10 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
9 March 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
মিষ্টি বাচ্চারা - ভগবান, যাঁকে সারা দুনিয়া স্মরণ করে, তিনি তোমাদের সম্মুখে বসে আছেন, তোমরা এইরকম বাবার থেকে পুরোপুরি উত্তরাধিকার নিয়ে নাও, ভুলে যেও না"
প্রশ্নঃ --
বাবার শ্রীমত অনুসারে যথার্থভাবে চলতে পারার শক্তি কোন্ বাচ্চাদের থাকে ?
উত্তরঃ -:-
যারা নিজের সত্যিকারের চার্ট (পোতামেল) বাবাকে শুনিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপে বাবার থেকে পরামর্শ নেয়। বাবার থেকে পরামর্শ নিলে সেই পথে চলার শক্তিও প্রাপ্ত হয়ে যায়। বাবা বাচ্চাদেরকে শ্রীমত দেন – বাচ্চারা ঐ উপার্জনের পিছনে ছুটে এই উপার্জনকে মিস্ (হারিয়ে) ক’রো না, কারণ ঐ পাই-পয়সার সমস্ত রোজকার শেষ হয়ে যাবে। প্রতিটি কথায় শ্রীমত অনুসরণ করার জন্য অনেক সতর্ক হও, সাবধানে চলো। নিজ মত পোষণ করলে চলবে না।
গান:-
ছেড়ে দাও ওই আকাশ সিংহাসন, এই ধরিত্রীতে এসো…
ওম্ শান্তি । এখন বাচ্চারা সম্মুখে বসে আছে, কার ? বেহদের বাবা আর দাদার। এটি বড়ই আশ্চর্যজনক বিষয় (ওয়ান্ডারফুল)। বেহদের বাবা পরমপিতা পরমাত্মা আর বেহদের দাদা প্রজাপিতা ব্রহ্মা, দুজনেই সম্মুখে বসে আছেন।কার ? বাচ্চাদের। এটি যেন ঈশ্বরীয় কুটুম্ব (পরিবার) বসে আছে আর বেহদের বাবা বসে বাচ্চাদেরকে পড়াচ্ছেন বা সহজ রাজযোগ শেখাচ্ছেন, এটি যদি বুদ্ধিতে থাকে তাহলে খুশির পারদও চড়তে থাকবে। গানেও বলেছে বাবা এসো, এখন অনেক দুঃখ। আহ্বান করতে থাকে আর এখানে তোমাদের সম্মুখে বসে আছেন। তোমরা জানো বেহদের বাবা এই দাদার দ্বারা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন। বাচ্চাদের মধ্যেও ক্রমানুসারে পুরুষার্থ অনুসারে বুদ্ধিতে নিশ্চয় আছে। ব্যারিস্টারি পড়লে অবশ্যই নিশ্চয় থাকে যে আমাকে ব্যারিস্টারি পড়াচ্ছে!অমুক সার্জান আমাকে সার্জারি শেখাচ্ছেন। এটি এমনই আশ্চর্যজনক বিষয় যে এখনই-এখনই বলে আমার যথার্থ নিশ্চয় আছে, বেহদের বাবা নিরাকার আমাদেরকে পড়ান, রাজযোগ শেখান। আবার পরক্ষণেই বাইরে বা দূরে সরে এলেই নিশ্চয় ভেঙে যায়। আশ্চর্যজনক না ? ভগবান যাঁকে সমস্ত দুনিয়া স্মরণ করে, উনিই বাচ্চাদের সম্মুখে বসে বলেন – বাচ্চারা এখন ভালোভাবে বাবার থেকে বর্সা নেওয়ার পুরুষার্থ করো। বুঝতেও পারে তারপর আবার সেকেন্ডের মধ্যে ভুলে যায়। তোমরা বেহদের বাবার সম্মুখে বসে আছো। শ্রীমত অনুসরণ করে চলতে হবে প্রতিটি পদক্ষেপে। কিন্তু অনুসরণ করবে তারাই