14 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

14 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

13 November 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"বরদাতাকে রাজী (খুশী) করবার সহজ বিধি"

আজ বরদাতা বাবা তাঁর বরদানী বাচ্চাদেরকে দেখে প্রফুল্লিত হচ্ছেন। বরদাতার সব বাচ্চারাই হল বরদানী, কিন্তু নম্বরক্রমে। বরদাতা সকল বাচ্চাদেরকে ঝুলি ভরে ভরে বরদান দেন, তৎসত্বেও নম্বরক্রম কেন ? বরদাতা দেওয়ার ব্যাপারে নম্বরক্রমানুসারে দেন না, কেননা বরদাতার কাছে অগাধ বরদান রয়েছে, যত খুশী নিতে চাও ভান্ডার সম্পূর্ণ উন্মুক্ত। এই রকম খোলা ভান্ডার থেকে অনেক বাচ্চাই সর্ব বরদানে সম্পন্ন হয়ে যায় আবার অনেক বাচ্চা যথা শক্তি তথা সম্পন্ন হয়ে থাকে । সব থেকে বেশী ঝুলি ভর্তি করে দিয়ে থাকেন ভোলানাথ, ‘বরদাতা’ রূপেই। পূর্বেও বলেছি – দাতা, ভাগ্যবিধাতা আর বরদাতা – তিন রূপের মধ্যে ‘বরদাতা’ রূপকেই ভোলা ভগবান বলা হয়ে থাকে। কেননা বরদাতা খুব তাড়াতাড়ি তুষ্ট (রাজী) হয়ে যান। এই রাজী করবার বিধি যদি জ্ঞাত হয়ে যাও, তাহলে সিদ্ধি অর্থাৎ বরদানের দ্বারা ঝুলি সম্পন্ন থাকা অত্যন্ত সহজ হয়ে যায়। বরদাতাকে রাজী করবার সব থেকে সহজ বিধি তোমরা জানো ? তাঁর কাছে সব থেকে প্রিয় কে ? একটি শব্দ তাঁর অত্যন্ত প্রিয়, যে বাচ্চারা ‘একব্রতা’ আদি থেকে এখন পর্যন্ত, তারাই হল বরদাতার অত্যন্ত প্রিয়।

একব্রতা অর্থাৎ কেবল পবিত্রতা নয়, সর্ব সম্বন্ধে ‘একব্রতা’ । সংকল্পেও, স্বপ্নেও দ্বিতীয় কেউ থাকবে না – এই সুদৃঢ় ব্রত ধারণ করেছে। কোনো কোনো বাচ্চা একব্রতা হওয়ার ব্যাপারে বড়ই চাতুরী করে। কোন্ চাতুরী ? বাবাকেই মিষ্টি মিষ্টি ভাবে শুনিয়ে দেয় যে – বাবা, শিক্ষক, সদ্গুরুর মুখ্য সম্বন্ধ তো বাবা তোমার সাথেই রয়েছে, কিন্তু সাকার শরীরধারী থাকার কারণে, সাকারী দুনিয়াতে থাকার কারণে সাকারী সখা বা সখী সহযোগের জন্য, সেবার জন্য, বুদ্ধি পরামর্শের জন্য সাকারে থাকা তো খুবই দরকার। কেননা বাবা তো হলেন নিরাকার আর আকার, সেইজন্য কেবল সেবার সাথী, আর তো কিছু নয় ! কেননা নিরাকারী, আকারী মিলনে মিলত হওয়ার জন্য নিজেকেও আকারী, নিরাকারী স্থিতিতে স্থিত করতে হয়। সেটা কখনো কখনো বেশ কঠিনই হয়ে থাকে। সেইজন্য সেই সময়ের জন্য সাকার সাথী চাই। যখন মাথার মধ্যে অনেক রকমের চিন্তার রাশি ভর্তি হয়ে যাবে তখন কী করবে ? সে’গুলো শোনার জন্য লোকও তো চাই না ? একব্রতা আত্মার কাছে এই সব কথার বোঝা জমা হয় না যে শোনার জন্য কাউকে চাই। একদিকে বাবাকে খুব খুশী করতে থাকো – ব্যস্, তুমিই সর্বদা আমার সাথে রয়েছো, বাবা সদা আমার সাথে রয়েছে, সাথী। তাহলে তখন কোথায় চলে যায় ? বাবা চলে যায় নাকি তুমি দূরে সরে যাও তখন ? সব সময় সাথে রয়েছেন নাকি কেবল ৬ – ৮ ঘন্টা সাথে আছে ? প্রতিজ্ঞা কী ছিল ? সাথে আছেন, সাথে থাকবো, সাথে যাবো – এই অঙ্গীকার দৃঢ় আছে তো ? ব্রহ্মা বাবার সাথে তো এই প্রতিজ্ঞা রয়েছে যে পুরো চক্র তার সাথে পার্ট প্লে করবো। যখন এইরকম অঙ্গীকার রয়েছে, তবে সাকারে কী কোনো বিশেষ সাথীকে চাই ?

