13 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
12 August 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - স্বর্গের মালিক হওয়ার জন্য বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করো যে আমরা পবিত্র হয়ে, আপনার সহযোগী অবশ্যই হবো। সুসন্তান হয়ে দেখাবো”
প্রশ্নঃ --
কাদের হিসেব-নিকেশ শোধ করার জন্য শেষ সময়ে ট্রাইব্যুনাল বসে ?
উত্তরঃ -:-
যারা ক্রোধের বশীভূত হয়ে বোমা ইত্যাদি ব্যবহার করে অনেকের মৃত্যুর কারণ হয়, তাদের বিরুদ্ধে কে কেস করবে ! তাই শেষ সময়ে তাদের জন্য ট্রাইব্যুনাল বসে। সবাই নিজের নিজের হিসেব নিকেশ পরিশোধ করে ফিরে যায়।
প্রশ্নঃ --
বিষ্ণুপুরীতে যাওয়ার যোগ্য কে ?
উত্তরঃ -:-
যারা এই দুনিয়ায় থেকেও এই দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হয় না, বুদ্ধিতে থাকে এখন আমাদের নতুন দুনিয়ায় যেতে হবে তাই পবিত্র অবশ্যই থাকতে হবে। ২ – একমাত্র ঈশ্বরীয় পড়াশোনাই বিষ্ণুপুরীতে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত করে। তোমরা পড়াশোনা কর এই জন্মে। পড়াশোনার পদ প্রাপ্ত হয় অন্য জন্মে।
গান:-
তুমিই মাতা, পিতাও তুমি..
ওম্ শান্তি । মহিমা গায়ন করে অসীম জগতের পিতার, কারণ অসীম জগতের পিতা অসীমের শান্তি ও সুখের উত্তরাধিকার প্রদান করেন। ভক্তিমার্গে আহবানও করে বাবা এসো, এসে আমাদের সুখ ও শান্তি প্রদান করো। ভারতবাসী ২১ জন্ম সুখধামে থাকে। বাকি যে আত্মারা থাকে, তারা শান্তিধামে বাস করে। সুতরাং বাবার হল দুইটি বর্সা – সুখধাম এবং শান্তিধাম। এই সময় না শান্তি আছে, না সুখ আছে কারণ এ’হল ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া। অবশ্যই দুঃখধাম থেকে সুখধামে নিয়ে যাবে এমন কাউকে চাই। বাবাকে কান্ডারীও বলা হয়। বিষয়সাগর থেকে ক্ষীরসাগরে নিয়ে যাবেন উনি। আত্মারূপী বাচ্চারা জানে একমাত্র বাবা সর্বপ্রথমে শান্তিধামে নিয়ে যাবেন কারণ এখন সময় পূর্ণ হয়েছে। এ হল অসীম জগতের খেলা। এতে উচ্চ থেকে উচ্চ মুখ্য ক্রিয়েটর, ডাইরেক্টর, মুখ্য অ্যাক্টর হলেন কে ? উঁচু থেকে উঁচু হলেন ভগবান। তাঁকেই সর্বজনের পিতা বলা হয়। উনি হলেন স্বর্গের রচয়িতা তারপর যখন মানুষ দুঃখী হয় তখন উদ্ধারও করেন। রূহানী পান্ডাও হলেন উনি। সব আত্মাদের শান্তিধামে নিয়ে যান। সেখানে সব আত্মারা থাকে। এই অর্গ্যান্স গুলি এখানে প্রাপ্ত হয়, যার দ্বারা আত্মা কথা বলে। আত্মা নিজেও বলে যখন আমি সুখধামে ছিলাম তখন শরীর সতোপ্রধান ছিল। আমি আত্মা ৮৪ জন্ম ভোগ করি। সত্য যুগে ৮ জন্ম, ত্রেতায় ১২ জন্ম পূর্ণ হয়েছে পুনরায় ফার্স্ট নম্বরে যেতে হবে। স্বয়ং বাবা এসে পবিত্র করেন। আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন। দেহ থেকে আত্মা পৃথক হলে কোনো কথা বলতে পারে না। যেমন রাতে শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়। আত্মা বলে আমি এই শরীরের দ্বারা কর্ম করে ক্লান্ত, আমি বিশ্রাম করি। আত্মা ও শরীর দুটি আলাদা । এই শরীর এখন পুরানো হয়েছে। এ হল পতিত দুনিয়া। ভারত নতুন ছিল তখন নাম ছিল স্বর্গ। এখন হয়েছে নরক। সবাই দুঃখে আছে। বাবা এসে বলেন এই কন্যাদের দ্বারা তোমরা স্বর্গের দ্বার প্রাপ্ত করবে। বাবা শিক্ষা দেন পবিত্র স্বরূপ হয়ে স্বর্গের মালিক হও। পতিত হয়ে তোমরা নরকের মালিক হয়েছো। এখানে ৫ বিকারের দান নেওয়া হয়। আত্মা বলে বাবা আমাদেরকে স্বর্গের মালিক বানান। আমরা প্রতিজ্ঞা করছি আমরা পবিত্র হয়ে বাবার সহযোগী নিশ্চয়ই হবো। বাবার সন্তান যারা ওবিডিয়েন্ট থাকে তাদের সুসন্তান বলা হয়। কুসন্তানের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না। এই কথা বাবা বসে বোঝান যে নিরাকার ভগবানের সন্তান হল নিরাকারী আত্মারা। পরে প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান হলে ভাই-বোন হয়ে যায়। এটা হল যেন ঈশ্বরীয় নিবাস, আর অন্য কিছুর সাথে সম্বন্ধ নেই। যদিও গৃহে তোমরা আত্মীয় পরিজনদের দেখছো কিন্তু বুদ্ধিতে আছে যে আমরা বাপদাদার হয়েছি। উনি পিতা আর ইনি দাদা (ব্রহ্মাবাবা), বসে আছেন। এখানে গর্ভজেলে দন্ড ভোগ করে। সত্যযুগে জেল নেই। সেখানে পাপ কর্ম হয়ই না, কারণ সেখানে রাবণ নেই তাই সেখানে গর্ভ মহল বলা হয়। যেমন অশ্বত্থ পাতায় কৃষ্ণকে দেখানো হয়েছে । সেটাও তো গর্ভেরই আকৃতির ক্ষীরসাগর। সত্যযুগে না গর্ভজেল থাকে, না স্থূল জেল থাকে। অর্ধেক কল্প হল নতুন দুনিয়া। সেখানে সুখ আছে, বাড়ি যেমন নতুন থাকে তারপরে পুরানো হয়। ঠিক সেইরকম সত্যযুগ হল নতুন দুনিয়া, কলিযুগ হল পুরানো দুনিয়া। কলিযুগ থেকে পুনরায় সত্যযুগ অবশ্যই হবে। চক্র রিপিট হতে থাকে। এ’হল অসীমের চক্র, যার নলেজ কেবল বাবা বুঝিয়ে দেন। বাবা হলেন নলেজফুল। এনার আত্মাও বোঝাতে পারবে না। ব্রহ্মাবাবা প্রথমে পবিত্র ছিলেন পরে ৮৪ জন্ম নিয়ে পতিত হয়েছেন। তোমাদের আত্মাও পবিত্র ছিল পরে পতিত হয়েছে।