যাদের প্রতিটি সংবাদ বাবার জানা থাকবে। বাচ্চাদের থাকা-কার্যকলাপ করা সমস্ত কিছুর সংবাদ বাবার কাছে পৌঁছানো দরকার। তাহলে বাবাও জানতে পারবেন আর সেই অনুসারে সময়ে সময়ে পরামর্শ দিতে পারবেন। প্রতিটি পদক্ষেপে শ্রীমত অনুসরণ করতে হবে। এটি হলো গড ফাদারলি ইউনিভার্সিটি, এখানে ভালোভাবে পড়তে হবে। এমন নয় যে আজ পড়লে আবার কখনও কোনো কাজ পড়ে গেলে পড়া মিস্ করে ফেললে। ঐসব কাজ হলো পাই-পয়সার। এই দুনিয়াতে মানুষ যা কিছু রোজগার করে, সেগুলি কিছুই থাকবে না। সব শেষ হয়ে যাবে। বাবা রোজকার করেন বাচ্চাদের জন্য। ভাবেন পুত্র-পৌত্র, প্রপৌত্র খেতে থাকবে। তারপর বাচ্চা যখন বাবা হবে তখন আবার সে নিজের বাচ্চাদের জন্য চেষ্টা করবে। তখন তো বিনাশ সামনে উপস্থিত। তাহলে বাবা যখন বাচ্চাদের পোতামেলের সম্বন্ধে জানবেন তখন তো পরামর্শ দেবেন। প্রতিটি পদক্ষেপে জিজ্ঞাসা করতে হবে। এইরকম নয় যে কোন বিকর্ম হয়ে যাবে। এ হলো বেহদের ঘর। বাবা বসে এমন ভাবে বোঝান – যেরকম হুবহু হদের ঘরে লৌকিক বাবা বোঝান। সব বাচ্চারা জানেন যে আমরা হলাম ব্রাহ্মণ। কাউকে জিজ্ঞাসা করো ভগবান তোমার কে হন ? তখন বলবে তিনি হলেন সকলের বাবা। আবার জিজ্ঞাসা করো তিনি কোথায় থাকেন ? তখন বলবে সর্বব্যাপী। বেহেদের বাবাকে জানে না। তোমরা বাচ্চারা এখন বাবাকে যথার্থ ভাবে জেনেছো, তাহলে তোমাদেরকে দৈবী মতে চলতে হবে। বাবা এসেছেন দেবী-দেবতা বানানোর জন্য।প্রতিটি পদক্ষেপে শ্রীমত অনুসরণ করে চলতে হবে। পান্ডারা যাত্রায় নিয়ে যাওয়ার সময় সতর্ক করে দেয় এবং বলে সাবধানে চলো। এইরকম অনেকেই আছে যারা তীর্থ ইত্যাদিকে মানে না। তীর্থ অর্থাৎ ভক্তি। তীর্থকে না মানা অর্থাৎ ভক্তিকেই অমান্য করা। ভক্তি মার্গ হল অর্ধকল্পের। মানুষ ভগবানের সন্ধান করতে থাকে। অনেক শ্রদ্ধা রাখে। শিবের দর্শন করতে অনেকেই যায় । ভাবে যে ভগবানের দর্শন হয়ে যাবে, এটি হলো শ্রদ্ধা। আবার সাক্ষাৎকার হয়ে গেলে অনেক খুশি হয়ে যায়। ভাবে যে আমি ভগবানকে পেয়ে গেছি, কৃষ্ণকে পেয়ে গেছি, হনুমানকে পেয়ে গেছি। ব্যস্ এখন আমাদের মুক্তি হয়ে গেছে। কিন্তু মুক্তি তো কারোরই হয় না।
এখন বাবা ভালোভাবে বসে বোঝান – মিষ্টি বাচ্চারা এখন প্রথমে সবাইকে বাবার পরিচয় দাও। এই সময় সবাই অনাথ, তোমরাও অনাথ ছিলে। এখন বাবার দ্বারা তোমরা সবকিছু বুঝতে পারছ। মানুষ বলে – আমি নীচ, পাপী। কিন্তু এইরকম নীচ কে বানিয়েছে কারোরই জানা নেই। কেউই নিজেকে বোকা মনে করে না। এই ড্রামা সৃষ্টি হয়েছে অনাদি কাল থেকেই, সকলকে নীচে যেতেই