15 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
14 April 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা হলে দেবী দেবতা কুলের, তোমাদেরকে এখন পূজারী থেকে পূজ্য হতে হবে, বাবা এসেছেন তোমাদের সবাইকে ভক্তির ফল দিতে ”
প্রশ্নঃ --
দেহের সাথে দেহের সকল সম্বন্ধের থেকে বুদ্ধির যোগ ভেঙে ফেলার সহজ বিধি কি ?
উত্তরঃ -:-
আমার তো এক শিব বাবা, দ্বিতীয় আর কেউ নেই – এই পাঠকে পাক্কা করো। বাবা বলছেন বাচ্চারা, দেহ আর দেহের সকল সম্বন্ধ দুঃখ দেয়। তোমরা আমাকে নিজের বাচ্চা বানাও তাহলে আমি তোমাদের এতই সেবা করব যে ২১ জন্ম তোমরা সদা সুখী থাকবে। ওয়ারিশ বানাও তো উত্তরাধিকার দেব। সাজন বানাও তো শৃঙ্গার করে স্বর্গের মহারানী বানিয়ে দেব। ভাই বানাও, সখা বানাও তো সাথে নিয়ে খেলা করব। আমার সাথে সব সম্বন্ধ জোড়ো তাহলে দেহ থেকে বুদ্ধি বেরিয়ে যাবে ।
গান:-
কত মিষ্টি কত প্রিয় শিব ভোলা ভগবান…
ওম্ শান্তি । বাচ্চারা কার মহিমা শুনল ? নিজেদের অসীম জগতের বাবার। তাকেই বলা হয় শিব বাবা। ব্রহ্মাকেও বাবা বলা হয়। প্রজাপিতা তো পিতা মানে বাবা। প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার আর কুমারীরা। এখন তোমরা বসে আছো তাইনা। অবশ্যই তোমরা হলে ব্রহ্মার ধর্মের সন্তান। শিব বাবার কোল নিয়েছো, ব্রহ্মার দ্বারা। শিব বাবার তো নিজের শরীর নেই। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকরেরও নিজের শরীর আছে। নিরাকার পরমাত্মার কোনো আকার বা সাকার শরীর নেই। তাঁকে বলা যায় পরমপিতা। প্রজাপিতাকে পরমপিতা বলা হয় না। পরমপিতা মানে সকল পারের থেকেও ওপারে যিনি থাকেন। তোমরা আত্মারাও সেখানকার অধিবাসী। সেই বাবা হলেন অত্যন্ত মিষ্টি, এইজন্য তাঁর এই মহিমা করা হয়েছে। ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা…. বলে যে শিক্ষকও যেন তোমার মতো হয়। ভাইও যেন তোমার মত হয় । বাবাও তোমার মত যেন হয় । যেরকম লৌকিক বাবা বাচ্চাদেরকে উত্তরাধিকার দেন। বর্তমানে বাচ্চাদের উত্তরাধিকার তো প্রাপ্ত হয়, কিন্তু তারা বাবাকে ভালোভাবে দেখাশোনাও করে না। স্ত্রী এলে, কিছু খিটপিট হলে তো আলাদা হয়ে যায় । তোমরা এখন শিব বাবাকে নিজের বাচ্চা বানাও। এ তোমাদের এত সেবা করবে যে ২১ জন্ম তোমরা অনেক সুখী থাকবে। আচ্ছা, বাচ্চার পরিবর্তে যদি বাবাও বানাও তাহলে তোমাদেরকে স্বর্গে সর্বদা সুখ দেব। এঁনাকে সাজন বানাও তো তোমাদের শৃঙ্গার করে তোমাদেরকে স্বর্গের মহারানী বানিয়ে দেবো। দেহের সাথে দেহের সকল সম্বন্ধের থেকে বুদ্ধির যোগ ভেঙে ফেলো, কেননা তারা সবাই তোমাদেরকে দুঃখ দেবে। আমি তোমাদেরকে সুখই সুখ দেবো। দেখো