14 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
13 August 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"অনেক জন্ম ভালবাসা সম্পন্ন জীবন বানানোর আধার - এই জন্মের পরমাত্ম-ভালোবাসা"
আজ সর্ব শক্তির সাগর আর সত্যিকারের স্নেহের সাগর দিলারাম (প্রাণনিধি) বাপদাদা তাঁর অতি স্নেহী সমীপ বাচ্চাদের সাথে মিলিত হতে এসেছেন। এই আত্মিক স্নেহ-মিলন বা ভালবাসার মেলা হল এক অতি বিচিত্র মেলা। মিলন মেলা সত্যযুগের আদি থেকে শুরু করে কলিযুগ পর্যন্ত অনেক হয়েছে। কিন্তু এই আত্মিক মিলন মেলা এখন সঙ্গমেই হয়ে থাকে। এই মিলন হল আত্মিক মিলন । এই মিলন হল হৃদয়নাথ বাবা আর সত্য হৃদয়বান বাচ্চাদের মিলন । এই মিলন সকল প্রকারের অনেক অনেক দুঃখ দুর্দশার অবসান করানোর মেলা। আত্মিক মর্যাদার স্থিতির অনুভব করানোর মেলা। এই মিলন সহজেই পুরানো জীবনকে পরিবর্তনকারী মেলা। এই মিলন সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি গুলির অনুভূতিতে সম্পন্ন বানানোর জন্য । এই বিচিত্র প্রিয় মিলন মেলাতে তোমরা সকলে পদমগুণ ভাগ্যবান আত্মারা পৌঁছে গেছো। এই পরমাত্ম মেলা হল সর্ব প্রাপ্তির মেলা, সর্ব সম্বন্ধের অনুভবের মেলা। সকল ঐশ্বর্যের দ্বারা সম্পন্ন হয়ে ওঠার মেলা। সঙ্গমযুগী শ্রেষ্ঠ অলৌকিক সংসারের মেলা এটা। কতখানি সুন্দর এই মেলা ! আর এই অনুভূতিকে অনুভব করবার পাত্র হয়ে ওঠা তোমরা হলে কোটির মধ্যেও কেউ, তারও মধ্যে কেউ পরমাত্মার প্রিয় আত্মা। কোটি কোটি আত্মা এই অনুভূতিকে পাওয়ার জন্য খুঁজছে আর তোমরা ? মিলিত হচ্ছো। আর সদা পরমাত্মার মিলন মেলাতে তোমরা রয়েছো, কেননা বাবা হলেন তোমাদের কাছে প্রিয় আর বাবার কাছে তোমরা হলে প্রিয়। তাহলে প্রিয়রা কোথায় থাকে ? সদা ভালবাসার মিলন মেলাতে থাকে। তো সদা মেলাতে মিলন মেলাতে থাকো নাকি আলাদা থাকো ? বাবা আর তোমরা সাথে থাকো, তাহলে কী হয়ে গেল ? মিলন মেলা হয়ে গেল না ? কেন যদি জিজ্ঞাসা করে তোমরা কোথায় থাকো ? সাথে সাথেই গর্বের সাথে বলে ওঠো যে আমরা সদা পরমাত্মার মিলন মেলাতে থাকি। একেই তো ভালোবাসা বলা হয়। সত্যিকারের ভালোবাসা অর্থাৎ একে অপরের থেকে না তন থেকে না মন থেকে আলাদা থাকে । না আলাদা হতে পারে, না কেউ তাদেরকে আলাদা করতে পারে। সমগ্র দুনিয়ার সকল কোটি কোটি আত্মারাই হোক অথবা প্রকৃতি, মায়া, সকল পরিস্থিতিই হোক না কেন, যতই আলাদা করতে চায় না কেন, কারো ক্ষমতা নেই যে এই পরমাত্ম মিলনের থেকে আলাদা করতে পারে। একেই বলা হয় সত্যিকারের ভালোবাসা। যারা ভালবাসাকে নষ্ট করে দেয় তারা শেষ হয়ে যায় কিন্তু ভালবাসা নষ্ট হতে পারে না। তোমাদের ভালোবাসা এই রকম প্রগাঢ় আর বিশ্বস্ত তো ?
