10 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
9 June 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - সদা এই নেশায় থাকো যে জ্ঞান সাগর বাবার জ্ঞানের বর্ষা হচ্ছে আমাদের উপরে, যার দ্বারা আমরা পবিত্র হয়ে নিজেদের বিরাট বড় গৃহে যাবো”
প্রশ্নঃ --
বাচ্চারা, তোমাদের নিশ্চয় কোন্ আধারে আরও মজবুত বা পাকা হতে থাকবে ?
উত্তরঃ -:-
দুনিয়ায় যত অরাজকতা বৃদ্ধি পাবে, তোমাদের দৈবী বৃক্ষের বৃদ্ধি হবে, ততই পুরানো দুনিয়ার প্রতি আসক্তি কমতে থাকবে এবং তোমাদের নিশ্চয় পাকা হতে থাকবে। অসীম খুশীতে থাকবে।
ওম্ শান্তি । বাচ্চাদেরকে রোজ এই কথা বলার দরকার থাকে না যে, শিববাবাকে স্মরণ করো। বাচ্চারা জানে আমরা শিববাবার সন্তান। বলার দরকার থাকে না। শিববাবা আমাদের ব্রহ্মার দ্বারা পড়ান, এ’হল জ্ঞান সাগরের জ্ঞানের বর্ষা। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে যে জ্ঞান সাগরের দ্বারা এখন আমাদের বুদ্ধির উপরে জ্ঞানের বর্ষা হচ্ছে। যারা এসে ব্রাহ্মণ হচ্ছে তাদের উপরেই আমি জ্ঞানের বর্ষা করি, বাচ্চাদের সম্মুখে থাকি। এখন বাচ্চারা সম্মুখে বসে আছে। বাবা ক্ষণে ক্ষণে সম্মুখে থাকার নেশা বৃদ্ধি করেন। মায়া সেই নেশা নাশ করে। কারো পুরো নেশা শেষ করে দেয়, কারো একটু কম। বাচ্চারা জানে – আমরা এসেছি সাগরের কাছে রিফ্রেশ হতে অর্থাৎ মুরলীর পয়েন্ট ধারণ করে ডাইরেকশন নিতে। আমরা তাঁর সম্মুখে বসে আছি। এই জ্ঞানের সাগরের বর্ষা মাত্র একবারই হয়। বাবা আসেন পতিতদের পবিত্র করতে। মহিমাও এমন গাওয়া হয় হে পতিত-পাবন…. সত্য যুগে তো এমন করে কেউ ডাকবে না। সেখানে তো জ্ঞানের সাগরের জ্ঞান বর্ষার দ্বারা পবিত্র হয়ে থাকবে, জ্ঞানের সাথে বৈরাগ্যও থাকবে। কোন্ জিনিসের প্রতি ? পুরানো পতিত দুনিয়ার প্রতি বুদ্ধির দ্বারা বৈরাগ্য আসে। বাচ্চারা বুদ্ধির দ্বারা জানে যে, এখন আমরা নতুন দুনিয়ায় যাই। পুরানো দুনিয়াকে ত্যাগ করতে হবে – একেই বৈরাগ্য বলা হয়েছে। যেমন বাবা নতুন গৃহ নির্মাণ করেন তখন পুরানোর থেকে বুদ্ধিযোগ সরে গিয়ে নতুনের প্রতি যুক্ত হয়। মনে মনে ভাবে পুরানো শেষ হলে আমরা নতুন স্থানে যাবো। বাচ্চারাও মনে মনে হয়তো বলে শীঘ্রাতিশীঘ্র স্বর্গের স্থাপনা হোক, তাহলে আমরা নিজের ঘরে যাই, সুখী হই। সর্ব প্রথমে আমরা প্রিয়তমের সাথে পরমধামে ফিরবো। এই হল পিত্রালয়, ছোট, ওটা হল বড় বাবার বড় আলয়। তোমরা জানো ওটা হল সকল আত্মাদের নিবাস স্থান। এই কথাটি বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে অন্য কারো বুদ্ধিতে নেই। পূর্বে তো অন্ধকার ছিল, এখন উজ্জ্বলতা হয়েছে। এই কথাও বুঝেছো যে জ্ঞান তো সবাই প্রাপ্ত করবে না। পরমধামে নিশ্চয়ই যাবে সবাই । বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে এখন আমরা নিজেদের আপন ধামে ফিরে যাচ্ছি। শ্রীমৎ অনুসারে যোগ্যতা অর্জন করছি। স্বর্গে যাওয়ার যোগ্য তো হতে হবে। এক আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে, দ্বিতীয়তঃ চক্র আবর্তন করো। সৃষ্টির চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়, এর আয়ু কত বছরের, কে কখন আসে, এই সব কথা বাবা বসে বোঝান। এই যে বলে মানুষ ৮৪ লক্ষ জন্ম নেয় তাহলে কি সবাই নেয় ? এখন তোমরা জানো ৮৪ জন্ম হয়, তারও হিসেব আছে। সবাই তো ৮৪ জন্মও নেবে না। শুরু থেকে পুনর্জন্মে আসতে থাকে। শেষের দিকে কারো এক দুই জন্মও হয়। সর্ব প্রথমে যে আসবে তারা ৮৪ জন্ম নেবে। যেমন এই দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মী-নারায়ণের, মানুষ যদিও তাদের মন্দিরে যায় কিন্তু কিছুই জানে না। যাদের পূজা করে তাদের অক্যুপেশান জানে না তো সেই পূজা করে কি লাভ ! তাই একে বলা হয় অন্ধশ্রদ্ধা। জপ তপ তীর্থ ইত্যাদি করে, ভাবে এর দ্বারা ভগবানকে পাওয়ার পথ প্রাপ্ত হবে। কিন্তু এইসবের দ্বারা ভগবানকে প্রাপ্ত করা যায় না। এখানেও অনেকে আসে, জগৎ অম্বার মন্দিরে আসে দর্শন করতে। বাবা বুঝতে পারেন এদের বুদ্ধিতে কিছুই বসেনি। তোমাদের তো সব মনস্কামনা পূরণ হচ্ছে তাইনা ! জগৎ অম্বার পার্ট সঠিকভাবে চলছে। যথাযথভাবে জগৎ অম্বার পার্ট হল সবচেয়ে উঁচু। প্রথমে লক্ষ্মী তারপরে নারায়ণ। তোমাদের এ হল অন্তিম জন্ম। হিসেব-নিকেশ এখানেই পরিশোধ করতে হয়। কর্মের ভোগ, ভোগ করে মুক্ত হতে হবে এবং বাবার স্মরণে থাকতে হবে। বাস্তবে বাচ্চাদেরকে একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। দেহধারীকে স্মরণ করলে সময় নষ্ট হয়ে যাবে। এমন তো হতে পারে না যে কেউ নিরন্তর স্মরণে থাকবে। এমন কোনো জিনিস নেই যেটা নিরন্তর স্মরণে থাকবে। স্ত্রী তার স্বামীকেও নিরন্তর স্মরণ করে না। অবশ্যই রন্ধন করবে, সন্তানের লালন পালনও করবে, কিন্তু স্বামীর তো সব সময় স্মৃতিতে থাকবে না। এখানে তো তোমাদের নিরন্তর স্মরণ করার অভ্যাস করতে হবে। যাতে শেষ সময়ে এমন অবস্থা থাকে যে কেবল এক এর স্মরণই যেন থাকে, খুব কঠিন এই পরীক্ষা। ৮-টি রত্নের মহিমাও অনেক। কারো গ্রহদশা আরম্ভ হলে ৮-টি রত্নের আংটি ধারণ করে। শেষ সময়ে যেন এক পিতার স্মরণ থাকে, বুদ্ধির লাইন বা কানেকশন যেন একদম ক্লিয়ার থাকে আর অন্য কেউ যেন স্মরণে না আসে – তখন মালার দানা হতে পারবে। ৯ রত্নের মহিমাও অনেক বিশাল। অতএব এখন নিরন্তর স্মরণে থাকার অভ্যাস করতে হবে। এখনও দুই তিন ঘন্টা কেউ অতিকষ্টে স্মরণে থাকে। দুনিয়ায় কোলাহল অস্থিরতা যত বাড়বে ততই তোমাদের দৃঢ় নিশ্চয় হতে থাকবে, পুরানো দুনিয়ার প্রতি আসক্তি কমতে থাকবে। মৃত্যু হবে অনেকের, বুদ্ধিও বলে মায়া খুব পুরানো শত্রু। এমন কোনো স্থান নেই যেখানে শত্রু নেই।
