14 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

14 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

13 June 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - ২১ জন্মের পূর্ণ প্রালব্ধ প্রাপ্ত করার জন্য বাবার কাছে সম্পূর্ণ বলি চড়ো, অসম্পূর্ণ নয়, বলি চড়া অর্থাৎ বাবার হয়ে যাওয়া"

প্রশ্নঃ --

কোন্ গুপ্ত বিষয়কে বোঝার জন্য অসীম জগতের বুদ্ধির প্রয়োজন ?

উত্তরঃ -:-

এ হলো অসীম জগতের বানানো ড্রামা, যা অতীত হয়ে গেছে, তাই ড্রামা । এখন এই ড্রামা সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে, আমরা ঘরে ফিরে যাবো, তারপর আবার নতুন ভাবে পার্ট শুরু হবে, এই গুহ্য বিষয় বোঝার জন্য অসীম জাগতিক বুদ্ধির প্রয়োজন । অসীম জগতের রচনার জ্ঞান অসীম জগতের পিতাই প্রদান করেন ।

প্রশ্নঃ --

মানুষ কোন্ বিষয়ে হায় – হায় করে কান্নাকাটি করে, আর তোমরা বাচ্চারা খুশী হও ?

উত্তরঃ -:-

অজ্ঞানী মানুষ সামান্য অসুস্থতাতেও কান্নাকাটি করে, তোমরা বাচ্চারা কিন্তু খুশী হও, কেননা তোমরা বুঝতে পারো, এও তোমাদের পুরানো হিসেব – নিকেশ পরিশোধ হচ্ছে ।

