11 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

May 10, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - বহুকাল ধরে তোমরাই পৃথক হয়ে আছ, তোমরাই পুরো ৮৪ জন্মের পার্ট প্লে করেছ, এখন তোমাদের দুঃখের বন্ধন থেকে সুখের সম্বন্ধে যেতে হবে, সুতরাং অপার খুশিতে থাকো"

প্রশ্নঃ --

যাওয়ার খুশি কোন্ বাচ্চাদের মধ্যে সদা থাকতে পারে ?

উত্তরঃ -:-

যাদের নিশ্চয় আছে যে, ১) বাবা আমাদের বিশ্বের মালিক বানাতে এসেছেন। ২) আমাদের সত্য বাবা, তিনিই গীতার সত্যিকারের জ্ঞান শোনাতে এসেছেন। ৩) আমি আত্মা এখন ঈশ্বরীয় কোলে বসে আছি। আমি আত্মা এই শরীর সহ বাবার হয়েছি। ৪) বাবা আমাদের ভক্তির ফল (সদ্গতি) দিতে এসেছেন। ৫) বাবা আমাদের ত্রিকালদর্শী বানিয়েছেন। ৬) ভগবান মা হয়ে আমাদের অ্যাডপ্ট করেছেন। আমরা গডলি স্টুডেন্ট। যারা এই স্মৃতিতে বা নিশ্চয়ে থাকে তাদের অপার খুশি থাকে।

