12 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

April 11, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা হলে দুঃখহর্তা, সুখকর্তা বাবার সন্তান, তোমরা মন - বাণী এবং কর্মে কাউকেও দুঃখ দিও না, সবাইকে সুখ দান করো"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা, তোমরা মনুষ্য থেকে দেবতা হও, তাই তোমাদের মুখ্য ধারণা কি হওয়া উচিত ?

উত্তরঃ -:-

তোমাদের মুখ দিয়ে যে বাণীই নির্গত হোক, সেই এক একটি বাণী যেন মানুষকে হীরের মতো বানিয়ে দেয় । তোমাদের খুবই মিষ্টি হতে হবে, সবাইকে সুখ দান করতে হবে । কাউকেই দুঃখ দেওয়ার খেয়াল যেন না আসে । তোমরা এখন এমন সত্যযুগী স্বর্গের দুনিয়াতে যাও, যেখানে সদা সুখই সুখ । দুঃখের চিহ্নমাত্র নেই । তোমরা তাই বাবার শ্রীমৎ পাচ্ছো যে – বাচ্চারা, বাবার সমান দুঃখ হর্তা, সুখ কর্তা হও । তোমাদের কাজই হলো সকলের দুঃখ দূর করে সুখ দান করা ।

গান:-

এই পাপের দুনিয়া থেকে দূরে নিয়ে চলো..

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা এই গান শুনেছে । বাচ্চারা জানে যে, আমরা পুরুষার্থ করি এমন দুনিয়াতে যাওয়ার জন্য, যেখানে এক তো মায়া থাকে না, আর কেউই মন – বাণী এবং কর্মে কাউকেই দুঃখ দেয় না, তাই তার নামই হলো স্বর্গ, প্যারাডাইস, বৈকুণ্ঠ, আর বরাবর ওখানকার মালিক লক্ষ্মী – নারায়ণের চিত্রও দেখানো হয় । প্রজার চিত্র তো আর দেখাবে না । লক্ষ্মী – নারায়ণের চিত্র আছে, যাতে সিদ্ধ হয় যে, তাঁদের রাজধানীতে অবশ্যই এমন মানুষই থাকবে । এঁরা ভারতেই স্বর্গের মালিক ছিলেন, যেখানে দুঃখের চিহ্নমাত্র থাকে না । মন – বাণী এবং কর্মে কেউই কাউকে দুঃখ দেয় না । বাবাও কখনো কাউকেই দুঃখ দেন না । তাঁর নাম অতি উজ্জ্বল — দুঃখহর্তা – সুখকর্তা । বাচ্চারা, তিনি বসে তোমাদের পড়ান । এই দুনিয়াতে সবাই মন – বাণী এবং কর্মে একে অপরকে দুঃখ দেবে । ওখানে মন – বাণী এবং কর্মে সবাই সবাইকে সুখ দান করবে । পরমপিতা পরমাত্মা ব্যতীত কেউই স্বর্গের মালিক বানাতে পারেন না । ভারতে বরাবর স্বর্গ ছিলো । এখানে দেখো, সায়েন্স কি কি বানাতে থাকে । এরোপ্লেন, মোটর, মহল ইত্যাদি কিভাবে তৈরী হয় । ওখানেও সমস্ত কাজে এই সায়েন্স আসে । এমন নয় যে, মাটি থেকে কোনো বৈকুণ্ঠ বেরিয়ে আসবে । যেমন দেখানো হয় যে, দ্বারকা সমুদ্রের নীচে চলে গিয়েছিলো । যা সমুদ্রের নীচে যাবে তা তো গলে শেষ হয়ে যাবে । সবকিছুই নতুনভাবে তৈরী হবে, তাই আমরা যখন বাবার থেকে বাদশাহী প্রাপ্ত করছি, তখন মন – বাণী এবং কর্মে, আমাদের বুদ্ধিতে যেন কাউকেই দুঃখ দেওয়ার খেয়াল আসা উচিত নয় । যদিও এ হলো মায়ার রাজ্য । মনের তুফান তো এখানে আসবেই । বাকি, মনে কাউকেই দুঃখ দেওয়ার খেয়াল আসা উচিত নয় । এই সময় সবাই একে অপরকে দুঃখই দেয় । মনে করে সুখ, কিন্তু সেও দুঃখ । বাবার থেকে সকলের মুখ ঘুরিয়ে দেয় । এই ভক্তি মার্গও ড্রামাতেই আছে । এই ড্রামাকে কেউই জানে না । ওরা মনে করে, আমরা যে শাস্ত্রাদি শোনাচ্ছি, এও জ্ঞান দান করছি । জপ – তপ ইত্যাদি করলে মানুষ মুক্তি আর জীবনমুক্তি পেয়ে যাবে । তারা অনেক প্রকারের পথ বলে দেয় । বলবে, অনেক সময় ধরে ভক্তি করে এসেছে, তাই তো ভগবান প্রত্যক্ষ হয়েছেন । আমরাও বলি, ভক্তির যখন অন্ত হয়, তখনই ভগবানকে আসতে হয়, তিনি এসে ভক্তির ফল প্রদান করেন । তাই ওরা সব ভক্তির লাইনে চলে যায় । একে জ্ঞান বলা হবে না । শাস্ত্রের জ্ঞানে কখনো সদগতি হয় না । সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান তো ওদের নেই-ই । একথা তোমরাই জানো যে, প্রাচীন জ্ঞান এবং যোগের দ্বারাই ভারতে স্বর্গ তৈরী হয়েছিলো, তা অবশ্যই ভগবানই শিখিয়েছিলেন । মানুষ তো আর রাজযোগ শেখাতে পারে না । ভগবান যে সহজ রাজযোগ শিখিয়েছেন, তা পরে শাস্ত্র রূপে তৈরি হয়েছে । এখানে তো ভগবান নিজে বসে জ্ঞান বুঝিয়ে বলেন । গীতাতে কেবল একটি ভুল করে দেওয়া হয়েছে যে, সেখানে নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে, আর সময়ও অন্য লিখে দেওয়া হয়েছে ।

