15 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

15 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

14 January 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - দাদা হলেন ওয়ান্ডারফুল পোস্ট অফিস, ওঁনার দ্বারাই তোমাদের শিববাবার ডিরেকশন (নির্দেশ) প্রাপ্ত হয়।

প্রশ্নঃ --

বাবা বাচ্চাদের কোন্ কথাতে সর্তক করেন এবং কেন ?

উত্তরঃ -:-

বাবা বলেন, বাচ্চারা তোমরা সর্তক থাকো – মায়ার প্রহার খেও না, যদি মায়ার দ্বারা প্রহার খেতেই থাকো তাহলে প্রাণ চলে যাবে আর পদও প্রাপ্ত হবে না। ঈশ্বরের কাছে জন্ম নিয়েও যদি কেউ মায়ার প্রহার খেয়ে মারা যায় তাহলে সেই মৃত্যু সবচেয়ে খারাপ হয়। যখন মায়া বাচ্চাদের দিয়ে উল্টো কাজ করিয়ে নেয় তখন বাবার তাদের জন‍্য খুব খারাপ লাগে। এই কারণে সর্তক করতেই থাকেন ।

গান:-

তোমাকে আহ্বান করতে যে বড়ই মন চায়….

ওম্ শান্তি । বাবাকে আহ্বান তখনই করা হয় যখন মানুষমাত্রই দুঃখী হয়। কারণ তারা বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কি কারণে দুঃখী হয়? এ’কথাও তমোপ্রধান মানুষ জানে না। দুঃখী করে তো ৫ বিকাররূপী রাবণ। আচ্ছা, তার রাজ‍্য আর কতদিন পর্যন্ত চলবে ? নিশ্চয়ই দুনিয়ায় শেষ দিন পর্যন্ত রাজ‍্য চলবে। এখন বলবে রাবণ রাজ‍্য। রাম রাজ‍্য, রাবণ রাজ‍্যের নাম তো সকলের কাছে প্রসিদ্ধ। রাবণ রাজ‍্যের কথা তো শুধু ভারতেই প্রচলিত। দেখা যাচ্ছে শত্রুও ভারতেরই। রাবণই ভারতের পতন ঘটিয়েছিল সেদিন, যেদিন থেকে দেবতারা বামমার্গে গেছে অর্থাৎ বিকারগ্রস্ত হয়ে গেছে। দুনিয়া এটা জানেনা – ভারত যে একসময় নির্বিকারী ছিল, সে কিভাবে বিকারী হয়ে গেল? এ তো ভারতেরই গৌরবের কথা। ভারতই শ্রেষ্ঠ ছিল, এখন পতিত হয়ে গেছে। যেদিন থেকে পতিত হওয়া শুরু করেছে, সেদিন থেকেই ভক্ত পুজারী হয়ে গেছে। তখন থেকেই ভগবানকে স্মরণ করে চলেছে। এ তো বোঝানো হয়েছে যে প্রত্যেক কল্পের সঙ্গম যুগে যুগেই বাবা আসেন। কল্পে তো ৪ যুগ আছে, অবশিষ্ট পঞ্চম যুগ অর্থাৎ সঙ্গমযুগের কথা তো কারো জানা নেই। তারা তো সঙ্গমযুগ অনেক বলে দেয়। যুগে যুগে তো অনেক সঙ্গমযুগ এসেছে বলে। সত‍্যযুগ থেকে ত্রেতা, ত্রেতা থেকে দ্বাপর, দ্বাপর থেকে আবার কলিযুগ। কিন্তু বাবা বলেন একমাত্র কল্পের সঙ্গমযুগেই বাবাকে আসতেই হয় । একেই বলা হয় কল‍্যাণকারী পুরুষোত্তম যুগ এসময়ই মানুষ পতিত থেকে পাবন তৈরী হয়। কলিযুগের পর আবার সত‍্যযুগ আসে। সত‍্যযুগের পর আবার কি আসে ? ত্রেতা আসে। সূর্যবংশীয় লক্ষ্মী-নারায়ণের যে রাজ‍্য ছিল তা আবার চন্দ্রবংশীয়তে পরিনত হয়। ত্রেতাতে হল রামরাজ‍্য। সত‍্যযুগেই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ‍্য। লক্ষ্মী -নারায়ণের রাজ‍্যের পর রাম-সীতার রাজ‍্য আসে। সত‍্যযুগ-ত্রেতার মাঝে অবশ্যই সঙ্গম হবে। এরপর ইব্রাহিম আসে, সে হল ওদিকের। এখানে তার দেশ নয়। দ্বাপরে আবার অনেকেই আছে। ইসলাম, বৌদ্ধ তারপর খ্রীষ্টান ইত্যাদি। খ্রীষ্টান ধর্ম স্থাপন হয়েছে হাজার বছর হয়ে গেছে। কেউ কেউ আবার অনেক হিসাব নিকাশ করে নেয়, এখন সঙ্গমের পর আবার সত‍্যযুগে যেতে হবে। এই হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি বুদ্ধিতে থাকা উচিত । গাওয়াই হয় উঁচু থেকে উঁচু হলেন ভগবান। ওঁনাকে তুমিই মাতা তুমিই পিতা বলা হয়ে থাকে। এ হল উঁচু থেকে উঁচু ভগবানের মহিমা। তুমি মাতা পিতা – তোমরা কাকে বলো ? এ’কথা কেউ জানে না।