হবে, ভ্রষ্টাচারী হতেই হবে। এটা মনে রাখতে হবে যে আমরা হলাম ভগবানের পরিবারের। ভগবান আমাদের বাবা, তাহলে অবশ্যই আমরা বিশ্বের মালিক হবো। তাহলে আমাদের এইরকম দুর্গতি কেন হল ? এটা কারোরই বুদ্ধিতে আসেনা। একদিকে বলে পরমাত্মা সর্বব্যাপী, অন্যদিকে বলে শান্তি কীভাবে স্থাপন হবে! মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে। সভা-সমাবেশ করতে থাকে। বোঝালেও বুঝতে পারে না, ওরা বুঝতে পারবে শেষ সময়ে (অন্তে)। বাচ্চারা তোমাদের যোগে থেকে কর্মাতীত হতে হবে। তোমরাই সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিলে আবারও তৈরী হতে হবে। বাকি যে সব ধর্মগুলি আছে, সেগুলি সত্যযুগে থাকবে না। যারা সত্যযুগে ছিল তারাই অনেক কাল আলাদা আছে। তাদের জন্যই বলা হয় হারানিধি। আত্মা পরমাত্মা আলাদা ছিল বহুকাল… কোন্ কোন্ আত্মারা সবার প্রথম পরমধাম থেকে এসেছে এখানে পার্ট (অভিনয়) প্লে করতে! প্রথম-প্রথম আসেন দেবী-দেবতা ধর্মের আত্মারা পার্ট প্লে করতে। তাদেরকেই নিজেদের ধর্মে নিয়ে আসতে হবে। বাবা বলেন যে, তাদের জন্যই আসতে হয়। সাথে সাথে সকলের জন্যই আসতে হয়, কেননা সকলকে মুক্তি দিতে হবে। এখন দেবতা ধর্ম নেই। এটারই চারা লাগাতে হবে। কেউ কোন ধর্মে, কেউ কোন ধর্মে চলে গেছে। তারাই আবার বেরিয়ে আসবে। এই ধর্মের স্থাপনা কতটা আশ্চর্যজনক। সেই জন্যই তো বলে, হে প্রভু তোমার শ্রীমত গতি সদগতি বড়ই আশ্চর্যের, যেটা কেউই বুঝতে পারে না। দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা কীভাবে হয় ! এতদিন ধরে যারা পতিত দেহ-অভিমানী হয়ে আছে, তাদের জন্য আবার দেহী-অভিমানী হওয়া – এর জন্য পরিশ্রম করতে হবে। মুহূর্তে-মুহূর্তে ভুলে যায়। বাবা বলেন, উঠতে-বসতে আমাকে স্মরণ করো। বিকর্মের বোঝা তোমাদের উপরে অনেক আছে। সুখও তোমরা অনেক দেখেছো, দুঃখও তোমরা অনেক দেখেছো। এখন আবার দুঃখ থেকে তোমাদেরকে সুখে নিয়ে যাচ্ছি। তাহলে শ্রীমত অনুসরণ করে চলতে হবে আবার অন্যদেরকেও স্মরণ করাতে হবে। সৃষ্টি চক্রের রহস্য বোঝানো খুবই সহজ। তাদেরকেই ত্রিকালদর্শী বলা হয়।
বাবা বুঝিয়েছেন – বলো তোমরা তো ভগবানের সন্তান, তাই না ? ভগবান হলেন স্বর্গের রচয়িতা তাহলে ভগবানের থেকে অবশ্যই স্বর্গের উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। এই কথাটা তোমরাই জানো আর তোমরাই জিজ্ঞাসা করতে পারো। মানুষ বলে ঈশ্বরই জন্ম দেয়, তাহলে তো তোমাদেরকে ঈশ্বরের উত্তরাধিকারী হওয়াই উচিত তাই না! ঈশ্বর বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা, তাহলে