গান:-

তুমি রাত ঘুমিয়ে কাটালে ঘুমিয়ে, দিন কাটালে খেয়ে, অমূল্য এ জীবন বৃথা চলে যায়…

ওম শান্তি । বাস্তবে ওম্ শান্তি বলারও প্রয়োজন নেই, কিন্তু কোনো না কোনো বাচ্চাকে বোঝাতেই হয়, পরিচয় দিতেই হয় । আজকাল অনেকেই আছে, যারা ‘ওম্ শান্তি – ওম্ শান্তি’ জপতেই থাকে । অর্থ তো বোঝেই না । ‘ওম্ শান্তি’, অর্থাৎ আমি আত্মার স্বধর্ম শান্ত । এ তো ঠিক আছে, আবার ‘ওম্ শিবোহম্’ও বলে দিয়েছে, এ কিন্তু ভুল হয়ে গেলো । বাস্তবে এই গীত ইত্যাদিরও কোনো প্রয়োজন নেই । দুনিয়াতে আজকাল কানরস (বাইরের জগতের নানান চর্চা) অনেকই আছে । এই সব কানরসে লাভ কিছুই নেই । মনরস তো এখনই আসে এই এক বিষয়ের । বাবা বাচ্চাদের সম্মুখে বসে বোঝান, তিনি বলেন, তোমরা তো অনেক ভক্তি করেছো, এখন ভক্তির রাত সম্পূর্ণ হয়ে প্রভাত হচ্ছে । প্রভাতের অনেক গুরুত্ব । এই প্রভাতের সময়ই বাবাকে স্মরণ করতে হবে । প্রভাতের সময় ভক্তিও অনেক করা হয় । মানুষ মালাও জপ করে । এ সবই ভক্তিমার্গের নিয়ম চলে আসছে । বাবা বলেন – বাচ্চারা, এই নাটক সম্পূর্ণ হয়ে আসছে, আবার এই চক্র রিপিট হবে । ওখানে তো ভক্তির কোনো প্রয়োজন নেই । মানুষ নিজেই বলে, ভক্তির পরেই ভগবানকে পাওয়া যায় । তারা ভগবানকে স্মরণ করে, কারণ তারা দুঃখী । যখন কোনো বিপদ উপস্থিত হয় বা অসুস্থতা আসে, তখনই ভগবানকে স্মরণ করে, ভক্তরাই ভগবানকে স্মরণ করে । সত্যযুগ, ত্রেতাতে ভক্তি থাকে না । নাহলে সম্পূর্ণ ভক্তি অর্চনা হয়ে যাবে । ভক্তি, জ্ঞান এবং তারপরে আসে বৈরাগ্য । ভক্তির পরে দিন আসে । নতুন দুনিয়াকে দিন বলা হয় । ভক্তি, জ্ঞান আর বৈরাগ্য, এই অক্ষরই ঠিক । বৈরাগ্য কিসের ? পুরানো দুনিয়া, পুরানো সম্বন্ধ ইত্যাদি থেকে বৈরাগ্য । মানুষ চায়, আমরা মুক্তিধামে বাবার কাছে যাবো । ভক্তির পরে আমরা অবশ্যই ভগবানকে পাবো । ভক্তরাই ভগবান বাবাকে পায় । ভক্তদের সদ্গতি দান করা ভগবানেরই কাজ । তোমাদের আর কিছুই করতে হবে না, কেবল বাবাকে চিনতে হবে । বাবা হলেন এই মনুষ্য সৃষ্টি রূপী ঝাড়ের বীজ, একে উল্টো ঝাড় বলা হয় । বীজ থেকে কীভাবে গাছ নির্গত হয়, এ তো বড় সহজ । তোমরা এখন জানো যে – এই বেদ শাস্ত্র, গ্রন্থ ইত্যাদি পাঠ করা, জপ – তপ করা, এ সবই হলো ভক্তিমার্গ । ভগবানকে পাওয়ার এ কোনো প্রকৃত মার্গ নয় । প্রকৃত মার্গ তো ভগবানই দেখান – মুক্তি এবং জীবনমুক্তির । তোমরা জানো যে, এই ড্রামা এখন সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে । যা অতীত হয়ে গেছে, সে সবই ড্রামা । একথা বোঝার জন্য অনেক বড় অসীম জাগতিক বুদ্ধির প্রয়োজন । অসীম জগতের মালিকই এই সম্পূর্ণ সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তের অর্থাৎ অসীম জগতের জ্ঞান প্রদান করেন । তাঁকে বলা হয় জ্ঞানেশ্বর, রচয়িতা । জ্ঞানেশ্বর অর্থাৎ ঈশ্বরের মধ্যে জ্ঞান থাকে, একে বলা হয় রুহানী আধ্যাত্মিক জ্ঞান । গড ফাদারলি নলেজ । তোমরাও গড ফাদারলি স্টুডেন্ট হয়েছো । বরাবর ভগবান উবাচঃ হলো – আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাই, তাহলে ভগবান টিচারও হলেন । তোমরা যেমন স্টুডেন্টও আবার বাচ্চাও । বাচ্চারা ঠাকুরদাদার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে । এ তো বড় সহজ কথা । বাচ্চা যদি উপযুক্ত না হয়, তখন বাবা পদাঘাত করে বের করে দেন, যারা কাজকারবারে খুব ভালো সাহায্য করে, তারাই ভাগ পায় । তাই বাচ্চারা, তোমরাই ঠাকুরদাদার সম্পদের অধিকারী । তিনি হলেন নিরাকার । বাচ্চারা জানে যে, আমরা আমাদের ঠাকুরদাদার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি । তিনিই স্বর্গের স্থাপনা করেন । তিনি নলেজফুল । ব্রহ্মা – বিষ্ণু – শঙ্করকে পতিত পাবন বলা হবে না । তাঁরা তো হলেন দেবতা । তাঁদের সদগতিদাতাও বলা যাবে না । সদগতিদাতা হলেন এক । স্মরণও সবাই একজনকেই করে । বাবাকে না জানার কারণে বলে দেয় যে, সকলের মধ্যেই পরমাত্মা আছেন । কারোর যদি সাক্ষাৎকার হয়ে যায়, তাহলে মনে করে যে, হনুমান দর্শন করিয়েছেন । মনে করে, ভগবান তো সর্বব্যাপী । কোনো জিনিসের প্রতি যদি ভাবনা থাকে তাহলে সাক্ষাৎকারও হয়ে যায় । এখানে তো হল পঠন-পাঠনের কথা । বাবা বলেন, আমি এসে বাচ্চাদের পড়াই । তোমরা দেখোও থাকো যে তিনি কীভাবে পড়ান, যেমন অন্য টিচাররা সাধারণ রীতিতে পড়ান । ব্যারিস্টার হলে, তিনি তার মতন ব্যারিস্টার তৈরী করবেন । এ তো তোমরাই জানো যে, এই ভারতকে স্বর্গ কে বানিয়েছিলেন ? আর ভারতে থাকা সূর্যবংশী দেবী – দেবতারা কোথা থেকে এসেছেন ? মানুষ কিছুই জানে না । এখন হলো সঙ্গম । তোমরা এই সঙ্গমে দাঁড়িয়ে আছো, অন্যরা কেউই সঙ্গমে নেই । এই সঙ্গমের মেলা দেখো কেমন । বাচ্চারা বাবার সঙ্গে মিলিত হতে এসেছে । এই মেলা হলো কল্যাণকারী । বাকি আর যা কুম্ভ ইত্যাদির মেলা হয়, তার থেকে কিছুই প্রাপ্তি হয় না । প্রকৃত কুম্ভের মেলা বলা হয় এই সঙ্গমকে । এমন গাওয়াও হয় যে, আত্মা – পরমাত্মা পৃথক আছে বহুকাল, তাই সুন্দর এক মেলার আয়োজন করে দিয়েছে । এই সময় কতো সুন্দর । এই সঙ্গমের সময় কতো কল্যাণকারী, কেননা এই সময়ই সকলের কল্যাণ হয় । বাবা এসে সবাইকে পড়ান, তিনি হলেন নিরাকার, স্টার । বোঝানোর জন্য লিঙ্গ রূপ দেখানো হয়েছে । বিন্দু রাখলে কেউই কিছু বুঝতে পারবে না । তোমরা বোঝাতে পারো যে, আত্মা হলো এক স্টারের মতো । বাবাও স্টার । আত্মা যেমন, তেমনই পরমপিতা পরমাত্মা । কিছুই তফাৎ নেই । তোমাদের আত্মারা নম্বরের ক্রমানুসারে আছে । কারোর বুদ্ধিতে কিছু নলেজ আছে, আবার কারোর বুদ্ধিতে কম কিছু । তোমরা এখন বুঝতে পারো যে, আমরা আত্মারা কিভাবে ৮৪ জন্ম ভোগ করি । প্রত্যেককেই তার হিসেব – নিকেশ ভোগ করতেই হবে । কেউ অসুস্থ হয়, তার হিসাবও এইভাবে শোধ করতে হবে । এমন নয় যে, ঈশ্বরীয় সন্তান কেন এমন ভোগ করবে ! বাবা বুঝিয়েছেন যে – বাচ্চারা, জন্ম – জন্মান্তরের পাপ জমা আছে । যদিও কুমারী হয়, কুমারীর দ্বারা কি পাপ হবে ? কিন্তু এ তো অনেক জন্মের হিসেব – নিকেশ শোধ হবে, তাই না । বাবা বুঝিয়েছেন যে, এই জন্মের পাপও যদি না শোনাও, তাহলে তা অন্দরে বৃদ্ধি পেতে থাকবে । বলে দিলে তা আর বৃদ্ধি হবে না । ভারত সবথেকে এক নম্বর পবিত্র ছিলো, এখন ভারত সবথেকে পতিত । তাই তাদের পরিশ্রমও বেশী করতে হয় । যারা বেশী সেবা করে, তারা বুঝতে পারে যে আমরা উঁচু নম্বরে যাবো । কিছু হিসেব – নিকেশ থেকে গেলে অবশ্যই তা ভোগ করতে হবে । সেই ভোগও খুশীর সঙ্গেই করে । অজ্ঞানী মানুষের যদি কিছু হয়, তাহলে একদম হায় – হায় করে কান্নাকাটি করে । এখানে তো খুশীর সঙ্গে ভোগ করতে হবে । আমরাই পাবন ছিলাম, আবার আমরাই সবথেকে পতিত হয়ে যাই । অভিনয় করার জন্য আমরা এমন দেহ রূপী বস্ত্র প্রাপ্ত করেছি । এখন আমাদের বুদ্ধিতে এসেছে যে, আমরাই সবথেকে বেশী পতিত হয়ে গেছি । তাই আমাদের খুব পরিশ্রম করতে হবে । তোমাদের আশ্চর্য হওয়া উচিত নয় যে, অমুকের এমন অসুখ কেন হলো ! আরে দেখো, কৃষ্ণের নামেরও এমন গায়ন আছে – শ্যামলা, গোরা । যারা চিত্র বানায় তারা তো বুঝতেই পারে না । ওরা তো রাধাকে গৌর বর্ণের আর কৃষ্ণকে কালো দেখিয়ে দেয় । মনে করে যেহেতু রাধা কুমারী, তাই তার মান রাখে । তারা মনে করে, রাধা কীভাবে কালো হবে ? এই কথা তোমরা এখন বুঝতে পারো । যারা দেবতা কুলের ছিলো তারাই এখন নিজেদের হিন্দু ধর্মের মনে করছে ।

