13 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

January 12, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের এই কাঁটার জঙ্গলকে দৈব ফুলের বাগানে পরিণত করতে হবে, নতুন দুনিয়া নির্মাণ করতে হবে”

প্রশ্নঃ --

তোমরা বাচ্চারা বাবার সঙ্গে কোন্ সেবা করো, যা আর কেউ করে না ?

উত্তরঃ -:-

সারা বিশ্বে সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজধানী স্থাপন করার সেবা তোমরা বাচ্চারাই বাবার সাথে সাথে করো, যা আর কেউ করতে পারে না। তোমরা এখন নতুন দুনিয়ার ফাউন্ডেশন তৈরি করছো, সুতরাং অবশ্যই এই পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হবে। দৈব ফুলের বাগান তৈরি করা এবং কাঁটার জঙ্গলকে ধ্বংস করা – এটা একমাত্র বাবারই কাজ।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায়..

ওম্ শান্তি । যখন কোনো সাধু-সন্ন্যাসী বা পন্ডিত ব্যক্তি বক্তৃতা দেয় তখন প্রথমে কাউকে না কাউকে নমস্কার করে। কেউ ‘শিবায় নমঃ’ বলে, কেউ ‘কৃষ্ণায় নমঃ’ বলে, কেউ আবার ‘গণেশায় নমঃ’ বলে। কিন্তু নমস্কার তো সর্বোচ্চ এক বাবাকেই করা উচিত। বাচ্চারা তোমরা জানো, সর্বোচ্চ হলেন এক ভগবান এবং তাঁর নাম হলো শিব। এমনকি গায়ন করা হয় ‘শিবায় নমঃ’। শিবকে সর্বদা বাবা বলে ডাকে। শিববাবা সর্বপ্রথমে সৃষ্টি করেন। সৃষ্টিকর্তা হলেন এক এবং বাস্তবে সৃষ্টিও হলো এক। বাবাকে বলা হয় সৃষ্টিকর্তা এবং দুনিয়াকে সৃষ্টি বলা হয়। বাবা যে দুনিয়া সৃষ্টি করেন সেটা অবশ্যই নতুন দুনিয়া হবে। কিন্তু বাবা অবশ্যই পুরানো দুনিয়াতেই আসবেন, এই কারণেই বাবাকে পতিত-পাবন বলা হয়। সারা দুনিয়ার সমস্ত মানুষ এবং বিশেষ করে ভারতবাসীরা বাবাকে স্মরণ করে : হে পতিত পাবন এসো। যখন সবাই দুঃখী এবং পতিত হয়ে যায় তখন বাবাকে আহ্বান করে। কিন্তু তারা জানে না, তারা কখন দুঃখী হয় এবং কখন থেকে বাবাকে স্মরণ করছে। বাবা বসে বোঝাচ্ছেন – আগেও বুঝিয়েছিলেন যে, হে বাচ্চারা, তোমরা নিজেদের দুঃখ-সুখের জন্ম সম্বন্ধে জানো না। আমি হলাম জ্ঞানের সাগর, নলেজফুল; আমি বসে তোমাদের বোঝাচ্ছি। শিববাবা বলেন, আমি মনুষ্য সৃষ্টির বীজ এবং আমাকে পতিত-পাবনও বলা হয়। সুতরাং অবশ্যই পতিত দুনিয়া রয়েছে এবং পাবন দুনিয়াও রয়েছে। পাবন দুনিয়াকে হেভেন অথবা গার্ডেন বলা হয়। তারপর যখন দুনিয়া পতিত হয়ে যায় তখন কাঁটার জঙ্গল বলা হয়। সেখানে অসংখ্য মানুষ হয়ে যায় এবং মায়ার রাজ্য শুরু হয়ে যায়। যে-ই আসবে তাকে বুঝিয়ে বলবে, আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে ভারত গার্ডেন অফ গড ছিল। সেখানে মানুষ অনেক সুখী ছিল। নতুন দুনিয়াতে কেবল ভারতই ছিল, অন্য কোনো ভূমির নাম বা চিহ্নও ছিল না। নতুন ভারতে নতুন দিল্লিও ছিল, যাকে পরিস্তান বলা হতো। ভারত হীরে তুল্য ছিল, ভারতকেই সুখধাম বলা হতো। এখন তো ভারত পুরানো হয়ে গেছে, একেই দুঃখধাম বলা হয়। এখন বাবা বোঝাচ্ছেন, আজকাল দিল্লিতে নতুন বিশ্ব নির্মাণের জন্য প্রদর্শনী করছে, মানুষকে বোঝানোর জন্য যে এই বিশ্ব কীভাবে নতুন হয়। চিত্র সামনে রেখে আর কেউ বোঝাতে পারে না এবং নতুন বিশ্বের নির্মাণ নিয়ে এমন প্রদর্শনী অন্য কেউ করতে পারে না। এই