14 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
13 August 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা ড্রামার গুপ্ত রহস্যকে জানো যে, এই সঙ্গমযুগই হল চড়তি কলার যুগ। সত্যযুগ থেকে শুরু করে কলা গুলি কম হতে থাকে"
প্রশ্নঃ --
সব থেকে উত্তম সেবা কোনটি আর সেই সেবা কে করায় ?
উত্তরঃ -:-
ভারতকে স্বর্গ বানানো, বেগারকে প্রিন্স বানানো, পতিতকে পবিত্র বানানো – এই গুলি হল উত্তম সেবা। এইরকম সেবা এক বাবা ছাড়া আর কেউই করতে পারে না। বাবা এই রকম মহান সেবা করেছেন তবেই তো বাচ্চারা তাঁকে সম্মান করে, সবথেকে প্রথমে সোমনাথের মন্দির বানিয়ে তাঁর পূজা করে থাকে।
গান:-
অবশেষে সেই দিন এল আজ..
ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চারা এই গান শুনেছে। আত্মা যেমন গুপ্ত আর শরীর প্রত্যক্ষ, আত্মা এই চোখ দিয়ে দেখতে পাওয়া যায় না, ইনকগনিটো। আছে অবশ্যই, কিন্তু এই শরীর দ্বারা ঢাকা রয়েছে, সেইজন্য বলা হয় যে, আত্মা হল গুপ্ত। আত্মা নিজে বলে আমি নিরাকার, এখানে সাকারে এসে গুপ্ত হয়েছি। আত্মাদের নিরাকারী দুনিয়া আছে। সেখানে তো গুপ্ত থাকার কোনো ব্যাপার নয়। পরমপিতা পরমাত্মাও সেখানে থাকেন, ওঁনাকে বলা হয় – সুপ্রীম। উঁচু থেকে উঁচু আত্মা। সব কিছুর থেকে ঊর্ধ্ব থেকেও ঊর্ধ্বে হলেন পরমপিতা পরমাত্মা । বাবা বলেন – যেমন তোমরা হলে গুপ্ত, আমাকেও গুপ্ত আসতে হয়। আমি গর্ভজেলে আসি না। আমার নাম একটিই – শিব, এটাই বলা হয়ে আসছে। আমি এনার মধ্যে আসি, আমার নাম বদলায় না। এনার আত্মার যে শরীর, তার নাম বদলে যায়। আমাকে তো শিব’ই বলা হয়, সব আত্মাদের বাবা। তাই তোমরা আত্মারা এই শরীরে গুপ্ত। এই শরীরের দ্বারা তোমরা কর্ম করে থাকো। আমি হলাম গুপ্ত। বাচ্চারা তোমাদের এই জ্ঞান এখন প্রাপ্ত হচ্ছে যে, আমি এই শরীরের দ্বারা আবৃত। আত্মা হল ইনকগনিটো। শরীর হল কগনিটো। আমিও অশরীরী। বাবা হলেন ইনকগনিটো, তিনি এই শরীরের দ্বারা শোনান। তোমরাও হলে ইনকগনিটো, শরীরের দ্বারা তোমরা শোনো। তোমরা জানো যে, বাবা এসেছেন । বাবা আসেন ভারতকে গরীব থেকে পুনরায় বিত্তশালী বানাতে। তোমরা বলবে যে, আমাদের ভারত হল গরীব। সবাই সেটাই জানে, কিন্তু কারোরই এটা জানা নেই যে, আমাদের ভারত কবে বিত্তশালী ছিল, কীভাবে ছিল ? বাচ্চারা, তোমাদের অত্যন্ত নেশা রয়েছে – আমাদের ভারত তো অনেক সমৃদ্ধশালী ছিল। দুঃখের কোনো কিছুই ছিল না সেখানে। সত্যযুগে অন্য কোনো ধর্ম ছিল না। একটিই দেবী দেবতা ধর্ম ছিল, এটা কারোরই জানা নেই। এই যে ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি জিওগ্রাফি রয়েছে, তা কেউই জানে না । এখন তোমরা খুব ভালোভাবে জানো যে, ভারত অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী ছিল। এখন অতীব গরিব । এখন আবার বাবা