13 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

12 June 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এই পাঠশালা হলো নর থেকে নারায়ণ হওয়ার, এখানে পড়ান সত্য বাবা, তিনিই সত্য শিক্ষক আর সদ্গুরু, তোমাদের এই নিশ্চয়ে দৃঢ় থাকতে হবে"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা, তোমাদের কোন্ বিষয়ে সামান্যতম দুশ্চিন্তা হওয়া উচিত নয় এবং কেন ?

উত্তরঃ -:-

চলতে – চলতে কারোর যদি হার্টফেল হয়ে যায়, শরীর ছেড়ে দেয়, তাহলে তোমাদের চিন্তা করা উচিত নয়, কেননা তোমরা জানো যে, প্রত্যেককেই তার নির্দিষ্ট অ্যাক্ট করতে হবে । তোমাদের খুশী হওয়া উচিত যে, আত্মা জ্ঞান আর যোগের সংস্কার নিয়ে গেছে, তাই ভারতের আরো ভালো সেবা করবে । এতে চিন্তার কোনো কথা নেই । এ তো এই ড্রামার ভবিতব্য ।

গান:-

তুমিই মাতা….

ওম শান্তি । বাবা বাচ্চাদের বোঝান, বাচ্চারাও জানে যে, বাবা ‘বাচ্চা’ বলে সম্বোধন করেন, আর এই বাপদাদা দুজনেই কম্বাইন্ড । প্রথমে বাপদাদা, তারপর বাচ্চারা, এ তো নতুন রচনা হলো, আর বাবা রাজযোগ শেখাচ্ছেন । ভক্তিমার্গে আবার এরই গ্রন্থ রচনা করে তাকে গীতা বলে দিয়েছে কিন্তু এই সময় তো গীতার কোনো কথাই নেই । এই শাস্ত্র পরের দিকে বানানো হয়েছে, তাকে বলে দিয়েছে শ্রীমদ্ভগবদগীতা, যা সহজ রাজযোগের পুস্তক । ভক্তিমার্গের পুস্তক পাঠ করলে কোনো লাভ হবে না । তেমনই তখন শিবকে স্মরণ করলে কোনো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না । উত্তরাধিকার কেবল এই সঙ্গম যুগেই প্রাপ্ত হতে পারে । বাবা হলেন-ই অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রদানকারী, আর তিনি এই উত্তরাধিকার দেবেনও সঙ্গম যুগে । বাবা রাজযোগ শেখান । আর অন্য সন্ন্যাসীরাও যা শেখান, তাঁদের শেখানো আর বাবার শেখানোর মধ্যে রাতদিনের তফাৎ । তাঁদের বুদ্ধিতে গীতা থাকে, আর তাঁরা মনে করেন, কৃষ্ণ গীতা শুনিয়েছিলেন । ব্যাসদেব তা রচনা করেছিলেন, কিন্তু গীতা, না কৃষ্ণ শুনিয়েছিলেন, না সেই সময় শুনিয়েছিলেন । না কৃষ্ণের সেই রূপ তখন হতে পারে । বাবা সমস্ত কথা পরিস্কার করে বোঝান, আর বলেন, তোমরা এখন বিচার করে দেখো । তাঁর নামই বিখ্যাত । যিনি সত্য বলেন, তিনিই নর থেকে নারায়ণ তৈরী করতে পারেন । তোমরা বাচ্চারা জানো যে, আমরা নর থেকে নারায়ণে পরিণত হওয়ার জন্য এই পাঠশালা বা রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে বসেছি । ‘শিববাবা’ এই শব্দ কত সুন্দর । বরাবর বাবা আর দাদা অবশ্যই আছেন । তোমরা এই নিশ্চয় নিয়েই এসেছো । বাবা ব্রহ্মার দ্বারা সমস্ত বেদ শাস্ত্রের সার বুঝিয়ে বলেন আর