11 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
10 June 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - ব্রাহ্মণ হয়ে এমন কোনো কাজ করবে না যাতে বাবার নাম বদনাম হয়, চাকরি বা ব্যবসা ইত্যাদি করো কিন্তু শ্রীমৎ অনুসারে চলো"
প্রশ্নঃ --
গডলী স্টুডেন্টদের মুখ থেকে কখনো কোন্ শব্দ নির্গত হওয়া উচিত নয় ?
উত্তরঃ -:-
আমাদের পড়াশোনা করবার জন্য সময় নেই, এই শব্দ তোমাদের মুখ থেকে কখনো নির্গত হওয়া উচিত নয়। বাবা কোনো বাচ্চাদের উপরে কোনো সমস্যার বোঝা চাপানো না, কেবল বলেন ভোর বেলা উঠে এক ঘন্টা, আধ ঘন্টা আমাকে স্মরণ করো আর ঈশ্বরীয় পাঠ পড়ো।
প্রশ্নঃ --
মানুষের প্ল্যান কী আর বাবার প্ল্যান কী ?
উত্তরঃ -:-
মানুষের প্ল্যান হল – সবাই মিলে গিয়ে এক হয়ে যাক। নর চায় এক আর…. বাবার প্ল্যান হল মিথ্যা খন্ডকে সত্য খন্ড বানানো। তাই সত্য খন্ডে যাওয়ার জন্য অবশ্যই সত্য হতে হবে।
ওম্ শান্তি । বাচ্চারাও বলে ওম্ শান্তি। আত্মারা তাদের শরীরের দ্বারা বলতে পারে ওম্ শান্তি। অহম্ আত্মার স্বধর্ম হল শান্ত, এটা ভুললে চলবে না। বাবাও এসে বলেন ওম্ শান্তি। যেখানে তোমরা বাচ্চারা শান্ত থাকো, সেখানে বাবাও থাকেন। সেটা হল আমাদের শান্তিধাম বা ঘর। জগতের কোনো বিদ্বান বা আচার্য এই সব কথাকে জানে না। তারা বলে দেয় আত্মাই পরমাত্মা। আত্মার বিষয়েও কারো কোনো জ্ঞান নেই যে, আত্মা কি ? এত কোটি কোটি মানুষ হল স্টারের মতো। প্রত্যেক আত্মার মধ্যে আলাদা আলাদা অবিনাশী পার্ট নিহিত রয়েছে, যা সময় মতো ইমার্জ হতে থাকে। এই সব কথা বাবা বসে বোঝান। বাবাও জীব আত্মা না হলে পরে জীব আত্মাদেরকে বোঝাতে পারেন না। আমারও নিশ্চয়ই শরীরের প্রয়োজন, তাই না ? শরীর তখনই নিতে হয় যখন রচনা রচিত করতে হয়। প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা রচনা রচিত করেন, রচয়িতা তো হলেন নিরাকার শিব। প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রহ্মাকুমার কুমারীদেরকে বোঝাচ্ছি, শূদ্রদেরকে নয়। এখন আমাদের হল ব্রাহ্মণ ধর্ম। আগে শূদ্র ধর্মে ছিলাম। তারও আগে বৈশ্য বর্ণ, ক্ষত্রীয় বর্ণে। জগতের মানুষ এই সব কথা জানেই না। অবশ্যই ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা তারপর ক্ষত্রীয়, বৈশ্য, শূদ্র….. ব্রাহ্মণ হল শীর্ষে (টিকিতে)। পূর্বে ব্রাহ্মণরা গরুর খুরের মতো কেশ – শিখা (টিকি) রাখতো। তোমরা ডিগবাজি খেলে থাকো। আমি তো খেলি না। এই বর্ণের চক্রাবর্তে তোমরা আসো। কত সহজ এ’সব কথা। তোমাদের নামই হল স্বদর্শন চক্রধারী। বাকি শাস্ত্র গুলিতে কি না কি লিখে দিয়েছে। তোমরা মনে করো – তোমরা ব্রাহ্মণরাই স্বদর্শন চক্রধারী হও। কিন্তু এই অলংকার গুলোর চিহ্ন গুলি দেবতাদেরকে দেওয়া হয়েছে, কারণ তারা হল সম্পূর্ণ। তাদেরই এ’ গুলি শোভা পায়। এই