এসেছেন সমৃদ্ধশালী বানাতে। ভারত সত্যযুগে অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী ছিল, যখন দেবী দেবতাদের রাজত্ব ছিল তাহলে সেই রাজ্য কোথায় চলে গেল ? সেটা কেউই জানে না। ঋষি মুনিরাও বলে, আমরা রচয়িতা আর রচনার বিষয়ে জানি না। বাবা বলেন – সত্যযুগে এই দেবী-দেবতাদের রচয়িতা আর রচনার জ্ঞান ছিল না। তাঁরা আদি – মধ্য – অন্তকে জানতেন না। তাদের যদি এই জ্ঞান থাকত যে আমরা সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে রসাতলে যাব, তাহলে তাদের বাদশাহীর সুখই থাকবে না। চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়বে ।
এখন তোমাদের চিন্তা রয়েছে যে, আমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান কীভাবে হব। আমরা আত্মারা যারা নিরাকারী দুনিয়াতে ছিলাম, সেখান থেকে পুনরায় কীভাবে সুখধামে এলাম – এই জ্ঞানও তোমাদের আছে। এখন আমরা চড়তি কলাতে রয়েছি। এটা হল ৮৪ জন্মের সিঁড়ি, এর মাঝে কী হয় তা তোমরা জানো। সত্যযুগে তো সবাই আসবে না। ড্রামা অনুসারে প্রত্যেক অ্যাক্টরকে নম্বর ক্রমান্বয়ে নিজের নিজের সময় অনুসারে এসে ভূমিকা পার্টি প্লে করতে হবে।
এখন বাচ্চারা তোমরা জানো, দীনের বন্ধু কাকে বলা হয়, দুনিয়ার মানুষ সেটা জানে না। গীতেও তোমরা শুনলে – অবশেষে সেই দিন এল আজ… এই সব হল ভক্তি। ভগবান কখন এসে আমাদেরকে অর্থাৎ ভক্তদেরকে ভক্তি মার্গ থেকে বের করে সদ্গতিতে নিয়ে যান, এটাও তোমরা বুঝেছো। রাম-রাজ্য, রাবণ রাজ্য কোন্ জিনিসের নাম, এ’সবও কোনো মানুষই জানে না। এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পারো – বাবা আবার এসেছেন এই শরীরে। শিব জয়ন্তীও তো পালন করে, তাহলে শিব অবশ্যই আসেন। এমনও বলেন না তিনি যে, আমি কৃষ্ণের তনে আসি। না। বাবা বললে – কৃষ্ণের আত্মা ৮৪ জন্ম নিয়েছে। যে প্রথম নম্বরে ছিল এখন সে শেষের নম্বরে। তোমরাও তাই (ততত্বম্)। আমি তো আসিই সাধারণ তনে। তোমাদেরকে এসে বলি, তোমরা কীভাবে ৮৪ জন্ম ভোগ করো। এই সময় তো একজনও নিজেকে দেবতা ধর্মের মনে করে না। কেননা সত্যযুগকে যে অনেক দূরে নিয়ে গেছে। কল্পের আয়ু লিখে দিয়েছে লক্ষ বছর বলে। বাস্তবে ড্রামার হিস্ট্রি তো খুবই ছোট। এতে কোনো ধর্মের ৫০০ বছরের, কারো ২৫০০ বছরের হিস্ট্রি রয়েছে। তোমাদের হল ৫ হাজার বছরের হিস্ট্রি। যারা দেবতা ধর্মের, তারাই স্বর্গে আসবে, অন্য ধর্ম গুলি তো আসেই পরে। দেবতা ধর্মের যারা, তারা অন্য ধর্মে কনভার্ট হয়ে গেছে। ড্রামা অনুসারে তারা এই ভাবেই কনভার্ট হওয়ারই। তারপর নিজের নিজের ধর্মে ফিরে আসবে। বাবা তোমাদেরকে বোঝান – বাচ্চারা, তোমরা তো বিশ্বের মালিক ছিলে, তোমরা এখন বুঝতে পারো যে, বাবা স্বর্গ স্থাপনা করেন, তাহলে আমরা স্বর্গে থাকব না কেন ? বাবার থেকে আমরা