11 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

10 March 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - এটা হলো তোমাদের অন্তিম জন্ম, এইজন্য বিকারের সন্ন্যাস করো। এই অন্তিম জন্মে রাবণের জেল থেকে নিজেকে মুক্ত করো”

প্রশ্নঃ --

কোন্ বাচ্চাদের বাবার সহায়তা প্রাপ্ত হয় ? বাবা কোন্ বাচ্চাদের থেকে সর্বদা সন্তুষ্ট থাকেন ?

উত্তরঃ -:-

বাবার সাহায্য তাদেরই প্রাপ্ত হয় – যারা সত্যিকারের হৃদয়বান হয়। বলা হয় সত্য হৃদয়ে সাহেব সন্তুষ্ট থাকেন। যে বাবার প্রত্যেক নির্দেশকে জীবনে ধারণ করে, বাবা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন। বাবার নির্দেশ হলো স্মরণে থেকে পবিত্র হয়ে পুনরায় সেবা করো, সবাইকে রাস্তা বলে দাও। শূদ্রের সঙ্গ থেকে নিজেকে রক্ষা করো। কর্মেন্দ্রিয় দিয়ে কখনো কোনো খারাপ কাজ করো না। যারা এইসব কথাগুলিকে ধারণ করে, বাবা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন।

