15 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen BK Murli Of 15 June 2021 in Bengali Murli Today | Daily Murli Online

June 15, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব করার জন্য সদা এই স্মৃতিতে থাকো যে, আমরা কার সন্তান, বাবাকে যদি ভুলে যাও, তাহলে সুখ হারিয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

বাবার সঙ্গে মিলনের স্থায়ী খুশী কোন বাচ্চাদের থাকে ?

উত্তরঃ -:-

যে বাচ্চারা একের সঙ্গে নিজের সর্ব সম্বন্ধ জুড়েছে, যারা এক বাবার স্মরণে থাকারই পরিশ্রম করে, কোনো দেহধারীকে স্মরণ করে না, তাদেরই স্থায়ী খুশী থাকে । দেহধারীর যদি স্মরণ আসে, তাহলে খুব কাঁদতে হবে । বিশ্বের মালিক যারা হয়, তারা কখনো কাঁদে না ।

গান:-

শৈশবের দিন ভুলে যেও না…

ওম্ শান্তি । বাবা বলেন – মিষ্টি বাচ্চারা, আমরা অসীম জগতের পিতার সন্তান, একথা ভুলে যেও না । একথা ভুলে গেলে তখন কাঁদতে হবে । ছিঃ ছিঃ দুনিয়াতে বুদ্ধি চলে যাবে । বাবার স্মরণ থাকলে অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব হতে থাকে । সেই সুখ, বাবাকে ভুলে গেলে হারিয়ে যাবে । সর্বদা স্মরণে রাখা উচিত যে, আমরা বাবার সন্তান, না হলে নিজেদের কাঁদতে হবে । সবাই ভগবানের সন্তান, সবাই বলে – হে বাবা, হে পরমপিতা পরমাত্মা, রক্ষা করো, কিন্তু বাবা কখন রক্ষা করেন – এ কেউই জানে না । সাধু – সন্ত আদি কেউই জানে না যে, বাবার থেকে আমরা কখন মুক্তি – জীবনমুক্তি পাই, কেননা মানুষ ভগবানকে কণায় – কণায় বিরাজিত বলে দিয়েছে । তোমরা বাচ্চারা এখন অসীম জগতের বাবাকে জেনে গেছো । বাবা হলেন অতি প্রিয়, তাঁর থেকে প্রিয় বস্তু আর কিছুই হয় না । এমন বাবাকে না জানা অনেক বড় ভুল । শিব জয়ন্তী কেন পালন করা হয়, তিনি কে ? এও কেউই জানে না । বাবা বলেন যে, তোমরা কতো অবুঝ হয়ে গেছো । মায়া রাবণ তোমাদের কি বানিয়ে দিয়েছে ! বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো, এ হলো আমার জন্মভূমি । আমি প্রতি পাঁচ হাজার বছর অন্তর এখানে আসি । ওরা আবার বলে দেয়, ৪০ হাজার বছর পরে যখন এই কলিযুগ সম্পূর্ণ হবে, তখন আসবেন । ত্রিমূর্তির চিত্রও দেখানো হয় । ত্রিমূর্তি মার্গ নামও রেখেছে, কিন্তু তিন মূর্তি ব্রহ্মা – বিষ্ণু এবং শঙ্করকে কেউই জানে না । ব্রহ্মা কি করে গেছেন ? বিষ্ণু আর শঙ্কর কি করেন, কোথায় থাকেন, কিছুই জানে না । মানুষ সম্পূর্ণভাবে ঘোর অন্ধকারে আছে । বাবা হলেন রচয়িতা । এ ওনার কতো বড় রচনা । এ কতো বড় অসীম জগতের নাটক । এখানে অসীম জগতের মানুষ থাকে । আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে যখন সত্যযুগ ছিলো, ভারতে যখন লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজ্য ছিলো, তখন অন্য কোনো রাজ্য ছিলো না । ভগবতী শ্রী লক্ষ্মীকে আর ভগবান শ্রী নারায়ণকে বলা হয় রাম – সীতাকেও ভগবান রাম, ভগবতী সীতা বলে । এখন এই ভগবান নারায়ণ, ভগবতী লক্ষ্মী কোথা থেকে এলেন ? তাঁরা রাজত্ব করে গেছেন, কিন্তু তাঁদের জীবন কাহিনী তো একজনও জানে না । তারা কেবল গাইতে থাকে – হে ভগবান, তুমি দুঃখহর্তা, সুখকর্তা, কিন্তু একথা কারোর বুদ্ধিতে আসে না যে তিনি দুঃখহর্তা – সুখকর্তা কিভাবে । সবাইকে কোন সুখ প্রদান করেছেন ? আর কবে সকলের দুঃখ ছিলো ? মানুষ কিছুই জানে না ।

