12 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 11, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবার মতন নিরহংকারী এবং নিষ্কাম সেবাধারী কেউ নয়, সমগ্র বিশ্বের রাজত্ব বাচ্চাদের দিয়ে স্বয়ং বাণপ্রস্থে চলে যান"

প্রশ্নঃ --

বাবার কোন্ সমাচার তোমাদেরকে সমগ্র বিশ্বকে অবগত করাতে হবে ?

 

উত্তরঃ -:-

সকলকে বলো যে তোমরা দুঃখহরণকারী-সুখপ্রদানকারী বাবার সন্তান। তোমরা কখনও কাউকে দুঃখ দেবে না। তোমরা সুখপ্রদানকারী বাবাকে স্মরণ করো, তাঁকে অনুসরণ করো তবেই অর্ধেক কল্পের জন্য সুখধামে চলে যাবে। এই সমাচার সকলকে দিতে হবে। যে এই মেসেজ জীবনে ধারণ করবে সে ২১ জন্মের জন্য মায়ার অচৈতন্যভাব থেকে মুক্ত হয়ে যাবে।

গান:-

আমাদের তীর্থ সর্বকিছুর ঊর্ধ্বে (ন্যায়ারে)…

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি আত্মা-রূপী বাচ্চারা এই গানের অর্থ বুঝে গেছে। উনি হলেন আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের বাবা। আত্মাই হলো মুখ্য। বাচ্চারা, তোমরা এখন জেনেছো — আমাদের আত্মা পরমপিতা পরমাত্মার সম্মুখে বসে রয়েছে। তোমাদের সোল, সুপ্রীম সোলের সম্মুখে বসে রয়েছে। তোমাদের নিজস্ব শরীর রয়েছে, এঁনার রয়েছে ধার করা শরীর। গুরুরা মানুষকে তীর্থযাত্রায় নিয়ে যায়। ভক্তিমার্গে রয়েছে অসংখ্য গুরু। ভারতে তো স্ত্রীরাও তাদের স্বামীদের গুরু, ঈশ্বর মনে করে। বাবা বাচ্চাদের বোঝান — তোমরা তো বাচ্চা, তাই না! তোমরা জানো যে, আমরা অসীম জগতের পিতার সন্তান। অসীম জগতের উত্তরাধিকার পুনরায় প্রাপ্ত করতে এসেছি, এখন আমাদের সদ্গতি প্রাপ্ত করতে হবে। এই নিশ্চয় তো রয়েছে, তাই না! সমগ্র দুনিয়া দুর্গতিতে রয়েছে, পতিত হয়ে গেছে। পবিত্র হওয়ার জন্যই আহ্বান করে। তাহলে ভারতে কত অগণিত গুরু রয়েছে। কারোর ১০০ জন শিষ্য, কারোর ৫০০, কারোর ৫০ও রয়েছে। কারোর আবার লক্ষ-লক্ষ, কোটি-কোটিও হয়। যেমন ইসলামী গুরু আগা খান। ওনার কত ফলোয়ার্স, ওনাকে কত সম্মান করে। এটা কোনো ব্যাপার নয় যে সে কি করেছে কিন্তু ওনাকে কত সম্মান করে। ভক্তিমার্গে গুরু অনেক, তারাও আবার নম্বরের অনুক্রমে হয়ে থাকে। কারোর উপার্জন পদমগুণ হয়। আগা খানের উপার্জন প্রচুর। ওনার শিষ্যরা ওনার ওজনের সমতুল পরিমানের হীরে দান হিসেবে দিয়েছিল। একদিকে হীরে অপরদিকে তাদের গুরু। হীরে দান করে থাকে, কত হীরে হবে। আজকাল অনেককে সোনার সমতুল ওজনে পরিমাপ করে। দ্বিতীয় হলো প্ল্যাটিনাম, তা হলো সোনার থেকেও দামী। তাও ওজন করে দিয়েছিল। দেখো, গুরুর কতখানি মান-মর্যাদা…. এইরকম