গান:-

আমাকে সহায়তা প্রদানকারী তোমায় অন্তর থেকে ধন্যবাদ…

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা এখানে জ্ঞান শুনছে। কার জ্ঞান ? কোনও শাস্ত্রের কি ? না। বাচ্চারা জানে যে শাস্ত্রের জ্ঞান তো সকল মানুষ মাত্রই নেয়। আমাদেরকে এখানে পরমপিতা পরমাত্মা জ্ঞান দিচ্ছেন। কোনও শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ে অথবা অধ্যয়ন করে সন্ন্যাসী এইরকম বলতে পারবে না। তারা কোনো জ্ঞান শোনায় না। কোনো সৎসঙ্গে গেলে দেখবে সেখানে কোনো ব্যক্তি বসে থাকে, তাদেরকে শাস্ত্রীজি, পন্ডিতজি বা মহাত্মাজী বলা হয়। নামের মহত্ত্ব রাখেই মানুষের সাথে। এখানে বাচ্চারা জানে যে আমাদেরকে কোনও মানুষ জ্ঞান দেন না। কিন্তু মানুষের দ্বারা নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা জ্ঞান প্রদান করেন। এইসব কথা কোন সৎসঙ্গে শোনানো হয় না। ভাষণ যারা করে তাদের বুদ্ধিতেও এইসব কথা হতে পারে না। আমাদেরকেও যিনি জ্ঞান প্রদান করছেন তিনি কোনও মানুষ বা দেবতা নন। যদিও এই সময় দেবী-দেবতা ধর্ম নেই তথাপি ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকর সূক্ষ্মবতনবাসী যারা আছেন, তাদের নাম তো গাওয়া হয়ে থাকে। লক্ষ্মী-নারায়ণ ইত্যাদি এঁনারা সবাই হলেন দৈবী গুণ যুক্ত মানুষ। এই সময় সবাই হল আসুরিক গুণযুক্ত মানুষ। কোনো মানুষ এটা বুঝতে পারে না যে আমরা হলাম আত্মা। অমুকের দ্বারা পরমাত্মা আমাদেরকে জ্ঞান প্রদান করছেন। তারা তো বুঝতে পারে যে অমুক মহাত্মা, অমুক শাস্ত্রী আমাদেরকে শাস্ত্রের কথা শোনাচ্ছেন। বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি শোনাচ্ছে, গীতা শোনাচ্ছে। বাবা বলেন যে আমি তোমাদেরকে এইরকম শাস্ত্রের কথা শোনাই না। তোমরা তো নিজেদেরকে আত্মা নিশ্চয় করো আর পুনরায় বলো যে পতিত-পাবন এসো। সকলের দুঃখ হর্তা সুখ কর্তা, তিনি হলেন সকলের শান্তিদাতা, সকলের মুক্তি-জীবন্মুক্তি দাতা। তিনি তো কোনো মানুষ হতে পারেন না। মানুষ সকাল সকাল উঠে কতইনা ভক্তি করে। কেউ ভজন গায়, কেউ শাস্ত্রের কথা শোনাতে থাকে – একে বলা যায় ভক্তিমার্গ। ভক্তিমার্গের আত্মাদের এটা জানা নেই যে ভক্তিমার্গ কাকে বলা যায়। এখানে সব জায়গায় ভক্তিই ভক্তি। জ্ঞান হল দিন আর ভক্তি হল রাত। যখন জ্ঞান থাকে তখন ভক্তি নেই। যখন ভক্তি আছে তখন জ্ঞান নেই। দ্বাপর কলি যুগ হলো ভক্তি, সত্যযুগ ত্রেতা হলো জ্ঞানের ফল। সেই জ্ঞানের সাগরই ফল প্রদান করেন। ভগবান কি ফল দেবেন! ফল মানে উত্তরাধিকার। ভগবান মুক্তির উত্তরাধিকার প্রদান করেন। নিজের সাথে মুক্তিধামে নিয়ে যান। এই সময় মানুষ এত অধিক সংখ্যক হয়ে গেছে যে থাকার জায়গাই নেই, আনাজ নেই, এইজন্য ভগবানকে আসতে হয়। রাবণ সবাইকে পতিত বানায় পুনরায় পতিত-পাবন এসে পবিত্র তৈরি করেন। পাবন যিনি করেন আর পতিত যে করে এরা দুজনেই হল আলাদা আলাদা। এখন তোমরা জেনে গেছ যে পাবন দুনিয়াকে পতিত কে বানায় আর পতিত দুনিয়াকে পবিত্র কে তৈরি করেন! বলে যে পতিত-পাবন এসো – এক বাবাকেই আহ্বান করে। সকলের পালন কর্তা হলেন এক। সত্যযুগে কোনো বিকারী থাকতে পারে না। পতিত অর্থাৎ যে বিকারে যায়। সন্ন্যাসীরা বিকারে যায়না, এই জন্য তাদেরকে পতিত বলা হয় না। বলা যায় যে, পবিত্র আত্মা, পাঁচ বিকারের সন্ন্যাস করেছে, নম্বর ওয়ান বিকার হল কাম। ক্রোধ তো সন্ন্যাসীদের মধ্যেও অনেক আছে। স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়, মনে করে যে তাদের সঙ্গে থাকলে মানুষ নির্বিকারী থাকতে পারবে না। বিবাহ করার মানেই হলো এটা। সত্য যুগে এই সব নিয়ম নেই। বাবা বোঝান যে বাচ্চারা সেখানে পতিত কেউই থাকেনা। দেবতাদের মহিমা হলো সর্বগুণ সম্পন্ন, সম্পূর্ণ নির্বিকারী। রাবণ রাজ্য শুরু হয় দ্বাপর যুগ থেকে। বাবা নিজে বলছেন যে – কামকে জয় করো। তোমরা আমাকে স্মরণ করো আর পবিত্র দুনিয়াকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা পতিত হবেনা। আমি পবিত্র দুনিয়া স্থাপন করার জন্য এসেছি আর দ্বিতীয় কথা হল এক বাবার বাচ্চা ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণী হওয়ার দরুন তোমরা নিজেদের মধ্যে ভাই-বোন হয়েছো। এই কথাটা যতক্ষণ ভালোভাবে কারোর বুদ্ধিতে না বসে, ততক্ষণ বিকার থেকে মুক্তি পেতে পারে না। যতক্ষণ ব্রহ্মার সন্তান না হয়েছো ততক্ষণ পবিত্র হওয়া খুবই কঠিন। সাহায্য প্রাপ্ত হবেনা। আচ্ছা ব্রহ্মার কথা ছাড়ো। তোমরা বলো যে, আমরা হলাম ভগবানের বাচ্চা, সাকারে বলে থাকো এই হিসাবে তোমরা ভাই-বোন হয়ে গেছো। পুনরায় বিকারে যেতে পারবে না। এমনিতে তো সবাই বলে যে আমরা হলাম ঈশ্বরের সন্তান আর বাবা বলেন যে বাচ্চারা আমি এসে গেছি, এখন যে যে আমার হবে তারা নিজেদের মধ্যে ভাই-বোন হয়ে থাকবে। ব্রহ্মার দ্বারা ভাই-বোনের রচনা হয়, তাই পুনরায় বিকারে যেতে পারবে না।