আজ প্রগাঢ় ভালবাসার দিনকে উদযাপন করছো তাই না ? এই রকম ভালবাসা এখন আর একটি জন্মেই পাওয়া যায়। এই সময়ের পরমাত্ম-ভালোবাসা অনেক জন্মের ভালবাসা সম্পন্ন জীবনের প্রালব্ধ বানিয়ে দেয়, কিন্তু প্রাপ্তির সময় হল এখনই। বীজ বপন করবার সময় হল এখনই। এই সময়ের মহত্ত্ব অনেক। সত্যিকারের আন্তরিক যে ভালবাসা, তারা হল লভ এ লীন থাকা লভলীন। তো যারা লভ এ লীন থাকে সেইসব লভলীন আত্মাদের সামনে কিম্বা কাছে আসার অথবা তাদের মুখোমুখি হওয়ার সাহস কারো থাকে না। কারণ তোমরা হলে লীন, কারো আকর্ষণ তোমাদেরকে আকৃষ্ট করতে পারে না। যেমন বিজ্ঞানের শক্তি ধরিত্রীর আকর্ষণের থেকে দূরে নিয়ে যায়, তো এই লভলীন স্থিতি সকল সীমিত আকর্ষণে থেকে দূরে নিয়ে যায়। যদি লীন না থাকে তবে টলমল হতে পারে, লভ আছে কিন্তু লভে লীন নয় । এখন যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে – বাবার প্রতি তোমাদের ভালোবাসা রয়েছে ? তো সকলেই ‘হ্যাঁ’ বলবে, তাই না ! কিন্তু সদা লভে লীন থাকো ? তখন কী বলবে ? এতে তোমরা হ্যাঁ বললে না। শুধুমাত্র ভালোবাসা আছে – এইটুকুতেই থেমে যেও না। লীন হয়ে যাও। এই শ্রেষ্ঠ স্থিতিতে লীন হয়ে যাওয়াকেই মানুষ অত্যন্ত শ্রেষ্ঠ মনে করেছে। তোমরা যদি কাউকে বলো যে আমরা তো জীবনমুক্তিতে আসবো, তারা মনে করবে যে, এরা তো জন্ম মৃত্যুর চক্রে আসতে চায় আর আমরা তো এই চক্র থেকেই মুক্ত হয়ে লীন হয়ে যাব। কেননা লীন হওয়া অর্থাৎ বন্ধন গুলির থেকে মুক্ত হয়ে যাওয়া। সেইজন্য তারা লীন অবস্থাকে অত্যন্ত উঁচু মনে করে থাকে। মিশে গেছে, লীন হয়ে গেছে। কিন্তু তোমরা জানো যে, তারা যাকে লীন অবস্থা বলছে, ড্রামা অনুসারে সেটা কারোরই প্রাপ্ত হয় না। বাবা সম হতে পারো কিন্তু বাবার মধ্যে সমাহিত হওয়া যায় না। তাদের সেই লীন অবস্থার কোনও অনুভব নেই, কোনো প্রাপ্তিও নেই। আর তোমরা লীনও আর অনুভূতি আর প্রাপ্তিতেও ঋদ্ধ। তোমরা চ্যালেঞ্জ করতে পারো যে, যে লীন অবস্থা বা সমাহিত হয়ে যাওয়ার স্থিতির জন্য তোমরা প্রচেষ্টা করছো, কিন্তু আমরা বেঁচে থেকেই সেই সমাহিত হওয়ার বা লীন হওয়ার অনুভূতি এখনই করছি। যখন তোমরা লভলীন হয়ে যাও, স্নেহে সমায়িত হয়ে যাও তখন আর কিছু কি মনে থাকে ? বাবা আর আমি সমান, স্নেহে সমায়িত। বাবা ছাড়া আর কোনো কিছুই নেই। তাই দুয়ে মিলে আমরা এক হয়ে যাই। সমান হওয়া অর্থাৎ সমায়িত হয়ে যাওয়া, এক হয়ে যাওয়া। তো এইরকম তো তাই না ? কর্মযোগের স্থিতিতে এইরকম লীন হওয়ার অনুভব করতে পারো ? কী মনে করো ? কর্মও করছো আর লীনও রয়েছ – হওয়া সম্ভব ? কর্ম করবার জন্য নীচে আসতে হবে না তো ? কর্ম করতে করতেই লীন হয়ে যেতে পারো ? এতখানি চতুর হয়ে উঠেছো ?