গুরু প্রচুর রয়েছে। এই সদ্গুরুকে এখন তোমরা কি দেবে ? ওঁনাকে কি ওজন করবে ? হীরে ওজন করে দেবে ? ওঁনার ওজন কি হতে পারে ? স্বয়ং ওঁনার তো কোনো ওজনই নেই। শিব তো হলেনই বিন্দু, ওঁনাকে তোমরা কিভাবে ওজন করবে! তোমাদের এই গুরু কত ওয়ান্ডারফুল, সবচেয়ে হাল্কা। একদম সূক্ষ্ম। তোমাদের গুরু একজনই। তোমরা জানো যে শিববাবা হলেন দাতা। ঈশ্বর কখনও কিছু গ্রহণ করেন না, তিনি দান করেন। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে সকলেই যে দান করে, মনে করে — পরজন্মে এর ফললাভ করবো। কামনা তো রাখেই। এখন ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা। এঁনার মতন নিষ্কাম সেবা আর কেউ করতে পারে না। নিষ্কাম সেবাও কেমন! বাচ্চাদের বিশ্বের, সুখধামের মালিক করে দেন। বাবা স্বয়ং কি বিশ্বের মালিক হন নাকি, না তা হন না। ওঁনাকে বলা হয় — সুখের সাগর, শান্তির সাগর, পবিত্রতার সাগর। বাচ্চাদের প্রত্যেকটি কথা ভালভাবে বোঝান হয়। অদ্বিতীয় পিতার থেকেই তোমরা জীবনমুক্তি পেয়ে যাও। বাবার থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার লাভ হয়। নিশ্চয় করো, ব্যস। বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে হবে। এঁনাকে বলা হয় — জ্ঞানের সাগর। সমগ্র সাগরকে কালি মনে করো, সমগ্র জঙ্গলকে কলম হিসেবে ধরে নাও…. তবুও শেষ করতে পারবে না। তোমরা শুরুর থেকে যদি লিখতে থাকো তবে অসংখ্য বই হয়ে যাবে। এই নলেজ তো অতি মূল্যবান যা ধারণ করতে হবে। তোমরা জানো যে, এ তো পরম্পরাগতভাবে চলে না। বাবা এসে বাচ্চাদের নিজের পরিচয় দেন, সে’টাই অনেক বেশী। বাবার পরিচয় দিলে, রচয়িতাকে জানলেই রচনার জ্ঞানও এসে যায়। বুদ্ধি বলে, যারা সত্যযুগে আসবে তাদের পুনর্জন্ম হবে অধিকবার। চক্রতে যে প্রথমে এসেছে, সে-ই আসবে। এই চক্রকেও ভালভাবে বুঝতে হবে। গানেও শুনেছো, আমাদের তীর্থ সম্পূর্ণ আলাদা (ন্যায়ারে)। ওরা তো জন্ম-জন্মান্তর ধরে তীর্থ যাত্রাদি করে এসেছে। এ হলো তোমাদের কেবল এক জন্মের যাত্রা। এই আধ্যাত্মিক যাত্রায় সামান্যতম কষ্টও নেই। জ্ঞান প্রদানকারী হলেন একমাত্র সদ্গুরু। সদ্গতি তো কারোরই হয় না। উনি হলেন সুপ্রীম জ্ঞানের সাগর, সকলের সদ্গতি হয়ে যায়। বাকি আর কি চাই! তত্বও সতোপ্রধান হয়ে যায়। এই স্থান হলো তমোপ্রধান, সেইজন্য বায়ু ইত্যাদিও তমোপ্রধান হয়ে যায়। কত ভূমিকম্পাদি হয়। সত্যযুগে কোনো দুঃখ দেওয়ার মতন বস্তু থাকবে না। বাবা হলেনই দুঃখহরণকারী-সুখপ্রদানকারী। তোমরা হলে ওঁনার সন্তান, কাউকে দুঃখ দিও না। সকলকে এই পথ বলে দিতে