15 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

15 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

14 November 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবার মাধ্যমে যে জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে তা বুদ্ধিতে বসিয়ে নিতে হবে, সকাল-সকাল উঠে স্বদর্শন-চক্রধারী হয়ে বিচারসাগর মন্থন করতে হবে"

প্রশ্নঃ --

এই ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনের ল'(নিয়ম) কি ? তারজন্য কোন্ ডায়রেক্শন পেয়েছো ?

উত্তরঃ -:-

এই ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনের নিয়ম হলো — নিয়মিত পড়া। কখনও পড়া, কখনও না পড়া — এ নিয়ম নয়। বাবা পড়ার জন্য অনেক বন্দোবস্ত করেছেন। পড়া(মুরলী) এখান থেকে পোস্টে যায়। ৭ দিনের কোর্স করে যে কোনো স্থানেই পড়তে পারো। পড়া কখনও মিস করা উচিত নয়।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায়ঃ…

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা, যারা এখানে বসে রয়েছে, তারা রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্ত অথবা স্বদর্শন-চক্রকে স্মরণ করে। বাবা বাচ্চাদের জ্ঞান প্রদান করেছেন যে স্বদর্শন-চক্রধারী হও। তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের উদ্দেশ্যই হলো স্বদর্শন-চক্রধারী হওয়া। মূলবতন, সূক্ষ্মবতন, স্থূলবতন, এই ৮৪ জন্মের চক্রকে বুদ্ধিতে রাখতে হবে। আর সবকিছু বুদ্ধি থেকে নিষ্কাশিত করে দিতে হবে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে বরাবর বাবা আমাদের সূর্যবংশীয়-চন্দ্রবংশীয় বানিয়েছিলেন, পুনরায় ৮৪ জন্ম নিয়েছি। চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে নিজেদের এই আত্মার মধ্যে বাবার এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান থাকে। এখন শিববাবা তোমাদের শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ বানিয়েছেন। বাবা বুঝিয়েছেন যে তোমরা ৮৪ জন্মের চক্রের খেলা কিভাবে খেলো। সর্বপ্রথমে হলো আমরা ব্রাহ্মণ, ব্রহ্মার দ্বারা আমাদের ব্রাহ্মণদের রচনাকার হলেন শিববাবা। রচয়িতা এবং রচনার জ্ঞানেই তোমরা স্বদর্শন-চক্রধারী হয়ে যাও। এই নলেজ বুদ্ধিতে ধরে রাখতে হবে। সকালে উঠে স্বদর্শন-চক্রধারী হয়ে বসে পড়া উচিত। আমরা নিজেদের ৮৪ জন্মের চক্রকে জেনে নিয়েছি। আমাদের সমস্ত আত্মাদের রচয়িতা বাবা হলেন একজনই। বলেও থাকে যে আমরা সকলে ভাই-ভাই। আমাদের বাবা হলেন সেই নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা, পরমধাম নিবাসী। আমরাও সেখানে ছিলাম, উনি আমাদের বাবা। ‘বাবা’– শব্দটি অতি রমণীয় (লাভলী)। শিববাবার মন্দিরে গিয়ে কত পূজা করে, খুব স্মরণ করে। বাবা বলেন — আমি তোমাদের মানুষ থেকে দেবতা, তুচ্ছবুদ্ধি থেকে স্বচ্ছবুদ্ধির করে দিই। তুচ্ছবুদ্ধি অর্থাৎ শূদ্রবুদ্ধি থেকে স্বচ্ছবুদ্ধিসম্পন্ন করেছিলাম অর্থাৎ উচ্চবুদ্ধিসম্পন্ন, পুরুষোত্তম বুদ্ধিসম্পন্ন করেছিলাম। সমস্ত পুরুষ-স্ত্রী এই লক্ষ্মী-নারায়ণকে নমন করে। কিন্তু এ’টা জানে না — এঁনারা কারা ? কবে এসেছেন ? কি করেছেন ? বাবা বুঝিয়েছেন যে এই ভারত অবিনাশী ভুখন্ড কারণ অবিনাশী বাবা পরমপিতা পরমাত্মারও জন্মভুমি। পতিত-পাবন, সকলের সদ্গতিদাতার জন্মস্থান হলে এ হয়ে গেলো বৃহত্তম তীর্থ স্থান। এতখানি নেশা কারোর থাকে নাকি যে এ হলো পরমপিতা পরমাত্মার, সকলের সদ্গতিদাতা বাবার জন্মভূমি। পতিত-পাবনের জন্ম ভারতে হয়েছে। শিব-জয়ন্তী পালিত হয় তাহলে অবশ্যই শিবের জন্ম এখানেই হয়। এই ভারত বড় তীর্থস্থান। কিন্তু ড্রামানুসারে কারোর জানা নেই যে ইনি আমাদের গডফাদার অথবা মাতা-পিতা, পতিত-পাবন, সকলের সদ্গতিদাতার এ হলো জন্মস্থান সেইজন্য ভারতভূমিকে বন্দে মাতরম্ বলা হয়ে থাকে অর্থাৎ এই ভুমিতে এই বাচ্চারা যারা শ্রীমতানুসারে ভারতকে স্বর্গে পরিনত করে তাদের এই নেশা থাকা উচিত যে শ্রীমতানুসারে প্রতি কল্পে আমরা

