13 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
12 November 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - আমি বাচ্চারা তোমাদের জন্য হাতে করে বহিস্ত অর্থাৎ স্বর্গ নিয়ে এসেছি, তোমরা আমাকে স্মরণ করলে স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত হয়ে যাবে"
প্রশ্নঃ --
অসীম (বেহদ) খুশী নিরন্তর কোন্ বাচ্চাদের থাকতে পারে ?
উত্তরঃ -:-
যারা বেহদের সন্ন্যাস করেছে অন্য সব সঙ্গ ছেড়ে বাবার সাথেই একমাত্র সঙ্গ জুড়েছে, তারাই নিরন্তর খুশীতে থাকতে পারবে। ২ – যারা ফলো ফাদার করে থাকে, যাদের সার্ভিসের শখ রয়েছে তাদের খুশী কখনোই উধাও হয়ে যেতে পারে না।
গান:-
আকাশ সিংহাসনকেও ত্যাগ করে এই পরের দেশে এসেছ…
ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চারা গান শুনেছে। এই কথাটা কে বলল ? বাবা বাচ্চাদেরকে বললেন যে গান শুনেছ ? যখন অনেক দুঃখ আসে, তখনই আহ্বান করে। বাচ্চারা জানে যে বাবা-ই সুখধাম বা পবিত্র দুনিয়া অথবা ভগবান-ভগবতীর রাজ্য স্থাপন করেন। ভগবান এবং ভগবতী হলেন স্বর্গের মালিক। তোমরা দেখতে পাও যে লক্ষ্মী নারায়ণ কতোই না ধনী ছিল, কত বড় রাজধানী ছিল। তাদের রাজধানীতে কখনো কোনো রকম উপদ্রব হয় না। বাবা যেহেতু বাচ্চাদেরকে এত ভালো উত্তরাধিকার দেন, তাই কত খুশিতে থাকা উচিত। কিন্তু পুরুষার্থের ক্রম তো আছেই। কেউ কেউ সম্পূর্ণ জ্ঞান বুঝতে পারে না বলে ওখানের কথা ভেবেও খুশিতে থাকে না আর এখানেও খুশিতে থাকে না। ওরা দুটো জায়গাতেই স্থান পায় না কারণ বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে নিতে পড়ে যায়। দুনিয়ায় কেউই জানে না যে ভগবান এসে স্বর্গ স্থাপন করছেন। কারন তিনি গুপ্ত ভাবে আসেন। মানুষ বলে এই সময় অবশ্যই ভগবানের থাকা উচিত কারণ এখন সবাই ঘন অন্ধকারে আছে। রাত্রি ১২টা বাজলে বলা হয় ঘন অন্ধকার। রাত্রে ঘন অন্ধকার আর দিনের বেলা উজ্জ্বল প্রকাশ হয়। বাচ্চারা জানে যে এখন এই ভক্তিমার্গের রাত্রি শেষ হয়ে যাবে, যেখানে কেবল দুঃখ আর দুঃখ আছে। মানুষ মনে করে, ভক্তি করলে ভগবানকে পাওয়া যাবে। তোমরা জানো, বাবা এসেই আমাদের সবার সদগতি করেন। বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যে ক্রম তো অবশ্যই আছে। কারোর কারোর খুশির পারদ সবসময়ই চড়ে থাকে। পরিশ্রম করলেও খুশি হয়ে করে। সেবা করার শখ থাকে যে কাউকে গিয়ে বোঝাব। তাই বাবা প্রদর্শনী, মেলার আয়োজন করতে থাকেন যাতে অন্যদেরকে বোঝালে নিজেরও খুশির পারদ চড়ে যায়। এখানে যাদের কাছে অনেক টাকা আছে, তারা ভাবে আমি তো স্বর্গেই আছি। ওদের পক্ষে জ্ঞান ধারণ করা খুব কঠিন। তাই বলা হয়, কোটির মধ্যে কেউ এত বুদ্ধিমান, যে বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়। বলা হয়, ফলো ফাদার। বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলতেই