10 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
9 July 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - নিজ স্বধর্মে স্থিত হয়ে একে অপরকে ওম্ শান্তি বলো - এও একে অপরকে রিগার্ড দেওয়াই হল"
প্রশ্নঃ --
ভক্তিতেও ভগবানকে ভোগ নিবেদন করে, এখানে বাচ্চারা তোমরাও নিবেদন করো – এই প্রথা কেন ?
উত্তরঃ -:-
কেননা এও হল তাঁর প্রতি রিগার্ড রাখা। যদিও তোমরা জানো যে, শিববাবা হলেন নিরাকার, অভোক্তা। তিনি খান না, কিন্তু সুবাস তো পৌঁছায়। সকলের সদ্গতি দাতা, পতিত পাবন বাবা তিনি। অতএব ভোগও অবশ্যই তাঁর উদ্দেশ্যে নিবেদন করা উচিত।
গান:-
আমাদের তীর্থ হল অনুপম…
ওম্ শান্তি । বাচ্চাদের অন্তরে উঠেছে ওম্ শান্তি। যেমন কাউকে বলা হয় নমস্কার। সেও তো রিটার্নে বলে নমস্কার। এখানে বাবা বলেন – ওম্ শান্তি । তাই সব বাচ্চারা এনার আত্মা সহ সকলের অন্তরে আসবে ওম্ শান্তি অর্থাৎ আমরা আত্মারা হলাম শান্ত স্বরূপ । রেসপন্স তো করা উচিত, তাই না ! এটা রেসপন্সই তো হল। অন্য কেউই অর্থ সহ এইরকম বলতে পারবে না। বাবা, জ্ঞান সূর্যও বলেন ওম্ শান্তি। জ্ঞান চন্দ্রমাও বলেন ওম্ শান্তি। জ্ঞান নক্ষত্ররাও বলে ওম্ শান্তি। নক্ষত্রদের মধ্যে সবাই এসে গেল। এখন বাচ্চারা তোমাদের নিজেদের স্বধর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত হয়েছে যে, আমরা হলাম শান্ত স্বরূপ আর শান্তি ধামের অধিবাসী। এই নিশ্চয় তোমাদের হয়েছে। খুব ভালো ভাবে তোমরা আত্মাকে জানো। বরাবর বলাও হয়ে থাকে, মহান আত্মা, পাপ আত্মা। আত্মাই এক শরীর ছেড়ে অন্য শরীর নেয়। কিন্তু আত্মার যথার্থ পরিচয় কারো কাছেই নেই। আমরা আত্মারা খুব ছোট্ট। ৮৪ জন্মের পার্ট প্লে করে। এটা না তোমাদের জানা ছিল আর না কেউ জানে। এখন তোমরা বাচ্চারা সামনে বসে রয়েছ। বাবাকে তোমরা আপন করে থাকো। বাচ্চারা বাবাকে আপন বানায় উত্তরাধিকারের নেওয়ার জন্য।
তোমরা বাচ্চারা জানো যে, আমরা আত্মাদের অসীম জগতের পিতা এই ব্রহ্মা তনে এসেছেন, ব্রহ্মা তনে এসে আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম স্থাপন করেন। কল্প পূর্বেও আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম অর্থাৎ সূর্যবংশী রাজধানী স্থাপিত হয়েছিল। এই স্থাপনার কার্য কল্প কল্প বাবাই করে থাকেন, যাকে ভগবান বলা হয়। ভগবান বাবার কাছে সবাই চায় যে, দুঃখ হরণ করো, সুখ দাও। যখন সুখ প্রাপ্ত হয়ে যায়, তখন চাওয়ার আর দরকার থাকে না। এখানে তো চায়, কারণ দুঃখ রয়েছে। সেখানে কিছুই চাইবার দরকারই হয় না। কেননা বাবা সব কিছুই দিয়ে যান, সেইজন্য সত্যযুগে কেউই বাবাকে স্মরণ করে না। বাবা বোঝান য, বাচ্চাদেরকে আমি সুখধামের মালিক বানাই। তোমরা বাচ্চারা জানো – এই বাবার থেকে আমরা আবারও সুখধামের উত্তরাধিকার নিচ্ছি। বেহদের বাবার থেকে বেহদের সুখ নিচ্ছি। তোমাদেরকে বোঝানো হয় ভক্তি মার্গ কীভাবে চলছে। মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষের উৎপত্তি, পালন এবং সংহার কীভাবে হয় বা ড্রামার আদি – মধ্য – অন্ত কী। এটা হল সাকারী দুনিয়া, ওটা হল নিরাকারী। বাচ্চারা বুঝে গেছে যে, আমরা পুরো অর্ধ কল্প হল ভক্তির। এখন হল কলিযুগের অন্ত। অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্তই হয় সঙ্গমযুগে। এটা বাচ্চাদের খুব ভালো ভাবে বুঝতে হবে। এখন আমরা সঙ্গমযুগে রয়েছি, এটা তোমরা বাচ্চারাই বুঝতে পারো। অন্যরা কেউ বুঝবে না। যতক্ষণ না তাদেরকে পরিচয় দেওয়া হবে । সঙ্গমযুগ অবশ্যই আসে, যখন পুরানো দুনিয়া বদলে নতুন হয়ে থাকে। এ’সমস্তই হল পুরানো দুনিয়া, একে বলা হয় আয়রন এজ। এটাও তোমরা জানো যে – প্রথম প্রথম সমগ্র দুনিয়াতে একটিই ধর্ম থাকে ।