12 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

March 12, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - অসীম জগতের পিতার কাছে সদা সুখের অধিকার নিতে হলে যা কিছু দুর্বলতা আছে সেসব দূর করে দাও, ভালো ভাবে পড়াশোনা করো আর করাও”

প্রশ্নঃ --

বাবার সমান সার্ভিস করার নিমিত্ত হওয়ার জন্য কোন্ মুখ্য গুণ থাকা উচিত ?

উত্তরঃ -:-

সহ্য শক্তির গুণ। দেহের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি রাখবে না। যোগ বলের দ্বারা কাজ করতে হবে। যখন যোগ বলের দ্বারা সব অসুখ উপশম হবে তখন বাবার সমান সার্ভিস করার নিমিত্ত হতে পারবে।

প্রশ্নঃ --

কোন্ মহাপাপ হলে বুদ্ধির তালা বন্ধ হয়ে যায় ?

উত্তরঃ -:-

যদি বাবার আপন সন্তান হয়ে বাবার নিন্দে করো, আজ্ঞাকারী, বিশ্বস্ত হওয়ার পরিবর্তে কোনো ভূতের বশীভূত হয়ে ডিসসার্ভিস করো, কদর্য কাজকর্ম ত্যাগ না করো তবে এই মহাপাপের দ্বারা বুদ্ধিতে তালা লেগে যায়।

