11 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

October 10, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - যোগ অগ্নির দ্বারা পাপ ভস্ম করে সম্পূর্ণ সতোপ্রধান হতে হবে, কোনও পাপ কর্ম করা উচিত নয়"

প্রশ্নঃ --

সত্যযুগে উচ্চপদ কিসের আধারে প্রাপ্ত হয় ? এখানের কোন্ নিয়ম তোমাদের সকলকে শোনানো উচিত ?

উত্তরঃ -:-

সত্যযুগে পবিত্রতার আধারে উচ্চ পদ প্রাপ্ত হয়। যে পবিত্রতার ধারণা অল্প করে সে সত্যযুগে দেরীতে আসে আর পদও কম পায়। এখানে যখন কেউ আসে তখন তাদের নিয়ম বলো — দান করলে গ্রহণ-মুক্ত হবে। ৫ বিকারকে দান করে দাও তবেই ১৬ কলা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। বাচ্চারা, তোমরা তোমাদের মনকে(হৃদয়) জিজ্ঞাসা করো যে আমাদের মধ্যে কোনও বিকার নেই তো ?

ওম্ শান্তি । আত্মিক পিতা তাঁর আত্মা-রূপী সন্তানদের বোঝান যে মানুষকে কিভাবে বোঝাবে যে এখন স্বর্গের স্থাপনা হচ্ছে। ৫ হাজার বছর পূর্বেও ভারতে স্বর্গ ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল, বিচার করা উচিত, সেইসময় কত মানুষ ছিল! সত্যযুগের আদিতে খুব বেশি হলে ৯-১০ লাখ হবে। শুরুতে বৃক্ষ ছোটই হয়। এইসময় যখন কলিযুগের শেষ, তখন বৃক্ষ কত বড় হয়ে গেছে, এখন এর বিনাশও অবশ্যই হবে। বাচ্চারা বোঝে যে এ হলো সেই মহাভারতের যুদ্ধ। এইসময়েই গীতার ভগবান রাজযোগ শিখিয়েছেন এবং দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করেছেন। সঙ্গমেই অনেক ধর্মের বিনাশ, এক ধর্মের স্থাপনা হয়েছিল। বাচ্চারা এও জানে যে আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে ভারত স্বর্গ ছিল, আর কোনো ধর্ম ছিল না। এইরকম নতুন দুনিয়া স্থাপন করতে বাবা সঙ্গমে আসেন। এখন তা স্থাপিত হচ্ছে। পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ হয়ে যাবে, সত্যযুগে একই ভারত ভূখন্ড ছিল আর কোনো ভূখন্ড ছিল না। এখন তো অনেক খন্ড। ভারত ভূখন্ডও রয়েছে কিন্তু তাতে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম নেই। তা প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে। পুনরায় এখন পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করছেন। বাকি সব ধর্মের বিনাশ হয়ে যায়। এ তো স্মরণে রাখতে হয় যে সত্যযুগ-ত্রেতায় আর কোনো রাজ্য থাকে না, আর সব ধর্ম এখন এসেছে। কত দুঃখ, অশান্তি, মারামারি হয়। ভয়ানক মহাভারতের লড়াইও এ’টাই। একদিকে ইউরোপবাসী যাদবেরাও রয়েছে। ৫ হাজার বছর পূর্বেও এরা মিসাইল আবিষ্কার করেছিল। কৌরব-পান্ডবও ছিল। পান্ডবদের দিকে স্বয়ং পরমপিতা পরমাত্মা সহায়তাকারী হিসেবে ছিলেন। সকলকে এ’টাই বলেছিলেন যে গৃহস্থী জীবনে থেকেও আমায় অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করলে তোমাদের পাপ বৃদ্ধি পাবে না আর পূর্বের বিকর্মও বিনাশ হবে। এখনও বাবা বোঝান, তোমরাই ভারতবাসী সত্যযুগে যারা সতোপ্রধান ছিলে, এ’টাই সেইসময়, ৮৪ জন্ম নিতে-নিতে এখন