15 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

14 May 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"বিশ্ব কল্যাণকারী হওয়ার জন্য সর্ব স্মৃতিতে সম্পন্ন হয়ে সকলকে সহযোগিতা প্রদান করো"

আজ সমর্থ বাবা তাঁর স্মৃতি স্বরূপ বাচ্চাদের দেখে প্রফুল্লিত হচ্ছেন । দেশ-বিদেশের সমস্ত বাচ্চারা স্মৃতি দিবস উদযাপন করছে। আজকের স্মৃতি দিবস বাচ্চাদের তাদের ব্রাহ্মণ জীবনের অর্থাৎ সমর্থ জীবনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, কারণ ব্রহ্মা বাবার জীবন কাহিনীর সাথে সাথে ব্রাহ্মণ বাচ্চাদেরও জীবন কাহিনী রয়েছে। নিরাকার বাবা সাকার ব্রহ্মার সাথে ব্রাহ্মণদেরও সৃষ্টি করেছেন। তখনই ব্রাহ্মণদের দ্বারা সৃষ্ট হয়ছে অবিনাশী যজ্ঞ। তোমরা ব্রাহ্মণদের সাথে ব্রহ্মা বাবাও স্থাপনার কাজে নিমিত্ত হয়েছেন, তাই ব্রহ্মা বাবার সাথে আদি ব্রাহ্মণদেরও জীবন কাহিনী জড়িয়ে আছে। যজ্ঞ স্থাপনায় আদিদেব ব্রহ্মা ও আদি ব্রাহ্মণ উভয়েরই গুরুত্ব ছিল। অনাদি বাবা আদিদেব ব্রহ্মার মাধ্যমে আদি ব্রাহ্মণদের সৃষ্টি করেছেন। আর আদি ব্রাহ্মণরা বহু ব্রাহ্মণের বৃদ্ধি ঘটালেন । এই স্থাপনার কাহিনী, ব্রহ্মা বাবার কাহিনী, আজকের স্মৃতি দিবসে তোমরা বর্ণনা করে থাকো। স্মৃতি দিবস যখন বলো তখন শুধু ব্রহ্মা বাবাকে মনে করো, নাকি ব্রহ্মা বাবার দ্বারা বাবা যেসব কথা মনে করিয়েছেন সে সমস্ত কিছু স্মৃতিতে আসে ? আদি থেকে এখন পর্যন্ত কি কি আর কত স্মৃতি দিয়েছেন – সে সব মনে আছে ? অমৃতবেলার থেকে শুরু করে রাত অবধি সমস্ত স্মৃতিগুলি সামনে নিয়ে এসো তবে এক দিনেই তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। লম্বা লিস্ট, তাই না! স্মৃতি সপ্তাহ যদি উদযাপন করো, তাও বিস্তার অনেক বেশি, কারণ শুধু রিভাইস করো না, রিয়েলাইজও করো। এইজন্য বলাই হয় – স্মৃতি দিবস। স্বরূপ – অর্থাৎ সর্ব স্মৃতির অনুভূতি।তোমরা স্মৃতি স্বরূপ হয়ে যাও, আর ভক্তরা শুধুই স্মরণ করতে থাকে। তো কি কি স্মৃতি অনুভব করেছো – তার বিস্তার তো অনেক বড়। যেমন বাবার সম্পূর্ণ পরিচয় কত বড়, কিন্তু তোমরা সার রূপে পাঁচটি কথার মধ্য দিয়ে পরিচয় দিয়ে দাও। সেই ভাবে স্মৃতির বিস্তারকেও পাঁচটি কথার মধ্যে সার রূপে নিয়ে এসো যে, আদি থেকে এখনও পর্যন্ত বাপদাদা কত নাম স্মরণ করিয়েছেন। কত নাম হবে, অনেক না! এক একটি নাম মনে করো আর তার স্বরূপ হয়ে অনুভব করো, শুধুমাত্র রিপিট করলে হবে না।

