13 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
12 April 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে অসাধ্য সাধন করে দেখাতে হবে, শ্রেষ্ঠাচারী দেবতা হতে হবে এবং দেবতা বানানোর সেবা করতে হবে"
প্রশ্নঃ --
রাজত্বের উত্তরাধিকারের অধিকার কোন্ বাচ্চারা প্রাপ্ত করে থাকে ?
উত্তরঃ -:-
যারা বাবার নিকট সম্বন্ধে আসে আর নিজের আচার-আচরণ এবং উপার্জনের সম্পূর্ণ খবরা-খবর বাবাকে দিয়ে থাকে । এইরকম প্রকৃত (মাতেলে) বাচ্চারাই রাজত্বের উত্তরাধিকারের অধিকার প্রাপ্ত করে। যারা বাবার নিকটে আসে না, নিজের খবরা-খবর শোনায় না, তারা রাজত্বের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পারে না। তারা হল সৎ সন্তান। বাবা বলেন যে বাচ্চারা নিজের সম্পূর্ণ খবরা-খবর যদি দাও তাহলে বাবা বুঝতে পারবে যে এরা কোন্ সেবা করছে। বাবা বাচ্চাদের প্রতিটি পরিস্থিতিতে উচ্চপদ প্রাপ্ত করার জন্য পুরুষার্থ করান।
গান:-
কে এলেন আমার হৃদয়ের দ্বারে..
ওম্ শান্তি । বাচ্চারা জানে যে পরমপিতা পরমাত্মা শিবের সাথে আমাদের কোন্ সম্বন্ধ আছে ? পরমপিতা তো বলেই থাকে। পতিত-পাবন শব্দও লিখে দাও। হৃদয়ে আছে যে পতিত-পাবন পরমপিতা পরমাত্মা শিবের সাথে আমাদের সম্বন্ধ হল পিতার। বাবা বলেন আমি বাচ্চাদের সম্মুখে প্রত্যক্ষ হই। বাবা বাচ্চাদের সাথেই রুহরুহান করে থাকেন, সাক্ষাতও করে থাকেন। যে কথাগুলি বোঝানো হয় সেগুলি আবার অন্যদেরকেও বোঝাতে হবে। এখন তোমরা জগত অম্বা আর জগত পিতাকেও জানো। শিবকে জগতপিতা বলা যাবে না কেননা জগতে প্রজা আছে সেই জন্য বলা হয় যে প্রজাপিতা ব্রহ্মা আর জগৎ অম্বা। অম্বা হলেন সমগ্র জগতের। এর থেকে সিদ্ধ হয় যে উনি হলেন রচয়িতা। এটাও বোঝার জন্য বুদ্ধির প্রয়োজন। মানুষ তো সকলে পরমাত্মাকে স্মরণ করে, কিন্তু ওঁনাকে জানে না। তোমরা এখন পরমপিতা পরমাত্মাকে, জগৎ অম্বাকে, প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে জানো। তোমরা এসে ওঁনাদের সন্তান হয়েছো। লৌকিক মাতা-পিতা তো সকলেরই থাকে। কিন্তু তাদেরকে জগৎ অম্বা, জগত পিতা বলা যাবে না। জগৎ অম্বা, জগৎ পিতা অতীতে এখানে ছিলেন। আবারও এই সময় তোমরা এসে ওঁনাদের হয়েছো, আবারও হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তোমরা জানো যে এখন আমরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। বাবা হলেন স্বর্গ স্থাপনকারী, যেখানে লক্ষী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল। তোমরাও রাজত্ব প্রাপ্ত করেছিলে। এখন আবার প্রাপ্ত করেছো। তাহলে তোমাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত পরমপিতা পরমাত্মাকে চেনো। এই কথাটি হলো এমনই যেটা বুঝেও ভুলে যায়। নিজেকে ভুলে, মাতা-পিতাকে ভুলে উত্তরাধিকার হারিয়ে ফেলে। এটা