হবে। যারা ভালো ভাবে শ্রীমৎ অনুসারে চলে, তাদের উচিত বাবাকে ফলো করা। এই বাচ্চা ( ব্রহ্মা ) যেভাবে ভালো করে শ্রীমৎ অনুসারে চলে। লৌকিক সন্তান নির্দেশ অনুসারে না চললে, তাকে বলা হয় – তুমি তোমার রাস্তা দেখে নাও। রামের মত অনুসরণকারী আর রাবণের মত অনুসরণকারীরা কখনোই একসাথে থাকতে পারে না। তোমরা বাচ্চারা জানো যে ভারতেই আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম ছিল। ওরা ৮৪ জন্ম নিয়ে পতিত হয়ে গেছে। তাই আহ্বান করে – পতিতপাবন তুমি এসো। তোমরা বাচ্চারা এখন জানো যে আর মাত্র কয়েকটা দিন আছে। দেবতাদের রাজধানী তৈরি করার জন্য একটু সময় তো লাগবেই। এগুলো সব গুপ্ত ব্যাপার। এখানে কোনো যুদ্ধের ব্যাপার নেই। এমন না যে যুদ্ধ করে রাজত্ব নেওয়া হয়। না, এখানে বাবা এসে রাজাদের রাজা বানিয়ে দেন। যে বাবাকে সবাই দুঃখ হরণকারী, সুখ প্রদানকারী বলে স্মরণ করে। সন্ন্যাসী কিংবা গুরুরা তো দুঃখ হরণকারী, সুখ প্রদানকারী হতে পারে না। ওরা সীমিত বিষয় থেকে সন্ন্যাস নেয়। তোমাদের এই সন্ন্যাস অসীম জগতের থেকে। এর জন্য সীমাহীন আনন্দ হয়। এই লক্ষ্মী নারায়ণ বা ভগবতী-ভগবানেরও সীমাহীন খুশি বজায় থাকে। পতিত মানুষগুলো যা মুখে আসে তাই বলে দেয়। তোমরা প্রতিটা শব্দই অর্থপূর্ণ ভাবে বলো। নতুন দুনিয়ায় একটাই ধর্ম থাকে। কোনো কিছুর সঙ্গেই সেই দুনিয়ার তুলনা করা যাবে না। পুরাতন দুনিয়াতেই এইরকম তুলনা করা হয়। নতুন দুনিয়ায় তো মানুষ জানবেই না যে পুরাতন দুনিয়ায় কি হয়। ওখানে সবকিছুই ভুলে যাবে। এখানে তোমাদেরকে সবকিছু বলা হচ্ছে যে নতুন দুনিয়া কবে স্থাপন হবে আর পুরাতন দুনিয়ার কবে বিনাশ হবে। তোমাদের কাছে সব নলেজ আছে। এখন তোমরা বাবাকে পেয়েছ যিনি স্বর্গের রচয়িতা। তাই তাঁর কাছ থেকে ভালো ভাবে উত্তরাধিকার নিয়ে নিতে হবে। যারা আগের কল্পে ভালো করে পুরুষার্থ করেছিল, তারাই উত্তরাধিকার পাবে। তাদের মধ্যেও আবার ক্রম আছে। এটা কাঁটার দুনিয়া। প্রথম নম্বর কাঁটা তো সবার মধ্যেই আছে। পুরাতন দুনিয়া খুব খারাপ এবং নুতন দুনিয়া খুব ভালো হয়। কেউই জানে না যে স্বর্গ কাকে বলে। এমনিই বলে দেয় যে অমুক ব্যক্তি স্বর্গবাসী হয়েছে। কিন্তু স্বর্গ এখন কোথায় আছে যে স্বর্গবাসী হবে। তোমরা জানো যে এই ভারতেই স্বর্গ ছিল। আবার এই ভারতেই নরক আছে। এই কথাগুলো পড়ার পরে ওরা বলে দেয় যে এখানেই স্বর্গ আর এখানেই নরক। যার অনেক সম্পত্তি সে ভাবে স্বর্গে আছে। কিন্তু এমন তো নয়। ভারত যখন নতুন ছিল, তখন সত্যযুগ ছিল। সেই দুনিয়াকেই স্বর্গ বলা হয়। এখন এটা পতিত দুনিয়া বা নরক। দুনিয়া তো একটাই। নতুন দুনিয়ায় লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল। পুরাতন দুনিয়ায় রাবণের রাজত্ব। ভগবানুবাচ, আমি তোমাদেরকে ৮৪ জন্মের গোপন রহস্য বলছি। এই রাজযোগের দ্বারা তোমাদেরকে