উত্তরাধিকার অবশ্যই নেবো। তখন এটার দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে, এ আমাদের ধর্মের, আর যে হবে না, সে আসবে না, বলবে অন্য ধর্মে আমরা কেন যাব ? বাচ্চারা তোমরা জানো যে, সত্যযুগ, অর্থাৎ নতুন দুনিয়াতে দেবতাদের অগাধ সুখ ছিল। সোনার প্রাসাদ ছিল। সোমনাথের মন্দিরে কতো সোনা ছিল। দ্বিতীয় এমন কোনো মন্দিরই হয় না । সেই মন্দিরে অনেক অনেক হীরে জহরত ছিল। বৌদ্ধ ইত্যাদিদের কোনো হীরে জহরতের প্রাসাদ ছিল না। বাচ্চারা, তোমাদেরকে যে বাবা এত উঁচু বানিয়েছেন, তাঁর সম্মান তোমরা কতটা রেখেছো ? যিনি সুকর্ম করে যান তাঁকে কতো মান দেওয়া হয় ! এখন তোমরা জানো যে, সবচেয়ে ভালো কর্ম কেবল বাবা’ই করে থাকেন। তোমাদের আত্মা বলে, সব থেকে উত্তম থেকেও উত্তম সেবা পতিত-পাবন বাবা’ই এসে করে যান। গরীবকে রাজা, বেগরকে প্রিন্স বানিয়ে দেন। যিনি ভারতকে স্বর্গ বানিয়ে দেন, তাঁর সম্মান কেউ করে না। তোমরা জানো যে, উঁচুর থেকেও উঁচু মন্দির বলা হয় সোমনাথ মন্দিরকে, সেটাকেও (১৭ বার) লুঠ করেছে। লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দিরকে কেউ কখনো লুঠ করেনি। সোমনাথ মন্দিরকে লুঠ করেছে। ভক্তি মার্গে ইনিও (এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা) খুবই ধনবান ছিলেন, রাজাদের মধ্যেও তো বেশী বা কম আছে না ! যারা উঁচু পদ মর্যাদার, তাদেরকে নীচু পদমর্যাদার যারা, তারা সম্মান করে। দরবারেও নম্বর অনুসারে বসে। বাবার তো এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখানকার দরবার হল পতিত রাজাদের। পবিত্র রাজাদের দরবার কতো সুন্দরই না হবে ! তাদের কাছে যখন এতো ধন, তাহলে তাদের বাড়িঘর কতই না সুন্দর হবে ! এখন তোমরা জানো যে, বাবা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন, স্বর্গের স্থাপনা করাচ্ছেন। আমরা মহারাজা মহারানী হই তখন স্বর্গের। তারপর আমাদের অধঃগতি হতে থাকে। তারপরে প্রথমে আমরা শিব বাবার পূজারী হব। যিনি আমাদেরকে স্বর্গের মালিক বানিয়েছিলেন, তাঁর আমরা পূজা করব। তিনি আমাদেরকে অনেক বিত্তবান বানান। এখন ভারত কতো গরীব ! আগে এত গরীব ছিল না। সবাই অত্যন্ত আনন্দে থাকত। যে জমি ৫০০ টাকায় নেওয়া হয়েছিল, সেটাই এখন ৫ হাজার টাকাতেও পাওয়া যায় না। সেখানে তো ধরিত্রীর কেনাবেচা হয় না, যার যতখানি প্রয়োজন নিয়ে নাও। প্রচুর জমি পড়ে থাকবে। মিষ্টি নদীর ধারে তোমাদের প্রসাদ হবে। মানুষের সংখ্যা খুব কম হবে, প্রকৃতি দাসী হবে। খুব ভালো ভালো ফুল ফল পাওয়া যাবে । এখন তোমরা কতো পরিশ্রম করো। কিন্তু যখন খড়া পড়ে যায়, তখন অন্নের আকাল হয়ে যায়। তাই গীত শুনলে তোমাদের রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠা উচিত । বাবাকে দীননাথ বলা হয়। এখন অর্থ বুঝেছ তোমরা, তাই না ! কাদেরকে বিত্তবান বানান ? নিশ্চয়ই এখানে যারা আসবে, তাদেরকেই বিত্তবান, তাই না ? তোমরা জানো যে, আমাদের পবিত্র হতে ৫ হাজার বছর লেগেছে। এখন আবার বাবা এক লহমায় পতিত থেকে পবিত্র বানান। উচ্চ থেকেও উচ্চ বানান তিনি। এক সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয়ে যায় । বাচ্চারা বলে, বাবা আমি আপনার। বলেন – বাচ্চারা, তোমরা হলে বিশ্বের মালিক । বাচ্চার জন্ম হল আর সাথে সাথেই উত্তরাধিকারী হয়ে গেল। কতখানি আনন্দ হয় তখন। কিন্তু কন্যা সন্তান জন্মালে মনমরা হয়ে যায় ।এখানে তো সব আত্মারাই হল সন্তান। আমরা স্বর্গের মালিক হয়ে গেছি। এখন জানতে পেরেছি যে, ৫ হাজার বছর পূর্বে আমরা স্বর্গের মালিক ছিলাম। বাবা আমাদেরকে এইরকম বানিয়ে ছিলেন। শিব জয়ন্তীও মানুষ পালন করে। কিন্তু তারা এটা জানে না যে, তিনি কবে এসেছিলেন। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব কবে ছিল ? কিছুই জানে না। বাস্তবে ভারতের জনসংখ্যা সব চেয়ে বেশি হওয়ার কথা। লক্ষ বছর হলে তো অনেক অনেক জমির প্রয়োজন। পুরো দুনিয়ার জমি নিলেও সঙ্কুলান হবে না। লক্ষ বছরে কতো কতো মানুষের জন্ম হয়ে যাবে। কিন্তু এত তো নেই। এই সকল কথা বাবা বসে বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। মানুষ যখন শোনে তখন বলে এই সব কথা তো আগে কখনো শুনিনি, না কোনো শাস্ত্রে পড়েছি। এ সব তো অত্যন্ত আশ্চর্যজনক কথা !
এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে সমস্ত চক্রের নলেজ রয়েছে । অনেক জন্মের শেষ জন্মে এখন সবাই হল পতিত আত্মা, তারা সতোপ্রধান ছিল, এখন তারাই হল তমোপ্রধান। এখন আবার সতোপ্রধান হতে হবে। আত্মারা, তোমাদের এখন এই শিক্ষা প্রাপ্ত হচ্ছে যে – আত্মা শরীরের দ্বারা শোনে, তাই দুলতে থাকে, কারণ শরীরের দ্বারা শুনছে যে। আমরা আত্মারা ৮৪ জন্ম নিয়েছিলাম, ৮৪ জন মা – বাবাকেও তাই পেয়েছি। এটাও তো হিসাব আছে না ! তখন বুদ্ধিতে আসে যে, আমরা ৮৪ জন্ম নিই, এর কম জন্মের হয়। মিনিমাম, ম্যাক্সিমামের হিসাব আছে না ? বাবা বসে বোঝাচ্ছেন যে, শাস্ত্রে কী না লিখে দিয়েছে। তোমাদের জন্য তাও তো ৮৪ জন্ম বলে, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে বলে নাকি অগণিত, অসংখ্য বার জন্মে কথা বলে দিয়েছে। প্রতিটি কোণায় কণায় যেখানেই তাকাই তুমিই তুমি… কৃষ্ণই কৃষ্ণ। মথুরা বৃন্দাবনে বলে – কৃষ্ণ সর্বব্যাপী। রাধাপন্থীরা বলে রাধাই রাধা। তারা বলে আমরা হলাম রাধা স্বামী, কেউ কেউ আবার কৃষ্ণ স্বামী বলে নিজেদেরকে। তারা রাধাকে মানে, যেদিকেই তাকাই দেখি রাধাই রাধা। তুমিও রাধা আমিও রাধা।