হলই যুদ্ধ-স্থল। তোমরা এখন মায়ার উপর জয়লাভ করার জন্য যুদ্ধের ময়দানে দাঁড়িয়ে আছো। যতক্ষণ না পর্যন্ত অন্তিম সময় আসছে ততক্ষণ লড়াই চলতেই থাকবে। ঐ লড়াই-এর সাথে যুক্ত আছে যারা, তারাও জানে যে যদি আমরা চাই তাহলে সকলকে সেকেন্ডে মেরে দিতে পারি। এখন তো একে অপরকে অস্ত্র দিতে থাকে। ঋণ দিতে থাকে। যদি কেউ মেরে দেয় তাহলে ঋণও সমাপ্ত হয়ে যাবে। বাবাও খবরের কাগজ পড়েন। বাচ্চাদেরকেও খবরের কাগজ পড়ে সেখান থেকে সার্ভিস করতে হবে। বাবার থেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে বাবা আপনি তো মালিক তাহলে রেডিও কেনো শোনেন ? এখন বাচ্চারা মালিক তো হলেন শিববাবা, কিন্তু আমি কিভাবে বুঝবো যে বাইরের বাতাবরণ কেমন আছে? কতটা লড়াই ইত্যাদির প্রভাব আছে! এইসময় মিথ্যা তো অনেকেই বলে থাকে। সদাচার কমিটি ইত্যাদিও বানিয়ে থাকে। ওদেরকে লিখতে হবে এই দুনিয়ায় হলো ভ্রষ্টাচারী। ধার্মিক কেউ কিভাবে হতে পারবে। ভ্রষ্টাচারী বিকারীদের বলা হয়। এই কথাগুলি তোমরা বাচ্চারাই জানো। বাচ্চারাও সংখ্যার ক্রমানুসারে থাকে। তোমরা সকলকে জিজ্ঞাসা করো যে পরমপিতা পরমাত্মার সাথে তোমাদের কোন্ সম্বন্ধ ? যেমন খ্রীস্টানরা জানে যে ক্রাইস্ট অমুক সময়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আচ্ছা ওনার পূর্বে কে ছিলেন ? লক্ষী-নারায়ণ রাজত্ব করেছিলেন কত সময় পূর্বে। এই সময় আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মেরাই ধর্মভ্রষ্ট, কর্মভ্রষ্ট হয়ে গেছে। শাস্ত্রেতেও লক্ষ বর্ষ বলে দিয়েছে। এখন তোমরা সজাগ হয়ে গেছো, এখন অন্যদেরকেও সজাগ করতে হবে।
তোমরা জানো যে শিব হলেন আমাদের পিতা। প্রজাপিতা ব্রহ্মা আর জগৎ অম্বাও হলেন আমাদের মাম্মা-বাবা। আবার জিজ্ঞাসা করা হয় লক্ষী-নারায়ণ সত্যযুগের উত্তরাধিকার কোথা থেকে প্রাপ্ত করেছেন ? ৫০০০ বছর হয়ে গেছে প্রাপ্ত করেছিলাম এখন আর নেই এখন আবার প্রাপ্ত করছি। এখন হিস্ট্রি পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এখন সকলের কাছে বাবার সন্দেশ কীভাবে দেওয়া হবে! তাহলে কি ঘরে ঘরে গিয়ে ঢ্যাড়া পেটানো হবে! তাহলে বোর্ডও তোমরা লাগাতে পারো, কেননা তোমরা হলে মাষ্টার অবিনাশী সার্জেন। পরমপিতা পরমাত্মা হলেন নিরাকার। এখন এটা তো কেউই জানে না যে শিববাবা কার শরীরে জন্ম নিয়েছেন! এটাও বলতে পারবে না যে কৃষ্ণের শরীরে প্রবেশ করে জন্ম নিয়েছেন। এটা তো তোমরা নম্বর ক্রমানুসারে জানো যে উনি হলেন আমাদের পরম পিতাও আর আমাদের শিক্ষকও। আমাদেরকে অনেক ভালো শিক্ষা দিচ্ছেন। বাবা আবারও কল্প পরে এসে সাক্ষাৎ করেছেন। বুঝতেও পারো, যথার্থ নিশ্চয়ই আছে কিন্তু ঘরে ফিরেই সেই নেশা হারিয়ে যায়। ঘর গৃহস্থে থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যে থেকে কতটা