11 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

10 August 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - এই অাধ্যাত্মিক পাঠকে ধারণ করার জন্য বুদ্ধি পবিত্র সোনার পাত্রের মতো হতে হবে, পবিত্রতার রাখী বাঁধো তবেই রাজতিলক প্রাপ্ত হবে”

প্রশ্নঃ --

এই সময় সকল বাচ্চাদেরকে বাবার থেকে কোন্ সার্টিফিকেট নেওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে ?

উত্তরঃ -:-

পবিত্র দুনিয়াতে যাওয়ার জন্য পবিত্র অর্থাৎ যোগ্য হওয়ার সার্টিফিকেট আদায় করতে হবে। যখন এই সময় পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করবে তখন বুদ্ধি গোল্ডেন এজেড্ হবে। পবিত্রতার সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য বাবার রায় হল – বাচ্চারা, অন্য সকলের থেকে নিজের বুদ্ধির যোগ সরিয়ে জ্ঞান চিতার উপর বসো। এক মাতা-পিতাকে অনুসরণ করো। পবিত্র থাকতেই হবে, এই প্রতিজ্ঞা করো। বাবার সাথে সত্য হয়ে চলো।

গান:-

ভাই আমার রাখীর বন্ধনকে পালন করো.

ওম্ শান্তি । এই গান তো বাচ্চারা অনেক বার শুনেছে। এটা তো রাখি বন্ধনের উৎসব বা গান ভক্তিমার্গে গাইতে বা পালন করে থাকে। এখন এটা হল জ্ঞান মার্গ। বাবা বাচ্চাদেরকে বলছেন বাচ্চারা এই মায়া রাবণের উপরে জয়ী হলে তোমরা জগৎ জিৎ অর্থাৎ জগতের মালিক হতে পারবে। বাচ্চারা তোমরা জানো যে এখানে মায়ার উপরে জয়ী হওয়ার জন্যই পরিশ্রম করতে হয়। এর মধ্যে কাম বিকার হল সবথেকে বড় শত্রু। পবিত্রতার কারণেই মারামারি হাঙ্গামা ইত্যাদি হয়। উচ্চ থেকে উচ্চতম বাবা-ই মায়ার উপরে জয়ী বানিয়ে জগতের মালিক বানাতে পারেন। এটা তো বাচ্চারা জানেযে, অসীম বাবার উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য আমাদেরকে পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। লৌকিক পড়াশোনাও পবিত্র (ব্রহ্মচর্য) থাকাকালীন পড়া হয়। এটা হল আধ্যাত্মিক পড়াশোনা। এক্ষেত্রে বুদ্ধি রূপী পাত্র সোনার অর্থাৎ পবিত্র হওয়া চাই, যেখানে জ্ঞান ধন ধারণ হতে পারবে। পবিত্র হতে সময় লাগে কেননা এখন সকলের বুদ্ধি রূপী পাত্র পাথরের হয়ে গেছে। বাবা বোঝাচ্ছেন এখন তোমাদেরকে পবিত্র হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হবে। যত যত জ্ঞান যোগের ধারণা হতে থাকবে, ততই বুদ্ধি পবিত্র হতে থাকবে কেননা এখন বুদ্ধিতে আছে যে আমাকে বাড়ি ফিরতে হবে। আয়রন এজ থেকে কপার এজ-এ আসতে হবে, পুনরায় সিলভার এজ-এ, তারপরে গোল্ডেন এজ-এ আসতে হবে। এই পড়াশোনা এমনই যে চলতে-চলতে পুনরায় মায়ার আক্রমণ হয়ে যায়। সবাই তো পবিত্র থাকতে পারে না। মায়া বড় বড় তুফান নিয়ে আসে। আয়রণ এজ থেকে কপার এজ পর্যন্ত আসতে না আসতেই মায়ার তুফান ঘিরে ফেলে তো বুদ্ধি আবার আয়রন এজেড্ হয়ে যায়, আরও নিচে নেমে যায়। নিচে পড়ে যাবে আবার উঠতে হবে, এইরকম তো অবশ্যই হবে। উত্তরণ করে কপার এজ, সিলভার এজ, গোল্ডেন এজেড্-এ আসতে