ওম্ শান্তি । বাচ্চাদের এই নিশ্চয় আছে যে, আমরা আত্মা। বাবা ভগবান আমাদের পড়াচ্ছেন। সুতরাং বাচ্চাদের অনেক খুশি থাকা উচিত। সামনে আসায় তোমরা আত্মারা বুঝতে পারো যে, বাবা এসেছেন সকলকে সদ্গতি প্রদান করতে। সবার সদ্গতি দাতা জীবনমুক্তি দাতা তিনি। বাচ্চারা জানে – মায়া বারবার ভুলিয়ে দেয়। কিন্তু এটা বোঝে তো না, আমরা বাবার সামনে বসে আছি। নিরাকার বাবা এই রথের আরোহী। মুসলমানেরা যেমন ঘোড়ার উপরে উত্তরীয় রাখে, বলবে এই ঘোড়ার পিঠে মহম্মদ আরোহী ছিলেন। প্রতীক চিহ্ন রেখে দেয়। এখানে তো নিরাকার বাবার প্রবেশ ! বাচ্চাদের খুব খুশি হওয়া উচিত। স্বর্গের মালিক যিঁনি বানাবেন অথবা বিশ্বের মালিক যিঁনি বানাবেন, তিনি এসে গেছেন ! বাবা হলেন গীতার সত্যিকারের ভগবান। আত্মার বুদ্ধি বাবার দিকে চলে যায়। এ’ হলো বাবার সঙ্গে আত্মাদের লভ। এই খুশি কাদের মধ্যে তীব্র হয় ? যারা বহুকাল ধরে আলাদা হয়ে আছে। বাবা নিজেও বলেন, আমি তোমাদের সুখের সম্বন্ধে পাঠিয়েছিলাম, এখন দুঃখের বন্ধনে আছ। তোমরা এখন বুঝতে পারো সবাই ৮৪ জন্ম নেয় না। ৮৪ লাখের চক্র তো কারও বুদ্ধিতে বসতে পারে না। বাবা ৮৪-র চক্র একেবারে ঠিক বলেছেন। বাবার বাচ্চারা ৮৪ জন্ম নিতে থাকে। এখন তো তুমি জানো আমি আত্মা এই অর্গ্যান্স দ্বারা শুনি। বাবা এই মুখ দ্বারা শোনাচ্ছেন। বাবা নিজে বলেন, আমাকে এই অর্গ্যান্সের আধার নিতে হয়, এঁর নামকরণ করতে হয় ব্রহ্মা। প্রজাপিতা ব্রহ্মা, সুতরাং মানুষ প্রয়োজন তো না। সূক্ষ্মবতনে থোড়াই বলবে প্রজাপিতা ব্রহ্মা। স্থূল বতনে এসে তিনি বলেন, আমি এই ব্রহ্মা তনে প্রবেশ করে তোমাদের অ্যাডপ্ট করি। তোমরা জানো আমরা আত্মারা ঈশ্বরের কোলে যাই। শরীর ব্যতীত কোল তো হতে পারে না। আত্মা বলে, আমি শরীরের দ্বারা তাঁর হই। এই শরীর তিনি লোন নিয়েছেন। এই জীব-শরীর তাঁর নয়। পরমাত্মা এর মধ্যে প্রবেশ করেছেন। তোমরা আত্মারাও শরীরে প্রবেশ করেছ, করেছ না ! এটা বাবাও বলেন – আমিও এর ভিতরে আছি, কখনো বাচ্চা হয়ে যাই, কখনো মা’ও হয়ে যাই। জাদুকর তো না ! কেউ কেউ আবার এই খেলাকে জাদুকরী মনে করে। দুনিয়ায় ঋদ্ধি সিদ্ধির মিথ্যা কাজ খুব চলে। কৃষ্ণও হয়ে যায়, যাদের মধ্যে কৃষ্ণের ভাব থাকবে তারা তো সহজেই কৃষ্ণকেও দেখবে, তাকে মানতে শুরু করে দেবে তারপরে তার ফলোয়ার্সও হয়ে যাবে। এখানে তো সবটাই হল জ্ঞানের বিষয়। প্রথমে এই দৃঢ় নিশ্চয় থাকতে হবে যে আমি হলাম আত্মা। আর বাবা বলেন, আমি তোমাদের বাবা, আমি তোমাদের ত্রিকালদর্শী বানাই। এ’রকম নলেজ কেউ দিতে পারবে না। ভক্তিমার্গের যখন অন্তের সময় হয় তখন বাবাকে আসতে হয়। যদিও অনেকের শিব লিঙ্গের, অখন্ড জ্যোতি স্বরূপের সাক্ষাৎকার হয়। যার মধ্যে যেমন ভাবনা থাকে তা’ আমি পূরণ করে দিই। কিন্তু আমার সাথে কেউ মিলিত হয় না। আমাকে তো তারা চেনেই না। এখন তোমরা বুঝতে পারছ, বাবাও বিন্দু, আমরাও বিন্দু। আমি, এই আত্মার মধ্যে সেই নলেজ আছে। তোমরা সব আত্মার মধ্যেও নলেজ আছে। এটা কেউ জানে না যে, আমি আত্মা পরমধামে নিবাস করি। যখন তোমরা বাবার সামনে এসে বসো তো অঙ্গরোম রোমাঞ্চিত হয়। অহো ! শিববাবা যিঁনি জ্ঞানের সাগর তিনি এনার মধ্যে বসে আমাদের পড়াচ্ছেন ! আর তো কৃষ্ণ বা গোপীদের বিষয়ই নেই। না এখানে, না সত্যযুগে হবে। ওখানে তো প্রত্যেক প্রিন্স নিজস্ব মহলে থাকে। এই সব বিষয় সেই বুঝবে যে এসে বাবার থেকে উত্তরাধিকার নেবে। সুতরাং এই খুশিও ভিতরে থাকতে হবে। বলেও থাকে – তুমি মাতা-পিতা…. কিন্তু এরও অর্থ বুঝতে পারে না। পিতা তো ঠিক আছে, কিন্তু মাতা তাহলে কা’কে বলা হয় ! মাতা তো অবশ্যই চাই। এই মাতা’র কোনও মাতা হতে পারে না। এই রহস্য খুব স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে এবং বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবা বলেন, তোমাদের মধ্যেও কোনো অপগুণ থাকা উচিত নয়। গেয়েও থাকে – আমি গুণহীন, আমার মধ্যে কোনো গুণ নেই। এখন বাচ্চাদের গুণবান হতে হবে। কোনো কাম থাকবে না, কোনো ক্রোধ থাকবে না। দেহের অহঙ্কারও নিরর্থক।