নেশা থাকছে, এটা অবশ্যই বাবাকে লিখতে হবে। কিন্তু বাচ্চারা বাবাকে সম্পূর্ণ খবরা-খবর দেয় না। তোমরা বাচ্চারা বাবাকে সম্পূর্ণরূপে জানো তাহলে বাবারও তোমাদের সম্বন্ধে সম্পূর্ণ খবরা-খবর জানা উচিত। যখন উনি হলেন তোমাদের দাদা তাহলে ওনার তোমাদের চলন আর উপার্জনের যথার্থ খবরা-খবর জানা উচিত, তারপর তো মতামত দেবেন। তোমরা বলবে শিববাবা তো হলেন অন্তর্যামী, কিন্তু এই ব্রহ্মা কিভাবে জানবেন। কেউ কেউ তো বাবার কাছে যায়ই না, এইজন্য বলা হয় সৎ (সতীনের) সন্তান, তাহলে রাজত্বের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পারবে না। যদি শ্রীমত অনুসরণ করতে চায় তাহলে সম্পূর্ণ খবরা-খবর দিতে হবে। বাচ্চারাও বাবার সম্বন্ধে সবকিছু জেনে নেয়। বাবাকেও খবরা-খবর দিতে হবে। এ হলো আমাদের রূহানী গৃহস্থ ব্যবহারের সম্বন্ধ।
এ হলো রূহানী ঈশ্বরীয় পরিবার। সুপ্রীম আত্মার সাথে সকল আত্মাদের সম্বন্ধ আছে তাই না। সকলকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করো যে তোমরা এই লক্ষী-নারায়ণকে জানো, পরমপিতা পরমাত্মাকে জানো ?তোমরা সত্যযুগী শ্রেষ্টাচারী দেবী দেবতাদেরকে জানো ? তোমরা লিখতে পারো যে এইসব কথাগুলিকে জানলে তোমরাও শ্রেষ্টাচারী হতে পারবে, না হলে কখনোই হতে পারবে না। এইভাবে সার্ভিস করলে তোমরা উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে পারবে। ভ্রষ্টাচারীদের শ্রেষ্টাচারী বানানো-ই হলো – তোমাদের কর্তব্য। তাহলে কেন্ বোর্ড লাগাচ্ছো না! স্ত্রী-পুরুষ উভয়েই এই সার্ভিসে আছে। বাবা নির্দেশ দেন কিন্তু বাচ্চারা আবার ভুলে যায়, নিজেদের কার্যেই রত থাকে। সার্ভিসের জন্য যা করণীয় তা করে না। না সম্পূর্ণ খবরা-খবর দেয়, না বোর্ড লাগায়। বোর্ড লাগায় না, সার্ভিস করে না তখন বোঝা যায় দেহ-অভিমান অত্যধিক পরিমাণে আছে। মুরলী তো সকলেই শোনে। বাবা কি বলেন, সেখান থেকে অনেক মতামত প্রাপ্ত করা যায়। প্রদর্শনীর জন্য বাবা বলেন বাচ্চারা গরম, তাই পাহাড়ের উপরে গিয়ে ব্যবস্থা করো। এখন দেখা যাক, কোথা থেকে এই সমাচার আসে যে বাবা আমরা এই ব্যবস্থা করতে পারবো। যদি জানা থাকে তাহলে গিয়ে হল (hall) অথবা ধর্মশালা নিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে, তাহলে অনেকেই সন্দেশ প্রাপ্ত করতে পারবে। এখানেও যেন বোর্ড লাগানো থাকে জ্ঞান সাগর পতিত-পাবন নিরাকার পরমাত্মার সাথে তোমাদের কোন্ সম্বন্ধ আছে ? তাহলে জগৎ অম্বা আর জগৎ পিতার সাথে তোমাদের কোন্ সম্বন্ধ আছে ? ওঁনারা কি দেবেন ? অবশ্যই জগতের মালিক বানাবেন। অবশ্যই তোমরা এখন তৈরী হচ্ছো। কল্প পূর্বেও তৈরি হয়েছিলে। তোমরা এইটা বোর্ডে লিখে দাও তাহলে আর সব প্রশ্নই সমাপ্ত হয়ে যাবে। লক্ষ্মী-নারায়ণ এই বিশ্বের মালিকত্বের উত্তরাধিকার কীভাবে প্রাপ্ত করেছিলেন ? যারা জিজ্ঞাসা করবে তারা তো অবশ্যই জানবে। যদি এতটুকু সার্ভিস না করো তাহলে সিংহাসনে বসবে কীভাবে ? এই রাজযোগ হল নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য। প্রজা হওয়ার জন্য নয়। এখানে কি তোমরা প্রজা হওয়ার জন্য এসেছ ? বাবার কাছে খবরা-খবর আসলে তাই তো বাবা বুঝবেন যে এরা সার্ভিস করছে। না ঘরের, না সার্ভিসের খবরা-খবর দেবে তাহলে কীভাবে বুঝবো যে এরা বিজয়মালাতে আসবে। নিশ্চয়বুদ্ধি বিজয়ন্তী, সংশয়বুদ্ধি বিনাশন্তী।
তোমরা জানো যে এখন আমাদের রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। সেই রাজধানীতে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার জন্য বাচ্চারা তোমাদেরকে পুরুষার্থ করতে হবে। কিন্তু কারো যদি ভাগ্যে না থাকে তাহলে টিচার কি করবে। তোমরা এরকম-ই ব্যর্থ কর্ম করেছো, যার ফল তোমাদেরকে ভুগতে হয়। মাম্মা কত ভাল কর্ম করেছিলেন তাই কত দৃঢ় অ্যাটেনশনের দ্বারা মাম্মা উচ্চ পদ প্রাপ্ত করেছেন। বাচ্চারা তোমাদের যেকোনো পরিস্থিতিতে খুব ভালোভাবে পুরুষার্থ করতে হবে। বাবা রায় দিয়েছেন – বোর্ড বানিয়ে লাগাতে হবে এবং ছোট-ছোট প্রচারপত্র বানিয়ে বিতরণ করতে হবে – এই লক্ষ্মী-নারায়ণকে জানলে তোমরাও এইরকম শ্রেষ্টাচারী দেবতা হয়ে যাবে। শুভ কার্যে কখনোই দেরি করা উচিত নয়। তোমরা মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চাদেরকে অনেক সার্ভিস করতে হবে। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে অসাধ্য সাধন করে দেখাতে হবে। কখনোই পরিত্যাগ করার খেয়াল আসলে চলবে না। তোমরা জানো যে বাবা আমাদেরকে ব্রহ্মার দ্বারা শেখাচ্ছেন, শিববাবা ভারতে এসেছেন তাহলে কি নিরাকারে এসেছেন ? কীভাবে এসেছেন, কি করেছেন ? কেউই কিছু জানে না। শিবরাত্রি পালন করে, কিন্তু কিছুই জানে না। পরমাত্মা এসেছেন-ই পবিত্র বানাতে।
বাবা বলেন, যে কোনো কথা বুঝতে না পারলে জিজ্ঞাসা করো বাবা আমি এই কথাটি বুঝতে পারছি না, ৮৪ জন্মের রহস্যও বোঝানো হয়েছে। বর্ণেও আসতে হবে। তোমাদের এই ধারণা আছে। আমরা সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়েছি। এখন আবার আমরা সূর্যবংশী হচ্ছি। যতটা যে পুরুষার্থ করবে ততটা উচ্চপদ প্রাপ্ত করবে। কত সহজ কথা, তাও বুদ্ধিতে বসে না তাহলে এসে জিজ্ঞাসা করো – বাবা এই কথাটি আমি বুঝতে পারছি না। প্রথমে অল্ফের পরিচয় দিতে হবে। এইসব বোর্ডগুলি লাগিয়ে দাও, এই নলেজের দ্বারা তোমরা সর্বদা সুখী, শ্রেষ্টাচারী হয়ে যাবে, তাহলে তো এটা ভালোই হলো তাই না। আকর্ষণ থাকবে – আমরা এরকম কথা গিয়ে বুঝিনা কেন। বাবা সার্ভিসের দ্বারাই বুঝে যাবেন যে কে-কে যথার্থ বাচ্চা হয়েছে, যারা মনোযোগ দেয় – তারাই মালার দানা হবে। কার্য করে দেখাতে হবে। তোমরা তো বাস্তবে সম্মুখে