13 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

13 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

12 August 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - মন্মনাভব'র ড্রিল সদা করতে থাকো করতে থাকো, তাহলে ২১ জন্মের জন্য রিষ্ট-পুষ্ঠ (নিরোগী) হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

সদ্গুরুর কোন্ পরিশ্রম পালন করতেই হল গুপ্ত পরিশ্রম ?

উত্তরঃ -:-

সদ্গুরুর শ্রীমৎ হল – মিষ্টি বাচ্চারা, এই দেহকেও ভুলে আমাকে স্মরণ করো। নিজেকে কেবল আত্মা মনে করো। দেহী-অভিমানী হওয়ার পুরুষার্থ করো। সবাইকে এই ঈশ্বরীয় বার্তা দাও যে, অশরীরী হও। দেহ সহ দেহের সব ধর্মকে ভুলে যাও, তাহলে পবিত্র হয়ে যাবে । এই শ্রীমৎকে পালন করাতে বাচ্চাদেরকে গুপ্ত পরিশ্রম করতে হবে। সৌভাগ্যবান বাচ্চারাই গুপ্ত পরিশ্রম করতে পারে।

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা বসে আছেন – নিজের ভাই আর বোনেদেরকে ড্রিল শেখাতে। এটা কোন্ ড্রিল ? এতে বাচ্চাদেরকে কিছু করতে হয় না। সেই যে শারীরিক ড্রিল ইত্যাদি করে, তাতে তো করতে হয়। ইনি তো সুপ্রিম টিচার যিনি গীতার ভগবানও, যিনি বাচ্চাদেরকে যোগের ড্রিলও শেখান। এই ড্রিলও হল গুপ্ত। ড্রিল এইজন্যই শেখানো হয় যাতে স্টুডেন্ট রিষ্ট-পুষ্ঠ (হেল্দি) হয়। তোমরা বাচ্চারা জানো যে, এই মন্মনাভব’র ড্রিলের দ্বারা আমরা ২১ জন্মের জন্য অত্যন্ত রিষ্ট-পুষ্ঠ থাকব। কখনো অসুস্থ হব না। অতএব এটা কতো ভালো ড্রিল ! বাবা বোঝান যে – মন্মনাভব, এতে মুখে কিছু বলারও দরকার হয় নেই । কেবল বোঝানো হয় যে, নিজেকে আত্মা মনে করো । দেহী-অভিমানী হও। ভব’ র অর্থই হল, তোমরা বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে এভার হেল্দী হয়ে যাবে। কল্প পূর্বেও আমরা এই রূহানী ড্রিলের দ্বারা এভার হেল্দি হয়েছিলাম। রূহানী ড্রিল (আধ্যাত্মিক) রূহানী পিতাই শেখান। ভগবান তো তাঁকেই বলা হয়, যাঁর পূজাও হয়। শিবায় নমঃও বলা হয়, তাই না ! ব্রহ্মা দেবতা নমঃ, শিব পরমাত্মায় নমঃ বলা হবে। এই ড্রিল কোনো শরীরধারী মানুষ শেখায না। এমন নয যে তোমাদেরকে এই ড্রিল ব্রহ্মা শিখিয়েছেন। না। যদিও তোমাদেরকে ব্রহ্মাকুমার কুমারী বলা হয়… কিন্তু চিঠির ওপরেও তোমার লিখে থাকো শিববাবা কেয়ার অফ ব্রহ্মা। তিনি তো গুপ্ত হয়ে গেছেন। কিন্তু মানুষ কীভাবে জানবে, ব্রহ্মা তো হলেন প্রজাপিতা। অতএব সমগ্র দুনিয়া হল ওঁনার সন্তান। প্রজাপিতা যে তিনি। ড্রিল শেখান তো নিরাকার বাবা। তিনি হলেন গুপ্ত। গুপ্ত হওয়ার কারণে মানুষের বুঝতেই ডিফিকাল্টি হয়ে থাকে। ব্রহ্মাকে তো ভগবান বলা যায় না। এখানে নামও দেখানো হয় – ব্রহ্মাকুমার কুমারী অর্থাৎ ব্রহ্মার সন্তান। যখন কেউ আসবে তাকে বোঝাতে হবে – এই দুনিয়ার রচয়িতা ব্রহ্মা নন, তিনি হলেন নিরাকার বাবা। যিনি ব্রহ্মার দ্বারা রচনা করেন। পারলৌকিক পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা রচনা করেন অর্থাৎ সুপ্রিম সোলের রচনা হয়ে গেল। তোমরা পত্রের উপরে লিখে থাকো শিব বাবা কেয়ার অফ ব্রহ্মা। তিনি কেবল বলেন – মন্মনাভব, আর কোনো কষ্ট দেওয়া হয় না, কেবল বলা হয় যে, যদি তোমরা নিজেদের উন্নতি চাও, আর সত্য খন্ডের মালিক হতে চাও, সত্য খন্ডের স্থাপনকারী তো হলেন একমাত্র বাবা, তাহলে তাঁকে স্মরণ করো। বেহদের বাবা’ই এসে বাচ্চাদেরকে বলেন – আমাকে স্মরণ করো, তাহলে সব পাপ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। কৃষ্ণকে পতিত পাবন বলা হয় না। পরমপিতা পরমাত্মাকে ছাড়া আর কাউকেই বলা যায় না। আর কোনো