12 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

September 11, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"স্মরণে রমণীয়তা আনয়ণের যুক্তিগুলি"

আজ বিধাতা, বরদাতা বাপদাদা তাঁর মাস্টার বিধাতা, বরদাতা বাচ্চাদেরকে দেখছেন। এক একজন বাচ্চা বিধাতাও হয়েছে তো বরদাতাও হয়েছে। এর সাথে সাথে বাপদাদা দেখছিলেন যে, বাচ্চাদের পদমর্যাদা কতো মহান, এই সঙ্গমযুগের ব্রাহ্মণ জীবনের কতখানি মহত্ত্ব ! বিধাতা, বরদাতার সাথে বিধি-বিধাতাও হলে তোমরা ব্রাহ্মণরা। তোমাদের প্রতিটি বিধি সত্যযুগে কীভাবে পরিবর্তিত হয়ে যায় – সে’কথা তো আগেই বলেছি। এই সময়ের প্রতিটি কর্মের বিধি ভবিষ্যতে প্রচলিত হয়ে যায়, কিন্তু দ্বাপরের পরেও ভক্তি মার্গে এই সময়ের শ্রেষ্ঠ কর্মের বিধি ভক্তি মার্গের বিধি হয়ে যায়। অতএব পূজ্য রূপেও এই সময়ের বিধি জীবনের শ্রেষ্ঠ বিধাতার রূপে চলতে থাকে আর পূজারী মার্গ অর্থাৎ ভক্তি মার্গেও তোমাদের প্রতিটি বিধি এবং রীতিতে চলে আসছে। সুতরাং তোমরা হলে বিধাতা, বরদাতা আর বিধি-বিধাতাও।

তোমাদের মূল সিদ্ধান্ত (নীতি) সিদ্ধি প্রাপ্ত হওয়ার সাধন হয়ে যায়। যেমন মূল সিদ্ধান্ত – “বাবা এক। ধর্ম-আত্মারা, মহান-আত্মারা অনেক, কিন্তু পরম-আত্মা হলেন এক।” এই মূল সিদ্ধান্তের দ্বারা অর্ধ কল্প তোমরা শ্রেষ্ঠ আত্মাদের এক বাবার দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া অবিনাশী সম্পদের উত্তরাধিকার সিদ্ধির রূপে প্রাপ্ত হয় । প্রালব্ধ লাভ করা অর্থাৎ সিদ্ধি স্বরূপ হওয়া। কারণ এক বাবা, বাকি মহান আত্মারা বা ধর্ম আত্মারা- বাবা নয়, তারা হল ভাই-ভাই। উত্তরাধিকার বাবার থেকে পাওয়া যায়, ভাই এর থেকে নয় । তো এই মূল সিদ্ধান্তের দ্বারা অর্ধ কল্প তোমাদের সিদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে থাকে আর ভক্তিতেও ‘গড ইজ ওয়ান’ – এই সিদ্ধান্ত সিদ্ধি প্রাপ্ত করবার আধার হয়ে যায় । ভক্তির আদি আধারও একমাত্র বাবার ‘শিবলিঙ্গ’ রূপেই আরম্ভ হয়, যাকে বলা হয – ‘অব্যভিচারী ভক্তি’ । সুতরাং ভক্তিমার্গেও এই একটি সিদ্ধান্তের দ্বারাই সিদ্ধি প্রাপ্ত হয় যে, ‘বাবা হলেন এক’। ঠিক সেইরকমই তোমাদের যে যে মূল সিদ্ধান্ত, সেই এক একটি সিদ্ধান্তের দ্বারা সিদ্ধি প্রাপ্ত হতে থাকে । যেমন এই জীবনের মূল সিদ্ধান্ত হল ‘পবিত্রতা’। এই পবিত্রতার সিদ্ধান্তের দ্বারা তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের ভবিষ্যতে সিদ্ধি স্বরূপের রূপে লাইটের মুকুট সদা’ই প্রাপ্ত হয়ে থাকে । যার স্মরণিক হিসাবে দ্বি-মুকুট দেখানো হয় আর ভক্তিতেও যখনই যথার্থ আর অন্তর থেকে ভক্তি করবে তখনও সিদ্ধান্ত বা নীতিকেই মূল আধার মনে করবে এবং তারা মনে করে যে, পবিত্রতা ছাড়া ভক্তির সিদ্ধান্ত প্রাপ্ত হতে পারে না। অল্প কালের জন্য হলেও, যত সময় ধরে ভক্তি করবে, তত সময়ই পবিত্রতাকে গ্রহণ করে চলবে। ‘পবিত্রতাই হল সিদ্ধি লাভের উপায়’ – এই সিদ্ধান্ত বা নীতিকে গ্রহণ অবশ্যই করে। এইভাবে প্রতিটি জ্ঞানের সিদ্ধান্ত বা ধারণার মূল সিদ্ধান্তকে বুদ্ধি দিয়ে ভাবো যে, প্রতিটি সিদ্ধান্ত সিদ্ধির উপায় কীভাবে হয়ে থাকে ? এই মনন করবার কাজ তোমাদেরকে দেওয়া হচ্ছে । যেমন দৃষ্টান্ত গুলির কথা বলা হল, সেই ভাবে ভাববে।