নলেজকে ধারণ করলে তোমরা তারপর চক্রবর্তী রাজা হয়ে যাও। এখন তোমরা সামনে বসে আছো। এ হল রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ । যজ্ঞে ব্রাহ্মণ অবশ্যই চাই। শূদ্র যজ্ঞ রচনা করতে পারে না। রুদ্র শিব বাবা যজ্ঞ রচনা করেছেন, সুতরাং ব্রাহ্মণ তো অবশ্যই চাই। বাবা বলেন আমি ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের সাথেই কথা বলি। কত বড় যজ্ঞ এটা, যখন বাবা আসেন তখনই যজ্ঞ রচিত হয়। একে বলা হয় অশ্বমেধ অর্থাৎ স্বরাজ্য স্থাপন করবার জন্য। কোথায় ? ভারতে ? সত্যযুগী স্বরাজ্য রচনা করেন। একে শিব জ্ঞান যজ্ঞ বলো কিম্বা রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ বলো, সোমনাথ মন্দির তাঁরই। একেরই অনেক নাম। একে যজ্ঞ বলা হয়, পাঠশালা বলা যায় না। বাবা রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করেছেন। যজ্ঞকে পাঠশালা বলা যাবে না। ব্রাহ্মণদের দ্বারা যজ্ঞ রচনা করা হয়। ব্রাহ্মণদেরকে দক্ষিণা প্রদানকারী হলেন ভোলানাথ। তাঁকে বলাই হয় শিব ভোলানাথ ভান্ডারী। এখন তোমরা সামনে বসে আছো। বাপদাদা বাচ্চাদেরকে অ্যাডপ্ট করেছেন। ইনি হলেন বড় মাম্মা। এরপর মাতাদেরকে আগলানোর জন্য মাম্মাকে (ওম রাধে) দায়িত্ব দেওয়া হয়। কারণ তিনি সবার চেয়ে তীক্ষ্ণবুদাধ সম্পন্ন। এনার পার্ট হল মুখ্য। তিনি হলেন জ্ঞান জ্ঞানেশ্বরী জগৎ অম্বা। মহালক্ষ্মীকে জ্ঞান জ্ঞানেশ্বরী বলা যাবে না। লক্ষ্মী মানে ধনের দেবী। বলা হয় না – এনার ঘরে লক্ষ্মী রয়েছে অর্থাৎ অগাধ সম্পত্তি রয়েছে । লক্ষ্মীর কাছে সম্পত্তি প্রার্থনা করে। ১২ মাস শেষ হলেই আহ্বান করে। জগৎ অম্বা সকলের মনোকামনা পূর্ণ করেন। বাচ্চারা জানে যে জগৎ অম্বা হলেন – প্রজাপিতা ব্রহ্মার কন্যা, তাঁর নাম হল সরস্বতী। একটা নামই যথেষ্ট। মাম্মা আছেন তো বাচ্চারাও আছে। তোমরা শিব বাবার দ্বারা নলেজ শুনছো। এনাকে বাবা এসে অ্যাডপ্ট করেছেন, নাম রেখেছেন ব্রহ্মা। তিনি বলেন যে, আমি পতিত শরীরে আসি। শাস্ত্রেও কোথাও এই সব কথা নেই । তোমরা জানো নতুন দুনিয়ার জন্য আমরা পুরুষার্থ করছি। কাঁটার থেকে ফুল হচ্ছি। শূদ্র ছিলাম তাই কাঁটা ছিলাম।এখন ব্রাহ্মণ ফুল হয়েছো। ব্রাহ্মণদেরকে ফুল বানান শিব বাবা। তিনি হলেন বাগানের মালিক। তোমরা হলে নম্বর ওয়ান মালি। যারা ভালো ভালো মালি হয়, তারা অন্যদেরকেও নিজ সমান বানায়। স্যাপলিং লাগাতে থাকেন। নম্বর অনুসারে হয়ে থাকে। একে বলা হয় স্পিরিচুয়াল জ্ঞান। ঈশ্বর হলেন এই জ্ঞানের প্রদাতা। শাস্ত্র ইত্যাদি তো সব মানুষের শোনানো। এই আধ্যাত্মিক (রুহানী) জ্ঞান যা সুপ্রিম রুহ্, রুহ্দেরকে (আত্মাদের) প্রদান করেন। আর কেউই রচয়িতা আর রচনার জ্ঞান পায় না। তারা তো এমনিই গালগল্প শুনিয়ে থাকে। এটা হলই তো মিথ্যার জগৎ। সবই মিথ্যা আর মিথ্যা। আসলে প্রথমে