কর্মযোগী যারা হয় কর্মেও বাপদাদা সাথে থাকার কারণে এক্সট্রা সহায়তা প্রাপ্ত হতে পারে, কেননা এক এর থেকে দুই হয়ে গেছো, তো কর্ম বিভাজিত হয়ে যাবে তাই না ? একটি কাজ যদি একজন করে আর আরেকজন তার সাথী হয়ে যায়, তাহলে সেই কাজ সহজ হয়ে যাবে নাকি কঠিন হবে ? হাত তোমাদের, বাবার তো নিজের হাত পা নেই যে চালাবেন। হাত হল তোমাদের, কিন্তু সহায়তা প্রদান বাবার, তবে তো ডবল ফোর্সের কাজ আরও ভালো ভাবে হবে তাই না ? কাজ যত কঠিনই হোক না কেন, সর্বদা উৎসাহ উদ্দীপনা, সাহস, অক্লান্ত হওয়ার শক্তি প্রদান করবার জন্য বাবার সহায়তা তো আছেই। যে কার্যে উৎসাহ উদ্দীপনা অথবা অক্লান্ত ভাব থাকবে সেই কাজ সফল তো হবেই তাই না ? তো বাবা হাত দিয়ে কাজ করেন না, কিন্তু তিনি সহায়তা প্রদান করবার কাজ করেন। তো কর্মযোগী জীবন অর্থাৎ ডবল ফোর্সের কার্য করবার জীবন। তোমরা আর বাবা, ভালোবাসাতে কোনো সমস্যা বা ক্লান্তি ফীল হয় না। ভালবাসা অর্থাৎ সব কিছু ভুলে যাওয়া। কীভাবে হবে, কী হবে, ঠিক হবে নাকি হবে না – এই সব কিছু ভুলে যাওয়া। হয়েই আছে। যেখানে পরমাত্ম-সাহস রয়েছে, কোনো আত্মার সহায়তা নয়। তো যেখানে পরমাত্ম-সাহস রয়েছে, সহায়তা রয়েছে, সেখানে নিমিত্ত হওয়া আত্মার মধ্যে সাহস এসেই যায়। আর এই রকম সাথ এর অনুভব যারা করে, তারা সহায়তা অনুভব করে, তারা সদা কোন্ সংকল্প করতে থাকে ? নাথিং নিউ, বিজয় হয়েই রয়েছে, সফলতা আছেই আছে। এটাই হল সত্যিকারের প্রেমের অনুভূতি । যখন জাগতিক প্রেমিক এটা অনুভব করতে পারে যে যেদিকেই তাকাই সেদিকেই তুমিই তুমি। তারা তো সর্বশক্তিবান নয়, বাবা সর্বশক্তিবান। সাকার শরীরধারী নন। কিন্তু যখন যেখানে চান সেকেন্ডে পৌঁছে যেতে পারেন। এই রকম ভেবো না যে, কর্মযোগী জীবনে লভলীন অবস্থা হতে পারে না। হয়ে থাকে । সাথ এর অনুভব অর্থাৎ লভ এর প্র্যাকটিক্যাল প্রমাণ সাথে রয়েছে। তবে তো সহজযোগী সব সময়ের যোগী হয়ে গেল, তাই না ? লভার অর্থাৎ সদা সহজযোগী, সেইজন্য ডায়রেক্শনও দেওয়া হয়েছে যে, এই তপস্যা বর্ষ তো প্রাইজ নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসছে, কিন্তু সমাপ্তি হচ্ছে না। এই ক্ষেত্রে অভ্যাসের জন্য প্র্যাক্টিসের জন্য সেবাকে হাল্কা করা হয়েছে আর তপস্যাকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই তপস্যা