হবে — সুখের উত্তরাধিকার পাওয়ার। এখন বাবা বলেন — তোমাদের সুখই দিতে হবে। বাবা তোমাদের অর্ধেককল্পের জন্য এমন সুখ দেন যে ওখানে দুঃখের নামও থাকে না। তোমরা জানো — বাবার থেকে ২১ জন্মের উত্তরাধিকার পাওয়ার জন্য আমরা এখানে এসেছি। তোমরা হলে স্টুডেন্ট, তাই না! তোমাদের মনে(হৃদয়ে) রয়েছে যে আমরা শিববাবার থেকে স্বর্গের সুখ নিয়ে থাকি, তখন সকল দুঃখ দূর হয়ে যায়। বাবা আমাদের সঞ্জীবনী বুটি দেন — সচেতনায় ফিরে আসার জন্য। পুনরায় ২১ জন্ম কখনো মুর্ছিত হবে না। সেই সঞ্জীবনী বুটি হলো — মন্মনাভব। সকলের সদ্গতিদাতা হলেন একমাত্র বাবা-ই। ওঁনাকে নিরাকার, নিরহংকারী বলা হয়ে থাকে। যে শরীরে আসেন তিনিও সাধারণ। বাবা বলেন — ডিয়ার চিল্ড্রেন, আই এম ইয়োর ওবিডিয়েন্ট ফাদার(প্রিয় বাচ্চারা, আমি তোমাদের আজ্ঞাবহ বাবা)। বড়-বড় ব্যক্তিরা সর্বদা এভাবেই লেখে। আই এম ওবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট। নিজেদের উদ্দেশ্যে ‘শ্রী’-শব্দটি কখনও লিখবে না। আজকাল তো লেখে শ্রী-শ্রী অমুক। নিজেরাই নিজেদের শ্রী-শ্রী লিখে থাকে। সেই বাবা হলেন নিরাকারী,নিরহংকারী। এখন তোমরা ওঁনার সম্মুখে বসে রয়েছো। তোমরা জানো যে, উনি হলেন আমাদের বাবা, শিক্ষক, সদ্গুরু, বাকি ভক্তিমার্গে তো অনেক গুরু রয়েছে। গুরুদেরও গুরু রয়েছে। এঁনার কোনো গুরু নেই। ইনি হলেন সত্য-পিতা, সত্য-শিক্ষক, সদ্গুরু। তোমরা জানো যে আত্মাই সংস্কার ধারণ করছে। বাবাও তো আত্মা, তাই না! ওঁনার মধ্যেও গুণ রয়েছে। তোমাদের গুণ আলাদা-আলাদা হয়ে যায়। এইসময় তোমাদের যে গুণ আছে, বাবারও তাই-ই রয়েছে। পরে সত্যযুগে তোমাদের দৈবী-গুণ হয়ে যাবে। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, প্রেমের সাগর। কৃষ্ণের মহিমা আলাদা। শিববাবাকে ১৬ কলা-সম্পূর্ণ বলতে পারবে না। তিনি তো স্থিতিশীলই। বাবা বলেন — এই টাইটেল তোমরা আমাকে দিতে পারো না। আমি কি বিকারী হই নাকি, যে পুনরায় সর্বগুণসম্পন্ন হতে হবে। এনাদের মতন আমার মহিমা-কীর্তনও কি করবে নাকি! না তা করবে না। এই নলেজ যে কল্প-পূর্বে শুনেছে সে-ই আসবে, এসে বাবার থেকে শুনবে আর বাবাকে স্মরণ করবে। পরে হায়-হায় করে কান্নাকাটি করে তারপর জয়-জয়কার হয়। এখন তোমরা যাত্রার রহস্যও বুঝেছো। এই যাত্রার মাধ্যমে তোমরা পুনরায় কখনও মৃত্যুলোকে ফিরে আসোনা। ওই যাত্রায় তোমরা ঘরে ফিরে আসো। কত মানুষ স্নান করতে যায়। দেখো, ভক্তির বিস্তার কতখানি। যেমন বৃক্ষ কত অতিকায় বৃহৎ হয়, বীজ অতি ক্ষুদ্র। তেমনই ভক্তির বিস্তারও অনেক। জ্ঞানের এক ফোঁটাও