এই সময় তোমরা এখানে বসে আছ, জানছ যে আমরা এখানে আছি তবুও ম্রিয়মান হও কেন? যাই হোক, এই পরিপক্ক অবস্থা অন্তেই হবে। গায়নও আছে অতীন্দ্রিয় সুখ সম্বন্ধে জানতে চাও তো গোপ গোপীদের জিজ্ঞাসা করো। এ’রকম কেউ বলতে পারে না যে, শতকরা ৭৫ ভাগ অতীন্দ্রিয় সুখে থাকে, এটা অন্তে হবে। এই সময় পাপের বোঝা অনেক। গুরু কৃপায় বা গঙ্গা স্নানে পাপ কাটতে পারে না। অন্তে এসেই বাবা নলেজ দেন। দেখানো হয়েছে, কুমারী বাণ মেরেছে আর মরে গেছে। তারপরে মৃত্যুকালে গঙ্গাজল পান করিয়েছে। এখানে তোমরা যখন বেহুঁশ হয়ে যাও তখন তোমাদের বাবাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়। মামেকম্, এই অভ্যাস বাচ্চাদের হয়ে যাওয়া উচিত। এ’রকম নয় কেউ স্মরণ করিয়ে দেবে। শরীর ছাড়ার সময় আপনা থেকেই স্মরণে আসবে, কারও সাহায্য ছাড়াই তোমাদের বাবাকে স্মরণ করতে হবে। দুনিয়ার লোকে তো মন্ত্র দেয়। সেটা তো কমন বিষয়। সেই সময় খুব মারামারি ইত্যাদি হয়। তোমরা বিভিন্ন স্থানে থাকো। সেই সময় শিব শিব এমন বলতে বলবে না। সেই সময় সম্পূৰ্ণ স্মরণে থাকতে হবে, তাঁর প্রতি লাভ থাকতে হবে। শুধুমাত্র তখনই নম্বর ওয়ান পদ প্রাপ্ত করতে পারবে। তোমরা বাচ্চারা জানো আমি তোমাদের বাবা, পূর্ব কল্পেও তোমাদের সুন্দর ফুল (গুল গুল) তৈরি করেছিলাম। সত্যযুগে যোগবলের দ্বারা ফুল বাচ্চারা জন্ম নেবে। দুঃখ দেবে এমন কোনো ব্যাপার ওখানে হয় না। নামই স্বর্গ। কিন্তু সেখানে কা’রা বাস করে তা’ ভারতবাসী জানে না। শাস্ত্রে এমন অনেক কথা লিখে দিয়েছে যে ওখানে হিরণ্যকশিপু প্রমুখেরা ছিলো, এই সবই ভক্তির সামগ্রী। ভক্তিও প্রথমে সতোপ্রধান হয়, পরে ধীরে ধীরে তমোপ্রধান হয়ে যায়।

বাবা বলেন, আমি তোমাদের আকাশের উপরে নিয়ে যাই। তোমরা ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসো। কোনও মানুষের মহিমা হয়ই না। সকলের সদ্গতি দাতা এক বাবাই। আর অন্য গুরুরা অনেক রকমের তীর্থ যাত্রা ইত্যাদি শেখান, তবুও নীচে পড়তে থাকে। ভক্তিমার্গে মীরার যদিও সাক্ষাৎকার হয়েছিল, কিন্তু সে থোড়াই বিশ্বের মালিক হয়েছে ! বাবা তো তোমাদের বলেন জ্বীন (জিন) হও। তোমাদের কাজ দিচ্ছি শুধু মাত্র আল্লাহ আর বাদশাহী (অল্ফ আর বে) স্মরণ করতে থাকো। যদি ক্লান্ত হয়ে যাবে, স্মরণ না করবে তো মায়া কাঁচা খেয়ে নেবে। একটা কাহিনীও আছে জ্বীন খেয়ে গেছে। বাবাও বলেন, তোমরা স্মরণ যদি না করবে তো মায়া কাঁচা খেয়ে যাবে। স্মরণে বসলে খুশি বাড়ে। বাবা আমাদের বিশ্বের মালিক বানান। বাবা সামনে বসে আছেন। তোমরা আত্মারা শুনছ। প্রিয় মিষ্টি বাচ্চারা আমি তোমাদের মুক্তিধামে নিয়ে যেতে এসেছি। যদিও ফিরে যাওয়ার অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু কেউ যেতে পারে না। কলিযুগের পরে সত্যযুগ, রাতের পরে দিন আসতেই হবে। তোমরা জানো সত্যযুগে আমরাই বিদ্যমান থাকবো। বাবা আবারও আমাদের রাজ্যভাগ্য দিচ্ছেন। অন্তে খুশির পারা উঠবে। যখন ফাইনাল হবে, বিনাশ হয়ে যাবে। তোমরা সাক্ষী হয়ে দেখতে থাকবে। রক্তক্ষয়ী খেলা তো না ! লোকে কী পাপ করেছে যে মারার জন্য বম্বস্ ইত্যাদি বানিয়েছে ! মরবে তো অবশ্যই। তারাও ভাবে, কেউ আমাদের এই কাজে প্রেরণা দিচ্ছে। যা না চাইলেও এই বম্বস্ ইত্যাদি আমরা বানাই। অনেক খরচ হয়। ড্রামাতে লিপিবদ্ধ আছে, এতে বিনাশ হতেই হবে। অনেক ধর্মের মাঝে এক ধর্ম রাজত্ব করতে পারে না। এখন অনেক ধর্মের বিনাশ হয়ে এক ধর্মের স্থাপন হওয়ার আছে।