না নেওয়া হবে না। গড ফাদারই বলা হবে। সবাই তাঁকে ফাদার বলে, তবে তাঁকে সর্বব্যাপী কী করে বলতে পারে ? বলা হয় তিনি আসেন লিবারেট করার জন্য। এ’কথা মানুষ জানে না। সেই কারণেই কল্পের আয়ু উল্টো লিখে দিয়েছে। এখন বাচ্চাদেরকে এই ড্রিল করতে হবে। জ্ঞান তো পাওয়া হয়ে গেছে। যখন তোমরা বসবে তখন নিজেকে দেহী মনে করে বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে । টিচার সামনে বসে উঁচু আসনে, তাহলে সেটা শোভা পায়। নিয়ম রয়েছে যে, ড্রিল করানোর জন্য টিচার অবশ্যই চাই। কেউ বড় টিচার তো কেউ ছোট টিচার হয়ে থাকে । এখন তোমাদের পরীক্ষা নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, কেননা তোমরা নিজেরাই জানো যে, আমরা কত সময় মোস্ট বিলাভড বাবাকে স্মরণ করি। ব্রহ্মা মোস্ট বিলাভড নন, বিলাভড তিনি, যিনি সদা পবিত্র। তোমরা বাচ্চারা জানো যে, সবচেয়ে প্রিয় কে ? মানুষ পরমাত্মাকেই স্মরণ করে – হে দুঃখ হরণকারী সুখ প্রদানকারী । ওঁনাকে লিবারেটরও বলা হয়, অর্থাৎ দুঃখের থেকে মুক্ত কর্তা। তাই বাচ্চাদেরকে নিজেদের পুরুষার্থ করতে হবে । ড্রামার প্ল্যান অনুসারে এই দুনিয়াকে পবিত্র হতেই হবে আর পবিত্র দুনিয়া বানানোর জন্য আগুন লাগতে হবে। এও জানো যে আগুন কীভাবে লাগবে। বিনাশ না হলে দুনিয়া পবিত্র হতে পারবে না। এ হল রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ… রুদ্র আর শিব আলাদা নয়। কিন্তু শিব নামটি হল মুখ্য। বাকি নিজের নিজের ভাষায় সকলে নানান নাম রেখে দিয়েছে। আসল নাম হল শিব। শিব জয়ন্তীও পালন করা হয়। ভারতেও শিব জয়ন্তী প্রসিদ্ধ। অসীম জগতের পিতারই তো শিব জয়ন্তী যখন, তখন তিনি আসেনও নিশ্চয়ই । শিব বাবার নাম প্রসিদ্ধ। ব্রহ্মার দ্বারা তিনি স্বর্গের স্থাপনকারী। তাই সেই উঁচুর থেকেও উঁচু বাবাকে অবশ্যই স্মরণ করতে হয়। ব্রহ্মা উঁচুর থেকেও উঁচু নন। বাস্তবে ব্রহ্মা উঁচু থেকে উঁচু তৈরী হন। তারপর আবার নীচেও নামেন। তোমরা বি. কে’রাও নীচে ছিলে এখন উঁচু হওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছো। একদম উঁচু বাবার গৃহে চলে যাবে। তোমরা এই সময় ত্রিকালদর্শী হচ্ছো। তোমরা নিজেরাই জানো যে, আমরা হলাম স্বদর্শন চক্রধারী । আমরা ব্রহ্মান্ডের আর সৃষ্টির আদি – মধ্য – অন্তের জ্ঞাতা। ব্রহ্মান্ড অর্থাৎ উচ্চ, যেখানে সকল আত্মারা নিবাস করে। দুনিয়াতে এমন আর কেউই নেই যে বোঝাতে পারে যে, মূল লোকে আত্মারা থাকে। বিশ্ব আর ব্রহ্মান্ড হল আলাদা। আত্মারা থাকে নির্বাণধামে, যাকূ শান্তিধাম বলা হয়। সেটা সকলের প্রিয় স্থান। তার আসল নাম হল নির্বাণধাম বা শান্তিধাম। আত্মার স্বরূপ হল শান্ত । এক হল শান্তিধাম, তারপরে হল মুভি ধাম আর এটা হল টকি ধাম। মুভীধামে বেশী থাকতে হয় না। শান্তিধামে তো অনেককে থাকতে হয়। আর কোনো স্থান নেই। আত্মা যখন বাবাকে আর নিজ গৃহে স্মরণ করে তখন উপর দিকে তাকিয়ে স্মরণ করে। মাঝের ধামকে তো তোমরা ছাড়া আর কেউই জানে না। মানুষের তো এত জ্ঞান নেই। তারা কেবল এটাই বলে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর সূক্ষ্ম লোকে থাকে। বাকি তাঁদের অক্যুপেশন (কর্তব্য) এর বিষয়ে কারো জানা নেই। ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে। ব্রহ্মাই বিষ্ণু, বিষ্ণুই ব্রহ্মা। এটা হল লীপ যুগ। এটা হল খুব অল্প সময়ের। যেমন বলা হয় পুরুষোত্তম মাস। এটা হল তোমাদের হীরের মতো উত্তম হওয়ার জন্য উচ্চ জন্ম। শূদ্রের থেকে ব্রাহ্মণ হওয়া হল সবথেকে উত্তম। ব্রাহ্মণ যখন হও তখন ঠাকুরদাদার থেকে উত্তরাধিকার নেওয়ার অধিকারী হয়ে যাও।