রাজাদের রাজা, স্বর্গের মালিক বানিয়ে দিই। তাই নরকের বিনাশ তো হতেই হবে। শাস্ত্রে কৃষ্ণের নাম জুড়ে দিয়ে অনেক যুদ্ধের কাহিনী লিখে দিয়েছে। পাণ্ডবদের তো ঐরকম কোনো সৈন্যদল নেই। আজকাল তো কন্যা এবং মাতাদের নিয়ে প্রমীলা বাহিনী বানিয়ে তাদেরকে বন্দুক চালানো শেখায়। এখানে তোমাদের হাতে বন্দুক ইত্যাদি কিছুই নেই। ওরা তো জানেই না যে শিবশক্তি সেনা আসলে কারা ? ভগবান শিব কখনো হিংসার শিক্ষা দিতেই পারেন না। যুদ্ধের কোনো প্রশ্নই আসেনা। তোমরা জানো যে শিববাবার আধ্যাত্মিক সেনাদল আছে। শিববাবা আমাদের ডবল অহিংস বানিয়ে দিচ্ছেন। ওই দুনিয়াকে বলা হয় একশো শতাংশ অহিংস। এখানে একশো শতাংশ হিংসা আছে। একটা বোমা দিয়ে কত মানুষকে মেরে দেয়। সেই সীমাহীন অহিংসা আর এই সীমাহীন হিংসার মধ্যে কত পার্থক্য। তোমরা এখন সীমাহীন শান্ত অবস্থায় রয়েছ। ওদিকে যত বেশি করে যুদ্ধের প্রস্তুতি হচ্ছে, তত আওয়াজ বেশি হচ্ছে। বিনাশে অনেক হুলুস্থুল কান্ড হয়। স্থাপন করার জন্য তো কেবল শান্ত হয়ে বসে আছ। হিংসার কোনো ব্যাপার নেই। তোমরা এখন বাস্তব জীবনে যোগের শক্তির দ্বারা বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার পাচ্ছ। বাবা অর্থাৎ অল্ফ’কে স্মরণ করলেই স্বর্গের উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। কত সহজ ব্যাপার। বাবা হলেন সবথেকে প্রিয়। কত দূরের দেশ থেকে আসেন। বিদেশ থেকে যখন কারোর বাবা আসে, তখন কত খুশি হয়। বাবা আমাদের জন্য বিদেশ থেকে ভালো ভালো উপহার আনবে। এই অসীম জগতের পিতা তো কেবল একবার আসেন। তিনি কি উপহার নিয়ে আসেন ? বলা হয়, আমি তোমাদের জন্য হাতে করে স্বর্গ নিয়ে এসেছি। যেমন দেখানে হয়েছে যে হনুমান সঞ্জীবনী বুটির পাহাড় নিয়ে এসেছিল। কিন্তু ঐভাবে তো কেউ পাহাড়কে ওঠাতে পারবে না। সেইরকম বাবাও বলছেন, আমি হাতে করে স্বর্গ নিয়ে এসেছি। কিন্তু হাতে করে কি স্বর্গকে ওঠানো সম্ভব। এগুলো বোঝার ব্যাপার। বাচ্চারা জানে যে বাবা আমাদের জন্য সবথেকে ভালো উপহার নিয়ে আসেন। বাবা বলছেন, আমি তোমাদেরকে পবিত্র দুনিয়ার মালিক বানানোর জন্য এসেছি। তাই পবিত্র তো অবশ্যই হতে হবে। এটা তো রাজযোগ। ভারতের প্রাচীন রাজযোগ গীতার ভগবানই শিখিয়েছিলেন এবং রাজত্ব দিয়েছিলেন। এখন তিনি পুনরায় রাজযোগ শেখাচ্ছেন। তোমরা বলো যে আমরা সেই বাবার সন্তান যে বাবা স্বর্গ স্থাপন করেন। বাবা যখন স্বর্গ স্থাপন করেন, তাহলে নিশ্চয়ই কেউ না কেউ তার উত্তরাধিকার পেয়েছিল। এমন নয় যে কেবল স্বর্গবাসীদেরকেই বাবা দিয়েছিলেন। বাবা অন্যদেরকেও দিয়েছিলেন। অন্যরা ড্রামা অনুসারে মুক্তিধামে থাকার পার্ট পেয়েছিল। সবাই মুক্ত হয়ে যায়। কেবল বাবা-ই হলেন সকলের সদগতি দাতা। অন্য কেউ নয়। তোমাদের কাছে প্রদর্শনীতে যেসব বিখ্যাত ব্যক্তিরা আসেন এবং তাদের মধ্যে যারা মেনে নেন যে গীতার ভগবান