বাবা তোমাদের সঙ্গে খেলাও করেন। তোমরা বুঝতে পারো যে আমরা ভাইয়ের সাথে খেলা করছি। ভাই হলেও সুখ দেবো। তোমাদেরকে বিশ্বের মালিক বানিয়ে দেবো। তো সব সম্বন্ধ তাঁর সাথে রেখে আর সবার সাথে ছিন্ন করে ফেলো। ব্যস্ আমার তো এক শিব বাবা, দ্বিতীয় আর কেউ নেই। আমি কল্প-কল্প বাচ্চারা তোমাদের সম্মুখে এসে তোমাদের সকল দুঃখ থেকে মুক্ত করে সর্বদা সুখী বানিয়ে তুলি। এইরকম বাবার সাথে বুদ্ধির যোগ রাখতে হবে আর তিনি তো নিজেই এসে ব্রাহ্মণ হয়ে আত্মাদের বিবাহ করিয়ে দেন। ইনি হলেন ফার্স্ট ক্লাস ব্রাহ্মণ। তোমাদের কত সুন্দর সুন্দর নাম রাখেন। ড্রামা অনুসারে তোমাদের নাম রাখতেই হয়। কেননা তোমরা এক কুটুম্বকে ছেড়ে ঈশ্বরের আশ্রয় নিয়েছো তাই নামও কত রমনীয় দিতে হয়। স্মরণ করে হে পতিতপাবন এসো, এসে পবিত্র বানাও। শ্রীকৃষ্ণকে কত ভালোবাসে। বলে যে শ্রীকৃষ্ণের মত যেন স্বামী হয় বা সন্তান হয়। এটা বোঝেও যে তিনি স্বর্গের মালিক ছিলেন, তথাপি তাকে দ্বাপরে নিয়ে গেছে। এটা হল ভুল। এইসব ভুলগুলোকে সংশোধন করে বাবা এসেছেন অভুল বানাতে। স্বর্গে এইরকম ভুল করেই না। ভুল করায় মায়া। সেখানে মায়াই নেই। লক্ষ্মী নারায়ণের চিত্র দেখিয়ে তোমরা সবাইকে বোঝাতে পারো। এঁনারাই স্বর্গের মহারাজা মহারানী ছিলেন। তাঁদেরকে এইরকম কে বানিয়েছেন? অজ্ঞান কালে কারো কাছে অনেক ধন থাকলে তো জিজ্ঞাসা করা হয় যে এই ধন তোমাকে কে দিয়েছেন ? বলে যে ভগবান দিয়েছেন। বাবা হলেনই দাতা, বাবা আমাদেরকে অসীমের স্বরাজ্য প্রদান করছেন। মন্দিরের পূজার যোগ্য তৈরি করছেন। অসীম শিবালয়ে রাজত্ব করে পুনরায় ভক্তি মার্গে শিবালয় তৈরি করে, জড় চিত্রের। সেই সময় দেবতারা বাম মার্গে চলে যায়। পতিত মানুষকে কখনো দেবতা বলা যায় না। এখন তোমরা জানো যে আমরা হলাম দেবতা কুলের। তোমরাই পুজ্য, তোমরাই পূজারী। এখন পুনরায় অবশ্যই পূজারী থেকে পূজ্য তৈরি হচ্ছো। অর্ধেক কল্প পূজ্য ছিলে আর অর্ধেক কল্প পূজারী হয়ে যাও। আমি তো সর্বদাই পূজ্য থাকি। ভক্তি মার্গে তোমরা স্মরণ করে থাকো – আমি তোমাদেরকে স্মরণের ফল প্রদান করছি। তোমাদেরকে বলছি যে নিরন্তর আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা অনেক ফল প্রাপ্ত করবে। তোমাদের কি এই পুরানাে দুনিয়ায় থাকতে ভালো লাগছে ? আমি সকল রূপে তোমাদেরকে সুখ দিতে এসেছি। অন্য সবাই তো তোমাদেরকে দুঃখ দেয়। এখন আমি তোমাদেরকে সুখের উত্তরাধিকার প্রদান করছি। শিব বাবা কতইনা মিষ্টি আর কতই না প্রিয় তবেই তো স্মরণ করে যে হে শিব ভোলা ভান্ডারী ঝুলি ভরপুর করে দাও। তোমরা জানো যে আমরা বিশ্বের মালিক হওয়ার যোগ্য কোথায় ছিলাম। বাবা অযোগ্যকে