12 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 11, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - সুখ প্রদানকারী বাবাকে খুব ভালোবেসে স্মরণ করো, স্মরণ ব্যতীত ভালোবাসা হতে পারবে না”

প্রশ্নঃ --

বাবা বাচ্চাদেরকে রোজ স্মরণের প্র্যাক্টিস করার জন্য ইশারা করেন কেন ?

উত্তরঃ -:-

কারণ স্মরণের দ্বারাই আত্মা পবিত্র হবে। স্মরণের দ্বারা সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। আত্মার সব বন্ধন নষ্ট হয়ে যাবে। বিকর্ম গুলি থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। শাস্তি ভোগ করার থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। যত স্মরণে থাকবে ততই খুশীতে থাকবে। লক্ষ্য নিকটে অনুভব হবে। কখনও ক্লান্ত অনুভব করবে না। অসীমের সুখ প্রাপ্ত হবে তাই স্মরণের প্র্যাক্টিস অবশ্যই করতে হবে।

গান:-

শৈশবের দিন গুলি ভুলে যেও না….

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চারা গীতের লাইন শুনে অর্থ বুঝেছে। এখন তোমরা জীবিত থেকে বাবার আপন হয়েছো। সম্পূর্ণ কল্প তো দেহের পিতার আপন হয়ে ছিলে। সত্য যুগেও দেহের পিতার আপন হয়ে থাকো। এখন শুধু তোমরা ব্রাহ্মণ বাচ্চারা অসীম জগতের পিতার আপন হও। তোমরা জানো অসীম জগতের পিতার কাছে আমরা অসীমের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। যদি বাবাকে পরিত্যাগ করো তাহলে অসীমের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে না। তোমরা যতই বোঝাও কিন্তু কেউ একটুতে রাজি হবে না। মানুষের তো অনেক ধন চাই। ধন ব্যতীত সুখ অনুভব হয় না। ধনও চাই, শান্তিও চাই, সুস্থ শরীরও চাই। তোমরা বাচ্চারাই জানো দুনিয়ায় আজ কি আছে, কাল কি হবে। বিনাশ তো সামনে দাঁড়িয়ে আছে, কারো বুদ্ধিতে এই সব কথা নেই। যদিও বুঝেও যায় যে, বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে তবুও কি করনীয়, তা জানেনা। তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো, এমন সম্ভাবনা আছে – যে কোনও সময়ে যুদ্ধ লেগে যাবে, একটু আগুন লাগলেই অরাজকতা সৃষ্টি হবে। বেশি সময় লাগবে না। পূর্বেও কত ছোট কথা নিয়ে বড় বড় লড়াই লেগেছে। বাচ্চারা জানে যে পুরানো দুনিয়া শেষ হল বলে, তাই শীঘ্রাতিশীঘ্র বাবার কাছে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করে নিতে হবে। বাবাকে সর্বদা স্মরণ করতে থাকবে তো খুশীতে থাকবে। দেহভানের বোধ এলেই সেই খুশীর অনুভব লুপ্ত হয়ে যায়। দেহী-অভিমানী হলেই বাবাকে স্মরণ কর। দেহ-অভিমানে এসে বাবাকে ভুলে দুঃখ ভোগ কর। বাবাকে যত স্মরণ করবে, ততই অসীম জগতের বাবার কাছে সুখ প্রাপ্ত করবে। এখানে তোমরা এসেছো এমন লক্ষ্মী-নারায়ণ হতে। রাজা-রানী ও প্রজার দাস দাসী, তফাৎ তো আছে তাই না। বর্তমানের পুরুষার্থ কল্প-কল্পান্তরের জন্য সঞ্চিত হয়ে যায়। শেষ সময়ে সবার সাক্ষাৎকার হবে – আমরা এতখানি পুরুষার্থ করেছি। এখনও বাবা বলেন নিজের স্থিতি বা অবস্থা দেখতে থাকো। অতি মিষ্টি বাবা, যাঁর কাছে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হয়, তাঁকে আমরা কতখানি স্মরণ করি। তোমাদের সবকিছু নির্ভর করছে স্মরণের উপরে। যত স্মরণ করবে ততই খুশী থাকবে। তোমরা বুঝতে পারবে এবারে খুব কাছে এসে পৌঁছেছি। কেউ ক্লান্ত হয়ে পড়ে, লক্ষ্য কত দূরে, পৌঁছাতে পারলে পরিশ্রম সফল হয়ে যাবে। দুনিয়া তো জানে না যে ভগবান কাকে বলা হয়। বলেও থাকে হে ভগবান তারপরে বলে পাথর নুড়ি তে ভগবান আছে। এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো আমরা বাবার আপন হয়েছি। এখন বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলবো। যদি বিদেশে থাকো তবুও শুধু বাবাকে স্মরণ করতে হবে। তোমরা শ্রীমৎ তো পেয়েছো। আত্মা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান এক বাবার স্মরণ ব্যতীত হতে পারে না। তোমরা বলো – বাবা আমরা তোমার কাছে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবো। যেমন আমাদের বাবা স্বর্গের অধিকার দেন, আমরাও পুরুষার্থ করে তাঁর সিংহাসনে অবশ্যই বসবো। মাম্মা-বাবা রাজ-রাজেশ্বর, রাজ-রাজেশ্বরী হয়, তাই আমরাও হবো। পরীক্ষা তো সবার জন্য একটাই। তোমাদেরকে অতি অল্প কাজের জন্যই বোঝানো হয় যে, শুধু বাবাকে স্মরণ করো। একেই বলা হয় সহজ রাজযোগ-বল। তোমরা বুঝেছো যোগের দ্বারা অনেক বল প্রাপ্ত হয়। আমরা কোনো রকম বিকর্ম করলে তো সাজা ভোগ করতে হবে, পদ ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। স্মরণে ই মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করে।

