16 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
15 April 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - ২১ জন্মের রাজত্ব প্রাপ্ত করার জন্য জ্ঞান ধনের দান করো, ধারণ করে অন্যদের ধারণ করাও”
প্রশ্নঃ --
চলতে চলতে গ্রহণ লেগে যাওয়ার মুখ্য কারণ কি ?
উত্তরঃ -:-
শ্রীমৎ অনুসারে না চললে গ্রহণ লেগে যায়। যদি নিশ্চয় বুদ্ধি হয়ে একের মতানুসারে সদা চলবে তো গ্রহণ লাগবে না, সদা কল্যাণ হতে থাকবে। দেরি করে যারা আসে তারাও অনেক এগিয়ে যেতে পারে। সেকেন্ডে বাজিমাত করা যায়। বাবার আপন সন্তান হলে অধিকারী হতে পারবে, ঘন সুখের বর্সা প্রাপ্ত হবে, কিন্তু শ্রীমৎ অনুযায়ী সদা চলতে হবে।
গান:-
তুমি প্রেমের সাগর..
ওম্ শান্তি। ওম্ শান্তির অর্থ তো বাচ্চাদেরকে বার-বার বোঝানো হয়েছে। ওম্ অর্থাৎ অহম্ আত্মা মম শরীর। বাবা বলবেন ওম্ (অহম্-আত্মা) তথা পরমাত্মা। তাঁর শরীর নেই কারণ তিনি তো হলেন সকলের পিতা। তোমরা এমন বলবে না আমি আত্মা তথা পরমাত্মা। এই কথা তো ঠিক – অহম্ আত্মা হলাম পরমাত্মার সন্তান। যদিও অহম্ আত্মা ই সেই পরমাত্মা বলা একেবারে ভুল কথা হয়ে যায়। তোমরা বাচ্চারা বাবাকে জানো। এই কথাটি বুঝেছো যে এই দুনিয়া হল পুরানো। নতুন দুনিয়া সত্যযুগকে বলা হয়। কিন্তু সত্য যুগ কখন হয় , সে কথা দীনহীন মানুষ জানেনা। তারা ভাবে যে কলিযুগ তো এখনো ৪০ হাজার বছর বাকি আছে। তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা শ্রীমৎ অনুসারে এখন নতুন দুনিয়া স্থাপনা করছি। বাবা বলেন আমি তোমাদের দ্বারা নতুন দুনিয়া স্থাপন করাচ্ছি। তোমাদের দ্বারা বিনাশ করাই না। তোমরা হলে সেই শিবশক্তি প্রজাপিতা ব্রহ্মা মুখবংশী, অহিংসক শক্তি সেনা। তোমরাই হলে বাবার বর্সা প্রাপ্ত করার অধিকারী। তোমরা ব্রাহ্মণরাই শ্রীমৎ প্রাপ্ত করো। তোমরা কাম বিকারকে পরাজিত করো, তাই এখানে যারা আসে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, যদি কাম বিকারকে পরাজিত করেছ তবেই বাবার সঙ্গে দেখা করবে। আপন সন্তান ও সৎ সন্তান হয়, তাইনা। আপন সন্তান কখনও বিকারগ্রস্ত হতে পারে না। এখন আমরা বাবাকে পেয়েছি, উনি হলেন জ্ঞানের সাগর। কৃষ্ণকে জ্ঞানের সাগর বলা হবে না। শিববাবার মহিমা ও দেবতাদের মহিমা, দুটি হল একেবারেই আলাদা। দেবতাদের মহিমা হল সম্পূর্ণ নির্বিকারী। শিববাবাকে বলা হয় সৃষ্টির বীজ রূপ, সত্য চিত্ত আনন্দ স্বরূপ, জ্ঞানের সাগর। এই শরীর প্রথমে জড় থাকে তারপরে সেই শরীরে যখন আত্মার প্রবেশ হয় তখন চৈতন্য হয়। এই মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষের উৎপত্তি কীভাবে হয়, সে কথা একমাত্র বীজ রূপ পিতাই জানেন। উনি তোমাদেরকে জ্ঞান প্রদান করছেন। বাবা