হবে। পড়তে-পড়তে, জ্ঞান শুনতে-শুনতে শেষের দিকে আমাদের সেইরকম গোল্ডেন এজ বুদ্ধি হয়ে যাবে তখন আমরা শরীর ছেড়ে দেবো। এইসময় ওঠা-নামা অনেক হয়। সময় লাগে। যখন বুদ্ধি গোল্ডেন এজেড্ হয়ে যায় তখন রাজ্য অধিকারী হয়ে যায়। গাওয়াও হয় – পবিত্রতার রাখী বাঁধলে রাজতিলক প্রাপ্ত হবে। সেটা তোমরা বাচ্চারাই জানো – আমাদেরকে রাজত্ব প্রাপ্ত করার জন্য পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। জ্ঞান আর যোগের ধারণা করতে অনেক সময় লেগে যায়। গোল্ডেন এজ থেকে আয়রণ এজ পর্যন্ত আসতে তো ৫ হাজার বছর লেগে যায়। এখন তো পড়াশোনা করতে হবে – সেটাও তো এই এক জন্মেই করতে হবে। যত ভালো করে পড়তে থাকবে ততই খুশী বৃদ্ধি হতে থাকবে। বুদ্ধির যোগবল আর জ্ঞান বলের দ্বারা আমরা রাজধানী স্থাপন করছি। প্রত্যেক কথাতে বল (শক্তি) আছে। অল্প পড়লে অল্প, বেশী পড়লে বেশী শক্তি পাওয়া যায়। বড় পদ প্রাপ্ত হয়। এটাও এইরকম। বাবা বুঝিয়েছেন – এই ব্রাহ্মণ ধর্ম অনেক ছোটো। ব্রাহ্মণরাই সূর্য বংশী চন্দ্রবংশী দেবতা হয়। এখন পুরুষার্থ করছে। তোমরা এইরকম মনে করো যে – আমরা এখনও কপার এজ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। এবার সিলভার, গোল্ডেন এজ পর্যন্ত যেতে হবে। শেষের দিকে বাচ্চাদের সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি হয়ে যাবে। সবকিছুই নির্ভর করছে – পবিত্রতার উপরে। যতবেশী স্মরণ করবে ততই বল প্রাপ্ত হবে। বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলে – আমি পবিত্র থেকে ভারতকে পবিত্র বানাবো। বাচ্চারা রাখী বাঁধতে যায় তখনও বোঝাতে হবে। আজ থেকে ৫ হাজার পূর্বেও পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য আমরা এই রাখী বাঁধতে এসেছিলাম। তো রাখী বন্ধন তো একদিনের কথা নয়। শেষ পর্যন্ত চলতে থাকবে। প্রতিজ্ঞা করতে থাকবে। পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ দিতে থাকবে। তোমরা জানো যে জ্ঞান আর যোগের দ্বারা আয়রন এজ থেকে আমাদেরকে গোল্ডেন এজ-এ যেতে হবে। তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে। এসব কথা নতুনরা বুঝতে পারবে না এই জন্য তোমাদের ৭ দিনের ভাট্টি বিশেষ পরিচিত। প্রথমে নাড়ি টিপে দেখতে হবে। যতক্ষণ বাবার পরিচয় না জানবে, নিশ্চয় বসবে না, ততক্ষণ কিছুই বুঝতে পারবে না। তোমাদের দ্বারা পরিচয় পেতে থাকবে। সৃষ্টি রূপী ঝাড় বৃদ্ধি পেতে থাকবে। স্বরাজ্য স্থাপন হতে সময় লাগে। যতক্ষণ তোমরা গোল্ডেন এজ-এ না আসছো ততক্ষণ সৃষ্টির বিনাশ হবে না। সেই সময়ও আসবে যখন বাচ্চার সংখ্যাও অনেক হয়ে যাবে। এখন রাখী বন্ধনের সময় বড় বড় পদাধিকারী ব্যক্তিদের কাছে যাবে। তাদেরকেও বোঝাতে হবে। পতিত পাবন বাবা এই পতিত দুনিয়াকে পাবন বানাতে এই সঙ্গমেই আসেন। ভারতবর্ষ অবশ্যই পবিত্র ছিল, এখন তো পতিত হয়ে গেছে। মহাভারতের যুদ্ধ অদূরেই অপেক্ষারত। ভগবান বাবা বলছেন বাচ্চারা মায়া রাবণ হল তোমাদের