আজকাল তো মূর্তির সামনে গিয়ে বলে – তুমিই মাতা তুমিই পিতা…. এখন মাতা – পিতা কাকে বলবে ? লক্ষ্মী নারায়ণকে ? ব্রহ্মা সরস্বতীকে ? শংকর পার্বতীকে? এখানেও তো জোড়া দেখানো হয়। তাহলে মাতা – পিতা কাকে বলা উচিত ? যদি পরমাত্মা ফাদার হন তো নিশ্চয়ই মাদারও তো চাই। একথা জানেনা যে মাতা কাকে বলা হয় ? একে গুপ্ত কথা বলা হয়ে থাকে। ক্রিয়েটর (সৃষ্টিকর্তা) আছেন তাহলে তো ফিমেলও চাই, তাই না ? মহিমা তো একজনেরই করব তাই নয়কি ? এমন নয় যে কখনও ব্রহ্মার, বিষ্ণুর অথবা শংকরের করবে।না, মহিমা তো একেরই করা হয়। গাওয়াও হয় যে, পতিত- পাবন এসো । যিনি অন্তের সময় অবশ্যই আসবেন, তিনি যুগ যুগ ধরে কেন আসবেন ? পতিত তো হতে হয় অন্তে। পতিতকে পাবন করেন একমাত্র বাবা, ওঁনাকে অবশ্যই পতিত দুনিয়ায় আসতেই হয় পাবন বানানোর জন‍্য। ওখানে বসে তো আর বানাবেন না। সত‍্যযুগকে বলা হয় পাবন দুনিয়া, কলিযুগ হল পতিত দুনিয়া। পুরোনো দুনিয়াকে নতুন বানানোর কাজ বাবাই করে থাকেন। নতুন দুনিয়ার স্থাপনা আর পুরোনো দুনিয়ায় বিনাশ। ব্রহ্মার দ্বারা কীসের স্থাপনা করান ? বিষ্ণুপুরীর। ব্রহ্মা আর ব্রাহ্মণ দ্বারা স্থাপনা করা হয়। ব্রাহ্মণ দ্বারা জগতের রচনা করা হয়, তাহলে অবশ্যই ব্রাহ্মণেরা তো পড়াবেন। তোমরা লেখো যে বাবা হলেন ব্রহ্মা আর ব্রহ্মামুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণদের রাজযোগের অধ‍্যায়ণ করাচ্ছেন। এতে সরস্বতীও এসে যায় । এই ব্রাহ্মণ কুল হল ওয়ান্ডারফুল। ভাই – বোনের কখনও বিবাহ হতে পারে না। যখন কেউ আসে তখন আমরা তাকে পরিচয় দিয়ে বলি যে, পরমপিতার সাথে আপনার সম্বন্ধ কী। পিতা তো বলাই হয়, তিনি হলেন বাবা, আর ইনি হলেন দাদা, বর্সা (উত্তরাধিকার) তো পাই ওঁনার কাছ থেকে, যিনি হলেন জ্ঞানের সাগর অসীমের পিতা। প্রদান করেন ব্রহ্মার দ্বারা। এ তো হল ঈশ্বরীয় পালনা। তারপর মেলে দৈবী পালনা। এটাও বোঝানো সহজ। চার যুগের হিসাব তো সমান। পবিত্র থেকে পতিতও হতে হবে। ১৬ কলা থেকে ১৪ কলা তারপর ১২ কলাতে আসতে হবে। তোমাদেরকে সবার প্রথমে সবাইকে বাবার পরিচয় দিতে হবে। বাবার সাথে প্রথম সাক্ষাতে তো কেউ কিছু বুঝতে পারবে না, কারণ এ তো ওয়ান্ডার (আশ্চর্যজনক) বিষয় আর বাপদাদা তো কম্বাইন্ড (সম্মিলিত) রূপে আছেন।এমনকি বাচ্চারা তো সময়ে সময়ে ভুলে যায় – আমরা কার সাথে কথা বলি! বুদ্ধিতে কেবল শিববাবাকেই স্মরণে রাখা উচিত । আমরা শিববাবারই কাছে যায়। তোমরা এই বাবাকে কেন স্মরণ করো? শিববাবাকে স্মরণ করলেই তোমাদের বিকর্মের বিনাশ হবে। মনে করো ছবি তুলছো, তখনও বুদ্ধি শিববাবাতেই থাকবে যে, বাপদাদাতে দুজনেই রয়েছেন । শিববাবা আছেন তখন তো এই দাদাও থাকবেন। বাপদাদার একসাথে ফটো তৈরী করা হয়। শিববাবার কাছে এই দাদার দ্বারাই মিলিত হতে এসেছি । ইনি হলেন বলা চলে পোস্ট অফিস। ওনার দ্বারাই শিববাবার ডাইরেকশন (নির্দেশ) পেয়ে থাক তোমরা। এ বড়োই ওয়ান্ডারফুল কথা। এই দুনিয়া যখন পুরানো হয়ে যায় তখন ভগবানকেই আসতে হয়। দ্বাপর থেকেই এই দুনিয়া পতিত হতে