তোমাদের আত্মা তমোপ্রধান হয়ে গেছে। এখন সতোপ্রধান হবে কিভাবে! সতোপ্রধান তখনই হবে যখন আমায় অর্থাৎ পতিত-পাবন বাবাকে স্মরণ করবে। এই যোগাগ্নিতেই পাপ ভস্মীভূত হবে আর আত্মা সতোপ্রধান হয়ে যাবে। আর পুনরায় স্বর্গে ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে। এছাড়া এই পুরোনো দুনিয়াকে বিনাশপ্রাপ্ত তো হতেই হবে। ভারত সত্যযুগে শ্রেষ্ঠাচারী ছিল আর সৃষ্টির আদিতে অতি অল্পসংখ্যক মানুষ ছিল। ভারত স্বর্গ ছিল আর অন্য কোনো ভূ-ভাগ ছিল না। আর এখন অন্যান্য ধর্ম বৃদ্ধি পেতে-পেতে বৃক্ষ কত বড় হয়ে গেছে আর তমোপ্রধান জরাগ্রস্ত হয়ে গেছে। এখন এই তমোপ্রধান বৃক্ষের বিনাশ আর নতুন দেবী-দেবতা ধর্মের বৃক্ষের স্থাপনা অবশ্যই হওয়া উচিত। সঙ্গমেই হবে, এখন তোমরা সঙ্গমে রয়েছো। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের চারাগাছ রোপন করা হচ্ছে। পতিত মানুষদের বাবা পবিত্র করছেন, তারাই পুনরায় দেবতা হবে। যে প্রথম স্থানাধিকারী ছিল সে-ই ৮৪ জন্ম নিয়েছে। সে-ই পুনরায় প্রথম স্থানে আসবে। সর্বপ্রথমে দেবী-দেবতাদের পার্ট ছিল। তারাই প্রথমে আলাদা হয়েছে। পুনরায় তাদেরই পার্ট হওয়া উচিত, তাই না! সত্যযুগে থাকেই সর্বগুণসম্পন্ন…. এখন হলো বিকারী দুনিয়া, রাত-দিনের পার্থক্য। এখন বিকারী দুনিয়াকে নির্বিকারী দুনিয়া কে করবে! আবাহনও করে, হে পতিত-পাবনকারী এসো। এখন তিনি এসেছেন। বাবা বলেন — আমি তোমাদের নির্বিকারী করছি। এই বিকারী দুনিয়ার বিনাশের জন্য লড়াই তো হবেই। ওরা এখন বলে, এক মত কিভাবে হবে কারণ এখন তো অনেক মত, তাই না! এত অধিকসংখ্যক মতের মধ্যে এক মত স্থাপন কে করবে! বাবা বোঝান — এখন অদ্বিতীয় মতের স্থাপনা হচ্ছে। বাকি সব বিনাশ প্রাপ্ত হয়ে যাবে। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বীরা যারা পবিত্র ছিল তারাই এখন ৮৪ জন্ম ভোগ করে পতিত হয়েছে। তারপর বাবা এসে ভারতবাসীদের পুনরায় স্বর্গের উত্তরাধিকার দিচ্ছেন অর্থাৎ অসুর থেকে দেবতা তৈরী করছেন। তোমরা যেকোনো কাউকে বোঝাতে পারো যে বাবা বলেন আমায় স্মরণ করো তবেই তোমরা পতিত থেকে পবিত্র হয়ে যাবে। এখন তোমরা জ্ঞান-চিতায় বসো। চিতায় বসে তোমরা পবিত্র হয়ে যাও। তারপর দ্বাপর থেকে রাবণ-রাজ্য হওয়ার কারণে কাম-চিতায় বসে-বসে দুনিয়া ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছে। আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে দেবী-দেবতা ছিল। অল্পসংখ্যক মানুষ ছিল। এখন তো কত আসুরীয় হয়ে গেছে। আরো ধর্ম যুক্ত হয়ে বৃক্ষ বড় হয়ে গেছে। বাবা বোঝান যে বৃক্ষ এখন জরাজীর্ণ অবস্থাপ্রাপ্ত করেছে। এখন পুনরায় আমাকে অদ্বৈত মতের রাজ্য স্থাপন করতে হবে। ভারতবাসীরা বলেও যে এক ধর্মে এক মতই হোক। এই ভারতবাসীরাই ভুলে গেছে যে সত্যযুগে এক ধর্মই ছিল। এখানে তো অনেক ধর্ম। এখন বাবা এসে পুনরায় এক ধর্মের স্থাপনা করছেন। তোমরা বাচ্চারা রাজযোগ শিখছো। অবশ্যই ভগবানই রাজযোগ শেখাবেন। তা কেউই জানে না। যখন কেউ প্রদর্শনীর উদ্ঘাটন করতে আসে তখন তাকেও বোঝানো উচিত — তুমি কিসের উদ্ঘাটন করছো। বাবা এই ভারতকে স্বর্গে পরিনত করছেন। বাকি নরকবাসীরা সকলেই বিনাশপ্রাপ্ত হয়ে যাবে। বিনাশের পূর্বে যারা উত্তরাধিকার নেবে তারা এসে বোঝ। বি.