14 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
13 January 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - এই শরীর হল রাবণের সম্পত্তি, এই শরীর রাবণকে দিয়ে অশরীরী হয়ে ঘরে যেতে হবে, এই জন্য এর থেকে মমতা সরিয়ে নাও”
প্রশ্নঃ --
সমগ্র সৃষ্টিতে শান্তি আর সুখের দান দেওয়ার বিধি কি ?
উত্তরঃ -:-
সকাল-সকাল উঠে অশরীরী হয়ে বাবার স্মরণে বসা, এটাই হল বিশ্বে শান্তির দান দেওয়ার বিধি আর স্বদর্শন চক্র ঘোরানো – এটা হলো সুখের দান দেওয়ার বিধি। জ্ঞান আর যোগের দ্বারাই তোমরা চিরসুস্থ, চির সম্পত্তিবান হয়ে যাও। সৃষ্টি নতুন হয়ে যায়।
গান:-
আমাকে তোমার শরণে নিয়ে নাও হে রাম..
ওম্ শান্তি । এই গান ভক্তরা ভক্তি মার্গে করতে থাকে যে, হে রাম নিজের শরণে নিয়ে নাও। ইংরেজিতে বলা হয় অ্যাসাইলামে নিয়ে নাও। হিন্দি শব্দ হলো শরণাগতি। ভক্তরা গাইতে থাকে, কেননা এটা হল রাবণ রাজ্য। রাবণকে দহনও করতে থাকে। এর দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে এটা হল রাবণ রাজ্য। কিন্তু এর অর্থও কেউ বুঝতে পারে না। রাবণকে বিনাশ করার জন্য দশহরা পালন করে। এটাও হল একটা প্রমাণ স্বরূপ। এখন এই হল সঙ্গম তাই এই সময়েই রামের শরণে যেতে হবে আর রাবণের বিনাশ করতে হবে। অতীতে যারা কিছু করে গেছেন তাদেরই নাটক তৈরি হতে থাকে। বাচ্চারা তোমরা জানো যে আমরা এখন রাবণের জেল থেকে বেরিয়ে রামের অ্যাসাইলামের এসেছি। রামরাজ্যে রাবণ রাজ্য হতে পারে না আর রাবন রাজ্যে রাম রাজ্য হতে পারে না। গাওয়াও হয়ে থাকে যে অর্ধেক কল্প রামরাজ্য, অর্ধেক কল্প রাবণ রাজ্য। রাম রাজ্য সত্যযুগ আর ত্রেতাকে বলা হয়। সঙ্গম যুগে যারা রামের শরণ নিয়েছে তারাই রামরাজ্যে যাবে। তোমরা জানো যে আমরা এখন রামের শরণে এসেছি। এই সমগ্র দুনিয়া হল একটি দ্বীপ, চারিদিকে জল আর জল। মাঝখানে আছে দ্বীপ। বড় বড় দ্বীপেতে আবার ছোট ছোট দ্বীপও আছে। এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে রাবণ রাজ্য সমগ্র দুনিয়ার উপর বিরাজিত। কবে থেকে শুরু হয়েছে ? বোঝানো হয় যে অর্ধেক অর্ধেক – রামরাজ্যে সুখ, ব্রহ্মার দিন, রাবণ রাজ্যে দুঃখ অর্থাৎ ব্রহ্মার রাত। অর্ধেক কল্প আলোর প্রকাশ তো অর্ধেক কল্প অন্ধকার। সত্য যুগ ত্রেতাতে ভক্তির নাম গান হয় না। পুনরায় অর্ধেক কল্প ভক্তিমার্গ চলতে থাকে দ্বাপর কলিযুগে। ভক্তি দু’প্রকারের করা হয়। দ্বাপড়ে সর্বপ্রথমে অব্যাভিচারী ভক্তি হত, কলিযুগে ব্যাভিচারী ভক্তি হয়ে যায়। এখন তো দেখো কচ্ছপ, মৎস ইত্যাদি সকলেরই ভক্তি করতে থাকে। মানুষের বুদ্ধিকে সতোপ্রধান, সতো, রজো, তমঃ হতেই হয়। এই সকল স্টেজেস্ পার করতে হয়।