শুরু করে। অন্তিম কালে সমস্ত দুনিয়া পতিত হয়ে যায়। চিত্রের উপরেই বোঝাতে হবে। সত‍্যযুগ, ত্রেতাকে স্বর্গ, প‍্যরাডাইস বলা হয়। নতুন দুনিয়া তো সর্বদা থাকবে না। দুনিয়া যখন অর্ধেক পূর্ণ হয় তখন তাকে পুরানো দুনিয়া বলা হয়। প্রত্যেকটি জিনিসের লাইফ অর্ধেক পুরোনো অর্ধেক নতুন হয় । কিন্তু এই সময় তো শরীরের উপর কোনো ভরসা নেই। এ তো হল অর্ধ কল্পের সম্পূর্ণ হিসাব, এর কোনো অদলবদল করা যাবে না। সময়ের আগে কোনো কিছুকেই বদলানো যাবে না। অন্য সব জিনিসপত্র তো মাঝপথেই ভেঙে যেতে পারে। কিন্তু পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ এবং নতুন দুনিয়ার স্থাপনা আগে পরে তো হতে পারে না। বাড়ি তো যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে, কখন ভেঙে পড়বে তার তো ঠিকানা নেই। এই চক্র তো অনাদি এবং অবিনাশী। নিজের সময় অনুসারেই চলে।পুরানো দুনিয়ায় তো পুরো অ্যাক‍্যুরেট লাইফ আছে। অর্ধেক কল্প রামরাজ্য, অর্ধেক রাবণরাজ‍্য, এর বেশী হতে পারে না। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে এখন সমগ্র ত্রিলোকের নলেজই এসে গেছে । তোমরা এখন ত্রিলোকের মালিকের দ্বারা নলেজ (জ্ঞান) প্রাপ্ত করছো। তোমাদের অবস্থান এখন অনেক উঁচুতে। এই সময়ে তোমরাই ত্রিলোকের নাথ, কারণ তোমরা তিনলোকের জ্ঞান প্রাপ্ত করেছো। তোমরা মূলবতন, সূক্ষ্মবতন, স্থূলবতনের সাক্ষাৎকার করেছো। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ পরিচয় আছে। বাবা হলেন ত্রিলোকের নাথ। তিনলোকের জ্ঞাতা। আপনাদেরকে আমরা এই জ্ঞান প্রদান করছি যখন, তখন আমরাও হলাম গিয়ে মাস্টার ত্রিলোকীনাথ। যে জ্ঞান বাবার মধ্যে আছে সেই জ্ঞান এখন তোমাদের মধ্যেও রয়েছে, নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। তখন তোমরা সত‍্যযুগে বিশ্বের মালিক হতে পারবে। ওখানে তোমাদেরকে ত্রিলোকের নাথ বলবে না।লক্ষ্মী-নারায়ণের ত্রিলোকের জ্ঞান থাকে না। সৃষ্টিচক্রের জ্ঞান থাকে না। তোমরা হলে নলেজফুল ভগবানের সন্তান। তিনি পড়িয়ে তোমাদেরকে নিজের সমান তৈরী করেন। তোমরা জানো যে আমরা আবার বিষ্ণুপুরীর মালিক হবো। এই সময় যা অতীত হয়ে গেছে সে সম্পর্কীয় জ্ঞান ও তোমাদের কাছে আছে। মানুষ সীমিত জগতের হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি সম্পর্কে জানে, আর তোমাদের বুদ্ধিতে আছে বেহেদ (অসীমের) হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি। ওদের তো বাহুবল দ্বারা লড়াইয়ে কথা জানা আছে। যোগবলের দ্বারা লড়াইয়ের কথা তো কারও জানা নেই। তোমরা জানো যোগবলের দ্বারা আমরা বিশ্বের মালিক হই। শেখান তো বাবা, তিনিই ত্রিলোকীনাথ। এসময় তোমাদের অবস্থান অনেক উঁচুতে। তোমরা হলে নলেজফুল বাবার বাচ্চা, মাস্টার নলেজফুল। এ তো তোমরা জানো যে তিনি জ্ঞানের সাগর, আনন্দের সাগর কীভাবে । ওঁনাকে বলা হয় সৎ-চিৎ-আনন্দ স্বরূপ। এই সময় তোমরা আনন্দের অনুভব করো, কারণ তোমরা খুব দুঃখী ছিলে। তোমরা সুখ এবং দুঃখের প্রভেদ করতে পারো। লক্ষ্মী – নারায়ণ তো এ কথাকে জানবেন না। ওনারা তো শুধুমাত্র রাজত্ব করেন। এটা হল ওনাদের প্রালব্ধ। তোমরা গিয়েও স্বর্গে রাজত্ব করবে। ওখানে সুন্দর প্রসাদ তৈরী করবে। ওখানে তো চিন্তার কোনো