11 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
10 November 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - এটাই একমাত্র অধ্যয়ন যা তোমাদের নর থেকে নারায়ণ, নারী থেকে লক্ষ্মীতে পরিণত করে, এইজন্য পড়ার উপরে অনেক মনোযোগ দাও"
প্রশ্নঃ --
বাবার দ্বারা বাচ্চাদের কোন্ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় যা কোনো তীর্থ বা জঙ্গলে গেলে প্রাপ্ত হতে পারে না ?
উত্তরঃ -:-
বাবার দ্বারা বাচ্চাদের সুখ-শান্তি-সম্পত্তি’র উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, যা অন্য কোথাও প্রাপ্ত হতে পারে না। মানুষ শান্তির জন্য জঙ্গলে যায়, কিন্তু তোমরা জানো, শান্তি তো হলো আমাদের আত্মাদের স্বধর্ম।
গান:-
তোমাকে পেয়ে মোরা সারা জগৎকে পেয়ে গেছি… (তুমহে পাকে হামনে জাহাঁ পা লিয়া)
ওম্ শান্তি । বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন কারণ তোমরা এখন সনাথ হয়েছো। এছাড়া সকল মানুষই হলো অনাথ। প্রভু (নাথ) একমাত্র বাবা’কেই বলা হয়। ঘরে যখন ঝগড়াঝাটি করে তখন বলা হয় – তোমাদের কি কোনো প্রভু নেই ? এখন সমগ্র দুনিয়ার প্রায় সকল মানুষই লড়াই-ঝগড়া করতে থাকে। এমনকি তারা একে অপরকে হত্যা করে। একমাত্র বাবা এসে বোঝাচ্ছেন – এই কাম হলো মহাশত্রু, যার কারণে সবাই আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ পায়। তোমরা বাচ্চারা জানো – এখন আমরা অসীম জগতের বাবার থেকে অসীমের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। যদিও মানুষ বলে, আমাদের শান্তি চাই, কিন্তু শান্তি কী ? কোথা থেকে পাওয়া যায় ? জঙ্গলে গেলে কি শান্তি পাওয়া যাবে ! সুখ-শান্তি কখন এবং কে দেন, মানুষ কীসের জন্য তীর্থযাত্রায় যায় ? এ’সব কথা কেউ জানে না। তারা কেবল শুনেছে যে, ভক্তি করলে ভগবানকে পাওয়া যায়। তারা ভগবানকেও জানে না। বাবা বলেন বাচ্চারা, আমি এসে তোমাদের সুখ-শান্তি প্রদান করি। এই সময়ে কারও কাছে সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি নেই। এমনকি যিনি দেন, তাঁকেও কেউ জানে না। বাবা এসে বোঝাচ্ছেন তোমরা গায়ন করো, দুঃখ হর্তা-সুখ কর্তা। গান্ধীজি’ও আহ্বান করতেন যে, হে পতিত-পাবন এসে পবিত্র বানাও। ওরা গায়ন করে, পতিত-পাবন সীতারাম, কিন্তু এর অর্থই জানে না। তারা ভক্তি কেন করে, এর দ্বারা কি প্রাপ্তি হবে ? কিছুই জানে না। এই ভক্তিও ড্রামাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দ্বাপরযুগ থেকে রাবণরাজ্য শুরু হয়। মানুষ এটা জানে না যে, রাবণ কী ! কতদিন পর্যন্ত রাবণকে পোড়াতে থাকবে ! যদিও রাবণের জন্ম অনেক আগে হয়েছে, তারা রাবণেরও মূর্তি বানিয়ে পোড়ায়। আত্মা কখনো