তিনি বোঝাচ্ছেন যে, আমি তোমাদের ত্রিকালদর্শী বানাচ্ছি। এমন নয় যে, তোমরা ত্রিলোকীনাথ হও । তা নয়, তোমরা নাথ তো হও, কিন্তু কেবল শিবপুরীর । তাকে লোক বলা হবে না । লোক মনুষ্য সৃষ্টিকে বলা হয় । মনুষ্য লোক হলো চৈতন্য লোক আর সেটা হলো নিরাকারী লোক । তিনি তোমাদের কেবল ত্রিলোকের নলেজ শোনান, এই ত্রিলোকের নাথ বানান না । তোমরা তিন লোকের জ্ঞান প্রাপ্ত করো, তাই তোমাদের ত্রিকালদর্শী বলা হয় । লক্ষ্মী – নারায়ণকেও ত্রিলোকীনাথ বলা হবে না । বিষ্ণুকেও ত্রিলোকীনাথ বলা হবে না । তাঁর তো তিন লোকের জ্ঞানই নেই । লক্ষ্মী – নারায়ণ, যাঁরা ছোটবেলায় রাধা – কৃষ্ণ ছিলেন, তাঁদের ত্রিলোকের কোনো জ্ঞান নেই । তোমাদেরই ত্রিকালদর্শী হতে হবে । এই জ্ঞান ধারণ করতে হবে । বাকি কৃষ্ণের জন্য বলে দেয় — তিনি ত্রিলোকীনাথ ছিলেন, কিন্তু তা নয় । তিন লোকের নাথ তো তাঁকে বলা হবে, যিনি তিন লোকের রাজত্ব করবেন । কৃষ্ণ তো কেবল বৈকুণ্ঠনাথ হন, সত্যযুগকে বৈকুণ্ঠ বলা হয় । ত্রেতাকে বৈকুণ্ঠ বলা হবে না । আমরাও এই লোকের নাথ হবো না । বাবাও কেবল ব্রহ্ম মহতত্ত্বের নাথ । ব্রহ্মাণ্ড, যেখানে আমরা আত্মারা ডিমের আকারে থাকি, তাঁরই মালিক । ব্রহ্মা – বিষ্ণু এবং শঙ্কর সূক্ষ্মবতনে থাকেন, তাহলে তাঁদের সেখানকার নাথ বলা হবে । তোমরা বৈকুন্ঠের নাথ হও । সে হলো সূক্ষ্মবতনের কথা, আর ও হলো মূলবতনের কথা । তোমরাই কেবল ত্রিকালদর্শী হতে পারো । তোমাদের তৃতীয় নেত্র খুলে গেছে । দেখানোও হয়, ভ্রুকুটির অন্দরে তৃতীয় নেত্র, তাই ত্রিনেত্রী বলা হয় । এই নিদর্শন কিন্তু দেবতাদের দেওয়া হয়, কেননা তোমাদের যখন কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত হয়, তখন তোমরা ত্রিনেত্রী হও, সে তো এই সময়ের কথা । বাকি, ওরা তো কোনো জ্ঞানের শঙ্খ বাজায় না । ওরা আবার স্থূল শঙ্খের কথা লিখে দিয়েছে । এ হলো মুখের কথা । তোমরা এখানে জ্ঞান শঙ্খ বাজাও । তোমরা জ্ঞানের পাঠ গ্রহণ করছো । বড় ইউনিভার্সিটিতে যেমন জ্ঞান গ্রহণ করে । এ হলো পতিত পাবন গড ফাদারলি ইউনিভার্সিটি । তোমরা কতো বড় ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট । এর সাথে সাথে তোমরা এও জানো যে, আমাদের বাবা, বাবাও আবার টিচার, সদগুরুও । তিনিই সবকিছু । এই মাতাপিতা সব পরিস্থিতিতেই সুখ দান করেন, তাই বলে থাকে, তুমিই মাতা-পিতা…. । ইনি হলেন স্যাকারিন, খুবই মিষ্টি । দেবতাদের মতো মধুর কেউই কখনো হতে পারবেন না । বাচ্চারা জানে যে, ভারত খুবই সুখী, এভারহেলদি, এভারওয়েলদি ছিলো । সম্পূর্ণ পবিত্র ছিলো । বলাও হয় নিস্পাপ ভারত । এখন তো তা বলা হবে না । এখন তো পাপের দুনিয়া, পতিত