বর্ষ সম্পন্ন হওয়ার পরে প্রাইজ নিয়ে নিও তোমরা। কিন্তু এর পরে যে কর্ম আর যোগ, সেবা আর যোগ, ব্যালেন্সের স্থিতির বিষয়ে যা কিছু বলা হয়েছে, ব্যালেন্সের অর্থই হল সমতা। স্মরণ, তপস্যা আর সেবা – এর সমতা যাতে হয়, শক্তি আর স্নেহের সমতা যাতে হয়, প্রিয় হওয়া আর সব কিছুর থেকে পৃথক হওয়ার মধ্যে সমতা যাতে হয়। কর্ম করার সাথে সাথে কর্মের থেকে অনাসক্ত থেকে আলাদা হয়ে বসার স্থিতির মধ্যে সমতা যেন থাকে। এই সমতার ব্যালেন্সের কলায় যে নম্বর জিতে নেবে সে মহান হবে। তাহলে দুটোই করতে পারছ কি ? নাকি সার্ভিস শুরু করলে আর উপরের স্থিতি থেকে নিচে নেমে গেলে ? এই বছরে তো পাকাপোক্ত হয়ে গেছ না ? এখন ব্যালেন্স রাখতে পারছ কি নাকি এখনও পারছ না ? সার্ভিসে ঝামেলা তো থাকবেই। এতেও পাশ তো হতেই হবে তাই না ? আগেও বলেছিলাম যে কর্ম করার সাথে সাথে কর্মযোগী হয়ে লভলীন হওয়াও সম্ভব, আর তবেই বিজয়ী হয়ে যাবে, তাই না ? এখন প্রাইজ তারাই পাবে যারা ব্যালেন্সে বিজয়ী হবে।
আজ বিশেষ নিমন্ত্রণ দেওয়া হয়েছিল। তোমাদের স্বর্গ এই রকম হবে তাই তো ? বাপদাদা বাচ্চাদের উদযাপন করাকে নিজেরও উদযাপন করা হল বলে মনে করেন। তোমরা স্বর্গে উদযাপন করবে আর বাবার উদযাপন এই উদযাপনের মধ্যেই। খুব উদযাপন করো, খুব নাচো, সদা আনন্দ পালন করো। পুরুষার্থের প্রালব্ধ অবশ্যই প্রাপ্ত হবে। এখানে হলে সহজ পুরুষার্থী আর সেখানে হবে সহজ প্রালব্ধী। কিন্তু হয়ে যাবে হীরে থেকে গোল্ড। এখন তোমরা হলে হীরে। পুরো সঙ্গমযুগেই হল তোমাদের কাছে বিশেষ আর বাচ্চা বা কম্প্যানিয়ন হওয়ার প্রেম দিবস। শুধুমাত্র আজকের দিনটিই প্রেমের নাকি চিরপ্রেমের দিবস ? এও হল এত বড় অসীম ড্রামার খেলার মধ্যে ছোট ছোট খেলা। তো এতখানি স্বর্গ সাজিয়েছ তার জন্য অভিনন্দন তোমাদেরকে। এই সাজসজ্জার মধ্যে বাবা কেবল সাজসজ্জা দেখছেন না, দেখছেন সকলের অন্তরের ভালোবাসাকে। তোমাদের সত্যিকারের ভালোবাসার কাছে এই সাজসজ্জা কিছুই নয়। বাপদাদা ভালবাসাকে দেখছিলেন । এমনিতেও যাদেরকে আমন্ত্রণ করা হয় তারা তো কিছু বলে না, বলে তো নিমন্ত্রণ জানিয়েছে যে, সে। বাবার প্রতি বাচ্চাদের এতখানি ভালোবাসা আছে যে, বাবাকে ছাড়া তারাও আর কিছু দেখতে পায় না। সেইজন্য অন্তরের ভালোবাসাকে প্রত্যক্ষ করবার জন্য আজ এই খেলাটির আয়োজন করা হয়েছে। আচ্ছা !