সুতরাং তোমরা বিধি-বিধাতাও হয়ে থাকো, সিদ্ধি-দাতাও হয়ে থাকো। সেইজন্য আজ পর্যন্ত যে ভক্তের যে যে সিদ্ধি চাই, তারা নানান দেবতাদের দ্বারা নানান সিদ্ধি প্রাপ্ত করবার জন্য, সেই সেই দেবতাদের পূজা করে। তো সিদ্ধি-দাতা বাবার দ্বারা তোমরাও সিদ্ধি-দাতা হয়ে যাও – এই রকম নিজেদেরকে মনে করো তো না ? যার নিজের সর্ব সিদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে গেছে, সে-ই অন্যদেরকেও সিদ্ধি প্রাপ্ত করানোর নিমিত্ত হতে পারে। সিদ্ধি খারাপ জিনিস নয়। কেননা তোমাদের তো রিদ্ধি-সিদ্ধি নয়। রিদ্ধি-সিদ্ধি স্বল্পকালীন সময়ের জন্য ক্রিয়াশীল (তার প্রভাব) থাকে । কিন্তু তোমাদের হল যথার্থ বিধির দ্বারা সিদ্ধি । ঈশ্বরীয় বিধির দ্বারা যে সিদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে থাকে, সেই সিদ্ধিও হল ঈশ্বরীয় সিদ্ধি । যেমন ঈশ্বর হলেন অবিনাশী, অতএব ঈশ্বরীয় বিধি আর সিদ্ধিও অবিনাশী। রিদ্ধি-সিদ্ধি যারা দেখায় তারা নিজেরাও হল অল্পজ্ঞ আত্মা, তাদের সিদ্ধিও হল অল্প কালের। কিন্তু তোমাদের সিদ্ধি, সিদ্ধান্তের বিধির দ্বারা সিদ্ধি। সেইজন্য অর্ধ কল্প তোমরা স্বয়ং সিদ্ধিস্বরূপ হয়ে যাও আর অর্ধ কল্প তোমাদের সিদ্ধান্তের দ্বারা ভক্ত আত্মারা যথা-শক্তি, তথা-ফলের প্রাপ্তি বা সিদ্ধির প্রাপ্তি করে আসতে থাকে। কেননা ভক্তির শক্তিও সময়ের সাথে সাথে কম হয়ে আসতে থাকে। সতোপ্রধান ভক্তির শক্তি, ভক্ত আত্মাদেরকে সিদ্ধির অনুভূতি আজকালকার ভক্তদের থেকে অধিক করিয়ে থাকে। এই সময়ের ভক্তি তমোপ্রধান ভক্তি হওয়ার কারণে না যথার্থ সিদ্ধান্ত রয়েছে না সিদ্ধি রয়েছে।