বাবা বাচ্চাদেরকে বলেন, ওহে বাচ্চারা, সর্বদা মন্মনাভব । বাবার মেসেজ সবাইকে দিতে থাকো। বাবাকে বলাই হয় – ম্যাসেঞ্জার, আর কেউই ম্যাসেঞ্জার বা পয়গম্বর নয়। তারা তো এসে ধর্ম স্থাপন করে। পয়গম্বর কেবল সেই একজনই। তিনিই এসে তোমাদেরকে পবিত্র হওয়ার পয়গাম (বার্তা) দেন। তারা আসে ধর্ম স্থাপন করতে, এখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার গাইড নয় তারা। সে তো একজনই সদ্গুরু সদ্গতি প্রদানকারী। সত্য কথা বলার, সত্যিকারের রাস্তা দেখানো একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মা শিব তিনি। সুতরাং অনেক গুপ্ত পরিশ্রম করতে হবে বাচ্চাদেরকে। এখন তোমরা জানো যে, আমাদেরকে এই দেহকে ভুলে গিয়ে একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। শরীর ত্যাগ হয়ে গেলে সমস্ত দুনিয়ারই ত্যাগ হয়ে যায় । আত্মা একা হয়ে যায়। বাবা বলেন, দেহী-অভিমানী হও, তাহলে আর কোনো আত্মীয় পরিজনের কথা মনে পড়বে না। আমরা হলাম আত্মা, আমরা চলে যাব বাবার কাছে। বাবা রায় দেন তোমরা আমার কাছে কীভাবে আসতে পারো। এই বাবাও বিখ্যাত । এনার দ্বারা বাবা সকল আত্মাদের গাইড হয়ে সবাইকে মশার ঝাঁকের মতো ফিরিয়ে নিয়ে যান। এই যথার্থ জ্ঞান কেবল বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতেই আছে। তোমাদেরকে পান্ডব সেনাও বলা হয়। পান্ডবপতি হলেন সাক্ষাৎ স্বয়ং পরমপিতা পরমাত্মা, যিনি বাচ্চারা তোমাদেরকে ড্রিল শেখাচ্ছেন । হুবহু কল্প পূর্বের মতো। যখন বিনাশ হবে তখন সব আত্মারা শরীর ত্যাগ করে চলে যাবে। সত্যযুগে যখন খুব অল্প আত্মারা থাকে, তখন একটি রাজ্য থাকে। এখন হল অনেক, তাহলে নিশ্চয়ই এক হবে। এই জ্ঞান সারা দিন বুদ্ধিতে স্মরণে রাখতে হবে। বাচ্চারা, প্রদর্শনীতেও তোমাদের বোঝাতে হবে। যখন নিউ দিল্লি ছিল তখন নতুন ভারত ছিল। একটিই আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম ছিল। আদি সনাতন কোনো হিন্দু ধর্ম ছিল না। আমরা ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হই। এ’কথা অন্য ধর্মের লোকেরা মানবে না। যারা প্রথমে আসে তারাই ৮৪ জন্ম নেয়। এ হল একেবারে সহজ বোঝার মতো বিষয়। এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, এখন নাটক সম্পূর্ণ হবে। সব অ্যাক্টররা চলে এসেছে। ৮৪ জন্ম তারা সম্পূর্ণ করেছে, এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে। কেননা এখন খুব ক্লান্ত হয়ে গেছ না তোমরা ! ভক্তি মার্গ হলই ক্লান্ত হওয়ার মার্গ। বাবা বলেন – এখন আমাকে স্মরণ করো অন্যদেরকেও ঈশ্বরীয় বার্তা দাও যে, দেহ সহ দেহের সব ধর্মকে ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। অশরীরী হও, তবেই পবিত্র হয়ে যাবে । কারণ এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে। মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