বাচ্চারা, তোমরা এখন এখানে রাজযোগ শিখছো — ভগবতী লক্ষ্মী, ভগবান নারায়ণ হওয়ার জন্য । জানে যে, ভগবতী সীতা, ভগবান রামও হতে হবে । সত্যযুগের আট জন্ম সম্পূর্ণ করে রাম – সীতার রাজ্যে আসবে ॥ তোমরা এখানে ২১ জন্মের জন্য অসীম জগতের রাজত্ব স্থাপন করছো । তোমরা ভগবতী – ভগবান স্বর্গের মালিক হচ্ছো । স্বর্গ কোনো আকাশে নেই৷ এও কেউ জানে না । মানুষ সম্পূর্ণ তুচ্ছ বুদ্ধির । তারা বলে – অমুকে স্বর্গে গেছে, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না । আচ্ছা, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এরা কি স্বর্গে যাবে ? তারা পরে এসে নিজেদের ধর্ম স্থাপন করে । তাহলে তারা কিভাবে স্বর্গে আসতে পারে ? স্বর্গ কাকে বলা হয়, এও তারা জানে না । সন্ন্যাসীরা বলেন, জ্যোতি, জ্যোতিতে মিলিয়ে গেছে । কেউ আবার বলে নির্বাণধামে চলে গেছে । নির্বাণও তো লোক, তাই না । সে তো হলো নিবাস স্থান । জ্যোতি জ্যোতিতে মিলিয়ে যাওয়ার কোনো কথাই নেই৷ জ্যোতিতে মিলিয়ে গেলে তখন তো আত্মা শেষই হয়ে যাবে । তখনএই খেলাই শেষ হয়ে যাবে । এই ড্রামা থেকে কোনো আত্মাই মুক্ত হতে পারে না । কেউই মোক্ষ লাভ করতে পারে না । গীতের অর্থও কেউই বুঝতে পারে না । না জীবনমুক্তির অর্থ বোঝে, আর না আত্মা – পরমাত্মার অর্থ বোঝে । বাবা বলেন – তোমাদের মুখ তো মানুষের মতো, যা এই দেবতাদেরও ছিলো । আদি সত্যযুগে দেবতারা ছিলেন । তাঁদের রাজত্ব ২৫০০ বছর ধরে চলেছিলো । বাকি যে ২৫০০ বছর থাকে, তাতে অন্য সব ধর্মরা আসে । পাঁচ হাজার বছরের পরিবর্তে মানুষ বলে দেয় কল্পবৃক্ষের আয়ু লাখ বছরের, কিন্তু তারা তোমাদের কথা বুঝতেও আসবে না । হ্যাঁ, তারাই আসবে, যারা পূর্ব কল্পে এসে বুঝেছিলো । প্রথমে তো বোঝাতে হবে – এক হলো জাগতিক সন্ন্যাস, যেখানে সন্ন্যাসীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে গিয়ে থাকে, প্রথম – প্রথম তারা সতোপ্রধান ছিলো । এখন তারাও তমোপ্রধান হয়ে গেছে তাই জঙ্গল ছেড়ে চলে এসে বড় বড় মহল তৈরী করেছে । এই সন্ন্যাসীরাও পবিত্রতার আধারে অবশ্যই ভারতকে থামিয়েছিলো । ভারতের সেবা করেছিলো । এই সন্ন্যাস ধর্ম না থাকলে ভারত একদম বিকারে জ্বলে মরতো, আরো পতিত হয়ে যেতো । এই ড্রামাও বানানো আছে । তাদের মধ্যে প্রথমে পবিত্রতার শক্তি ছিলো, যার জোরে ভারতকে থামিয়েছিলো । এই দেবতাদের যখন রাজ্য ছিলো, ভারত তখন কতো বিত্তবান ছিলো । এঁদের অনেক বড় – বড় হীরে – জহরতের মহল ছিলো । সে সব কোথায় গেলো ? সব মাটির নীচে চলে গেছে । লঙ্কা আর দ্বারকার জন্য বলা হয় – সমুদ্রের নীচে চলে গেছে । এখন তো আর সে সব নেই৷ সোনার মহল ইত্যাদি সবই তো ছিলো, তাই না । যখন মন্দির ইত্যাদিতে হীরে – জহরত লাগাতে পারে, তখন ওখানে কি না থাকবে ! বাচ্চারা, তোমাদের