10 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
9 October 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"সফলতার চুম্বক - 'মিলিত হওয়া আর মোল্ড হওয়া"
সবার স্নেহ, স্নেহের সাগরে মিশে গেছে। এ’ভাবেই সদা স্নেহে সমাহিত হয়ে অন্যদেরও স্নেহের অনুভব করাতে থাক। বাপদাদা সব বাচ্চাদের এক-সমান ভাবের মিলন-সম্মেলন দেখে অনুরঞ্জিত হচ্ছেন। যারা এখানে উড়ে আসছে, উড়তি কলার বরদান সদা আপনা থেকেই তাদের প্রাপ্ত হতে থাকবে। আগত সব বাচ্চাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে বাপদাদা সব বাচ্চাকে স্নেহ-পুষ্পে বর্ষিত করছেন। তোমাদের সৌহার্দ্যের এক সমান সঙ্কল্পের মিলন আর পরে বাবার সমান সংস্কারের মিলন – এই মিলনই বাবার মিলন। এটাই বাবা সমান হওয়া। সঙ্গতিপূর্ণ সঙ্কল্প এবং সংস্কারের সম্প্রীতি – এই সমন্বয় সাধন করাই নিরহঙ্কার হয়ে নিমিত্ত হওয়া। তোমরা কাছে আসছ আরও কাছে এসে যাবে। সেবার সফলতার লক্ষণ দেখে বাবা উৎফুল্ল হচ্ছেন। স্নেহী হয়ে সদা স্নেহের তরঙ্গ বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তোমরা স্নেহ মিলনে এসেছ। কিন্তু সব বিষয়ে চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম। স্ব হ’ল আমাদের সবচাইতে আপন এবং প্রিয় হোম। অতএব, প্রথম শুরু করো স্ব-এর প্রতি, তারপর ব্রাহ্মণ পরিবারের প্রতি, তার পরে বিশ্বের প্রতি। প্রতিটা সঙ্কল্পে স্নেহ, প্রকৃত নিঃস্বার্থ স্নেহ, হৃদয়ের স্নেহ, প্রতিটা সঙ্কল্পে সহানুভূতি, প্রতিটা সঙ্কল্পে উদারচেতা, দাতাভাবের ন্যাচারাল নেচার যেন হয়ে যায় – এ’ হ’ল স্নেহ মিলন, সঙ্কল্প মিলন, বিচার মিলন, সংস্কার মিলন। সকলের কার্য-সহযোগের আগে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ আত্মাদের সহযোগ সদা সহজে আর আপনা থেকেই বিশ্বকে সহযোগী বানিয়েই নেয়, সেইজন্য সফলতা কাছে আসছে তথা অব্যাহত রয়েছে। সদ্ভাব আর পরিণত হওয়া অর্থাৎ মোল্ড হওয়া – এটাই সফলতার চুম্বক। খুব সহজেই এই চুম্বকের মাধ্যমে আকৃষ্ট হয়ে সব আত্মা সমাগত প্রায়।
মিটিংয়ের জন্য আসা তোমরা সব বাচ্চাকে বাপদাদা স্নেহের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তোমরা কাছে আছ আর সাদা কাছে থাকবে। না শুধু বাবার বরং নিজেদের মধ্যেও নৈকট্যের ভিশান (দৃশ্য) বাপদাদাকে দেখিয়েছ। বিশ্বকে ভিশান দেখানোর পূর্বে বাপদাদা দেখেছেন। এখানে আগত সব বাচ্চার অ্যাকশন (কর্ম) দেখে, কী অ্যাকশন করতে হবে, কী হওয়ার আছে, তা’ তারা সহজেই বুঝে যাবে। তোমাদের অ্যাকশনই অ্যাকশন-প্ল্যান। আচ্ছা !