যোগ্য তৈরি করছেন। রাজযোগ শিখিয়ে মহারাজা মহারানী তৈরি করছেন, ২১ জন্মের জন্য। শিক্ষা দিচ্ছেন উচ্চ পদ প্রাপ্ত করে নাম উজ্জ্বল করো। বাচ্চাদের মধ্যে নম্বরের ক্রম তো হয় তাইনা। যে যত পড়বে, ভালো বাচ্চারা মা-বাবার অনেক আজ্ঞাকারী হয়। তোমরা এখন অসীম জগতের বাবার সাথে মিলিত হয়েছো তাই কতোই না তাঁর আজ্ঞাকারী হতে হবে। বাবার নামই হলো কল্যাণকারী। নরককে স্বর্গ বানাচ্ছেন। তোমরা স্বর্গের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছো। যত তোমরা শ্রীমতে চলবে, সবার থেকে আসক্তি সমাপ্ত করতে হবে। বলে যে ভাবে কিভাবে সমাপ্ত করবো ? বাবা বলেন যে আমাকে ট্রাস্টি বানিয়ে দাও, তারপর আমার থেকে রায় নিতে থাকো, এই অবস্থাতে আমি কি করবো! বাবা বলেন ত্যাগ করলে তো সন্ন্যাসীদের মতোই হয়ে গেল। ঘর বাড়ির সন্ন্যাস করবেনা। সন্ন্যাস তো পুরানো দুনিয়ার করতে হবে। তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে দেয়, অনেক ক্ষতি করে দেয়। তবুও পবিত্র থাকে তো কিছু সাহায্য করে। এছাড়া এমন নয় যে গুরু হয়ে কাউকে গতি সদ্গতি করতে পারে। পবিত্র বানায়, তবে কেবল পুরুষদেরকে। বাবা তো দু’জনকেই নগ্ন হওয়া থেকে বাঁচান। বাবা শিক্ষা দিচ্ছেন, যদি তোমরা পবিত্র হয়ে দেখাবে তো পবিত্র দুনিয়ার মালিক হবে। স্বর্গে সবাই সুখী হয়। ভালোরকম পুরুষার্থ করবে, এঁনাকে নিজের বাচ্চা বানাবে তো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে। যে যত উত্তরাধিকার দেবে ততই আমিও তোমাদেরকে রিটার্ন দেব। কিন্তু স্বর্গে দেব, এখানে নয়। এখানে আমাকে যা কিছু তোমরা দিচ্ছ সেটাও বাচ্চারা তোমাদেরই কাজে লাগাচ্ছি। আমি বিশ্বের মালিক হই না, তোমরা হও। তোমাদের জন্যই এই মহল ইত্যাদি তৈরি হয়েছে। এটা হল প্রদর্শনী। সেখানেও বাচ্চারা তোমাদের সেবা আছে। পুনরায় তোমাদেরকে স্বর্গের মালিক বানাই। যত চাই তত আমার থেকে নিয়ে নাও। আমাকে ওয়ারিশ (উত্তরাধিকারী) বানাও বা না বানাও। নিজের বাচ্চার থেকেই সুখী থাকো। এছাড়া পবিত্র থাকো আর এক বাবাকে স্মরণ করো তো অন্তিম কালে যেমন মতই তেমনই গতি প্রাপ্ত হবে। এছাড়া কোনো মিথ্যা মন্ত্র তোমাদের কাজে আসবে না। আমি তোমাদেরকে কল্যাণকারী মন্ত্র প্রদান করছি – বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। বাচ্চা জন্ম নিলে তো তার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবেই। তোমরা জানো যে আমরা শিব বাবার ছিলাম, স্বর্গে রাজত্ব করেছি পুনরায় হারিয়েছি। এখন বাবা বলছেন যে আমাকে স্মরণ করো। আমার হয়ে যাও, আমার হলে তোমাদের অনেক লাভ হবে। গুরু গোঁসাই ইত্যাদি সবার থেকে সম্বন্ধ ছিন্ন করো। আমি