গান:-

কে এসেছে আমার মনের দুয়ারে…

ওম্ শান্তি । ভগবানুবাচ – বাচ্চারা জেনেছে যে নিরাকার যিনি পতিত-পাবন, জ্ঞানের সাগর তিনি বসে আত্মাদের পড়ান। শাস্ত্র ইত্যাদি পাঠ করা – এই সব হল ভক্তি মার্গ। সত্য যুগ ত্রেতায় কেউ পড়ে না। দ্বাপর থেকে মানুষ এই শাস্ত্র ইত্যাদি পাঠ করে। মানুষই শাস্ত্রের রচনা করেছে। ভগবান করেননি, না কোনো ব্যাস ভগবান। ব্যাসদেব তো ছিল মানুষ। নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মাকে সবাই স্মরণ করে। ভুল শুধু এইটুকুই করেছে যে, গীতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বলেছে। বাবা বোঝান আমি জ্ঞানের সাগর, শ্রীকৃষ্ণ নয়। এই অসীম জগতের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি আদিকাল থেকে অন্ত পর্যন্ত কেবল বাবা জানেন কীভাবে এই আত্মারা আসে। মূলবতন, সূক্ষ্মবতন এবং এই হল স্থূলবতন। এই চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়। এই নলেজ বাবা ব্যতীত আমি নিরাকার বীজ রূপ জ্ঞানের সাগর ব্যতীত অন্য কেউ শোনাতে পারে না। পরে যখন ভক্তি মার্গ শুরু হয় তখন ভক্তরা বসে এই শাস্ত্র ইত্যাদি রচনা করে। এই শাস্ত্র তো যদিও তৈরি হবেই। এমন নয় এই গুলি তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ভারতের প্রকৃত আদি সনাতন ধর্ম হল দেবী -দেবতা ধর্ম। সত্য যুগের আদিতে দেবী-দেবতাদের রাজত্ব ছিল। ভারতবাসী নিজের ধর্মকে ভুলে গেছে। যারা পবিত্র ছিল, এখন তারা পতিত হয়েছে, তাই ভগবান বলেন আমি এসে তোমাদেরকে পতিত মানুষ থেকে পবিত্র দেবতায় পরিণত করি। তোমরাও জানো দেবতা হওয়ার জন্য আমরা পড়ছি। বাবা ব্যতীত অন্য কেউ মানুষ থেকে দেবতা বানাতে পারে না কারণ এখানে তো সবাই হল পতিত ভ্রষ্টাচারী। তারা পবিত্র শ্রেষ্ঠাচারী কীভাবে বানাবে । এ হল পতিত আসুরিক দুনিয়া রাবণের রাজ্য। পবিত্র রাজত্ব তো নেই। গায়নও আছে রাম রাজ্য, রাবণ রাজ্য। ভগবান এসে রাম রাজ্যের স্থাপনা করেন । বলাও হয়, হে ভগবান, পুনরায় এসে গীতার জ্ঞান শোনাও। কৃষ্ণ তো শোনাবে না। এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো যে, কোনো মানুষ আমাদের পড়াচ্ছে না। মনুষ্য আত্মারাই সবাই পড়াশোনা করে। পড়াচ্ছেন নিরাকার ভগবান। তিনি কি বানান ? মানুষ থেকে দেবতা। এটাই হল মুখ্য উদ্দেশ্য। স্কুলে এইম অবজেক্ট না থাকলে কে কি পড়াশোনা করবে। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, আমরা পুনরায় মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হতে এসেছি। পড়াচ্ছেন যিনি, তাঁর পরিচয় সম্পূর্ণ ভাবে জানা উচিত। তাঁর নাম শিব। শারীরিক নাম তো নয়, অন্য যারা পড়াচ্ছে সবাই হল আত্মা, যারা নিজ শরীরের আধারে পড়াচ্ছে। প্রত্যেকের কাছে নিজস্ব শরীর আছে। এই একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মা বলেন যে আমার নিজস্ব শরীর নেই। আমি এনার (ব্রহ্মার দেহের) আধার নিয়ে থাকি, ব্রহ্মার আত্মাও পড়ে, যে প্রথম নম্বরের দেবতায় পরিণত হয়। যে নিউ ম্যান ছিল সে-ই পুরানো হয়েছে। কৃষ্ণ সর্ব প্রথম নিউ ম্যান, তারপরে ৮৪ জন্মের পরে এসে ব্রহ্মা হয়েছে। নিজ জন্মের কাহিনী জানে না তাই আমি বসে শোনাই। প্রথম জন্মে ছিল শ্রীকৃষ্ণ পরে পুনর্জন্ম নিয়ে পতিত হয়েছে। এখন আমি পুনরায় ব্রহ্মা রূপে পরিণত করে তাঁকেই শ্রীকৃষ্ণ বানাই। বৃক্ষের ছবিতে ক্লিয়ার লেখা আছে । ব্রাহ্মণ রূপে নীচে বসে আছেন তপস্যায়। উপরে সেই ব্রহ্মা পতিত দুনিয়ায় দাঁড়িয়ে আছেন এবং এখানে সঙ্গমে এখন তপস্যা করছেন তৎত্বম্, তোমরাও দেবতা ছিলে পরে পুনর্জন্ম নিয়ে পতিত শূদ্র হয়েছো। এখন পুনরায় তোমরা পবিত্র হচ্ছো। তোমরা জানো পতিত-পাবন পরম পিতা পরমাত্মার দ্বারা আমরা পবিত্র হচ্ছি। বাবা উপায় বলে দিচ্ছেন যে, আমাকে স্মরণ করো। আমাকে স্মরণ করলেই তোমরা পবিত্র হবে, আত্মা এবং শরীর দুই ই পবিত্র তো শুধু সত্যযুগেই হবে। এখানে সবাই পতিত শরীর প্রাপ্ত করে। সবচেয়ে খারাপ ভ্রষ্টাচার হল কাম বিকার। বিষের দ্বারা জন্ম গ্রহণকারীদের বলা হয় ভ্রষ্টাচারী। সত্য যুগে কেউ ভ্রষ্টাচারী হয় না, কারণ সেখানে বিষ নেই। কৃষ্ণকে সম্পূর্ণ নির্বিকারী বলা হয়, তারপরে নির্বিকারীই বিকারী রূপে পরিণত হয়। সত্যযুগ, ত্রেতায় বিকার থাকে না, তাই বাবা বলেন এই ৫ ভূতের উপরে জয় লাভ করতে হবে। একমাত্র বাবা বিকারী দুনিয়াকে নির্বিকারী বানিয়ে দেন। অনেকের জ্ঞানের ধারণা একেবারেই হয় না। ক্রোধের ভূত, লোভের ভূত, মোহের ভূত সম্পূর্ণ রূপে কালো করে দেয়। সবচেয়ে খারাপ হল কাম বিকার। তাও তখন আসে যখন দেহ-অভিমান আসে। বাবা বলেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। আত্মার মধ্যেই সংস্কার থাকে জ্ঞানের। এখন আত্মার জ্ঞানের সংস্কার একেবারে শেষ হয়ে গেছে।

বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো। মানুষ তো সাকারকেই স্মরণ করে। ভক্তির ভাবনায় জড়িত, গুরু গোঁসাই বা কোনো দেবতাকে স্মরণ করবে। বদ্রিনাথ, অমর নাথ ইত্যাদি তীর্থ স্থানে গিয়ে বসে পাথরের পূজা করবে। শিবের মন্দিরেও যায় কিন্তু এই কথা কেউ জানেনা যে উনি হলেন বাবা। একেই বলে অন্ধ শ্রদ্ধা। কেউ জানেই না বাবা কবে এলেন, কীভাবে এলেন ! এখন বাচ্চারা, তোমাদেরকে সব কিছু বোঝানো হয়। কিন্তু বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যেও এমন কমজনই আছে যারা খুব বুদ্ধিমান, বিশ্বস্ত, আজ্ঞাকারী, যাদের মধ্যে বিকার রূপী ভূতের প্রবেশ নেই। ভূতের প্রবেশ হলে তারা খুব বিরক্ত করে। অনেক ডিস সার্ভিস করে, তাই তাদের পদ মর্যাদা কম হয়ে যায়। পুণ্য আত্মা হওয়ার পরিবর্তে আরও পাপ আত্মায় পরিণত হয়। এক তো দেহ বোধের অহংকার আছে। দ্বিতীয় অন্য বিকার গুলিও এসে যায়। লোভের ভূত এসে পড়ে। তখন রাবড়ি, মালাই ইত্যাদি খাওয়ার ইচ্ছে হবে। এইরকম শুরু থেকে হয়ে এসেছে। এখন তো আত্মিক অবস্থা পরিপক্ব করতে হবে। লোভের ভূতও পদ ভ্রষ্ট করে দেয়। অর্ধেক কল্প এই ভূত গুলি খুব হয়রান করেছে। যারা বলে আমরা পুণ্য আত্মায় পরিণত হচ্ছি এবং অন্যদের পরিণত করছি, তারাই একদিন পাপ আত্মায় পরিণত হয়ে যায় এবং অন্যদেরও পরিণত করে। দুর্নাম ছড়ায়। যদি তোমাদের ভিতরে ক্রোধের ভূত থাকে, তাহলে তোমরা অন্যদের ভূত দূর করবে কীভাবে। দেহ বোধের অহংকারবশতঃ কোনো উল্টো আচরণ দেখলে রিপোর্ট করবে। ধর্মরাজের কাছে তো রেজিস্টার থাকে তখন সাজা ভোগ করার সময়ে সব সাক্ষাৎকার হবে যে তোমরা এই ভূতের বশে বশীভূত হয়ে অনেককে বিরক্ত করেছো। অনেক বাচ্চারা ক্রোধের অগ্নিতে পুড়ে মরে যায়। আত্মা সম্পূর্ণ ভাবে কালো হয়ে যায়। ডিস সার্ভিস করলে তো বাবা বুদ্ধির তালা বন্ধ করে দেন। তখন বুদ্ধির দ্বারা আর কোনো সার্ভিস হয় না। শেষ কালে বাবা সব সাক্ষাৎকার করাবেন তখন খুব অশান্তির অনুভূতি হবে। তাই বাবা বলেন বাচ্চারা এমন কোনো কাজ করা উচিত নয়। বাবা বলেন যদি কেউ উল্টো আচরণ করে তবে রিপোর্ট করো। বাবা বুঝতে পারেন – দেহ বোধের অভিমান বশতঃ এরা দাস দাসীর পদ প্রাপ্ত করবে। প্রজাতেও কম পদ পাবে। বাচ্চারা, বাবা তোমাদের জ্ঞানের দ্বারা শৃঙ্গার করেন, তবুও চলন বদলায় না। এই সময়েই পরমপিতা পরমাত্মা এসে জ্ঞানের শৃঙ্গার করিয়ে সত্যযুগের মহারাজা মহারানী বানান। এর জন্য সহনশীল হওয়ার গুণের অনেক প্রয়োজন রয়েছে । দেহের