বলেন তোমাদেরকে অল্প জ্ঞান প্রদান করি তখন তোমরা পুরানো দুনিয়া থেকে নতুন দুনিয়ায় প্রবেশ কর। নতুন দুনিয়াকেই শিবালয় বলা হয়। শিববাবার দ্বারা স্থাপিত স্বর্গ, যেখানে চৈতন্য দেবতারা বাস করেন। ভক্তিমার্গে তাদেরকেই মন্দিরে বসানো হয়েছে। তোমরা হলে প্রকৃত সত্য রূহানী ব্রাহ্মণ অর্থাৎ আত্মা হল ব্রাহ্মণ। তোমাদেরকে শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা আপন করেছেন। তারা দেহধারী ব্রাহ্মণ যদিও বলে আমরা হলাম মুখবংশী । কিন্তু তবুও বলে দেয় ব্রাহ্মণ দেবী দেবতায় নমঃ কারণ তারা ভাবে যে, তারা পূজারী ব্রাহ্মণ, আপনারা পূজনীয়। বিকারী ব্রাহ্মণরা প্রণাম করে পবিত্রদের। এখন তোমরা হলে ব্রাহ্মণ, সেই সময় আসবে তখন তোমরাও বলবে ব্রাহ্মণ দেবতায় নমঃ, কারণ এখন তোমরাই হলে পূজনীয় পরে গিয়ে পূজারী হও। এই কথা খুবই গুহ্য ও মনোরম। যারা শ্রীমৎ অনুসারে চলে, তারা এই রূপ ধারণ করতে পারে এবং করাতে পারে। যেমন ব্যারিস্টার, সার্জেন, যত পড়াশোনা করে ততই ঔষধ পত্র বা আইনের পয়েন্টস বুদ্ধিতে থাকে। নাম তো থাকবে উকিল কিন্তু কেউ হয় লক্ষপতি এবং কারো কিছুই আমদানি হয় না। এখানেও নম্বর অনুসারে দান করে তো তারা ফলও প্রাপ্ত করে, তখন বলা হয় ধন দান করলে ধন শেষ হয় না…. এই জাগতিক দুনিয়াতে দান করলে অল্পকালের জন্য দ্বিতীয় জন্মে সুফল প্রাপ্ত হয়। ধনীদের ঘরে জন্ম হয়, এখানে তো ২১ জন্মের জন্য রাজত্বের অধিকারী হয়ে যায়। তোমাদেরকে সব পয়েন্টস তো নোট করতে হবে। তোমাদেরকে কাগজে দেখে ভাষণ করতে হবে না, পয়েন্টস বুদ্ধিতে রেখে ভাষণ করতে হবে। যেমন শিববাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন, তেমনই বাচ্চারা তোমাদেরও হতে হবে।
এক কন্যা লিখেছিল আমার পিতা আমার শিক্ষক ছিলেন, আপনিও হলেন আমার পিতা ও টিচার। ওটা হল দৈহিক জগতের, এ হল অসীম জগতের। অসীম জগতের পিতা অসীম জগতের কথা শোনান। সীমিত জগতের পিতা সীমিত জগতের কথা শোনান। লৌকিক পিতা হলেন সীমিত দেহের সুখপ্রদানকারী পিতা। সীমিত দেহের সেবায় নিয়োজিত সেবাধারীদের সর্বোদয়া নাম রাখা হয়, তাও হল মিথ্যা। সর্ব অর্থাৎ সম্পূর্ণ দুনিয়ার উপরে তো দয়া করা হয় না। একমাত্র বাবা সর্বজনের উপরে দয়া করে পবিত্র করেন। পঞ্চ তত্ত্ব গুলিও পবিত্র করেন। একটিই দুনিয়া থাকে। সেই দুনিয়াই নতুন থেকে পুরানো হয়। ভারতই স্বর্গ ছিল, ভারতই নরক হয়েছে। এমন নয় বৌদ্ধ খন্ড, খ্রিস্টান খন্ড কোনো স্বর্গ ছিল। একমাত্র পিতা সকলকে দুঃখ থেকে মুক্ত করেন উনি হলেন হেভেনলি গড ফাদার। লিব্রেটরও তিনি, গাইডও তিনি, তাঁকেই সবাই স্মরণ করে। বাবা বলেন বাচ্চারা সময় খুব কম আছে, এখন দেহ সহ সব কিছু থেকে বুদ্ধিযোগ বিচ্ছিন্ন