আত্মাদের সাথে কথা বলি, এই অরগ্যান্স এর দ্বারা। বাবা এঁনার মধ্যে প্রবেশ করেছেন। যে রকম ব্রাহ্মণদেরকে খাওয়ানো হয়, মনে করে যে পতির আত্মা এনার মধ্যে এসেছে। শরীর তো আসতে পারে না। বাবার তো নিজের কোনো শরীর নেই, এইজন্য আমাকে অশরীরী বলা হয়। তোমরাও অশরীরী হও। দেহের অহংকার ছেড়ে দাও। সমগ্র কল্প তোমরা দেহ অভিমানে ছিলে, সত্যযুগে আত্ম অভিমানী ছিলে। পুনরায় দেহ অভিমানী হয়েছো তো আত্মার জ্ঞানও ভুলে গেছো। প্রথম প্রথম তোমরা খুশিতে শরীর ত্যাগ করতে আর গ্রহণ করতে, তোমাদের কিছুই এসে যেত না। আত্মার অনাদি পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। স্বর্গে কান্নাকাটির কোনও নামই নেই। এখন তোমরা ৬৩ জন্ম দুঃখ ভোগ করতে করতে একদমই তমোপ্রধান হয়ে গেছ। এখন পুনরায় নিজেকে আত্মা মনে করো, বাবাকে স্মরণ করো আর যেখানেই যাবে যে দেখবে অমুক সন্ন্যাসী বেদ শাস্ত্র শোনাচ্ছে। এখানে নিরাকার পরমাত্মা তো কোনও শাস্ত্র পড়েন না। তিনি সকল বেদ শাস্ত্রের সার শোনাচ্ছেন। শাস্ত্র পড়তে পড়তে তোমরা পতিত হয়ে গেছো, তবেই আহ্বান করছো হে সদ্গতি দাতা, মুক্তেশ্বর, পাপ কাটেশ্বর এসো। আচ্ছা বাবা এসেছেন। বলছেন যে, তোমরা আমার মত অনুসারে চলো তো উচ্চপদ প্রাপ্ত করবে। এটাই হল শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠ মত। বাবা হলেনই শ্রী শ্রী, যিনি এসে ভ্রষ্টাচারী থেকে শ্রেষ্ঠাচারী বানাচ্ছেন। তোমরা জানো যে প্রত্যেকের নিজের নিজের পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। চক্রের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। না আত্মার বিনাশ হয় আর না তার পার্ট বিনাশ হয়। এটাই হলো পূর্বনির্ধারিত খেলা, এর থেকে কেউই মুক্তি পেতে পারে না। বাবা বলছেন যে আমিও পতিত শরীরে এসে তোমাদের সেবা করছি। আমি তোমাদেরকে স্বর্গের সুখ দিচ্ছি। তোমরা পুনরায় কতো হিরে জহরতের মন্দির বানাও, সেখানে আমাকে বসাও। এখন যখন তোমাদেরকে বিশ্বের মালিক বানাতে এসেছি তখন কেউ আমাকে জানেই না। আমার থেকে দূরে সরে যায়। তোমাদেরকে সবাইকে বাবার পরিচয় দিতে হবে। তো বাবা কিভাবে স্বর্গের স্থাপনা করছেন, কত সহজ কথা। মায়া আসবে, তোমাদের কাজ হল মায়াকে ভাগিয়ে দেওয়া। যাতে শিব বাবা ছাড়া আর কেউ স্মরণে না আসে। এক ঘন্টা আধ ঘন্টা স্মরণ করার অভ্যাস করো। তারপর শেষে অন্তিমে যেমন মতি থাকবে সেই অনুসারেই গতি প্রাপ্ত হবে। আর যদি বুদ্ধি কোথাও ফেঁসে থাকে তাহলে অনেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। যে রকম কাশি কলবট খায়, তাকে জীবঘাত বলা যায়। আত্মা নিজের জীবনকে (শরীরকে) ঘাত করে। এছাড়া আত্মার ঘাত হয়না। সে তো হলো অমর। এইসব কথা ধারণ করে বাবার স্মরণে থাকতে হবে, সবার থেকে আসক্তি সরিয়ে নিতে হবে। এটা হল পুরানো শরীর, সাক্ষী হয়ে তো থাকতে হবে। এখন বাড়ি ফিরে যেতে হবে। এখানে কোনো মজা নেই। ভূমিকম্প হলে সবাই মরে যাবে। মরার পূর্বে নিজের স্থিতিকে শ্রেষ্ঠ বানাতে হবে।