এখানেও বাচ্চারা বাবার কাছে সামনাসামনি রিফ্রেশ হতে আসে। বাবা সম্মুখের বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন যে, বাচ্চারা দেহ-অভিমানকে ত্যাগ করে মামেকম্ স্মরণ করো। এই পুরানো দুনিয়া হল এখন শেষ হওয়ার। তোমরা এক বাবাকে স্মরণ করে পবিত্র হবে, তাহলে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে পারবে। যদি পরিশ্রম না করো তবে ফলও প্রাপ্ত হবে না। তখন দন্ড ভোগ করতে হবে। বাবা বলেন নিজের উপার্জন জমা করতে থাকো আর অন্যদেরকে নিমন্ত্রণ জানাও। বাবার রাস্তাও দেখাও। বাচ্চারা, তোমাদেরকেও কল্যাণকারী হতে হবে । তোমাদের আত্মীয় পরিজনদেরও কল্যাণ করতে হবে । এখানে তোমাদেরকে দেহী-অভিমানী বানানো হয়। তিনি মহামন্ত্র দেন। প্রাচীন যোগ বাবা’ই এসে শিখিয়েছেন, যার বিষয়ে বলাই হয়ে থাকে – যোগ অগ্নির দ্বারা পাপ দগ্ধ হয়ে যাবে, কল্প পূর্বেও এই ইশারা তোমরা পেয়েছিলে। বাবা ইশারা দেন, নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে স্মরণ করো। গৃহস্থে থেকেও স্মরণ করো। গাওয়াও হয় যে, তোমার শরণে এসেছি। এমনও হয় – যখন কেউ দুঃখী হয়, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কারো কাছে গিয়ে শরণ নিয়ে থাকে। এখানে তো প্র্যাক্টিক্যালে হয়। যখন খুব দুঃখ দেখে, আর সহ্য করতে পারে না, অসহায় অবস্থা হয়, তখন বাবার কাছে শরণ নেওয়ার জন্য ছুটে চলে আসে। সদ্গতি তো বাবা ছাড়া আর কেউই দিতে পারে না। বাচ্চারা জানে যে, পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হবেই। প্রস্তুতি চলছে, এই দিকে তোমাদের স্থাপনার প্রস্তুতি, অন্য দিকে বিনাশের প্রস্তুতি। স্থাপনা হয়ে গেলে বিনাশও অবশ্যই হতে হবে। তোমরা জানো যে, বাবা এসেছেন স্থাপনা করতে, ওঁনার দ্বারা অবিনাশী উত্তরাধিকারও অবশ্যই প্রাপ্ত হবে । বাকি প্রেরণার দ্বারা কী কখনো কাজ হতে পারে ? টিচারকে কি বলা হয় যে, আপনি আমাকে প্রেরণা দিন, আমি পড়ে নেব ? প্রেরণার দ্বারা যদি সব কিছুই হয়ে যেত তবে শিব জয়ন্তী কেন পালন করা হয় ? প্রেরণার দ্বারা যারা করবে তাদের তো শিব জয়ন্তী পালন করবার প্রয়োজন নেই। জয়ন্তী তো সব আত্মাদের হয়। আত্মারা সবাই জীবের মধ্যে আসে। আত্মা আর শরীর মিলিত হয় পার্ট প্লে করবার জন্য। আত্মার স্বধর্ম হল শান্ত, তাতেই নলেজ ধারণ হয়। আত্মাই ভালো – খারাপ সংস্কার নিয়ে যায়। বাবা তো হলেন স্বর্গের রচয়িতা । সেখানে তো পবিত্রতাই রয়েছে । অপবিত্রতার কোনো নাম নিশান নেই। এটা হল বিষয় সাগর। কতো ক্লিয়ার ভাবে বোঝানো হয়, তাও কারো বুদ্ধিতে আসে না। কিন্তু তোমরা কাউকেই দোষ দাও না তার জন্য। ড্রামার বন্ধনে সকলে আবদ্ধ রয়েছে ।