আসলে শিব, শ্রীকৃষ্ণ নয়, তাদের কাছ থেকে তাদের অনুভব লিখিয়ে নিতে হবে। কারণ সবাই বিখ্যাত ব্যক্তিদের কথা শুনবে। গরিবদের কথা কেউ শোনে না। তাই সম্ভব হলে প্রদর্শনীতে এটা লিখিয়ে নাও যে গীতার ভগবান আসলে একজনই। তিনিই সকলের পিতা। আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে ভারত স্বর্গ ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। এখন তো গোটা বিশ্বেই রাবণের রাজত্ব। এই রাবণ সকলের শত্রু, একে প্রতি বছর পোড়ানো হয়। কিন্তু তাও সে মরে না। এখন এই রাবণ ভারতের সবথেকে বড় শত্রু। কেবল তোমরাই এই কথাগুলো জানো। এখন রাম অর্থাৎ পরমপিতা পরমাত্মা রাবণের উপর বিজয়ী বানাচ্ছেন। তিনি বলছেন, আমাকে স্মরণ করলেই তোমাদের পাপ নাশ হবে। তোমরা যোগ্য হয়ে গেলে তোমাদের জন্য নতুন দুনিয়া প্রয়োজন। নিশ্চয়ই পুরাতন দুনিয়ার বিনাশ হয়েছিল। পুনরায় হবে। যখন রাবণের রাজত্ব শেষ হয়ে রাম রাজ্য শুরু হয়, তখনই মহাভারতের যুদ্ধ হয়। রাবণের রাজত্বে হাহাকার শুরু হয়। হাহাকারের পরে জয়জয়কার হয়। দুনিয়া পরিবর্তন হয়ে যায়। যেমন পুরাতন ঘর ভেঙে নতুন ঘর বানানো হয়, তারপর আবার ভাঙা হয়। সেইরকম এখন পুনরায় স্থাপন হচ্ছে। ওরা তো বোমা ইত্যাদি আধুনিক অস্ত্র বানিয়েই যাচ্ছে। প্রস্তুতি চলছে। এখন বিজয়া দশমীর সময় রাবণের কুশ পুতুল বানিয়েছে। তোমাদের তো সীমাহীন জগতের ব্যাপার। তোমরা ভাব যে এরা এগুলো কি করছে। তোমরা যখন ওদেরকে বোঝাবে, তখন ওরাও বুঝবে যে আমরা এগুলো কি করতাম। হাসি পাবে। যেকোনো ব্যক্তিকেই বোঝাতে পারো যে এত বড় রাবণ তো হয় না। এখন বাবা বলছেন, তোমরা রামের রাজত্ব নিয়ে নাও। ৫ বিকারের দান দিলেই গ্রহণ মুক্ত হয়ে যাবে। বাবা এসে বোঝাচ্ছেন, এই ৫ বিকারের গ্রহণ সমগ্র দুনিয়ায় লেগেছে। একেবারে কালো হয়ে যায়। বাচ্চারা, তোমাদেরকে এখন অসীম খুশিতে থাকতে হবে। আর মাত্র কয়েকটা দিন। এখন তোমরা ক্রিয়েটর, ডাইরেক্টর, মুখ্য এক্টর, ড্রামার আদি-মধ্য-অন্ত সবকিছুই জেনে গেছ। আর কেউই জানে না। তোমাদের বুদ্ধি এখন স্বচ্ছ হয়ে গেছে। তোমরা বাবার বাচ্চা হয়েছ, তাই বাবা তোমাদের স্বর্গে পাঠিয়ে দেবেন। বলা হয়, নলেজ হলো সোর্স অফ ইনকাম। এটা হলো আধ্যাত্মিক জ্ঞান যা কেবল বাবা দিতে পারেন। মানুষ, এই জ্ঞান মানুষকে দিতে পারে না। দুনিয়াতে সমস্ত মানুষ কেবল মানুষকেই নলেজ দেয়। তোমাদের তো বাবা, পরমাত্মা এসে নলেজ দেন। বাকিরা সবাই ভক্তিমার্গের দন্ত কথা শোনায়। সত্য নারায়ণের কথা, রামায়ণের কথা…. যা পাস্ট হয়ে গেছে তা নিয়ে তারা কিছু না কিছু গল্প বানাতে থাকে। এটা তো হলো পড়াশোনা। পড়াশোনায় হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি পড়ানো হয়। এ হলো ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি, এটা বিশাল। তোমরা বোঝাও, বাবা ৫ হাজার বছর পূর্বেও