সুতরাং এতখানি নেশা কি তোমাদের থাকে যে, আমরা কে ? সদা এই শ্রেষ্ঠ স্বমানের স্থিতির সীটে সেট থাকো ? কতখানি উঁচু সিট ! যখন এই স্থিতির সিটে সেট থাকো, তবে বার বার আপসেট (অস্থির) হবে না। এই পজিশন আছে তো ? কত বড় পজিশন এটা – বিধি-বিধাতা, সিদ্ধি-দাতা ! তো যখন পজিশনে স্থিত হবে তো মায়া অপজিশন করবে না। সদাই সেফ থাকবে। আপসেট হওয়ার কারণই হল এটা যে, নিজের শ্রেষ্ঠ স্থিতির সিট থেকে সাধারণ স্থিতিতে এসে যাও। স্মরণে থাকা বা সেবা করা এক সাধারণ দিনচর্যা হয়ে যায়। কিন্তু স্মরণে বসলেও, নিজের কোনো না কোনো শ্রেষ্ঠ স্বমানের সিটে বসো। এমন নয় যে, সোজা বিছানা থেকে উঠেই যোগ করবার জন্য যোগের রুমে গিয়েই হোক বা বাবার রুমে, অথবা সারা দিনে গিয়ে বসে গেলে। শরীরকে যেমন যোগ্য স্থান দিয়ে থাকো, ঠিক তেমনই প্রথমে বুদ্ধিকে স্থিতির স্থান দাও। প্রথমে এটা চেক করো যে, বুদ্ধিকে সঠিক স্থান দিয়েছ ? ঈশ্বরীয় নেশা নিজের সিট থেকে স্বতঃতই আসতে থাকে। আজকাল তো মানুষের মধ্যে ‘চেয়ারের নেশা’ কথাটাও খুব প্রচলিত। আর তোমাদের তো হল শ্রেষ্ঠ স্থিতির আসন। কখনো ‘মাস্টার বীজরূপে’র স্থিতির স্থানে, সিটে সেট থাকো, কখনো ‘অব্যক্ত ফরিস্তা’র সিটে সেট থাকো, কখনও ‘বিশ্ব কল্যাণকারী স্থিতি’র সিটে সেট থাকো – এই রকম রোজ ভিন্ন ভিন্ন স্থিতির আসনে বা সিটে সেট হয়ে বসো।

যদি কারো সিট সেট না হয়, তবে সে ছটফট করতে থাকে, তাই না ? কখনো এই রকম করবে, কখনো ওই রকম করবে ! সুতরাং এই বুদ্ধিও ছটফট তখনই হতে থাকে যখন সিটে সেট না থাকবে। জানে তো সবই যে আমরা এইরকম এইরকম। যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তুমি কে ? তখন ভালোই একটা লম্বা লিস্ট বলে দেবে। কিন্তু সব সময় যেটা জানো, সেটা নিজেকে মানো। কেবল জানো না, মানো। কেননা জানলে সূক্ষ্ম খুশী তো হয় – হ্যাঁ, আমি হলাম এই। কিন্তু মানার ফলে তখন শক্তি আসে আর মেনে চললে তখন নেশা এসে যায়। যেমন জাগতিক উচ্চ পজিশনের কোনো ব্যক্তি যখন তার সিটে সেট থাকে, তখন তার মধ্যে খুশী থাকবে কিন্তু শক্তি থাকবে না । সুতরাং জানো যখন তখন সেটা মেনে চলো আর বার বার নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসা করো, চেক করো যে, আমি আমার সিটে সেট আছি নাকি নীচে সাধারণ স্থিতিতে নেমে এসেছি ? যারা অন্যদেরকে সিদ্ধি প্রদান করবে, সে নিজে প্রতিটি সংকল্পে, প্রতিটি কর্মে সিদ্ধি স্বরূপ অবশ্যই হবে, দাতা হবে। সিদ্ধি দাতা কখনোই এটা ভাবতে পারে না যে, যতখানি পুরুষার্থ করছি বা পরিশ্রম করছি ততখানি সিদ্ধি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না কিম্বা যতখানি অভ্যাস করছি, ততটা সিদ্ধি অনুভব হচ্ছে না। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সিটে সেট হওয়ার বিধি যথার্থ নয়।