সদ্গতিতে নিয়ে যায়। ভক্তিতে নামতে-নামতে অর্ধেককল্প লেগে যায়। এখানে সিড়ি চড়তে তোমাদের এক সেকেন্ড লাগে — লিফ্ট কত ভাল। নীচ থেকে একদম উপরে, নিজের ঘরে নিয়ে যায়। একেই বলা হয় — আরোহণ-কলায় সকলের ভাল হয়। সকলের সদ্গতিদাতা হলেন একমাত্র বাবা-ই। এখন জ্ঞান, ভক্তির পার্থক্য দেখেছো! এ হলো জ্ঞান, ভক্তি, বৈরাগ্য, তাই না! সন্ন্যাসীদের হলো সসীম জগতের বৈরাগ্য। বাবা বুঝিয়েছেন — বৈরাগী দুইপ্রকারের হয় — এক হলো সসীম জগতের বৈরাগ্য যার দ্বারা কোনো সদ্গতি হয় না। দ্বিতীয় হলো অসীম জগতের বৈরাগ্য — যার দ্বারা তোমাদের সদ্গতি হয়ে যায়। বাচ্চারা, সদ্গতির জন্য এখন তোমরা শ্রীমত পাও — শ্রেষ্ঠ থেকেও শ্রেষ্ঠ (সর্বশ্রেষ্ঠ) হওয়ার। এখন শ্রীমতানুসারে শ্রেষ্ঠ দুনিয়ার স্থাপনা হচ্ছে। এই ভ্রষ্ট দুনিয়া রাবণের মতানুসারে নির্মিত হয়েছে। আমরা শ্রেষ্ঠ হতে চলেছি — এ’কথা তোমরাই জানো। দুনিয়া তো একদমই জানে না। তোমাদের উদ্দেশ্যে বলা হয় যে এই ব্রহ্মাকুমারীরা বিনাশ ঘটাবে। বিনাশ তো সত্যি করে হতেই হবে। এতেই কল্যাণ হবে। কল্যাণকারী বাবা যখন আসেন তখন অতি ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়। ওরা বলবে যে, বলেছিলাম না যে ব্রহ্মাকুমারীরা বিনাশ ঘটাবে। বিনাশ তো অবশ্যই হবে, পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ হবেই। আমরা নতুন দুনিয়া স্থাপন করি। পুরোনো দুনিয়ার পর নতুন অবশ্যই আছে। প্রতি কল্পে বিনাশ হয় তবেই ভারতে স্বর্গের দ্বার উদ্ঘাটিত হয়। কিন্তু ওরা(অজ্ঞানী) বুঝবে কিভাবে ? ভবিষ্যতে অনেকেই বুঝবে। বাবা যখন আসেন তখন সমগ্র পুরোনো দুনিয়া স্বাহা হয়ে যায়। তোমাদের এই যজ্ঞ তো ওয়ান্ডারফুল, যেখানে আহুতি পড়ে। এও তোমরাই জানো আর কেউ জানে না। পান্ডবরাই তো বিজীত হবে আর সবকিছু সমাপ্ত হয়ে যাবে। বাকি তোমরা পান্ডবেরাই রয়ে যাবে পুনরায় নতুন দুনিয়ায় রাজ্য করবে‌। এই নলেজ অতি ওয়ান্ডারফুল। সকলের দুঃখহরণকারী, সুখপ্রদানকারী, সদ্গতিদাতা একমাত্র বাবা। কত মধুর, কত প্রিয় বাবা। তোমরা বলে এসেছো — মিষ্টি বাবা, তুমি যখন আসবে তখন আমরা তোমার কাছে সমর্পিত হয়ে যাব। আমার তো কেবল তুমিই আছো অন্য কেউ নেই। এর অর্থ এই নয় যে ঘর-পরিবার ত্যাগ করে এখানে এসে বসবে। না, গৃহস্থী জীবনে অবশ্যই থাকো। ৭ দিনের কোর্স করে পুনরায় যেখানেই যাও — মন্মনাভব। বাবাকে স্মরণ করতে হবে এবং উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। ব্যস, স্মরণের যাত্রায় থাকতে হবে, এতেই বেড়া পার হয়ে যাবে। এও তোমরা জানো — পবিত্র