বাপদাদার কাছে সকলের জন্মপত্রিকা রয়েছে । বাবার সামনে তো বলে থাকো তুমিই আমার সাথী। যখন পরিস্থিতি আসে, তখন বাবাকেই বোঝাতে থাকে তা তো হবেই, এটুকু তো থাকতেই হবে…। একে একব্রতা বলা যাবে ? তারা সবাই সাথী হলে সবাই সাথী, বিশেষ বলে কেউ নেই। একে বলা হবে – একব্রতা। তো বরদাতার এই রকম বাচ্চারা হল অত্যন্ত প্রিয়। এই রকম বাচ্চাদের সব সময়ের সকল দায় দায়িত্ব বরদাতা বাবা স্বয়ং নিজে বহন করেন। এই রকম বরদানী আত্মারা সকল সময়, সকল পরিস্থিতিতে বরদানের দ্বারা প্রাপ্তি সম্পন্ন স্থিতি অনুভব করে থাকে আর সদা সহজে পার করে থাকে আর পাস উইথ অনার হয়ে যায় । যখন বরদাতা সকল দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এভাররেডি রয়েছেন, তবে নিজের ওপরে দায়িত্বের বোঝা কেন তুলছো ? নিজের দায়িত্ব মনে করো বলেই পরিস্থিতিতে পাস উইথ অনার হতে পারো না, ধাক্কা খেতে খেতে পাশ হতে থাকো। ‘কারো সাথ’ এর ধাক্কা চাই তোমাদের। যদি ব্যাটারী ফুল চার্জ না থাকে তবে কার’কে ধাক্কা দিয়ে চালাতে হয়। তো ধাক্কা একা তো দেবে না, সাথে কাউকে চাই। সেইজন্য বরদানী নম্বর অনুক্রমে হয়ে যায়। তাই বরদাতার একটি শব্দ খুব প্রিয় – ‘একব্রতা’। এক বল এক ভরসা। এক এর ভরসা অপর জনের বল – এই রকম বলা হয় না। ‘এক বল এক ভরসা’ – এটাই বলা হয়। তার সাথে সাথে একমত। না মনমত না পরমত। একরস – না আর কোনো ব্যক্তি না বৈভবের প্রতি রস। এই রকমই একতা, একান্তপ্রিয়। সুতরাং ‘এক’ শব্দই প্রিয় হল, তাই না ? এই রকমের আরো কয়েকটি শব্দ বের ক’রো।

বাবা এতই ভোলা যে, এক এই রাজী হয়ে যান। এইরকম ভোলানাথ বরদাতাকে রাজী করানো কী কঠিন মনে হয় ? কেবল ‘এক’ এর পাঠ পাকা করো। ৫ বা ৭ এ যাওয়ার দরকার নেই। বরদাতাকে যে রাজী করায় সে অমৃতবেলার থেকে রাত্রি পর্যন্ত প্রত্যেক দিনের দিনচর্যায় কর্মে বরদানের দ্বারাই প্রতিপালিত হয়, চলতে থাকে আর উড়তে থাকে। এই রকম বরদানী আত্মাদের কখনোই কোনো কিছু কঠিন বলে মনে হয়, না মানসিক দিক থেকে, না সম্বন্ধ-সম্পর্কের দিক থেকে। প্রতিটি সংকল্পে, প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি কর্মে, প্রতিটি কদমে ‘বরদাতা’ আর ‘বরদান’ সদা সমীপ, সম্মুখে সাকার রূপে অনুভব হবে । তারা এই রকম অনুভব করবে যেন সাকারে কথা বলছে। তাদের পরিশ্রম অনুভব হবে না। এই রূপ বরদানী আত্মাদের এই বিশেষ বরদান প্রাপ্ত হয়, যার দ্বারা তারা নিরাকার-আকার’কে যেন সাকারে অনুভব করতে পারছে। এইরূপ বরদানীদের সামনে হুজুর সদা হাজির হয়ে যান, শুনলে ? বরদাতাকে রাজী করবার বিধি আর সিদ্ধি – সেকেন্ডে করতে পারো ? শুধু এক এর সাথে দ্বিতীয়কে মিলিও না, ব্যস্। পরে বলবো – এক এর পাঠ বিস্তারিত ভাবে।