সকল সদা স্নেহে সমায়িত হয়ে থাকা আত্মাদেরকে, সদা স্নেহে সাথে থাকার অনুভব করা আত্মাদেরকে, সদা এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নয় – এই রূপ সমীপ সমান আত্মাদেরকে, সঙ্গমযুগের শ্রেষ্ঠ প্রালব্ধ স্বর্গের অধিকারী আত্মাদেরকে, সদা কর্মযোগী জীবনের শ্রেষ্ঠ কলার অনুভবকারী বিশেষ আত্মাদেরকে, সদা সকল সীমিত আকর্ষণের থেকে মুক্ত লভলীন আত্মাদেরকে বাবার সর্ব সম্বন্ধের স্নেহ সম্পন্ন স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার ।
মহারথী দাদীদের তথা মুখ্য ভাইদের প্রতি : – যারা নিমিত্ত, সর্বদা সহজ স্মরণ তাদের থাকে। তোমাদের সকলের নিমিত্ত হয়েছেন যে আত্মারা তাদের প্রতি তোমাদের বিশেষ ভালবাসা থাকে, তাই না ? সেইজন্য তোমরা ভালবাসায় ডুবে রয়েছ। নিমিত্ত হওয়া আত্মাদের ড্রামাতে পার্ট নির্ধারিত রয়েছে । শক্তিরাও নিমিত্ত রয়েছে, পান্ডবও নিমিত্ত। ড্রামা শক্তিদের এবং পান্ডবদেরকে একসাথে নিমিত্ত বানিয়েছে। তো নিমিত্ত হওয়ার বিশেষ গিফট রয়েছে। নিমিত্ত যে হবে তার পার্ট তাকে সব সময় পৃথক আর প্রিয় বানিয়ে দেয়। নিমিত্ত ভাবের অভ্যাস যদি স্বাভাবিক আর সহজ হয়ে যায়, তবে সর্বদা নিজের প্রগতি আর অন্য সকলেরও প্রগতি তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে মিশে থাকে। সেই আত্মাদের কদম ভূমিতে নয়, স্টেজের ওপরে থাকে। চারিদিকের আত্মারা স্বভাবতঃই স্টেজকে দেখতে থাকে । অসীম বিশ্বের স্টেজ এটা আর সহজ পুরুষার্থেরও শ্রেষ্ঠ স্টেজ এটা। উভয়ই হল উচ্চ স্টেজ। যে আত্মারা নিমিত্ত হয়েছে সর্বদা তাদের এই স্মৃতি স্বরূপ থাকে যে, বিশ্বের সামনে একমাত্র বাবার সমান এক্জাম্পল হতে হবে। এই রকম নিমিত্ত আত্মা তো তোমরা তাই না ? স্থাপনার আদি থেকে এখনও পর্যন্ত তোমরা নিমিত্ত হয়েছ আর সর্বদা থাকবেও। সেইরকমই তো ? এটাও হল একটা এক্সট্রা লাক। আর লাক হৃদয়ের লভ’কে স্বাভাবিকভাবেই বাড়িয়ে দেয়। বেশ ভালো। নিমিত্ত হয়ে প্ল্যান প্রস্তুত করছো, বাপদাদার কাছে তো পৌঁছে যায় । প্র্যাকটিক্যালে নিজে শক্তিশালী হয়ে অন্যদের মধ্যেও শক্তি ভরে প্রত্যক্ষতাকে সামনে নিয়ে এসো। এখন মেজরিটি আত্মারা এই দুনিয়াকে দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তারা নতুনত্ব চায়। নবীনতার অনুভব তোমরা এখন করাতে পারো। যা করেছো সে’সবই খুব ভালো হয়েছে, প্র্যাকটিক্যালেও খুবই ভালো হবেই হবে। দেশ – বিদেশের বাচ্চারা খুব সুন্দর সুন্দর প্ল্যান বানিয়েছে। ব্রহ্মা বাবাকে প্রত্যক্ষ করিয়েছে অর্থাৎ বাপদাদাকেও সাথে সাথে প্রত্যক্ষ করিয়েছে। কেননা ব্রহ্মা তো তিনি তখন হলেন যখন বাবা তাকে বানালেন। সুতরাং বাবাতে দাদা আর দাদাতে বাবা মিশে রয়েছেন। সেইরকমই ব্রহ্মাকে ফলো করা অর্থাৎ লভলীন আত্মা হওয়া । এই রকমই তো না ? আচ্ছা।