বাবা বোঝাচ্ছেন যে তোমরা এখন রাম বা শিব বাবার কোল নিয়েছো। ঈশ্বরকে বাবা বলা হয়। যখন তিনি হলেন ফাদার, পুনরায় ফাদারকে সর্বব্যাপী বলা – এটা কোথাও শুনেছো? বলবে অমুক শাস্ত্রে ব্যাস ভগবান লিখেছেন। বাবা বোঝাচ্ছেন যে সর্বব্যাপীর জ্ঞানের দ্বারা তোমাদের কিছুই লাভ হয়নি। সদ্গতি দাতা অবশ্যই কেউ চাই। তিনি অবশ্যই দ্বিতীয় কেউ হবেন। সদ্গতি দাতাই হলেন গডফাদার। এটা হলো তোমাদের ঈশ্বরীয় জন্ম। তোমরা এখন সঙ্গম যুগে আছো। এই সংগমের সময় দিনে বা রাতে গোনা যায়না। এটা হল ছোটো সঙ্গম যখন দুনিয়ার পরিবর্তন হয়। আয়রন এজড্ থেকে পরিবর্তিত হয়ে গোল্ডেন এজড্ হয়। রাবণ রাজ্য থেকে পরিবর্তিত হয়ে রামরাজ্য হয়, যে রামরাজ্যের জন্য তোমরা পুরুষার্থ করছো। তো এইরকম এইরকম গানও কাজে আসে। এটা অনেকটা শ্লোকের মতো, যার অর্থ করা যায়। রামের শরনে যাওয়ার কারণে পুনরায় তোমরা সুখ অর্থাৎ রামরাজ্যে আসবে। একটা কাহিনী ছিল, তোমরা প্রথমে সুখ চাও নাকি দুঃখ। বলে সুখ কেননা সুখের সময়ে যমদূত নিতে আসবে না। কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। বাবা বসে ভালো রীতিতে বোঝাচ্ছেন। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে আমাদের দেবী দেবতা কুল অনেক শ্রেষ্ঠ ছিল। প্রথমে ব্রাহ্মণ কুল হয় তারপর আসে দেবতা, তারপর ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হয়। তোমরা জানো যে আমরাই এই বর্ণগুলি হয়ে এসেছি। এখন এসে ব্রাহ্মণ হয়েছি। এই বিরাট রূপ একদমই ঠিক আছে। বর্ণ সিদ্ধ হয়ে যায়। ৮৪ জন্ম একই সত্যযুগে নেওয়া হয় না। এই বর্ণ চলতে থাকে। ড্রামার চক্র সম্পন্ন হওয়া অর্থাৎ ৮৪ জন্ম সম্পন্ন হওয়া। চক্র তাে লাগাতেই হবে এইজন্য দেখানো যায় যে – দৈবী বর্ণতে এতটা সময়, ক্ষত্রিয়তে এতটা সময়। এটা তোমরা আগে থোড়াই জানতে। কখনো শাস্ত্রতে তো এটা শোননি যে এরকম বর্ণতে আসতে হবে। তোমরা জানো যে ৮৪ জন্ম কে কে নেয়। আত্মা আর পরমাত্মা আলাদা ছিল বহুকাল… এই কথা প্রমাণিত করে বলতে হবে। প্রথম প্রথম দেবী দেবতারাই ভারতের ছিলেন। ভারত গোল্ডেন এজ ছিল। সেই সময় আর অন্য কোনো ধর্ম ছিল না পুনরায় চক্র ঘুরতেই থাকে। মানুষকে পুনর্জন্ম নিতেই হয়। চক্রের উপর বোঝানো অত্যন্ত সহজ। বাবা নির্দেশ দিচ্ছেন, প্রদর্শনীতে এইরকম এইরকম ভাবে বোঝাতে হবে। এই সময় যখন আমাদের নতুন দুনিয়াতে যেতে হবে তখন বাবা বলেন যে এটা হল পুরানো দুনিয়া। এই পুরানো দুনিয়া, পুরানো শরীরের যাকিছু সম্বন্ধী ইত্যাদি আছে, তাদেরকে বুদ্ধি থেকে ত্যাগ করো। বুদ্ধি দ্বারা নতুন ঘরের আবাহন করা হয়। এটা হল অসীম জগতের সন্ন্যাস। দেহের সাথে যা কিছু পুরানো দুনিয়ার আত্মীয় পরিজন ইত্যাদি আছে, তাদেরকে ভুলতে হবে। বাবা বলেন যে নিজেকেও আত্মা মনে করো। তোমরা আসলে মুক্তিধামের অধিবাসী। সকল ধর্মাত্মাদেরকে বাবা বলছেন যে এখন বাড়ি ফিরে যেতে হবে। মুক্তিকে তো সবাই স্মরণ করে, তাইনা। এখন চলো নিজের ঘরে। যেখান থেকে তোমরা নগ্ন (অশরীরী) এসেছিলে, এখন পুনরায় অশরীরী হয়েই যেতে হবে। শরীরকে তো নিয়ে যেতে পারবে না। এসেছিলে অশরীরী হয়ে তাই যেতেও হবে অশরীরী হয়ে। কেবল কখন আসতে হবে, আর কখন যেতে হবে, এই চক্র বুঝতে হবে। বরাবর সত্যযুগে প্রথম প্রথম দেবী দেবতা ধর্মের আত্মারাই আসে। পুনরায় নম্বরের ক্রমানুসারে আসতে যেতে থাকে। যখন মূলবতন থেকে সবাই এসে যায় তখন পুনরায় বাড়ি যাওয়া শুরু হয়। সেখানে তো আত্মাই যাবে, এই শরীর তো হল রাবণের প্রপার্টি তাই এই রাবণকেই দিয়ে যেতে হবে। এই সব কিছু এখানেই বিনাশ হয়ে যায়। তোমরা অশরীরী হয়ে চলো। বাবা বলেন যে আমি তোমাদের নিতে এসেছি। বাবা কত সহজ করে বোঝাচ্ছেন। পুনরায় ধারণাও হওয়ার উচিত। পুনরায় গিয়ে অন্যদেরকেও বোঝাতে হবে। তোমরা গ্যারেন্টি করেছো – বাবা আমরা (তোমার এই জ্ঞান) শুনে অন্যদেরকেও শোনাবো। যার এই অভ্যাস থাকবে সে-ই শোনাতে পারবে। তোমরা জানো যে আমাদেরকে এই দুনিয়াকে পবিত্র বানাতে হবে। যোগে থেকে শান্তি আর সুখের দান দিতে হবে। এইজন্য বাবা বলেন, রাত্রিতে উঠে যোগে বসো, সৃষ্টিকে দান দাও। সকাল সকাল উঠে অশরীরী হয়ে বসো তো তোমরা ভারতকে তথা সমগ্র সৃষ্টিকে যোগের দ্বারা শান্তির দান দিতে পারবে। আর পুনরায় চক্রের জ্ঞান স্মরণ করে তোমরা সুখের দান দিতে পারবে। সুখ আসে ধনের কারণে। তাই সকালে উঠে স্মরণে বসো। বাবা ব্যস্ এখন তোমার কাছে এলাম কি এলাম। এখন আমাদের ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে। তাই সকালে উঠে বাবাকে স্মরণ করো। শান্তি আর সুখের দান দিতে হবে। যোগ আর জ্ঞানের দ্বারা শরীর এবং সম্পত্তি প্রাপ্ত হবে। যখন আমরা চির সুস্থ হয়ে যাব তখন সৃষ্টিও নতুন হবে। সত্য যুগ ত্রেতাতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং সম্পত্তিও থাকবে। কলিযুগে শরীর অসুস্থ এবং সম্পত্তিহীন হয়ে যায়। এখন আমরা চিরসুস্থ এবং সম্পত্তিবান হচ্ছি। পুনরায় অর্ধেক কল্প আমাদেরই রাজ্য চলবে। বুদ্ধিতে যখন এই জ্ঞান আছে তখন খুশিও থাকবে। যদিও এটাও লিখে দাও যে ২৫০০ বছরের জন্য চিরসুস্থ ও সম্পত্তিবান হতে চাও তাে এসো এই ঈশ্বরীয় নেচার কিওর সেন্টারে। কিন্তু এটাও লিখবে সে-ই, যার মধ্যে জ্ঞান থাকবে। এই রকম খুব অল্প সেন্টারই আমরা খুলেছি, সার্ভিস তোমরা এসে করো। যে খুলবে তাকে নিজে সেবা করতে হবে। সমস্ত ঝগড়া পবিত্রতার উপরেই চলতে থাকে। বিষ না প্রাপ্ত হওয়ার জন্য অত্যাচার হয়। এখন হলো সঙ্গম। তাই বুদ্ধিতে সুখধাম আর শান্তিধামকেই স্মরণ করতে হবে। দুঃখধামে আছে তবেই তো সুখধামকে স্মরণ করে। তবেই তো গান গাইতে থাকে দুঃখে স্মরণ সবাই করে সুখে করে না কেউ… এটা হল পতিত দুনিয়া। নিয়ম বলে যে কলিযুগের অন্তে সকলকে পতিত হতেই হবে। যতক্ষণ সঙ্গম না আসে আর রামরাজ্যের স্থাপন হয়ে যায় পুনরায় রাবণ রাজ্যের বিনাশ হতেই হবে। এখন