এই জ্ঞান হল চিত্তাকর্ষক। চিত্তাকর্ষক অনুভব স্বতঃই আলস্যকে অপসারিত করে দেয়। এমন অনেকেই বলে থাকে না যে – এমনিতে ঘুম আসে না, কিন্তু যোগ করলে ঘুম আসবেই আসবে। কেন এমন হয় ? এমন নয় যে ক্লান্তির কারণে, না। তার কারণ হল চিত্তাকর্ষক ভাবে আর ন্যাচারাল ভাবে বুদ্ধিকে তারা সিটে সেট করে না। অতএব কেবল এক রূপে নয়, বরং ভ্যারাইটি রূপে সেট করো। সেই জিনিসই যদি ভ্যারাইটি রূপে পরিবর্তন করে ইউজ করতে থাকো, তবে মন আনন্দে ভরে যাবে। যত ভালো জিনিসই হোক না কেন, একই জিনিস যদি বার বার খেতে থাকো, দেখতে থাকো, তখন কি হয় ? সেই রকমই বীজ রূপ হও কিন্তু কখনো লাইট – হাউস রূপে, কখনো মাইট হাউস রূপে, কখনো কল্প বৃক্ষের উপরে বীজের রূপে, কখনো সৃষ্টি চক্রের উপরে টপে দাঁড়িয়ে সকলকে শক্তি দাও। নানান প্রকারের যে যে টাইটেল প্রাপ্ত করেছো, রোজ ভিন্ন ভিন্ন টাইটেলকে অনুভব করো। কখনো নূরে রত্ন (নয়নের মণি) হয়ে বাবার নয়নে সমাহিত রয়েছি – এই স্বরূপের অনুভূতি করো। ভ্যারাইটি করো তাহলে চিত্তাকর্ষক হবে। বাপদাদা রোজ মুরলীতে ভিন্ন ভিন্ন টাইটেল দেন, কেন দেন ? সেই সিটে সেট হয়ে যাও আর কেবল তার মাঝে মাঝে চেক করো। আগেও বলেছি না যে, ভুলে যাও তোমরা ! ৬ ঘন্টা, ৮ ঘন্টা পার হয়ে যায়, তখন মনে পড়ে তোমাদের। সেই কারণেই উদাস হয়ে যাও যে, অর্ধেক দিন তো চলে গেল ! ন্যাচারাল অভ্যাস হয়ে গেলে, তখনই বিধি-বিধাতা এবং সিদ্ধি-দাতা হয়ে বিশ্বের আত্মাদের কল্যাণ করতে পারবে । বুঝতে পেরেছো ? আচ্ছা !

আজ হল মধুবনবাসীদের দিন। ডবল বিদেশি নিজেদের সময় থেকে তোমাদেরকে চান্স দিয়েছে। কারণ তারা মধুবন নিবাসীদেরকে দেখে খুশী হয়। মধুবনবাসী বলে আমাদের মহিমা আর কোরো না, মহিমা অনেক শুনেছি। মহিমা শুনেই তো মহান হয়ে উঠছি আমরা, কেননা এই মহিমাই ঢাল হয়ে যায় আমাদের। যেমন যুদ্ধ ক্ষেত্রে সেফটির সাধন ঢাল হয় না ? তো এই মহিমা স্মৃতি এনে দেয় যে, আমরা কতখানি মহান ! মধুবন, কেবল মধুবন নয়, বরং মধুবন হল বিশ্বের স্টেজ। মধুবনে থাকা অর্থাৎ বিশ্বের স্টেজে থাকা। সুতরাং স্টেজে যে থাকে, তার নিজের ওপরে কতখানি অ্যাটেনশন থাকে ! সাধারণ ভাবে কেউ কোনো স্থানে থাকলে এতটা অ্যাটেনশন থাকে না। কিন্তু স্টেজে যখন আসবে, তখন প্রতিটি কর্মেই ততখানি অ্যাটেনশন থাকবে। তো মধুবন হল বিশ্বের স্টেজ। চতুর্দিকের নজর মধুবনের উপরেই রয়েছে। এমনিতেও সকলের অ্যাটেনশন স্টেজের দিকেই তো যায়, তাই না ! অতএব মধুবন নিবাসী সদা বিশ্বের স্টেজে স্থিত থাকো।

এর সাথে সাথে মধুবন হল এক বিচিত্র গম্বুজ। আর গম্বুজে কি হয়, তার এতটুকু আওয়াজও প্রতিধ্বনিত (ইকো) হতে থাকে। কিন্তু মধুবন হল এমন বিচিত্র গম্বুজ যে, মধুবনের এতটুকু আওয়াজও বিশ্বে ছড়িয়ে যায়। আজকাল যেমন পুরানো আমলের কোনো কোনো জায়গায় সেখানকার দেওয়ালে এতটুকু হাত লাগালে বা শব্দ করলেই যেন দশ দেওয়ালের আওয়াজ ফিরে আসে আর মনে হয় যেন এই দেওয়ালটাকেই কেউ নাড়াচ্ছে কিম্বা আওয়াজ করছে। তো মধুবনও হল এই রকম বিচিত্র গম্বুজ, মধুবনের আওয়াজ কেবলমাত্র মধুবনেই সীমিত থাকে না, বরং চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এমন ছড়িয়ে পড়ে যে মধুবনে যারা থাকে তারাও বুঝতে পারে না। যেহেতু মধুবন হল বিচিত্র ভূমি, সেই কারণে বাইরে পৌঁছে যায়। সেইজন্য মনে কোরো না যে, এখানে করেছি, এখানে দেখেছি অথবা এখানে বলেছি… বরং বিশ্ব পর্যন্ত আওয়াজ বায়ুর গতিতে পৌঁছে যায়। কেননা সকলের নজরে, বুদ্ধিতে সদা মধুবন আর মধুবনের বাপদাদাই থাকে। তাই যখন মধুবনের বাবা দৃষ্টিতে থাকে, তবে তো মধুবনও দৃষ্টিতে চলে আসবে, তাই না ? মধুবনের বাবা রয়েছেন যখন তখন মধুবন তো আসবেই আর মধুবনে তো কেবল বাবা নয়, বাচ্চারাও রয়েছে। সুতরাং মধুবনবাসী স্বভাবতই সকলের দৃষ্টিতে চলে আসবে। যে কোনো ব্রাহ্মণকে জিজ্ঞাসা করো, সে যত দূরেই থাকুক, তার কী স্মরণে আসে ? ‘মধুবন’ আর ‘মধুবনের বাবা’ ! সুতরাং এতখানি মহত্ত্ব হল মধুবনবাসীদের। বুঝতে পেরেছো ? আচ্ছা !