স্মৃতি স্বরূপ হওয়ার আনন্দ অত্যন্ত অনুপম এবং সুন্দর । যেমন বাবা বাচ্চাদের তাদের ‘নয়নের মণি’ – নামটি মনে করিয়ে দিচ্ছেন। বাবার নয়নের মণি। মণির বিশেষত্ব কি, মণির কর্তব্য কি, মণির শক্তি কি। এইরকম সব অনুভূতি করো আর স্মৃতি স্বরূপ হয়ে ওঠো।

আর এইভাবে প্রতিটি নামের স্মৃতি অনুভব করতে থাকো। শুধু এই একটি দৃষ্টান্ত রূপে শোনালাম। এই রকমই শ্রেষ্ঠ স্বরূপের স্মৃতি কত রয়েছে ? তোমাদের – ব্রাহ্মণদের কত রূপ আছে, যা বাবার রূপ, তাই ব্রাহ্মণদেরও রূপ। সেইসব রূপের স্মৃতির অনুভূতি করো। নাম, রূপ, গুণ – অনাদি, আদি আর এখন ব্রাহ্মণ জীবনের সর্ব গুণের স্মৃতি স্বরূপ হয়ে ওঠো।

ঠিক এ রকমই হলো কর্তব্য। কত শ্রেষ্ঠ কর্তব্যের জন্য নিমিত্ত হয়েছ! সেই কর্তব্য গুলির স্মৃতিকে ইমার্জ করো। পঞ্চমতঃ বাপদাদা অনাদি-আদি দেশের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।দেশের স্মৃতি আসায়, ঘরে ফিরে যাওয়ার শক্তি(সামর্থ) এসে গেছে, নিজের রাজ্যে রাজ্য অধিকারী হওয়ার সাহস এসে গেছে আর বর্তমান সঙ্গমযুগী ব্রাহ্মণ সংসারে খুশিতে জীবন যাপন করার উপায় মনে পড়ে গেছে।জীবনযাপনের কলা ভালোভাবে জেনে গেছো তো ? দুনিয়া মৃত্যুর কলার দিকে তীব্র গতিতে এগোচ্ছে আর তোমরা ব্রাহ্মণরা সুখময় জীবন যাপনের কলায় খুশিতে উড়ছো। কতটা পার্থক্য!