কতো খুশী হওয়া চাই । বাবা আবার এসেছেন । বলা হয়, বাবাকে স্মরণ করো । স্মরণ একজনকেই করতে হবে, যাতে বিকর্ম বিনাশ হয়, কিন্তু সেকথা ভুলে যায় আর দেহধারীদের কথা স্মরণে এসে যায় । দেহধারীদের স্মরণ করলে তো কোনো লাভ নেই৷ বাবা বলেন – মামেকম (আমাকে) স্মরণ করো । কোনো দেহধারীকে স্মরণ ক’রো না । মা মারা গেলেও হালুয়া খাও…. এক বাবার স্মরণেই উপার্জন । আমরা শিববাবার বাচ্চা, তাঁর থেকেই উত্তরাধিকার নিতে হবে । এই সময় বাবাকে স্মরণ না করলে খুব অনুতাপ করতে হবে, তখন কাঁদতে হবে । বিশ্বের মালিক যারা হবে, তাদের কান্নার কি প্রয়োজন ! তোমরা বাবাকে ভুলে যাও, তখনই মায়া থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়, তাই বাবা বার – বার বোঝান যে, বাবাকে আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো । অমরনাথ তো অমরপুরীতে বসে একা পার্বতীকে অমরকথা শোনান নি । অবশ্যই অনেকেই শুনবে । যে সকল মানুষ মাত্র আছে, বাবা সবাইকে বোঝান — তোমরা এখন পতিত হয়ো না, এই অন্তিম জন্মে পবিত্র হও । ওখানে স্বর্গতে কোনো বিকার থাকে না । ওখানেও যদি বিকার থাকতো, তাহলে স্বর্গ আর নরকের মধ্যে তফাৎ কি হলো ? দেবী – দেবতাদের মহিমা করা হয় — সর্বগুণ সম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ… । ভগবান এসে ভগবান – ভগবতীই বানাবেন, ভগবান ছাড়া কেউই এমন তৈরী করতে পারবেন না, ভগবান তো একজনই । এমন মহিমাও আছে যে – ভগবান – ভগবতীর রাজধানী । যথা রাজা – রানী তথা প্রজা ওখানেই থাকবে, কিন্তু ভগববান – ভগবতী বলা যায় না, তাই বলা হয় আদি সনাতন দেবী – দেবতা ধর্ম । একথা কেউই জানে না । এই ব্রহ্মার আত্মাকেও বাবাই বুঝিয়ে বলেন । এক হলো বাবার, আর এক হলো দাদার… এই দুই আত্মা হলো, তাই না । এক আত্মা ৮৪ জন্মগ্রহণ করে, আর এক আত্মা পুনর্জন্ম রহিত বাবা কখনোই পুনর্জন্ম গ্রহণ করেন না । তিনি একই বার এসে বিশ্বকে পবিত্র করার জন্য আমাদের রাজযোগ শেখান । বাবা তোমাদের বোঝান – আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করেছি । ইনি ৮৪ জন্ম ভোগ করে এসেছেন । এখন এ হলো এনার অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম । এখন আমি তো নিরাকার, তাহলে কিভাবে এসে বাচ্চাদের রাজযোগ শেখাবো ? প্রেরণা দিয়ে তো কিছুই করা সম্ভব নয় । কৃষ্ণ ভগবান উবাচঃ তো আর হতে পারে না । তিনি কিভাবে আসতে পারেন ? তিনি তো হলেন সত্যযুগের প্রিন্স, ১৬ কলা সম্পূর্ণ, এরপর ত্রেতাতে হয় ১৪ কলা সম্পূর্ণ, তাহলে দ্বাপরে কৃষ্ণকে কেন নিয়ে যাওয়া হলো ? তাঁকে তো আগে আসা উচিত । বাবা বোঝান – প্রথমে বাবাকে স্মরণ করো । না হলে মায়া একদম থাপ্পড় মেরে দেবে । লজ্জাবতী বলে একটা লতাগাছ আছে । হাত দিলেই ঝিমিয়ে যায় । তোমাদেরও এমনই হাল হয়, বাবাকে