বলা হবে । বাবা কতো সহজ করে বুঝিয়ে বলছেন । তোমরা বাবা আর তাঁর উত্তরাধিকারকে জেনে যাও । বাবা তোমাদের কতো মিষ্টি তৈরী করেন । তোমরাও অনুভব করো যে, আমাদের শ্রীমৎ অনুযায়ী পড়তে এবং পড়াতে হবে । এই হলো কাজ । বাকি কর্মভোগ তো জন্ম – জন্মান্তরের অনেকই আছে । মনে করো, কেউ যদি অসুস্থ হয়, কাল যদি হার্টফেল করে তাহলে বোঝা যায়, এ হলো ড্রামার ভবিতব্য । তাকে সম্ভবতঃ অন্য কোথাও পার্ট প্লে করতে হবে, তাই দুঃখের কোনো কারণ থাকে না । এই ড্রামা হলো অটল । তাকে অন্য পার্ট প্লে করতে হবে, এতে চিন্তার কি আছে । সে ভারতের আরো ভালো সেবা করবে, কেননা সংস্কারই এমন নিয়ে যায়, সকলের কল্যাণের সংস্কার । তাই খুশী হওয়া উচিত, তাই না । বাবা বোঝাতে থকেন – মা মারা গেলে হালুয়া খাও… (জ্ঞানের হালুয়া) এ’কথা বোঝার মতো বুদ্ধি চাই । তোমরা জানো যে, আমরা হলাম অভিনেতা । প্রত্যেককেই তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে । এসব ড্রামাতেই লিপিবদ্ধ আছে । এক শরীর ত্যাগ করে অন্য দেহে ভূমিকা পালন করতে হবে । এখান থেকে যে সংস্কার নিয়ে যাবে, ওখানে গুপ্ত রূপে সেই সেবাই করবে । আত্মার মধ্যে তো সংস্কারই থাকে, তাই না । যে সেবা পরায়ণ বাচ্চারা মুখ্য, সম্মানও তাদের অনেক। ভারতের কল্যাণকারী বাচ্চারা, তোমরাই । বাকি আর সবাই অকল্যাণই করে । তারা পতিত করে দেয় । মনে করো, কোনও প্রথম সারির সন্ন্যাসীর মৃত্যু হলো, সে এমনভাবে বসে যায় আর বলে, আমি এই দেহ ত্যাগ করে ব্রহ্মে গিয়ে লীন হয়ে যাবো । তাই তিনি গিয়ে কারোর কল্যাণ করতে পারেন না, কারণ তিনি তো কল্যাণকারী বাবার সন্তানই হতে পারেন না । তোমরা হলে কল্যাণকারী বাবার সন্তান । তোমরা কারোর অকল্যাণ করতে পারো না । তোমরা তো কল্যাণের কারণেই যাবে । এ হলো পতিত দুনিয়া । বাবার নির্দেশ জারি হয়েছে যে, এই ভোগবলের রচনা আর চাই না । এ হলো তমোপ্রধান দুনিয়া । অর্ধেক কল্প ধরে তোমরা কাম কাটারির দ্বারা একে অপরকে দুঃখ দিয়ে এসেছো । এ হলো রাবণের পাঁচ ভূত, যা তোমাদের দুঃখ দেয় । এ হলো তোমাদের সবথেকে বড় শত্রু । বাকি কোনো সোনার লঙ্কা ইত্যাদি ছিলো না । এই সব কথা বসে বানানো হয়েছে । বাবা বলেন, এ তো হলো অসীম জগতের কথা । সম্পূর্ণ মনুষ্য সৃষ্টি এখন রাবণের শৃঙ্খলে আবদ্ধ । ম্যাগজিনেও সুন্দর চিত্র বের হয়েছে – সবাই রাবণের খাঁচায় আটকে আছে, সকলেই শোক বাটিকাতে আছে । অশোক বাটিকা তো নেই । অশোকা হোটেল নয়, এ তো সব শোকের হোটেল, খুবই দুর্গন্ধ ছড়ায় । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, কে স্বচ্ছ, আর কে আবর্জনা যুক্ত । তোমরা এখন ফুলে পরিণত হচ্ছো ।