বসে শুনছো। বাকি বাচ্চারা মুরলীর দ্বারা শুনবে। এইসব কথাগুলো বোঝার জন্য বুদ্ধির প্রয়োজন। পরমাত্মা হলেন বাবাও আবার পতিত থেকে পবিত্র বানিয়ে নিয়ে যান তাই গুরুও হয়ে গেলেন। সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ শিক্ষক হয়ে পড়ান তাই এভাবে তিনজন-ই হয়ে গেলেন তাই না। কিন্তু অনেক বাচ্চারাই ভুলে যায়। বুদ্ধি থেকে সেই নেশা বেরিয়ে যায়। না হলে স্থায়ী খুশি অবশ্যই থাকবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) বিজয় মালার দানা হওয়ার জন্য নিজের উপর সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন দিতে হবে। নিজে শ্রেষ্টাচারী হতে হবে এবং বানানোর জন্য সেবা করতে হবে।
২ ) এমন কোনো ভুল কর্ম করলে চলবে না, যার জন্য ফল ভোগ করতে হবে। বাবার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি পদক্ষেপ রাখতে হবে।
বরদানঃ-
রূহানী সেবাধারী কখনই এটা চিন্তন করতে পারে না যে সেবাতে বৃদ্ধি হয় না অথবা যারা শোনে তারা আসে না। যারা শোনে তারা সংখ্যায় অনেকেই হয় কেবল তোমরা নিজের স্থিতি রূহানী আকর্ষণময় বানাও। যখন চুম্বক নিজের দিকে আকর্ষণ করতে পারে তাহলে কেন তোমাদের রূহানী শক্তি আত্মাদের আকৃষ্ট করতে পারবে না! তাই রূহানী আকর্ষণকারী চুম্বক তৈরি হও যার দ্বারা আত্মারা স্বতঃতই আকৃষ্ট হয়ে তোমাদের সামনে উপস্থিত হয়ে যায়, এটাই হল তোমাদের রূহানী সেবাধারী বাচ্চাদের সেবা।
স্লোগানঃ-
মাতেশ্বরীজির অমূল্য মহাবাক্য –
“পরমাত্মা হলেন এক আর বাদ বাকি সকলে হলো মনুষ্য আত্মা”
এখন এটা তো সমগ্র দুনিয়া জানে যে পরমাত্মা হলেন এক উনি হলেন সর্বশক্তিমান, জানিজানানহার, এমনিতে তো সমগ্র দুনিয়াই বলে থাকে যে আমরা হলাম পরমাত্মার সন্তান। পরমাত্মা হলেন এক। যে ধর্মের মানুষই হোক না কেন তিনিও পরমাত্মাকে-ই মানেন।তিনিও নিজেকে পরমাত্মার দ্বারা প্রেরণকারী সন্দেশবাহক মনে করেন, এরকমভাবেই সন্দেশবাহক হয়ে নিজ নিজ ধর্মের স্থাপনা করেন। যেমন গুরুনানকও পরমাত্মার অনেক প্রশংসা করে বলেছিলেন এক ওঁঙ্কার সত্ নাম। এক ওঁঙ্কারের অর্থ হল পরমাত্মা হলেন এক। সত্ নাম অর্থাৎ ওঁনার নাম হল সত্য। তাহলে পরমাত্মার নাম রূপও আছে, অবিনাশী, অকালমূর্তও হলেন তিনি, আবার কর্তা পুরুষও হলেন তিনি, যদিও তিনি অকর্তা, তাও তিনি ব্রহ্মার তন দ্বারা কর্তা পুরুষ হন। এখন এই সকল মহিমাই হল এক পরমাত্মার, এখন মানুষ এসব বোঝেও আবার বলেও ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজ করেন। অহম্ আত্মা সো পরমাত্মা, যদি সকলেই পরমাত্মা হয় তাহলে এক ওঁঙ্কার….. এই মহিমা তাহলে কোন্ পরমাত্মার জন্য করে থাকে ? এর দ্বারাই সিদ্ধ হয় যে, পরমাত্মা হলেন এক। আচ্ছা – ওম্ শান্তি।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!