তোমরা নরকে পড়ে আছো কেন ? এটা তো তোমরা জানো যে আমরা প্রথমে স্বর্গে ছিলাম। রাবণ আমাদেরকে নরকে ঠেলে দিয়েছে। রাবণ কে, এটাও কেউ জানেনা। তোমরা স্মরণ করাতে পারো ভারতই প্রাচীন স্বর্গ ছিল আর ভারতবাসী স্বর্গের মালিক ছিল। এখন ভারত নরক হয়ে গেছে। এই খেলা(নাটক) পূর্ব নির্ধারিত। রামরাজ্য আর রাবণ রাজ্য অর্ধেক-অর্ধেক। এটাই খেলা (নাটক)। আবার এদের মধ্যে কি হয়, সেটিও পুঙ্খানুপুঙ্খ বসে বোঝান। কোনো-কোনো বাচ্চা নিশ্চয়বুদ্ধি সম্পন্ন, যারা বোঝে আমরা বাবার সম্মুখে বসে আছি। বাবা হলেন ত্রিনেত্রী, ত্রিকালদর্শী, ত্রিমূর্তি, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকরেও রচয়িতা। ত্রিমূর্তি শিবের পরিবর্তে ত্রিমূর্তি ব্রহ্মার নাম রেখে দিয়েছে। এখন ত্রিমূর্তির রচয়িতা ব্রহ্মা কীভাবে হতে পারে ? বলাও হয়ে থাকে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, শংকরের দ্বারা বিনাশ, তাহলে রচয়িতা অবশ্যই অন্য কেউ হবে। এত ছোট কথাটাও কেউ বুঝতে পারে না। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা স্বর্গের উত্তরাধিকার দেবেন আর কী দেবেন ? বিষ্ণুপুরী কে স্থাপন করেন ? বাবা বিষ্ণুপুরী অর্থাৎ লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য স্থাপন করছেন, এটিও কেউ জানে না। বিষ্ণুর আলাদা চিত্র তৈরী করে তাকে নর-নারায়ণ বলে আর লক্ষ্মী-নারায়ণের আবার আলাদা-আলাদা তৈরী করে দিয়েছে। চিত্রগুলি কি আশ্চর্যজনক তৈরি করেছে।
বাচ্চারা প্রদর্শনীতে তোমাদের বোঝাতে হবে। প্রদর্শনী চলছে আর বাচ্চারা যদি নিজ নিজ কাজে কর্মে রত থাকে, তাহলে কী মানুষ বুঝবে যে এরা বাবাকে চিনেছে ? বাবা বুঝতে পারেন যে এরা নিজেরাও পুরোপুরি বুঝতে পারেনি, তাইতো সেবায় ছুটছে না। নাহলে দ্রুত সেবায় ছুটতো। অন্ধের লাঠি না হলে তাহলে তো নিজেও অন্ধই হলে, বাবাকে জানতে পারলে না। কাউকে কী কখনো বলা বলা যায় যে তোমরা সেবায় যাও। নিজে থেকেই এগিয়ে আসতে হবে যে, বাবা আমরা (সার্ভিসে) সেবায় যেতে পারবো, আপনি অনুমতি দিন। বাবা জানেন কে-কে সেবা করতে পারবে। এইরকম কেউ লেখে না যে বাবা আমি প্রস্তুত(রেডি) আছি। মানুষকে কড়ি (নগণ্য-তুচ্ছ) থেকে হিরে তুল্য বানাতে হবে। যদি ১০-২০-৫০ টাকা রোজকার না করলে তো কি হবে ? অনেকের কল্যাণ করতে হবে। কিন্তু পুরোপুরি পরিচয় নেই। কোটির মধ্যে কেউ জানে। আমাদের কাছেও অল্প সংখ্যক সেন্সিবল বাচ্চা আছে, যাদেরকে টেলিগ্রাম করে ডাকতে হয়। নিজে থেকে বলে না যে বাবা আমরা