14 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

October 13, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - যোগবলের দ্বারা বিকার রূপী রাবণের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করে সত্যিকারের দশহরা পালন করো"

প্রশ্নঃ --

রামায়ণ এবং মহাভারতের মধ্যে কি কানেকশন্ রয়েছে ? দশহরা কোন্ বিষয়কে সূচিত করে ?

উত্তরঃ -:-

দশহরা হওয়া অর্থাৎ রাবণের বিনাশ হওয়া এবং সীতাদের মুক্তিলাভ। কিন্তু দশহরা পালন করলে রাবণের থেকে মুক্তিলাভ তো হয় না। যখন মহাভারত সংঘটিত হয় তখন সমস্ত সীতাদের মুক্তি হয়। মহাভারতের যুদ্ধের দ্বারা রাবণরাজ্য বিনাশ হয়। সুতরাং রামায়ণ, মহাভারত এবং গীতার মধ্যে গভীর কানেকশন্ রয়েছে।

গান:-

ম‍্যাহেফিল মে জ্বল উঠি শ‍মা…. (আসরে জ্বলে উঠলো দীপশিখা)

ওম্ শান্তি। বাবা বলেন, তোমরা হলে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়, তোমাদেরকে এখন দেবতা সম্প্রদায় বলা যাবে না। তোমরা এখন ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়, এরপরে দেবতা সম্প্রদায় হবে। এই যে রামায়ণ রয়েছে, আজ (দশহরার দিন) যেন তাদের রামায়ণ শেষ হতে চলেছে, কিন্তু শেষ হয় না। যদি রাবণ মরে যায় তাহলে রামায়ণের কাহিনী শেষ হওয়া উচিত কিন্তু শেষ হয় না। মহাভারতের মাধ্যমে মুক্তি হয়। এখন এটাও বোঝার বিষয়, রামায়ণ কি এবং মহাভারত কি ? দুনিয়া তো এই বিষয়গুলো জানে না। রামায়ণ এবং মহাভারত, উভয়ের মধ্যে কানেকশন্ রয়েছে। মহাভারতের যুদ্ধের দ্বারা রাবণ রাজ্যের সমাপ্তি হয়। তারপর, এই দশহরা ইত্যাদি উদযাপন করার প্রয়োজন হবে না। গীতা এবং মহাভারতও রাবণ রাজ্যের বিনাশ করে। এখন তো টাইম আছে, প্রস্তুতিও হচ্ছে – সেগুলি হলো হিংসাত্মক, তোমাদের হলো অহিংস। গীতা হলো তোমাদের, তোমরা গীতার জ্ঞান শোনো। এর মাধ্যমে কি হবে ? রাবণরাজ্য বিনাশ হবে। যদিও তারা রাবণকে হত্যা করে, কিন্তু রামরাজ্য তো হয় না। রামায়ণ এবং মহাভারত তো আছে, তাই না ! মহাভারত আছে রাবণকে ধ্বংস করার জন্য। এটা খুব গভীরভাবে বোঝার বিষয়, এতে বিশাল বুদ্ধির প্রয়োজন। বাবা বোঝান, মহাভারতের যুদ্ধের দ্বারা রাবণরাজ্য বিনাশ হয়। এমন নয় যে, কেবল রাবণকে হত্যা করলে রাবণরাজ্য ধ্বংস হয়ে যায় ! এর জন্য তো সঙ্গমযুগের প্রয়োজন, এখন হলো সঙ্গমযুগ। এখন তোমরা প্রস্তুতি করছো, রাবণের উপরে বিজয় প্রাপ্তির জন্য। এতে জ্ঞানের অস্ত্রশস্ত্র প্রয়োজন, শারীরিক অস্ত্র নয়। যেমন রাবণ এবং রামের যুদ্ধ হয়েছে দেখিয়েছে, এ’সব শাস্ত্র হলো ভক্তিমার্গের। এখন তোমরা রাবণ রাজ্যের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করো যোগবলের দ্বারা। এটা হলো গুপ্ত বিষয়। ৫ বিকার রূপী রাবণের উপরে তোমাদের বিজয় হয়। কিসের মাধ্যমে ? গীতার মাধ্যমে। বাবা তোমাদেরকে গীতা শোনাচ্ছেন। এটা তো ভাগবৎ নয়। ভাগবতে কৃষ্ণের চরিত্র দেখানো হয়েছে। কৃষ্ণের চরিত্র কিছু তো নেই। তোমরা জানো যে, যখন বিনাশ হবে, মহাভারতের যুদ্ধ সংঘটিত হবে, এর দ্বারাই রাবণরাজ্য বিনাশ হয়ে যাবে। সিঁড়ির চিত্রেও দেখানো হয়েছে। যখন রাবণের