প্রথম বারই ব্রহ্মাকুমার কুমারীরা বসে বোঝাচ্ছে, ভারত যখন নতুন ছিল তখন সবাই সুখী ছিল। সেখানে লক্ষ্মী-নারায়ণ রাজত্ব করতো, বিষ্ণুপুরী নতুন দুনিয়া ছিল। নতুন দুনিয়ার নির্মাণ অর্থাৎ ভিত্তি স্থাপন করা – এটা কেবল পরমপিতা পরমাত্মারই কাজ। ভারতবাসী যারা নিজেরাই নিজেদেরকে পতিত এবং দুর্নীতিগ্রস্ত বলে, তারা নতুন দুনিয়া নির্মাণ করতে পারে না। তোমরা জানো – দুনিয়াতে লোকেরা কীভাবে ভিত্তি স্থাপন করে। বাবা বলেন, আমি নতুন দুনিয়া স্বর্গের ভিত্তি স্থাপন করি। পুরানো দুনিয়া বিনাশ হয়ে যাবে। এটা হলো কাঁটার দুনিয়া। মানুষ কাঁটার মতো, একে অপরকে দুঃখ দিতে থাকে। ভারত গার্ডেন অফ আল্লাহ ছিল, গড স্থাপন করেছিলেন। তারা ‘শিবায় নমঃ’ও বলে। শিববাবা কীভাবে স্থাপন করেছিলেন ? তিনি ব্রহ্মার দ্বারা গার্ডেন অফ আল্লাহ অর্থাৎ দৈব ফুলের বাগান স্থাপন করছেন। তিনি কাঁটার জঙ্গলকে পরিবর্তন করে দৈব স্বরাজ্য স্থাপন করবেন। তিনি বাচ্চাদের নিমন্ত্রণ দেন। এখানেও বাচ্চারা নিমন্ত্রণ দিচ্ছে যে, বাবা এসে দেখো আমরা কীভাবে চিত্রের মাধ্যমে বোঝাচ্ছি যে, কীভাবে নতুন দুনিয়া স্থাপন হচ্ছে এবং পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হচ্ছে। তুমি এসে দেখো এবং শ্রীমৎ প্রদান করো। ওঁনাকে আহ্বান করে। এই চিত্রের মাধ্যমে কাউকে বোঝানো তো খুব সহজ। শীর্ষে পরমপিতা পরমাত্মার চিত্র রয়েছে। সর্বোচ্চ হলেন শিব, যাঁকে সবাই নমস্কার করে। তিনি নতুন দুনিয়া সৃষ্টি করেন। নতুন ভারতে কেবল দেবী-দেবতা অর্থাৎ লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল। সুতরাং সর্বোচ্চ পরমপিতা পরমাত্মা, তিনি পুনরায় সূর্যবংশী-চন্দ্রবংশী রাজত্ব স্থাপন করছেন – ব্রহ্মা এবং ব্রহ্মাকুমার-কুমারীদের দ্বারা। তারা সত্যযুগের শুরুতে ছিল, সুতরাং অবশ্যই তিনি কলিযুগের অন্তিমেই স্থাপন করেছিলেন এবং এখন আবার সঙ্গমযুগে করছেন। প্রকৃতপক্ষে, সমস্ত আত্মারা হলো শিবের সন্তান এবং প্রজাপিতা ব্রহ্মারও সন্তান। প্রত্যেক আত্মার মধ্যে সমস্ত পার্ট সঞ্চিত রয়েছে। প্রথম পার্টধারী হলো – যারা সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে। পুনর্জন্ম নেওয়ার রীতি তো শুরু থেকে চলে আসছে। প্রথমে সতোপ্রধান এবং তারপর সতো, রজো, তমো হয়েছো। যখন তোমরা সতোপ্রধান ছিলে তখন সূর্যবংশী লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল, তোমরা ১৬ কলা সম্পূর্ণ ছিলে। তারপর ১৪ কলা হয়ে গেছে। এই দুই যুগকে গার্ডেন অফ ফ্লাওয়ার বলা হয়। ওটা ছিল সুখধাম। এটা চিত্রের মাধ্যমে বোঝানো খুব সহজ, শীর্ষে আছেন শিববাবা, যাঁর দ্বারা নতুন বিশ্বের নির্মাণ হচ্ছে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শঙ্করকে শিববাবাই সৃষ্টি করেন। বাচ্চাদের এটা বোঝাতে হবে যে, কীভাবে নতুন দুনিয়ার স্থাপন এবং পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হয়। এখন অনেক ধর্ম রয়েছে, কেবল এক দেবী-দেবতা ধর্মের অস্তিত্ব নেই। তা লুপ্ত হয়ে গেছে। যারা দেবী-দেবতা ধর্মের ছিল, তারা নিজেদেরকে হিন্দু বলছে কারণ সত্যযুগে সবাই পবিত্র ছিল, এখন সবাই পতিত হয়ে গেছে। বাবার নাম’ই হলো পতিত-পাবন। পতিত কে বানায় ? এটা