তোমরা হলে শিব শক্তি। মেল ফিমেল দু’পক্ষই পরিশ্রম করছো, শিব বাবার থেকে শক্তি নেওয়ার। মাতাদের সম্মান অনেক বেশী। তোমরা সবাই হলে কন্যা। ব্রহ্মাকুমারী তো কন্যাও আছে, অধরকুমারীরাও আছে। তারা নির্বিকারী থাকে। সেখানে ভীষ্মপিতামহ প্রমুখের গায়ন আছে। এমনও অনেকে আছে যারা ছোট বয়স থেকেই ব্রহ্মচারী থাকে। যে কাজ বাবা ৫০০০ বছর পূর্বে করে গেছেন, সেটাই আবার করছেন। এই সব মন্দির এখন ভেঙে পড়বে, ভক্তি মার্গে তৈরি হবে। এইসব কথা ধারণ করার মতো। এসব কথা নিজের সাথে কথোপকথন করতে হবে। একেই বলা হয় বিচার সাগর মন্থন করা। ভগবানুবাচ তোমাদেরকে নর থেকে নারায়ণ বানাচ্ছি। মানুষ কাউকে এই জ্ঞান দিতে পারবে না। এঁনার আত্মাও শুনছে। এটা প্রতিমুহূর্তে তোমরা ভুলে যাও। কচ্ছপের, ভ্রমরের উদাহরণও তোমাদের জন্য। বাবার পরিচয় সবাইকে দিতে হবে। শিবের পূজা ব্যতীত অক্যুপেশন সম্পর্কে জানা, এটা তো কিছুই নয়। আমিও পূজা করতাম কিন্তু এখন জেনে গেছি। শিব বাবা আমাদেরকে মানুষ থেকে দেবতা তৈরি করছেন। বাবা বলছেন তোমরা কড়ির পিছনে কেন মাথা খাটাচ্ছো, এইসব তো ভষ্ম হয়ে যাবে। পৌত্র পৌত্রি কেউই থাকবে না। সবাই মরে যাবে। তোমরা হলে কল্যাণকারী বাবার বাচ্চা, সকলের কল্যাণকারী। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) দেহের অভিমান ত্যাগ করে বাবার সমান অশরীরী হতে হবে। এটা হল পুরানো শরীর, একে সাক্ষী হয়ে চালাতে হবে। শ্রী শ্রী – এর শ্রেষ্ঠ মতে চলে পবিত্র হতে হবে।
২ ) ধর্মরাজের কড়া শাস্তির থেকে বাঁচার জন্য এখন থেকে এই রকম স্থিতি বানাতে হবে যাতে অন্তিম সময়ে এক বাবা ছাড়া আর কারোর স্মরণ যেন বুদ্ধিতে না আসে। বুদ্ধি যেন কোথাও ফেঁসে না থাকে।
বরদানঃ-
যেরকম সেবাতে অনেক এগিয়ে যাচ্ছ এইরকম স্ব উন্নতির ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন যেন থাকে। যে এই ব্যালেন্স রাখতে পারে সে সর্বদা আশীর্বাদ নিতে এবং দিতে থাকে। ব্যালেন্সের প্রাপ্তিই হলো ব্লেসিং। যে ব্যালেন্স রাখে সে ব্লেসিং প্রাপ্ত করে না – এমন হতেই পারেনা। মাতা-পিতা আর পরিবারের আশীর্বাদের কারণে সে সদা এগিয়ে যেতে থাকে। এই আশীর্বাদই হলো পালনা। কেবল আশীর্বাদ নিতে থাকো আর সবাইকে আশীর্বাদ দিতে থাকো তাহলে সহজেই সফলতার মূর্তি হয়ে যাবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!