রাজ্য শুরু হয়েছে, তখন থেকে ভক্তিমার্গ শুরু হয়েছে। এটা কেবল তোমরাই জানো। গীতার কানেকশন্ আছে মহাভারতের যুদ্ধের সঙ্গে। তোমরা গীতা শুনে রাজত্ব প্রাপ্ত করো এবং যুদ্ধ সংঘটিত হয় পৃথিবীর সাফাইয়ের জন্য। এছাড়া ভাগবতে চরিত্র ইত্যাদি সব বানানো । শিব পুরাণে কিছুই নেই, নাহলে গীতার নাম হওয়া উচিত শিব পুরাণ। শিববাবা বসে জ্ঞান দেন – সবথেকে শ্রেষ্ঠ হলো গীতা। গীতা সব শাস্ত্রের থেকে ছোটো, অন্য সকল শাস্ত্র বেশ বড় বানিয়েছে। মানুষের জীবন কাহিনীও অনেক বড়-বড় বানিয়েছে। নেহেরুর শরীর ত্যাগের পর, তাঁর জীবন কাহিনীর কত বড় ভলিউম বানিয়েছে। গীতা হল শিব বাবার, তাঁর ভলিউম তবে তো অনেক বড় বানানো উচিত । কিন্তু গীতা কতো ছোটো, কারণ বাবা কেবল একটাই কথা বলেন – আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে এবং চক্রকে বোঝো। এইজন্যই গীতা ছোটো বানিয়েছে। এই জ্ঞান হলো শেখার জন্য। তোমরা জানো যে, লোকেরা গীতার লকেট তৈরি করে, তাতে খুব ছোটো অক্ষরে লেখা থাকে। এখন বাবাও তোমাদের গলায় লকেট পরাচ্ছেন – ত্রিমূর্তির এবং রাজত্বের। বাবা বলেন গীতা হলো দুটি শব্দ – অল্ফ এবং বে। এটা হলো মনমনাভব’র গুপ্ত মন্ত্রের লকেট, আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। তোমাদের কাজ হলো যোগবলের দ্বারা বিজয় প্রাপ্ত করা, তারপর তোমাদের জন্য সাফাইও প্রয়োজন। বাবা বোঝান যে, তোমাদের যোগবলের দ্বারাই রাবণ রাজ্যের বিনাশ হবে। রাবণরাজ্য কখন শুরু হয়েছে, এটাও কেউ জানে না। এই জ্ঞান খুবই সহজ। সেকেন্ডের বিষয়, তাই না ! ৮৪ জন্মের সিঁড়ির চিত্রে এত’গুলো জন্ম নিয়েছো, কত সহজ ! বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, জ্ঞান শোনানোর জন্যই আসেন। তোমরা সমস্ত মুরলীর কাগজ যদি একসাথে করো তাহলে অনেক হয়ে যাবে। বাবা ডিটেলে বোঝান। তিনি সংক্ষেপে বলেন – অল্ফ’কে (বাবা) স্মরণ করো, এছাড়া বাকি সময় কিসে খরচ করো ? তোমাদের মাথার উপরে পাপের অনেক বোঝা রয়েছে, স্মরণের দ্বারাই নামবে, এতে পরিশ্রম লাগে। ক্ষণে ক্ষণে তোমরা ভুলে যাও। তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে থাকো, তাহলে কখনো বাধা-বিঘ্ন আসবে না। দেহ-অভিমানী হলে বাধা-বিঘ্ন আসে। দেহী-অভিমানী হও অন্তিমে। তারপর অর্ধেক কল্প কোনো বাধা-বিঘ্ন থাকবে না। এটা কত গভীর বোঝার বিষয়। শুরু থেকে বাবা কত কিছু শুনিয়েছেন, তা সত্ত্বেও তিনি বলেন কেবল অল্ফ (বাবা) এবং বে (বাদশাহী) – কে স্মরণ করো। ব্যস্। বৃক্ষেরই বিস্তার হয় । বীজ তো অনেক ছোটো হয়, গাছ বের হয় বিশাল। আজ তো দশহরা। এখন বাবা বোঝাচ্ছেন – রামায়ণের মহাভারতের সঙ্গে কি সম্পর্ক রয়েছে ? রামায়ণ তো ভক্তিমার্গের। অর্ধেক কল্প ধরে চলে আসছে, অর্থাৎ এখন রাবণরাজ্য চলছে। তারপর যখন মহাভারতের যুদ্ধ আসবে তখন রাবণরাজ্য বিনাশ হয়ে রামরাজ্য শুরু হবে। রামায়ণ এবং মহাভারতের মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে ? রামরাজ্যের স্থাপন এবং রাবণরাজ্যের বিনাশ হবে। গীতা শুনে তোমরা বিশ্বের মালিক হওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠো। গীতা