বড় শত্রু। তারা তো হল লৌকিক জগতের ছোট খাটো শত্রু। ভারতের সবথেকে বড় শত্রু হল রাবণ, এই জন্য পবিত্রতার রাখী বাঁধতে হবে। প্রতিজ্ঞা করতে হবে হে বাবা ভারতকে শ্রেষ্ঠাচারী বানানোর জন্য আমি পবিত্র থাকবাে। অন্যদেরকেও পবিত্র বানাতে থাকবো। এখন সবাই রাবণের কাছে হেরে গেছে। ভারতেই রাবণকে দহন করা হয়। অর্ধেক কল্প রাবণের রাজত্ব চলেছে। এটা বোঝাতে হবে তোমাদেরকে । না বুঝিয়ে রাখী বাঁধা কোনও কাজের নয়। এই কাহিনী তোমরাই জানো। অন্য আর কেউ এইরকম বলবে না যে ৫ হাজার বছর পূর্বেও বাবা বলেছিলেন যে পবিত্র হলে তো সত্যযুগে নর থেকে নারায়ণের পদ পাবে। এই সত্যনারায়ণের কথা বা অমর কথা তোমরাই বোঝাতে পারো। বোঝাতে হবে যে – ভারত পবিত্র ছিল। সোনার পাখি ছিল। এখন তো পতিত হয়ে গেছে। লোহার পাখি বলা হবে। বাবার পরিচয় দিয়ে বলো যে – তোমরা কি মানো যে, অবশ্যই শিব বাবা ব্রহ্মা বাবার দ্বারা উত্তরাধিকার প্রদান করছেন ? বাবা বলছেন যে এখন আমাকে স্মরণ করো। ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হচ্ছে। মায়ার কাছে হেরে গেছে। এখন পুনরায় মায়ার উপর বিজয় প্রাপ্ত করতে হবে। বাবা-ই এসে বলছেন – বাচ্চারা এখন পবিত্র হও। বাচ্চারা বলে যে – হ্যাঁ বাবা। আমরা আপনার সহায়ক অবশ্যই হব। পবিত্র হয়ে ভারতকে পবিত্র অবশ্যই বানাবো। বলো, আমরা কেউ আপনার থেকে টাকা নিতে আসিনি। আমরা তো বাবার পরিচয় দিতে এসেছি। বাচ্চারা তোমরা সবাই বাবার সমান তাই না। বাবা এসে এই সংবাদ দিচ্ছেন। রায় দিচ্ছেন হে বাচ্চারা বুদ্ধি থেকে অন্য সবাইকে ত্যাগ করো, তোমরা অশরীরী এসেছিলে। সর্ব প্রথম তোমরা স্বর্গে পার্ট প্লে করেছো। তোমরা গৌর অর্থাৎ পবিত্র ছিলে। পুনরায় কাম চিতাতে বসার কারণে এখন কালো হয়ে গেছো। ভারত গোল্ডেন এজেড্ ছিল। এখন ভারতকে আয়রন এজেড্ বলা হয়। এখন পুনরায় কাম চিতা থেকে নেমে জ্ঞান চিতার উপরে বসতে হবে। বাবা বলেন, মামেকম্ স্মরণ করো। পবিত্রতার পণ করো। এক বাবার সন্তান হওয়ায় আমরা হলাম ভাই-বোন। তোমরাও হলে বাবার সন্তান, কিন্তু এতদিন সেটা জানতে না। বি.কে. হলে তবেই শিববাবার থেকে উত্তরাধিকার নিতে পারবে। এটা হলই পতিত ভ্রষ্টাচারীদের দুনিয়া। একজনও শ্রেষ্ঠাচারী নয়। সত্যযুগে একজনও ভ্রষ্টাচারী থাকবে না। এটা হল অসীম জগতের কথা। সমগ্র শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়ার স্থাপন – এক বাবারই কাজ। আমরা ব্রহ্মাকুমার – কুমারীরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি। পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করেছি। যে পবিত্র থাকার গ্যারেন্টি করে তার ফটো তুলে আমরা অ্যালবাম বানাই। পবিত্র না হলে পবিত্র দুনিয়াতে যাওয়ার সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হবে না। বাবা’ই এসে যোগ্য বানিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করছেন। সকলের পতিত-পাবন, সদ্গতি দাতা হলেন এক বাবা। পতিতরা যোগ্য