15 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 14, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এখন তোমাদের সবার বাণপ্রস্থ অবস্থা, ঘরে ফিরে যেতে হবে সেইজন্য বাবাকে আর ঘরকে স্মরণ করো, পবিত্র হও, সমস্ত খাতার হিসেব মেটাও"

প্রশ্নঃ --

বাবা বাচ্চাদের কোন্ ধৈর্য দেন ?

উত্তরঃ -:-

বাচ্চারা, এই রূদ্র জ্ঞান যজ্ঞে অনেক রকমের বিঘ্ন আসে, কিন্তু ধৈর্য ধরো, যখন তোমাদের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে, একের পর এক আসতে থাকবে সবাই তোমাদের সামনে মাথা নত করবে। যারা বন্ধনে রয়েছে (বান্ধেলী) তাদের বন্ধন শেষ হয়ে যাবে। তোমরা যত বাবাকে স্মরণ করবে, বন্ধন মুক্ত হতে থাকবে। তোমরা বিকর্মাজিত হতে পারবে।

গান:-

ভোলানাথের থেকে অনুপম আর কেউ নেই..

ওম্ শান্তি । ভোলানাথ সবসময় শিবকেই বলা হয়, শিব- শঙ্করের পার্থক্য তো ভালোভাবেই বুঝেছো। শিব উচ্চ থেকে উচ্চতর মূল লোকে থাকেন। শঙ্কর হলেন সূক্ষ্ম লোক নিবাসী, ওনাকে ভগবান কীভাবে বলা যেতে পারে। উচ্চ থেকেও উচ্চতম হলেন একমাত্র বাবা। তারপর দ্বিতীয় স্তরে আছেন তিন দেবতা। তিনি হলেন উচ্চ থেকে উচ্চতম পিতা। শঙ্কর তো হল আকারী। শিব হলেন ভোলানাথ, জ্ঞানের সাগর। শঙ্করকে জ্ঞানের সাগর বলা যায় না। তোমরা বাচ্চারা জানো শিববাবা ভোলানাথ এসে আমাদের ঝুলি ভরপুর করে দেন। আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বুঝিয়ে বলেন। রচয়িতা এবং রচনার রহস্য খুব সাধারণ। বড়-বড় ঋষি মুনিরাও এই সহজ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে না। ওরা রজোগুণীরাই যখন জানে না তখন তমোগুণীরা কীভাবে জানবে। তোমরা বাচ্চারা এখন বাবার কাছে বসে আছো। বাবা তোমাদের অমরকথা শোনাচ্ছেন। বাচ্চাদের এটা তো নিশ্চয় আছে যে পূর্বের মতোই আমাদের বাবা (শিববাবা) প্রকৃত অর্থেই অমরকথা শোনাচ্ছেন, এতে কোনো সংশয় থাকা উচিত নয়। কোনো মানুষ আমাদের অমরকথা শোনাচ্ছে না। ভোলানাথ শিববাবা বলেন আমার নিজের শরীর নেই। আমি নিরাকার, পূজাও আমি নিরাকারকেই করা হয়। শিব জয়ন্তীও পালন করে, বাবা তো জন্ম-মৃত্যু রহিত। তিনি হলেন ভোলানাথ। তিনি অবশ্যই এসে সবার ঝুলি ভরপুর করবেন। কিভাবে ভরপুর করবেন ,এটা তোমরা বাচ্চারাই জানো। তিনি এসে অবিনাশী জ্ঞান রত্ন দিয়ে ঝোলা ভরপুর করে দেন। এটা নলেজ, জ্ঞানের সাগর এসে জ্ঞান প্রদান করেন। গীতা তো একটাই কিন্তু তাতে কোনো সংস্কৃত শ্লোক নেই । সরল মাতারা সংস্কৃত কি জানে ! তাদের জন্যই ভোলানাথ বাবা আসেন। বেচারি এই মাতারা তো ঘরের কাজকর্ম নিয়েই থাকে। এখন তো ফ্যাশন হয়ে গেছে চাকরি করা। বাবা এসে বাচ্চাদের উচ্চ থেকে উচ্চতম ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন করাচ্ছেন, যারা কিছুই পড়াশোনা করেনি তাদের উপরেই প্রথম পড়াশোনা করার কলষ রাখা হয়। এখানে সব ভক্তি মার্গের সীতারা রয়েছে। রাম এসেছেন রাবণের লঙ্কা থেকে মুক্ত করতে অর্থাত্ দুঃখ থেকে মুক্তি দিতে। তারপর তো বাবার সাথে ঘরেই যেতে হবে তা না হলে কোথায় যাবে। ঘরকেই তোমরা স্মরণ কর যে,আমরা ওখানে গিয়ে দুঃখ থেকে মুক্তি পাব। তোমরা বাচ্চারা জানো এর মাঝখানে কেউ মুক্তি পেতে পারে না। সবাইকেই তমোপ্রধান হতে হবে। প্রধান যে ফাউন্ডেশন সেটাই নষ্ট হয়ে যায়, ঐ ধর্ম প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। কিছু চিত্র ইত্যাদি থেকে যায়। লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্রও হারিয়ে যায় সুতরাং স্মৃতিচিহ্ন কিভাবে পাওয়া যাবে? প্রকৃতপক্ষে জানে যে দেবী-দেবতারা রাজত্ব করত। তাদের চিত্র এখনও আছে। বাচ্চাদের এই চিত্র দিয়েই বোঝাতে হবে। তোমরা জানো লক্ষ্মী-নারায়ণ শৈশবে প্রিন্স প্রিন্সেস, রাধা কৃষ্ণ ছিল। তারপর মহারাজা মহারানী হয়েছিল। ওরা হলো সত্যযুগের মালিক। দেবতারা কখনও পতিত দুনিয়াতে পা রাখতে পারে না। শ্রী কৃষ্ণ তো বৈকুন্ঠের প্রিন্স। সে তো গীতা শোনাতে পারে না। কত বড় ভুল করেছে। কৃষ্ণকে ভগবান বলা যেতে পারে না। কৃষ্ণ হচ্ছে মানুষ, দেবী-দেবতা ধর্মের। বাস্তবে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর দেবতারা সূক্ষ্ম বতনে থাকেন,আর এখানে মানুষ বাস করে। মানুষকে সূক্ষ্ম বতনবাসী বলা যায় না,ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ, বিষ্ণু দেবতায় নমঃ বলে থাকে তাইনা। ওরা হলেন দেবী-দেবতা ধর্মের। শ্রী লক্ষ্মী দেবী, শ্রী নারায়ণ দেবতা। মানুষকেই ৮৪ জন্ম নিতে হয়। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো আসলে আমরাই দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলাম, সেই ধর্ম অতি সুখ প্রদান করে থাকে। কেউ-ই বলতে পারে না যে – আমরা ওখানে নেই কেন ? এটা তো জানো ওখানে শুধু এক আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল বাকি অন্যান্য ধর্ম ক্রমানুসারে আসে। তোমরা বাচ্চারা এসবই বোঝাতে পার। এই অনাদি ড্রামা পূর্ব নির্ধারিত তৈরি খেলা। এরপর সত্যযুগ হবে। ভারতেই হবে কেননা ভারতই অবিনাশী খন্ড। এর বিনাশ হয় না।