বলেছিলেন। ওরা যারা গীতা পাঠ করে, তারা কি আর কিছু বোঝে ! যাদব, কৌরব, পাণ্ডব কাদেরকে বলা হয় – তোমরা প্রাক্টিক্যালে দেখো। ইউরোপবাসী যাদবরা ক্ষেপণাস্ত্র আবিষ্কার করেছিল এবং বিনাশ হয়েছিল। বিনাশের পরে কী হয়েছিল, সে সম্পর্কে তারা কিছুই দেখায় না। তারা মনে করে প্রলয় হয়েছে। ওরা বলে, তোমরা শাস্ত্রে বিশ্বাস করো ? তোমরা বলো হ্যাঁ, আমরা শাস্ত্র সম্বন্ধে জানি, বিশ্বাস করি – কিন্তু এ’সব হলো ভক্তিমার্গের। জ্ঞান তো একমাত্র বাবা শোনান, যিনি জ্ঞানের সাগর। এখন ভক্তি শেষ হয়ে জ্ঞানের জয়জয়কার হবে। পুরানো দুনিয়ার বিনাশ সামনে রয়েছে, কিছুই নতুন নয়। আমাদের ভালোবাসা রয়েছে বাবার প্রতি। আমরা অন্য সমস্ত সঙ্গ ত্যাগ করে কেবল একজনের সঙ্গে যুক্ত হই। বাবা বলেন – নিজেকে আত্মা মনে করে আমার সাথে যোগযুক্ত হও — একেই ভারতের প্রাচীন যোগ বলা হয়, যা একমাত্র বাবা শেখান। কৃষ্ণের আত্মাও এইসময়ে অন্তিম জন্মে রয়েছে, ওনাকে বলেন তুমি নিজের জন্ম জানো না। এটা তোমার অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম, এইজন্য আমি এর মধ্যে প্রবেশ করেছি। আমি এর মধ্যে বসে বাচ্চারা তোমাদের ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী বানিয়ে রাজত্বের ভাগ্য প্রদান করি। এটা বাবা ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না। এটা তো বাবা নিজেই এই মুখের দ্বারা শোনাচ্ছেন। এই বাবা’ও প্রথমে কিছুই জানতেন না, তোমরাও কিছু জানতে না। ভারতবাসীদেরই বোঝাতে হবে, ৮৪ জন্মের চক্র কীভাবে রিপিট হয়; এটাই সেই যুদ্ধ, এখন সামনে রয়েছে, যার দ্বারা স্বর্গের গেট খুলেছিল। যখন বাবা এসে রাজযোগ শিখিয়েছিলেন এবং মানুষ থেকে দেবতা বানিয়েছিলেন।
আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার আন্তরিক এবং প্রেমময় স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) যারা ভালোভাবে শ্রীমৎ অনুসারে চলে, তাদের অনুসরণ করতে হবে। সীমাহীন খুশিতে থাকার জন্য নিজের সমান বানানোর সেবা করতে হবে।
২ ) প্রীতবুদ্ধি হয়ে অন্য সমস্ত সঙ্গ ত্যাগ করে এক বাবার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। ডবল অহিংস হয়ে সাইলেন্সে বসে নিজেদের রাজত্ব স্থাপন করতে হবে।
বরদানঃ-
এখন মরজীবা জন্মের কারণে লৌকিক কর্মের বন্ধনের সম্বন্ধ হলো শ্রীমতের আধারে সেবার সম্বন্ধের ভিত্তি। কর্মের বন্ধন নয়, সেবার সম্বন্ধ। সেবার সম্বন্ধে যদি এক একজন আত্মা এক এক রকমের হবেই, এই জ্ঞান ধারণ করে চলো, তাহলে কোনো বন্ধনই আবদ্ধ করতে পারবে না । যদি অত্যন্ত পাপী আত্মা, অপকারী আত্মাদের প্রতি ঘৃণার পরিবর্তে দয়াবান হয়ে করুণার ভাবনা রেখে, সেবার সম্বন্ধ মনে করে সেবা করো তাহলে নামিগ্রামী বিশ্ব কল্যাণী এবং পরোপকারী রূপে গায়নযোগ্য হবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!