কারণই থাকে না। এটাও বুদ্ধিতে স্থায়ী থাকা উচিত, খুশির পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। ঝড়ঝঞ্ঝা তো অনেক প্রকারের আসবে, সম্পূর্ণ তো কেউ হতে পারে না। বাবা বোঝান যে তোমাদের অনেক স্থেরিয়াম (শক্তিশালী, অটল) হতে হবে। মানুষ অমরনাথে যায় তবুও তো তাদেরকে নীচে নামতেই হয়। তোমরা যাবে প্রথমে বাবার কাছে তারপর নতুন দুনিয়া সত‍্যযুগে আসবে এবং তারপর আবার নীচে নামা শুরু হবে। এ হল আমাদের অসীমের যাত্রা। প্রথমে বাবার কাছে আরামে থেকে তারপর রাজধানীতে এসে রাজত্ব করতে হবে তারপর জন্ম জন্মান্তর এইভাবেই আসতে হবে। একে চক্র বলো অথবা চড়াই উৎরাইই বলো, কথা তো একই। নীচ থেকে উপরে উঠলে তারপর আবার নীচে নামা শুরু হয়ে যায়। এই সব কথা যে তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন হবে, সে খুব ভালো ভাবে বুঝতেও পারবে বোঝাতেও পারবে। এই বাবাও জানতেন না। যদি ওনার কোনো গুরু থাকতো তবে তো সেই গুরুরও অনেক ফলোয়ার্স (অনুগামী) থাকতো। এই রকম কখনো হয় নাকি যে একজনই ফলোয়ার ? শাস্ত্রে তো রয়েছে, ভগবানুবাচ – হে অর্জুন ! একেরই নাম লিখে দিয়েছে। অর্জুনের রথে বসে আছেন, অর্জুনই তাহলে প্রথমে শুনবে। অন‍্যরাও তো থাকবে, তাই না। সঞ্জয়ও তো থাকবে। এই অসীমের স্কুল তো একবারই খোলে। সেইসব স্কুল তো চলতেই থাকবে। যেমন রাজা তেমনই ল‍্যাঙ্গুয়েজ (ভাষা)। ওখানে সত্যযুগেও তো স্কুলে যেতে হয়, তাই না। ভাষা, কাজকর্ম ইত্যাদি সব কিছু শেখানো হয় । ওখানে সব কিছুই তৈরী হবে। সবচেয়ে ভালোর থেকেও ভালো যা কিছু হওয়া উচিত সে সব স্বর্গে থাকে। তারপর সব কিছু পুরানো হয়ে যায়। সবচেয়ে ভালো যা কিছু তা দেবতারাই প্রাপ্ত করেন। এখানে কি পাওয়া যাবে ? তোমরা অনুভব করতে পারো যে, নতুন দুনিয়ায় সব কিছু নতুনই পাওয়া যাবে। এই সমস্ত কথা বুঝে তারপর মানুষদেরকে বোঝাতে হবে। এখন আমরা সঙ্গমযুগে আছি, আমাদের জন‍্য এখন দুনিয়ার বদল হচ্ছে । ড্রামা অনুসারে আবার আমি এসেছি – তোমাদেরকে পতিত থেকে পাবন বানিয়ে দেবী – দেবতা তৈরী করতে। এই চক্র আবর্তিত হতে থাকে। প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণই তৈরী হয়। ব্রাহ্মণদের দ্বারা যজ্ঞ রচিত হয়। ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হবে। তোমরা। সেইজন্য বিরাট রূপের চিত্রও অত্যন্ত জরুরী। যার দ্বারা প্রমাণিত করা যাবে যে ব্রহ্মামুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণই দেবতা হয়ে ওঠে। বৃদ্ধি হতে থাকবে ।দেবতা থেকেই ক্ষত্রিয়, বৈশ‍্য এবং শূদ্র তৈরী হয়। এই সঙ্গমযুগ হল বিখ্যাত। আত্মা আর পরমাত্মা আলাদা রয়েছে রহুকাল… চড়তি কলা (উত্তরণের কলা) তারপর আবার অবতরণ কলা….এটাও হল বোঝার মতো বিষয়। প্রথমে ঈশ্বরীয় সন্তান তারপর দৈবী সন্তান তারপর অল্প অল্প করে কম হয়ে যেতে থাকে। তোমরা জিজ্ঞাসা করতে পারো দুঃখহর্তা সুখকর্তা কাকে বলা হয় ? তারা তখন অবশ্যই বলবে – পরমপিতা পরমাত্মাকে । যখন দুনিয়ায় দুঃখ সমাপ্ত হয়ে যাবে, তখনই বিষ্ণুপুরী হয়ে যাবে । ব্রাহ্মণদের দুঃখ দূর হয়ে যাবে, সুখের প্রাপ্তি হবে । এ তো হল সেকেন্ডের বিষয় । লৌকিক বাবার কোল থেকে এখন আমরা পারলৌকিক বাবার কোলে এসে গেছি, এ হল বড়ই খুশির কথা।