প্রতি অতিরিক্ত মোহ থাকা উচিত নয়। যোগবলের দ্বারা কাজ উদ্ধার করা উচিত। ব্রহ্মা বাবাও হলেন বৃদ্ধ, কিন্তু যোগের দ্বারা দাঁড়িয়ে আছেন। কাশি ইত্যাদি হয় তবুও সেবায় উপস্থিত থাকেন। বুদ্ধির দ্বারা সার্ভিসও অনেক করতে হয়। এত এত বাচ্চাদের রক্ষণাবেক্ষণ, অতিথিদের জন্য ব্যবস্থা করা – অনেক দায়িত্ব থাকে। চিন্তাও অনেক। যদি কোনো বাচ্চার আচরণ খারাপ হয় তবে দুর্নাম ছড়ায়। লোকে তখন বলবে ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা এমন ! তাহলে নাম ব্রহ্মারও নাম হল না ? তাই বলা হয় গুরুর নিন্দুক … সদগুরুর উদ্দেশ্যে। এই কলিযুগী গুরুরা নিজেদের জন্য বলেছে তাই মানুষ তাদেরকে ভয় পায় গুরু যেন কোনো অভিশাপ না দেয়। এ’খানে সেইরকম কোনো কথা নেই। নিজের আচরণের দ্বারা নিজেকে অভিশপ্ত করে। বাচ্চাদেরকে নিজের ভবিষ্যতের প্রতি সতর্ক থাকা উচিত, বর্তমানে পুরুষার্থ না করলে কল্প-কল্পান্তর এই অবস্থাই থাকবে। বাবা কত সহজ করে বোঝান, তা সত্ত্বেও অনেকে নিজের কালোকীর্তি ত্যাগ করে না, তারপরে ভেঙে পড়ে বা মরে জাহান্নামে যায়। পড়াশোনাও ছেড়ে দেয়। কোনো কোনো বাচ্চা ভালো ভাবে চলে। কেউ ঈশ্বরীয় জন্ম নিয়ে ৮-১০ বছর পরেও মারা যায় অর্থাৎ ত্যাগ করে চলে যায়। লৌকিক পিতাও সুপুত্রদের দেখে খুশী হয়। তবুও নম্বর অনুসারে তো হয় তাইনা ! কেউ আবার সেন্টারে গিয়ে বিরক্ত করে। বিশাল কাঁটায় পরিণত হয়। ঘরের সদস্য হয়েও নিন্দে করায় তখন মহান পাপ আত্মায় পরিণত হয়। তাই বাবা বোঝাতে থাকেন অতএব এখানে তোমরা এসেছো অসীম জগতের পিতার কাছে সুখের বর্সা প্রাপ্ত করতে, সুতরাং নিজের সব দুর্বলতা দূর করা উচিত। স্কুলে যে স্টুডেন্ট প্রতিজ্ঞা করে যে আমি ৮০% নিয়ে পাস করব, ৯০% নিয়ে পাস করব, তারপরে যখন পাস করে তখন খুশীতে একে অপরকে টেলিগ্রাম পাঠাতে থাকে । এ হল অসীম জগতের পঠনপাঠন। সূর্যবংশী হবে বা চন্দ্রবংশী, তাও জানতে পারা যায়। যখন চন্দ্রবংশী রাজা রানী থাকে তখন তাদের সম্মুখে সূর্যবংশী সেকেন্ড নম্বরে হয়ে যায়। রাম সীতার রাজত্ব যখন চলে তখন লক্ষ্মী-নারায়ণ জুনিয়র (ছোট) হয়ে যায়। সূর্যবংশী নামই শেষ হয়ে যায়। এই নলেজ হল খুবই মনোরম। ধারণ তাদেরই ভালো ভাবে হবে যারা শ্রীমৎ অনুসারে চলবে, তারাই উঁচু পদের অধিকারী প্রাপ্ত করবে। শিববাবার ভক্তি মার্গেও পার্ট রয়েছে এবং জ্ঞান মার্গেও। শঙ্করের কাজ হল কেবল বিনাশ করার, তার বর্ণনা কি করবো। শিববাবা এবং ব্রহ্মাবাবার অনেক বর্ণনা আছে। ৮৪-র চক্রে