তোমরা এখন জানো যে, ভগবান আমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন । এই সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান অন্য কোনো শাস্ত্রেই নেই । কল্পের আয়ুও কতো লম্বা – চওড়া করে দেওয়া হয়েছে । মানুষ তো ওইসব শাস্ত্রই পাঠ করে । বাবা বুঝিয়েছেন যে – এ হলো সৃষ্টি রূপী বৃক্ষের ঝাড় । বৃক্ষের ঝাড়ে প্রথমে অল্প পাতা থাকে, তারপর তা বৃদ্ধি পেতে থাকে । ভিন্ন – ভিন্ন ধর্মের পাতা দেখানো হয় । বাস্তবে এই যে বেদ শাস্ত্র আছে, সেইসব ভাগবত গীতার পাতা, অর্থাৎ সব শাস্ত্রই তার থেকে বের হয়েছে । তোমরা দেখো যে, বরাবর নতুন ঝাড়ের স্থাপনা হয় । তুফান ইত্যাদিতে কিছু তো চট করে ঝিমিয়ে পড়ে, ঝরে পড়ে যায় । তোমরা জানো যে, এখন আমাদের দৈবী ঝাড়ের ফাউন্ডেশন লাগানো হচ্ছে । আর যে সব ধর্ম স্থাপক আছেন, তারা একথা জানে না যে, আমরা খ্রীস্টান ধর্মের বা অমুক ধর্মের ফাউন্ডেশন তৈরী করছি । পরের দিকে বোঝা যায় যে, অমুকে এই ধর্মের প্রতিষ্ঠা করেছেন । এখানে তো কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত করা হয় । তোমরা জানো যে, আমাদের তো দেবতা হতে হবে । সবাইকে সুখ দান করতে হবে । কাউকে দুঃখ দেওয়ার খেয়ালও আসা উচিত নয় । মুখ থেকে এক একটি শব্দ এমন বের হবে, যা মানুষকে হীরের মতো তৈরী করে দেবে । বাবাও আমাদের জ্ঞান শোনান, যেই জ্ঞান ধারণ করতে করতে আমরা হীরের তুল্য হয়ে যাই । বাস্তবে টিচার কাউকে কেন দুঃখ দেবেন, তিনি তো পড়ান । হ্যাঁ, তোমাদের বোঝানো হয় – যদি তোমরা ভালোভাবে না পড়ো, তাহলে ২১ জন্মের জন্য লোকসান করে দেবে । ২১ জন্মের জন্য তোমাদের এখনই পুরুষার্থ করতে হবে । তোমরা বাবাকে পেয়েছো, যাঁকে তোমরা ভক্তিমার্গে ‘হে ভগবান’ বলে স্মরণ করতে । সাধুসন্তাদিরাও স্মরণ করে । ভগবান তো একজনই, কিন্তু তিনি কে, তা কেউই জানে না । শ্রীকৃষ্ণ তো সত্যযুগের প্রিন্স ছিলেন । তাঁকে তো এমন কেউই বলবে না যে, তিনি সকলের সর্বের দুঃখহর্তা – সুখকর্তা । সেই শ্রীকৃষ্ণের আত্মাই, যিনি সুখে ছিলেন, তিনিই আবার দুঃখে থাকেন । ভগবানের জন্য এমন তো বলা হবে না, তাই না । তিনি তো সুখ – দুঃখের ঊর্ধ্বে থাকেন । তাঁর তো কোনো মনুষ্য তন নেই । বাবা যা স্থাপনা করেন, সেখানে সুখই সুখ । তাই তো তাঁর মহিমা করা হয় — দুঃখহর্তা – সুখকর্তা ।