তোমরা জানো, আমরা বাবার শ্রীমতে রাজ্য স্থাপন করছি। তারা তো চলে যায় ময়দানে ড্রিল ইত্যাদি শিখতে। তারা বোঝে, মরতে হবে এবং মারতে হবে। এখানে তো সেই ব্যাপার নেই। খুব খুশি থাকা উচিত যে, বাবা এসেছেন। প্রাচীন ভারতের রাজযোগ নিরাকার ভগবানই শিখিয়েছিলেন। নাম বদলে কৃষ্ণ নামের উল্লেখ করেছে। সন্ন্যাসীরা মনে করে প্রাচীন যোগ তাদেরই। কত স্পষ্টভাবে তোমাদের বোঝানো হয় ! বাচ্চারা, তোমরা আমায় চেনো – আমি তোমাদের বাবা ! আমাকেই তোমরা পতিত-পাবন, জ্ঞানের সাগর বলে থাকো। কৃষ্ণ তো পতিত দুনিয়ায় আসতে পারে না। কৃষ্ণকে আবার দ্বাপরে নিয়ে গেছে। কত ভ্রান্ত ধারণা, একেবারে তমোপ্রধান হয়ে গেছে। আমি তখনই আসি যখন সবাইকে মুক্তিধামে নিয়ে যেতে হবে।

তোমরা জানো, আমরা পড়ছি। আমরা গডলি স্টুডেন্ট। এটাই বারবার স্মরণ করতে থাকো তবে রোম রোম রোমাঞ্চিত হবে। বাবা তোমরা সব বাচ্চাকে জ্ঞানের গর্ভ ধারণ করাচ্ছেন। তাহলে কেন তোমরা সেটা ভুলে যাচ্ছ? বাচ্চা জন্ম নেওয়ার সাথে সাথেই বাবা বলতে শুরু করে দেয়। বুঝতে পারে আমি উত্তরাধিকারী। সুতরাং নিরন্তর ‘দাদে’কে (ঠাকুরদা) স্মরণ করো। বাবা উপায় বলেন, বাচ্চারা কাম মহাশত্রু, এটাই আদি-মধ্য-অন্ত তোমাদেরকে দুঃখ দিয়েছে। এটা মৃত্যুলোক, বেশ্যালয়। রাম শিবালয় গঠন করেন, যেখানে দেবী-দেবতা ধর্মের রাজত্ব থাকে। কিন্তু তাঁরা কীভাবে রাজ্য নিয়েছেন, কবে নিয়েছেন, সেটা তোমরা এখন জেনে গেছ। লোকে মনে করে গড গডেজ কখনো পুনর্জন্ম নেন না। গুরুত্বপূর্ণ কোনো একজনও যদি এই বিষয় বুঝতে পারে তাহলে আওয়াজ ছড়িয়ে পড়বে। গরিবের তো কোনো কথা কেউ শোনে না। তোমাদের মধ্যেও ধারণার নম্বর ক্রম আছে। স্কুল একই। টিচার একই। আর পড়ুয়া সকলেই নম্বর ক্রমানুসারে। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর গুড সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) মায়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জ্বীন হয়ে বাবা আর বাদশাহী নিরন্তর স্মরণ করো। মাথার উপর যে পাপের বোঝা আছে তা’ যোগবলের দ্বারা সরিয়ে দিতে হবে। অতীন্দ্রিয় সুখে থাকতে হবে।

২ ) মুখে শুধু শিব শিব করা নয়, বাবার সঙ্গে সত্যিকারের ভালোবাসা থাকতে হবে। কাঁটা থেকে ফুল বানানোর সেবায় তৎপর থাকতে হবে।

