12 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
11 November 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - প্রত্যেক পার্টধারী আত্মা অর্ধেক সময় সুখ, অর্ধেক সময় দুঃখের পার্ট প্লে করে - এ'ও হল ঈশ্বরীয় নিয়ম”
প্রশ্নঃ --
বাবা যা কিছু বোঝান, সেসব বাচ্চাদের বুদ্ধিতে যথার্থ ভাবে কবে বসবে ?
উত্তরঃ -:-
যখন বুদ্ধি হবে শুদ্ধ। যে যতখানি পুরুষার্থ করে খাদ নিষ্কাশিত করবে, ততই বাবার বোঝানো জ্ঞান বুদ্ধিতে বসতে থাকবে। এখনও বাচ্চারা সতঃ স্থিতি পর্যন্তই পৌঁছেছে অতি কষ্টে । প্রত্যেকের পুরুষার্থ নিজস্ব। কেউ সতঃ কেউ তমঃ স্থিতিরও আছে। কিন্তু হতে হবে সতোপ্রধান।
গান:-
দূর দেশের নিবাসী…
ওম্ শান্তি । যখন মেলায় বা প্রদর্শনীতে বাচ্চারা বোঝায় তখন যে কথাগুলি বোঝানো দরকার, সেগুলি অবশ্যই বোঝাতে হবে। এতে এই কথা তো নিশ্চয়ই বোঝাতে হবে যে সব আত্মারাই হল ব্রাদার্স এবং সব ব্রাদার্সের অসীমের পিতা একজনই আছেন। এই কথাও জিজ্ঞাসা করতে হয় যে, ভারতের আদি সনাতন ধর্ম কি ? তারা তো আদি সনাতন হিন্দু ধর্মকেই মানে। ইসলাম, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ইত্যাদিরা জানে যে তাদের ধর্ম কে এবং কবে স্থাপন করেছে। ভারতবাসীদের হিন্দু ধর্ম নাকি দেবী-দেবতা ধর্ম ? এই ধর্মটি কে এবং কবে স্থাপন করেছে ? এই কথা ভারতবাসী জানে না। বোঝাবার জন্য এই কথাটি খুব জরুরি কথা । যা কারো বুদ্ধিতে আসে না। প্রাচীন ভারতে দেশের গায়ন করা হয়। কিন্তু তারা এই কথা জানেনা যে, আমাদের হল আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম। হিন্দু কোনো ধর্ম নয়। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো যে, ৫ হাজার বছর পূর্বে দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল। যথাযথভাবে সেই সময় লক্ষ্মী-নারায়ণ রাজত্ব করতেন। তারা নিজেদেরকে হিন্দু বলতেন না। আচ্ছা হিন্দু ধর্মেরও কোনো সম্বৎ হওয়া উচিত। বিক্রম সম্বৎ যে বলা হয়, হতে পারে যখন থেকে দেবতারা বাম মার্গে প্রবেশ করে তখন থেকে নিজেদেরকে হিন্দু বলে পরিচয় দিতে শুরু করে, তখন থেকে বিক্রম সম্বতও বলা শুরু করে। সুতরাং অর্ধেক অর্ধেক হয়ে গেল। ওই সময় তাদের আদি সনাতন দেবী-দেবতা বলা হবে না। সম্বৎ বলা হয় যখন ধর্ম স্থাপন হয়। সেই ধর্ম কে স্থাপন করেছে ? বিকর্ম সম্বৎ তো রাবণ স্থাপন করেছে। সেই সময় সকলের কর্ম, বিকর্ম হতে থাকে। কর্ম, অকর্ম, বিকর্ম নাম তো আছে, তাইনা। সুতরাং বিক্রম রাজার সম্বৎ চলেছে। ওটা হয়ে গেল অর্ধেক সময়। এই বিক্রম সম্বৎ তো হিন্দুদের নয় ? তখন জিজ্ঞাসা করা উচিত যে, ভারতের আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম কবে স্থাপন হয়েছিল ? জানা তো উচিত । এই কথা গুলো খুব বোধযুক্ত