তোমরা শ্রীমতে চলে নিজের কুলকে উদ্ধার করো । সম্পূর্ণ কুলকে পবিত্র বানাতে হবে, তাদের উদ্ধার করে উপরে নিয়ে আসতে হবে । তোমরাই তো উদ্ধারকারী সেনা, তাই না । বাবাই তোমাদের দুর্গতি থেকে উদ্ধার করে সদগতি দান করেন, তিনিই ক্রিয়েটর, ডায়রেক্টর, মুখ্য অ্যাক্টর – এমন গায়ন আছে । কিভাবে অ্যাক্টর হলেন, পতিত পাবন বাবা এসে এই পতিত দুনিয়াতে সবাইকে পবিত্র বানান, তাহলে মুখ্য হলেন, তাই না । ব্রহ্মা – বিষ্ণু – শঙ্করকে কেউ করনকরাবনহার বলবে না । তোমরা এখন অনুভবের দ্বারা বলতে পারো – বাবা যাঁকে করনকরাবনহার বলেন, তিনিই এই সময় তাঁর পার্ট প্লে করছেন । তিনি এই সঙ্গমেই পার্ট প্লে করেন, কেউই তাঁকে জানে না । মানুষ ১৬ কলা থেকে নীচে নামতে থাকে । ধীরে ধীরে কলা কম হয়ে যায় । প্রতি জন্মে কিছু না কিছু কলা কম হতে থাকে । সত্যযুগে ৮ জন্মগ্রহণ করতে হয় । এক – এক জন্মে ড্রামা অনুসারে কিছু না কিছু কলা কম হতে থাকে। এখন আবার হলো উত্তরণের কলা । যখন সম্পূর্ণ উত্তরণ করবে তখন আবার ধীরে ধীরে নামতে থাকবে । বাচ্চারা জানে যে, এখন এই রাজধানী স্থাপন হচ্ছে । রাজধানীতে তো সব প্রকারের প্রজা প্রয়োজন । যে খুব ভালোভাবে শ্রীমতে চলে, সে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করে, তাও যখন জিজ্ঞেস করবে, তখন না বলবেন ! বাবাকে যখন নিজের পোতামেল (দৈনিক চার্ট) দেবে, তখনই বাবা রায় দিতে পারবেন। এমন নয় যে, বাবা সবকিছুই জানেন । তিনি তো সম্পূর্ণ দুনিয়ার আদি – মধ্য এবং অন্তকে জানেন । এক – একজনের মনের মধ্যে বসে তো আর জানতে পারবেন না । তিনি হলেন নলেজফুল। বাবা বলেন, আমি আদি – মধ্য এবং অন্তকে জানি, তাই তো বলতে পারি যে, তোমরা এমন – এমনভাবে নেমে যাও । তারপর আবার এমনভাবে উঠতে থাকো । এই পার্ট হলো ভারতেরই । ভক্তি তো সবাই করে । যে সবথেকে বেশী ভক্তি করে, তার তো আগে সদ্গতি প্রাপ্ত করা উচিত । তিনি পূজ্য ছিলেন, আবার তিনিই ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছেন । ভক্তিও তিনি নম্বরের ক্রমানুসারেই করেছেন । যদিও তোমরা এই সময় জন্ম পেয়েছো, তবুও তো গত জন্মের পাপ জমা আছে, তাই না । তা দূর হয় স্মরণের শক্তিতে । এই স্মরণই হলো কঠিন । তোমাদের জন্য বাবা বলেন যে – তোমরা স্মরণে বসো, তাহলে তোমরা নিরোগী হতে পারবে । বাবার থেকে সুখ, শান্তি, পবিত্রতার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় । নিরোগী কায়া আর দীর্ঘায়ু প্রাপ্ত হয় কেবলমাত্র স্মরণের দ্বারা । জ্ঞানের দ্বারা তোমরা ত্রিকালদর্শী হও । ত্রিকালদর্শীর অর্থও কেউ জানে না । ঋদ্ধি – সিদ্ধি যারা করে, তারাও অনেকই আছে । এখানে বসেও লণ্ডনের পার্লামেন্ট ইত্যাদি দেখতে থাকবে কিন্তু এই ঋদ্ধি – সিদ্ধিতে কিছুই লাভ নেই । দিব্য দৃষ্টির দ্বারা দর্শনও হয়, এই নয়নের দ্বারা কিন্তু নয় । এই সময় সকলেই কালো হয়ে গেছে । তোমরা বলি চড়ো অর্থাৎ বাবার হয়ে যাও । বাবাও সম্পূর্ণ বলি চড়েছিলেন, যে অসম্পূর্ণ বলি চড়ে, তার প্রাপ্তিও অর্ধেকই হয় । বাবাও তো বলি চড়েছিলেন, তাই না । যা কিছুই তার ছিলো সবই সমর্পণ করে দিয়েছেন । এতো এতো সংখ্যায় যে বলি চড়ে, তারা ২১ জন্মের জন্য প্রাপ্তি লাভ করে, এখানে জীবঘাতের কোনো কথাই নেই । জীবঘাত যারা করে, তাদের মহাপাপী বলা হয় । আত্মা নিজের শরীরকে আঘাত করলো, এ তো কোনো ভালো কথা নয় । মানুষ অন্যের গলা কাটে বা নিজের গলা কাটে, তাই তাদের জীবঘাতী, মহাপাপী বলা হয় ।