তো স্মৃতি দিবস অর্থাৎ – সর্ব স্মৃতির আত্মিক নেশার অনুভব করা। এই স্মৃতি দিবসে দুনিয়ার বাকি লোকেদের মতো তোমরা এইরকম শব্দ উচ্চারণ করবে না যে আমাদের ব্রহ্মা বাবা এরকম ‘ছিলেন’। উনি এই কথা বলেছিলেন, এটা করেছিলেন। দুনিয়ার লোকেরা ছিলেন… ছিলেন বলে থাকে আর দুঃখের তরঙ্গ ছড়াতে থাকে, কিন্তু তোমরা-ব্রাহ্মণদের এই বিশেষত্ব হল – তোমরা বলবে এখনো তিনি সঙ্গে আছেন। সাথে থাকার অনুভব করি আমরা। তো তোমাদের মধ্যে এই বিশেষত্ব আছে। তোমরা এইরকম বলো না যে ব্রহ্মা বাবা চলে গেছেন। যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন – সাথে থাকবো, সাথে যাবো। যদি আদি আত্মাই প্রতিজ্ঞা পালন না করেন, তবে আর কে করবে ? শুধু রূপ আর সেবার ধরণ পরিবর্তন হয়েছে। তোমাদের সবার লক্ষ্য হলো – ‘ফরিস্তা থেকে দেবতা’। ব্রহ্মা বাবা ফরিস্তা রূপের স্যাম্পল হয়েছেন। সমস্ত বাচ্চাদের লালন-পালন এখনও ব্রহ্মা বাবার দ্বারাই হয়ে চলেছে। এইজন্যই তোমরা নিজেকে ব্রহ্মাকুমার আর ব্রহ্মাকুমারী বলো। বুঝেছ ? স্মৃতি দিবসের মহত্ত্ব কি ? এই স্মৃতিতেই সদাই লভলীন থাকো। একেই বলে বাপ-সমান হবার অনুভূতি। তোমরা আত্মারা বাবার সমান অনুভব করেছো। এই ‘সমান’ শব্দকে লোকেরা ‘সমানা’ (লীন) হিসেবে ভেবে নিয়েছে। আত্মা পরমাত্মার মধ্যে লীন হয়ে যায় না কিন্তু বাপ সমান হয়ে যায়। সকল বাচ্চারা নিজের নিজের নামে স্মৃতি দিবসের স্মরণ পাঠিয়েছে। কেউ কেউ নিজেই সন্দেশ হয়েই স্মরণের স্নেহ-সুমন নিয়ে এসেছে এবং প্রত্যেকেই বলে যে আমার বিশেষ স্মরণের স্নেহ-সুমন জানিও । তো, এক একজনকে আলাদা করে ইয়াদ-পত্র লেখার বদলে হৃদয় দিয়ে পত্র লিখছেন। প্রত্যেকের হৃদয়ের স্নেহ বাপদাদার নয়নে, হৃদয়ে সমাহিত হয়ে গেছে আর এখন তো বিশেষভাবে সমাহিত হয়ে আছে। যারা বিশেষভাবে স্মরণ করেছে তাদেরকে বাপদাদা এখনো বিশেষভাবে ইমার্জ করে স্মরণের স্নেহ-সুমন দিচ্ছেন। প্রত্যেকের হৃদয়ের উৎসাহ- উদ্দীপনা, হৃদয়ের বার্তালাপ, হৃদয়ের হালচাল, দিলারাম বাবার কাছে পৌঁছে গেছে।

বাপদাদা সকল বাচ্চাদেরকে এই স্মৃতিই প্রদান করছেন যে সর্বদা হৃদয়ের সাথে থেকো, সেবায় সাথে থেকো এবং স্থিতিতে সর্বদা সাক্ষী থেকো।

তাহলে সদা মায়াজিতের পতাকা উড়তে থাকবে। সব বাচ্চাদের ‘নাথিং নিউ’ এর পাঠ প্রতিটি পরিস্থিতিতে সবসময় যেন স্মৃতিতে থাকে। ব্রাহ্মণ জীবন, অর্থাৎ প্রশ্নবোধক ও বিস্ময়ের চিহ্ন থাকতে পারে না।কতবারই তো এই সংবাদ শুনে থাকবে। নতুন খবর কি ? না।

ব্রাহ্মণ জীবন মানে প্রতিটি সংবাদ শুনে পূর্ব কল্পের স্মৃতিতে সমর্থী (শক্তিশালী) থাকবে – যা হওয়ার ছিল তাই হচ্ছে, সেইজন্য কি হবে – এই প্রশ্ন উঠতেই পারে না । ত্রিকালদর্শী হয়ে, ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তকে জেনেছো তোমরা, তাহলে কি বর্তমানকে জানো না ? ঘাবড়ে যাও না তো! ব্রাহ্মণ জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই কল্যাণ নিহিত আছে। ঘাবড়ানোর কোনো কথাই হতে পারে না। তোমাদের সবার কর্তব্য হচ্ছে নিজের শান্তির শক্তির দ্বারা অশান্ত আত্মাদেরকে শান্তির কিরণ প্রদান করা। তারা তোমাদের নিজেদের, তোমাদেরই ভাই-বোন তারা, তাই নিজের ঈশ্বরীয় পরিবারের সম্পর্কের সূত্রে সহযোগী হও। যতই যুদ্ধের গতি তীব্র হোক, তোমাদের যোগী আত্মাদের যোগ তাদেরকে শান্তির সহযোগ দেবে। সেইজন্য আরও বিশেষ সময় বের করে শান্তির সহযোগ দাও – এটা হল তোমাদের ব্রাহ্মণ আত্মাদের কর্তব্য।আচ্ছা।