পার্টিদের সাথে সাক্ষাৎ : – সকলের হৃদয়ের কথা দিলারামের কাছে অতি তীব্রতার সাথে পৌঁছে যায় । তোমরা সংকল্প করো আর বাপদাদার কাছে পৌঁছে যায় । বাপদাদাও তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব বিধিসম্মত ভাবে করা সংকল্প, সেবা আর স্থিতিকে দেখতে থাকেন। পুরুষার্থী সকলেই। একাগ্রতাও সকলের মধ্যে রয়েছে, কিন্তু ভ্যারাইটি অবশ্যই রয়েছে। সকলেরই হল শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য আর লক্ষ্যর কারণেই পদক্ষেপও অগ্রে চালিত হচ্ছে। কারো তীব্রতার সাথে, কারো সাধারণ গতিতে এগোচ্ছে। প্রগতিও হচ্ছে তবে সেটা নম্বর ক্রমে। তপস্যার উৎসাহ উদ্দীপনাও সকলের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু নিরন্তর আর সহজ এর তফাৎ এসে যাচ্ছে। সবথেকে সহজ আর নিরন্তর স্মরণের সাধন হল – সদা বাবার সঙ্গের অনুভব করা। বাবা সাথে রয়েছেন – এই অনুভতি স্মরণ করবার পরিশ্রম থেকে মুক্ত করে দেয়। যখন সাথে রয়েছেনই তবে তো স্মরণ থাকবেই। আর কেবল এইভাবেই সাথে নেই যে সাথে বসে আছেন, সাথী তিনি অর্থাৎ সহায়ক তিনি। সাথে যিনি থাকেন কাজেকর্মে বিজি হয়ে যাওয়ার ফলে তিনি ভুলেও যেতে পারেন, কিন্তু সাথী ভুলে যায় না। সুতরাং সকল কর্মে বাবার সঙ্গ হল সাথী রূপেই। যে সাথ দেয়, সে কখনো ভোলে না। সাথ রয়েছে, সাথী রয়েছে আর এই রকম সাথী তিনি যে কিনা কর্মকে সহজ কর্ম করিয়ে দেয়। তোমরা তাঁকে কীকরে ভুলে যেতে পারো ? সাধারণ ভাবেও কোনো একটি কাজে যদি কেউ সহযোগিতা করে, তো তার জন্য বারংবার অন্তর থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়ে থাকে আর বাবা তো সাথী হয়ে কঠিনকে সহজ করে দেন। এই রকম সাথীকে কেউ কীকরে ভুলতে পারে ? আচ্ছা।
বরদানঃ-
ভক্তিমার্গে তিলকের অনেক মহত্ত্ব। যখন রাজ্য প্রদান করা হয় তখন তিলক লাগানো হয়। সধবা নারীর চিহ্ন আর ভাগ্যের চিহ্ন হল তিলক। জ্ঞান মার্গে এরপর স্মৃতির তিলক এর অনেক মহত্ত্ব রয়েছে। যেমন স্মৃতি তেমনই স্থিতি হয়ে থাকে ।স্মৃতি যদি শ্রেষ্ঠ হয় তবে স্থিতিও শ্রেষ্ঠ হবে। সেইজন্য বাপদাদা বাচ্চাদেরকে তিন স্মৃতির তিলক দিয়েছেন। নিজের স্মৃতি, বাবার স্মৃতি আর শ্রেষ্ঠ কর্মের জন্য ড্রামার স্মৃতি – অমৃতবেলায় এই তিনটি স্মৃতির তিলক লাগানো অবিনাশী তিলকধারী বাচ্চাদের স্থিতি সদা শ্রেষ্ঠ হয়ে থাকে ।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!