11 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
10 April 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - সারাদিন তোমাদের বুদ্ধিতে কেবল সার্ভিসেরই খেয়াল চলা উচিত , তোমাদের সকলের কল্যাণ করতে হবে, কারণ তোমরা হলে অন্ধের লাঠি"
প্রশ্নঃ --
উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার জন্য মুখ্যতঃ কোন্ ধারণা থাকা উচিত ?
উত্তরঃ -:-
চ্চ পদ তখনই প্রাপ্ত হবে যখন নিজের কর্মেন্দ্রিয়গুলির উপর সম্পূর্ণরূপে কন্ট্রোল থাকবে। যদি কর্মেন্দ্রিয়গুলি বশে না থাকে, চাল-চলন সঠিক না হয়, প্রচুর পরিমাণে আসক্তি(ইচ্ছা) থাকে, লোভ থাকে তাহলে উচ্চ পদ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে। উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে হলে মাতা-পিতাকে পুরোপুরি অনুসরণ করো। কর্মেন্দ্রিয়জিৎ হও।
গান:-
নয়নহীনকে পথ দেখাও প্রভু..
ওম্ শান্তি । প্রদর্শনীর জন্য এই গান অত্যন্ত ভাল, এমন নয় যে প্রদর্শনীতে রেকর্ড বাজানো যাবে না। এর উপরেও তোমরা বোঝাতে পারো কারণ (ভগবানকে) ডাকে তো সকলেই। কিন্তু এ’টা জানে না যে কোথায় যেতে হবে আর কে নিয়ে যাবে। যেমন ড্রামা অথবা ভবিতব্য বশতঃ ভক্তদের ভক্তি করতে হবে। যখন ভক্তি সম্পূর্ণ হয় তখনই বাবা আসেন। কত দুয়ারে-দুয়ারে ঘুরতে থাকে। মেলা-প্রদর্শনী বসে। দিনে-দিনে বৃদ্ধি পেতে থাকে। শ্রদ্ধার সঙ্গে তীর্থে যাওয়া, ইতস্তত ঘুরে বেড়ানো চলেই আসছে। অনেক সময় হয়ে গেলে তখন গভর্নমেন্ট স্ট্যাম্প (ডাকটিকিট) ইত্যাদি তৈরী করতে থাকে। সাধু ইত্যাদিদেরও ডাকটিকিট তৈরী করা হয়। জন্মদিন পালন করে। এ’সব হলো রাবণ-রাজ্যের বা মায়ার চমক, তাদেরও মেলা, আমোদ-প্রমোদের স্থান চাই। আধাকল্প ধরে তোমরা রাবণ-রাজ্যে ইতস্ততঃ ঘুরে বেরিয়েছো। এখন বাবা এসে রাবণ-রাজ্য থেকে মুক্ত করে রাম-রাজ্যে নিয়ে যান। দুনিয়া এ’টা জানে না যে ‘নিজেই পূজ্য নিজেই পূজারী’ – এই মহিমা কার! প্রথমে ১৬ কলা-সম্পূর্ণ, পূজ্য থাকে তারপর ২ কলা কম হয়ে যায়, তখন তাঁদের সেমি বলা হবে। সম্পূর্ণ পূজ্য তারপর ২ কলা কম হয়ে গেলে সেমি-পূজ্য বলা হবে। তোমরা জানো যে পূজারী থেকে পুনরায় পূজ্য হতে চলেছি। তারপর সেমি পূজ্য হবো। এখন এই কলিযুগে আমাদের পৌরোহিত্যের ভূমিকা(পার্ট) সমাপ্ত হয়ে যায়। পূজ্য করার জন্য বাবাকে আসতে হয়। এখন বাবা বিশ্বের মালিক বানিয়ে দেন। বিশ্ব তো এও, আর ও’টাও হবে। ওখানে অনেক অল্পসংখ্যক মানুষ থাকে। এক ধর্ম হয়। অনেক ধর্ম হয়ে গেলেই গোলমাল বেঁধে যায়। এখন বাবা এসেছেন উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে। যত বাবাকে স্মরণ করবে ততই নিজের কল্যাণ করবে। দেখতে হবে যে কল্যাণ করার কত শখ থাকে। যেমন চিত্রকর, যার খেয়াল থাকে যে এমন-এমনভাবে চিত্র তৈরী করবো যাতে মানুষ ভালভাবে বুঝে যায়। মনে করবে যে আমরা অসীম জগতের পিতার সেবা করছি। ভারতকে স্বর্গে পরিনত করতে হবে। প্রদর্শনীতে দেখো কত অধিকসংখ্যক আসে। তাই প্রদর্শনীতে এ’রকম চিত্র বানাও যাতে যে কেউ বুঝে যায় যে এই চিত্র সঠিক পথ বলে দেবে। মেলা-প্রমোদস্থলাদি যাকিছু আছে সেগুলো তো এর আগে কিছুই নয়। আর্টিস্ট, যে এই জ্ঞানকে বোঝে তার বুদ্ধিতে থাকবে – এইরকম-এইরকম চিত্র তৈরী করবো যাতে অনেকের কল্যাণ হয়ে যায়। রাত-দিন বুদ্ধি এই কথায় যেন আটকে থাকে। এই জিনিসের অনেক শখ রয়েছে। মৃত্যু অকস্মাৎ আসে। যদি জুতো ইত্যাদির (দেহ) স্মরণে থাকো, মৃত্যু এসে পড়লে তখন জুতোর (শূদ্রের) মতোই জন্ম হবে। এখানে বাবা বলেন – দেহ-সহ সকলকে ভুলে যেতে হবে। তোমরা এও বোঝো যে বাবা কে ? কারোর কাছে জিজ্ঞাসা করো যে আত্মাদের পিতাকে জানো কি ? বলে, না। কতো স্মরণ করে, চাইতে থাকে। দেবীদের কাছে গিয়েও চাইতে থাকে। দেবীর পূজা করে আর কিছু লাভ করলে, ব্যস্ তাঁর প্রতি সমর্পিত হয়ে যায়। তারপর পূজারীকেও ধরে, সেও আশীর্ব্বাদ ইত্যাদি করতে থাকে। কত অন্ধশ্রদ্ধা। তাহলে এইরকম-এইরকম গানের উপর প্রদর্শনীতে বোঝাতে পারো। এই প্রদর্শনী তো গ্রামে-গ্রামে হবে। বাবা হলেন দীনদয়াল। ওদের ওপারে ওঠানোর জন্য জোর কদমে প্রচেষ্টা করতে হবে। ধনীরা তো কোটির মধ্যে কেউ বেরোবে। প্রজা হলো অসংখ্য। এখানে মানুষ থেকে দেবতা হতে হবে। বাবার থেকে উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। সর্বপ্রথমে বাবাকে জানা চাই যে তিনি আমাদের পড়ান। এইসময় মানুষ কত প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে গেছে। দেখেও যে সেন্টারগুলিতে এত আসে, সকলের নিশ্চয় রয়েছে। বাবাই হলেন টিচার, সদ্গুরু, এও বোঝে না। আরও একটি গানও আছে যে ‘এই পাপের দুনিয়া থেকে নিয়ে চলো…’ এ’টাও