13 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

13 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

12 July 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - শিব বাবার এই লালসাও নেই যে, বাচ্চারা বড় হলে তখন আমার সেবা করবে, তিনি কখনো বৃদ্ধ হন না, বাবা হলেনই নিষ্কাম সেবাধারী"

প্রশ্নঃ --

ভোলানাথ শিব বাবা আমাদের মতো সকল বাচ্চাদের খুব বড় গ্রাহক — কিভাবে ?

উত্তরঃ -:-

বাবা বলেন, আমি এতো ভোলাভালা গ্রাহক যে, তোমাদের সমস্ত পুরানো জিনিস কিনে নিই, আর তার পরিবর্তে আমি সমস্ত নতুন – নতুন জিনিস দিই । তোমরা বলো যে – বাবা, এই তন – মন এবং ধন সব তোমার, তখন এর পরিবর্তে তোমরা সুন্দর স্বাস্থ্য পেয়ে যাও, অগাধ ধন পেয়ে যাও ।

গান:-

ভোলানাথের মতো

ওম শান্তি । ভক্তি মার্গে এই গীত গাওয়া হয় । যে গানই আছে, সব ভক্তিমার্গের, তার অর্থও বাবা বুঝিয়ে বলেন । বাচ্চারাও বুঝতে পারে যে, ভোলানাথ কাকে বলা হয় । দেবতাদের ভোলানাথ বলা হবে না । এমন মহিমা আছে যে, সুদামা দু’ মুঠি চাল দিয়েছিলো, পরিবর্তে মহল পেয়েছিলো । তাও কতো সময়ের জন্য ? ২১ জন্মের জন্য । বাচ্চারা এখন বুঝতে পারেন যে, বরাবর বাবা এসে ভারতবাসীদের হীরে – জহরতের মহল দেন । কার পরিবর্তে দেন ? বাচ্চারা বলে – বাবা, এই তন – মন – ধন সব তোমার । তোমারই দেওয়া । কারোর সন্তান জন্ম হলে বলে, ভগবান দিয়েছেন । ধনের জন্যও বলে, ভগবান দিয়েছেন । কে বলে ? আত্মা । ভগবান অর্থাৎ বাবা দিয়েছেন । বাবা বলেন – সবকিছুই এখন তোমাদের দিতে হবে । এর পরিবর্তে আমি তোমাদের খুব সুন্দর তন ট্রান্সফার করে দেবো, অথৈ ধন দেবো, কিন্তু কাকে দেবো ? অবশ্যই বাচ্চাদেরই দেবো । লৌকিক বাবার কাছ থেকে অল্পকালের জন্য ধন পেয়েছো । অসীম জগতের বাবা আমাদের অসীমের উত্তরাধিকার প্রদান করবেন । বাবা বোঝান যে, জ্ঞান আর ভক্তিতে রাতদিনের তফাৎ । ভক্তিতে অল্পকালের জন্য পাওয়া যায় । অর্থ থাকলে সুখও আছে । অর্থ ছাড়া মানুষ কতো দুঃখী হয় । বাচ্চারা জানে যে, বাবা আমাদের অথৈ ধন প্রদান করেন, তাই তারা সুখী হয় । সুখধামে তো সুখের কোনো কমতি নেই । প্রত্যেকেরই নিজের – নিজের রাজধানী থাকে । একে বলা হয় পবিত্র গৃহস্থ আশ্রম । তাই বাবা কতো ভোলাভালা, কি নেন আর পরিবর্তে কি দেন । বাবা কতো ভালো গ্রাহক । এমনিতে তো বাচ্চাদের জন্য বাবা গ্রাহকই । বাচ্চার জন্ম হলেই সমস্ত সম্পদ তার । ও হলো জাগতিক গ্রাহক, ইনি হলেন অসীম জগতের ভোলানাথ । অসীম জগতের বাচ্চাদের গ্রাহক । বাবা বলেন – আমি পরমধাম থেকে এসেছি । তোমাদের সকলের কাছ থেকে পুরানো সবকিছু নিয়ে নতুন দুনিয়াতে তোমাদের সবকিছুই দিই, তাই তাঁকে