সর্ব স্মৃতি স্বরূপ শ্রেষ্ঠ আত্মাদের সদা বাপসমান হবার লক্ষ্য আর লক্ষণ ধারণকারী আত্মাদেরকে, সদা বাবা আমার সাথে আছেন এইরকম অনুভবকারী (বাবার) সমীপ আত্মাদের, সদা ‘নাথিং নিউ’ এর শিক্ষাকে সহজে ফলিভুত করে – এমন আত্মাদের, সদা বিশ্ব কল্যাণকারী হয়ে বিশ্বের আত্মাদের সহযোগ প্রদানকারী, – এইরূপ সদা বিজয়ী রত্নদের বাপ-দাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।

পার্টিদের সাথে অব্যক্ত বাপ-দাদার বার্তালাপ –

দাদীদের প্রতি :- আদি ব্রাহ্মণদের মালায় ব্রহ্মা বাবার সাথে সাথে আদি ব্রাহ্মণরাও নিমিত্ত হয়েছ না! আদি ব্রাহ্মণদের গুরুত্ব অতি সুবিশাল। স্থাপনা লালন-পালন আর পরিবর্তন। বিনাশ শব্দটি খানিকটা অফিশিয়াল মনে হয়, তাই স্থাপনা লালন-পালন আর বিশ্ব পরিবর্তনের কাজে আদি ব্রাহ্মণদের বিশেষ পার্ট রয়েছে । শক্তি পূজা খুব ধুম ধামের সাথেই হয়। নিরাকার বাবা বা ব্রহ্মা বাবার পূজা এত ধুমধাম করে হয় না। ব্রহ্মার মন্দিরও খুবই গুপ্তই। কিন্তু শক্তি সেনার ভক্তিতেও খুব নাম-ডাক আছে। সেইজন্য শেষ অবধি স্টেজের ওপরে বিশেষ বাচ্চাদের পার্ট আছে। ব্রহ্মারও গুপ্ত পার্ট রয়েছে – অব্যক্ত রূপ অর্থাৎ গুপ্ত। ব্রাহ্মণদেরকে তৈরি করেছেন, আর তারপর ব্রহ্মার পার্ট গুপ্ত হয়ে গেছে। সরস্বতীকেও গুপ্ত দেখানো হয়, কারণ ড্রামাতে ওনারও গুপ্ত পার্ট চলছে। আদি ব্রাহ্মণ আত্মারা সবাই একে অপরের কাছের (সমীপ) এবং শক্তিশালী। শরীরও কমজোর নয়, শক্তিশালী। (জানকি দাদীর প্রতি) এ তো মাঝে একটু রেস্ট নেওয়ার সুযোগ হয়ে গেল। বাকি আর কিছুই নয়। এমনিতে তো রেস্ট করোই না। রেস্ট নেওয়ার কোনো কারণ তৈরী হয়ে যায়। প্রত্যেক দাদীদের মধ্যে খুব স্নেহ আছে তাইনা! বাবার সাথে সাথে নিমিত্ত আদি ব্রাহ্মণদের প্রতিও স্নেহ রয়েছে । তোমাদের সকলের ভালোবাসার আশীর্বাদ, শুভ ভাবনা, আদি ব্রাহ্মণ আত্মাদের সুস্থ সবল রাখে। খুব ভালো – সাইলেন্সের সেবার পার্ট ভালোই পাওয়া গেছে। কত অশান্ত আত্মারা আছে, কত প্রার্থনা করছে! তাদেরকে কিছু না কিছু অঞ্জলি তো দেবে না! দেবীদের কাছে গিয়ে শক্তি চায় না ? তো শক্তি দেওয়া তোমাদের – বিশেষ আত্মাদের কর্তব্য, তাই না ? দিন দিন এটা অনুভব করবে যে কোথা থেকে শান্তির কিরণ আসছে। তারপর খুঁজতে থাকবে, আর সবার নজর ভারত ভূমির ওপরে আসবে । আচ্ছা।