তোমরা বুঝতে পারো যে – সিঁড়ি দিয়ে উপর থেকে নীচে নেমে এসেছে। ড্রামানুসারে আমাদেরকে নামতেই হবে, তখন বাবা বলেন – এখন সিঁড়ি চড়বার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। কিন্তু যার ভাগ্যেই নেই তারা এই রকমই বলবে। যারা এই রকম বলে তাতে বোঝা যায় যে, এর ভাগ্যে নেই। ২ – ৪ বছর চলার পরেও হোচট খেয়ে পড়ে। অনুভব করতেও পারে যে, আমরা অনেক বড় ভুল করেছি। অনেক চোট খেয়ে থাকে। এও হল অর্ধ কল্পের রোগ, কম নয়। অর্ধ কল্পের রোগী। ভোগী হওয়ার ফলে রোগী হয়ে যায়। তাই বাবা এসে পুরুষার্থ করান। কৃষ্ণকে যোগেশ্বর বলা হয়। এই সময় তোমরা হলে সত্যিকারের যোগী, যোগেশ্বর তোমাদেরকে যোগ শেখান। তোমরা হলে জ্ঞান – যোগেশ্বরও, তারপরে হও রাজ – রাজেশ্বর। জ্ঞানের দ্বারা তোমরা ধনবান হয়ে যাও, যোগের দ্বারা তোমরা এভার হেল্দি হয়ে যাও। অর্থ কল্পের জন্য তোমাদের সব দুঃখ দূর হয়ে যায়। তাই এর জন্য কতখানি পুরুষার্থ করা উচিত ! আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মিক পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) পবিত্র হওয়ার জন্য অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে । সবাইকে এই ঈশ্বরীয় বার্তা দিতে হবে যে, এক বাবাকেই স্মরণ করো। দেহ সহ সব কিছু ভুলে যাও।

২ ) যোগেশ্বর বাবার থেকে যোগ শিখে সত্যিকারের যোগী হতে হবে। জ্ঞানের দ্বারা ধনবান আর যোগের দ্বারা নিরোগী, এভার হেল্দি হতে হবে।

বরদানঃ-

তীব্র পুরুষার্থী তারাই যারা সকলের প্রতি কল্যাণের বৃত্তি আর শুভ চিন্তক ভাব রাখে। কেউ কেউ হয়তো বার বার ফেলে দেওয়ার চেষ্টাও করবে, মনকে বিচলিত করে দেয়, বিঘ্ন রূপ হয়, তবুও তাদের প্রতি সর্বদা তোমাদের শুভ চিন্তকের অবিচল ভাব রাখো। পরিস্থিতির কারণে মনের ভাব যেন বদলে না যায়। সকল পরিস্থিতিতে বৃত্তি আর ভাব যথার্থ হলে তবেই তোমাদের উপরে তাদের প্রভাব পড়বে না। তখন কোনো ব্যর্থ কিছুই নজরে আসবে না, সময় বেঁচে যাবে। এটাই হল বিশ্ব কল্যাণকারী স্টেজ ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top