নয়। ভারতই কাঙাল দুঃখী হয়ে পড়েছে কেননা পতিত হয়ে গেছে। সত্যযুগে পবিত্র ছিল, তখন ভারত সুখী ছিল। এখন বাবা বলছেন পবিত্র হও। অরডিনেন্স (রায় বা বিধান) বের করো- যারা পবিত্র থাকতে চায় তাদেরকে নগ্ন করা যাবে না। পুরুষরা বিকারের জন্য অনেক বিরক্ত করে, এইজন্য মাতারা ভারতকে শ্রেষ্ঠ বানানোর জন্য সাহায্য করতে পারে না। এই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে হবে। কিন্তু সেই শক্তি হয়ত বাচ্চাদের মধ্যে এখনও আসেনি। যখন গোল্ডেন স্টেজে আসবে তখন তোমাদের মধ্যে থেকে সেই স্ফুলিঙ্গ বের হবে, কাউকে বোঝানোর জন্য । দিন-দিন বাচ্চাদের অনেক পয়েন্ট্স প্রাপ্ত হতে থাকে । বাচ্চারা বুঝতে পারে যে এই যাত্রা অত্যন্ত উচ্চ এবং শ্রেষ্ঠ। মা-বাবাকে ফলো করতে হবে। মাতা-পিতা তো বলে থাকো। তিনি হলেন বাবা, তো ইনি মাতা হয়ে গেলেন। কিন্তু মেল (পুরুষ) হওয়ার কারণে মাতাদেরকে কলস দেওয়া হয়। তোমরা হলে মাতা, পুরুষ হল ভাই। ভাই বোনকে, বোন ভাইকে পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করায়। মাতাদেরকে সামনে এগিয়ে দেওয়া হয়। তারাও তো মাতাদেরকেই এগিয়ে দিচ্ছে। আগে কখনো প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টার ফিমেল হত নাকি ? আগে তো রাজাদের রাজত্ব ছিল। আগে কোনও নতুন কিছু আবিষ্কার হলে তা রাজার কাছে গিয়ে বলতে হত। তিনি সেই ব্যক্তিকে আরও বেশী বেশী করে বানাবার জন্য ডায়রেক্শন দিতেন। এখানে তো হলই প্রজাদের রাজ্য। কেউ মানবে, কেউ মানবে না। পরিশ্রম করতে হবে। তোমরা জানো যে গীতাতে শ্রীকৃষ্ণের নাম দিয়ে অনেক বড় ভুল করে দিয়েছে। আমাদের কথাকে একজন মানবে তো অন্যজন মানবে না। যত দিন যাবে তোমাদের মধ্যে শক্তি আসতে থাকবে । আত্মা বলে যে আমাদেরকে গোল্ডেন এজ-এ যেতে হবে। বুদ্ধির তালা এখন খুলে গেছে। জ্ঞানকে ভালোভাবে এখন বুঝতে পারো। অবশেষে অন্তিম সময়ে সবাই অবশ্যই বুঝবে। অবলাদের উপরে অত্যাচার হয়। এটা শাস্ত্রতেও আছে যে দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণ হয়েছিল। তো সেইসময় বাবাকে স্মরণ করা ছাড়া আর কিইবা করতে পারবে। অন্তর থেকে শিববাবাকে স্মরণ করলে তো সেটা পাপ কর্ম হয় না। পরের বশীভূত হয়ে আছো। হ্যাঁ, বাঁচার চেষ্টা করতে হবে। প্রত্যেকের কর্ম বন্ধন আলাদা আলাদা। কেউ কেউ তো নিজের স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে ফেলে। বোঝা যায় সেই স্ত্রী সেখানে ভালো পদ প্রাপ্ত করবে। তখন করবেই বা কি? পবিত্র থাকার যুক্তি বাবা ভালো ভাবে বুঝিয়ে দেন। ব্রহ্মা কুমার-কুমারীরাও হল ভাই-বোন, বিকারী দৃষ্টি যেতে পারবে না। বাবা বলছেন যে যদি এই প্রতিজ্ঞা উল্লঙ্ঘন করো তাহলে অনেক বড় আঘাত পাবে। বুদ্ধিও বলে যে – অসীম জগতের বাবার কথা অমান্য করলে তো অনেক চোট লাগবে, নিচে পড়ে যাবে। বারংবার যদি পড়ে যেতে থাকো তাহলে পরাজিত হয়ে যাবে। এটা হল বক্সিং তাই না। এই সব হল গুপ্ত কথা। এখানে মুখ্য হল – পবিত্রতা