ভারতকে প্যারাডাইজে(স্বর্গ) পরিণত করি। যে যত শ্রীমতে চলবে ততই উচ্চপদ লাভ করবে।ভারতবাসীরা কল্পের আয়ু লক্ষ-লক্ষ বছর লিখে দিয়েছে। তোমরা জানো যে বাবা, এই ভারত যাঁর জন্মস্থান, তিনি যে ধর্মস্থাপন করেছেন, তার (ধর্মশাস্ত্র) হলো গীতা। গীতার গায়ন কে করেছে তা ভারতবাসী ভুলে গেছে। কত তফাৎ হয়ে গেছে। কোথায় নিরাকার শিব, কোথায় শ্রীকৃষ্ণ। তোমরা জানো, কৃষ্ণের আত্মা যে গৌরবর্ণের ছিল সে-ই এখন অনেক জন্মের অন্তিমজন্মে তমোপ্রধান হয়ে গেছে। পুনরায় এঁনার মধ্যে প্রবেশ করে এঁনাকে গৌরবর্ণের শ্রীকৃষ্ণে পরিনত করছি সেইজন্য কৃষ্ণকে কালো এবং ফর্সা, শ্যাম এবং সুন্দর বলা হয়। ইনি সত্যযুগের প্রথম স্থানাধিকারী রূপবান যুবরাজ ছিলেন। এঁনার মহিমা হলো — মর্যাদা পুরুষোত্তম, অহিংসা পরমোধর্ম। ভারতবাসীরা এ’টা জানে না যে রাধা-কৃষ্ণ এবং লক্ষ্মী-নারায়ণের মধ্যে কি সম্বন্ধ ! বাবা বলেন — এখনো পর্যন্ত তোমরা যা কিছু পড়ে এসেছো, তাতে কোনো সার নেই। এখন তোমরা সম্মুখে বসে রয়েছো। জানো যে বাবা ৫ হাজার বছর পর আমাদের রাজযোগের শিক্ষা দিচ্ছেন। সমগ্র দুনিয়া বলে কৃষ্ণ গীতা শুনিয়েছে। বাবা বলেন — কৃষ্ণের মধ্যে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞানই নেই। কৃষ্ণের আত্মা পূর্বজন্মে এই জ্ঞান প্রাপ্ত করেছিল। এখন পুনরায় করছে, যার নাম আমি ব্রহ্মা রেখেছি। ওঁনার অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে আমি প্রবেশ করি। তোমরা জীবন্মৃত (মরজীবা) হয়ে গেছো, তাই না! তোমাদের অব্যক্ত নামও রেখেছিলাম। এখন রাখি না কারণ অনেকে ছেড়ে চলে গেছে। বাবার হয়ে, নাম রাখিয়ে পালিয়ে গেছে, তা তো শোভনীয় নয় তাই নাম রাখা বন্ধ করে দিয়েছি। তোমরা এখন ব্রাহ্মণ হয়েছো। প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান, শিববাবার পৌত্র। বাবা বলেন — উত্তরাধিকার তোমাদের আমার কাছ থেকে নিতে হলে আমায় স্মরণ করো। এ হলো এঁনার অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম। সূক্ষ্মলোকে যে ব্রহ্মাকে দেখানো হয় তিনি পবিত্র। সূক্ষ্মলোকে প্রজাপিতা তো থাকতে পারে না। বাবা বোঝান, ইনি হলেন ব্যক্ত, বৃক্ষের শেষে(মূলে) দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সেখানে বাচ্চাদের সঙ্গে যোগে বসে রয়েছেন — পবিত্র ফরিস্তা হওয়ার জন্য। সেইজন্য সূক্ষ্মলোকে দেখানো হয়। এখানেও প্রজাপিতা অবশ্যই চাই। উনি অব্যক্ত, ইনি ব্যক্ত। তোমরাও ফরিস্তা হতে