বাবা বলেন আমি এই পতিত দুনিয়ার পথিক কারণ পতিত মানুষ ডাকে যে এসে পবিত্র বানাও। নিজের পরম ধাম ত্যাগ করে আমাকে পতিত দুনিয়া, পতিত দেহে আসতে হয়। এখানে তো পবিত্র শরীর নেই। এই কথা তো জানো যে সুকর্ম করলে শ্রেষ্ঠ কুলে জন্ম হয়। কুকর্ম করলে খারাপ কুলে জন্ম হয়। এখন তোমরা পবিত্র হচ্ছো। সর্বপ্রথমে তোমরা বিষ্ণু কুলে জন্ম নেবে। তোমরা মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হও। আদি সনাতন ধর্ম কে স্থাপন করেন, এই কথা কেউ জানেনা কারণ শাস্ত্রে ৫ হাজার বছরের চক্রকে লক্ষ বছর লিখে দিয়েছে। এই ভারত স্বর্গ ছিল। এখন তো নরক হয়েছে। এখন যারা বাবার দ্বারা ব্রাহ্মণ স্বরূপে পরিণত হবে তারাই দেবতা হবে। স্বর্গের দ্বার দেখতে পাবে। স্বর্গের নাম কতই না সুন্দর। দেবী-দেবতা বাম মার্গে গেলে পূজারী রূপে পরিণত হয়। সোমনাথের মন্দির নির্মাণ কে করেছে ? সবচেয়ে বিশাল মন্দির হল সোমনাথের মন্দির। যে সবচেয়ে বেশী বিত্তবান ছিল, সে-ই নির্মাণ করিয়ে থাকবে। যারা সত্যযুগে প্রথমে মহারাজা মহারানী, লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিলেন, তারাই যখন পূজ্য থেকে পূজারী হন তখন শিববাবা, যিনি বিশ্বের মালিক বিশ্বের রচয়িতা, তাঁরই মন্দির নির্মাণ করে। তারা নিজেরা কতো যে বিত্তবান ছিল তবে তো মন্দির নির্মাণ করেছে, সেই মন্দির মহম্মদ গজনী (বহুবার) লুন্ঠন করেছিল। সবচেয়ে বিশাল মন্দির হল শিববাবার। তিনি হলেন স্বর্গের রচয়িতা। তিনি নিজে মালিক হন না। বাবা যে সেবা করেন, তাকে বলা হয় নিষ্কাম সেবা। আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে স্বর্গের মালিক বানান, নিজে মালিক হন না। বাবা নিজে নির্বাণধামে গিয়ে বসেন। যেমন মানুষ ৬০ বছর পরে বাণপ্রস্থে যায়। সৎসঙ্গ ইত্যাদি করতে থাকে। তারা চেষ্টা করে যাতে ভগবানের সঙ্গে গিয়ে মিলিত হয়। কিন্তু কেউ ভগবানের সঙ্গে মিলিত হয় না। সকলের লিবারেটর, গাইড হলেন একমাত্র বাবা। অন্য সবাই হল দৈহিক যাত্রা করানোর গাইড। তারা অনেক প্রকারের যাত্রা করে। এ হল আত্মিক বা আধ্যাত্মিক (রূহানী) যাত্রা। বাবা সব আত্মাদেরকে নিজের সঙ্গে শান্তিধামে নিয়ে যান। এখন বাচ্চারা, বাবা তোমাদেরকে বিষ্ণুপুরীতে নিয়ে যাওয়ার যোগ্য করে তুলছেন। বাবা আসেন সেবা করতে। বাবা বলেন এই পুরানো দুনিয়ায় কারো প্রতি আসক্তি রাখবে না। এখন যেতে হবে নতুন দুনিয়ায়। তোমরা আত্মারা সবাই হলে ব্রাদার্স। এতে মেলও আছে, ফিমেলও আছে। সত্যযুগে তোমরা পবিত্র ছিলে, তাকেই বলা হয় পবিত্র দুনিয়া। এখানে তো ৫-৭ টি শিশু সন্তানের জন্ম অপারেশন (পেট চিরে) করে জন্ম হয়। সত্য যুগে ল’ তৈরী হয়ে রয়েছে । যখন সময় হয় তখন দু’ জনেরই সাক্ষাৎকার হয়ে যায় যে এখন সন্তান জন্ম নেবে। একেই বলা হয় যোগবল, পূর্ণ সময়ে শিশু সন্তানের জন্ম হয়। কোনো কষ্ট হয় না, কান্নার আওয়াজ নেই। আজকাল তো কত কষ্ট করে সন্তানের জন্ম হয়। এটা হলই দুঃখধাম। সত্যযুগে হল সুখধাম। তোমরা পড়াশোনা করছো – সুখধামের মালিক হওয়ার জন্য। জাগতিক দুনিয়ার পড়াশোনার ফল তো এই জন্মেই ভোগ কর। এই আধ্যাত্মিক পড়াশোনার ফল পরের জন্মে প্রাপ্ত হয় তোমাদের।