কে.-দের এই যে আশ্রম রয়েছে এ হলো কোয়ারিন্টাইন(সঙ্গরোধ বা পৃথক করা) ক্লাস। এখানে ৭ দিন ক্লাস করতে হবে যাতে ৫ বিকার দূর হয়ে যায়। দেবতাদের মধ্যে এই ৫ বিকার থাকে না। এখন এখানে ৫ বিকারকে দান করতে হবে তবেই গ্রহণ মুক্ত হবে। করলে দান করলে তবেই মুক্ত হবে গ্রহণ। তখন তোমরা পুনরায় ১৬ কলা-সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ভারত সত্যযুগে ১৬ কলা-সম্পূর্ণ ছিল, এখন তো কোনো কলাই নেই। সকলেই কাঙ্গাল হয়ে গেছে। কেউ ওপেনিং করতে এলে, বলো, এখানের নিয়ম হলো, বাবা বলেন — ৫ বিকারকে দান করো তবেই গ্রহণ মুক্ত হবে। তোমরা ১৬ কলা-সম্পূর্ণ দেবতা হয়ে যাবে। পবিত্রতা অনুসারে পদ পাবে। এছাড়া যদি কিছু না কিছু কলা কম হয়ে যায় তখন জন্মও দেরীতে নেবে। বিকারের দান দেওয়া তো ভাল, তাই না! পূর্বে চন্দ্রগ্রহণ হলে ব্রাহ্মণেরা দান গ্রহণ করতো। এখন তো ব্রাহ্মণেরা ধনী ব্যক্তি হয়ে গেছে। বেচারা গরীবরা তো ভিক্ষা চাইতে থাকে, পুরোনো বস্ত্রাদি নিয়ে থাকে। বাস্তবে ব্রাহ্মণ কখনো পুরোনো বস্ত্র নেয় না, তাদেরকে নতুন দেওয়া হয়ে থাকে। তাহলে এখন তোমরা বুঝতে পারো যে ভারত ১৬ কলা-সম্পূর্ণ ছিল। এখন আয়রন এজে’ড হয়ে গেছে। ৫ বিকারের গ্রহণ লেগে রয়েছে। এখন তোমরা ৫ বিকারের যে দান দিয়ে এই অন্তিম জন্ম পবিত্র থাকবে তাতেই নতুন দুনিয়ার মালিক হবে। স্বর্গে অতি অল্প ছিল, পরে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন তো বিনাশও সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাবা বলেন — ৫ বিকারের দান দাও তবেই গ্রহণ মুক্ত হয়ে যাবে। এখন তোমাদের শ্রেষ্ঠাচারী হয়ে স্বর্গের সূর্যবংশীয় রাজ্য প্রাপ্ত করতে হবে, তাহলে ভ্রষ্টাচার ত্যাগ করতে হবে। ৫ বিকারকে দান করে দাও। নিজের হৃদয়কে(মনকে) জিজ্ঞাসা করো যে আমরা সর্বগুণসম্পন্ন, সম্পূর্ণ নির্বিকারী হয়েছি ? নারদের উদাহরণ রয়েছে, তাই না! একটি বিকারও যদি থাকে তবে লক্ষ্মীকে বরণ করবে কিভাবে ? প্রচেষ্টা করতে থাকো, খাদে আগুন লাগাতে থাকো। সোনা যখন গলানো হয়, গলতে-গলতে আগুন যদি ঠান্ডা হয়ে যায় তখন খাদ নিষ্কাশিত হয় না, সেইজন্য আগুনে সম্পূর্ণরূপে গলাতে থাকো। তারপর যখন দেখে নোংরা(খাদ) আলাদা হয়ে গেছে তখন কার্বে ঢালা হয়। এখন বাবা স্বয়ং বলেন — কোনও বিকারে যেও না। তীব্রবেগে পুরুষার্থ করো। প্রথমে তো পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করো। বাবা তুমি পবিত্র করতে এসেছো, আমরা কখনো বিকারে যাবো না। দেহী-অভিমানী হতে হবে। বাবা আমাদের আত্মাদের বোঝান। তিনি পরম আত্মা। তোমরা জানো যে আমরা পতিত। আত্মাতেই সংস্কার থাকে। আমি তোমাদের বাবা তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের সঙ্গে কথা বলি। এভাবে কেউ বলতে পারে না — আমি তোমাদের পিতা পরমাত্মা। আমি এসেছি পবিত্র তৈরী করতে। তোমরা সর্বপ্রথমে সতোপ্রধান ছিলে, তারপর সতো, রজো, তমোতে এসেছো। তমোপ্রধান হয়েছো। এইসময় ৫ তত্বও তমোপ্রধান সেইজন্য দুঃখ দেয়। প্রত্যেক বস্তুই দুঃখ দেয়। এই তত্বই যখন সতোপ্রধান হয়ে যায় — তখন সুখ দেয়। তার নামই হলো — সুখধাম। এ হলো দুঃখধাম। সুখধাম হলো অসীম জগতের বাবা উত্তরাধিকার। দুঃখধাম হলো রাবণের বর্সা, এখন যত শ্রীমতে চলবে ততই উচ্চ হয়ে উঠবে। পুনরায় প্রসিদ্ধ হয়ে যাবে যে প্রতি কল্পে এ এ’রকমই পুরুষার্থ করবে। এ প্রতি কল্পের শর্ত। যে অধিকমাত্রায় পুরুষার্থ করছে সে নিজের রাজ্য-ভাগ্য নিচ্ছে। সঠিকভাবে পুরুষার্থ না করলে থার্ড গ্রেডে চলে যাবে। প্রজাতে গিয়েও না জানি কি হবে। লৌকিক বাবাও বলে, তুমি আমাদের নামের গ্লানি করে দাও, ঘর থেকে বেরিয়ে যাও। অসীম জগতের বাবা বলেন — তোমাদের মায়ার থাপ্পড় এমনভাবে লাগবে যে সূর্যবংশীয়-চন্দ্রবংশীয়তে আসবেই না। নিজেই নিজেকে চড় মারবে। বাবা তো বলেন, উত্তরাধিকারী হও। রাজতিলক নিতে চাইলে আমায় স্মরণ করো আর অন্যদেরকেও স্মরণ করাও তবেই তোমরা রাজা হবে। নম্বর ওয়ান তো হয়, তাই না! কোনো ব্যরিস্টার এক-একটি কেসে লক্ষ-লক্ষ টাকা উপার্জন করে আর দেখো কারো-কারোর পরার জন্য কোটও নেই। পুরুষার্থই আধার, তাই না! তোমরাও পুরুষার্থ করলে উচ্চ পদ পাবে। মানব থেকে দেবতা হতে হবে। চাইলে মালিক হও, চাইলে প্রজা হও। প্রজাতেও চাকর-বাকর হবে। স্টুডেন্টের চাল-চলনেই টিচার বুঝে যায়। আশ্চর্য হলো এই যে প্রথমে যারা আসে তাদের থেকে পরে আগতরা তীব্র যায় কারণ এখন দিন-দিন রিফাইন পয়েন্টস্ প্রাপ্ত হতে থাকে। চারাবৃক্ষ রোপন করতেই থাকে। প্রথমে আগতদের অনেকেই ভাগন্তি হয়ে গেছে অর্থাৎ চলে গেছে। নতুন অ্যাড হতে থাকে। নতুন নতুন পয়েন্টস্ প্রাপ্ত হতে থাকে। অনেক যুক্তি দিয়ে বোঝানো হয়। বাবা বলেন — অতি গোপন রমণীয় কথা শোনাই, যারফলে তোমরা তৎক্ষণাৎ নিশ্চয়বুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে যাও। যতক্ষণ পর্যন্ত আমার পার্ট আছে, তোমাদের পড়াতে থাকবো। এও ড্রামায় নির্ধারিত। যখন কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করবে তখন পড়া সম্পূর্ণ হবে। বাচ্চারাও বুঝে যাবে। পরে পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়, তাই না! এই পড়ার নম্বর ওয়ান সাবজেক্ট হলো — পবিত্রতার। যতক্ষণ না পর্যন্ত বাবার স্মরণে থাকবে, বাবার সার্ভিস না করবে ততক্ষণ আরাম করা উচিত নয়। তোমাদের লড়াইও মায়ার সঙ্গে। রাবণকে যদিও জ্বালায় কিন্তু জানে না যে সে কে? খুব দশহরা পালন করে। এখন তোমাদের আশ্চর্য লাগে — ভগবান রামের ভগবতী সীতা চুরি করে নিয়ে গেছে। তারপর বানরদের সৈন্যবাহিনীকে নেওয়া হয়েছে। এরকম কখনো হতে পারে কি? কিছুই বোঝে না। যখন প্রদর্শনীতে আসে তখন সর্বপ্রথমে বলা উচিত — ভারতে এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল, তখন কত মানুষ ছিল ? ৫ হাজার বছরের কথা। এখন হলো কলিযুগ, সেই ভয়ানক মহাভারতের যুদ্ধও। বাবা এসে রাজযোগ শেখান। বিনাশও হবে। এখানে এক ধর্ম, এক মত অথবা শান্তি কিভাবে হতে পারে! এক মত হওয়ার জন্য যতই মাথা চাপড়ায় ততই লড়াই করে। বাবা বলেন — এখন আমি ওদের সকলকে লড়িয়ে দিয়ে মাখন তোমাদের দিয়ে দিই। বাবা বোঝান — যে করবে সে-ই পাবে। কোন-কোন বাচ্চারা বাবার থেকেও উঁচু হয়ে যেতে পারে। তোমরা আমার থেকেও ধনী, বিশ্বের মালিক হবে। আমি হবো না। বাচ্চারা, আমি তোমাদের নিষ্কাম সেবা করি। আমি দাতা। এরকম কেউ মনে কোরো না যে আমরা শিববাবাকে ৫ টাকা দিয়েছি। কিন্তু শিববাবার থেকে স্বর্গে নেয় ৫ পদম(পদ্মগুণ)। তাহলে এ’টা কি দেওয়া হলো। যদি মনে করে যে আমরা দিই, এ তো শিববাবাকে অত্যন্ত ইনসাল্ট করা হলো। বাবা তোমাদের কত উচ্চ (পদমর্যাদার) বানান। তোমরা ৫ টাকা শিববাবার ভান্ডারায় দাও। বাবা তোমাদের ৫ কোটি দেন। কড়ি থেকে হীরে-তুল্য বানিয়ে দেন। এরকম সংশয় কখনো এনো না যে আমরা শিববাবাকে দিয়েছি। ইনি কত ভোলানাথ (সরল)। এ’কথা কখনো খেয়ালে আসা উচিত নয় — আমরা বাবাকে দিচ্ছি। না, শিববাবার থেকে আমরা ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার নিয়ে থাকি। শুদ্ধ ভাবনায় না দিলে তাহলে কি করে স্বীকার্য হবে। সমস্ত কথার বোধগম্যতা বুদ্ধিতে রাখা উচিত। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দান করে, উনি কি ক্ষুধার্ত নাকি ? না, মনে করে আমরা পরজন্মে পাবো। এখন বাবা বসে থেকে আমাদের কর্ম, অকর্ম, বিকর্মের গতি বোঝান। এখানে যে কর্ম করবে তা বিকর্মই হবে কারণ রাবণ রাজ্য। সত্যযুগে কর্ম অকর্ম হয়ে যায়। আমি তোমাদের ওই দুনিয়ায় ট্রান্সফার করে দিই, যেখানে তোমাদের বিকর্ম হবেই না। অনেক বাচ্চা হয়ে যাবে তখন তোমাদের টাকাপয়সারই বা কি করবো। আমি কাঁচা ব্যবসায়ী নই, যা নেব তা আর কাজে আসবে না, আবার ভরপুর করেও দিতে হবে। আমি পাকা ব্যবসায়ী, বলে দেবো প্রয়োজন নেই। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) তীব্রবেগে পুরুষার্থ করে বিকারের খাদকে যোগের আগুনে গলিয়ে ফেলতে হবে। পবিত্রতার জন্য সম্পূর্ণ প্রতিজ্ঞা করতে হবে।

২ ) কর্ম-অকর্ম-বিকর্মের গতিকে বুদ্ধিতে রেখে নিজের সবকিছু নতুন দুনিয়ার জন্য ট্রান্সফার করে দিতে হবে।

বরদানঃ-

জ্যোতিষী যেমন নিজের জ্যোতিষ বিদ্যার দ্বারা, গ্রহ-নক্ষত্র বিষয়ক জ্ঞানের দ্বারা ভবিষ্যতে আগত বিপর্যয়কে জেনে যায় তেমনই তোমরা বাচ্চারাও আগে থেকেই মায়ার দ্বারা আগত পেপারকে পরখ করে পাস উইথ অনার হওয়ার জন্য নিজের বুদ্ধিরূপী নয়নকে স্বচ্ছ করো এবং কেয়ারফুল থাকো। দিনে-দিনে স্মরণের বা সাইলেন্সের শক্তিকে বাড়াও তাহলে আগে থেকেই জানতে পারবে যে আজ কিছু হবে। মাস্টার নলেজফুল, পাওয়ারফুল হও তাহলে কখনোই পরাজয় ঘটতে পারে না।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top