করো। এখন আমরা নিজের পিতার কাছেই ফিরে যাই পুনরায় এসে রাজত্ব করবো। মুখ্য হিরো এবং হিরোইনের পার্ট হল তোমাদের। যথা মাতা পিতা তথা সন্তান সবাই হল পুরুষার্থী। পুরুষার্থ করান একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মা অতীব প্রিয় । ভক্তিমার্গেও তাঁকেই স্মরণ করে কিন্তু তাঁকে জানেনা। ঋষি মুনি ইত্যাদিরাও বলতেন – রচয়িতা ও রচনা হল অসীম, সীমাহীন, অন্ত হীন। তাহলে আজকালকার গুরু কীভাবে বলে যে, তারাই পরমাত্মা। দিলওয়ারা মন্দিরে আদি দেবের চিত্র আছে, নীচে কালো চিত্র দেখানো হয়, তারপরে অচল ঘরে সোনার রাখা আছে, নীচে তপস্যারত দেখানো হয়েছে উপরে স্বর্গ রয়েছে। এ হল আমাদের স্মরণিকা। পতিতদের পবিত্র করা হয় তো সঙ্গম হল তাইনা। ভক্তিমার্গের মানুষও থাকবে। বাবা এই শরীরের দ্বারা নিজের জড় মন্দির স্মরণিক রূপে দেখেন। বোঝান আমি দেখি – এ হল আমাদের স্মরণিকা। তোমরাও নিজেদের স্মরণিকা দেখো। প্রথমে তোমরা জানতে না যে, এ হল আমাদের স্মরণিক। এখন জানো যে, তোমরা যে পূজনীয় দেবতা ছিলে তোমরাই পূজারী হয়েছো। আমরাই সেই দেবতা, আমরাই ক্ষত্রিয় হই… আমরাই সেই এর অর্থ তোমরাই জানো। নতুন দুনিয়া পুরানো কীভাবে হয়। নতুন তৈরি হলেই পুরানোর বিনাশ হবে। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা তো অবশ্যই এখানে হওয়া উচিত। প্রজা এখানে রচনা করেন। সূক্ষ্ম বতনে তো ব্রহ্মা একা বসে আছেন। রচয়িতা রূপে রচনা পূর্ণ করে ফারিশ্তা হয়েছেন।
তোমরা হলে প্রজাপিতা ব্রহ্মা মুখ বংশী ব্রাহ্মণ কুল ভূষণ। সর্বোদয়া লিডার বাস্তবে হলে তোমরা। শ্রীমৎ এর দ্বারা তোমরা নিজেদের উপরেও দয়া করো তো সর্বজনের উপরেও দয়া করো। শ্রী শ্রী শিববাবা বসে তোমাদের শ্রী বানান। শ্রী শ্রী বাস্তবে একজনকেই বলা হয়। পতিত-পাবন সর্বজনের সদগতি দাতা হলেন একজনই আছেন। বাকি এ হল মিথ্যা অসত্য দুনিয়া। এখানে যা কিছু বলা হয় সবই অসত্য, মিথ্যা। রচয়িতা এবং রচনার বিষয়ে মিথ্যা বলে, বাবা সত্য বলেন। একেই সত্য নারায়ণের কাহিনী বলা হয়। তোমরা জ্ঞানের চক্ষু দ্বারা দেখো কিরূপে পরিণত হচ্ছো। শ্রীমৎ অনুসারে যত চলবে তত উঁচু পদের অধিকারী হবে। অসীম জগতের পিতার কাছে অসীম জগতের বর্সা প্রাপ্ত করা হয়, তাই শ্রীমৎ ভগবৎ গীতা বলা হয়। বাকি শাস্ত্রগুলি এরই রচনা। গীতা হল মাতা পিতা। গীতা খন্ডন করলে বর্সা কারো প্রাপ্ত হয় না। এই কথাটি তোমরা বাচ্চারা জানো। এমন তো নয় যারা পুরানো হবে তারাই তীক্ষ্ণ বুদ্ধিধারী হবে। অনেক নতুন বাচ্চারাও পুরানোদের থেকে তীব্র বেগে এগিয়ে যায়। দেরি করে যারা এসেছে তারাও উঁচু পদের অধিকারী হবে। এ’ হল সেকেন্ডে বাজিমাত । বাবার আপন হওয়া অর্থাৎ অধিকারী হওয়া। যদি কেউ স্থির