বাবা বলেন, আমি তোমাদেরকে স্বর্গের মালিক বানাই, যাকে ভগবান ভগবতী বলা হয়। লক্ষ্মী ভগবতী, নারায়ণ ভগবান। সত্য যুগে তাদের কে রচনা করেছে ? যদিও কলিযুগের অন্তিমে কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই, ভারত দেখো কতো কাঙাল হয়েছে। আমিই সবাইকে সদ্গতি প্রদান করতে এসেছি। সত্যযুগ ত্রেতায় তোমরা সদা সুখী থাকো। বাবা এত সুখ প্রদান করেন যে ভক্তিমার্গেও মানুষ তাঁকে স্মরণ করে। সন্তান মারা গেলেও বলে ভগবান আমাদের সন্তানকে মেরেছেন। বাবা বলেন যখন তোমরা বলো যে সবকিছু ঈশ্বর দিয়েছেন, উনিই নিয়ে নিলে কান্নাকাটি কেন করো ? মোহ কেন রাখো ? সত্যযুগে মোহ তো থাকে না। এখানে যখন শরীর ত্যাগ করার সময় হয় তখন সময় অনুসারে পরিত্যাগ হয়। স্ত্রী কখনও বিধবা হয় না। যখন টাইম পূরণ হয় – বৃদ্ধ হলে বুঝতে পারে যে এখন ভবিষ্যতে গিয়ে শিশু হবো। তখন শরীর ত্যাগ করে। সর্পের দৃষ্টান্তের মতো। এখন তোমরা জানো এই কলিযুগী শরীর খুব পুরানো খোলস। আত্মাও পতিত তো শরীরও পতিত হয়। এখন বাবার সঙ্গে যোগযুক্ত হয়ে পবিত্র হতে হবে। এ’ হল ভারতের প্রাচীন রাজযোগ। সন্ন্যাসীদের হল হঠযোগ। শিববাবা বলেন – আমি এই মায়েদের দ্বারা স্বর্গের দ্বার খুলি। মাতা গুরু ব্যতীত কারো উদ্ধার হবে না। একমাত্র বাবা এসে সকলের সদগতি করেন, তোমাদেরও শেখান তারপর তোমরা মাস্টার সদ্গতি দাতা হয়ে যাও। সবাইকে বলো মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে আছে, বাবাকে স্মরণ করো। সব শেষ হয়ে যাবে। বোমা ইত্যাদি যারা বানায় তারাও জানে এতেই বিনাশ হবে, কিন্তু কার অনুপ্রেরণায় করছে সে কথা জানেনা। তারা ভাবে একটি বোমা মেরে দিলে সব শেষ হয়ে যাবে। একটু অল্প সময় আছে, যতক্ষণ তোমরা কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হচ্ছো। এটা হলই কাঁটার দুনিয়া। ভারত ফুলের দুনিয়া ছিল। এখন হয়েছে বেশ্যালয়, পরে হবে শিবালয় অর্থাৎ শিবের দ্বারা স্থাপিত স্বর্গ। ভগবান তো হলেন এক, নিরাকার। মানুষকে কখনও ভগবান বলা যাবে না। দুঃখ হরণকারী সুখ প্রদানকারী হলেন একমাত্র বাবা। ভগবানুবাচ আমি তোমাদেরকে নর থেকে নারায়ণে পরিণত করি। এই পুরানো পতিত