দাতা বলা হয় । এনার মতো দাতা আর কেউই নেই । ইনি নিষ্কাম সেবা করেন । বাবা বলেন – আমি নিষ্কামী । আমার কোনো লালসা নেই । আমি এমন তো বলি না যে, বাচ্চাদের কাজ হলো – বৃদ্ধ বাবার দেখভাল করা, কেননা আমি তোমাদের সুরক্ষা করেছি । তা নয়, এ হলো নিয়ম – বাবা বৃদ্ধ হলে বাচ্চারা তার সুরক্ষা করে । এই বাবা তো কখনোই বৃদ্ধ হন না, তিনি সদাই জোয়ান । আত্মা কখনোই বৃদ্ধ হয় না । এ তো জানো যে, লৌকিক বাবা বাচ্চাদের কাছে আশা করে যে, আমি যখন বৃদ্ধ হবো তখন বাচ্চারা আমার সেবা করবে । যদিও সবকিছুই বাচ্চাদের দিয়ে দেয়, তবুও সেবা তো হয়ই । এই শিব বাবা বলেন, আমি হলামই অভোক্তা । আমি কখনোই খাই না । আমি কেবল বাচ্চাদের জ্ঞান দান করতেই আসি । সুপ্রীম আত্মা, আত্মাদের বসে বোঝান । আত্মাই শোনে, আর প্রতিটি কথা আত্মাই বলে । সংস্কারও আত্মাই সঙ্গে নিয়ে যায়, যার আধারে আত্মা শরীর প্রাপ্ত করে । এখানে মানুষের অনেক মত । কেউ বলে, আত্মাই হলো পরমাত্মা । তার কোনো দাগ লাগে না । আত্মাকে নির্লিপ্ত বলে দেয় । আত্মা যদি নির্লিপ্ত হয় তাহলে কেন বলে পাপ আত্মা, পুণ্য আত্মা । আত্মা যদি নির্লিপ্ত হয় তাহলে বলা হবে – পাপ শরীর, পুণ্য শরীর । তোমরা এখন জানো যে, সকল আত্মার আত্মিক পিতা এখন আমাদের মতো আত্মাদের এই শরীরের দ্বারা পড়াচ্ছেন । আত্মাকে তো ডাকেও, তাই না । বলে থাকে — আমার বাবার আত্মা এসেছে, টেস্ট নিয়েছে । আত্মাই টেস্ট নেয় । বাবা তো এমন বলবেন না । তিনি তো অভোক্তা । আত্মাকে ডেকে ব্রাহ্মণদের খাওয়ানো হয় । কোথাও তো বিরাজমান থাকবে, তাই না । ব্রাহ্মণদের খাওয়ানো ভারতে খুব সাধারণ কথা । আত্মাকে ডাকে, তাকে জিজ্ঞেস করে, কোনো কোনো কথা তখন তার সত্যও হয়ে যায় । এই পিণ্ড আদি খাওয়ানো, এও ড্রামাতে লিপিবদ্ধ । এতে কোনো আশ্চর্য হওয়া উচিত নয় । বাবা সংক্ষেপে এই ড্রামার রহস্যকে বুঝিয়ে বলেন । বিস্তারিত ভাবে এতো বড় ড্রামাকে বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয় । এক একজনকে বোঝাতেই এক বছর লেগে যাবে । বাচ্চারা, তোমরা খুব সহজ শিক্ষা পাও । এমন গেয়েও থাকে যে, হে পতিত পাবন, এসো, তুমি এসে আমাদের পবিত্র বানাও তাঁর নামই হলো পতিত পাবন । ব্রহ্মা – বিষ্ণু – শঙ্করকে পতিত পাবন বলা যাবে না । বাবাকেই পতিত পাবন, উদ্ধারকর্তা বলা হয় । দুঃখহর্তা – সুখকর্তাও তাঁকেই বলা হয় । তিনি হলেন নিরাকার । শিবের মন্দিরে গিয়ে দেখো সেখানে লিঙ্গ রাখা আছে । অবশ্যই তিনি চৈতন্য ছিলেন, তাই তো পুজো করা হয় । এই দেবতারাও কখনো চৈতন্য ছিলেন, তাই তো তাঁদের এতো মহিমা । নেহেরু চৈতন্য ছিলেন, তাই তো তার ছবি রেখে এতো মহিমা করা হয় । কেউ কোনো ভালো