পুড়ে যায় না। এ’সব বিষয় তোমরা বাচ্চারাই জানো। আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে ভারত স্বর্গ ছিল। এটা লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণকেই ভগবতী-ভগবান বলা হয়। তারপর ত্রেতাযুগে রামের রাজ্য ছিল। তাঁরা কীভাবে এই রাজ্য পেয়েছিলেন, তারপর সেই রাজ্য কোথায় গেল ? এটা কেউই জানে না অর্থাৎ সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্ত’কে কেউ জানে না। তোমরা এই নলেজের দ্বারা স্বর্গের মালিক হও। স্কুলে পড়াশোনা করে কেউ উকিল, জজ হয়, লক্ষ্মী-নারায়ণ হয় না। তাঁরা কোন্ পড়াশোনার মাধ্যমে এই পদ পেয়েছিলেন ! তা কেউ জানে না। ভগবান বলেন, আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাই। এমন কেউ নেই, যে বলতে পারে আমি তোমাদের এরকম তৈরি করি। তোমরা বাচ্চারা জানো, লক্ষ্মী-নারায়ণের ডিনায়েস্টি এই পড়াশোনার মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়েছিল। দুনিয়ার লোকেরা এই বিষয়গুলো জানে না। ওরা সত্যযুগকেও লক্ষ বছর বলে দিয়েছে। তাহলে এটা কীভাবে জানবে যে, লক্ষ্মী-নারায়ণ কোথায় গেল ? তারা দেখছেও যে, ভারতেই লক্ষ্মী-নারায়ণের অনেক চিত্র রয়েছে। অনেক মন্দির নির্মিত রয়েছে। লোকেরা মনে করে, তাঁদের থেকে ধন-সম্পদ প্রাপ্তি হবে। প্রতি দীপাবলীতে তারা মহালক্ষ্মীর কাছে ধন-সম্পদ চায়, কিন্তু তাঁর সাথে অবশ্যই নারায়ণও থাকবে। দীপাবলীতে পূজা করে, তাই তাদের অল্পকালের সুখের ভাবনা পূরণ হলে তারা মনে করে লক্ষ্মীর থেকে ধন-সম্পদ প্রাপ্তি হয়। প্রকৃতপক্ষে, লক্ষ্মী-নারায়ণ উভয়েরই প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। লক্ষ্মী, মহালক্ষ্মী আলাদা আলাদা কেউ নয়, এ’কথা মানুষ জানে না। এটা একমাত্র বাবা বোঝান। আজকাল তো মানুষ বলে, পাথরের মধ্যে ঈশ্বর আছেন। বাবা বলেন, প্রত্যেকের বুদ্ধি পাথর হয়ে গেছে। পারসবুদ্ধি তো সত্যযুগে হয়। যখন লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল, তখন সোনা-হীরের মহল ছিল। এটা হলো ৫ হাজার বছরের কথা। শাস্ত্রে তারা কল্পের আয়ু লক্ষ বছর লিখে দিয়েছে। বাবা বলেন – ভক্তিমার্গ থেকে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে হয়। ড্রামা অনুসারে যখন তোমাদের দুর্গতি হয় তখন আমি আসি এবং এসে নতুন দুনিয়া সৃষ্টি করি। এখন তোমরা বাচ্চারা নতুন দুনিয়ার মালিক হওয়ার জন্য রাজযোগ শিখছো। তোমরা জানো এই মহাভারতের যুদ্ধের মাধ্যমে পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হবে। এই ড্রামা হলো পূর্ব নির্ধারিত। সত্যযুগে দেবী-দেবতাদের রাজত্ব ছিল। তা ৫ হাজার বছর হয়ে গেছে। ২৫০০ বছর সূর্যবংশী চন্দ্রবংশী রাজত্ব