অব্যক্ত মহাবাক্য – পার্টিদের সাথে –

১ ) নিশ্চয়-বুদ্ধি বিজয়ী আত্মা আমরা – এইরকম অনুভব করো তো ? নিশ্চয় সদা অটল থাকে তো ? নাকি কখনো ঢিলা-ঢালাও হয়ে যাও ? নিশ্চয়-বুদ্ধির লক্ষণ হল – সে প্রত্যেক কাজে, তা সে ব্যবহারিক হোক কিম্বা পরমার্থিক, প্রতিটি কার্যে বিজয়ের অনুভব করবে। কোনোরকম সাধারণ কাজই হোক না কেন, বিজয়ের অধিকার তার অবশ্যই প্রাপ্ত হবে। কারণ ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষ জন্মসিদ্ধ অধিকার হলো – বিজয়। কোনো কাজেই তার মধ্যে হতাশা বা নিরাশা আসবে না। কারণ তার নিশ্চয় আছে যে বিজয় আমার জন্মসিদ্ধ অধিকার। তো এতখানি অধিকারের নেশা থাকে ! যাকে স্বয়ং ভগবান সহায়তা করছেন, তার বিজয় হবে না তো আর কার হবে! কল্প পূর্বের স্মরণিক হিসেবে দেখানো হয়েছে – যেখানে ভগবান আছেন সেখানে বিজয় আছেই। পান্ডব মাত্র পাঁচজন দেখাক না কেন, কিন্তু তারা বিজয়ী কেন হল ? ভগবান সাথে আছেন। যখন কল্প পূর্বের স্মরণিকায় বিজয়ী হয়েছ, তো এখনও বিজয়ী হবে তাইনা ? কখনো কোনো কাজে এই সংকল্প ওঠাই উচিত নয় যে – এটা হবে কি হবে না, বিজয় হবে কি হবেনা – এই কোশ্চেন উঠতেই পারে না। যে বাবার সাথে আছে তার কখনো হার হতেই পারে না। এটা কল্পে কল্পে নিশ্চিত হয়ে আছে এবং তা অটুট। এই ভবিষ্যতকে কেউ পরিবর্তন করতেই পারে না। এত দৃঢ় নিশ্চয় সদা সামনের দিকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। সর্বদা বিজয়ের খুশিতে নাচতে গাইতে থাকো।