কাজ করলে তার জড় চিত্র বানিয়ে মহিমা করা হয় । পবিত্রেরই পুজো করা হয় । কোনো মানুষেরই পুজো করা যাবে না । বিকারের দ্বারা জন্ম হয় তো, তাই তাদের পুজো হতে পারে না । পুজো দেবতাদেরই হয়, যাঁরা সর্বদার জন্য পবিত্র থাকেন । তোমরা জানো যে, বাবা এসেছিলেন, আবার তিনি এই সঙ্গমে এসেছেন — স্বর্গ স্থাপন করার জন্য । আবার দ্বাপর যুগ থেকে রাবণ রাজ্য শুরু হবে । রাবণ রাজ্য শুরু হলেই শীঘ্রই শিবের মন্দির তৈরী করে । এখন তো তিনি চৈতন্য অবস্থায় এই জ্ঞান শোনাচ্ছেন । তিনি হলেন সৎ এবং চৈতন্য । তাঁর মহিমারই গায়ন হয় —নিরাকারের তো শরীরের প্রয়োজন, তাই না । তাই বাবা এসেই এই বিশ্বকে স্বর্গ করেন, আর তোমরা এখন সেই স্বর্গে রাজত্ব করার জন্য পুরুষার্থ করছো । তোমরাই স্বর্গবাসী হওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছো । নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা হলেন জ্ঞানের সাগর, কিন্তু তিনি কিভাবে শোনাবেন ? তিনি বলেন – আমি এই শরীরে আসি, ড্রামাতে আমার এই পার্ট আছে । আমি প্রকৃতির আধার গ্রহণ করি । ইনি যে প্রথম নম্বরে আছেন, এনার অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে আমি এসে প্রবেশ করি, আর এনার নাম ব্রহ্মা রাখি । প্রথমে এইসব ভট্টিতে ছিলো, তখন অনেকেরই নাম দেওয়া হয়েছিলো, কিন্তু অনেকেই ছেড়ে দিয়েছিলো, তাই নাম রেখে কি লাভ ? তোমরা যদি সেই নাম দেখো তাহলে আশ্চর্য হয়ে যাও । একই সাথে সব একত্রিত হয়ে ছিলো, কতো মনোরম নাম হতো । সন্দেশী নাম নিয়ে আসতো । সেই লিস্টও অবশ্যই রাখা উচিত । সন্ন্যাসীরাও যখন সন্ন্যাস গ্রহণ করে তখন তাদেরও নামের পরিবর্তন হয়ে যায় । তারা ঘরবাড়ি ত্যাগ করে । তোমরা তা ত্যাগ করো না । তোমরা এসে ব্রহ্মার হয়ে যাও । শিবের তো আছোই । তোমরা বলেই থাকো – বাপদাদা । সন্ন্যাসীদের এমন হয় না । যদিও তারা নাম পরিবর্তন করে, কিন্তু বাপদাদাকে পায় না । তারা কেবল গুরুকে পায় । হঠযোগী জাগতিক সন্ন্যাসী আর রাজযোগী অসীম জগতের সন্ন্যাসী, এতে রাতদিনের তফাৎ । এমন গায়নও আছে যে — জ্ঞান, ভক্তি এবং বৈরাগ্য । ওদেরও বৈরাগ্য থাকে কিন্তু ওদের হলো ঘরবাড়ির প্রতি বৈরাগ্য । তোমাদের হলো সম্পূর্ণ দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য । ওরা জানেই না যে সৃষ্টি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে । তোমাদের হলো অসীম জগতের বৈরাগ্য । এই সৃষ্টিকে খালি হতেই হবে । তোমাদের জন্য নতুন দুনিয়া তৈরী হচ্ছে । তোমাদের ওখানে যেতে হবে কিন্তু পবিত্র হওয়া ব্যতীত তো ওখানে যেতে পারবে না । তোমাদের হৃদয়ে বারবার মনে হতে থাকে যে, বরাবর নতুন