থাকতে হবে। অপবিত্র ভোজনাদি করা উচিত নয়। মুরলী তো পেয়েই যাও। কোনোসময় মুরলী নাও পাওয়া যেতে পারে, বিপদ আসবে, গোলমালাদি হয়ে যাবে তখন মুরলী সংগ্রহ করতে পারবে না। এই নয়ন দ্বারা তোমরা যাকিছু দেখছো তার কিছুই থাকবে না, সব ভস্মীভূত হয়ে যাবে। প্রলয় তো হয় না। জগৎ তো একই রয়েছে, নতুনই পুরোনো হয়। নিউ ওয়ার্ল্ড, ওল্ড ওয়ার্ল্ড বলা হয়। এখন বলবে, এ হলো ওল্ড ওয়ার্ল্ড, যার অল্প সময় বাকি রয়েছে। ওরা বলে — কল্পের আয়ু লক্ষ-লক্ষ বছর। কলিযুগের উদ্দেশ্যে বলা হয় এখনও ৪০ হাজার বছর বাকি রয়েছে। বাস্তবে চক্র তো ৫ হাজার বছরের। তোমাদের বুদ্ধিতে সমগ্র নলেজ রয়েছে। মানুষ তো সম্পূর্ণ প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে গেছে। অ্যাক্টর্স হয়ে যদি ড্রামার ক্রিয়েটার, ডায়রেক্টরকে না জানে তাহলে তাদের কি বলা হবে! ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী কিভাবে পুনরাবৃত হয় তা তো জানা উচিত, তাই না! যারা ভালভাবে জানে, বুদ্ধিতে ধারণ করে অন্যদেরও ধারণ করায়, তারা উচ্চপদ লাভ করে। বাবা বলেন — যে নলেজ আমার কাছে রয়েছে তা আমি তোমাদের দিচ্ছি। ড্রামা প্ল্যানানুসারে আমি রিপীট করে থাকি। আমারও ড্রামায় ভূমিকা(পার্ট) রয়েছে। ভক্তিমার্গেও ভূমিকা পালন করেছি, এখন এসে তোমাদের নিজের এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তের পরিচয় দিয়ে থাকি। আমিও ড্রামার বন্ধনে আবদ্ধ। আমি আসিই একবার। নিজের পরিচয় দিতে এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান শোনাতে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার মতন ওবিডিয়েন্ট হতে হবে। কখনও কোনো বিষয়ে নিজের অহংকার প্রকাশ করা উচিত নয়। নিরাকারী এবং নিরহংকারী হয়ে থাকতে হবে।

২ ) বাবা, টিচার এবং সদ্গুরুর কন্ট্রাস্টকে বুঝে নিশ্চয়বুদ্ধি হয়ে শ্রীমতানুসারে চলতে হবে। আধ্যাত্মিক যাত্রায় থাকতে হবে।

বরদানঃ-

যেমন চতুর্দিকে এই আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে যে, এই শ্বেত-বসনধারীরা কারা এবং কোথা থেকে এসেছে ? এখন চতুর্দিকে এইরকম ফরিস্তা-স্বরূপের সাক্ষাৎকার করাও — একেই বলা হয় দ্বৈতসেবার স্বরূপ। যেমন মেঘ চতুর্দিকে ছেয়ে যায়, তেমনই ফরিস্তা রূপে চতুর্দিকে প্রকট হও, যেখানেই দেখে ফরিস্তাই যেন নজরে আসে। কিন্তু তা তখনই হবে যখন শরীর থেকে পৃথক হয়ে অন্তঃবাহক(সূক্ষ্ম) শরীরের দ্বারা পরিক্রমা করায় অভ্যস্ত হবে। মন(সঙ্কল্প) শক্তিশালী হবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top