সূক্ষ্ম বিষয়ের কথা। যখন এই কথা জানবে তখন হিসেব করতে পারবে যে নতুন দুনিয়া ছিল তাতে দিন রাত অবশ্যই হয়। অর্ধেক অর্ধেক হবে নিশ্চয়ই। এ হল একটি ঈশ্বরীয় নিয়ম, এই কথা অবশ্যই বোঝাতে হবে । এমন সংবাদ কখনও কেউ দেয়নি। খ্রীস্টানদেরও অর্ধেক সুখ, অর্ধেক দুঃখের পার্ট চলবে। এই কথা যে আমরা বোঝাই, এতে সম্পূর্ণ হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি এসে যায়। যে মানুষ আসে তাদের দুঃখ সুখের পার্ট আছে। এক দুইটি জন্ম গ্রহণ করলেও অর্ধেক অর্ধেক হবে। এই হল ঈশ্বরীয় নিয়ম। প্রদর্শনীতে যখন শোনে, ভালো ভালো বলে। বাইরে বেরোলেই ভুলে যায়। বিশেষ কেউ এই কথায় কান দেবে। কেউ এক মাস এসেও হারিয়ে যায়। কেউ ১০ মিনিট বোঝে, কেউ এক ঘন্টা, কেউ তো কিছু সময় এসে চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে যায়। সেন্টারে এমন অনেক হতেই থাকে। কীভাবে দৈব সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। এই কথাও ওয়ান্ডার – নতুন দুনিয়ার ধর্ম পুরানো দুনিয়ায় স্থাপন হচ্ছে। বাচ্চারা, এই কথা গুলি তোমাদের বুদ্ধিতে এসেছে। শিববাবার দ্বারা তোমরা নিজেদের ৮৪ জন্মের বিষয়ে জানতে পারো। বাবা বলেন আমি ৮৪ জন্মের কাহিনী শোনাতে এসেছি, অতএব শেষ সময়েই এসে শোনাবো, তাইনা। দ্বাপরে মধ্যিখানে এসে তো শোনাতে পারি না। যখন শেষ সময়ের আত্মারা তো জন্ম নেয়নি। রাজযোগের জ্ঞান দ্বাপরে প্রাপ্ত হয় না। মহাভারতের যুদ্ধ দ্বাপরে হতে পারে না। মহাভারতের যুদ্ধের পরেই সত্যযুগের স্থাপনা হয় অর্থাৎ দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন হয়। তার পূর্বে ব্রাহ্মণ ধর্ম স্থাপন হয়, তবে তো নিশ্চয়ই ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপন হয়েছে হবে। তারপরেই ব্রাহ্মণদের জন্ম হয়েছে হবে তাইনা। বিরাট রূপ যে দেখানো হয়, তাতে শিবের চিত্র দেখানো হয় না এবং ব্রাহ্মণদের শিখাও (টিকি) দেখানো হয়নি। প্রদর্শনীতে বিরাট রূপের চিত্র অবশ্যই থাকা উচিত। ব্রহ্মার দ্বারা প্রথমে নিশ্চয়ই ব্রাহ্মণ রচনা করবেন। তাহলে ব্রাহ্মণ কবে এবং কোথায় রচনা করেন। ব্রাহ্মণদের হল সঙ্গম। শূদ্রদের হল কলিযুগ। এখন তোমরা নিজেদের পরিচয় দাও প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার কুমারী। প্রজা অর্থাৎ মনুষ্য সৃষ্টি সুতরাং নিশ্চয়ই ব্রাহ্মণ-ই হবে। খ্রীষ্টকে খ্রীস্টান ধর্মের পিতা বলা হবে। এই হলেন প্রজাপিতা। ভগবান ব্রহ্মার দ্বারা মনুষ্য সৃষ্টির রচনা করেন। এমন নয় খ্রীষ্টের দ্বারা, বৌদ্ধদের দ্বারা রচনা করবেন। মনুষ্য সৃষ্টি আরম্ভ হয় ব্রহ্মার দ্বারা। সুতরাং সর্ব প্রথমে ব্রাহ্মণদের রচনা করা হবে। ব্রাহ্মণদের, দেবতায় পরিণত করেন। বিরাট রূপও ভারতেই দেখানো হয় অন্য ধর্মের মানুষ বিরাট রূপ বানাতে পারবে না। এই রূপ নতুন কথা একমাত্র বাবা বোঝান। নতুন পয়েন্টসও বেরোতে থাকে, পুরানোও বেরোতে থাকে কারণ নতুন বাচ্চাদেরকেও কিছু নতুন কিছু পুরানো পয়েন্ট প্রাপ্ত হওয়া উচিত, যাতে বুঝতে পারে। যতক্ষণ অল্ফ – বে বুদ্ধিতে না বসছে ততক্ষণ কিইবা বুঝতে পারবে। তোমরা জানো অল্ফ – বে কাউকেও বোঝানো খুব সহজ। বাবা তো সবার একজনই, তিনি আসেনও নিশ্চয়ই। শিব জয়ন্তী ভারতেই পালন করা হয়। কিন্তু ভারত বাসীরা এই কথা জানেনা যে শিব জয়ন্তীর অর্থ কি। না ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করের বিষয়ে জ্ঞান আছে, না শ্রীকৃষ্ণের বিষয়ে। শ্রী লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব কবে ছিল, সে কথাও জানেনা। খ্রীষ্ট এসে ঘুরে গেছেন, তাদের পোপের সম্পূর্ণ লিস্ট থাকবে। কিন্তু ভারতবাসীরা এই কথা জানেনা যে এই লক্ষ্মী-নারায়ণও ভারতে রাজত্ব করে গেছেন। যা চিত্র ইত্যাদি তৈরি করেছে তার পূজা করে, তার অক্যূপেশান কি তা জানে না। দেবতাদের রাজত্ব ক্ষত্রিয়রা নিল কীভাবে, তবে কি যুদ্ধ হয়েছিল ? রাজত্ব বদল হয় সুতরাং কেউ জয়লাভ নিশ্চয়ই করেছিল। সেখানে তো এইরকম কথাই নেই। তারা তো ভালোভাবে রাজত্ব প্রদান করে। মানুষ তো অনেক অন্ধকারে আছে। তোমরা কতখানি আলো প্রাপ্ত করেছো। এমনও নয় সব কথা কারো স্মরণে থাকে। তা না হলে বাবা যা কিছু বুঝিয়েছেন সেসব প্রদর্শনীতে বোঝানো উচিত। প্রদর্শনীতে একদিন এসে দ্বিতীয় দিন আসে না। কিছুই বোঝা যায় না যে বুঝতে পেরেছে কিনা। ওপিনিয়ান লেখানো উচিত যে, প্রথমে আমরা এই কথা জানতাম না দেবী-দেবতা কোথায় লুপ্ত হয়েছে। সম্বৎ এর কথা বলো। হিন্দু ধর্ম কবে শুরু হয়েছে ? প্রত্যেকে কি বোঝায়, তাও জানা যায় না। ওপিনিয়ান লিখিয়ে রাখবে এমন কেউ থাকা উচিত। তোমরা প্রমাণ করে বলে দাও। ৫ হাজার বছরের হল এই চক্র, লিখে দাও। সম্বৎ ইত্যাদির বিষয়ে কেউ তো কিছু জানেনা। এইসব কথা শাস্ত্রে কি শুনেছো ? তাহলে আমরা শিখেছি কোথা থেকে? সুতরাং আমাদের শেখাচ্ছেন উনি নিশ্চয়ই ভগবান হবেন। ভগবান ব্যতীত এইসব কথা কেউ বোঝাতে পারে না। তিনি নিশ্চয়ই কোনো দেহে অব। পরমাত্মা হলেন জ্ঞানের সাগর। পরম পিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করেন। আদি মধ্য অন্তের নলেজ প্রদান করেন। তাঁর নাম শিব। ভক্তিমার্গে তাঁর অনেক নাম রেখেছে। কমপক্ষে দেড় লক্ষ নাম রেখেছে নিজের নিজের ভাষায়।