না হতে পারে তাহলে বাবা কি করবেন। নিশ্চয়বুদ্ধি হয়ে শ্রীমৎ অনুসারে চললেই সফল। যেমন লৌকিক উপার্জনে গ্রহের দশা আসে, ঠিক সেইরকম এখানেও গ্রহের দশা আসে। গ্রহণও লেগে যায় কারণ শ্রীমৎ অনুসারে চলে না, যদিও সবটাই হল খুব সহজ কথা। বাবা মাম্মার সন্তান হলেই গহন সুখের বর্সা প্রাপ্ত হয়। একের মতানুযায়ী চললে কল্যাণ আছে। যাঁকে তোমরা অর্ধেক কল্প স্মরণ করো, এখন তাঁকেই প্রাপ্ত করেছ তো তাঁর হাত ধরে নেওয়া উচিত, এতে সংশয় কেন অনুভব হয়। বাবা বলেন পুনরায় ড্রামা অনুসারে রাজ্য-ভাগ্য প্রদান করতে এসেছি। আমার শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতে হবে। বুদ্ধি দিয়ে আমাকে স্মরণ করো আর কোনো কষ্ট তো নেই। স্বর্গের বর্সাও তোমরা প্রাপ্ত করো । গতকাল স্বর্গ ছিল, আজ হল নরক। এখন পুনরায় স্বর্গ হবে। কাল এখানে মালিক ছিলে, আজ বেগার হয়েছো। এই খেলাটি হল প্রিন্স এবং বেগার হওয়ার। কত সহজ এই কথা। দেহী-অভিমানী হওয়াটাই পরিশ্রমের। সন্ন্যাসীরা বলে ক্রোধ অনুভব হলে মুখে চুষিকাঠি (তাবীজ) রাখো। এই দৃষ্টান্ত গুলি সবই বর্তমান সময়ের। ভ্রমরীর দৃষ্টান্তও হল এখানকার। বিষ্ঠার কীট গুলিকে নিজ সম বানায়, আশ্চর্যের ! অবশ্যই এই সময় সবাই হল বিষ্ঠার কীট সম। তাদেরকে তোমরা ব্রাহ্মণীরা ভুঁ ভুঁ করো অর্থাৎ জ্ঞানের কথা শুনিয়ে থাকো। কোনো ব্রাহ্মণী বা ব্রাহ্মণ উড়তে সক্ষম হয় । কেউ শূদ্র থেকে যায়। সর্পের দৃষ্টান্তও হল এখানকার । তোমরা নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। এই পুরানো খোলস ত্যাগ করে সত্য যুগে নতুন খোলস ধারণ করতে হবে। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, গীতা খুব ছোট বানানো হয়েছে। শ্লোক ইত্যাদি কণ্ঠস্থ করে নেয়। সব মানুষ তাদের কাছে মাথা নত করে। গীতা পাঠ করতে করতে কলিযুগের শেষ সময় এসে গেল। সদগতি কারো প্রাপ্ত হল না। তোমাদেরকে কত অল্প জ্ঞান প্রদান করি তাতেই তোমরা স্বর্গে প্রবেশ করো। কতখানি মিষ্টি মধুর হতে হবে। ধারণ করতে হবে। বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। দিনের বেলায় এই আধ্যাত্মিক ব্যবসা করো, অনেক উপার্জন হবে। সকাল বেলায় আত্মা রিফ্রেশ হয়। বার বার প্র্যাক্টিস করলে অভ্যাসী হয়ে যাবে। যারা এখন করবে তারা উঁচু পদের অধিকারী হবে, নিশ্চয়বুদ্ধি বিজয়ন্তী, সংশয়বুদ্ধি বিনশন্তি। অসীম জগতের পিতাকে পেয়ে বুদ্ধিতে সংশয় কেনই বা আসবে। শিববাবা বিশ্বের মালিক করেন, তাঁকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এই জ্ঞান রত্ন গুলির প্রতি হৃদয়ের ভালোবাসা থাকা উচিত। মহাদানী পিতা তোমাদেরকে বিশ্বের মালিক বানান। এই জ্ঞানের এক-একটি রত্ন হল লক্ষ টাকার। আচ্ছা!