সব প্ল্যান তোমরা ভালো বানিয়েছ। তাছাড়াও, যখন এই কার্য আরম্ভ হয়েছিল, সে’সময় বাপদাদার বিশেষ সঙ্কেত ছিল বর্গিকরণ করার অর্থাৎ সব গোষ্ঠীর সবাইকে তৈরি করার আর তিনি এখনো সেই একই বিষয়ে বলছেন – এমন লক্ষ্য রাখ যাতে এই মহান কার্যে কোনও পেশা বা ক্ষেত্রের যেন থেকে না যায়। এমনকি, যদি সময়ের কারণে বেশি করতে নাও পার, তবুও এই প্রচেষ্টা বা এই লক্ষ্য রাখ – স্যাম্পল অবশ্যই প্রস্তুত হতে হবে। বাকি তো পরে এই কার্যকে আরও বাড়াতে থাকবে। তো যথাযথ সময় হিসেবে সবকিছু করতে থাক। যতই হোক, সমাপ্তি সমীপে নিয়ে আসার জন্য সকলের সহযোগ প্রয়োজন। কিন্তু সারা দুনিয়ার এত আত্মাকে তো একই সময়ে সম্পর্কে তোমরা নিয়ে আসতে পারবে না, সেইজন্য তোমরা গর্বের সাথে যেন বলতে পার, আমরা সব আত্মাকে সব পেশা বা ক্ষেত্রের আধারে সহযোগী বানিয়েছি । তখন এই লক্ষ্য সবাইকে সন্তুষ্ট করতে সমর্থ হবে। কোনো ক্ষেত্রের মানুষেরই যেন এই অভিযোগ না থেকে যায় যে, আমরা তো জানিই না তোমরা কী করছ ? বীজ বপন কর। বাদবাকি বৃদ্ধি তোমরা যেমন সময় পাবে, যেভাবে করতে পারবে সে’ভাবে কর। এই বিষয়ে ভারী হ’য়ো না, কীভাবে করবে, কতটা করবে ! যতটা হওয়ার আছে ততটা হয়েই যাবে। তোমরা যতটা করেছ ততটাই সফলতার কাছাকাছি এসেছ। স্যাম্পল তো প্রস্তুত করতে পার তোমরা, তাই না ?
তাছাড়া, ইন্ডিয়ান গভর্নমেন্টকে (ভারত সরকার) সমীপে নিয়ে আসার যে শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প নেওয়া হয়েছে, কিন্তু সময়ই সকলের বুদ্ধিকে সমীপে নিয়ে আসছে। সেইজন্য সব ব্রাহ্মণ আত্মা এই বিশেষ কার্যার্থে শুরু থেকে অন্ত পর্যন্ত বিশেষ শুদ্ধ সঙ্কল্পে স্থির যে, “সফলতা নিশ্চিত” । এই শুদ্ধ সঙ্কল্প দ্বারা বাবা সমান হওয়ার ভাইব্রেশন বানিয়ে সমন্বয় সাধন ক’রে, বিজয় নিশ্চিত – এই দৃঢ়তার সাথে অগ্রচালিত হও। কিন্তু যখন কোনো বড় কার্য করা হয়ে থাকে তো লোকে প্রথমে কী করে ? যেমন তোমরা দেখেছ স্থূল কাজে কোনও বোঝা উঠাতে হলে লোকে সবাই মিলে সহযোগের আঙুল দেয় আর একে অপরের মনোবল-উৎসাহ বাড়ানোর বোল বলতে থাকে। দেখেছ – না ? এইভাবেই নিমিত্ত যে কেউই হোক, কিন্তু সদা এই বিশেষ কার্যের জন্য সকলের স্নেহ, সকলের সহযোগ, সকলের শক্তির উৎসাহ-উদ্দীপনার ভাইব্রেশন কুম্ভকর্ণকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলবে। এই বিশেষ কার্যের জন্য এই বিশেষ অ্যাটেনশন আবশ্যিক। সফলতার সাধন হিসেবে বিশেষভাবে জরুরি স্ব-এর, ব্রাহ্মণ আর বিশ্বের সকল আত্মার সহযোগ নেওয়া। এর মধ্যে যদি সামান্যতম তারতম্য ঘটে তাহলে তা’ সফলতার প্রতিবন্ধকতার নিমিত্ত হয়ে যায়। সেইজন্য বাপদাদা সব বাচ্চার মনোবলের আওয়াজ শুনে সেই সময় অনুরঞ্জিত হচ্ছিলেন এবং সংগঠনের বিশেষ স্নেহের কারণে তিনি স্নেহের রিটার্ণ দিতেই এসেছেন। তোমরা খুব ভালো আর আগেও অনেকবার ভালোর থেকে ভালো হয়েছ আর এখন হয়ে আছ। সেইজন্য ডবল বিদেশি বাচ্চাদের, যারা দূর থেকে এভাররেডি হয়ে ওড়ার নিমিত্ত, সেই বিশেষ বাচ্চাদের বাপদাদা কণ্ঠহার বানিয়ে তাঁর হৃদয়ে সমাহিত করেন। আচ্ছা !