তোমরা জানো আমরা পবিত্র দুনিয়ায় যাচ্ছি। যারা ব্রাহ্মণ হবে তারাই নিমিত্ত হবে। ব্রহ্মা মুখ বংশী ব্রাহ্মণ না হলে তোমরা শিববাবার কাছে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করতে পারবে না। বাবা বাচ্চাদের রচনা করেন উত্তরাধিকার প্রদান করার জন্য। আমরা তো শিববাবার আপন হয়েছি। তিনি নতুন সৃষ্টি রচনা করেন বাচ্চাদের স্বর্গের অধিকার দেওয়ার জন্য। শরীরধারীদের ই উত্তরাধিকার প্রদান করবেন। আত্মারা তো উপরে থাকে। সেখানে তো উত্তরাধিকার বা প্রালব্ধের কোনো কথা নেই। তোমরা এখন পুরুষার্থ করে প্রালব্ধ প্রাপ্ত করছো, যে কথা দুনিয়া জানেনা। এখন সময় কাছে আসছে। খবর প্রকাশিত হয় অমুকে এমন করলে আমরা তাকে একদম উড়িয়ে দেব। উড়িয়ে দেওয়ার (ধ্বংস করার) প্রস্তুতি চলছে। বোমা ইত্যাদি সংরক্ষন করে রাখার বস্তু নয়। যুদ্ধের প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। ব্রিটিশ গভর্মেন্টের সময় পাকিস্তান, হিন্দুস্তান কি ছিল ? লেখা আছে যাদবদের লড়াই। পাণ্ডব ও কৌরবদের লড়াই নেই। যাদবরা তো লড়াই করছে। বোমা ইত্যাদি তৈরি হয়ে আছে। এখন বাবা আমাদের আদেশ দিচ্ছেন আমাকে স্মরণ করো, না হলে শেষ সময় অনেক কাঁদবে। পরীক্ষায় ফেল করে রাগ করে জলে ডুবে মরে । এখানে রাগের কথা নেই। শেষ সময়ও তোমাদের অনেক সাক্ষাৎকার হবে। আমরা কি হবো – সে কথা জানবে। বাবার কাজ পুরুষার্থ করানো। বাবা বলেন বাচ্চারা কর্ম করাকালীন স্মরণে থাকতে ভুলে যাও বা অবসর পাও না তো বসো। স্মরণে বসে বাবাকে স্মরণ করো। যখন নিজেরা একত্রিত হও তখন চেষ্টা করো যাতে সবাই একত্রে বাবাকে স্মরণ করো। একত্রে বসে তোমরা ভালোভাবে স্মরণ করবে, সাহায্য প্রাপ্ত হবে। মুখ্য কথা হল বাবাকে স্মরণ করা। এখানে আসো বা না আসো। কেউ বিদেশে গেলে তো আর ফিরে আসতে পারে না। সেখানেও শুধু একটি কথা স্মরণে রাখো। বাবার স্মরণ দ্বারা ই তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হবে। বাবা বলেন শুধু একটি কথা স্মরণে রাখো – বাবাকে স্মরণ করো। বাবা বলেন – মন্মনাভব। আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিশ্বের মালিক হবে। মুখ্য কথা হল স্মরণের। কোথাও যাওয়ার ইত্যাদি কোনো কথা নেই। ঘরে থেকে শুধুমাত্র বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। পবিত্র না হলে স্মরণ করতে পারবে না। এমন নয় যে সবাই এসে ক্লাসে বসে পড়বে। মন্ত্র নিয়ে যেথা ইচ্ছা চলে যাও। সতোপ্রধান হওয়ার রাস্তা বাবা বলে দিয়েছেন। যদিও সেন্টারে এলে নতুন নতুন পয়েন্ট শুনতে থাকবে। যদি কোনো কারণে না আসতে পারে, বৃষ্টির জন্য বা কারফিউ লাগার জন্য, কেউ বেরোতে না পারলে কি করবে। বাবা বলেন কোনও অসুবিধা নেই। যেখানেই থাকো তোমরা স্মরণে থাকো। চলতে- ফিরতে স্মরণ করো। অন্যদেরও এই কথা বলো যে, বাবাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে এবং দেবতায় পরিণত হবে। শব্দ কেবল দুটিই আছে।