বাচ্চারা তোমরা জেনেছ আত্মার রেকর্ডে কত বড় পার্ট সঞ্চিত হয়ে আছে। এটা বড়ই চমৎকার বিষয়। এতো ছোট আত্মার মধ্যে ৮৪ জন্মের অবিনাশী পার্ট সঞ্চিত হয়ে আছে। বলেও থাকে আমরা পতিত তমোপ্রধান হয়ে গেছি। এখন শেষের পর্যায়ে রক্তের এই খেলা। একটা বোমাতেই কত অসংখ্য মরে যায়। তোমরা জানো এখন এই পুরানো দুনিয়া আর থাকবে না। এটা পুরানো শরীর আর পুরানো দুনিয়া। আমাদের নতুন দুনিয়াতে নতুন শরীর পেতে হবে সেইজন্যই পুরুষার্থ করছি শ্রীমত অনুসারে। নিশ্চয়ই এইসব বাচ্চারা ওঁনার সহযোগী হবে। শ্রী শ্রীর শ্রীমতে চলে আমরা শ্রী লক্ষ্মী, শ্রী নারায়ণ হই। ভাইস প্রেসিডেন্টকে তো আর প্রেসিডেন্ট বলা যায় না। এটা তো হতেই পারে না। পাথর-নুড়িতে ভগবান অবতার কীভাবে হবেন। ওঁনার জন্য গাওয়াও হয়ে থাকে যদা যদাহি ….যখন সবকিছুই সম্পূর্ণ রূপে পতিত হয়ে যায়, কলিযুগের অন্তিম সময় এগিয়ে আসে তখনই আমাকে আসতে হয়। এখন তোমরা বাচ্চারা আমাকে স্মরণ করো। বাবা জিজ্ঞেস করেন – বাবার স্মরণ কি থাকে ? বাচ্চারা বলে পদে-পদে ভুলে যাই। কেন ? লৌকিক বাবাকে তো কখনো ভুলে যাও না। এই বিষয় সম্পূর্ণ রূপে নতুন। বাবা নিরাকার বিন্দু। এই অভ্যাস নেই। বলা হয় না যে – না কখনও এমনটা শুনেছি, না ওঁনাকে এইভাবে স্মরণ করেছি ! দেবতাদেরও এই জ্ঞান থাকে না। এই জ্ঞান প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। ওদের স্বদর্শন চক্রধারীও বলা হয় না। যদিও বলে বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়। প্রবৃত্তি মার্গের জন্য দুই রূপ দেখানো হয়। ব্রহ্মা সরস্বতী, শঙ্কর পার্বতী, এবং লক্ষ্মী-নারায়ণ। উচ্চ থেকে উচ্চতম একজনই, তারপর ক্রমানুসারে সেকেন্ড, থার্ড…এখন বাবা বলেন বাচ্চারা দেহ সহ দেহের সব ধর্মকে ছেড়ে, নিজেকে আত্মা মনে করো। আমি আত্মা বাবার সন্তান। আমি সন্ন্যাসী নই। বাবাকে স্মরণ করো, এই দেহের ধর্মকে ভুলে যাও। খুবই সহজ ব্যাপার। এখন বাবার সাথে বসে আছো। বাবা ব্রহ্মার শরীরের দ্বারা বলে থাকেন। বাপদাদা দুজনেই কম্বাইন্ড (একত্রে)। যেমন দুইজন বাচ্চা (যমজ)একসাথে জন্ম নিয়ে থাকে, এখানেও ঠিক সেরকমই দুই জনের পার্ট একসাথে চলছে। বাবা বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন অন্তিমে যেমন মতি থাকবে তেমনই গতি প্রাপ্ত হবে। যখন শরীর ছাড়ে, ঐ সময় বুদ্ধি কোথাও চলে গেলে সেখানেই জন্ম নিতে হবে। শেষ সময়ে পতির মুখ দেখলে বুদ্ধি সেদিকেই চলে যায়। শেষ সময়ে যে যেমন স্মৃতিতে থাকবে, সেই সময়ের প্রভাবই বেশি পড়ে। যদি ঐ সময় স্মৃতি থাকে যে কৃষ্ণের মতো হবো, তবে তো কিছুই বলার নেই। খুব সুন্দর সন্তান হয়ে জন্ম গ্রহণ করবে। এখন তো অন্তিম সময় একটা বিষয়েই একাগ্র হওয়া উচিত তাইনা। এই সময় তোমরা কি করছ ! তোমরা জানো আমরা শিববাবাকে স্মরণ করি। সবার সাক্ষাৎকার তো হয়ই। মুকুটধারী তো কৃষ্ণও আছে , রাধাও আছে। প্রিন্স-প্রিন্সেস তো হবে কিন্তু কবে ? সত্যযুগে না ত্রেতা যুগে ? সেটাও পুরুষার্থের উপরে নির্ভর করে। যত পুরুষার্থ করবে ততই উচ্চ পদ পাবে। তোমরা বলো আমরা তো ২১ জন্মের জন্য রাজত্ব নেবো। মাম্মা বাবা নেন তবে আমরা কেন তাদের ফলো করব না। নলেজ ধারণ করে অন্যদেরও ধারণ করাতে হবে, এইভাবে সার্ভিস করলে তবেই প্রালব্ধ পাওয়া যাবে। স্কুলে যে যথার্থ রীতিতে পুরুষার্থ করে না সে কম নম্বর পেয়ে থাকে। তোমরা এখন ৫ বিকার রূপী মায়া রাবণের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করে থাকো। তোমাদের যুদ্ধ হল অহিংসার। যদি রামকে প্রতীক দিয়ে না দেখানো হয় তবে সূর্যবংশীয়, চন্দ্রবংশীয় কীভাবে বলবে। সুতরাং বাবা বলেন তোমরা যত পুরুষার্থ করবে ততই অন্তিম কালে যেমন মতি তেমন গতি হবে। দেহের চেতনাও যাতে না থাকে, সবাইকে ভুলতে হবে। বাবা বলেন তোমরা নগ্ন (অশরীরী) হয়ে এসেছিলে এইভাবেই নগ্ন হয়ে যেতে হবে। তোমরা এতো ছোট বিন্দু এই কান দ্বারা শোন, মুখ দ্বারা বলো। আমরা আত্মারা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীরে প্রবেশ করি। এখন আমরা আত্মারা ঘরে ফিরে যাচ্ছি। বাবা আমাদের অলঙ্কৃত করছেন, যাতে মানুষ থেকে দেবতা হয়ে উঠি। তোমরা জানো শিববাবাকে স্মরণ করলে আমরা এমন হতে পারি। গীতাতেও আছে আমাকে স্মরণ করলে আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করলে তোমরা স্বর্গের মালিক হতে পারবে। কত সহজ ব্যাপার। তোমরা বুঝেছ – পূর্বের মতোই আমরা কল্পে-কল্পে তোমার কাছে ব্রহ্মা দ্বারা উত্তরাধিকার পেয়ে থাকি। গাওয়া হয় না – ব্রহ্মা দ্বারা দেবতা ধর্মের স্থাপনা ? অসফল হলে ত্রেতায় ক্ষত্রিয় ধর্মে চলে যাবে। ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয়…এই তিন ধর্মের স্থাপনা হয়। সত্যযুগে আর কোনো ধর্ম থাকে না, পরে অন্যান্য ধর্ম আসে। ঐ ধর্মের সাথে আমাদের কোনো কানেকশন নেই। ভারতবাসীরা ভুলে গেছে যে আমরা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের। এটাও ড্রামার পার্ট যা এভাবেই তৈরি হয়েছে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) শ্রীমত অনুসারে পড়াশোনা করা আর করানোর সেবা করতে হবে। ড্রামার ভবিষ্যতের প্রতি অটল থাকতে হবে। কোনো ব্যাপারে চিন্তা করা উচিত নয়।

২ ) শেষ সময়ে এক বাবা ছাড়া আর কেউ যেন স্মরণে না আসে, সেইজন্যই এই দেহকে ভুলে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অশরীরী হতে হবে।

বরদানঃ-

পবিত্রতার পারসোন্যালিটি এবং রয়্যালটির যারা, তারা মন-বুদ্ধির দ্বারা কোনো রকমের মন্দকে টাচ্ করতে পারে না। যেমন ব্রাহ্মণ জীবনে শারীরিক আকর্ষণ বা শারীরিক টাচিং হল অপবিত্রতা, তেমনই মন-বুদ্ধিতে কোনো বিকারের সংকল্প মাত্রও আকর্ষণ বা টাচিং হল অপবিত্রতা। সুতরাং কোনো রকম মন্দকে সংকল্পেও টাচ না করা – এটাই হল সম্পূর্ণ বৈষ্ণব বা সফল তপস্বীর চিহ্ন।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top