স্মরণ না করলেই শেষ হয়ে যাবে । গীতেও তোমরা শুনেছো — ছেলেবেলার দিন ভুলে যেও না । বাবাকে ভুললে কোথাও না কোথাও আঘাত লাগবে । বাবা বলেন – তোমরা আমার বাচ্চা, তাই না এই শরীর তো বিষের দ্বারা জন্ম হয়েছে । তারা হলো লৌকিক মা – বাবা । ইনি তো হলেন পারলৌকিক বাবা, আর এনাকে বলা হয় অলৌকিক বাবা । ইনি জাগতিক ছিলেন, তারপর অসীম জগতের হয়ে গেলেন । এখন দেখো, এই লৌকিক মেয়ে ( নির্মলশান্তা দাদী ) বসে আছে । এ যেমন লৌকিকও, তেমনই অলৌকিক এবং পারলৌকিকও। বাকি শিববাবার তো আর ভাই – বোন নেই । না লৌকিক, না অলৌকিক বা পারলৌকিক । কতো তফাৎ । এক বাবার হওয়া মাসির বাড়ি যাওয়ার মতো এত সহজ নয় । এমন বাবার সঙ্গে সম্বন্ধ জোড়া, সময় লাগে । শিববাবার স্মরণে থাকা খুবই পরিশ্রমের । এমনও আছে যে, ৫০ বছর ধরে এখানে আছে অথচ সারাদিনে শিববাবাকে স্মরণ করে না । আর সবাইকে ভুলে এক বাবাকে স্মরণ করা, এ অনেক পরিশ্রমের । কেউই এক পার্সেন্ট স্মরণ করে, কেউ দুই পার্সেন্ট, কেউ আবার নিতান্তই ১ – ২ পার্সেন্ট স্মরণ করে । এ খুব বড় ভারী লক্ষ্য । তাই বাবা বোঝান – ছেলেবেলাকে ভুলে যেও না । বাবার থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার পাওয়া যায় । তোমরা জানো যে, আমরা জীবন্মৃত হয়ে তবে বাবার হয়েছি — নতুন দুনিয়াতে যাওয়ার জন্য । তাই তোমাদের স্থায়ী খুশী থাকা উচিত । আহা! আমরা ডবল মুকুটধারী হবো । মানুষ তো জানেই না যে, সত্যযুগে এই দেবতাদের ১৬ কলা সম্পূর্ণ, আর ১৪ কলা সম্পূর্ণ কেন বলা হয় ? কিছুই জানে না । এই ভক্তিমার্গে শাস্ত্র আদি আবারও তৈরী হবে । এই হঠযোগ, তীর্থযাত্রা ইত্যাদি আবারও হবে, কিন্তু এতে কি হবে ? এতে কি স্বর্গে যেতে পারবে ? তা নয়, অনেকেই ঋদ্ধি – সিদ্ধি নিয়ে কাজ করে । ঋদ্ধি – সিদ্ধি যারা করেন, এমন অনেকেই আছে । বহু মানুষ তাদের পিছনে পড়ে থাকে । ঋদ্ধি – সিদ্ধির দ্বারা ঘড়ি ইত্যাদি অনেক জিনিস বের করে দেওয়া হয় । এ তো বুঝতেই পারে না যে, এসব অল্পকালের জন্য এতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় । এই ঋদ্ধি -সিদ্ধি শেখার জন্যও বই আছে । কতো লাখ – লাখ মানুষ এর পিছনে পড়ে থাকে । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, আমরা বাবার কাছ থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার পাই এই চোখ দিয়ে যা কিছুই দেখছো, সে সব কিছুই থাকবে না । বাবা বোঝান যে – তোমরা অশরীরী এসেছিলে, তারপর শরীর ধারণ করে অভিনয় করেছো । যদি ৮৪ জন্মের হিসেব – নিকেশ করা হয় তাহলে ১২ মাস লেগে যাবে । এ হতেই পারে না । ৮৪ জন্মের হিসেব – নিকেশ বলা খুবই সহজ । তোমরাই ৮৪ র চক্র ঘুরতে থাকো । সূর্যবংশী থাকলে চন্দ্রবংশী থাকবে না । সূর্যবংশী ঘরানা সম্পূর্ণ হলে তারপর চন্দ্রবংশী হবে ।