এটাও বুঝতে হবে। বাবার জন্ম (অবতরণ) এখানেই হয়, ওঁনার এই দিব্য জন্ম যা মনুষ্য সদৃশ নয়। বাবা এসেছেন বের করে নিয়ে যেতে। এখন তোমরা শুধুমাত্র বাবা আর ঘরকে স্মরণ কর। তারপর তোমরা রাজধানীতে আসবে। এখানে আসুরিক রাজস্থান, বাবা নিয়ে যান দৈবী রাজস্থানে। আর কোনো কষ্ট বাবা দেন না শুধুই বাবা আর বর্সাকে স্মরণ করতে হবে। এই হচ্ছে অজপাজপ… মুখে কিছুই বলার দরকার নেই। সূক্ষ্ম ভাবেও বলার দরকার নেই। সাইলেন্সে বাবাকে স্মরণ করতে হবে, ঘরে বসে । বান্ধেলীরাও ঘরে বসে শোনে। ওরা ছুটি পায়না। হ্যাঁ ঘরে থেকেই পবিত্র থাকার চেষ্টা করো। বলো, স্বপ্নে আমি পবিত্র থাকার জন্য ডায়রেকশন পাই। এখন মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তোমরা এখন বাণপ্রস্থ অবস্থায় আছো। বাণপ্রস্থে কখনও বিকারের ভাবনা আসে না। বাবা এখন সম্পূর্ণ দুনিয়ার জন্য বলছেন, সবারই এখন বাণপ্রস্থ অবস্থা। সবাইকে ফিরে যেতে হবে সুতরাং ঘরকে স্মরণ করো। তারপর ভারতেই আসতে হবে। মুখ তো ঘরের দিকেই হবে তাইনা। বাচ্চাদের আর কোনো কষ্ট দেওয়া হয় না, খুবই সহজ ব্যাপার। ঘরে বসে ভোজন তৈরি করো, কিন্তু শিববাবার স্মরণে করবে। ঘরে ভোজন তৈরি করার সময় যেমন পতির স্মরণ থাকে। বাবা বলেন উনি তো পতিদেরও পতি। ওঁনাকে স্মরণ করলে ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। আচ্ছা কেউ-কেউ ছুটি পায়না। ওখানে থেকেই বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। নিজেকে তো পরিত্রাণ করে নাও। বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নিতে পার। ধীরে-ধীরে মুক্ত তো হতেই হবে। তবে হ্যাঁ রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে অনেক বিঘ্ন অবশ্যই পড়বে। শেষে গিয়ে যখন তোমাদের প্রভাব বিকশিত হবে তখন তোমাদের চরণে মাথা ঠেকাতে থাকবে। বিঘ্ন তো হতেই থাকবে। কিন্তু ধৈর্য ধরতে হবে, অস্থির হলে চলবে না। ঘরে বসে পতি, মিত্র সম্বন্ধ যারাই আছে তাদের একটা বিষয়েই বোঝাও যে বাবার আদেশ হচ্ছে আমাকে স্মরণ কর, উত্তরাধিকার নাও। কৃষ্ণ তো দিতে পারে না। বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। বাবারই পরিচয় দিতে হবে, যাতে সবাই জানতে পারে যে আমাদের পিতা শিববাবা। তারাও ভালো ভাবে স্মরণে থাকতে পারে। অল্প সময়ের জন্য বন্ধন, মারপিট ইত্যাদি হবে। যত দিন যাবে এ’সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে। কিছু-কিছু রোগ আছে যা চট করে ঠিক হয়ে যায়। কিছু রোগ বছর দুই পর্যন্ত চলে। এতেও উপায় এটাই, বাবাকে স্মরণ করতে-করতে বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যাবে, সেইজন্যই প্রতিটি বিষয়ে ধৈর্য থাকা উচিত। বাবা বলেন তোমরা যত স্মরণ করবে ততই বিকর্ম বিনাশ হবে। বুদ্ধি ছিন্ন (বিকার থেকে) হবে। এ’সবই হল বিকর্মের বন্ধন। বিকারকেই নম্বর ওয়ান বিকর্ম বলা হয়।