দুনিয়াতে দেবী – দেবতার রাজ্য ছিলো, যা বাবা এখন স্থাপন করছেন । তোমরা জানো যে, শিব বাবাকে স্মরণ করলে তোমরা পুণ্য আত্মা হয়ে যাবে । এ খুবই সহজ কিন্তু স্মরণ করতেই ভুলে যায় । ভক্তিমার্গের রীতি – নিয়ম সম্পূর্ণ আলাদা । নিজের ঘরে তো কেউ ফিরে যেতেই পারে না । সকলকে অবশ্যই পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হবে । ঘরে ফিরে যাওয়ার সময় একই সময়ে । অমুকে মোক্ষ প্রাপ্ত করেছে, এ তো গল্পকথা । বাবা বলেন – কোনো আত্মাই মাঝপথে ফিরে যেতে পারে না । না হলে সম্পূর্ণ খেলা বিগড়ে যাবে । প্রত্যেককেই সতো, রজো এবং তমোতে অবশ্যই আসতে হবে । মোক্ষর জন্য তো অনেকেই আসে, কিন্তু তাদের বোঝানো হয় যে, মোক্ষ তো হয়ই না । এ তো অনাদি বানানো ড্রামা । এর কখনোই পরিবর্তন হতে পারে না । মাছি যদি এখান দিয়ে চলে যায়, তাহলে পাঁচ হাজার বছর পরেও এমনভাবেই চলে যাবে । এ তো জানেই যে, বাবা কতো ভোলাভালা । পতিত পাবন বাবা নিজের পরমধাম থেকে এখানে অভিনয় করতে আসেন । তিনিই বোঝান যে, এই ড্রামা কিভাবে বানানো হয়েছে, এখানে মূখ্য কে কে । যেমন বলা হয় না, এই দুনিয়াতে সবথেকে বিত্তবান কে ? এতেও নম্বরের ক্রমানুসারে নাম বের হয় । তোমরা জানো যে, সবথেকে বিত্তবান কে ? ওরা বলবে – আমেরিকা, কিন্তু তোমরা জানো যে, স্বর্গে সবথেকে বিত্তবান এই লক্ষ্মী – নারায়ণ হয় । তোমরা ভবিষ্যতের জন্য পুরুষার্থ করো, সবথেকে বড় বিত্তবান হওয়ার জন্য । এ হলো রেস । এই লক্ষ্মী – নারায়ণের মতো বিত্তবান কেউ হবে কি ? আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের গল্পও বানানো হয় । হাততালি দিলেই কুবেরের সম্পদের দরজা খুলে যায় । এমন অনেক ধরনের নাটক বানাতে থাকে । তোমাদের বুদ্ধিতে এখন আছে যে — এই শরীর ত্যাগ করে এখন স্বর্গে যাবো । সেখানে অগাধ সম্পদ পাবো । বাবা বলেন যে — আমাকে স্মরণ করলে মায়া একদম পালিয়ে যাবে । বাবাকে স্মরণ করো না, তাই মায়া তোমাদের এতো বিরক্ত করে । তখন বলে – বাবা, আমার কাছে খুব মায়ার ঝড় তুফান আসে । আচ্ছা, খুব ভালোভাবে বাবাকে স্মরণ করো তাহলেই তুফান উড়ে যাবে । বাকি নাটক ইত্যাদি বসে বানিয়েছে । কথা কিছুই নয় । বাবা কতো সহজ করে বলেন — তোমরা কেবল বাবাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের মধ্যে যে খাদ আছে, তা বের হয়ে যাবে, তিনি আর কোনো কষ্ট দেন না । আত্মা, যা পবিত্র সোনা ছিলো, তা এখন নকল হয়ে গেছে, আবার তা আসল হবে এই স্মরণের অগ্নিতে । আগুনে নিক্ষেপ করা ছাড়া সোনা পবিত্র হতে পারবে না, একে যোগ অগ্নি বলা হয় । এ হলো স্মরণেরই কথা । ওরা তো অনেক প্রকারের হঠযোগ শেখায় । বাবা তো তোমাদের বলেন — তোমরা উঠতে – বসতে স্মরণ করো । আসন ইত্যাদি তোমরা কতো করবে । এখানে তো চলতে – ফিরতে কাজ করতে করতে স্মরণে থাকতে হবে । যদি অসুস্থও হও, তাহলে এখানে শুয়েও বাবাকে স্মরণ করতে পারো । শিব বাবাকে স্মরণ করো আর চক্রকে ঘোরাও, ব্যস । ওরা তো আবার লিখে দিয়েছে – গঙ্গার তট হোক, মুখে অমৃত থাকুক । গঙ্গার পারে তো গঙ্গা জলই পাওয়া যায়, তাই মানুষ হরিদ্বারে গিয়ে বসে । বাবা তো বলেন, তোমরা যেখানেই বসো, যদি অসুস্থও হও, কিন্তু কেবল বাবাকেই স্মরণ করো । সুদর্শন চক্র ঘোরাতে থাকো তখনই প্রাণ তন থেকে বের হবে । এই অভ্যাস করতে হবে । ওই ভক্তিমার্গের কথায় আর এই জ্ঞানমার্গের কথায় কতো রাতদিনের তফাৎ । বাবার স্মরণে তোমরা স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে । ওরা তো জাগতিক যোদ্ধাদের বলে, যে যুদ্ধের ময়দানে মারা যাবে, সে স্বর্গে যাবে । বাস্তবে যুদ্ধ এখানেই । ওরা তো কৌরব – পাণ্ডবদের যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে । মহাভারত যুদ্ধের পর কি হলো ? রেজাল্ট কিছুই নেই । এ সম্পূর্ণ ঘোর অন্ধকার, কিছুই বুঝতে পারে না তাই অজ্ঞান অন্ধকার বলা হয় । বাবা এখন আলোর প্রকাশ দিতে এসেছেন । তাঁকে জ্ঞানের সাগর, নলেজফুল বলা হয় । এখন তোমরাও সম্পূর্ণ জ্ঞান পেয়েছো । সে হলো মূল বতন, যেখানে তোমরা আত্মারা থাকো, তাকে ব্রহ্মাণ্ডও বলা হয় । এখানে রুদ্র যজ্ঞ রচনা করা হয়, তাই বাবার সঙ্গে সঙ্গে তোমাদের আত্মাদেরও পুজো করা হয়, কেননা তোমরা অনেকের কল্যাণ করো । বাবার সঙ্গে সঙ্গে তোমরা প্রধানত ভারতের আর সাধারণ ভাবে সম্পূর্ণ দুনিয়ার আত্মিক সেবা করো, তাই বাবার সঙ্গে সঙ্গে তোমাদের মতো বাচ্চাদেরও পূজন হয় । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) মায়ার ঝড় তুফানকে দূর করার জন্য বাবাকে খুব ভালোবেসে স্মরণ করতে হবে । আত্মাকে যোগ অগ্নির দ্বারা প্রকৃত সোনা বানাতে হবে ।

২ ) অসীম জগতের বৈরাগী হয়ে এই পুরানো দুনিয়াকে ভুলে যেতে হবে । দুনিয়া পরিবর্তন হচ্ছে, নতুন দুনিয়াতে যেতে হবে, তাই এর থেকে সন্ন্যাস নিতে হবে ।

বরদানঃ-

জ্ঞানের পয়েন্টস, যা ডায়রীতে বা বুদ্ধিতে থাকে, তা প্রতিদিন রিভাইজ করো, আর তাকে অনুভবে নিয়ে এসো, তাহলে যে কোনো প্রকারের সমস্যার সহজ সমাধান করতে পারবে । কখনোই ব্যর্থ সঙ্কল্পের হাতুড়ি দিয়ে সমস্যার পাথরকে ভেঙ্গে ফেলার প্রচেষ্টায় সময় নষ্ট ক’রো না । ”ড্রামা” শব্দের স্মৃতিতে হাই জাম্প দিয়ে এগিয়ে যাও । তখন এই পুরানো সংস্কার তোমাদের দাস হয়ে যাবে, কিন্তু প্রথমে বাদশাহ হও, হৃদয় সিংহাসনে আসীন হও ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top