তোমরা বাচ্চারা এখন ম্লেচ্ছ থেকে স্বচ্ছ হচ্ছো। তোমাদের জ্ঞান আছে – ম্লেচ্ছদের হাতে তৈরি করা ভোজন গ্রহণ করতে পারবো না। গায়নও আছে যেমন অন্ন তেমনই মন। যে খারাপ বস্তু কিনছে, তৈরি করছে, খাচ্ছে – তাদের সবার উপরে পাপ বৃদ্ধি পায়। বাবা তো সব কথা ভালো ভাবে বুঝিয়ে দেন। তোমরা বাচ্চারা এখান থেকে রিফ্রেশ হয়ে যাও। সারা দিন বুদ্ধিতে সৃষ্টি চক্র যেন আবর্তিত হয় এবং নিজ ধামের স্মরণ থাকে। এখান থেকে তোমরা নিজের লৌকিক ঘরে যাও তখন অবস্থায় তারতম্য এসে যায় কারণ সঙ্গ এমন হয়ে যায় । এখানে বসেও কারো বুদ্ধিযোগ বাইরে বিচরণ করে, তাই ধারণা সম্পূর্ণ ভাবে করতে পারে না। তোমরা আত্মাদের অসীমের পিতা বসে বোঝাচ্ছেন। তোমরা আত্মা, তোমরা এই শরীরের দ্বারা কাজ করছো। তোমরা জানো আমরা বাবার শ্রীমৎ প্রাপ্ত করে নিজের রাজ্য ভাগ্য অর্জন করছি। কতখানি খুশীর অনুভব হওয়া উচিত। গায়নও আছে অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভূতির কথা গোপী বল্লভের সন্তানদের জিজ্ঞাসা করো। যত উঁচু অবস্থা থাকবে এবং বৃদ্ধি হবে ততই খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকবে এবং নিশ্চয় দৃঢ় হতে থাকবে। ধারণার প্রতি যত মনোনিবেশ করবে ততই তোমাদের বুদ্ধির সাহস ও উৎসাহ বাড়তে থাকবে। ভবিষ্যতে তোমাদের বিহঙ্গ মার্গের সার্ভিস অর্থাৎ সংকল্পের ভাইব্রেশনের দ্বারা সেবা হতে থাকবে। যুক্তি খুঁজে বের করতে হবে, যাতে অন্যদের ভালোভাবে জ্ঞানের বাণ লাগে। মুখ্য কথা তো হলোই পিতার পরিচয় দেওয়া। অসীমের পিতার কাছে অসীমের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। জ্ঞানের সাগর হলেন তিনি। জ্ঞানের দ্বারাই মানুষ পবিত্র হয়। পতিত-পাবন হলেন তিনি, একমাত্র বাবা। তোমরা একটা পয়েন্ট নিয়ে বলো যে, সর্বব্যাপীর কথা দিয়ে ভক্তিও চলবে না। এই কথাটি ভালোভাবে বোঝাতে হবে। তারা বলে যে তাদের জ্ঞানের দ্বারা বিনাশ হবে। তোমরাও বলো যে এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের দ্বারা বিনাশ জ্বালা প্রজ্বলিত হয়েছে। তারাও সত্য কথা বলে। কেউ কথা বিশ্বাস না করলে বিনাশই হবে আর কি ! এ’তো কল্প পূর্বেও বিনাশ হয়েছিল। ভগবানুবাচ রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে এইসব স্বাহা হবে। তারা ভাবে এদের জ্ঞানই হল এমন, যার জন্য বিরোধিতা করে। তারা ভাবে অনেক ভক্তি করলে ভগবানকে পাওয়া যায়। আমরাও বলি যারা অনেক ভক্তি করেছে, তাদেরই ভগবান প্রাপ্ত হয়েছে। কিন্তু এই কথা গুলি বুঝতে মানুষের অনেক পরিশ্রম অনুভব হয়। কল্প পূর্বেও তোমরা বাচ্চারা বাবার সাহায্যে নরককে স্বর্গে পরিণত করেছিলে। সুতরাং নরকের বিনাশ অবশ্যই হয়েছিল। যখন নরকের বিনাশ হবে তখন স্বর্গের স্থাপনা হবে। এই কথাও তোমরা বোঝাতে পারো ভারত সঠিকভাবে পবিত্র ছিল। এই কথা তো যেকোনো ধর্মের মানুষ বলবে – যথাযথ স্বর্গ ছিল। প্রাচীন অর্থাৎ সবচেয়ে পুরানো। সে তো স্বর্গই হবে তাইনা, যা পুরানো হয়ে গেছে তা পুনরায় নতুন হবে। এইসব বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। এই দেবী-দেবতাদের রাজত্ব ছিল সে কথা সঠিক, এখন আর নেই। পুনরায় আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করাচ্ছেন। কার সাহায্যে ? যিনি হলেন সকলের নিরাকার পিতা । সর্ব আত্মাদের পিতা। এই কথা গুলি তোমরা জানো। তোমরা কতখানি সাধারণ। বাবা বলেন আমি গরিব নিবাজ অর্থাৎ দীনের নাথ, তোমরা হলে গরিব তাইনা। তোমাদের কাছে কি আছে। তোমরা সব কিছু ভারতের উপরে স্বাহা করেছো তোমাদের বিশাল লড়াই রাবণের সঙ্গে। শক্তি সেনা হলে তোমরা তাইনা। বন্দে মাতরম্ গাওয়া হয় । অপবিত্র, পবিত্রদের বন্দন করে। কোন্ মাতা ? তারা মা ধরিত্রীকে ভেবেছে। কিন্তু এই গান তো ধরা বাসীদের উদ্দেশ্যে । জগৎ অম্বা আছেন তো সন্তানরাও আছে। এই দিলওয়াড়া মন্দির স্মারক-চিহ্ন রূপে রয়েছে । কুমারীরা আছে, অধর কুমারীরাও আছে। তাদের মাতাও বলা হয়। তোমরা বলো বাবা আমরা তো বি.কে। আমাদের মাতা না বলে কন্যা বলে সম্বোধন করো, আমরা হলাম কুমারী। কতখানি গুহ্য, বুঝবার মতো কথা। কিন্তু জ্ঞান ধারণ করতে পারে না। পুরানো জন্ম-জন্মান্তরের বোধ ফিক্স আছে, সেই বোধ মিটতে চায় না। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, বাবা আমাদের সম্মুখে বসে আছেন। আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন। ব্রহ্মাবাবার এই দেহে পিতা পরমাত্মার প্রবেশ আছে। বাবা এসে অলৌকিক দিব্য কর্তব্য গুলি সম্পাদন করেন। পতিতদের পবিত্র করার জন্য পড়ান। পুরোপুরি স্মরণ থাকা উচিত। আমাদের পতিত-পাবন শিববাবা পড়াচ্ছেন। তাঁকেই স্মরণ করা হয় – ও গড ফাদার এসো। এসে আমাদের পুনরায় রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করো। বাবাও বলেন পুনরায় বাচ্চারা তোমাদের সহজ জ্ঞান, যোগের শিক্ষা প্রদান করি, এতে পুস্তক ইত্যাদির কোনো কথা নেই। এইসব তো তারা নাম রেখেছে। এখন তো বাবা তোমাদের যোগ্য হওয়ার শিক্ষা দিচ্ছেন। নিত্য নতুন পয়েন্ট প্রাপ্ত হয়। অন্য গীতা, গ্রন্থ ইত্যাদি যা তৈরি আছে তাতে কোনোরকম সংযোগ বা বিয়োগ করে না, হুবহু শোনায়। এখানে সংযোজনও করা হয়, বিয়োগও করা হয়। রোজ নতুন নতুন পয়েন্ট প্রাপ্ত হয়। নলেজ খুবই ওয়ান্ডারফুল যা অন্য কোনো শাস্ত্রে নেই। কাম বিকার হল মহাশত্রু, ভগবানুবাচ দেহ সহ সবাইকে ভুলে যাও, একের স্মরণে থাকো। আমি তোমাদের অর্থাৎ সব আত্মাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবো। আমি অকাল মুর্তি, কালেরও কাল আমি। আমি সব বাচ্চাদের নিয়ে যেতে এসেছি, তাই তোমাদের খুশীর অনুভূতি হওয়া উচিত তাইনা।