বাবা বলেন – এই শৈশবের দিন গুলি ভুলে যাবে না। আজ হাসি কাল কান্না আসবে – যদি বাবাকে ভুলে যাও তবে। বাবার কাছে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নেওয়া উচিত। এমনও অনেকে আছে যারা বলে স্বর্গে তো আসবোই তারপরে যা ভাগ্যে আছে হবে। একে পুরুষার্থ করা বলে না। মানুষ পুরুষার্থ করে উঁচু পদ প্রাপ্তির জন্য। এখন যখন বাবার কাছে উঁচু পদ প্রাপ্ত হচ্ছে তখন গাফিলতি কেন করবে। স্কুলে যারা পড়ে না তারা শিক্ষিতদের সামনে মাথা নত করে। বাবাকে সম্পূর্ণ স্মরণ না করলে সেখানে গিয়ে প্রজাদের দাস দাসী হবে। এতে খুশী হওয়া উচিত নয়। তাই বাবা বোঝাচ্ছেন – মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা সম্মুখে এসে রিফ্রেশ হয়ে যাও। অনেক বাঁধেলি (বন্ধন যুক্ত মাতা’রা) আছে, অসুবিধে নেই, ঘরে বসে বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। তোমাদেরকে কতখানি সহজ করে বোঝান, মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে, হঠাৎ যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে যাবে। একে অপরকে বলে, এতকটুও ভুলত্রুটি হলে আমরা আরম্ভ করে দেব। আগেই হুঁশিয়ারি দিতে থাকে । বোমা ইত্যাদি সঞ্চিত রাখার অহংকার থাকে। বাবা বলেন – বাচ্চারা এখনও যোগবলে পাকা হয়নি, এমন না হয় যে যুদ্ধ লেগে গেল। কিন্তু ড্রামা অনুসারে এমন হবে না। বাচ্চারা সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নেয়নি তাই দৃঢ় নিশ্চয় আছে, যদি যুদ্ধ লেগেও যায়, তবু বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ এখনও রাজধানী স্থাপন হয়নি। সময় চাই। পুরুষার্থ করাতে থাকেন, যে কোনো সময়ে যা কিছু হতে পারে। বাস পড়ে যায়, বিমান, ট্রেন পড়ে যায়, মৃত্যু যেন কতো সহজ হয়ে গেছে । ভূমিও কম্পিত হয়। সবচেয়ে বেশি কাজ ভূমিকম্প করবে। কিন্তু বিনাশের পূর্বে বাবার কাছে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে তাই খুব ভালোবেসে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবা তোমাকে ছাড়া আমার কেউ নেই। শুধু বাবাকেই স্মরণ করতে থাকো। খুব সহজ করে ছোট বাচ্চাদের বোঝানো হয় কোনো কষ্ট দেওয়া হয় না, শুধু স্মরণ করো। কাম চিতায় বসে যে তোমরা জ্বলে পুড়ে মরেছ, তাই এখন জ্ঞান চিতায় বসে পবিত্র হও। তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করে তোমাদের উদ্দেশ্য কি ? বলো, যিনি সকলের পিতা তিনি বলেন মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে এবং তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। সর্বের সদগতি দাতা হলেন একমাত্র বাবা। এখন বাবা বলেন – শুধু আমাকে স্মরণ করো তাহলে মরচে দূর হবে। এইটুকু সংবাদ তো দিতে পারো তাইনা। নিজে স্মরণ করলে তবে তো অন্যদের স্মরণ করাতে পারবে। অন্যদের সত্য হৃদয় দিয়ে বোঝাবে। তা নাহলে অন্তর থেকে আসবে না। বাবা বলেন – যেখানেই থাকো যতখানি পারো স্মরণ করো। খাওয়া দাওয়াতে একটু কষ্ট ইত্যাদি হয়। থাকতে তো হবে ঘরেই তাইনা। ঘরে থেকে বাবাকে স্মরণ করো, যে সম্মুখে আসবে তাকে এই শিক্ষা প্রদান করো – মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে আছে ।