তোমরা এখন জানো, আমরা হলাম ব্রাহ্মণ বংশী, এরপর আমাদের দেবতা বংশী হতে হবে, এর জন্যই আমরা এই পড়া পড়ছি । তারপর সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে নামতে বৈশ্য, শূদ্রবংশী হয়ে যাবো । এখন আমাদের ৮৪ জন্মের স্মৃতি এসেছে । এই চক্রও আমাদের স্মরণ করতে হবে । বাবাকে স্মরণ করলে এভার হেলদি, এভার ওয়েলদি হতে পারবে । তোমাদের পাপ কেটে যাবে । চক্রকে জানলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হয়ে যাবে । তোমরা জানো যে, এই পুরানো দুনিয়া কবরস্থান হয়ে যাবে । কিছুই থাকবে না । সব শেষ হয়ে যাবে । রাম গেলো… রাবণ গেলো….. সত্যযুগে রামের কতো ছোটো পরিবার হবে । এখন রাবণের কতো বড় পরিবার । বাচ্চারা জানে যে, এই রাজধানী এখন স্থাপন হচ্ছে । প্রতিটি বিষয়ে পুরুষার্থ এক নম্বর । বাবা পুরুষার্থ করান — বাচ্চারা, আমাকে স্মরণ করো । যেই বাবার থেকে তোমরা অগাধ স্বর্গের বাদশাহী পাও, তাঁকে কি তোমরা স্মরণ করবে না ? বাবা মনে করিয়ে দেন যে, তোমরাই স্বর্গের মালিক ছিলে এখন আবার পুরুষার্থ করে স্বর্গের মালিক হও । আচ্ছা ।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কখনোই কোনো বিষয়ে লজ্জাবতী লতা হয়ো না । ঈশ্বরীয় শৈশবকে ভুলে ঝিমিয়ে যেও না । এই চোখে যা কিছুই দেখা যায়, তা দেখেও দেখবে না ।

২ ) এক বাবার স্মরণেই উপার্জন, তাই দেহধারীদের স্মরণ করে কান্নাকাটি ক’রো না । বাবা এবং উত্তরাধিকারকে স্মরণ করে বিশ্বের বাদশাহী নিতে হবে।

বরদানঃ-

জ্ঞানের দ্বারা নিজের দুর্বল সংস্কারকে তো জানা যায়, আর যখন এই বিষয়ের জ্ঞান প্রাপ্ত হয়, তখন কিছু সময়ের জন্য সেই সংস্কার ভিতরে চাপা পড়ে যায়, কিন্তু দুর্বল সংস্কার সমাপ্ত করার জন্য লাইট আর মাইটের অতিরিক্ত ফোর্সের প্রয়োজন । এরজন্য মাস্টার সর্বশক্তিমান, মাস্টার নলেজফুলের সঙ্গে চেকিং মাস্টার হও । জ্ঞানের দ্বারা নিজেকে শক্তিতে ভরপুর করে মনন শক্তিকে বৃদ্ধি করো, তাহলেই শক্তি সম্পন্ন হয়ে যাবে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top