কেবল বাবা-ই বোঝান। তোমরা বাচ্চারা তারপর অন্য ভাই-বোনেদের বোঝাও। রাবণ পতিত বানায়, যাকে প্রত্যেক বছর পোড়ানো হয়। রাবণের কোনো রূপ নেই। রাবণ হলো গুপ্ত। পাঁচটি বিকার হলো স্ত্রীর এবং পাঁচটি বিকার হলো পুরুষের। ভারতের সবথেকে বড় শত্রু হলো রাবণ, যার কারণে ভারত কড়ি তুল্য হয়ে গেছে। এখন আমার নির্দেশ দ্বারা এই রাবণের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করো। এই সময়ে সবাই পতিত হয়ে গেছে। এইজন্য পরমপিতা পরমাত্মার-ই শ্রীমৎ প্রয়োজন। শ্রীমৎ হলো ভগবানের। ভগবানুবাচ, হে বাচ্চারা অর্থাৎ আত্মারা, তোমরা অনেক সময় ধরে দেহ-অভিমানী থেকেছো। এখন দেহী-অভিমানী হও। তোমরা আত্মারা হলে অমর। তোমরাই শরীর ত্যাগ করো এবং ধারণ করো। বাবা বলেন – হে ব্রহ্মা, তুমি নিজেকে জানো না। তোমার জন্যই এই গায়ন করা হয় – অর্ধেক কল্প হলো ব্রহ্মার দিন এবং অর্ধেক কল্প হলো ব্রহ্মার রাত। তোমরা বাচ্চারা এসব বুঝেছ সেইজন্যই তো প্রদর্শনী করছো। এখন এই চিত্রের মাধ্যমে বোঝাও, ব্রহ্মা এবং ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা পরমপিতা পরমাত্মার দ্বারা নিজেদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছে। গায়ন করা হয় – জ্ঞানের সূর্য উদিত হলে, অজ্ঞতার অন্ধকার দূর হয়… সেই সূর্যের কথা নয়। আমি জ্ঞান সূর্য এই সময়ে জ্ঞানের বর্ষণ করছি, যার দ্বারা তোমরা পতিত থেকে পবিত্র হচ্ছো। বৃষ্টির জল কাউকে পবিত্র করবে না। আমাকে পতিত-পাবন বলা হয়। আমার কাছেই নলেজ রয়েছে যে, কীভাবে পতিত থেকে পবিত্র এবং আবার কীভাবে পবিত্র থেকে পতিত হও। নতুন দুনিয়াকে পবিত্র এবং পুরানো দুনিয়াকে পতিত বলা হয়। রাবণ পতিত বানায়। রাবণকে শয়তান আর রামকে ভগবান বলা হয়। এটা সীতার অন্তর্গত রাম নয়। বাচ্চারা, তোমাদেরও স্থাপনা এবং বিনাশের রহস্য বোঝাতে হবে। এর জন্যই এই নতুন বিশ্ব নির্মাণের প্রদর্শনী। কোনও শাস্ত্রে এটা উল্লেখ নেই যে, পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা সুখধামের স্থাপন করেন। রাবণ আবার দুঃখধাম বানিয়ে দেয়। বাবা এসে সুখধাম বানান। অর্ধেক কল্প সুখ এবং অর্ধেক কল্প দুঃখ। সত্যযুগ-ত্রেতা হলো দিন আর দ্বাপর-কলিযুগ রাত। রাতের বেলায় মানুষ হোঁচট খায়। ভগবানকে খুঁজে পাওয়ার জন্য তারা হোঁচট খায়। এটাও ড্রামাতে নিহিত রয়েছে। অর্ধেক কল্প জ্ঞান এবং অর্ধেক কল্প ভক্তি। জ্ঞানের সাগর অথবা জ্ঞান সূর্য পরমপিতা পরমাত্মাকে-ই বলা হয়। ভারতেই শিব জয়ন্তী পালন করা হয়। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ভারতই হলো শিবের জন্মভূমি। আমাকে পতিত দুনিয়াতেই আসতে হয়, তবেই তো এসে পতিতদের পবিত্র করতে পারবো। যাঁরা পূজনীয় লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিল, তাঁরা-ই পূজারী হয়ে গেছে। যারা পূজনীয় ছিল, তারা-ই পূজারী হয়েছে। লক্ষ্মী-নারায়ণের আত্মা যাঁদের ৮৪ জন্ম নিতে হয়, তাঁদের বিভিন্ন নামে ও রূপে নিতে হয়। এই ব্রহ্মা যিনি প্রতিষ্ঠা করেন, তিনি-ই আবার প্রতিপালন করেন। সেই আত্মা এখন পতিত হয়ে গেছে, তাই আমি তাঁর শরীরেই প্রবেশ করে তাঁর নাম ব্রহ্মা রাখি। প্রথমে তো এটা বোঝানো উচিত