চতুর্দিকের সর্ব প্রকারের সেবার উৎসাহ – উদ্দীপনায় থাকা, সদা একমাত্র বাবার স্নেহে সমায়িত হয়ে থাকা, সদা প্রতিটি কর্মে শ্রেষ্ঠ বিধির দ্বারা সিদ্ধিকে অনুভবকারী, সদা নিজেকে বিশ্বের কল্যাণকারী অনুভব করে সংকল্পের দ্বারা, বোল এর দ্বারা শ্রেষ্ঠ কল্যাণের ভাবনা আর শ্রেষ্ঠ কামনার দ্বারা সেবাতে বিজি থাকা, এমন বাবার সমান সদা অক্লান্ত সেবাধারী বাচ্চাদেরকে বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার ।

পার্সোনাল সাক্ষাৎকার :

১) নিজেকে কর্মযোগী শ্রেষ্ঠ আত্মা অনুভব করে থাকো ? কর্মযোগী আত্মা সদা কর্মের প্রত্যক্ষ ফল স্বতঃতই অনুভব করে। প্রত্যক্ষ ফল – ‘খুশী’ আর ‘শক্তি’, অতএব কর্মযোগী আত্মা অর্থাৎ প্রত্যক্ষ ফল ‘খুশী’ আর ‘শক্তি’ অনুভবকারী । বাবা সর্বদা বাচ্চাদেরকে প্রত্যক্ষফল প্রাপ্ত করান। এখনই কর্ম করলে, কর্ম করবার সময় খুশী আর শক্তির অনুভব করলে। তো এই রকম কর্মযোগী আত্মা আমি – এই স্মৃতির দ্বারা এগিয়ে যেতে থাকো।

২) বেহদের সেবা করলে বেহদের খুশীর স্বতঃতই অনুভব হতে থাকে । বেহদ বা অসীম জগতের পিতা বেহদের অধিকারী বানান। বেহদের সেবার ফল বেহদের রাজ্য ভাগ্য স্বতঃতই প্রাপ্ত করায়। সুতরাং যে আত্মাদের নিমিত্ত হচ্ছো তোমরা, তাদের আশীর্বাদ স্বতঃই আত্মার মধ্যে ‘শক্তি’ আর ‘খুশী’র অনুভব করিয়ে থাকে ।. একটি স্থানে বসেও বেহদ সেবার ফল প্রাপ্ত হয়ে যাচ্ছে – এই বেহদের নেশার দ্বারা বেহদের খাতা জমা করে এগিয়ে যেতে থাকো।

বরদানঃ-

যখন কর্মভোগের জোর চলতে থাকে, কর্মেন্দ্রিয় গুলি কর্মভোগের বশবর্তী হয়ে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে থাকে অর্থাৎ যে সময় অসম্ভব পীড়া অনুভব হচ্ছে, সেই সময়ে কর্মভোগকে কর্মযোগে পরিবর্তনকারী, সাক্ষী হয়ে কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা সেই ভোগ হয়ে যেতে দিতে যে পারে, তাকেই বলা হয় অষ্ট রত্ন বিজয়ী । এর জন্য অনেক সময় ধরে দেহ রূপী বেশের থেকে পৃথক থাকার অভ্যাস থাকতে হবে। এই বস্ত্র, দুনিয়ার বা মায়ার আকর্ষণে টাইট অর্থাৎ টানতে যাতে না পারে, তবেই সহজে বেরিয়ে আসা যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top