বাপদাদার কাছে সব বাচ্চাদের চরিত্রও রয়েছে তো চাতুরীর খবরও আছে। বাপদাদার কাছে সব রেজাল্টই তো আছে, তাই না ? অনেক চাতুরীর কথাও জমা হয়েছে। নতুন নতুন কথা শুনিয়ে থাকে। শুনতে থাকি । বাপদাদা নাম নেবেন না, সেই কারণে মনে করে যে বাপদাদা জানতে পারেন না। তা সত্ত্বেও বাপদাদা চান্স দিয়ে যেতে থাকেন। বাবা বোঝান যে, বাচ্চারা সত্যিই বোঝার ব্যাপারে ভোলা। কিন্তু এই রকম ভোলা হয়ো না। আচ্ছা।

বিদেশ পরিক্রমা করেও বাচ্চারা পৌঁছে গেছে। (জানকী দাদী, ডক্টর নির্মলতা আর জগদীশ ভাই বিদেশ পরিক্রমা করে ফিরেছে)। রেজাল্ট বেশ ভালো। আর সদাই সেবার সফলতাতে বৃদ্ধি হবেই। বিশেষ সেবার ক্ষেত্রে ইউ. এন. এরও সম্বন্ধ রয়েছে। নাম হল তাদের কিন্তু কাজ তো তোমাদেরই চলছে। আত্মাদের কাছে যাতে সহজ ভাবে ঈশ্বরের বার্তা পৌঁছে যায় – তোমাদের এই কাজ চলছে। সুতরাং ওখানকার প্রোগ্রামও খুব ভালো হয়েছে । রাশিয়াও বাদ থেকে গেছিল, তাকেও আসতেই হতো। বাপদাদা তো পূর্বেই সফলতার স্মরণের স্নেহ-সুমন দিয়ে দিয়েছিলেন। ভারতের অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেছো, তাই ভারতেরই তো সুনাম হল। চক্রবর্তী হয়ে চক্র বা পরিক্রমাতে আনন্দ হয়, তাই না ? কতো আশীর্বাদ জমা করে এসেছো ! নির্মল-আশ্রমও (ডঃ নির্মলতা) পরিক্রমা করতে থাকে। এমনিতে তো সবাই সেবাতে ব্যস্ত রয়েছো, কিন্তু সময়ানুসারে বিশেষ সেবা হলে বিশেষ সেবার জন্য অভিনন্দন দিচ্ছেন । তোমরা তো সেবা ছাড়া থাকতে পারো না। লন্ডন, আমেরিকা, আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়া – তোমরা এই চারটি জোনের কথাই তো বললে তাই তো ? পঞ্চম হল ভারত। ভারতীয়রা প্রথমে চান্স পেয়েছে মিলিত হওয়ার। যা কিছু করে এলে আর পরে আরও যা যা কিছু করবে – সবই ভালো হয়েছে আর ভালো হবেও। চারটি জোনের সব ডবল বিদেশী বাচ্চাদের আজ বিশেষ স্মরণের স্নেহ-সুমন জানাচ্ছি। রাশিয়াও এশিয়ার মধ্যে এসে যায়। সেবার রেসপন্স ভালোই পাওয়া যাচ্ছে, সহায়তাও প্রাপ্ত হচ্ছে আর প্রাপ্ত হতেও থাকবে। ভারতেও এখন বিশাল প্রোগ্রাম করবার প্ল্যান তৈরী হচ্ছে। এক এক জনকে বিশেষত্ব আর সেবার প্রতি একাগ্রতায় মগ্ন থাকার জন্য অভিনন্দন আর স্মরণের স্নেহ-সুমন । আচ্ছা।