নকল (ইমিটেশনের) অলংকার ইত্যাদি ছিলই না। এখন তো কত রকমের নকল জিনিস পাওয়া যায়। আসল জিনিস রাখতেই দেয় না। মিথ্যা খন্ডে হল রাবণ রাজ্য, সত্য খন্ডে হল রামের স্থাপন করা রাজ্য। এটা হল শিব বাবার স্থাপন করা যজ্ঞ। পাঠশালাও এটা, যজ্ঞও এটা, ঘরও এটা। তোমরা জানো যে আমরা পারলৌকিক বাবা আর তার সাথে প্রজাপিতা ব্রহ্মার সামনে বসে আছি। যতক্ষণ না ব্রাহ্মণ না হচ্ছি ততক্ষণ বর্সা কীভাবে পাবো ! যজ্ঞ রক্ষক প্রকৃত ব্রাহ্মণ প্রয়োজন। বিকারের যারা চলে যায় তাদেরকে ব্রাহ্মণ বলা যায় না। এক পা রাবণের বোটে, দ্বিতীয় পা রামের বোটে হলে তার পরিণাম কী হতে পারে ? চিরে যাবে। এই রকম আচরণের ফলে তখন নাম বদনাম করে দেয়। নিজেকে বলছে প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান আর কর্তব্য হল শূদ্রের। বাবা বলেন, চাকরি ব্যাবসা যাই করো কিন্তু শ্রীমৎ অনুসারে চললে রেসপন্সিবিলিটি তখন ওঁনার হয়ে যায়।
তোমরা এখানে এসেছোই ঈশ্বরীয় মত নিতে। বাইরে হল আসুরিক মত। তোমরা শ্রীমৎ নিয়ে থাকো শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্য। উচ্চ থেকে উচ্চ বাবা উচ্চ মত প্রদান করেন। তোমরা জানো আমরা উচ্চ মত পাই মানব থেকে দেবতা হওয়ার জন্য । আমরা বলেও থাকি যে, আমরা তো সূর্যবংশী রাজা হব। এটা হলই রাজস্ব, প্রজা স্ব নয়। তোমরা রাজা রানী হও, তাহলে তো প্রজা অবশ্যই চাই। যেমন এই মাম্মা বাবা পুরুষার্থের দ্বারা তৈরী হচ্ছেন আর বাচ্চাদেরকে তৈরী হতে হবে। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদেরও খুশী হওয়া উচিত। আমরা ব্রহ্মাকুমারী কুমারীরা হলাম শিব বাবার পৌত্র পৌত্রী। শিবকে প্রজাপিতা বলা হবে না। তিনি হলেন রচয়িতা। স্বর্গে থাকেন দেবতারা। বাবা’ই মানবকে দেবতা বানান। তোমাদের কায়া, কল্প বৃক্ষের মতো তৈরী হয়, রিজ্যুভিনেট (পুনরুজ্জীবিত) হয়। তোমাদের আত্মা কালো হয়ে গেছে, তাকে পিওর গৌর বানাই। যখন তোমরা সম্পূর্ণ পবিত্র হয়ে যাও, তখন আর এই শরীর থাকে না, সেইজন্যই খড়ের গাদায় আগুন লাগবে, যার ফলে সব কিছুর বিনাশ হয়ে যাবে । এ’সব হল অসীমিত বিষয়ের কথা। এ হল অসীমিত আইল্যান্ড আর ওটা হল সীমিত। যত গুলো ভাষা ততো নাম রেখে দিয়েছে। অনেক টাপু (দ্বীপ) রয়েছে। কিন্তু সমগ্র সৃষ্টিই লঙ্কা (টাপু) হয়ে গেছে । সমগ্র সৃষ্টিতে হল রাবণ রাজ্য । গানেওতো শুনলে যে, কী হাল হয়ে গেছে। ওখানে একে অপরকে মারে না। সেখানে তো রাম রাজা, রাম প্রজা…(রামরাজ্যে প্রজারাও বিত্তশালী, সকলের মধ্যেই দাতা ভাব থাকে) বলা হয় দুঃখের কোনো কথাই নেই। কাউকে দুঃখ দেওয়াও হল পাপ। সেখানে এই রাবণ হনুমান ইত্যাদি কোথা থেকে এল ? তোমরা বলতে পারো যে, প্রথম মুখ্য কথা হল – গড ফাদার বললে তবে তিনি সর্বব্যাপী কীকরে হতে পারেন ? তাহলে তো ফাদারহুড হয়ে যায়। সবাই ফাদারই ফাদার তো হতে পারে না।