তোমরা জানো যে, আমরা রাবণ রাজ্যে অর্ধেক কল্প দুঃখে ছিলাম । সেখানে অল্পকালের সুখ থাকে আর দুঃখই দুঃখ । যেই সুখকে সন্ন্যাসীরা কাক বিষ্ঠা সমান সুখ বলে থাকে, কেননা বিকারের দ্বারা জন্ম হয়, তাই না, কিন্তু কোনো পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গও থাকবে যেখানে কোনো বিকার থাকবে না । তা বরাবর সত্যযুগে ছিলো । তার নামই হলো স্বর্গ । সে হলো পবিত্র মার্গ, স্বর্গ । তারপর যখন পতিত হয়, তখন তাকে নরক, ভ্রষ্টাচারী মার্গ বলা হয় । এই দুঃখ আর সুখের খেলা তৈরীই আছে । মানুষের এখনই সুখ, এখনই আবার দুঃখ । তারা একথা জানেই না যে, স্বর্গে সদা সুখ থাকে, দুঃখের নাম মাত্র থাকে না । এখানে আবার সুখের নাম মাত্র নেই । বিকারে যাওয়া – এ তো দুঃখই, তাই তো সন্ন্যাসীরা সন্ন্যাস গ্রহণ করেন কিন্তু সে হলো নিবৃত্তি মার্গ । সত্যযুগে প্রবৃত্তি মার্গ ছিলো, তাকে শিবালয় বলা হয় । দেবী – দেবতা, লক্ষ্মী – নারায়ণের জড় চিত্রও মন্দিরে কিভাবে মুকুট, গয়না এবং আসনে সাজানো থাকে । ভারতই একমাত্র দেশ, যেখানে রাজা – রানী দৈবী সম্প্রদায়ের ছিলেন, আর কোনো ধর্মে এমন নেই । যদিও সেখানে রাজা থাকে কিন্তু ডবল মুকুটধারী থাকে না । সত্যযুগের শুরু থেকেই রাজত্ব চলতে থাকে । সেখানে আদি সনাতন ডবল মুকুটধারী দেবী – দেবতার ধর্ম ছিলো সেই ধর্ম কিভাবে স্থাপন হয়েছিলো, সে সব তোমরা বাচ্চারাই জানো । শিব বাবার মতে তোমরাও দুঃখহর্তা সুখকর্তা হও । তোমাদের কাজই হলো – সকলের দুঃখ দূর করে সুখ দান করা । তোমরাও যদি কাউকে দুঃখ দাও, তাহলে কে বলবে তোমরা দুঃখহর্তা সুখকর্তার সন্তান । প্রথমে মনে খেয়াল আসে, তারপর আচরণে আসে । বাচ্চারা, তোমাদের তো অতি মিষ্টি হতে হবে । তোমাদের ভগবান পড়ান, তাই যতক্ষণ না তোমাদের চলন দৈবী হচ্ছে, ততক্ষণ মানুষ তোমাদের উপর কিভাবে বিশ্বাস করবে । গীতাতেও এই ভগবান উবাচঃ লেখা আছে — আমি তোমাদের নর থেকে নারায়ণ বানাই । ভগবান অবশ্যই সঙ্গমেই আসবেন । ভগবান উবাচঃ — আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাই, তাহলে অবশ্যই পুরানো দুনিয়ার বিনাশও হয়েছিলো । এই কাজ কোনো কৃষ্ণের নয় । ত্রিমূর্তি দেখানো হয় কিন্তু সেখানে শিবকে উড়িয়ে দিয়েছে । তারপর বলে দেয়, ব্রহ্মার তো তিন মুখ ছিলো । এই এক মুখের ব্রহ্মা কোথা থেকে এলো ? এখন, মানুষের তিন মুখ কিভাবে হবে ? বাবা বলেন, তোমরা আমার খুবই বুঝদার বাচ্চা । তোমরাই এই বিশ্বে রাজত্ব করতে । বাবা এখন তোমাদের দেহী – অভিমানী তৈরী করছেন । এখন তোমরা নিজেদের আত্মা মনে করো । আমি সবাইকে মুক্তিধামে অশরীরী বানিয়ে পাঠিয়ে দিই । তোমরা এখানে এসে এই শরীর ধারণ করেছো । বার বার শরীর ধারণ করতে করতে তোমাদের দেহ বোধ দৃঢ় হয়ে যায় । তোমরা এখন নিজেদের আত্মা মনে করো । আমি আত্মা ৮৪ জন্ম অভিনয় করেছি । এখন এ হলো অন্তিম জন্ম, এমন – এমনভাবে নিজের সঙ্গে কথা বলো । বাবা বলেন, তোমরা এখন দেহী অভিমানী হও, তোমাদের আবার ঘরে ফিরে যেতে হবে, তারপর আবার তোমরা স্বর্গে আসবে । তোমরা এখন আমার কাছে স্বর্গের বাদশাহী গ্রহণের জন্য পরিশ্রম করছো । বাবাকে তোমরা ভুলে গেলে তখন তোমাদের খুশীর পারদ আর চড়ে না । শাস্ত্রতে কতো বড় ভুল করে দিয়েছে, সেখানে শিব বাবাকেই উড়িয়ে দিয়েছে । পূজা করার সময় বলে দেয়, নাম – রূপ থেকে পৃথক । আরে, তাহলে কার পূজা করো ! কাকে স্মরণ করো ! বলেও থাকে যে, আত্মা ভ্রুকুটির অন্দরে থাকে, কিন্তু আত্মা কার সন্তান, তা জানে না । আমি আত্মা ভ্রুকুটির মধ্যে থেকে এই শরীরের দ্বারা ভূমিকা করি, এই দেহ রূপী পুতুলকে নাচাই । (কাঠ) পুতুল নাচ হয় না ? সে তো অন্য লোকে বসে পুতুল নাচায় । সবার প্রথমে তো তোমাদের দেহী অভিমানী হতে হবে, আর বাবা যা কিছুই বোঝান, তা ধারণ করতে হবে । প্রদর্শনীতে তো প্রথম – প্রথম বাবার পরিচয় বুঝিয়ে বলতে হবে যে, ইনি সকলের বাবা, ইনি নিরাকার, আর দ্বিতীয় হলেন সাকার প্রজাপিতা – দুই বাবা আছেন । তোমরা জানো, লৌকিক বাবাও আছেন, আবার পারলৌকিক বাবাও আছেন । লৌকিক বাবা হলেন জাগতিক আর পারলৌকিক বাবা অসীম জগতের । এখন নতুন রচনা রচিত হচ্ছে । আমরা শিব বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি । নিজের সঙ্গে এমন – এমন কথা বলে দৃঢ় করতে হবে । তোমাদের দেহী অভিমানী হতে হবে । আমরা শিব বাবার কাছে পড়তে যাই, সেই পরমপিতা পরমাত্মা নিরাকার । সাকার হলে প্রজাপিতা ব্রহ্মা । তোমরা হলে প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ । তোমাদের ব্রহ্মা দত্তক নিয়েছেন । তোমরা হলে তাঁর নতুন রচনা — ব্রাহ্মণ । ওরা হলো পুরানো দেহের ব্রাহ্মণ । ওরা দেহের যাত্রা করায় । তোমরা আত্মিক যাত্রা করাও ।