এ হল সবচেয়ে বড়ো পরীক্ষা। তোমরা রাজাদেরও রাজা হও। রাজযোগ পরমাত্মা বাবা ছাড়া কেউ শেখাতে পারেন না। এই চিত্র খুবই সুন্দর। এমন কে আছে যে বলবে যে পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে আমার কোনো সম্বন্ধ নেই। এমন নাস্তিকের সাথে কথা বলাও উচিত নয়।মায়া চলতে চলতে বাচ্চাদের দ্বারা কখনও কখনও উল্টো কাজ করিয়ে নেয়। বাবার তখন তাদের জন‍্য খুব খারাপ লাগে। তারপর বোঝান যে – সর্তক থাকো। বেশী প্রহার খেও না, নাহলে পদ প্রাপ্ত হবে না।মায়া তো অনেক জোড়ে থাপ্পর লাগিয়ে দেয়, সেই কারণে তো প্রাণই বেড়িয়ে যায় (বাবার হাত ছেড়ে যায়) । মারা গেলে তো জন্মদিন পালন করতে পারবে না। বলবে বাচ্চা মারা গেছে। ঈশ্বরের কাছে জন্ম নিয়ে তারপর মৃত্যু হলে – এই মৃত‍্যু হল সবচেয়ে খারাপ। কোনো কথা সঠিক মনে না হলে সেটাকে ছেড়ে দাও। কোনো সংশয় থাকলে দেখো না। বাবা বলেন মন্মনাভব, আমাকে স্মরণ করো আর স্বদর্শন চক্র ঘোরাও। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার সমান মাষ্টার নলেজফুল হতে হবে। জ্ঞনের স্মরণ করে অপার খুশীতে থাকতে হবে। আনন্দের অনুভব করতে হবে।