এসেছো। এতেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে কারণ এ হলো সম্পূর্ণ নতুন জ্ঞান। কোনো শাস্ত্রাদিতে এই জ্ঞান নেই। ভগবান হলেন এক, সর্বোচ্চ নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা, সব আত্মাদের পিতা। ওঁনার নিবাসস্থল হলো পরমধাম। ওঁনাকে সকলে স্মরণ করে — এসো, আমাদের উপর মায়ার ছায়া পড়ে গেছে। পতিত হয়ে পড়েছি। এ’সকল কথা নতুনদের বুদ্ধিতে বসবে না। এখন তোমরা রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানো। সত্যযুগে আমরা অতি অল্পসংখ্যকই রাজ্য করতাম। ওখানে অধর্মের কথা হতেই পারে না। শাস্ত্রে কত কথা লিখে দিয়েছে, কিন্তু তাতে কোনো সার নেই। সিড়ি নামতে-নামতে এখন অন্তিমে এসে পতিত হয়েছি। এখন তোমরা জাম্প করো, নামতে ৮৪ জন্ম লেগেছে, জাম্প এক সেকেন্ডে দাও। বাচ্চারা, এখন তোমরা রাজযোগ শিখছো, তারপর শান্তিধামে গিয়ে সুখধামে চলে আসবে। এ হলো দুঃখধাম। সর্বপ্রথমে তোমরা এসেছো তাই বাবাও সর্বপ্রথমে তোমাদের সঙ্গে মিলিত হন। এখানে বাবা আর বাচ্চাদের, আত্মা এবং পরমাত্মার মেলা বসে। হিসাব রয়েছে, তাই না! — ৫ হাজার বছর হয়ে গেছে আমরা বাবার থেকে বিদায় নিয়েছি। সর্বপ্রথমে স্বর্গে (নিজ) ভূমিকা পালন করেছি, সেখানকার ভূমিকা পালন করতে-করতে তোমরা নীচে নেমে এসেছো। এখন তোমরা বাবার কাছে এসে গেছো, বাকি কম-বেশী যারা রয়েছে, তারাও এসে যাবে। তারপর তোমাদের পড়াশোনাও সমাপ্ত হয়ে যাবে, সকলকেই এখানে আসতে হবে। ওখানে যখন খালি হয়ে যাবে তারপর বাবা সকলকে নিয়ে যাবেন। এ হলো বুঝবার মতন কথা। পড়তে হবে। স্কুলে কখনো যাওয়া, কখনো না যাওয়া — এ’টা নিয়ম নয়। বাবা পড়ার জন্য অনেক ব্যবস্থা করেছেন। তা নাহলে কখনো কারোর কাছে পড়া পোস্ট মারফৎ যায় না। এই অসীম জগতের বাবার পড়া পোস্টে যায়। কত কাগজ ছাপা হয়। কোথায়-কোথায় যায়। ৭ দিবসীয় কোর্স করার পর যেকোনো কোথাও গিয়ে পড়তে থাকো। এইসময় সকলেই অর্ধেক কল্পের রোগী, সেইজন্য ৭ দিনের ভাট্টীতে রাখতে হয়। এই ৫ বিকারের রোগ সমগ্র দুনিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছে। সত্যযুগে তোমাদের শরীর নিরোগী ছিল, এভার-হেল্দী, এভার-ওয়েল্দী ছিল। এখন কি হাল হয়েছে। এই সমগ্র খেলা ভারতের উপরেই। তোমাদের এখন ৮৪ জন্মের স্মৃতি এসেছে। প্রতি কল্পে তোমরাই স্বদর্শন-চক্রধারী হও আর চক্রবর্তী রাজাও হও। এই রাজত্ব স্থাপিত হচ্ছে, এতে নম্বরের ক্রমানুসারে পদ প্রাপ্ত হবে। প্রজাও অনেকপ্রকারের চাই। মনকে (হৃদয়) প্রশ্ন করা উচিত যে আমি কতজনকে