কুমারীরা তো হলই কান্হাইয়া’র। শুধু একটি শব্দ স্মরণে রাখ – সবকিছুতে এক, একমত, একরস, এক বাবা। ভারতের বাচ্চাদেরও বাপদাদা হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তোমরা লক্ষ্য অনুযায়ী তোমাদের লক্ষণ তথা গুণ প্র্যাকটিক্যালে নিয়ে এসেছ। বুঝেছ ? বাবা কা’কে বলবেন আর কা’কে না বলবেন ! সেই কারণে সবাইকে বলছেন ! (দাদীকে) যারা নিমিত্ত হয়, তাদের তো খেয়াল থাকেই, এটাই সহানুভূতির লক্ষণ। আচ্ছা !
“মিটিংয়ে আগত সব ভাই-বোনকে বাপদাদা স্টেজে ডেকেছেন”
বুদ্ধিকে তোমরা ভালোই উপযোগী করেছ। বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চার সেবার স্নেহ সম্পর্কে জানেন। সেবায় এগিয়ে যাওয়ার কালে সর্বত্র কতটা সফলতা হবে, সেই বিষয়ে শুধু একটু অনুমান করে নিও। বাকি তো সেবার নিষ্ঠা তোমাদের ভালোই আছে। দিন-রাত এক ক’রে সেবার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছ। বাপদাদা তো পরিশ্রমও ভালোবাসা হিসেবে দেখেন। পরিশ্রম করনি, বরং তোমাদের ভালোবাসা দেখিয়েছ। আচ্ছা ! উৎসাহ-উদ্দীপনার ভালো সাথী পেয়েছ তোমরা। এ’ এক বিশাল কার্য আর তোমাদের আছে এক বিশাল হৃদয়, সেইজন্য যেখানে চেতনা অসীম সেখানে সফলতা আছেই। বাপদাদা সব বাচ্চার সেবার একাগ্রতা ও নিষ্ঠা দেখে রোজ খুশির গীত গান। তিনি অনেক বড় গীত শুনিয়েছেন – “বাঃ, বাচ্চারা বাঃ !” আচ্ছা ! আসার মধ্যে কতো গুপ্ত বিষয় ছিল, তোমরা তো গুপ্ত সব বিষয় বুঝতে পার, তাই না ! রহস্য জানে আর বাবা জানেন । (দাদী বাপদাদাকে ভোগ স্বীকার করাতে চাইলেন) আজ বাবা দৃষ্টি দ্বারাই স্বীকার করবেন। আচ্ছা !
সবার বুদ্ধি খুব ভালো কাজ করছে আর একে অপরের কাছাকাছি আসছ, তাই না ! তাইতো সফলতা অতি নিকটে। নৈকট্য সফলতাকে কাছে নিয়ে আসবে। ক্লান্ত হয়ে পড়নি তো ? অনেক কাজ দেওয়া হয়েছে ? কিন্তু অর্ধেক কাজ তো বাবা করেন। সবার উদ্যম ভালো। দৃঢ়তাও তো আছে, তাই না ! সামীপ্য কতো সমীপে আছে ? যদি চুম্বক (বাবা) রেখে দাও তবে সামীপ্য সবার গলায় মালা পরাবে। এ’রকম অনুভব হয় ? আচ্ছা ! সবকিছু ভালোর থেকেও ভালো।
দাদীদের প্রতি উচ্চারিত অব্যক্ত মহাবাক্যঃ- (31-03-88)
বাবা বাচ্চাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, বাচ্চারা বাবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। একে অন্যকে ধন্যবাদ দিতে দিতে এগিয়ে যাচ্ছ, এটাই বিধি এগিয়ে যাওয়ার। এই বিধিতেই তোমাদের সংগঠন ভালো। একে অন্যকে তোমরা “হাঁ জী” বলে “ধন্যবাদ” বলে আরও এগিয়ে গেছ, এই বিধিকে যদি সবাই ফলো করে তাহলে ফরিস্তা হয়ে যাবে। বাপদাদা ছোট মালাকে দেখে প্রসন্ন হন। এখন বালা হয়েছে, গলার মালা প্রস্তুত হচ্ছে। গলার মালা প্রস্তুতিতে রত রয়েছ তোমরা। এখন অ্যাটেনশন প্রয়োজন। সেবায় অ্যাটেনশন বেশি চলে যায় ব’লে কখনো কখনো নিজের উপরে কম হয়ে যায়। কখনো কখনো ‘বিস্তার’-এ ‘সার’ মার্জ হয়ে যায়, ইমার্জ (প্রত্যক্ষ) রূপে থাকে না। তোমরাই বলো যে এখন তো এটা হওয়ারই আছে। কখনো এমন দিন আসবে যখন তোমরা বলবে – যা হওয়া উচিত, সেটাই হচ্ছে। দীপমালা তো প্রথমে এখানেই তৈরি হবে। বাপদাদা তোমাদের প্রত্যেককে উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ানোর এক্সাম্পল মনে করেন। তোমাদের ইউনিটিই যজ্ঞের দুর্গ। তোমরা সংখ্যায় ১০ হও অথবা ১২, কিন্তু দুর্গের প্রাচীর তোমরা। তাহলে বাপদাদা কতো খুশি হবেন ! বাপদাদা তো আছেনই, তবুও নিমিত্ত তো তোমরা। যদি দ্বিতীয়, তৃতীয় গ্রুপ এরকমই সংগঠন হয়ে যেত, তাহলে চমৎকার হতে পারে। এখন এ’রকম গ্রুপ তৈরি করো। যেমন প্রথম গ্রুপের জন্য সবাই বলে যে এঁদের নিজেদের মধ্যে স্নেহ আছে। স্বভাব ভিন্ন ভিন্ন, সে’তো থাকবেই কিন্তু ‘রিগার্ড’ আছে, ‘ভালোবাসা’ আছে, ‘হাঁ জী’ আছে। প্রয়োজনের সময় নিজে নিজেকে মোল্ড করে নেয়, সেইজন্য এই দুর্গের প্রাচীর মজবুত, আর সেইজন্যই তোমরা এগিয়ে যাচ্ছ। ফাউন্ডেশনকে দেখে আনন্দ হয়, তাই না ! যেমন এই সীজনের প্রথম ফল দেখতে পাওয়া গেল, এই রকম শক্তিশালী গ্রুপ যদি তৈরি হয়ে যায়, তবে সেবা তোমাদের পিছনে পিছনেই আসতে থাকবে। ড্রামায় বিজয় মালা স্থিরীকৃত হয়ে আছে। সুতরাং অবশ্যই একে অপরের কাছাকাছি আসবে, তবে তো মালা তৈরি হবে। যদি একটা দানা এক দিকে থাকে, আরেকটা দানা তার থেকে দূরে হয় তাহলে মালা তৈরি হবে না। সব দানা যুক্ত হতে থাকবে, কাছাকাছি আসতে থাকবে তবেই মালা তৈরি হবে। তোমরা তো ভালো এক্সাম্পল। আচ্ছা !
এখন তো মিলনের কোটা পূরণ করতে হবে। তোমাদের বলা হয়েছিল, বাবা রথকে এক্সট্রা সকাশ দিয়ে চালাচ্ছেন। নয়তো, এটা সাধারণ ব্যাপার নয়। বাবাকে তো সবকিছু দেখতে হয়, তাই না। তবুও সব শক্তির এনার্জি সঞ্চিত আছে, সেইজন্য রথও এত সহযোগ দিচ্ছে। যদি শক্তি সঞ্চয় না হতো তাহলে এতটা সেবা দুষ্কর হয়ে যেত। ড্রামাতে এটাও প্রত্যেক আত্মার পার্ট। শ্রেষ্ঠ কর্মের যে পুঁজি সঞ্চয় হয় তা’ প্রয়োজনের সময় কাজে লাগে। কতো আত্মার আশীর্বাদও প্রাপ্ত হয়, সেটাও সঞ্চিত হয়। কোনো না কোনও বিশেষ পুণ্যের পুঁজি জমা থাকার কারণে এই আত্মার পার্ট বিশেষ।বিনা অন্তরায়ে রথ চলবে, এও ড্রামার পার্ট। ছ’মাস কিছু কম ছিল না ! আচ্ছা ! সবাইকে খুশি করবে।
অব্যক্ত মুরলী থেকে বাছাই করা কিছু অমূল্য মহাবাক্য (প্রশ্ন-উত্তর)
প্রশ্নঃ- কোন এক শব্দের অর্থ-স্বরূপে স্থিত হওয়াতেই সবরকম দুর্বলতা সমাপ্ত হয়ে যাবে ?
উত্তরঃ- শুধুমাত্র পুরুষার্থী শব্দের অর্থ-স্বরূপে স্থিত হয়ে যাও। পুরুষ অর্থাৎ এই রথের রথী, প্রকৃতির মালিক। এই এক শব্দের অর্থ-স্বরূপে স্থিত হলে সব দুর্বলতা সমাপ্ত হয়ে যাবে।পুরুষ প্রকৃতির অধিকারী নাকি অধীন। রথী রথকে চালায় নাকি রথের অধীন হয় !
প্রশ্নঃ- আদিকালের রাজ্য অধিকারী হওয়ার জন্য কোন ধরনের সংস্কার এখন থেকে ধারণ করা উচিত ?