বরদানঃ-

সদা বিজয়ী হওয়ার সহজ সাধন হলো – এক বল, এক ভরসা। একের প্রতি ভরসা থাকলে বল প্রাপ্ত হয়। নিশ্চয় সদা নিশ্চিন্ত বানায় আর যাদের নিশ্চিন্ত স্থিতি, তারা সব কাজে সফল হয়, কারণ নিশ্চিন্ত থাকায় বুদ্ধি যথার্থভাবে জাজমেন্ট করে। সুতরাং যথার্থ নির্ণয়ের আধার – নিশ্চয়বুদ্ধি, নিশ্চিন্ত। ভাববারও আবশ্যকতা নেই, কারণ তোমাদের শুধু ফলো ফাদার করতে হবে, কদমে কদম রাখতে হবে, যে শ্রীমৎ পাও তদনুসারে চলতে হবে। শ্রীমতের কদমে কদম রেখে চলো, তাহলে বিজয়ী রত্ন হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরীজীর অমূল্য মহাবাক্যঃ –

এই সঙ্গম সময়ে যে ঈশ্বরীয় নলেজ আমাদের প্রাপ্ত হচ্ছে, এই নলেজ আবারও সত্যযুগে কি প্রাপ্ত হবে? এখন এই বিষয়ে বোঝানো হয় যে, সত্যযুগে তো আমরা নিজেরাই জ্ঞান স্বরূপ। দৈবী প্রালব্ধ ভোগ করি, ওখানে জ্ঞানের লেনদেন হয় না, জ্ঞানের প্রয়োজন তো অ-জ্ঞানীদের। সত্যযুগে তো সবাই জ্ঞানস্বরূপ, ওখানে কোনো অ-জ্ঞানী কেউ থাকে না, যেখানে জ্ঞান দেওয়ার প্রয়োজন হবে। এই সময় আমরা সমগ্র অসীম ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তকে জানি। আদিতে আমরা কে ছিলাম, কোথা থেকে এসেছি আর মধ্যে কর্মবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তারপরে কীভাবে অধঃপতিত হয়েছি, অন্তে আমাদের কর্মবন্ধনের ঊর্ধ্বে গিয়ে কর্মাতীত দেবতা হতে হবে। এখন যে পুরুষার্থ চলছে, তার থেকে আমরা ভবিষ্যৎ প্রালব্ধ হিসেবে সত্যযুগী দেবতা হই। যদি ওখানে আমাদের এটা জানা থাকে যে আমরা দেবতারা অধোগামী হবো, তাহলে সেটা খেয়াল করলেই খুশি গায়েব হয়ে যেতো। তাইতো অধোগামী হওয়ার নলেজ ওখানে থাকে না। এই চেতনা ওখানে থাকে না, এই নলেজ এখন আমরা জানতে পারি যে আমাদের আরোহণ করতে হবে আর সুখের জীবন বানাতে হবে। অর্ধেক কল্প নিজের প্রালব্ধ ভোগ করে তারপরে আবার নিজেরা নিজেদেরকে ভুলে গিয়ে মায়ার বশ হয়ে অধঃপতিত হই। এই আরোহণ অবরোহণ অনাদি খেলা পূর্ব নির্ধারিত। এই সমগ্র নলেজ এখন বুদ্ধিতে আছে, এটা সত্যযুগে থাকে না। আচ্ছা – ওম্ শান্তি।

নোটঃ – “জ্বীন” (জিন্ন) কাল্পনিক রূপে জাদুশক্তিতে পরিপূর্ণ এক মানুষের নাম। এই নাম এক সময় সেই মানুষের (পুরুষ) জন্য প্রয়োগ হতো যে শুধু নিজের ইচ্ছাতে নিজের জীবনের সব প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারে। সে উধাও হয়ে) যেতে পারে, উড়তে পারে, যে কোনও জীব বা বস্তুর রূপ ধারণ করতে পারে, যে কোনো স্থানে ইচ্ছা মাত্র পৌঁছাতে পারে, আর কোনো বস্তু নিজের ইচ্ছামাত্র পেতে পারে। সেই সমস্ত কাজ যা একজন মানুষ কয়েক বছর ধরে পরিশ্রম করার পরে করতে পারে, সে শুধু নিজের ইচ্ছাতে করতে পারে।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top