দুনিয়া এখন শেষ হবে। আমি পতিত থেকে পবিত্র দেবতায় পরিণত করি, তারপরে তোমরা চলে যাবে নিজ নিকেতনে। ড্রামাকে বুঝতে হবে। এই সময় দেখো মানুষের মনে কত ক্রোধ রয়েছে । বানরের চেয়েও খারাপ স্থিতি। ক্রোধ উৎপন্ন হলে কীভাবে বোমা মেরে সবাইকে নিহত করে। এবারে এদের উপরে কে কেস করবে ! এদের জন্য শেষ সময়ে ট্রাইব্যুনাল বসে। সকলের হিসেব নিকেশ শোধ করা হয়। এই সব কথা বুঝতে হবে। বাবা বলেন হে আত্মারা আমি তোমাদের পিতা, আমি এসেছি। তোমরা আমার শ্রীমৎ অনুসারে চলো তাহলে শ্রেষ্ঠ স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে। মানুষ তো মানুষের গাইড হয়। বাবা গাইড হন সর্ব আত্মাদের। আত্মাই বলে হে পতিত-পাবন। এখন বাবা আমাদের পুণ্য আত্মায় পরিণত করছেন। স্বর্গে রূহানী পিতা অর্থাৎ আত্মাদের পিতা থাকেন না। সেখানে তো আছে প্রালব্ধ । এটা হল ইউনিভার্সিটি – রাজযোগ বাবা ব্যতীত অন্য কেউ শেখাতে পারে না। বাবা বলেন আমি এই দেহের লোন নিয়ে আসি। আত্মা তো অন্য দেহে আসতে পারে তাইনা। এ হল ড্রামার নির্দিষ্ট। যা আবর্তিত হতে ৫ হাজার বছর লাগে। বলা হয় প্রতিটি পাতায় পাতায় ঈশ্বর রয়েছেন, ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই পাতা নড়ে, এতে আত্মা আছে। কিন্তু তা নয়। এ তো হাওয়ায় নড়ে। তোমরা যেমন এখানে বসে আছো পুনরায় ৫ হাজার বছর পরে বসবে। এখন বাবার কাছে বর্সা প্রাপ্ত হয়েছে সুতরাং প্রাপ্ত হয়েছে। তা নাহলে আর কখনও প্রাপ্ত হবে না। এই সময়েই উচ্চ উপার্জন করতে পারবে। সম্পূর্ণ কল্পে এমন উচ্চ উপার্জন করা সম্ভব হয় না। আচ্ছা!
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) সময় খুব অল্প আছে তাই কাঁটা থেকে ফুল হয়ে সবাইকে ফুল বানাতে হবে। শান্তিধাম এবং সুখধামের পথ বলে দিতে হবে।
২ ) বৈষ্ণব কুলে যাওয়ার জন্য শ্রেষ্ঠ কর্ম করতে হবে। পবিত্র নিশ্চয়ই হতে হবে। সদা রূহানী আত্মিক (রূহানী) যাত্রা করতে হবে এবং করাতে হবে।
বরদানঃ-
তোমরা হলে দাতার সন্তান মাস্টার দাতা, কারো কাছ থেকে কিছু নিয়ে দান করা – সে তো দান নয়। নেওয়া আর দেওয়া এটা তো বিজনেস হয়ে গেল। দাতার সন্তান উদার হৃদয় হয়ে দিয়ে যাও। অবিনাশী ঐশ্বর্য, যার যা চাই সেসব দিয়ে ভরপুর করতে থাকো। কারো খুশী চাই, স্নেহ চাই, শান্তি চাই, যার যা চাই দিতে থাকো। এ হল খোলা খাতা, কর্মের হিসেব নিকেশের খাতা নয়। দাতার দরবারে এই সময়ে সব কিছু অঢেল আছে তাই যার যতখানি দরকার ততই দাও, এতে কৃপণতা ক’রো না।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!