বাবা বলেন যে এটা হলো তোমাদের অন্তিম জন্ম। এক জন্মের জন্য তো এই বিকারকে ত্যাগ করো। সন্ন্যাসীরা বিকার ত্যাগ করে জঙ্গলে যাওয়ার জন্য। তোমরা বিকার ত্যাগ করো পবিত্র দুনিয়াতে যাওয়ার জন্য। সন্ন্যাসীদের কোনো প্রলোভন থাকে না। গৃহস্থীরা তাদেরকে অনেক সম্মান দেয়। কিন্তু তারা কোনও মন্দিরের পূজার যোগ্য হয় না। মন্দিরে পূজনীয় যোগ্য হলেন দেবতারাই হয় কেননা তাদের আত্মা আর শরীর দুটোই হল পবিত্র। এখানে আমাদের পবিত্র শরীর প্রাপ্ত হয় না। এটা তো হল তমোপ্রধান পতিত শরীর। পাঁচ তত্ত্বও হলো পতিত। সেখানে আত্মাও পবিত্র থাকে তো পাঁচ তত্ত্বও সতোপ্রধান পবিত্র থাকে। এখন আত্মাও তমোপ্রধান তো তত্ত্বও তমোপ্রধান হয়ে গেছে এই জন্য বন্যা, তুফান ইত্যাদি কতই না হতে থাকে। কাউকে দুঃখ দেওয়া – এটা হল তমোগুণ। সত্যযুগে তত্ত্বও কাউকে দুঃখ দেয় না। এই সময় মানুষের বুদ্ধিও তমোপ্রধান হয়ে গেছে। সতঃ, রজঃ, তমঃতেও অবশ্যই আসতে হয়। না হলে তো পুরানো দুনিয়া কীভাবে হবে, যেটাকে পুনরায় নতুন বানানোর জন্য বাবা আসবেন। এখন বাবা বলছেন বাচ্চারা, পবিত্র হও। এই অন্তিম জন্মে রাবণের জেল থেকে নিজেকে মুক্ত করো। আসুরিক মতে চলে অর্ধেক কল্প তোমরা পতিত হয়ে থেকেছো, এটা অনেক খারাপ অভ্যাস হয়ে গেছে। সব থেকে বড় শত্রু হলো কাম। ছোট বয়সেই বিকারে চলে যায়, সঙ্গই এই রকম প্রাপ্ত হয়। সময়ই হলো এ’রকম, পতিত অবশ্যই হতে হয়। সন্ন্যাস ধর্মেরও পার্ট আছে। সৃষ্টিকে জ্বলে মরার থেকে কিছুটা বাঁচায়। এখন ড্রামাকেও তোমরা বাচ্চারা জেনে গেছো। যদিও বলে যে খ্রীস্টান ধর্মের এত বছর হয়ে গেছে কিন্তু এটা জানে না যে খ্রীস্টান ধর্মের শেষ কবে হবে! বলে যে কলিযুগ এখনো ৪০ হাজার বছর চলবে তো খ্রীস্টান ইত্যাদি সকল ধর্ম ৪০ হাজার বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে থাকবে! এখন পাঁচ হাজার বছরেই জায়গা ফাঁকা নেই, তো ৪০ হাজার বছরে জানা নেই যে কি হয়ে যাবে। শাস্ত্রে তো অনেক গল্প কথা লিখে দিয়েছে এই জন্য কোনো কোনো বিরল মানুষই আছে যে এই কথাগুলোকে বুঝে প্রত্যেক কদমে শ্রীমত অনুসারে চলবে। শ্রীমত অনুসারে চলা কতোই না ডিফিকাল্ট। লক্ষ্মী-নারায়ণ, যাঁদেরকে সমগ্র দুনিয়া নমন করে – তোমরাই এখন সেইরকম তৈরী হচ্ছ। এটা কেবল তোমরাই জানো, সেটাও নম্বরের ক্রমানুসারে। এখন বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো আর নিজ গৃহকে স্মরণ করো। নিজের গৃহ তো তাড়াতাড়ি স্মরণে এসে যায় তাই না। মানুষ আট দশ বছর বাইরে বাইরে ঘুরে যখন বাড়ি ফিরে আসে তখন অনেক খুশি হয় যে এখন আমি নিজের জন্মভূমিতে যাচ্ছি। এখন সেই মুসাফির হয় অল্প সময়ের জন্য, এই জন্য ঘরকে ভুলে যায় না। এখানে তো ৫ হাজার বছর হয়ে গেছে এজন্য ঘরকে তো একদমই ভুলে গেছো।