নিজ-সম স্বদর্শন-চক্রধারী তৈরী করেছি। যে যত তৈরী করবে সে-ই উচ্চ পদ লাভ করবে। বাবা তোমাদের মায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করা শেখান, সেইজন্য এনার নাম যুধিষ্ঠির রাখা হয়েছে। মায়ার উপর বিজয়প্রাপ্ত করার যুদ্ধ শেখান। যুধিষ্ঠির এবং ধৃতরাষ্ট্রকেও দেখানো হয়েছে। গাওয়াও হয় যে মায়াজীতই জগৎ-জীত, কতটা সময় পর্যন্ত তোমাদের জয় বজায় ছিল, পুনরায় কত’টা সময়ের জন্য পরাজিত হয়েছো। তাও তোমরা জানো। এ কোনো শারীরিক যুদ্ধ নয়। না দেবতা এবং অসুরদের যুদ্ধ হয়। না কৌরব এবং পান্ডবদের যুদ্ধ হয়। মিথ্যা দেহ, মিথ্যা মায়া…… এই ভারত মিথ্যা খন্ড। সত্যখন্ড ছিল, যখন থেকে রাবণ রাজ্য শুরু হয়েছে তখন থেকে মিথ্যাখন্ড হয়ে গেছে। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কত মিথ্যা বলে। কত কলঙ্ক লাগায়। কলঙ্গী অবতারেরও গায়ন হয়। সবচেয়ে অধিক কলঙ্ক বাবার উপর লাগানো হয়। ওঁনার উদ্দেশ্যেই বলা হয়ে থাকে কচ্ছ-মচ্ছ অবতার, পাথর-মাটির টুকরোতেও ঈশ্বর আছে। কত গালি দেয়। এ’টা কি সভ্যতা ? এখন তোমরা (জ্ঞানের) আলো পেয়েছো। তোমরা জেনেছো যে, বাবা আমাদের রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বোঝাচ্ছেন যা আর কেউ জানে না। বাবা-ই সদ্গতিদাতা। বাবার জ্ঞানের দ্বারা সকলের সদ্গতি হয়। এছাড়া যে স্বয়ং দুর্গতিতে রয়েছে সে অন্য কারোর সদ্গতি কিভাবে করবে ? এসে তোমাদের রাজার রাজা করে দিই। তোমরাই পবিত্র পূজ্য ছিলে, এখন এসে পূজারী হয়েছো। পবিত্র রাজাদের অপবিত্র রাজারা পূজা করে। সত্যযুগে দ্বিমুকুটধারী ছিল। বিকারী রাজা হলে একটি মুকুট থাকে। তারাও মহারাজা-মহারানী। কিন্তু পবিত্রদের কাছে অপবিত্ররা গিয়ে মাথা নত করে। ওই ভারতবাসীরা পবিত্র প্রবৃত্তিমার্গীয়, সেই ভারতবাসীরাই পতিত প্রবৃত্তিমার্গীয় হয়ে যায়। এখন বাবা বলেন, এই মৃত্যুলোকে তোমাদের অন্তিম জন্ম। এখন আমি এসেছি তোমাদের পুনরায় সত্যযুগে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এই মিসাইলের লড়াই ৫ হাজার বছর পূর্বেও হয়েছিল। এই পুরোনো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। বাবা বোঝান যে গৃহস্থী জীবনে থেকেও পদ্মফুল-সম হও। তোমরা পদ্মফুলের মতন ব্রাহ্মণ হয়েছো। কিন্তু এই চিহ্ন বিষ্ণুকে দেওয়া হয়েছে কারণ তোমরা সর্বদা একরস থাকো না। আজ পদ্মফুলের মতন রয়েছো, দু’বছর পর অপবিত্র হয়ে যাও। তোমাদের হলো সর্বোত্তম কুল। তোমরা ব্রাহ্মণেরা হলে কেশ-শিখা (টিকি)। পুনরায় পুনর্জন্ম