সবচেয়ে নম্বর ওয়ান পার্ট হল বাবার। তারা শিবশঙ্করকে এক করে দিয়েছে। শিববাবার পার্ট হল সবচেয়ে বিশাল, সব সন্তানদের সুখী করা, অনেক পরিশ্রমের কাজ। তারপরে বিশ্রাম করেন। এনার (ব্রহ্মার) তো ৮৪ জন্মের পার্ট আছে। ইসলাম, বৌদ্ধ ইত্যাদি তো পরে আসে। তারা কখনও অলরাউন্ড পার্ট প্লে করে না। অলরাউন্ড পার্টধারীদের অনেক সুখ প্রাপ্ত হয়! আমরাই স্বর্গের মালিক হই। স্বর্গ রূপে ভারতের পরিচিতি। কত খুশীর অনুভব হয় যে আমরা নিজেদের জন্য স্বর্গ রাজ্য স্থাপন করছি। অন্যদেরও বোঝাতে হবে যে, এসে নিজের জীবন গঠন করো। তোমরা এসেছো পরমপিতা পরমাত্মার কাছে স্বর্গের অধিকার নিতে। বুদ্ধিতে যদি মুখ্য উদ্দেশ্য না থাকে তবে এখানে বসে কি লাভ। ব্রাহ্মণ হল ব্রহ্মার মুখবংশাবলী । অসীম জগতের পিতা তিনি, অসীম জগতের সন্তানরা নিয়ে থাকে । অসংখ্য সন্তান আছে। ব্রহ্মার আপন না হলে শিববাবার কাছে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হবে না। ভারত শ্রেষ্ঠাচারী ছিল, সেখানে কোনো ভূত ছিল না। একটিও ভূত থাকলে ব্যভিচারী বলা হবে। সব ভূত অবশ্যই দূর করতে হবে। বাবাকে অনেকে লিখে পাঠায় – বাবা কাম বিকার রূপী ভূত এসেছিল, কিন্তু রক্ষা পেয়েছি। বাবা বলেন বাচ্চারা, ঝড় তো অনেক আসবে কিন্তু কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনো কর্ম করবে না, ভূত তাড়াতে হবে। নাহলে সূর্যবংশী চন্দ্রবংশী হতে পারবে না। ধ্যানে যাওয়াও ভালো নয় কারণ মায়ার অনেক প্রবেশ ঘটে। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনও বিকর্ম করবে না। এমন কোনো আচরণ করবে না যাতে অনেকের অভিশাপ লাগে। নিজের ভবিষ্যতের প্রতি সজাগ থেকে পুণ্য কর্ম করতে হবে।

২ ) অন্তরে যা কালিমা রয়েছে, দেহ-অভিমানের কারণে ভূতের প্রবেশ রয়েছে, সে’সব দূর করতে হবে। জ্ঞানের দ্বারা নিজের শৃঙ্গার করে সুপুত্র হতে হবে।

বরদানঃ-

ব্রাহ্মণ জন্ম হল সদা সেবার জন্য। সেবায় যত ব্যস্ত থাকবে ততই সহজ রূপে মায়াজিত হয়ে থাকবে। তাই একটুও যদি অবসর সময় পাও, বুদ্ধি ও যদি একটু অবকাশ পায় তবে সেবায় মন দাও। সেবা ব্যতীত সময় নষ্ট করবে না। যে সেবাই করো, সে সংকল্পের সেবাই করো বা বাণীর সেবা, কিম্বা কর্মের দ্বারা সেবা, নিজের সম্পর্ক এবং আচরণের দ্বারাও সেবা করতে পারো। সেবায় ব্যস্ত থাকাই হল সহজ পুরুষার্থ। ব্যস্ত থাকলে যুদ্ধ থেকে মুক্ত নিরন্তর যোগী নিরন্তর সেবাধারী হয়ে যাবে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top