এখন বাবা এসেছেন বলছেন যে – বাচ্চারা এটা হল পুরানো দুনিয়া, এখানে তো আগুন লেগে যাবে। কেউই বাঁচবে না, সবাইকে মরতে হবে, এই জন্য এই জরাজীর্ণ দুনিয়া আর জরাজীর্ণ শরীরের প্রতি ভালোবাসা রেখো না। শরীর পরিবর্তন হতে হতে পাঁচ হাজার বছর হয়ে গেছে। ৮৪ বার শরীর পরিবর্তন করে এসেছ। এখন বাবা বলছেন তোমাদের ৮৪ জন্ম সম্পন্ন হয়েছে, তবেই তো আমি এসেছি। তোমাদের পার্ট সম্পূর্ণ হয়েছে তো সকলেরই সম্পূর্ণ হয়েছে। এই নলেজকে ধারণ করতে হবে। সমগ্র জ্ঞান বুদ্ধিতে আছে। বাবার দ্বারা নলেজ ফুল হয়ে পুনরায় সমগ্র বিশ্বের মালিক হয়ে যাও আর বিশ্বও নতুন হয়ে যায়। ভক্তিমার্গের যাকিছু কর্মকাণ্ডের বস্তু আছে, সেসব কিছুই সমাপ্ত করতে হবে। তারপর কোনো একজনও হে প্রভু ! বলার থাকবে না। হায় রাম, হে প্রভু এই শব্দ দুঃখতেই বলে থাকে। সত্যযুগে তো এইসব বেরোবে না কেননা সেখানে দুঃখের কথাই নেই। তো এইরকম বাবা, যাকে স্মরণ করা যায়, তাঁর মতে কেন চলবে না! ঈশ্বরীয় মতে চললে সদা সুখী হয়ে যাবে। এসব বুঝেও যদি শ্রীমতে না চলে, তো তাকে মহামূর্খ বলা যায়। ঈশ্বরীয় মত আর আসুরিক মত এই দুটোতে রাত দিনের পার্থক্য হয়ে যায়। এখন বিচার করতে হবে যে আমি কোন্ দিকে যাব। মায়ার দিকে তো দুঃখই দুঃখ আছে, ঈশ্বরের দিকে ২১ জন্মের সুখ আছে। এখন কার মতো চলবে!