তোমরা জানো এখন আমরা ঘরে ফিরে যাই। শীঘ্রই সুবুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে উঠি, বাবার কাছ থেকে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করি। ততক্ষণ যুদ্ধ যেন না লাগে। বাবা বলেন আমি কিছুই করতে পারব না । প্রথমে রিহার্সাল হবে। এখন তো রাজারাও আসেনি, রাজস্থানের ওপরেও বোঝাতে পারো। বলো তোমরা কি জানো রাজস্থান নাম কেন হয়েছে ? ভারতে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল, তাইনা। পুনরায় সেই রাজস্থান হওয়া উচিত, যা এখন পুনরায় স্থাপন হচ্ছে। আমরা জানি কিন্তু বুদ্ধিতে যখন বসবে তখন খুশীর পারদ ঊর্ধ্বমুখী হবে। ভক্তিমার্গে এই দেবতাদের মন্দির নির্মাণ করে। ভারতে অনেক ধন ছিল। আমরা পুনরায় দুনিয়াকে দৈবী রাজস্থান বানাই। এই কথা গুলি এসে বোঝো। বোঝানোর জন্যও অনেক উৎসাহ থাকা চাই। এও তো হল সেমিনার, তাইনা। কীভাবে সার্ভিস করা উচিত। বাবা বুঝিয়েছেন কুমারীরা, মাতারা, গোপ সবাই একত্রে শুনছে। উঁচুর থেকেও উঁচু হলেন একমাত্র ভগবান, কৃষ্ণ নয়। অতএব রাজস্থান নিয়ে তোমরা বোঝাতে পারো। অবশ্যই রাজস্থান ছিল, যাদের মন্দির বানানো হয়েছে, যাদেরকে পুনরায় আমরা বানিয়ে তুলছি। বাবা আমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন। তোমরাও ট্রাই করো – অর্ধেক কল্পের জন্য। তখন আর কাঁদতে হবে না। আমরা রামের শ্রীমৎ অনুসারে রাবণের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করছি। শ্রীমৎ শুনলে তো মন ভাল থাকবে। যাদের জ্ঞানের বাণ লাগবে তারা বুঝবার জন্য আসবে। এই অসীমের সেমিনার রোজ বাবা করেন। এ হল পরমাত্মার সঙ্গে আত্মাদের সেমিনার। আচ্ছা!
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) কর্মভোগ থেকে মুক্ত হতে এক পিতার স্মরণে থাকতে হবে। দেহধারীদেরকে স্মরণ করে সময় নষ্ট করবে না। বুদ্ধির লাইন বা কানেকশন খুব ক্লিয়ার রাখতে হবে।
২ ) অত্যন্ত শুদ্ধ আহার গ্রহণ করতে হবে। যেমন অন্ন তেমন মন তাই ম্লেচ্ছদের হাতে তৈরি করা খাবার গ্রহণ করবে না। বুদ্ধিকে স্বচ্ছ করতে হবে।
বরদানঃ-
আজ বিশ্বে সম্পত্তিবান তো অনেকে আছে কিন্তু সবচেয়ে বিশাল আবশ্যিক সম্পত্তি হল সিমপ্যাথি বা সহানুভূতি। সে গরিব হোক কিম্বা ধনী, আজ সিমপ্যাথি নেই। তোমাদের কাছে সিমপ্যাথির সম্পত্তি আছে, তাই কাউকে যদি আর কিছুও না দাও কিন্তু সিম্প্যাথি দ্বারা সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারো। তোমাদের সিমপ্যাথি ঈশ্বরীয় পরিবারের কারণে, এই রূহানী সিমপ্যাথির দ্বারা তন মন ও ধনের পূর্তি করতে পারো।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!