ভালো। এ তো হলোই পাপের দুনিয়া। ভগবানুবাচ, এ হলো আসুরীয় সম্প্রদায়, আমি এদের দৈবী সম্প্রদায়ে পরিণত করি। তারপরেও মানুষের কর্মেন্দ্রিয়াদি এইরকম কার্য কীভাবে করতে পারে। এখানে সমগ্র কথাই হলো বুদ্ধির। ভগবান বলে, তোমরা হলে পতিত, তোমাদের ভবিষ্যতের জন্য পবিত্র তথা দেবতায় পরিণত করি। এইসময় সকলেই হলো পতিত। পতিত শব্দটি বিকারের উদ্দেশ্যেই বলা হয়েছে। সত্যযুগে নির্বিকারী দুনিয়া ছিল। এ হলো বিকারী ওয়ার্ল্ড। কৃষ্ণকে ১৬১০৮ রানী দেওয়া হয়েছে। এও ড্রামায় নির্ধারিত। যাকিছুই শাস্ত্র বানানো হয়েছে, তাতে গ্লানি করে দিয়েছে। বাবা, যিনি স্বর্গ রচনা করেন, ওঁনার উদ্দেশ্যেও কি-কি বলে থাকে। এখন তোমরা জেনেছো যে বাবা আমাদের কত উচ্চ (মর্যাদাসম্পন্ন) বানান। কত ভালোভাবে শিক্ষা দেন। প্রকৃত সৎসঙ্গ হলো এ’টাই। বাকি সব সঙ্গই হলো মিথ্যা। এইরকমকেও পুনরায় পরমপিতা পরমাত্মা এসে বিশ্বের মালিক করে দেন। বাবা বোঝান – বাচ্চারা, এখন তোমাদের অন্ধের লাঠি হতে হবে। যে নিজেই দেখতে পায় না সে আবার অন্ধের লাঠি কি হবে! যদিও জ্ঞানের বিনাশ হয় না। একবার মা-বাবা বলেছো তো কিছু না কিছু পাওয়া উচিত। কিন্তু নম্বরের অনুক্রমেই তো পদ লাভ হয়, তাই না! চাল-চলন থেকেও কিছু-কিছু জানা হয়ে যায়। তবুও পুরুষার্থ করানো হয়। এমন নয় যে যা পাওয়া গেল তাই-ই ভালো। পুরুষার্থের মাধ্যমেই উচ্চ ফল(প্রালব্ধ) প্রাপ্ত হবে। পুরুষার্থ ব্যতীত তো জলও পাওয়া যায় না। একে কর্মক্ষেত্রও বলা হয়ে থাকে, এখানে কর্ম ব্যতীত মানুষ থাকতে পারে না। কর্ম-সন্ন্যাস শব্দটিই ভুল। অনেক হঠ (শারীরিক যোগ) করে। জলের উপর, আগুনের উপর চলা শেখে। কিন্তু কি লাভ হয়েছে ? বেকারই আয়ু ক্ষয় করে। ভক্তি করা হয়, রাবণের দুঃখ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য। মুক্ত হয়ে পুনরায় ফিরে যেতে হবে, সেইজন্যই সকলে স্মরণ করে, আমরা মুক্তিধামে যাব অথবা সুখধামে যাব। দুটোই পাস্ট হয়ে গেছে। ভারত সুখধাম ছিল, এখন নরক তাহলে নরকবাসী বলবে, তাই না! তোমরা নিজেরাই বলো যে অমুকে স্বর্গবাসী হয়েছে। আচ্ছা, তোমরা তো নরকে রয়েছো, তাই না! হেভেনের(স্বর্গের) বিপরীতে হলো হেল(নরক)। এছাড়া ও’টা তো হলো শান্তিধাম। বড়-বড় লোকেরা এতটুকুও বোঝে না। নিজেদের নিজেরাই প্রমাণিত করে যে আমরা