বাবা বসে বাচ্চাদেরকে বোঝান, অবশ্যই আমি হলাম দীন বন্ধু। ভারতই সব থেকে সমৃদ্ধশালী ছিল। এখন সব থেকে গরীব হয়ে গেছে, সেইজন্যই আমাকে ভারতে আসতে হয়েছে। এ হল পূর্ব রচিত ড্রামা, এটাতে এতটুকুও এদিক ওদিক হতে পারবে না। সুবিশাল ড্রামা। এই ড্রামা যে শ্যূট হয়েছে সেটাই হুবহু রিপিট হবে। ড্রামার বিষয়কেও তো জানা প্রয়োজন, তাই না ! ড্রামা মানে ড্রামা। জাগতিক স্টেজে যে ড্রামা হয়, সেটা হল সীমিত পরিসরের আর এটা হল অসীম জগতের। এর আদি – মধ্য – অন্ত’কে কেউই জানে না। দীননাথ তো নিরাকার ভগবানকেই মানবে, কৃষ্ণকে তো মানবে না। কৃষ্ণ তো ধনবান সত্যযুগের প্রিন্স হয়। ভগবানের তো নিজের শরীর নেই। তিনি এসে বাচ্চারা তোমাদেরকে ধনবান বানান। তোমাদেরকে রাজযোগের শিক্ষা দেন। লৌকিক জগতেও তো মানুষ পড়াশোনা করে ব্যারিস্টার ইত্যাদি হয়, তারপর রোজগার করে। বাবাও তোমাদেরকে এখন পড়ান। তোমরা ভবিষ্যতে নর থেকে নারায়ণ হও।তোমাদের তো জন্ম হবে, তাই না ! এমন নয় যে স্বর্গ কোনো সমুদ্র থেকে উঠে আসবে। কৃষ্ণও তো জন্ম নিয়েছে। কংসপুরী ইত্যাদি তো তখন ছিলই না। কৃষ্ণের বিষয়ে কতো প্রশস্তি রয়েছে । কিন্তু কৃষ্ণের বাবার বিষয়ে তো গাওয়া হয় না ? কৃষ্ণের বাবা কোথায় ? কৃষ্ণ তো অবশ্যই রাজার ছেলে হবে, তাই না ? সেখানে বড় রাজার ঘর জন্ম হয়। তিনি তিনি যেহেতু পতিত রাজা, তাই তার নাম তো নেওয়া হবে না ! কৃষ্ণ যখন থাকবে তখন খুব অল্প সংখ্যক পতিতও থাকবে। যখন তার সব চলে যাবে, তখন কৃষ্ণ রাজ সিংহাসনে বসবে, নিজের রাজত্বের কার্যভার গ্রহণ করবে, তখনই সম্বৎ শুরু হবে । লক্ষ্মী-নারায়ণের থেকে সম্বৎ শুরু হয়। তোমরা সম্পূর্ণ হিসাব লিখে থাকো – এদের রাজত্বকাল এত সময়, এরপর তাদের অত সময়, তার থেকে মানুষ সহজেই বুঝতে পারবে যে, কল্পের আয়ু অত বড় হতেই পারে না। ৫ হাজার বছরের পুরো হিসাব রয়েছে। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) রচয়িতা আর রচনার জ্ঞান বুদ্ধিতে রেখে সতোপ্রধান হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে । কেবল একটিই চিন্তা রাখতে হবে যে, আমাদেরকে সতোপ্রধান অবশ্যই হতে হবে ।
২ ) এই বেহদের ড্রামাকে বুদ্ধিতে রেখে অপার খুশীতে থাকতে হবে, বাবার মতো মান পেতে হলে পতিতদেরকে পবিত্র হওয়ার সেবা করতে হবে ।
বরদানঃ-
যারা এভার রেডী হবে, তাদের প্র্যাক্টিক্যাল স্বরূপ এভার হ্যাপী হবে। কোনো পরিস্থিতি রূপী পেপার বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের দ্বারা আগত পেপার অথবা কোনো প্রকারের শারীরিক কর্মভোগ রূপী পেপার যদি চলে আসে – এই সব প্রকারের পেপার গুলিতে ফুল পাশ যে হবে, তাকেই এভার রেডী বলা হবে। যেমন সময় কারো জন্যই থেমে থাকে না, সেইরকমই কোনো রকমেরই বাধা বিপত্তি থামাতে পারবে না, মায়ার সূক্ষ্ম বা স্থূল বিঘ্ন এক সেকেন্ডে সমাপ্ত হয়ে যাবে, তখনই এভার হ্যাপী বলা যাবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!