২ ) অনেক রকমের ঝড়ঝঞ্ঝার মধ্যে থেকে নিজেকেও স্থেরিয়াম (শক্তিশালী, অটল) বানাতে হবে। মায়ার আঘাত থেকে বাঁচতে খুবই সর্তক থাকতে হবে।

বরদানঃ-

দিব‍্যগুণই হল সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভু প্রসাদ । এই প্রসাদকে সকলের মধ্যে প্রচুর বিতরণ করো। যেমন পরস্পরের মধ্যে স্নেহের লক্ষণ‍ হিসাবে স্থূল টোলী খাওয়াও, সেই রকমই গুণের টোলীও খাওয়ানো । যে আত্মার যে শক্তি আবশ্যক, তাকে নিজের মনসা অর্থাৎ শুভ বৃত্তি, ভাইব্রেশনের দ্বারা শক্তি গুলির দান দাও আর কর্মের দ্বারা গুণমূর্তি হয়ে গুণ ধারণ করার জন্য সহযোগী হও। তাহলে এই বিধির দ্বারা সঙ্গমযুগের যে লক্ষ্য “ফরিস্তা থেকে দেবতা” তা সহজেই সকলের মধ্যে প্রত‍্যক্ষ হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –

পরমাত্মার প্রেমের অনুভবে সহজযোগী হয়ে উড়তে থাকো। পরমাত্ম প্রেমই হল উড়তি কলার সাধন। যারা উড়তে থাকে তার কখনোই ধরিত্রীর আকর্ষণে আসতে পারে না । মায়ার যত বড়োই আকর্ষণীয় রূপ হোক না কেন, সেই আকর্ষণ উড়তি কলার যারা, তাদের কাছে পৌঁছাতে পারে না।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top