এখন তোমরা বিকর্মাজিত হচ্ছো। স্মরণের দ্বারাই বিকর্মাজিত হওয়া যায়। সব খাতা শেষ হয়ে যাবে, তারপর সুখের খাতা শুরু হবে। ব্যাপারীদের জন্য এটা খুব সহজ। ওরা মনে করে পুরানো খাতা শেষ করে নতুন খাতা শুরু করতে হবে। স্মরণ করতে থাকলে জমা হতে থাকবে। স্মরণ না করলে জমা হবে কীভাবে ? এটাও তো ব্যাবসা তাইনা। বাবা তো কোনো কষ্ট দেন না। ধাক্কা ইত্যাদি কিছুই খেতে হয় না। যা জন্ম-জন্মান্তর ধরে খেয়ে এসেছ। এখন সত্য পিতা কত সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলেন। গডই সত্য বলে থাকেন। বাকি সবই মিথ্যা। কনট্রাস্ট দেখো – বাবা কি বোঝাচ্ছেন আর মানুষ কি বোঝাচ্ছে। এটাই হচ্ছে ড্রামা। আবারও এমনটাই হবে। তোমরা এখন জানো আমরা সদ্গতি পেতে চলেছি – সুতরাং শ্রীমত অনুসারে চলো। তা না হলে এতো উচ্চ পদ পাবে না। তোমরা নিমিত্ত হয়েছ স্বর্গে যাওয়ার জন্য, ওখানে কোনো বিকর্ম হয়না। এখানে বিকর্ম হলে সাজাও ভোগ করতে হবে। যে শ্রীমত অনুসারে চলে না তাকে কি বলা যেতে পারে? নাস্তিক। যদিও জানে বাবা আস্তিক বানাতে আসেন। কিন্তু ওঁনার মতে না চললে তো নাস্তিকই প্রতিপন্ন হবে না! জানেও যে শিববাবার শ্রীমতেই চলতে হবে, কিন্তু জেনেও যদি না চলে তবে তাকে কি বলা হবে ? শ্রীমত হচ্ছে শ্রেষ্ঠ হওয়ার বিধি। সবচাইতে উচ্চ থেকে উচ্চতম হলেন সদ্গুরু। বাবা বাচ্চাদের সামনে বসে বোঝাচ্ছেন। কল্পে-কল্পে বুঝিয়েছি। বাকি শাস্ত্র ইত্যাদি যা কিছু আছে সবই ভক্তি মার্গের। অসংখ্য শাস্ত্র আছে। শাস্ত্রকেও খুব সম্মান করে রাখা হয়। ওরা যেমন শাস্ত্রকে প্রদক্ষিণ করে, একইভাবে চিত্র গুলিও প্রদক্ষিণ করে। এখন বাবা বলছেন এ’সবই ভুলে যাও। সম্পূর্ণ রূপে বিন্দু হয়ে যাও। বিন্দু লাগাও, কোনো কথাই আর শুনবে না। না মন্দ কথা শুনবে, না মন্দ কিছু দেখবে, না মন্দ কথা বলবে। এক বাবা ছাড়া অন্য কারো কথা শুনবে না। অশরীরী হয়ে যাও, বাকি সবকিছু ভুলে যাও। তোমরা আত্মারা শরীরের সাথে শোন। বাবা এসে ব্রহ্মা দ্বারা বুঝিয়ে থাকেন। বাচ্চাদের সদ্গতির মার্গ বলে দেন। আগেও তো মানুষ কত না চেষ্টা করেছে, কিন্তু মুক্তি জীবনমুক্তি কেউ-ই পেতে পারে না। কল্পের আয়ুও কত দীর্ঘ করে দিয়েছে। যার ভাগ্যে থাকবে সে শুনবে। ভাগ্যে না থাকলে আসতে পারবে না। এখানেও ভাগ্যের ব্যাপার। বাবা কত সহজভাবে বুঝিয়ে থাকেন, কেউ বলে আমার মুখ খোলে না। কত সহজ ব্যাপার শুধুমাত্র বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। একেই সংস্কৃত শব্দে বলা হয় মন্মনাভব। শিববাবা হলেন সর্ব আত্মাদের পিতা। কৃষ্ণকে বাবা বলা যায় না। ব্রহ্মাও সমস্ত প্রজাদের পিতা। আত্মাদের পিতা বড় নাকি প্রজাদের পিতা বড় ? বড় বাবাকে স্মরণ করলে প্রালব্ধ স্বর্গের উত্তরাধিকার পাবে। তোমাদের কাছে অনেক আসবে। কোথায় যাবে ? আসতেই থাকবে। যেখানে অনেক মানুষ যায় সেখানে একজন আরেকজনকে দেখে ঢুকে পড়ে। তোমাদের বৃদ্ধি হতেই থাকবে। যতই বিঘ্ন আসুক না কেন, ঐ খিটমিট অতিক্রম করে নিজেদের রাজধানী স্থাপন করতেই হবে। রামরাজ্য স্থাপন করা হচ্ছে। রামরাজ্য হচ্ছে নতুন দুনিয়া।