এখন বাচ্চারা তোমাদের এটা বোঝাতে হবে – অর্ধ কল্প তোমরা মিথ্যা অর্থাৎ নকল জিনিসের উপার্জন করেছো। এখন সত্যখন্ডের জন্য সত্য উপার্জন করতে হবে। তারাও যে শাস্ত্র ইত্যাদি যা কিছু শোনায় সেও উপার্জনের জন্যই। শিববাবা তো এই শাস্ত্র ইত্যাদি পড়েননি। তিনি তো হলেনই নলেজফুল, জ্ঞানের সাগর। তিনি হলেন সত্য, চৈতন্য। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো যে আমরা বাবার থেকে সত্যিকারের উপার্জন করছি সত্যখন্ডের জন্য। মিথ্যা খন্ডের বিনাশ হয়। দেহ সহ এই সব কিছুর বিনাশ হতে হবে। তোমরা সবাই দেখবে যে কীভাবে যুদ্ধ লাগছে। তারা মনে করে আবার সবার মিল হয়ে যাবে, কিন্তু বিভাজন হতেই থাকে। নর চায় এক আর… তাঁর প্ল্যান হল সব কিছুর বিনাশের জন্য। ঈশ্বরের প্ল্যান কী ? সে’কথা তো তোমরা জানো। বাবা এসেছেনই মিথ্যা খন্ডকে সত্য খন্ড বানানোর জন্য, মানব থেকে দেবতা বানানোর জন্য। সত্য বাবার দ্বারা তোমরা সত্য হয়ে ওঠো আর রাবণের দ্বারা মিথ্যা হয়ে যাও। বাবা’ ই সত্য জ্ঞান দিয়ে থাকেন। তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের হাত পরিপূর্ণ হবে। বাকি শূদ্রের হাত খালি থাকবে।
তোমরা জানো যে আমরাই সেই দেবী-দেবতা হবো। এখন বাবা বলেন, কেবল গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে পদ্ম ফুলের মতো হও আর আমাকে স্মরণ করো। স্মরণ করতে কেন ভুলে যাও ? যে বাবা স্বর্গের মালিক বানান, তাঁকে তোমরা ভুলে যাও… এ হল নতুন কথা, এর জন্য আত্ম-অভিমানী হতে হয়। আত্মা তো হল অবিনাশী, এক শরীর ছেড়ে আরেকটি নেয়। বাবা বলেন – দেহী-অভিমানী হও, কেননা ফিরে যেতে হবে। দেহের চেতনাকে ছাড়তে হবে। এখন কাম চিন্তার থেকে নেমে জ্ঞান চিতাতে বসো। অনেকেই আছে যারা বিকার ছাড়া থাকতে পারে না। বাবা বলেন – দ্বাপর থেকে শুরু করে তোমরা এই বিকার গুলির কারণেই মহান রোগী হয়ে গেছো। এখন এই বিকার গুলিকে জয় করো। কাম বিকারে যেও না। এই শরীর তো হল অপবিত্র, পতিত তাই না ? পবিত্র হও। এখানে বিকারের দ্বারাই সকলের জন্ম হয় । সত্যযুগ – ত্রেতাতে এই বিকার হয় না। সেখানেও এ’সব হলে তবে তাকে স্বর্গ, একে নরক কেন বলা হয় ? বাবা বলেন, শাস্ত্র গুলির মধ্যে তো কোনো এইম অব্জেক্ট থাকেই না। এখানে তো এইম অব্জেক্ট রয়েছে। আমরা এখন মানব থেকে দেবতা হচ্ছি। বাবা বলেন তোমরা যা কিছু পড়েছো সব ভোলো। তাতে কোনো সার নেই। তোমাদের চড়তি কলা একবারই হয়। তারপর হল অবরোহণ কলা। যত চেষ্টাই করো না কেন নীচে অবরোহণ হতেই হয়। পতিত হতেই হয়। এ হল ছিঃ ছিঃ দুনিয়া। তোমরা বাচ্চারা জানো যে আমাদের ভারত স্বর্গ ছিল। এখন হল নরক। আগে আদি সনাতন একটাই ধর্ম ছিল, যা এখন নেই। তারপর সেই ধর্মের স্থাপনা হয়। বাবা পুনরায় এসে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করেন। তোমরাও