বাচ্চাদের রোজ কত বোঝানো হয়। কিন্তু এখনও শুদ্ধ বুদ্ধির হয়নি। পুরুষার্থ করতে থাকলে খাদ বেরিয়ে যাবে। এখনও বাচ্চারা সতঃ স্থিতিতে অতি কষ্টে পৌঁছেছে। তাতেও কেউ তমো। সতোপ্রধান, সতো, রজো, তমো এতেও ক্রম অনুসারে আছে। প্রত্যেকের নিজস্ব পুরুষার্থ চলে। এইসময় মানুষের বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি। শুধু পাণ্ডবদের ছিল প্রীত বুদ্ধি। তাদের বিজয় হয়েছিল। অসুর এবং দেবতা, দুইই হল মানুষ। এমন নয় অসুরের কোনো ভয়ঙ্কর চেহারা থাকে। তারা তো যুদ্ধে গোলা গ্যাস ইত্যাদি থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য ড্রেস পরে নেয়। তারা হল আসুরিক সম্প্রদায়, তোমরা হলে রামের সম্প্রদায়, কারণ তোমরা ৫ বিকার ত্যাগ করেছ। পবিত্র হয়ে সম্পূর্ণ বিশ্বে তোমরা রাজত্ব করবে। তোমাদের কারো সঙ্গে যুদ্ধ নেই। বাবা অনেক কথা বুঝিয়ে দেন। কেউ তো মাস দুই এসেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন বোঝা যায় ভাগ্যে নেই। সাধারণ প্রজায় তো আসবে, প্রজা তো অসংখ্য তৈরি হবে। এখনও দেখো প্রজার সংখ্যা অনেক। কোনো স্থানে মাত্রায় অন্ন কম হলে মানুষ ক্ষুধায় মারা যায়। কোনো স্থানে বৃষ্টিপাত না হওয়ার দরুন দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়। এতে গভর্নমেন্ট কি করবে। এইসব তো হল ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ। এবারে তো তুমুল বেগে বৃষ্টিপাত হবে। বিনাশ তো হবেই। সুতরাং তোমরা যা কিছু সাক্ষাৎকার করেছো, সেসব প্রাক্টিক্যালে হবে। সাক্ষাৎকারে এক কৃষ্ণের মহল দেখবে। সম্পূর্ণ তো দেখতে পাবে না। আচ্ছা দেখবে বিনাশ হয়েছে, শরীর ত্যাগ করবে তখন সব কিছু ভুলে যাবে। সম্পূর্ণ দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে। তখন দুনিয়াই বদলে যাবে, তোমরা সব কিছু ভুলে যাবে। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব নলেজ আছে। মূলবতন, সূক্ষ্মবতনের চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়, সম্পূর্ণ নলেজ বাবা দিয়েছেন। যার যত বেশি জ্ঞান তার তত বেশি নেশা থাকে। এখন আমরা মাস্টার নলেজফুল হয়েছি, তারপরে যখন বিনাশ হবে আমাদের শরীর শেষ হয়ে যাবে। এই জন্ম পর্যন্ত নলেজ থাকে। অতএব এতখানি বুদ্ধিতে নেশা থাকা উচিত যে, আমরা এই শরীর ত্যাগ করে গিয়ে প্রিন্স প্রিন্সেস হবো। মানুষ তো পড়াশোনা করে নিজের নিজের উপার্জন করে। বাবা বলেন – আমি কোনো উপার্জন করি না। আমি তো তোমাদের শিখিয়ে নিজের ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাই। তোমরা উপার্জন ক’র তো সেসব হারিয়েও ফেলো। তোমাদের সম্পূর্ণ আদি মধ্য অন্তের জ্ঞান আছে। বাবারও জ্ঞান আছে, উনি বসে বোঝান পার্ট অনুযায়ী। তারপরে বাবাও চলে যান নির্বাণ ধামে। সব আত্মারাও চলে যাবে। সেখানে যাদের পার্ট থাকবে তারা পুনরায় রাজধানীতে আসতে থাকবে। বাকি সময়ে শান্তিধামে থাকবে। বাচ্চারা অনেক জ্ঞান প্রাপ্ত করছে, উঁচু পদের অধিকারী হওয়ার জন্য। নতুন কোনো বাচ্চার বুদ্ধিতে এই জ্ঞান বসবে না। শুধু এইটুকু বলবে জ্ঞান খুব ভালো। তারপরে নিজের ব্যবসা ইত্যাদিতে মন দেবে। বাইরে গেলেই মায়া বিস্মৃত করে দেয়, তালা লাগিয়ে দেয়, অনেক বাচ্চাদের এমন অবস্থা হয়। সম্পূর্ণ ধারণা হয় না। প্রথমে কেউ ভিতরে এলে বলো, এরা হল ব্রহ্মাকুমার কুমারী। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা বিষ্ণুপুরীর স্থাপনা করছেন। এখন হল কলিযুগের অন্ত পরে সত্যযুগ হবে। অতএব ব্রহ্মার সন্তানেরা সবাই ব্রহ্মাকুমার যারা পরে দেবতা হবে। এমন সার্ভিস সংবাদ বাবা যদি জানতে পারেন তবে তো বাবা পরামর্শ দেবেন। কিন্তু বাবাকে পুরোপুরি খবর দেয় না। অনেকের উপরে গ্রহের দশা লেগে থাকে। এখনই ফার্স্টক্লাস, কাল দেখবে থার্ডক্লাস হয়ে যায়। গ্রহের দশা না লেগে থাকলে আশ্চর্য হয়ে শুনে ভাগন্ত হয় কেন ? যে বাচ্চারা প্রদর্শনীতে গিয়ে সার্ভিস করে, তারা নিজের সময় সফল করে। বাপদাদাকে কখনও পরিত্যাগ করবে না। বাবা বাচ্চাদের কিছু বলে দেওয়ার পর পুনরায় ভালোও বাসবেন। বাবার হৃদয়ে বাচ্চাদের কোনো কথা থাকে না । তিনি শুধুমাত্র শিক্ষা দেওয়ার জন্য শেখান।
এখানে বাচ্চাদের টোলি অর্থাৎ মিষ্টি মুখ করানো হয় কারণ তিনি অসীম জগতের পিতা, তাইনা। লৌকিক পিতা বাজার থেকে ফিরে এলে অবশ্যই বাচ্চাদের কথা স্মরণে আসবে। কিছু মিষ্টি ইত্যাদি সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। বাইরে সেন্টারে টোলি পাওয়া যায় না। এখানে বাবা সম্মুখে বসে আছেন। বাবা সব কথা বাচ্চাদেরকেই বোঝান। এই দ্বাপর থেকে ঋষি-মুনি যারা সতো প্রধান ছিল, যাদের বুদ্ধিতে তালা ছিল না, তারাও বলতেন রচয়িতা এবং রচনাকে আমরা জানি না। আজ কলিযুগে সবার বুদ্ধিতে তালা লাগা আছে, তাহলে তারা জানবে কীভাবে। শাস্ত্র ইত্যাদি তো ঋষি-মুনিরাও পড়তেন। তোমরা অনেক পয়েন্ট পেয়ে যাও বোঝানোর জন্য। আচ্ছা!
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) ভগবান আমাদের পড়াশোনা করিয়ে ভগবান ভগবতী বানাচ্ছেন – এই খুশী বা নেশায় থাকতে হবে। রচয়িতা ও রচনার জ্ঞান বুদ্ধিতে রেখে অন্যদেরকে শোনাতে হবে।
২ ) যেমন বাবা কোনো সন্তানের কথা হৃদয়ে বা মনে রাখেন না, তেমনভাবে কোনো কথা হৃদয়ে বা মনে জমিয়ে রাখবে না।
বরদানঃ-
যে কোনো কর্মকে কর্মযোগীর স্টেজে পরিবর্তন করো, শুধুমাত্র কর্ম সম্পাদনকারী নয় বরং কর্মযোগী। কর্ম অর্থাৎ ব্যবহার এবং যোগ অর্থাৎ পরমার্থ, দুইয়ের যেন ব্যালান্স থাকে। শরীর নির্বাহের উদ্দেশ্যে আত্মার নির্বাহের বিষয়টি যেন বিস্মৃত না হয়। যে কর্মই করো না কেন সেই কর্ম যেন ঈশ্বরীয় সেবার অর্থে হয়। এর জন্য সেবায় ‘নিমিত্ত মাত্র’ – এই মন্ত্র বা করাবনহারের স্মৃতি যুক্ত সঙ্কল্প যেন সদা স্মরণে থাকে। করাবনহারকে ভুলবে না তাহলে সেবায় সদা নির্মাণ-ই নির্মাণ করতে থাকবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!