তোমরা জানো আমরাই তন-মন-ধনের দ্বারা ভারতকে শ্রীমত অনুসারে স্বর্গ করে তুলছি। কেউ এলে প্রথমে তোমরা জিজ্ঞাসা করো পরমপিতা পরমাত্মার সাথে তোমার কি সম্বন্ধ ? প্রজাপিতা ব্রহ্মার সাথে কি সম্বন্ধ ? ইনি হলেন অসীমের পিতা। তারপর তাঁর বংশধর। একের থেকেই সৃষ্টি হয়েছে না! পরমপিতা পরমাত্মা প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারা সৃষ্টি রচনা করেছেন অর্থাৎ পতিত থেকে পাবন করে তুলেছেন। দুনিয়ার তো জানাই নেই যে আমরাই পূজ্য, আমরাই পূজারী….গেয়ে থাকে কিন্তু তারপরও ভগবানের জন্যই বলে থাকে। যদি ভগবানই পূজারী হয়ে থাকেন তবে কে পূজ্য করে তুলবেন….এটা জিজ্ঞাসা করা উচিত। বাচ্চাদের হম সো-এর অর্থ বুঝিয়েছি। আমরা শূদ্র ছিলাম, এখন আমরাই দেবতা হতে চলেছি। তোমরা চক্রকে তো স্মরণ করতে পার তাই না! গাওয়াও হয় ফাদার শোজ সন, তারপর সন শোজ ফাদার। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সুচতুর ব্যাপারী হয়ে পুরানো সব খাতা শেষ করে সুখের খাতা শুরু করতে হবে। স্মরণে থেকে বিকর্মের বন্ধনকে কাটতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে, অস্থির হওয়া উচিত নয়।

২ ) ঘরে বসে ভোজন তৈরি করার সময়, প্রতিটি কর্ম করার সময় বাবার স্মরণে থাকতে হবে। বাবা যে অবিনাশী জ্ঞান রত্ন দিচ্ছেন, তার দ্বারা নিজের ঝুলি ভরপুর অন্যদের দান করতে হবে।

বরদানঃ-

মায়া যতই রঙ দেখাক না কেন, আমি মায়াপতি, মায়া হল রচনা, আমি রচয়িতা – এই স্মৃতিতে থেকে মায়ার খেলা দেখো, খেলায় হেরে যেও না। সাক্ষী হয়ে মনোরঞ্জন মনে করে দেখে যাও তবেই প্রথম নম্বরে স্থান পাবে। তার জন্য মায়ার কোনো সমস্যা, সমস্যা মনে হবে না। কোনো প্রশ্নও আসবে না। সদা সাক্ষী আর সদা বাবার সঙ্গে থাকার স্মৃতিতে বিজয়ী হতে পারবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top