বাবা মিষ্টি – মিষ্টি বাচ্চাদের কতো ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন । তোমরা জানো যে, বাবা কল্পে – কল্পে, কল্পের সঙ্গম যুগে এই কুম্ভের মেলায় আসেন । ইনি হলেন সেই মাতা – পিতা । মানুষ বলে, বাবা আপনিই আমার সবকিছু । বাবা বলেন – হে বাচ্চারা, তোমরা আত্মারা হলে আমার । তোমরা জানো যে, শিব বাবা পূর্ব কল্পের মতো আবার এসেছেন । যিনি সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁকেই আবার সাজাচ্ছেন । তোমাদের আত্মা জানে যে, বাবা হলেন নলেজফুল, তিনিই পতিত – পাবন । তিনিই এখন তোমাদের এই সম্পূর্ণ জ্ঞান দান করছেন । তিনিই হলেন জ্ঞানের সাগর, এতে শাস্ত্রের কোনো কথা নেই । এখানে তো তোমাদের দেহ সহিত সবকিছু ভুলে নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে । এক বাবার যদি হও, বাকি সবকিছুই ভুলে যেতে হবে । অন্য সঙ্গের সঙ্গে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে এক সঙ্গেই জুড়তে হবে । এমন গেয়েও থাকে যে – আমি তোমার সঙ্গেই জুড়বো । বাবা আমরা সম্পূর্ণ বলিহারি যাবো । বাবাও বলেন, আমিও তোমাদের কাছে বলিহারি যাই । মিষ্টি বাচ্চারা, আমি তোমাদের সম্পূর্ণ বিশ্বের রাজত্বের মালিক বানাই, আমি তো নিস্কামী । মানুষ যদিও বলে, তারা নিস্কাম সেবা করে, কিন্তু ফল তো প্রাপ্ত হয়, তাই না । বাবা যে নিস্কাম সেবা করেন, এও তোমরা জানো । আত্মা যে বলে, আমি নিস্কাম সেবা করি, এ কোথা থেকে শিখেছে ! তোমরা জানো যে, বাবাই নিস্কাম সেবা করেন । তিনিই আসেনই কল্পের এই সঙ্গম যুগে । এখনো তিনি তোমাদের সম্মুখেই বসে আছেন । বাবা নিজেই বলেন, আমি তো হলাম নিরাকার । আমি তোমাদের এই উত্তরাধিকার কিভাবে দান করবো ? সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান কীভাবে শোনাবো ? এতে প্রেরণা দেওয়ার কোনো কথাই নেই । মানুষ শিব জয়ন্তী পালন করে, তাহলে অবশ্যই আমি আসি, তাই না । আমি এই ভারতেই আসি । তিনি ভারতের মহিমা শোনান । ভারত তো সম্পূর্ণ পবিত্র ছিলো, আবার এখন নতুন করে তৈরী হচ্ছে । বাবার তাঁর বাচ্চাদের প্রতি কতো প্রেম । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) শ্রীমতে চলে নিজের কুলকে উদ্ধার করতে হবে । সম্পূর্ণ কুলকে পাবন বানাতে হবে । বাবাকে নিজের সত্যিকারের পোতামেল (চার্ট) দিতে হবে ।

২ ) স্মরণের শক্তিতে নিজের কায়াকে নিরোগী বানাতে হবে । বাবার প্রতি সম্পূর্ণ বলিদান (সমর্পণ) যেতে হবে । বুদ্ধিযোগ অন্য সঙ্গের সাথে ছিন্ন করে একের সঙ্গেই জুড়তে হবে ।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা সদা ‘এক বাবা দ্বিতীয় আর কেউই নয়’ – এই স্মৃতিতেই থাকে, তাদের মন – বুদ্ধি সহজেই একাগ্র হয়ে যায় । তারা সেবাও নিমিত্ত রূপেই করে, তাই তাদের এতে কোনো আকর্ষণ থাকে না । আকর্ষণের নিদর্শন হলো – যেখানে আকর্ষণ থাকবে, সেখানেই বুদ্ধি চলে যাবে, মন দৌড় দেবে, তাই সব দায়িত্ব বাবাকে অর্পণ করে ট্রাস্টি বা নিমিত্ত হয়ে দেখভাল করো, তাহলেই আকর্ষণ মুক্ত হয়ে যাবে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top