২ ) নিজেকে সদা, ভাগ্যবিধাতার ভাগ্যবান বাচ্চা – এরকম অনুভব করো ? পদ্মাপদম ভাগ্যবান নাকি সৌভাগ্যবান ? যার এত শ্রেষ্ঠ ভাগ্য সে সদা আনন্দিত থাকবে। কারণ ভাগ্যবান আত্মার কোনো অপ্রাপ্তিই নেই। যেখানে সর্ব প্রাপ্তি আছে, সেখানে সদা আনন্দিত থাকবে। স্বল্পকালীন লটারিও যদি কেউ জেতে, তাহলেও তার মুখ দেখে বোঝা যায় যে সে কিছু একটা পেয়েছে। তো যে পদ্মাপদম ভাগ্য পেয়েছে সে কীরকম থাকবে ? এমন আনন্দে থাকবে যে, যে কেউ দেখে জিজ্ঞেস করবে – কি পেয়েছো বলতো ? যত পুরুষার্থে এগোতে থাকবে, ততো আর তোমার মুখে বলার প্রয়োজন পড়বে না। তোমার মুখমন্ডলই বুঝিয়ে দেবে যে – এ কিছু পেয়েছে, কারণ মুখই তো আয়না। যেমন আয়নাতে যে জিনিস যে রকম, সেটা সেইরকমই দেখা যায়, সেইরকম তোমাদের মুখমণ্ডলই আয়নার কাজ করুক। তো এত এত আত্মারা যে সন্দেশ (বার্তা) পাবে, তোমরা এত সময় কোথায় পাবে যে তাদেরকে বসে শোনাবে। এমন সময় আসবে, যে শোনানোরও সময় পাওয়া যাবে না। তাহলে তখন সেবা কীভাবে করবে ? নিজের মুখমন্ডলের দ্বারা। যেমন মিউজিয়ামে সেবা করো ছবি(চিত্র) দেখিয়ে। চিত্র দেখেও লোকে প্রভাবিত হয়, তাই না! তেমনি, তোমার চৈতন্যরূপ চিত্র সেবার নিমিত্ত হয়ে যাবে – এইরকম চিত্র হিসেবে তৈরি হয়েছ ? এত চৈতন্য চিত্র তৈরি হয়ে গেলে আওয়াজ ঊর্ধ্বগামী হয়ে ছড়িয়ে পড়বে। সব সময় চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে এটা মনে রাখো – আমরা হলাম চৈতন্য চিত্র। সারা বিশ্বের আত্মারা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চৈতন্য চিত্রের মধ্যে কোন্ ব্যাপার সবাইকে আকর্ষণ করবে ? সর্বদা খুশি থাকো নাকি কখনো ঝামেলা চলে আসে ? নাকি ওখানে গিয়ে বলবে – এটা ওটা হয়েছিল তাই খুশি কম হয়ে গেছিল। যাই হয়ে যাক না কেন খুশি যেন চলে না যায়। এইরকম পাক্কা তো ? বড় পেপার আসেও যদি, পাস হয়ে যাবে তো ? বাপদাদা সবার ফটো তুলছেন যে – কে কে হ্যাঁ বলছে। আবার এইরকম বলো না যে ওই সময় তো বলে ফেলেছি। মাস্টার সর্বশক্তিমানের সামনে কোনো কিছুই বড় ব্যাপার নয়। দ্বিতীয় কথা তোমাদের নিশ্চয় আছে – যে আমাদের বিজয় তো হয়েই পড়ে আছে। তাই, কোনো ব্যাপারই বড় নয়। যার কাছে সর্বশক্তির ঐশ্বর্য-ভান্ডার আছে, সে যে শক্তিকে অর্ডার করবে সেই শক্তিই তার সাহায্য করবে। শুধু অর্ডার-কারীর সাহস থাকা চাই। তো অর্ডার করতে জানো নাকি শুধু অর্ডার অনুযায়ী চলতেই জানো ? কখনো মায়ার অর্ডার অনুযায়ী তো চলোনা ? এইরকম নয় তো যে – কিছু ব্যাপার আসে আবার চলেও হয়ে যায় ? তার পরে ভাবতে থাকো – যদি এইরকম করতাম, তাহলে খুবই ভালো হতো। এমনটা নয় তো ? দরকারের সময় সর্ব-শক্তিরা কাজ করতে শুরু করে, নাকি একটু পরে আসে ? যদি মাস্টার সর্বশক্তিমানের সিটে সেট থাকো তাহলে কোনো শক্তি অর্ডার মানবে না – এইরকম হতেই পারে না। যদি সিট ছেড়ে নিচে নেমে আসো, তারপরে অর্ডার করো তাহলে তো তারা মানবে না। লৌকিকেও, কেউ যদি চেয়ারে না থেকে অর্ডার করে, তাহলে কিন্তু তার কথা কেউ মানে না। যদি কোনো শক্তি অর্ডার না মানে, তার মানে – অবশ্যই পজিশন এর সিট থেকে নিচে নেমে এসেছিলে। তাহলে সদা মাস্টার সর্বশক্তিমানের সিটে সেট হয়ে থাকো, সদা অচল স্থির থেকো, আলোড়নে আলোড়িত হয়ো না। বাপদাদা বলেন – শরীরও যদি চলে যায় তো যাক কিন্তু খুশি যেন না যায়। এর তুলনায় পয়সা তো কিছুই নয়। যার কাছে খুশির ঐশ্বর্য আছে তার কাছে কোনো ব্যাপারই বড় নয় আর বাপদাদা সদা সহযোগী, সেবাধারী বাচ্চাদের সাথে আছেন। বাচ্চা বাবার সাথে আছে, তো, কোনো ব্যাপারই বড় নয়। তাই ঘাবড়ানোর কোনো ব্যাপার নেই। বাবা আছেন বসে, বাচ্চাদের আর কিসের চিন্তা। বাবা তো হলেন সম্পূর্ণ ভরপুর । যেকোনো উপায়েই বাচ্চাদের লালন পালন করবেন বাবা, তাই নিশ্চিন্তে থাকো। দুঃখধামে সুখধাম স্থাপন করছো, তাইতো দুখধামে আলোড়ন তো হবেই। গরমকালে তো গরম লাগবেই, তাই না! কিন্তু বাবার বাচ্চারা সদাই সেফ্ থাকবে, কারণ সঙ্গে বাবা আছেন।