সকল বাচ্চাদেরকে সদা সহজে চলবার সিদ্ধি প্রাপ্ত করবার যে যে সহজ যুক্তি বলেছি, সেই বিধিকে সদা প্রয়োগে নিয়ে আসা প্রয়োগী আর সহজযোগী, সদা বরদাতার বরদান গুলির দ্বারা সম্পন্ন বরদানী বাচ্চাদেরকে, সদা ‘এক’ এর পাঠ প্রতি কদমে সাকার স্বরূপে নিয়ে আসতে পারা, সদা নিরাকার আকার বাবার সাথের অনুভূতির দ্বারা সাকার স্বরূপে নিয়ে আসতে পারে, এই রূপ বরদানী বাচ্চাদেরকে বাপদাদার দাতা, ভাগ্যবিধাতা আর বরদাতার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার ।

দাদী জানকী জীর প্রতি – সকলকে যতখানি বাবার ভালবাসা ছড়িয়ে দিতে থাকেন ততই ভালবাসার ভান্ডার বৃদ্ধি পেতে থাকে। যেন সব সময় ভালোবাসার বর্ষণ হতে থাকছে – এই রকমই অনুভব হয় তাই না ? এক কদমে ভালোবাসা দাও আর বার বার ভালবাসা নাও। সকলে ভালোবাসাই চায়। জ্ঞান তো শুনে নিয়েছো তাই না ? তো এক তো এমন বাচ্চারা রয়েছে যাদের চাই ভালোবাসা আর দ্বিতীয় হল যাদের শক্তি চাই । তাহলে কী সেবা করলে? এই সেবাই করলে তো যে – কাউকে ভালোবাসা দিলে বাবার দ্বারা আর কাউকে বাবার থেকে শক্তি প্রাপ্ত করিয়েছো। জ্ঞানের রহস্যকে তো জেনে গেছো। এখন চাই তাদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা যাতে সদা অটুট থাকে, সেটাই ওঠা নামা করে। তবুও বাপদাদা ডবল বিদেশী বাচ্চাদেরকে শাবাশী দিচ্ছেন – অন্য ধর্মে চলে গেছো তাই না ? অন্য দেশ, অন্য রকমের সব লোকাচার – তা সত্ত্বেও এই পথে তোমরা চলছো আর কেউ কেউ তো উত্তরাধিকারও বেরিয়ে আসছে ! আচ্ছা !