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) শ্রীমৎ অনুসারে চলে নিজের উপরে নিজেই দয়া করতে হবে। সর্বোদয়া হয়ে পতিত দুনিয়াকে পবিত্র করতে হবে।
২ ) অমৃতবেলায় রূহানী সেবা করে উপার্জন করে জমা রাশি বৃদ্ধি করতে হবে। বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। দেহী-অভিমানী হওয়ার জন্য পরিশ্রম অবশ্যই করতে হবে।
বরদানঃ-
যে বাচ্চারা মাস্টার সর্বশক্তিমানের অথরিটির দ্বারা শক্তি গুলিকে অর্ডার অনুযায়ী পরিচালনা করে, তখন প্রতিটি শক্তি রচনা স্বরূপে মাস্টার রচয়িতার সম্মুখে উপস্থিত হয়। অর্ডার করা মাত্রই উপস্থিত হয়। অতএব যে হুজুর অর্থাৎ বাবার প্রতিটি কদমের শ্রীমৎ অনুসারে প্রত্যেক মুহূর্তে “জি-হাজির” বা প্রত্যেক আদেশে “জি-হাজির” করে। তো যারা “জি-হাজির” করে তাদের সম্মুখে প্রতিটি শক্তিও “জি-হাজির” বা জি মাস্টার করে। এমন অর্ডার অনুযায়ী শক্তি গুলি কার্যে ব্যবহার করতে সক্ষম আত্মাদেরকেই মাস্টার রচয়িতা বলা হবে।
স্লোগানঃ-
মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য –
“ডাইরেক্ট ঈশ্বরীয় জ্ঞানের দ্বারা সফলতা”
এই যে অবিনাশী জ্ঞান আমাদের প্রাপ্ত হচ্ছে, সেসব ডাইরেক্ট পরমাত্মার দ্বারা প্রাপ্ত হচ্ছে। এই জ্ঞানকে আমরা ঈশ্বরীয় জ্ঞান বলি, কারণ এই জ্ঞানের দ্বারা মানুষ জন্ম-জন্মান্তর দুঃখের বন্ধন থেকে মুক্তি প্রাপ্ত করে। কর্মের বন্ধনে আসে না সেইজন্যই এই জ্ঞানকে অবিনাশী জ্ঞান বলা হয়। এখন এই জ্ঞান কেবলমাত্র এক অবিনাশী পরম পিতা পরমাত্মার দ্বারা আমাদের প্রাপ্ত হয় কারণ তিনি হলেন নিজেই অবিনাশী। বাকি সব মনুষ্য আত্মারা জনম মরণের চক্রে আসে তাই তাদের কাছে প্রাপ্ত জ্ঞান আমাদের কর্মের বন্ধন থেকে মুক্ত করে না। এইজন্য তাদের জ্ঞানকে মিথ্যা জ্ঞান অথবা বিনাশী জ্ঞান বলা হয়। কিন্তু এই দেবতারা হলেন সদা অমর কারণ তারা অবিনাশী পরমাত্মার দ্বারা এই অবিনাশী জ্ঞান প্রাপ্ত করেছেন। সুতরাং প্রমাণিত হল যে, পরমাত্মাও এক তাই তাঁর দ্বারা প্রদত্ত জ্ঞানও এক, এই জ্ঞানে দুটি মুখ্য কথা যা বুদ্ধিতে রাখতে হবে, এক তো এই জ্ঞানে বিকারী কলিযুগী সঙ্গ দোষ থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং দ্বিতীয়তঃ ম্লেচ্ছ খাদ্যাভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এই ত্যাগের দ্বারাই জীবন সফল হয়। আচ্ছা – ওম্ শান্তি।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!