচ্চারা আমাকে স্মরণ করো তো খাদ বেরিয়ে যাবে। তোমাদের এই কথা গুলি অনেকে বিশ্বাস করবে। ভগবানের নাম তো আছে। শুধুমাত্র ভুল করেছে যে কৃষ্ণের নাম লিখে দিয়েছে। এখন বাবাও বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন – এই কথা যে শুনছো, শুনে খবরের কাগজে ছাপাও। শিববাবা এই সময় সবাইকে বলেন – ৮৪ জন্ম ভোগ করে তমোপ্রধান হয়েছো। এখন আমি পুনরায় পরামর্শ দিচ্ছি – আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে তখন মুক্তি-জীবনমুক্তি ধামে চলে যাবে। বাবার আদেশ হল এই – আমাকে স্মরণ করো তাহলে খাদ বেরিয়ে যাবে। আচ্ছা – বাচ্চারা, আর কত বোঝাবো তোমাদের। আচ্ছা!
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) সকল বিষয়ের জন্য পুরুষার্থ অবশ্যই করতে হবে। ড্রামা ভেবে বসে থাকবে না। কর্মযোগী, রাজযোগী হতে হবে। কর্ম সন্ন্যাসী, হঠযোগী নয়।
২ ) দন্ড ভোগ না করে বাবার সঙ্গে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য স্মরণে থেকে আত্মাকে সতোপ্রধান বানাতে হবে। শ্যাম থেকে সুন্দরে পরিণত হতে হবে।
বরদানঃ-
বর্তমানে সময় অনুযায়ী, সময়ের সমীপতা অনুযায়ী যখন অন্যদের উপরে শক্তি রূপের প্রভাব বিস্তার করবে তখন অন্তিম প্রত্যক্ষ স্বরূপকে নিকটে আনতে পারবে। যেমন স্নেহ এবং সহযোগকে প্রত্যক্ষ করেছ তেমনই সার্ভিসের দর্পণে শক্তি রূপের অনুভব করাও। যখন নিজের শ্রেষ্ঠত্বের দ্বারা শক্তি রূপের নতুনত্বের পতাকা ওড়াতে থাকবে, তখন প্রত্যক্ষতা হবে। নিজেদের শক্তি স্বরূপের দ্বারা সর্ব শক্তিমান বাবার সাক্ষাৎকার করাও।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!