মহারাষ্ট্র – পুনা গ্রুপ : – সকলে মহান আত্মা হয়ে গেছো না ? আগে নিজেদেরকে কেবল মহারাষ্ট্র নিবাসী বলতে, এখন নিজেরাই মহান হয়ে গেছো। বাবা প্রতিটি বাচ্চাকে মহান বানিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বে তোমাদের থেকেও মহান আর কে ? সবথেকে নীচে ভারতবাসীরই পতন হয়েছে আর তার মধ্যে বিশ্বে ৮৪ জন্ম গ্রহণকারী ব্রাহ্মণ আত্মা যারা, তারা নীচে নেমে গেছে । তো যতখানি নীচে নেমেছে ততই উঁচুতে উঠে গেছে। সেইজন্য বলা হয় ব্রাহ্মণ অর্থাৎ উঁচু শিখা। উঁচু স্থানেকে শিখা বা চোটি বলা হয়। পাহাড়ের সর্বোচ্চ স্থানেকে শিখা বলা হয়। তো এই আনন্দ রয়েছে যে আমরা কী থেকে কী হয়ে গেছি ! পান্ডবদের খুশী বেশী নাকি শক্তিদের ? (শক্তিদের) কেননা শক্তিদেরকে অনেক নীচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বাপর থেকে পুরুষ শরীরই কোনো না কোনো পদ প্রাপ্ত করে এসেছে । ধর্মের ক্ষেত্রেও বর্তমানে ফিমেলরাও মহামন্ডলেশ্বরী হচ্ছে। নাহলে তো মহামন্ডলেশ্বরাই এতকাল ছিল। যখন থেকে বাবা মাতা’দের সামনে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন, তখন থেকেই তারা ২ – ৪ জন মন্ডলেশ্বরীদেরকে রাখা শুরু করেছে। নাহলে তো ধর্মের কার্যে মাতাদেরকে কখনোই স্থান দেওয়া হত না। সেইজন্য মাতা’দের খুশী অত্যন্ত বেশী আর পান্ডবদেরও প্রশস্তি রয়েছে । পান্ডবরা বিজয় প্রাপ্ত করে নিয়েছে। নাম পান্ডবদেরও করা হয়, কিন্তু পূজন শক্তিদের বেশী হয়ে থাকে। এতকাল গুরু পূজন হয়ে এসেছে, এখন হল শক্তিদের। জাগরণ গণেশ বা হনুমানের করে না, শক্তিদের করে থাকে। কারণ শক্তিরা এখন জেগে গেছে। তাহলে শক্তিরা এখন শক্তি রূপে স্লোগান আছো তো ? নাকি কখনো কখনো দুর্বল হয়ে যাও ? মাতাদেরকে দুর্বল করে দেয় সম্বন্ধের মোহ। কিছুটা ছেলেপুলেদের, কিছুটা নাতিপুতিদের প্রতি মোহ থাকে। আর পান্ডবদেরকে কোন্ বিষয়টি দুর্বল করে দেয় ? অহংকারের কারণে পান্ডবদেরও ক্রোধ খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে। কিন্তু এখন তো ক্রোধের ওপরে বিজয়ী হয়ে গেছো তো না ? এখন তো শান্ত স্বরূপ পান্ডব হয়ে গেছো আর মাতা’রা নির্মোহী হয়ে গেছো। দুনিয়া বলছে মাতা’দের মধ্যে খুব বেশী মোহ থাকে আর তোমরা মাতা’রা চ্যালেঞ্জ করতে পারবে যে আমরা নির্মোহী ।এই রকমই পান্ডবও শান্ত স্বরূপ, কেউ সামনে এলে তোমাদের এই কামালকে দেখে তারা এই বাহবা’র গীত গেয়ে উঠবে যে, এরা তো একেবারে শান্ত স্বরূপ হয়ে গেছে, এতটুকুও ক্রোধের অংশও এদের মধ্যে দেখা যায় না। চোখে মুখেও নেই। কেউ কেউ এমনও বলে – ক্রোধ তো নেই, কিন্তু একটু আধটু উত্তপ্ত হই মাত্র। সেটা আর এমন কি ! সেটাও তো ক্রোধের অংশই হল তাই না ? তো পান্ডব হল বিজয়ী অর্থাৎ সংকল্পেও একেবারেই শান্ত। কথায় এবং কর্মেও শান্ত স্বরূপ। মাতা’রা সমগ্র বিশ্বের সামনে নিজেদের নির্মোহ রূপ দেখাও। লোকে মনে করে এ তো অসম্ভব ব্যাপার আর তোমরা বলবে – সম্ভব এবং খুব সহজেই সম্ভব। লক্ষ্যকে স্থির রাখো তাহলে লক্ষণ অবশ্যই চলে আসবে। যেমন স্মৃতি তেমনই স্থিতি হয়ে যাবে । ধরনীতে মাতা-পিতার ভালোবাসার জল সিঞ্চন হয়েছে, সেইজন্য ফল সহজেই নির্গত হচ্ছে। খুব ভালো। বাপদাদা সেবা আর স্ব-উন্নতি – এই দুটিকেই দেখে খুশী হচ্ছেন, কেবল সেবাকে দেখে নয়। যতখানি সেবাতে বৃদ্ধি ততটাই স্ব-উন্নতি – দুটোই যেন সাথে সাথে থাকে। কোনো ইচ্ছা নয়, যখন আপনিই সব প্রাপ্তি হয়ে যায়, তাহলে ইচ্ছা কেন রাখবে ? না বলে, না চেয়ে এত পাওয়া যায় যে চাওয়ার ইচ্ছার আবশ্যকতা নেই। তাহলে এই রকম সন্তুষ্ট হয়েছো তাই না ? এই টাইটেল নিজেদের স্মৃতিতে রাখবে যে আমি সন্তুষ্ট আর সকলকে সন্তুষ্ট করে প্রাপ্তি স্বরূপ বানাবো। তাহলে ‘সন্তুষ্ট থাকা আর সন্তুষ্ট করা’ – এটাই হল বিশেষ বরদান। অসন্তুষ্টতার নামটুকুও নয়। আচ্ছা ।