ছিল। তারপর দ্বাপরযুগে রাবণের রাজত্ব শুরু হয়েছে। মানুষ পতিত হতে থাকে। কিন্তু তারা এটা জানে না, কে তাদের পতিত বানিয়েছে ? আমরা পবিত্র ছিলাম, পতিত কীভাবে হলাম ? বাবা এসে বোঝান। রাবণরাজ্য শুরু হলে তোমরা পতিত হয়ে যেতে থাকো। রাবণের জন্মের এখন ২৫০০ বছর হয়ে গেছে। শিববাবার জন্মের ৫ হাজার বছর হয়েছে। ওটাকে রাম এবং এ’কে রাবণরাজ্য বলা হয়। বাস্তবে রাম বলা উচিত নয়। আজকাল মানুষের নাম রামচন্দ্র, কৃষ্ণচন্দ্র রাখে। ৫ হাজার বছর পূর্বে ভারত সোনার পাখি ছিল, একে বলা হতো গোল্ডেন এজ ওয়ার্ল্ড। বৈকুণ্ঠ ছিল, কিন্তু কোথায় ছিল তা কেউ জানে না। আত্মা কী, পরমাত্মা কী, সৃষ্টি কী ? কিছুই জানে না। এইজন্য তাদের তুচ্ছবুদ্ধিসম্পন্ন বলা হয়। ঋষি-মুনিরা রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্ত সম্পর্কে জানে না। এই কারণেই তারা বলে নেতি-নেতি ( এটাও না – ওটাও না ), না বাবাকে, না উত্তরাধিকারকে জানে ! বাবার দ্বারা বিশ্বের রাজত্বের যে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, তাও জানে না। এখন সমগ্র সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্ত’কে তোমরা জানো, তাই তোমরা হলে ডবল আস্তিক। লোকেরা তো এটাও জানে না, শান্তি কার থেকে এবং কোথা থেকে প্রাপ্ত হবে। সন্ন্যাসীদের কাছে গিয়ে বলে, আমাদের শান্তি চাই। এখন, আমরা এখানে কীভাবে শান্তি পেতে পারি ? কর্ম তো করতে হবে তাই না ? শান্তি তো প্রাপ্ত হবে – শান্তিধামে। যদি পরিবারে কেউ একজন অশান্ত হয়, তাহলে পুরো পরিবারকে অশান্ত করে দেয়। শান্তি প্রাপ্ত হয় – সুইট হোমে। তারপর সেখান থেকে বাবা আমাদের আত্মাদের পাঠিয়ে দেন নতুন দুনিয়াতে পার্ট প্লে করার জন্য। বাবা কি আর চরম নরকে ( দোজক ) পাঠাবেন ! শান্তিধাম থেকে সুখধামে যাবে। তোমরা বাচ্চারা জানো, এটা হলো ভগবানের পাঠশালা। এটা কোনো সৎসঙ্গ নয়। এখানে ভগবান বাচ্চাদের জন্য বলেন। নিরাকার শিববাবা শরীরে প্রবেশ করে বাচ্চাদের ( তোমাদের ) সাথে কথা বলেন। আত্মাও শরীরের মধ্যে থাকে, তাই না ! আত্মা যখন কর্মেন্দ্রিয় প্রাপ্ত করে তখন কথা বলতে, শুনতে সক্ষম হয়। এখন বাবা বসে আত্মাদের পড়াচ্ছেন, পরমাত্মাকে আহ্বান করে হে পতিত পাবন… হে সদগতি দাতা, লিব্রেটর, গাইড। কিন্তু তারা এটা জানে না যে, কীভাবে লিবারেট করেন তারপর গাইড হয়ে কোথায় নিয়ে যাবেন। কেবল চিৎকার করতে থাকে। এখন গড ফাদার এসেছেন। তোমাদের, বাচ্চাদের গাইড করছেন। তিনি নিজে তোমাদের শান্তিধামে নিয়ে যাচ্ছেন। তারপর তোমরা নিজেই সুখধামে চলে যাবে। বাবা কেবল একবারই এসে সবার গাইড হন। তারপর নতুন দুনিয়াতে বাবা গাইড করবেন না। এইসময়ে সমস্ত মানুষ পতিত হওয়ার কারণে এটা