নরকে রয়েছি। এই প্রদর্শনী তো অনেক কাজ করে দেখাবে। এইসময় মানুষ কত পাপ করে। স্বর্গে এমন কথা হয় না। ওখানে তো আছে প্রালব্ধ (ফলভোগ করা)। তোমরা পুনরায় এখন স্বর্গে চলেছো, তোমরা বলবে, আমরা অনেকবার এই বিশ্বের মালিক হয়েছি, এখন পুনরায় হতে চলেছি। দুনিয়ায় কারোর জানা নেই। তোমাদের মধ্যেও কেউ-কেউ বোঝে। এই খেলার থেকে কেউ মুক্ত হতে পারে না। মানুষ মোক্ষও তখনই চায়, যখন দুঃখী হয়ে যায়। বাবা তো বলেন – ভালোভাবে পুরুষার্থ করো। মা-বাবাকে ফলো করে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করে নাও, নিজের চাল-চলন শুধরে নাও। বাবা পথ বলে দেন তাহলে সেইমতো চলো না কেন? অত্যধিক ইচ্ছে রাখা উচিত নয়। যজ্ঞ থেকে যা পাওয়া যায় তাই-ই খেতে হবে। লালসা রয়েছে, কর্মেন্দ্রিয়গুলি বশে নেই সেইজন্য উচ্চ পদও প্রাপ্ত করতে পারে না। তাই এমন-এমন গান প্রদর্শনীতে বাজাও যার উপর তোমরা বোঝাতে পারবে। তোমরা হলে শিববাবার পরিবার। শিববাবার উপরে তো কেউ নেই। আর সকলের উপর তো কেউ না কেউ থাকবে। ৮৪ জন্মে বাবা, দাদাও ৮৪ জন পাওয়া যায়। শিববাবা হলেন রচয়িতা, এখন নতুন রচনা রচছেন অর্থাৎ পুরোনোকে নতুনে পরিণত করছেন। তোমরা জানো যে আমরা অসুন্দর (শ্যাম) থেকে সুন্দর (গৌর) হয়ে উঠি। স্বর্গে শ্রীকৃষ্ণ হলো নাম্বার ওয়ান। তারপর শেষ পর্যন্ত তাঁর জন্ম হতে থাকে। পুনরায় ইনিই প্রথম স্থানাধিকারী হয়ে যান। সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম শ্রীকৃষ্ণ নিয়েছেন। সূর্যবংশীয় দৈবী সম্প্রদায় সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়েছে। বাবা বলেন যে শ্রীকৃষ্ণ প্রথম স্থানাধিকারী ছিলেন, তাঁরই অন্তিমজন্মে প্রবেশ করে পুনরায় তাঁকেই শ্রীকৃষ্ণে পরিণত করি। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা বাচ্চারা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) কোনো প্রকারের বিনাশী ইচ্ছা রাখবে না। নিজের এবং সকলের কল্যাণ করতে হবে।
২ ) দেহ-সহ সবকিছু ভুলে ঘরে ফিরে যেতে হবে — সেইজন্য চেক্ করতে হবে যে বুদ্ধি কোথাও যেন আটকে না থাকে।
বরদানঃ-