বাবা বলেন – তোমরা সবাই তমোপ্রধান পতিত হয়েছো, এখন আমাকে স্মরণ করো এবং পবিত্র হও। আত্মা ই পতিত হয়েছে, সত্যযুগে আত্মা পবিত্র থাকে। বাবার স্মরণ দ্বারাই আত্মা পবিত্র হবে আর কোনো উপায় নেই। এই সংবাদ সবাইকে প্রদান করো তাহলেও অনেকের কল্যাণ করবে এবং আর কোনো কষ্ট দেন না। পুরুষোত্তম মাসেও গিয়ে বোঝাও যে সবচেয়ে পুরুষোত্তম কে ? সত্যযুগ আদি তে এই লক্ষ্মী-নারায়ণ পুরুষোত্তম ছিলেন। তাদেরকে এমন পুরুষোত্তম যিনি বানান অর্থাৎ স্বর্গের স্থাপনা করেন একমাত্র বাবা।সব আত্মাদের পবিত্র করেন একমাত্র পতিত-পাবন বাবা। সবচেয়ে উত্তম থেকে উত্তম পুরুষ বানান একমাত্র বাবা। যারা পূজ্য ছিল তারা ই পূজারী হয়েছে। রাবণের রাজ্যে আমরা পূজারী হই, রামরাজ্যে পূজ্য ছিলাম। এখন রাবণ রাজ্যের অন্তিম সময়। আমরা পূজারী থেকে পুনরায় পূজ্য হচ্ছি। বাবাকে স্মরণ করে অন্যদেরও পথ বলে দিতে হবে। বৃদ্ধাদেরও এই সার্ভিস করা উচিত। মিত্র আত্মীয় স্বজনদেরও বাবার পরিচয় দাও। বলো, শিববাবা বলেন মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে তোমরা স্বর্গের মালিক হবে। নিরাকার শিববাবা হলেন সর্বের সদগতি দাতা বাবা, সব আত্মাদের বলেন আমাকে স্মরণ করো তাহলে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। এই কথা তো বোঝানো সহজ তাইনা। বৃদ্ধা মাতারাও এই সার্ভিস করতে পারে। মুখ্য কথা হল এটাই । বিবাহ ইত্যাদি যে অনুষ্ঠানেই যাও, সবাইকে এই কথা শোনাও। গীতার ভগবান বলেন আমাকে স্মরণ করো, এই কথা সবাই পছন্দ করবে। বেশি কিছু বলার দরকার নেই। শুধু বাবার এই সংবাদ দিতে হবে যে, বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো।