বাবা বলেন, শ্রীমতে চলতে চাও তো চলো। প্রথম কথা হল কামের উপর বিজয় প্রাপ্ত করো। তার থেকেও প্রথম কথা হলো আমাকে স্মরণ করো। এই পুরানো শরীর তো ত্যাগ করতেই হবে। এখন পুনরায় বাড়ি ফিরে যেতে হবে। এই সময় আমাদের এটাই স্মরণে থাকে যে আমি ৮৪ জন্মের পুরানো শরীর ত্যাগ করছি। সেখানে সত্যযুগে এই জ্ঞান থাকে যে, এই বৃদ্ধ শরীর ছেড়ে পুনরায় শিশুর শরীরে আসব। এই পুরানো দুনিয়ার মহাবিনাশ হবে। এইসব কথা কোনও শাস্ত্রে নেই। এটা বাবা বসে সম্মুখে বসে বোঝাচ্ছেন। এইসব কথা মনে থাকলে তো অহো সৌভাগ্য। কত সহজ। তথাপি জানা নেই সুইট হোম আর সুইট রাজধানীকে কেন ভুলে যায়। স্মরণ কেন করে না! সঙ্গদোষে এসে খারাপ হয়ে যায়। বাবা বলেন, বাচ্চারা খারাপ বিকল্প অনেক আসবে, কিন্তু কর্মেন্দ্রিয় দিয়ে কোনও খারাপ কাজ করবে না। এমন নয় যে বিকর্ম করে পুনরায় লেখ, বাবা এই বিকর্ম হয়ে গেছে, ক্ষমা করো। বিকর্ম করেছো তো তার কারণে একশত গুণ শাস্তি ভোগ করতে হবে। এক তো, না বলার জন্য শাস্তি পেতে হয়। এই সময় জানা যায় যে অজামিল কে হয়। যে ঈশ্বরের কোল নিয়ে পুনরায় বিকারে যায়, তো বোঝা যায় যে এ হলো বড় অজামিল, পাপাত্মা, যে বিকার ছাড়া থাকতে পারে না। বায়োস্কোপ (সিনেমা) সবাইকে খারাপ করে দেয়। তোমাদেরকে যে কোনো বিকার থেকে দূরে পালিয়ে যেতে হবে। ব্রাহ্মণ হলো নির্বিকারী তাই সঙ্গও ব্রাহ্মণেদের চাই। শূদ্রদের সঙ্গে থাকলে দুঃখী হয়। শরীর নির্বাহের জন্য সব কিছু করতেই হয়। কিন্তু কর্মেন্দ্রিয় দিয়ে কোনো বিকর্ম করবে না। হ্যাঁ, বাচ্চাদেরকে শোধরানোর জন্য বোঝাতে হয়, কোনো না কোনো যুক্তি দিয়ে হালকা শাস্তি দিতে হয়। রচনা রচিত হয়েছে তো দায়িত্বও আছে। তাদেরকেও সত্যিকারের উপার্জন করাতে হবে। ছোট ছোট বাচ্চাদেরকেও অল্প বেশি শেখানো ভালো। শিব বাবাকে স্মরণ করলে সাহায্য প্রাপ্ত হবে। সত্য হৃদয়ে সাহেব খুশি হন। সত্যিকারের হৃদয় যুক্ত বাচ্চাদেরই বাবার সহায়তা প্রাপ্ত হয়। এখন সমগ্র দুনিয়াতে কেউই কারোর সহায়তা করে না। সহায়তা প্রাপ্ত হয় সুখে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এক পরমাত্মাকেই স্মরণ করে, তিনিই এসে সবাইকে শান্তি দেন। সত্যযুগে সবাই সুখী হয়। বাকি সকল আত্মারা শান্তির দেশে থাকে। ভারত স্বর্গ ছিল, সবাই বিশ্বের মালিক ছিল। অশান্তি মারামারী কিছুই ছিল না। অবশ্যই সেই নতুন দুনিয়া বাবা’ই রচনা করেছিলেন। বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়েছিল। কীভাবে ? সেটাও কেউ বুঝতে পারে না। তাকে রামরাজ্য বলা হতো। এখন নেই। ছিল তো একসময় তাই না! সেই ভারত যা পূজ্য ছিল এখন পূজারী হয়ে গেছে পুনরায় পূজ্য অবশ্যই হবে। এখন তোমরা পুরুষার্থ করছো। শিব ভগবানুবাচ, শ্রীকৃষ্ণের আত্মা অন্তিম জন্মে শুনছে, পুনরায় কৃষ্ণ হবে। সকালে উঠে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। সেই সময়টা খুবই ভালো। ভাইব্রেশনও শুদ্ধ থাকে। যেরকম আত্মা রাতে ক্লান্ত হয়ে যায়, তো বলে যে আমি ডিট্যাচ হয়ে যাই। তোমাদেরও এখানে থেকেও বুদ্ধির যোগ সেখানে লাগিয়ে রাখতে হবে। অমৃতবেলায় উঠে স্মরণ করলে দিনেও স্মরণ আসবে। এই হল উপার্জন। যত স্মরণ করবে ততই বিকর্মাজিৎ হতে পারবে, ধারণা হবে। যে পবিত্র হয়, স্মরণে থাকে, সে-ই সার্ভিস করতে পারবে। নির্দেশ অনুসারে চললে তো বাবাও খুশি হন। প্রথমে সেবা করতে হবে, সবাইকে রাস্তা বলে দিতে হবে। যোগের রাস্তা বলার জন্যও তো জ্ঞান দিতে হবে তাই না! যোগে থাকলে বিকর্ম বিনাশ হবে। সাথে চক্রও ঘোরাতে হবে। রূপ বসন্ত হতে হবে। তখন বুদ্ধিতে পয়েন্ট্সও আসতে থাকবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এই জীর্ণ হয়ে যাওয়া দুনিয়া আর জীর্ণ হয়ে যাওয়া শরীরের থেকে মমত্ব সরিয়ে নিয়ে এক বাবাকে আর নিজ গৃহকে স্মরণ করতে হবে। শূদ্রদের সঙ্গ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে।

২ ) বিকর্মাজিৎ হওয়ার জন্য অমৃত বেলায় উঠে স্মরণে বসতে হবে এই শরীরের থেকে ডিট্যাচ্ হওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

বরদানঃ-

যথার্থ বেঁচে থেকেও মরে যাওয়া অর্থাৎ সদাকালের জন্য পুরানো সংসার বা পুরানো সংস্কারের থেকে সংকল্প আর স্বপ্নেও মরে যাওয়া। মরে যাওয়া মানে পরিবর্তন হওয়া। তাদেরকে কোনও আকর্ষণই নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারেযনা। তারা কখনোই বলতে পারে না যে কি করব, চাইনি অথচ হয়ে গেছে… কোনো কোনো বাচ্চা বেঁচে থেকেও মরে গিয়ে পুনরায় জীবিত হয়ে যায়। রাবণের একটা মাথা শেষ করে দিলে যেমন অন্য মাথা এসে যায়, কিন্তু ফাউন্ডেশনকেই যদি শেষ করে দেওয়া যায় তাহলে রূপ বদল করে মায়া যুদ্ধ করতে পারবে না।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top