বিনাশের প্রস্তুতি চলছে। রাবণ রাজ্য সমাপ্ত হবেই। এছাড়া এই পুতুলের খেলা চলতে থাকবে। কতইনা পুতুল তৈরি করে এই জন্য একে অন্ধশ্রদ্ধা বলা হয়। ভারতে যত চিত্র তৈরি হয় তা আর কোথাও হয়না। ভারতে অনেক চিত্র আছে। গাওয়াও হয় ব্রহ্মার দিন, ব্রহ্মার রাত। দিনকে পুনরায় লম্বা কেন করে দিয়েছ। এটাও হল বোঝার কথা। প্রথমে অব্যাভিচারী ভক্তি, তারপর হয় ব্যাভিচারী ভক্তি। প্রথমে ষোলো কলা তারপর ১৪ কলা, অন্তে কিছু তো কলা থেকে যায় কিন্তু এই সময় হলো নাে কলা অর্থাৎ কোনো কলাই নেই। এই সময় হলো তমোপ্রধান দুনিয়া। তমঃ কলিযুগ থেকে শুরু হয় পুনরায় অন্তে বলা হয় তমোপ্রধান। এখন দুনিয়া জর্জরিত হয়ে গেছে। পুরানো জিনিসে নিজে থেকেই আগুন লেগে যায়। যেরকম বট গাছের জঙ্গল হয়ে যায় (শুকনো ডালপালার ঘর্ষনে) নিজে থেকেই দাবানল লেগে যায়, এই সবকিছুতেও আগুন লাগবে। নিজেদের মধ্যে অল্প কিছু ঘটনা ঘটল তো সাথে সাথে আগুন লেগে যাবে। ঘরে কোনও ছোট ছোট কথার কারণে ঝগড়া লেগে যায়, নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়, অল্প কিছু কথাতে এমন শত্রুতা হয়ে যায় যে একে অপরের গলা কেটে দিতে উদ্যত হয়। ক্রোধও কম নয়। এক অপরকে মারার জন্য দেখো কত প্রস্তুতি করছে। এটাই হলো ড্রামা। খ্রীস্টানদেরও দুটি দল হল বড় বড়। নিজেদের মধ্যে মিলে গেলে সব কিছুই করতে পারে। পোপ হলেন খ্রীস্টানদের হেড, তাকে অনেক সম্মান দেয়। কিন্তু তাকেও মান্য করে না। এখানেও যে বাচ্চারা বাবাকে মান্য করে না তারা বিনাশী পদ পায়। শ্রীমতে চলতে হবে। শ্রীমদ্ভগবদগীতা আছে তাইনা, আর কোনও শাস্ত্রে শ্রীমত নেই। শ্রী মানে শ্রেষ্ঠর থেকেও শ্রেষ্ঠ, যে কখনও পুনর্জন্মে আসেনা। মনুষ্য তো পুনর্জন্মে আসে। বিদ্বানরা তো জন্ম-মরণ থেকে পৃথক এমন, গাওয়া হওয়া গীতাতে পুরো ৮৪ জন্ম নেওয়া আত্মাদের নাম লিখে দিয়েছে। বাস্তবে পরম পিতা পরমাত্মাই হলেন জ্ঞানের সাগর, পবিত্রতার সাগর, পতিত-পাবন । তিনিই বরদান দেন বাচ্চাদেরকে। তাঁর পরিবর্তে কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে। সর্ব প্রথম হল শিব জয়ন্তী তারপর হয় কৃষ্ণ জয়ন্তী। শিববাবা আসেন নতুন দুনিয়া স্থাপন করতে, তাই প্রথমে বাবার জন্ম তারপর বাচ্চাদের জন্ম। বাবার জন্মের দ্বারাই কৃষ্ণ বাচ্চার জন্ম হয়। সেও তো একজন হবেনা। দৈবী সম্প্রদায় বলা যায় তাই না। তাই কত বড় ভুল করে দিয়েছে। কেউ একজনও যদি এই কথাকে বুঝে যায় তাহলে তার সকল জিজ্ঞাসু ভেঙে পড়বে। সকলের মুখ হলুদ হয়ে যাবে। কত বড় ভুল হয়েছে তবেই তো বাবাকে আসতে হয়েছে। কাউকে বোঝানোর জন্য সময় দিতে হবে। প্রথমে তো এটা নিশ্চয় করাও যে পরমপিতা পরমাত্মার সাথে তোমাদের কি সম্বন্ধ? তবে বুঝবে যে ভগবান হলেন বাবা। ভগবানকে ভগবানের পদে রাখো। সবাই একরকম কিভাবে হতে পারে। বলে যে সবই ভগবানের লীলা। এক রূপ ছেড়ে দ্বিতীয় রূপ নেয়। কিন্তু পরমাত্মা কোনও পুনর্জন্ম থোড়াই নেয়। এই বাপ-দাদা দুজনেই হলেন কম্বাইন্ড আর বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। বাপদাদারও অর্থ কারোর বুদ্ধিতে নেই। ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা… বলে থাকে। ও গড ফাদারও বলে থাকে তো অবশ্যই মা চাই। কিন্তু কারোরই বুদ্ধিতে আসে না।
বাচ্চাদেরকে বোঝানো হয়েছে তো শরণ কখন নেওয়া যায়? যখন রাবণ রাজ্য সমাপ্ত হয় তখন রাম আসেন। রামের শরণ নেওয়াতেই সদগতি প্রাপ্ত হয়। বলে যে রাম রাজ্য চাই। তাদের সূর্যবংশী রাজ্যের কথা জানা নেই। বলে যে রামরাজ্য নতুন দুনিয়া নতুন ভারত চাই, সেটা তো এখন তৈরী হচ্ছে। হতেও হবে অবশ্যই। ড্রামাতে হতে হবে অবশ্যই। এই পড়াশোনা হল মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার। মানুষ কাউকে দেবতা বানাতে পারে না। বাবা এসে মানুষকে দেবতা বানাচ্ছেন কেননা বাবা’ই স্বর্গের স্থাপনা করেন। ব্রাহ্মণদের মালা গাওয়া হয় না। বিজয়ন্তী মালা বিষ্ণুর হয়ে থাকে। এটা হল ঈশ্বরীয় পরিবার, যেটা এখন থেকে নতুন শুরু হয়েছে। আগে ছিল রাবণের আসুরিক পরিবার। রাবণকে অসুর বলা যায়। এই কংস জরাসন্ধের নাম এখন সিদ্ধ হয়। জন্ম-জন্মান্তর তোমাদের সাকারের থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। সত্যযুগেও সাকারের থেকে প্রাপ্ত হবে। কেবল এই সময় তোমাদের নিরাকার বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) দেহের সাথে পুরানো দুনিয়ার সম্বন্ধ ইত্যাদি সব কিছু ভুলে নিজেকে দেহী মনে করতে হবে। বুদ্ধির দ্বারা নতুন ঘরকে আহ্বান করতে হবে।
২ ) সকাল-সকাল উঠে সমগ্র দুনিয়াকে শান্তি আর সুখের দান দিতে হবে।
বরদানঃ-
যেরকম সাকারে থাকা ন্যাচারাল হয়ে গেছে, এইরকমই আমি হলাম আকারী ফরিস্তা আর নিরাকারী শ্রেষ্ঠ আত্মা – এই দুটি স্মৃতি ন্যাচারাল করতে হবে, কেননা শিব বাবা হলেন নিরাকারী আর ব্রহ্মা বাবা হলেন আকারী। যদি দু’জনের সাথেই ভালবাসা থাকে তাহলে দুজনেরই সমান হও। সাকারে থেকে অভ্যাস করো এখনই এখনই আকারী আর এখনই এখনই নিরাকারী। তো এই অভ্যাসই অস্থিরতার মধ্যেও অচল বানিয়ে দেবে।
স্লোগানঃ-
লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –
যে প্রিয় হয়, তাকে স্মরণ করতে হয়না, তার স্মরণ স্বততঃই এসে যায়। কেবল ভালোবাসা হৃদয় থেকে হবে, সত্যিকারের আর নিস্বার্থ হবে। যখন বলো যে, আমার বাবা, প্রিয় বাবা – তাে প্রিয়কে কখনো ভোলা যায় না। আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এক বাবাকে ছাড়া আর কোনও আত্মার সাথে মেলানো যায় না, এইজন্য কখনো স্বার্থ নিয়ে স্মরণ করো না, নিঃস্বার্থ ভালোবাসাতে লভলীন থাকো।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!