বাচ্চারা, তোমরা এখন শ্রেষ্ঠ তৈরী হচ্ছো । এ হলো ঈশ্বরীয় মিশন – ভ্রষ্টাচারী থেকে শ্রেষ্ঠাচারী হওয়ার । মানুষ তো এমন বানাতে পারে না । বাস্তবে প্রকৃত সদাচার সমিতি হলো তোমাদের । তোমাদের লিডার দেখো কে । বাবা বলেন, আমি আবার তোমাদের রাজযোগ শেখাতে এসেছি, এ হলো সেই সঙ্গম যুগ । এখন আমি মনুষ্য থেকে দেবতা তৈরি করি । তোমরা জানো যে, আমরা এখন শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ তৈরি হচ্ছি । ব্রাহ্মণদের থাকে শিখা । ব্রহ্মাও শিখা । ব্রহ্মার মধ্যে যিনি প্রবেশ করেন, তাঁকে এই খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় না । বাকি তো সবাইকে দেখতে পাও, তোমরা বুদ্ধির দ্বারা জানো যে, নিরাকার বাবা আমাদের পড়ান । ব্রহ্মার তো ব্রাহ্মণ এখানেই চাই । সূক্ষ্মবতনে তো আর হতে পারবে না । তাদের এখানেই দত্তক নেন, ব্যক্ত ব্রহ্মা থেকে অব্যক্ত পরে অব্যক্ত ব্রহ্মা তৈরী হন । এ খুবই বোঝার মতো কথা । প্রথম – প্রথম লক্ষ্যকে বুঝে গেলে তারপর যেখানে খুশী বসে পড়াশোনা করতে পারে । মুরলী রোজ শুনতে হবে । একদিনও মিস করলে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়, কেননা পয়েন্টস খুবই গুহ্য, এখান থেকে হীরে রত্ন বের হয় । কোনো এক নম্বর রত্ন নির্গত হলো আর মিস করে দিলে, তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে । রেগুলার স্টুডেন্ট খুবই যথাযথ হয় । খুব ভালোভাবে পুরুষার্থ না করলে তোমরা উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না । এ তো অনেক উচ্চ পড়া । সরস্বতীকে বীণা আর কৃষ্ণকে মুরলী দিয়ে দিয়েছে । বাস্তবে কৃষ্ণকে তো ভুল করে দিয়ে দিয়েছে । আসলে তো ব্রহ্মা । তোমরা জানো যে, ইনি হলেন শিব বাবার মুখ । কৃষ্ণ এবং সরস্বতীর তো কোনো সম্পর্ক নেই । সবাইকে দ্বিধায় ফেলে দিয়েছে । আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) আমি আত্মা এই শরীর রূপী পুতুলকে নাচাচ্ছি । আমি এর থেকে পৃথক, এমন অভ্যাস করতে করতে দেহী অভিমানী হতে হবে ।

২ ) মুরলী কখনোই মিস করবে না, তোমাদের রেগুলার হতে হবে । এই ঈশ্বরীয় পড়াতে সঠিক বা যথাযথ হতে হবে ।

বরদানঃ-

সদা সুরক্ষিত থাকার স্থান হল দিলারাম বাবার হৃদয় সিংহাসন । সদা এই স্মৃতিতে থাকো যে, আমাদের এই হলো শ্রেষ্ঠ ভাগ্য যে, ভগবানের হৃদয় সিংহাসনে আসীন হতে পেরেছি । যে পরমাত্ম হৃদয়ে বিলীন হয়ে থাকে বা হৃদয় সিংহাসনে আসীন থাকে, সে সদা সুরক্ষিত । মায়া বা প্রকৃতির তুফান তাকে নাড়াতে পারে না । এমন অচল যারা থাকে, তাদের স্মরণিক হলো অচল ঘর (গড়), চঞ্চল ঘর নয়। তাই এই স্মৃতি যেন থাকে যে আমরা অনেকবার অচল হয়েছি, আর এখনো অচল ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top