সেনাবাহিনীতে যে সৈনিকেরা থাকে তারা কখনোই অন্যমনস্ক থাকে না, মনোযোগের সঙ্গে সর্বদা সতর্ক থাকে। তোমরাও হলে পান্ডব সেনা, তাই এতে সামান্যতমও অমনোযোগ যেন না থাকে। অ্যাটেনশন যেন এক স্বাভাবিক (ন্যাচারাল) নিয়মে পরিণত হয়। কারোর আবার অ্যাটেনশনেরও টেনশন থাকে। কিন্তু টেনশনের জীবন সর্বদা চলতে পারে না, সেইজন্য ন্যাচারাল অ্যাটেনশনকে নিজের ন্যাচারে পরিণত করো। অ্যাটেনশন রাখলে স্বতঃ-ই স্মৃতি-স্বরূপ হয়ে যাবে, ভুলে যাওয়ার(বিস্মৃতি) অভ্যাস থেকে মুক্ত হয়ে যাবে।
স্লোগানঃ-
মাতেশ্বরী জী’র অমূল্য মহাবাক্য :-
১) “স্মরণের সম্বন্ধ রয়েছে জ্ঞানের সঙ্গে, জ্ঞান ব্যতীত স্মরণ যথার্থভাবে থাকতে পারে না”
সর্বপ্রথমে মানুষকে নিজের সুখী জীবন গড়ে তোলার জন্য মুখ্য কোন্ পয়েন্টটি বুদ্ধিতে রাখতে হবে ? প্রথমে তো মুখ্য এই কথাটিকে বুঝতে হবে যে আমরা যে পরমাত্মা পিতার সন্তান, প্রত্যেকটি সময়ে সেই পিতার স্মরণে বুদ্ধিযোগ যেন নিরন্তর (প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসে) যুক্ত থাকে, সেই অভ্যাসে থাকার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রচেষ্টা করতে হবে। এখন প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসের অর্থ হলো নিরন্তর বুদ্ধিযোগ যেন জুড়ে থাকে, যাকে নিরন্তর যোগ, অটুট অজপাজপ যোগ(অখন্ড যোগ) বলা হয়ে থাকে। এ কোনো মুখে জপ করা স্মরণ নয় আর না কোনো মূর্তিকে সামনে রেখে তার ধ্যান করা। কিন্তু এই বুদ্ধিযোগের দ্বারা স্মরণ রাখতে হবে যে, এখন সেই স্মরণও তখনই থাকতে পারবে যখন পরমাত্মার সম্পূর্ণ পরিচয় থাকবে, তবেই সম্পূর্ণরূপে ধ্যান মগ্ন হতে পারবে। কিন্তু পরমাত্মা তো গীতায় পরিষ্কার বলেন – না আমাকে ধ্যানের দ্বারা, না জপের দ্বারা পাওয়া যায় আর না আমার চেহারা (চিত্রকে) সামনে রেখে তাঁর ধ্যান করতে হবে। বরং জ্ঞান-যোগের দ্বারা পরমাত্মাকে প্রাপ্ত করতে হবে। তারজন্য প্রথমে চাই জ্ঞান, জ্ঞান ব্যতীত স্মরণ স্থির হতে পারবে না। স্মরণের সম্পর্কই রয়েছে জ্ঞানের সঙ্গে। এখন জ্ঞানের দ্বারা, চাও তো মনের দ্বারা কল্পনা করো বা বসে দর্শন করো। যদি দৃশ্যমান বস্তুরও জ্ঞান প্রথমে থাকে তবেই যোগ আর ধ্যান ঠিকমতো লাগবে, সেইজন্য পরমাত্মা বলেন – আমি কে, আমার সাথে কীভাবে যোগ যুক্ত হবে তারও জ্ঞান চাই। জ্ঞানের জন্য আবার প্রথমে সঙ্গ চাই, এইসমস্ত জ্ঞানের পয়েন্টস্ এখন বুদ্ধিতে রাখতে হবে তবেই যোগে টিকে (স্থির) থাকতে পারবে।
২) “সৃষ্টির সূচনা(আদি) কিভাবে হবে ?”