এবং মহাভারতও এই সময়ের জন্য, রাবণরাজ্য বিনাশ হওয়ার জন্য। এছাড়া তারা যে যুদ্ধ দেখিয়েছে সে’সব ভুল। এই যুদ্ধ হলো ৫ বিকারের উপরে বিজয় প্রাপ্তির জন্য। বাবা তোমাদের গীতার দুটি শব্দ শোনাচ্ছেন – মনমনাভব-মধ্যাজীভব। গীতার শুরুতে এবং শেষে এই দুটি শব্দ দেখা যায়। বাচ্চারা বোঝে যে – এখন সত্যিকারের গীতার এপিসোড চলছে। কিন্তু কাউকে বললে তো বলবে কৃষ্ণ কোথায় ? বাবার বোঝানো এবং ভক্তিমার্গের শাস্ত্রের মধ্যে কত পার্থক্য রয়েছে ! এটা কেউ জানে না যে – এই রামায়ণ কি ? মহাভারত কি ? মহাভারতের যুদ্ধের পরেই স্বর্গের দরজা খুলে যায়। কিন্তু মানুষ এটা বুঝবে না, এইজন্য তোমরা বাবা’রই পরিচয় দাও। বাবা বলেন মামেকম্ স্মরণ করো, এ’কথা বাবা সমগ্র দুনিয়ার জন্য বলেন। কেবল গীতাকেই ভুলভাবে প্রচার করেছে। সমস্ত ভাষায় গীতার প্রচার আছে। তোমাদের রাজ্যে কেবল একটাই ভাষা হবে। ওখানে কোনো শাস্ত্র-পুস্তক ইত্যাদি থাকবে না। ওখানে ভক্তিমার্গের কোনো বিষয় থাকবে না। ভারতের সম্পর্ক রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত এবং গীতার সঙ্গে। ভগবান তো বাচ্চাদের গীতা শোনান, যার মাধ্যমে তোমরা স্বর্গের মালিক হও। মহাভারতের যুদ্ধ অবশ্যই হবে, যাতে পতিত দুনিয়া বিনাশ হয়ে যায়। গীতার মাধ্যমে তোমরা পবিত্র হও। পতিত-পাবন ভগবান অন্তিমেই আসেন। তিনি বলেন কাম হলো মহাশত্রু, এর উপরে বিজয় প্রাপ্ত করতে হবে। কাম বিকারের দ্বারা কখনও পরাজিত হবে না, এর দ্বারা অনেক লোকসান হয়। বিকারের কারণে অনেক বড়-বড় নামকরা ব্যক্তি, মিনিস্টার ইত্যাদিও নিজেদের নাম বদনাম করে ফেলে। কাম বিকারের কারণে অনেকে খারাপ হয়ে যায়। এইজন্য বাবা বোঝান – বাবার কাছে অনেক তরুণ বাচ্চারাও আসে, এইরকম অনেকে আছে যারা ব্রহ্মচর্য পালন করে, সারাজীবন বিয়ে করে না। এইরকম অনেক ফিমেলসও আছে। সন্ন্যাসীরা কখনো বিকারে লিপ্ত হয় না, কিন্তু এর মাধ্যমে কোনো প্রাপ্তি হয় না। এখানে তো বিষয় হলো পবিত্র হয়ে জন্ম-জন্মান্তরের জন্য স্বর্গের মালিক হওয়া। জন্ম-জন্মান্তরের পাপের বোঝা মাথার উপরে রয়েছে। যখন এই পাপের বোঝা কেটে যাবে তখন স্বর্গে যেতে পারবে। এখানে মানুষ পাপ করতে থাকে। সম্ভবত, এক জন্ম কেউ সন্ন্যাসী হয়, কিন্তু বিকারের দ্বারাই তো জন্ম নেয়। রাবণরাজ্যে বিকার ছাড়া জন্ম হয় না। কেউ কেউ জিজ্ঞেস করে, ওখানে জন্ম কিভাবে হবে ? যোগবল কাকে বলে ? এ’সব জিজ্ঞাসা করার দরকার নেই। ওখানে হলোই সম্পূর্ণ নির্বিকারী দুনিয়া। রাবণ রাজ্যই থাকে না, তাই প্রশ্ন উঠতে পারে না। সবকিছু সাক্ষাৎকার হবে। যখন কেউ বৃদ্ধ হয়ে যায় তখন সাক্ষাৎকার হয় কিভাবে শিশু হয়ে জন্মগ্রহণ করবে, মাতৃগর্ভে প্রবেশ করবে। এটা জানে না যে সে অমুক ঘরে যাবে। কেবল এটা জানে যে, আবার ছোটো শিশু হয়ে জন্ম নিতে চলেছে। ময়ূর এবং ময়ূরীর উদাহরণ আছে – চক্ষু রসের দ্বারা গর্ভ ধারণ হয় (ময়ূরের চক্ষুরস দ্বারা)। পেঁপে গাছগুলিও একটা মেল এবং একটা ফিমেল পেঁপে গাছ লাগানো হয়, গাছ দুটি পাশাপশি থাকলে ফল দেয়। এটাও ওয়ান্ডার ! যখন জড় বস্তুতেও এইরকম হয় তাহলে চৈতন্য রূপে