তৈরী আছি। বাবা দেখেন – কার সেবার শখ(ইচ্ছা) আছে। মানুষ এখন জানোয়ারের মতো হয়ে গেছে, তাদেরকে দেবতা বানাতে হবে। বাচ্চারা তোমাদেরকে নিরহংকারী হতে হবে। মুখ্য বা প্রধানের(হেড) মধ্যে তো অনেক নম্রতা দরকার। বাবা কতটা নিরহংকারী, কোন-কোন বাচ্চার মধ্যে অনেক অহংকার থাকে। যেমন কর্ম আমি করবো আমাকে দেখে অন্যরাও করবে। তার দন্ড, তার অবস্থান নিচে নেমে যাবে। বাবা বলেন বাচ্চা, তোমাদেরকে সবকিছু নিজো হাত দ্বারা করতে হবে। বাবা কতো সাধারণ রীতিতে পড়ান। মানুষ তো মনে করে – তারা হল সর্বশক্তিমান, কিনা করতে পারে! কিন্তু বাবা বলেন আমাকে তো সার্ভেন্ট হয়ে আসতে হয়। আহ্বানও জানায় যে হে জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন এসো। সুখের সাগর এসো, এসে আমাদের পতিতদেরকে পবিত্র বানাও। বাবাকে এসে এইরকম সেবা (সার্ভিস) করতে হয়। কোথায় এসে থাকতে হয়! কেমন-কেমন বিঘ্নও পড়ে। লাখা ভবনে আগুন লাগিয়ে দিত, সব কিছুই বাস্তবে হচ্ছে। বাবা তো সমস্ত পার্টকে জানেন, আমরা জানিনা। বাবা বলেন আমাকে আসতে হয়। ভগবান স্বয়ং বলেন আমাকে গালাগাল খেতে হয়। সবথেকে বেশি গালি-গালাজ আমিই খাই। ভক্তি মার্গেও গালি-গালাজই করে। তিন পা পৃথিবীরও পাওয়া যায় না । তা সত্ত্বেও কতটা নিরহঙ্কারিতার সাথে পার্ট প্লে করে চলেছেন। মাম্মা বাবা বাচ্চাদেরকে শেখানোর জন্য কত কিছু করেন । কতটা নীচে নামতে হয়। পতিতদের পাবন বানাতে হবে। পূতিগন্ধময় (মুত পলীতী) কাপড় ধুতে হলে ধোপাও হন, স্বর্ণকারও হন। সকলকে গলিয়ে-গলিয়ে প্রকৃত সোনা তৈরি করেন। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) বাবার সমান নিরহংকারী, নম্রচিত্ত হতে হবে। নিজের সেবা নিজের হাতেই করতে হবে। কোনো কথায় অহংকার দেখালে চলবে না।
২ ) সেবার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সেবার জন্য নিজেকে নিজেই প্রস্তাব দিতে হবে। তুচ্ছ মানসিকতার মানুষদেরকে হীরে তুল্য বানানোর সেবা করতে হবে।
বরদানঃ-
যারা সর্বদা ভরপুর বা সম্পন্ন থাকে, তারা তৃপ্ত থাকে। কেউ যতই অসন্তুষ্টতার পরিস্থিতি তাদের সামনে নিয়ে আসুক না কেন সম্পন্ন, তৃপ্ত আত্মা অসন্তুষ্টকারীদেরকেও সন্তুষ্টতার গুণ সহযোগের মাধ্যমে প্রদান করে । এইরকম আত্মারাই দয়াবান হয়ে শুভভাবনা আর শুভকামনার দ্বারা তাদেরকেও পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা করবে।রুহানী রয়্যাল (রাজকীয়তা সম্পন্ন) আত্মাদের এটাই হল শ্রেষ্ঠ কর্ম।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!