মানুষ জিজ্ঞাসা করে যে পরমাত্মা কীভাবে সৃষ্টি রচনা করেছেন ? প্রারম্ভে(আদি) কোন্ মানুষদের রচনা করেছিলেন, এখন তাদের নাম-রূপ বুঝতে চায়। এর উপর এখন বোঝানো হয়ে থাকে যে পরমাত্মা সৃষ্টির সূচনা ব্রহ্মার তনুর মাধ্যমে করেছেন, প্রথম মানব, ব্রহ্মার রচনা করেছেন। তাহলে যে পরমাত্মা সৃষ্টির সূচনা করেছেন, অবশ্যই তাহলে পরমাত্মাও এই সৃষ্টিতে নিজের ভূমিকা পালন করেছেন। এখন পরমাত্মা কীভাবে তাঁর ভূমিকা পালন করেছেন ? প্রথমে তো পরমাত্মা সৃষ্টি রচনা করেছেন, তারমধ্যেও প্রথমে ব্রহ্মার রচনা করেছেন, তাহলে তো প্রথমে ব্রহ্মার আত্মাই পবিত্র হয়েছে, তিনিই গিয়ে শ্রীকৃষ্ণ হয়েছেন, সেই চেহারার দ্বারা পুনরায় দেবী-দেবতাদের (দৈবী) সৃষ্টির স্থাপনা করেছেন। তাহলে দৈবী সৃষ্টির রচনা ব্রহ্মার তনের মাধ্যমে করিয়েছেন, তাহলে ব্রহ্মা হয়ে গেলেন দেবী-দেবতাদের আদি পিতা। ব্রহ্মাই শ্রীকৃষ্ণ হন, সেই শ্রীকৃষ্ণেরই আবার অন্তিম জন্ম হলো ব্রহ্মা। এখন এ’ভাবেই সৃষ্টির নিয়ম চলে আসছে। এখন সেই আত্মাই সুখের ভূমিকা পূর্ণ করে দুঃখের ভূমিকায় আসে, তখন রজঃ, তমঃ অবস্থা থেকে উত্তীর্ণ হয়ে পুনরায় শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়ে যায়। তাহলে আমরা হলাম ব্রহ্মা-বংশীয় তথা শিব-বংশীয় প্রকৃত ব্রাহ্মণ। এখন ব্রহ্মাবংশীয় তাকে বলা হয় – যে ব্রহ্মার থেকে অবিনাশী জ্ঞান-রত্ন নিয়ে পবিত্র হয়।
৩) “ওম্” শব্দের যথার্থ অর্থ
যখন আমরা ‘ওম্ শান্তি’ শব্দটি বলে থাকি তখন সবার প্রথমে ওম্ শব্দের অর্থকে পূর্ণ রীতিতে বুঝতে হবে। যদি কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ওম্ এর অর্থ কী ? তখন তারা ওম্ এর অর্থ অনেক লম্বা-চওড়া করে শোনায়। ওম্ এর অর্থ ওঁ-কার বড় আওয়াজ করে শুনিয়ে থাকে, এই ‘ওম্’-এর উপরে আবার লম্বা-চওড়া শাস্ত্রও তৈরী করে দেয়, কিন্তু বাস্তবে ওম্ এর অর্থ কোনো লম্বা-চওড়া কিছু নয়। পরমাত্মা আমাদেরকে ওম্ এর অর্থ অত্যন্ত সরল আর সহজভাবে বুঝিয়ে থাকেন। ওম্ এর অর্থ হলো ‘আমি আত্মা’, আমার প্রকৃত ধর্ম হলো শান্ত-স্বরূপ। এখন ওম্ এর এই অর্থেই স্থির থাকতে হবে, তাহলে ওম্ এর অর্থ হলো ‘আমি হলাম আত্মা, পরমাত্মার সন্তান। মুখ্য কথা হলো এ’টাই যে ওম্ এর অর্থতে কেবল টিকে থাকতে হবে, এছাড়া মুখে ওম্ এর উচ্চারণ করার প্রয়োজন নেই। বুদ্ধিতে এই নিশ্চয় রেখে চলতে হবে। ওম্ এর যে অর্থ রয়েছে সেই স্বরূপে অবস্থান করতে হবে। এছাড়া তারা যদিও ওম্ এর অর্থ শোনায় কিন্তু সেই স্বরূপে স্থিত থাকে না। আমরা ওম্ এর স্বরূপ জানি, তবেই তো সেই স্বরূপে স্থিত হই। আমরা এ’টাও জানি যে পরমাত্মা হলেন বীজরূপ, আর সেই বীজরূপ পরমাত্মা এই সমগ্র বৃক্ষকে কীভাবে রচনা করেছেন, তার সম্পূর্ণ নলেজ এখন আমরা পাচ্ছি। আচ্ছা – ওম্ শান্তি।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!