সত্যযুগে কি না হতে পারে ! এই সমস্ত ডিটেল ভবিষ্যতে বুঝতে পেরে যাবে। মুখ্য বিষয় হলো তোমরা বাবাকে স্মরণ করে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে উত্তরাধিকার তো নিয়ে নাও। তারপর ওখানের রীতিনীতি যা হবে দেখতে পাবে। তোমরা যোগবলের দ্বারা বিশ্বের মালিক হও, তাহলে বাচ্চা কেন জন্ম হতে পারে না ! অনেকে এইরকম প্রশ্ন করে, যখন কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর পায় না তখন ভেঙে পড়ে। সামান্য বিষয়েও সংশয় এসে যায়। শাস্ত্রে এমন কোনো বিষয় নেই। শাস্ত্র হলো ভক্তিমার্গের। পরমপিতা পরমাত্মা এসে ব্রাহ্মণ ধর্ম, সূর্যবংশী এবং চন্দ্রবংশী ধর্মের স্থাপন করেন। ব্রাহ্মণরা হলো সঙ্গমযুগী। বাবাকে সঙ্গমযুগে আসতে হয়। আহ্বানও করে, হে পতিত-পাবন এসো। বিদেশের লোকেরা বলে, হে লিব্রেটর (মুক্তিদাতা), দুঃখ থেকে লিবারেট (মুক্ত) করো। দুঃখ কে দেয় – এটাও তারা জানে না। তোমরা জানো রাবণ রাজ্যের বিনাশ হতে চলেছে। বাবা তোমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন। যখন পড়াশোনা সম্পূর্ণ হয় তখন বিনাশ হয়, যার নাম মহাভারত রাখা হয়েছে। মহাভারতের মাধ্যমে রাবণরাজ্য বিনাশ হয়। দশহরায় কেবল রাবণ দহন হয়, ওটা হলো সীমিত জগতের (হদের) কথা। এ হলো অসীমের (বেহদের) কথা। এই সমগ্র দুনিয়া বিনাশ হয়ে যাবে। এত ছোটো-ছোটো বাচ্চারা কত বড় নলেজ প্রাপ্ত করছে ! ওই পার্থিব নলেজ তেলের মতো, এই জ্ঞান হলো বিশুদ্ধ ঘি। রাত-দিনের পার্থক্য রয়েছে, তাই না ! রাবণ রাজ্যে তোমাদের তেল খেতে হয়। আগে কত সস্তায় বিশুদ্ধ ঘি পাওয়া যেত, তারপর ব্যয়বহুল হয়ে যাওয়ার কারণে তেল খেতে হয়। এই গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি আগে কিছুই ছিল না। গত কয়েক বছরে কত কিছু বদলে গেছে। এখন তোমরা জানো সবকিছু বিনাশ হতে চলেছে। শিববাবা আমাদের লক্ষ্মী-নারায়ণের মতো হওয়ার জন্য পড়াচ্ছেন। এই নেশা তো এই বাবার অনেক রয়েছে। বাচ্চাদেরকে মায়া ভুলিয়ে দেয়। যখন বলো যে, আমরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিতে এসেছি তাহলে নেশা চড়ে না কেন ? সুইট হোম, সুইট রাজধানী ভুলে যাও। বাবা জানেন যারা যারা হাড় দিয়ে সার্ভিস করে তারা’ই মহান-রাজকুমার হবে। তোমাদের এই নেশা কেন থাকে না ? কারণ স্মরণে থাকো না, সার্ভিসে সম্পূর্ণ নিযুক্ত থাকো না। কখনো সার্ভিসের প্রতি প্রচুর উৎসাহ থাকে, কখনো অলস হয়ে যাও। এটা প্রত্যেকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করো – এইরকম হয় কিনা ! কখনো কখনো ভুলও হয়ে যায়, এইজন্য বাবা বোঝাচ্ছেন। খুব মিষ্টি করে কথা বলতে হবে, সবাইকে খুশি করতে হবে। কারও যেন উত্তেজনা না আসে। বাবা তো ভালোবাসার সাগর। মানুষ এখন গো জবাই (বধ) বন্ধ করার জন্য কতো প্রচেষ্টা করছে। বাবা বলেন সবথেকে বড় বধ হলো কাম কাটারী চালানো, আগে এটা বন্ধ করো। এছাড়া সেসব তো বন্ধ হওয়ার নয়, যতই চেষ্টা করতে থাকুক। এই কাম কাটারী, উভয়ই চালানো উচিত নয়। কোথায় মানুষের কথা, আর কোথায় বাবার কথা ! যে কাম বিকারকে জয় করবে, সে-ই পবিত্র দুনিয়ার মালিক হবে।

আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার সমান ভালোবাসার সাগর হতে হবে। কখনো উত্তেজনায় আসা উচিত নয়। খুব মিষ্টি করে কথা বলতে হবে। সবাইকে খুশি করতে হবে।

২ ) প্রতিটি হাড় দিয়ে সার্ভিস করতে হবে। নেশায় থাকতে হবে, এখন আমরা এই পুরানো শরীর ত্যাগ করে গিয়ে প্রিন্স-প্রিন্সেস হবো।

বরদানঃ-

সেবাধারীর কর্তব্য হলো ক্রমাগত সেবায় নিয়োজিত থাকা – মনসা সেবা হোক অথবা বাচা বা কর্মণা সেবা হোক। সেবাধারী কখনো সেবাকে নিজের থেকে আলাদা মনে করে না। যাদের বুদ্ধিতে সর্বদা সেবার নেশা থাকে তাদের লৌকিক প্রবৃত্তি পরিবর্তন হয়ে ঈশ্বরীয় প্রবৃত্তি হয়ে যায়। সেবাধারী ঘরকে ঘর মনে করে না বরং, সেবাস্থান মনে করে চলে। সেবাধারীর মুখ্য গুণ হলো ত্যাগ। ত্যাগ মনোভাবকারী প্রবৃত্তিতে তপস্বীমূর্তি হয়ে থাকে, যার দ্বারা স্বাভাবিকভাবেই সেবা হয়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top