নিতে-নিতে দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হও। শূদ্র থেকে ঝট করে কি দেবতা হবে! ব্রাহ্মণ কেশ-শিখা তো চাই। এখন ব্রাহ্মণদের বাবা পড়াচ্ছেন। তাহলে এ’রকম বাবাকে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ নাকি! বাবা বলেন — বিস্ময়করভাবে আমার (সমর্পিত) হয়, শোনে (শুনন্তি) পুনরায় পালিয়ে (ভাগন্তি) গিয়ে মায়ার হয়ে যায় (অর্থাৎ মায়াকে আপন করে নেয়)। ট্রেটর (বিশ্বাসঘাতক) হয়ে যায়(বনন্তি), আমার নিন্দা করায়…..একে বলে সদ্গুরুর নিন্দাকারী স্বর্গে ঠাঁই পায় না। বাকি ওরা হলো ভক্তিমার্গের গুরু, তারা কোনো সদ্গতিদাতা নয়। সকল আত্মাদের পিতা, শিক্ষক, গুরু একজনই নিরাকার বাবা। তিনিই সকলকে উদ্ধার করতে এসেছেন। ভবিষ্যতে বুঝতে পারবে তারপর টু লেট হয়ে যাবে। তখন তারা পুনরায় নিজের ধর্মেই চলে যাবে। শ্রেষ্ঠ থেকেও শ্রেষ্ঠ (সর্বশ্রেষ্ঠ) হলো দেবতা ধর্ম। তাঁদের থেকেও উচ্চ হলে তোমরা ব্রাহ্মণরা যারা বাবার সাথে বসে রয়েছো। তোমাদের যিনি পড়ান তিনি হলেন বিচিত্র এবং বিদেহী। বাবা বলেন আমার দেহ নেই। আমাকে বলা হয় শিব, আমার নাম পরিবর্তন হতে পারে না। আর সকলের শরীরের নাম বদল হয়। আমি হলাম পরম আত্মা, আমার জন্ম-পত্রিকা কেউ বের করতে পারে না। যখন অসীম জগতের রাত হয় তখন আমি আসি তা দিনে পরিনত করতে। এখন হলো সঙ্গম, এ’সমস্ত কথা ভালভাবে বুঝে তারপর ধারণ করা উচিৎ। স্মৃতিতে আনতে হবে। বাচ্চারা, এখানে তোমরা আসো, অবসর পাও। এখানে ভালভাবে বিচারসাগর মন্থন করতে পারো। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সর্বোত্তম কুলের স্মৃতির দ্বারা গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে পদ্মফুলের মতন পবিত্র হতে হবে। কখনও সদ্গুরুর নিন্দা করানো উচিত নয়।

২ ) শ্রীমতানুযায়ী ভারতকে স্বর্গ বানানোর সেবা করতে হবে। স্বদর্শন-চক্রধারী হতে এবং তৈরী করতে হবে। যখনই অবসর পাবে তখনই বিচারসাগর মন্থন অবশ্যই করতে হবে।

বরদানঃ-

কথিত আছে “নিজের মধ্যে মন্থন করো তবেই নেশা চড়বে”, অপরের উপার্জনের দিকে যেন কখনো চোখ (দৃষ্টি) না যায়। অন্যের নেশাকে লক্ষ্য বানানোর পরিবর্তে বাপদাদার গুণ এবং কর্তব্যকে লক্ষ্য বানাও। বাপদাদার সঙ্গে অধর্মের বিনাশ এবং সৎধর্ম স্থাপনের কর্তব্যে সহায়ক হও। অধর্মের বিনাশকারী অধার্মিক কার্য বা দৈব-মর্যাদাকে ভঙ্গ করতে পারে না। তারা মাস্টার মর্যাদা-পুরুষোত্তম হয়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top