জানে না যে, আমরা কীভাবে ঘরে ফিরে যাব, উড়তে পারে না। অনেক ভক্তি করে ওখানে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এটা জানে না যে, আমরা পতিত হয়ে গেছি তাই যেতে পারি না। পতিত-পাবন বাবা এসে যখন পবিত্র বানাবেন তখন আমরা যেতে পারবো। এখন বাবা তোমাদের পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলছেন, সবাইকে পতিত থেকে পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। এখন কত মানুষ রয়েছে ! সত্যযুগে যখন দেবতাদের রাজত্ব হয় তখন নতুন ঝাড়ে ৯ লক্ষ থাকে। গাছে তো প্রথমে কয়েকটা পাতা থাকে, তারপর বৃদ্ধি হতে থাকে। প্রথমে কেবল এক ধর্মের সবাই থাকবে। তোমরা এখন নিজেদের নরকবাসী মনে করবে না, বাকি সবাই হলো নরকবাসী। কিন্তু তারা নিজেদেরকে তা মনে করে না। এই সময় তো সকলের মুখ মানুষের মতো, কিন্তু চরিত্র বানরের মতো। বড় বড় রাজারা’ও লক্ষ্মী-নারায়ণের চরণে প্রণাম করে। কিন্তু তাঁরা কোনো পতিতদের পবিত্র বানায় না, আর তাঁরা কি কোনো দয়াবান ! যখন কেউ দুঃখী হয় তখন তার প্রতি করুণা করা হয়। দয়াবান হলেন একমাত্র বাবা। একমাত্র বাবা এসে পাথরবুদ্ধিদের পারসবুদ্ধি বানান। এখন তোমরা দেবতা হয়ে উঠছো। এটা হলো নর থেকে নারায়ণ হওয়ার পাঠশালা। এটা রাজযোগ। ঋষি-মুনিরা জানে না যে, গীতার রাজযোগ কে শিখিয়েছেন। ওরা গীতাকে সম্পূর্ণ মিথ্যে করে দিয়েছে। ওরা মনে করে – কৃষ্ণ রাজযোগ শিখিয়েছিলেন। ওরা বলে, কৃষ্ণ ভগবান বলেন মনমনাভব। কিন্তু কৃষ্ণ তো পরমাত্মা নয়। তিনি তো সত্যযুগের প্রিন্স, যিনি এই সঙ্গমযুগেই রাজযোগ শিখে রাজত্ব প্রাপ্ত করেন। তারপর তাঁকে ভগবান বানিয়ে দিয়েছে। এত মানুষ গীতা শোনে, কিন্তু তাদের একজনও জানে না যে গীতার ভগবান শিব, নাকি কৃষ্ণ ! তারা বলে যে সবাই এক। এমন মানুষের কাছেও মাথা কুটতে হয়। ৬৩ জন্ম তারা বিশ্বাস করে এসেছে যে, কৃষ্ণ হলো ভগবান। দ্বাপরযুগ থেকে শাস্ত্র সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্যই প্রথমে গীতা সৃষ্টি হয়েছে। এই সমস্ত শাস্ত্র হলো ভক্তি মার্গের। জ্ঞান মার্গের একটিও শাস্ত্র নেই। গীতা হলো সর্বপ্রথম। পরে বেদ উপনিষদ সৃষ্টি হয়েছে। এগুলিও হলো গীতার ছোট বাচ্চা। এসব অধ্যয়ন করতে করতে তোমরা নীচে নেমে এসেছো। এখন ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হচ্ছে। এবার যেতে হবে – প্রথম নম্বরে। এখন তোমরা আবার সত্যযুগী লক্ষ্মী-নারায়ণ হওয়ার জন্য এখানে অধ্যয়ন করতে এসেছো। সবাই তো লক্ষ্মী-নারায়ণ হবে না, রাজত্ব স্থাপন হচ্ছে। কিন্তু কে রাজত্ব স্থাপন করে ? এটা কারো বুদ্ধিতে আসে না। কলিযুগে এত সংখ্যক মানুষ রয়েছে যে, খাওয়ার জন্য আনাজও পাওয়া যায় না। অথচ, সত্যযুগে