উত্তরঃ- নিজেদের আদি অবিনাশী সংস্কার এখন থেকে ধারণ করো। যদি বহুকালের যুদ্ধের সংস্কার থাকে অর্থাৎ যদি যুদ্ধ করতেই তোমার সময় অতিবাহিত করো, আজ জয় কাল হার। এই মুহূর্তে জয়, এই মুহূর্তে হার, সদাসর্বদার বিজয়ী হওয়ার সংস্কার যদি তৈরি না হয় তাহলে ক্ষত্রিয় বলা হবে নাকি ব্রাহ্মণ ! যে ব্রাহ্মণ সে দেবতা হয়, ক্ষত্রিয়, ক্ষত্রিয় কুলে চলে যায়।
প্রশ্নঃ- বিশ্ব পরিবর্তক হওয়ার আগে কোন ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন ?
উত্তরঃ- বিশ্ব পরিবর্তক হওয়ার আগে নিজের সংস্কার পরিবর্তন করার শক্তি প্রয়োজন। দৃষ্টি আর বৃত্তির পরিবর্তন প্রয়োজন। তুমি দ্রষ্টা এই দৃষ্টি দ্বারা দেখ। দিব্য নেত্র দ্বারা দেখ, নাকি চর্ম চক্ষে দেখ ? দিব্য নেত্র দ্বারা যদি দেখ তবে স্বতঃ দিব্য রূপই দেখবে। চামড়ার চোখ চামড়াকে দেখে, চামড়া সম্পর্কেই ভাবে – এই কাজ ফরিস্তা বা ব্রাহ্মণের নয়।
প্রশ্নঃ- নিজেদের মধ্যে ভাই-বোনের সম্বন্ধে হয়েও কোন দিব্য নেত্র দ্বারা অবশ্যই দেখা উচিত যাতে দৃষ্টি বা বৃত্তি কখনো চঞ্চল হতে পারে না ?
উত্তরঃ- প্রত্যেক শরীরধারী আত্মাকে শক্তি রূপে, জগৎ মাতা রূপে, দেবীরূপে দেখাই দিব্য নেত্র দ্বারা দেখা। শক্তির সামনে কেউ আসুরিক বৃত্তিতে আসলে তাহলে ভস্ম হয়ে যায়, অতএব, ‘আমাদের বোন বা টিচার’ এই হিসেবে দেখ না, বরং তারা শিবশক্তি। মাতারা বোনেরা সদা নিজেদের শিবশক্তি স্বরূপে স্থিত হতে হবে। আমার বিশেষ ভাই, বিশেষ স্টুডেন্ট নয়, তারা মহাবীর আর তারা শিবশক্তি।
প্রশ্নঃ- মহাবীরের বিশেষত্ব কী দেখানো হয় ?
উত্তরঃ- তাদের হৃদয়ে সদা এক রাম থাকেন। মহাবীর রামের, তো শক্তিও শিবের। কোনো শরীরধারীকে দেখে মস্তকের দিকে আত্মাকে দেখ। আত্মার সাথে কথা বলবে নাকি শরীরের সাথে ? নজর মস্তকমণির দিকেই যাওয়া উচিত।
প্রশ্নঃ- কোন শব্দকে অগোছালোভাবে ইউজ না করে শুধু সতর্ক হবে, সেটা কোন সতর্কতা ?
উত্তরঃ- পুরুষার্থী শব্দকে অযত্নে ইউজ না করে শুধু এই সতর্কতা বজায় রাখ যে সব বিষয়ে দৃঢ় সঙ্কল্পধারী হতে হবে। যেটাই করতে হবে সে’টা শ্রেষ্ঠ কর্মই করতে হবে। শ্রেষ্ঠই হতে হবে। ওম্ শান্তি।
বরদানঃ-
যারা পুরানো সংস্কারের প্রপার্টি সময়ের জন্য সরিয়ে রাখে, মায়া কোনো না কোনো ভাবে তাদের ধরে ফেলে। এমনকি, পুরানো রেজিস্টারের ছোট টুকরো দ্বারাও পাকড়াও হয়ে যাবে, মায়া অতি প্রতাপশালী, তার ক্যাচিং পাওয়ার কিছু কম নয়, সেইজন্য বিকারের বংশের অংশমাত্রও সমাপ্ত করো। সামান্য একটু কোণেও পুরানো ভান্ডারের কোনো লক্ষণ না থাকা – একে বলা হয় সর্ব সমর্পণ, ট্রাস্টি বা যজ্ঞের স্নেহী সহযোগী।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!