গুজরাত গ্রুপ : – ব্রাহ্মণ জীবনে লাস্ট জন্ম হওয়ার কারণে শারীরিক ভাবে যত দুর্বলই হোক অথবা অসুস্থ, চলতে পারব কিম্বা নাই পারুক, কিন্তু মনে মনে উড়তে তো পারে, তাই না ? কেননা বাপদাদা জানেন যে, ৬৩ জন্ম বিভ্রান্তির ঘূর্ণাবর্তে পড়ে দুর্বল হয়ে গেছে। শরীর তমোগুণী হয়ে গেছে। সেই কারণে দুর্বল হয়ে গেছে, রোগ পীড়িত হয়ে গেছে। কিন্তু মন সকলেরই ফিট। শারীরিক ভাবে ফিট না হলেও মনের দিক থেকে অসুস্থ কেউই নয়। মন সকলেরই ডানা মেলে ওড়ার মতো। পাওয়ারফুল মনের লক্ষণ হল – সেকেন্ডে যেখানে চাও পৌঁছে যাও। এই রকম পাওয়ারফুল হয়েছো নাকি কখনো কখনো দুর্বল হয়ে পড়তে পারো মন যখন উড়তে শিখে গেছে, প্র্যাক্টিস হয়ে গেছে সেকেন্ডে যেখানে ইচ্ছা পৌঁছে যেতে পারো। এখনই সাকার লোকে, এখনই পরমধামে এক সেকেন্ডের মধ্যে। তো এই রকম তীব্র গতিবেগ তো তোমাদের ? সদা নিজের ভাগ্যের গীত গাইতে গাইতে উড়তে থাকো। সর্বদা অমৃতবেলায় নিজের ভাগ্যের কোনো না কোনো কথাকে স্মৃতিতে রাখো, অনেক প্রকারের ভাগ্য প্রাপ্ত হয়েছে তোমাদের, অনেক প্রকারের প্রাপ্তি হয়েছে, কখনো এই প্রাপ্তিকে কখনো ওই প্রাপ্তিকে সামনে রাখো, তাহলে পুরুষার্থ অতীব রমণীয় হয়ে উঠবে। পুরুষার্থে কখনো বোর (এক ঘেয়েমি) মনে হবে না, নতুনত্ব অনুভব করবে। নইলে কোনো বাচ্চা বলে থাকে ব্যস্ – আমি হলাম আত্মা, আমি হলাম শিব বাবার বাচ্চা । একথা তো সব সময়ই বলছো। কিন্তু আমি আত্মাকে বাবা কী কী ভাগ্য দিয়েছেন, কী কী টাইটেল দিয়েছেন, কী কী খাজানা দিয়েছেন এই রকমের ভিন্ন ভিন্ন স্মৃতি রাখো। লিস্ট বের করো। স্মৃতির কতো বড় লিস্ট রয়েছে। কখনো খাজানা গুলিকে স্মৃতিতে রাখো, কখনো শক্তি গুলিকে স্মৃতিতে রাখো, কখনও গুণ গুলিকে রাখো, কখনো জ্ঞানকে রাখো, কখনো টাইটেল গুলিকে রাখো। ভ্যারাইটি থাকলে মনোরঞ্জন হয়ে যায়। কখনো কোনো মনোরঞ্জনের প্রোগ্রাম হলে তাতে ভ্যারাইটি ডান্স হবে, ভ্যারাইটি খাবার থাকবে, ভ্যারাইটি মানুষজনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হবে। তবেই তো মনোরঞ্জন হবে, তাই না ? সুতরাং সদা মনোরঞ্জনে থাকার জন্য ভ্যারাইটি প্রকারের বিষয়ের কথা ভাবো। আচ্ছা !

বরদানঃ-

পুরুষার্থের মুখ্য আধার হল ক্যাচিং পাওয়ার । সায়েন্স যেমন আগাম কোনো সাউন্ডকে ক্যাচ্ করে নেয়, সেই রকমই তোমরা সাইলেন্সের শক্তির দ্বারা তোমাদের আদি দৈবী সংস্কার গুলিকে ক্যাচ্ করো। তার জন্য সর্বদা এই স্মৃতি রাখো যে, আমি এই রকম ছিলাম আবারও এই রকমই হতে চলেছি। যত বেশী এই সংস্কার গুলিকে ক্যাচ্ করবে ততই তার স্বরূপ হয়ে উঠবে। ৫ হাজার বছরের সব কিছু এমন স্পষ্ট ভাবে অনুভূত হবে যেন গতকালকের ব্যাপার। নিজের স্মৃতিকে এতটাই শ্রেষ্ঠ আর স্পষ্ট বানাও, তবেই শক্তিশালী হবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top