বলবে আমরা পুনরায় রাজত্ব নিয়ে থাকি। রাজত্ব নেওয়ার পর, এই নলেজ তারপর লুপ্ত হয়ে যায়। এই নলেজ পতিতরাই পায় – পবিত্র হওয়ার জন্য, এরপর পবিত্র দুনিয়ার নলেজ কেন থাকবে ? লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্বের কত বছর হয়েছে, সে’সব তোমরা জানো। তোমরা বলো – বাবা, আমরা ৫ হাজার বছর পরে আবার এসেছি রাজত্ব নিতে। আমরা আত্মারা হলাম বাবার বাচ্চা। দৃষ্টান্ত দেওয়া হয় যে, একটা লোক ক্রমাগত বলতে থাকে যে, আমি মোষ আমি হলাম মোষ… তখন সেটাই তার মধ্যে বসে যায়। তখন বলে এই জানলা দিয়ে কীকরে বের হবো…. এ’সব কথা হল তোমাদেরই জন্য। তোমরা নিশ্চয় করো যে আমরা হলাম বাবার সন্তান, এমন তো নয় যে আমি হলাম চতুর্ভুজ, এই রকম বলতে থাকলে হয়ে যাবে। বানাবেন যিনি তাঁকে তো চাই। এ হল নর থেকে নারায়ণ হওয়ার নলেজ, যে খুব ভালো ভাবে ধারণ করে অন্যদেরকে করাবে তারা উচ্চ পদ পাবে। স্টুডেন্টস্ এই রকম বলতে পারে না যে আমাদের পড়াশোনা করবার জন্য সময় নেই। তাহলে তো ঘরে গিয়ে বসো। অধ্যয়ণ ছাড়া বর্সা লাভ হবে না। গড ফাদারলী স্টুডেন্টস্ কীকরে বলে যে – সময় নেই ! বাবার হয়ে তারপর ডিভোর্স দিয়ে দিলে বাবা বলবেন তোমরা হলে মহান মূর্খ। এক ঘন্টা আধা ঘন্টা… তোমাদের সময় নেই। আচ্ছা সকাল বেলায় ভোর বেলায় বসে বাবাকে স্মরণ করো। কোনো সমস্যা তোমাদের উপরে চাপিয়ে দিই না। কেবল সকালে উঠে বাবাকে স্মরণ করো আর স্বদর্শন চক্রকে ঘোরাও। অন্যদের না হলেও নিজের কল্যাণ করো। দয়াবান হয়ে যত অন্যদের কল্যাণ করবে ততো উঁচু পদ পাবে। এ হল অনেক বিশাল বড় উপার্জন। যার কাছে অনেক ধন রয়েছে, সে বলে সময় নেই। যাদের অগাধ সম্পদ আছে তাকে ওখানে গরীব হতে হবে আর গরীবরা অনেক ধন সম্পদের মালিক হবে। সবচেয়ে বেশি চোখের জল ফেলে মায়েরা, তাদেরকে হাসাবার দায়িত্ব তোমাদের ।
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) সত্য খন্ডের জন্য সত্য উপার্জন করতে হবে। আত্ম-অভিমানী হয়ে থাকতে হবে। এই ক্ষয়ে যাওয়া জুতোর (শরীর) অভিমানকে ছাড়তে হবে।
২ ) দয়াবান হয়ে নিজের আর অপরের কল্যাণ করতে হবে। ভোর বেলায় উঠে বাবাকে স্মরণ করতে হবে, স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে হবে।
বরদানঃ-
হোলিহংস তাকে বলা হয় – যে নেগেটিভকে ছেড়ে পজিটিভকে ধারণ করে। দেখেও দেখে না, শুনেছো শোনে না। নেগেটিভ অর্থাৎ না ব্যর্থ কথা বলে, না ব্যর্থ কর্ম করে। ব্যর্থকে সমর্থে (শক্তিশালী রূপে) পরিবর্তন করে দেয় । তার জন্য সকল আত্মার প্রতি শুভ ভাবনার প্রয়োজন। শুভ ভাবনার দ্বারা উল্টো বিষয়ও সোজা হয়ে যায়। সেইজন্য যে যেমনই হোক না কেন তোমরা তাকে শুভ ভাবনা দাও। শুভ ভাবনা পাথরকেও জল করে দেবে। ব্যর্থ সমর্থতে বদলে যাবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!