সমস্ত বাচ্চাদের প্রতি বাপদাদার সন্দেশ –

সব তপস্বী বাচ্চাদেরকে – স্মরণের স্নেহ-সুমন । দেখো বাচ্চারা, সময়ের সমাচার শুনেও, উচ্চ থেকেও উচ্চ সাক্ষীর আসনে আর নিশ্চিন্ত (বেফিকর) বাদশাহের সিংহাসনে বসে সব খেলা দেখছো তো ? এই ব্রাহ্মণ জীবনে তো – স্বপ্নেও ঘাবড়ানোর সংকল্প উঠতে পারে না। এই তপস্যা বছরের নিরন্তর একাগ্রতার অগ্নিতে, অসীমের বৈরাগ্য বৃত্তি প্রজ্বলিত করার পাখনা সংযোজিত হচ্ছে । তোমরা বাবার সমান সম্পন্ন হওয়ার সংকল্প করেছ, অর্থাৎ বিজয় পতাকা ওড়ানোর প্ল্যান বানিয়েছ, তো অন্যদিকে সমাপ্তির আলোড়নও এর সাথে সাথে নির্ধারিত, তাই না ? ড্রামার রিল শেষ করার উপায়ই হচ্ছে রিহার্সাল, তাই নাথিং নিউ।

সময়ের পরিস্থিতিকে বিবেচনা করে এখানে আসা যাওয়াতে, কিম্বা কোনো জিনিস পাওয়াতে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, কিন্তু মনের সংকল্পে দোটানা যেন না হয়। যখন যে পরিস্থিতিতেই থাকো না কেন, দিলখুশ মিঠাই খেতে থাকো। খুশিতে থাকো আর ফরিস্তার মতো উড়তে থাকো । সাথে সাথে এই সময় প্রত্যেক সেন্টারে বিশেষ তপস্যার প্রোগ্রাম যেন চলতে থাকে। যে যত বেশি সময় বের করতে পারবে, তত সাইলেন্সের সহযোগ দাও। আচ্ছা। ওম্ শান্তি।

বরদানঃ-

বিশ্ব কল্যাণের নিমিত্ত হওয়া আত্মা সর্ব প্রথম নিজে সর্ব ঐশ্বর্যে সম্পন্ন হবে। যদি জ্ঞানের সম্পদ হয়, পূর্ণ জ্ঞান থাকবে, এতটুকুও কম থাকবে না, তবেই বলা হবে ভরপুর । কারো কারো কাছে সম্পদে পরিপূর্ণ থাকা সত্ত্বেও সময় মতো তাকে কাজে লাগাতে পারে না। সময় চলে যাওয়ার পরে ভাবতে বসে, তবে তাকেও ফুল (full) বলা যাবে না। বিশ্ব কল্যাণকারী আত্মারা মনসা, বাচা, কর্মণা, সম্বন্ধ – সম্পর্কে সকল সময় সেবাতে বিজি থাকে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top