যে, পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে তোমাদের কী সম্পর্ক রয়েছে ? অবশ্যই বলবে তিনি হলেন পিতা। তিনি তো হলেন সমস্ত আত্মাদের পিতা। তোমরা সবাই হলে শিববাবার সন্তান। এই সময়ে তোমরা সবাই হলে ভক্ত, সবাই ভগবানকে স্মরণ করো। ভক্তরা বলে, হে ভগবান আমাদের ভক্তির ফল প্রদান করো, আমরা দুঃখী, আমাদের জীবনমুক্তি প্রদান করো। সাধু-সন্ন্যাসীরাও সাধনা করে যে, আমাদের মুক্তি-জীবনমুক্তি প্রদান করো। এই সময়ে সবাই আহ্বান করে যে, এসে পতিতদের পবিত্র করো। বাবা ডাইরেকশন দেন, এইভাবে-এইভাবে বোঝাও। আমরা আত্মারা হলাম শান্তিধামের নিবাসী। এখন এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে অবশ্যই পার্ট প্লে করতে হবে। বিভিন্ন বর্ণের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই ড্রামা হলো অবিনাশী, আগে থেকেই তৈরি হয়ে আছে। সৃষ্টিচক্র ঘুরতে থাকে, এটাও জানা দরকার যে, কীভাবে ঘোরে। পতিত-পাবন হলেন এক, সৃষ্টিকর্তা এক এবং দুনিয়াও এক। তোমরা জিজ্ঞাসা করো, আমরা পবিত্র থেকে পতিত কীভাবে হলাম ? রাবণের আসুরিক নির্দেশে চললে ৫ বিকার এসে যায়। ৫ বিকারকেই রাবণের নির্দেশ বলা হয়, এইজন্য রাবণকে পোড়ানো হয়। কিন্তু রাবণ তো পুড়ে না। এখন বাবা বলছেন, বাচ্চারা তোমাদের এই রাবণের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করতে হবে, যারা বিজয় প্রাপ্ত করবে তারা-ই রামরাজ্যের মালিক হবে। এটা হলো অন্তিম জন্ম অর্থাৎ সৃষ্টির অন্তিম। বাবা-ই সৃষ্টির সূচনা করেন। অন্তিমে বিনাশও বাবা-ই করেন। বাবা বলেন আমি নতুন দুনিয়ার ভিত্তি স্থাপন করি এবং পুরানো দুনিয়ার বিনাশও করি। গায়ন রয়েছে – ব্রহ্মার দ্বারা প্রতিষ্ঠা, কিন্তু ব্রহ্মার একার মাধ্যমে তো হবে না। ব্রহ্মাকুমার এবং কুমারীদের দ্বারা ভারতকে দৈব ফুলের বাগানে পরিণত করি। এটা তো হলো কাঁটার জঙ্গল। এতে এখন আগুন ধরে যাবে। তোমরা এখন জাগ্রত হয়েছো, বাকি মানুষ তো ঘুমিয়ে আছে। এখানে তো দুঃখ-অশান্তি রয়েছে। বাচ্চাদের নিরন্তর নিজেদের শান্তিধাম, সুইট হোমকে স্মরণ করতে হবে। তাহলে সুইট বাদশাহীর উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। এই রাবণ রাজ্যকে ভুলে যেতে থাকো। ভারত পরিস্তান ছিল, এখন কবরস্থান হয়ে গেছে, পুনরায় আবার পরিস্থান। এটা হলো চক্র। নতুন বিশ্ব নির্মাণ হয়ে গেলে পুরানো দুনিয়ায় অবশ্যই আগুন ধরে যাবে। এখন তোমাদের নতুন দুনিয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। তারপর সেখানে গিয়ে হীরে রত্নখচিত প্রাসাদ নির্মাণ করবে। এখন তো কুঁড়েঘর রয়েছে। প্রত্যেক কল্পে পতিত দুনিয়া থেকে পবিত্র হয়, আবার পবিত্র থেকে পতিত হয়। ধীরে ধীরে পতিত হয়। নতুন প্রাসাদ দ্রুত তৈরি হয়, পুরানো হতে সময় লাগে। এই জ্ঞানের দ্বারা তোমরা নতুন বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে। এখন তোমরা ১৬ কলা সম্পূর্ণ হয়ে যাচ্ছো, তারপর ১৪ কলা হবে, ধীরে ধীরে কলা কম হতে থাকে। এখন কলিযুগে হলো ৯ কলা। ভারত পবিত্র ছিল, এখন পতিত হয়ে গেছে। এই খেলা ভারতকে নিয়েই তৈরি হয়েছে। রাবণের কাছে যারা পরাজিত হয়, সবকিছুর কাছে পরাজিত… তোমরা এখন শ্রীমৎ অনুসরণ করে জয়লাভ করছো।

আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) শ্রীমতের আধারে ভারতকে পবিত্র বানানোর সেবা করতে হবে। রাবণের নির্দেশ ত্যাগ করে এক বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে।

২ ) এই দুঃখধামকে ভুলে নিজেদের সুইট হোম, শান্তিধামকে স্মরণ করতে হবে। নিজেকে নতুন দুনিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

বরদানঃ-

এক একজন ব্রাহ্মণ আত্মা, শ্রেষ্ঠ আত্মা প্রতিটি কর্মে ব্রহ্মা বাবার কর্মের দর্পণ। ব্রহ্মা বাবার কর্ম তোমাদের কর্মের দর্পণে দেখা যাবে। যে বাচ্চা এতটা অ্যাটেনশন রেখে কর্ম করে তাদের কথা বলা, চলাফেরা, ওঠা-বসা সবকিছু ব্রহ্মা বাবার সমান হবে। প্রতিটি কর্ম বরদান যোগ্য হবে, মুখ থেকে সর্বদা বরদান বর্ষিত হবে। এমনকি সাধারণ কর্মেও বিশেষত্ব দেখা যাবে। সুতরাং, এই সার্টিফিকেট নিতে পারলেই বাবার সমান বলা হবে।

স্লোগানঃ-

লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –

বাচ্চাদের প্রতি বাবার এত ভালোবাসা আছে যে সর্বদাই বলেন – বাচ্চারা, তোমরা যেমনই হও না কেন, তোমরা আমার। তোমরাও এইরকম সর্বদাই ভালোবাসায় মগ্ন থাকো। অন্তর থেকে বলো – বাবা, আমার সবকিছুই তুমি। কখনো মিথ্যার রাজত্বের বশে এসো না, নিজের সত্য স্বরূপে অবস্থান করো।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top