আচ্ছা – এমন মনে করো যে, ভগবান প্রেরণা দিচ্ছেন । স্বপ্নে সাক্ষাৎকার হয়, আওয়াজ ভেসে আসে – বাবা বলছেন আমাকে স্মরণ করো তাহলে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। তোমরা নিজেরাও শুধু এই চিন্তন করতে থাকো তাহলেও ভবসাগর পার হয়ে যাবে। আমরা প্রাক্টিক্যালে বাবার আপন হয়েছি এবং বাবার কাছে ২১ জন্মের উত্তরাধিকার নিচ্ছি, তাই খুশী তো থাকাই উচিত তাইনা। বাবাকে ভুলে গেলেই কষ্ট অনুভব হয়। বাবা কতখানি সহজ করে বলে দেন – আমাকে স্মরণ করো তাহলে সবাই বুঝবে এরা সঠিক পথ পেয়েছে। এই পথ অন্য কেউ কখনও বলে দিতে পারেনা। সময় এমন আসবে যখন তোমরা ঘর থেকে বাইরে বেরোতে পারবে না। বাবাকে স্মরণ করতে করতে শরীর ত্যাগ করবে। অন্তিম সময়ে যে শিববাবাকে স্মরণ করে…. পরে নারায়ণের স্বরূপে বার বার জন্ম নেয়। লক্ষ্মী-নারায়ণের কুলে জন্ম নেবে। বারে বারে রাজার পদ প্রাপ্ত হবে। শুধুমাত্র এক বাবাকে স্মরণ করো ভালবেসে। স্মরণ ব্যতীত ভালোবাসবে কীভাবে। সুখ প্রাপ্ত হলে স্মরণ করা হয়। দুঃখদায়ীকে কেউ ভালোবাসে না। বাবা বলেন – আমি তোমাদেরকে স্বর্গের মালিক বানাই তাই তোমরা আমাকে ভালোবাসো। বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলা উচিত তাইনা। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) পড়াশোনায় অমনোযোগী হবে না, যুদ্ধের পূর্বে বাবার কাছে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে।

২ ) শ্রীমৎ অনুসরণ করে বাবাকে খুব ভালোবেসে স্মরণ করতে হবে।

বরদানঃ-

সঙ্গম যুগে প্রত্যেক বাচ্চার নলেজের আধারে কোনো একটি বিশেষ গুণ অবশ্যই প্রাপ্ত হয়েছে, তাই হোলি হংস হয়ে প্রত্যেকের বিশেষত্বকে দেখো আর বর্ণনা করো। যে সময় কারো দুর্বলতা দেখো বা শোনো তখন বোঝা উচিত যে এই দুর্বলতা তার নয়, আমার, কারণ আমরা সবাই এক পিতার সন্তান, এক পরিবারের সদস্য, একটি মালার মুক্তো। যেমন নিজের দুর্বলতাকে বিখ্যাত করতে চাও না তেমনই অন্যের দুর্বলতাও বর্ণনা করবে না। হোলি হংস অর্থাৎ বিশেষত্বকে গ্রহণ করা এবং দুর্বলতা গুলিকে দূর করা।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top