কেবল লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব হবে। এখানে দেখো কত ধর্ম রয়েছে ! বিশাল মহাভারতের যুদ্ধও সামনে রয়েছে, তা সত্ত্বেও মানুষের চোখ খোলে না। এই মহাভারতের যুদ্ধ কল্প পূর্বেও সংঘটিত হয়েছিল, তারপর কী হয়েছিল, কেউ জানে না। এসব বিষয় তোমরা ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণীরাই জানো। বাবা তোমাদের ব্রহ্মার দ্বারা অ্যাডপ্ট করেছেন। ভগবান তোমাদের পড়াশোনা করিয়ে লক্ষ্মী-নারায়ণে পরিণত করেন, সুতরাং ভালোভাবে পড়াশোনা করা উচিত। কেবল বাবাকে এবং নতুন দুনিয়াকে স্মরণ করো, তাহলে তোমরা নতুন দুনিয়ায় চলে যাবে। যদি ভালোভাবে পড়াশোনা করো এবং অন্যদেরও পড়াও তাহলে রাজা-রানী হতে পারবে, যত আধ্যাত্মিক সার্ভিস করবে। তোমরা হলে আত্মিক সোশ্যাল ওয়ার্কার। এছাড়া দুনিয়ার সবাই হলো শারীরিক সোশ্যাল ওয়ার্কার। তোমাদের, আত্মাদের বাবা প্রতিদিন জ্ঞান দেন। তিনি আত্মাদের সেবা করেন, তাই না ! এ’কে বলা হয় আত্মাদের সেবা, যা কেবল স্পীরিচুয়্যাল ফাদারই শেখান। এটা হলো মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার পাঠশালা, অবশ্যই এরকম হবে। যখন তোমরা পড়াশোনা করে তৈরি হয়ে যাবে, তারপর বিনাশ হবে এবং তোমরাও ফিরে যাবে। বলা হয় – রাম গেল, রাবণ গেল… কেবল কিছুজন থেকে যায় এবং তারপর অদল বদল হতে থাকে। তারপর তোমরা স্বর্গে আসবে। তোমাদের জন্য এখন নতুন দুনিয়া স্থাপন হচ্ছে, তোমরা স্বর্গবাসী হওয়ার জন্য অধ্যয়ন করছো। এটা হলো নরক। এখন তোমরা সঙ্গমযুগে আছো। এখন তোমরা ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণী না হলে উত্তরাধিকার নিতে পারবে না। উত্তরাধিকার ব্রাহ্মণদেরই প্রাপ্ত হয়, যারা কেবল বাবাকে ছাড়া অন্য কোনও দেহধারীকে স্মরণ করে না। তবে কিছু না কিছু শুনলেও প্রজা হয়ে যাবে।
আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার আন্তরিক এবং প্রেমময় স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) আত্মিক সোশ্যাল ওয়ার্কার হয়ে পড়াশোনা করতে হবে এবং অন্যদেরও পড়াতে হবে। বাবার সাথে সাথে যে নতুন দুনিয়া আসতে চলেছে, তা স্মরণ করতে হবে।
২ ) বাবার সমান দয়াবান হয়ে সবাইকে পারসবুদ্ধি বানানোর সেবা করতে হবে।
বরদানঃ-
পুরানো দুনিয়ার কোনো আকর্ষণীয় দৃশ্য, সাময়িক সময়ের কোনো সুখের সাধন যদি ব্যবহার করো বা দেখো তাহলে সেই সাধনের বশীভূত হয়ে যাও। সাধনের আধারে সাধনা এমন, যেরকম বালির আধারে তৈরি বিল্ডিং। সাধন হলো নিমিত্তমাত্র এবং সাধনা হলো নির্মাণের আধার, এইজন্য সাধনাকে গুরুত্ব দাও তাহলে সাধনার দ্বারা সাফল্য প্রাপ্ত হবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!