আর পড়াশোনা। এছাড়া অন্য কোনও পড়াশোনা নেই। ভক্তি মার্গে অনেক রকমের কারবার রয়েছে । ভক্তরা ভক্তি করতে করতেও বলে দেয় যে – ভগবান তো কণায়-কণায় রয়েছেন। এখন তোমাদের জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে। আগে তো তোমরাও বলতে যে ভগবান হলেন সর্বব্যাপী, যেখানেই দেখি তুমিই তুমি। সবই হল ভগবানের লীলা। ভগবান ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে লীলা করছেন। আচ্ছা কণায় কণায় কি লীলা করবেন ? অসীম জগতের বাবার নিন্দা করে দেয়। এটাও হল একটা খেলা যে কারণে বাবাকে আসতে হয়। বাচ্চাদের খুশী হওয়া চাই। বাবার ডায়রেকশন প্রাপ্ত হয় – তোমাদেরকে পবিত্র হতে হবে, যদি পবিত্র দুনিয়াতে যেতে চাও তো। এমন নয় যে স্বর্গে তো যাবে তাই না, সেখানে গিয়ে কি পদ পাবে। সেটা কোনও পুরুষার্থ নয়। পুরুষার্থ করতে হবে রাজা-রাণী হওয়ার জন্য। ড্রামার রহস্যকে কেউ বুঝতে পারে না। এখন তোমরা জেনে গেছো যে প্রত্যেক কল্পে আমরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করি। বাবা আসেন। চিত্রও দেখো কত সুন্দর সুন্দর বানানো হয়েছে। মানুষকে বড় বড় চিত্র গুলির সামনে নিয়ে আসতে হবে। তোমরা সবাই হলে সার্জন – শিববাবা হলেন অবিনাশী গোল্ডেন সার্জন। তোমরাও হলে নম্বরের ক্রমানুসারে সার্জন। এখন কেউ সম্পূর্ণ গোল্ডেন এজেড্ হয়নি। তোমাদেরকে সেবা করতে হবে। বোঝানোর সময় প্রত্যেকের নাড়ি বুঝতে হবে। যারা মহারথী তারা নাড়ি দেখেই বুঝতে পেরে যায় । তোমাদেরকে সম্পূর্ণ গোল্ডেন এজড্ হতে হবে। এখনও তোমরা হওনি। হতে সময় লাগবে। মায়ার তুফান অনেক কষ্ট দেয়। এই সব বিষয় বুঝতে হবে। বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নিতে হবে আর অত্যন্ত সততার সাথে চলতে হবে। অন্তরে যেন কোনও খারাপ কিছু না থাকে। মায়া হয়রান করতে থাকে কেননা যোগ নেই। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করে পুনরায় ভেঙে ফেলো না, পবিত্রতা আর পড়াশোনার দ্বারা আত্মাকে গোল্ডেন এজেড্ বানাতে হবে।

২ ) বুদ্ধি থেকে অন্যান্য সবাইকে ত্যাগ করে অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে। যোগবলের দ্বারা মায়ার ঝড় তুফানের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করতে হবে।

বরদানঃ-

যেরকম বাবা হলেন বিশ্ব কল্যাণকারী, সেইরকম বাচ্চারাও হল বিশ্বকল্যাণের নিমিত্ত। তোমাদের অর্থাৎ নিমিত্ত আত্মাদের বৃত্তির দ্বারা বায়ুমন্ডল পরিবর্তন হয়ে যাবে। যেরকম সংকল্প সেইরকম বৃত্তি তৈরী হয়, এইজন্য বিশ্বকল্যাণের দায়িত্ব প্রাপ্ত আত্মারা এক সেকেণ্ডও সংকল্প বা বৃত্তিকে ব্যর্থ বানাবে না। পরিস্থিতি যেই রকমই হোক না কেন, ব্যক্তি হোক কিন্তু নিজের ভাবনা, তোমার বৃত্তি হবে কল্যাণের। যে নিন্দা-গ্লানি করবে তার প্রতিও শুভ ভাবনা থাকবে, তবেই বলা যাবে ব্যর্থ থেকে মুক্ত বাবার সমান।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top