নতুন দুনিয়াতে ভারত খন্ডই কেবল থাকে, অল্প পরিমাণ মানুষ থাকে। নতুন দুনিয়াকেই স্বর্গ বলা হয়। এতেই প্রমাণিত হয় যে, নতুন দুনিয়াতে নতুন ভারত ছিল। এখন পুরোনো দুনিয়াতে পুরানো ভারত। গান্ধীও বলতেন নতুন দুনিয়া, নতুন ভারত হোক, নতুন দিল্লি হোক। এখন নতুন ভারত বা নতুন দিল্লি নেই। নব ভারতে তো এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল। এখন সেই ভারতেই রাবণ রাজ্য। এটাও লেখা উচিত – নতুন দুনিয়া, নতুন দিল্লি। এত সময় থেকে এত সময় পর্যন্ত এদের রাজত্ব ছিল। এ’সব বুঝতে সে-ই পারবে যে নতুন দুনিয়ার নির্মাণকারী হবে। ব্রহ্মার দ্বারা নতুন দুনিয়া স্বর্গ স্থাপন করে থাকো, যে স্বর্গের উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য তোমরা এসে থাকো। বাবা তোমাদেরকে যুক্তি বলে দিচ্ছেন অথবা পুরুষার্থ করাচ্ছেন। সম্মুখেও তোমরা মিলিত এসে থাকো অথবা ওখানে বসেও পাঠ পড়ছো। মন চায় গিয়ে মিলিত হই। তারা সম্মুখে মিলিত হয় মানুষ, মানুষের সাথে। এখানে তোমরা বলবে আমরা যাই – শিব বাবার সাথে মিলিত হতে। বলবে তিনি তো হলেন নিরাকার। আমরা আত্মারাও হলাম নিরাকার ।আমরাও এখানে পার্ট প্লে করতে আসি। যার নাম রয়েছে, সে তো নিশ্চয়ই পার্টধারণকারীও হবে। ভগবানেরও তো নাম আছে না ! নিরাকার শিবকেই ভগবান বলা হয় আর কাউকেই ভগবান বলা যাবে না। ভগবান হলেন নিরাকার, এইরকমই বলা হয়ে থাকে। ওঁনার পূজা হয়ে থাকে, আত্মাদেরও পূজা হয়। রুদ্র যজ্ঞ রচনা করা হয় না ! তারা মাটির শালগ্রাম তৈরী করে। পাথরের বানাও কিম্বা মাটির। মাটির হলে ভেঙে আবার গড়া সহজ। জগতের লোক তো এ’সব কথা জানে না। রুদ্র যজ্ঞে কত কত আত্মাদের পূজা করা সম্ভব। বাচ্চা তো অনেক রয়েছে। সব ভক্তই হল ভগবানের সন্তান, বাবাকে স্মরণ করে। বাবা বাচ্চাদেরকে বুঝিয়েছেন – শিব বাবা আসেনি ভারতে। তোমরা অল্প সংখ্যক বাচ্চারা যারা ওঁনাকে সহায়তা করো, তোমরা খুদাই খিদমদগার হও, তাদেরই পূজা ভক্তরা শালগ্রাম বানিয়ে করে থাকে, যজ্ঞ যারা রচনা করে, সেটা ছোট যজ্ঞও হয়, বড়ও হয়। বড় বড় বিত্তবানরা বড় যজ্ঞ রচনা করে। লাখ লাখ বানায়। ছোট যজ্ঞ হলে তখন ৫ – ১০ হাজার বানাবে। যেমন যেমন বিত্তবান সেই অনুসারে তত পরিমাণ শালগ্রাম বানাবে। শিব একটি বাকি হল শালগ্রাম, সেই পরিমাণ ব্রাহ্মণও তো চাই। তোমরা অনেকেই যজ্ঞ দেখে থাকবে। তোমরা জানো যে, বাবা আমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের সেবা করেন, আমরা তারপর অন্যদের সেবা করি, সেইজন্যই পূজা হয়। এখন তোমরা পুজ্য হয়ে ওঠো। আত্মা বলে বাবা তুমি তো সদাই পূজ্য। আমাদেরকেও পূজ্য বানাচ্ছ। তোমরা পূজ্য আত্মারা শরীর গ্রহণ করলে বলা হবে পূজ্য দেব দেবী। আত্মাই পূজ্য অথবা পূজারী হয়। বাবা আসেনই এক বারই। তারপর আর কখনো (পুরো কল্পে) বাবা আত্মাদেরকে পড়াবেন – সেটা হবেই না। আত্মাই শোনে। যেমন আত্মা শরীরের দ্বারা শোনে, তেমনি পরমপিতা পরমাত্মা, সুপ্রীম আত্মাও শরীরের আধার নিয়ে এনার (ব্রহ্মা বাবা) দ্বারা শোনেন। এনার দ্বারা তোমাদেরকে রাজযোগ শেখান। ওঁনার তো নিজের শরীর নেই। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকরেরও নিজদের সূক্ষ্ম শরীর রয়েছে । এখানে তো সকলের নিজের নিজের শরীর রয়েছে । এটা হলি সাকারী জগৎ। শিববাবা হলেন নিরাকার। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর, ভালোবাসার সাগরও তিনি। তিনি এসে সবাইকে পতিত থেকে পবিত্র বানান। এর মধ্যে প্রেরণার কোনো ব্যাপার নেই। আমাকে যদি প্রেরণার দ্বারা বানাতে হত, তবে এখানে এসে রথ নেওয়ার কী প্রয়োজন ছিল। শিবের মন্দিরের সামনে ষাঁড় রাখা হয়। মানুষের বুদ্ধি একেবারেই প্রস্তরবুদ্ধি হয়ে যাওয়াতে কারণে কিছুই বুঝতে পারে না। ষাঁড়কে শিবের সামনে কেন রাখা হয়েছে ? গোশালা নাম তো শুনেছি, রেখে দিয়েছে ষাঁড়। এখন কথা হল ষাঁড়ের উপরে কে সওয়ার হয়েছে ! কৃষ্ণের আত্মা তো সত্যযুগে থাকে। তার কি ঠেকা পড়েছে যে জানোয়ারের উপরে গিয়ে বসবে। মানুষ কিছুই বোঝে না। দ্রৌপদীও কী একজনই ছিল নাকি । এইরকম অনেক আছে যারা ডাকতে থাকে। তারা তো একটা নাটক বানিয়ে দিয়েছে যে, শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে বস্ত্র দিয়েই যাচ্ছিল। কোনো অর্থই তারা বোঝেনা। এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পারো যে, তোমাদেরকে ২১ জন্মের জন্য নগ্ন হতে হবে না। কোথাকার কথা তারা কোথায় নিয়ে গেছে। ভক্তি মার্গের তো অসংখ্য কাহিনী রয়েছে। তারা বলে থাকে এই সমস্ত গল্প কথা নাকি সবই নাকি অনাদি কালের। প্রতি জন্ম ধরে শুনে আ ছি। অনাদি কবে থেকে শুরু হয়েছে সেটাও জানা নেই। এও জানা নেই যে, রাবণের রাজত্ব কবে থেকে শুরু হয়। সেই ব্যাপারে কোনোই বর্ণনা কোথাও নেই। তোমরা কতো সেবা করছো। আকাশের চন্দ্র সূর্য গ্রহ নক্ষত্র তো সব সময়ই আছে। সত্যযুগেও আছে, এখনও আছে। এসবের অদল – বদল হতে পারে না। তোমরা এখন নিমিত্ত হয়েছ ভারতকেই পুনরায় অন্ধকার থেকে বের করে আলোতে নিয়ে আসতে। ভক্তি মার্গকে অন্ধকারাচ্ছন্নতা বলা হয়। তোমাদের মহিমা রয়েছে, তোমরা হলে ধরিত্রীর নক্ষত্র । নক্ষত্র থাকলে চন্দ্র সূর্যও থাকার কথা।
এ হল তোমাদের আধ্যাত্মিক (রুহানী) তীর্থ । তোমরা এমন যাত্রাতে যাও যেখান থেকে আর তোমরা এই মৃত্যু লোকে আসবে না। এখন এটা হল মৃত্যুলোক, এখানেই অমরলোক হবে। দ্বাপর থেকে মৃত্যুলোক শুরু হয়। এখন তোমরা সত্যিকারের অমরকথা শুনছো – অমরলোকে যাওয়ার জন্য। তোমরা এটা বুঝতে পারো যে আমরা আত্মাদের এই যাত্রা হল সম্পূর্ণ পৃথক। তোমরা এখানে বসে যাত্রায় গমনের পুরুষার্থ করছো। স্মরণের দ্বারাই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে । জগতের মানুষ যে তীর্থ যাত্রায় যায় তাতে বিকর্ম বিনাশ কোথায় হয়। শূরা পানের এমন অভ্যাস করে ফেলেছে যে লুকিয়েও নিয়ে যায়। আজকাল তো তীর্থ যাত্রাতে অনেক খারাপ খারাপ কাজও হয়। সবাই পতিত যে। যেমন ব্রাহ্মণ পতিত, তেমনি যাত্রীরাও পতিত। পান্ডারা তীর্থ যাত্রা করায়, তারা কি পবিত্র নাকি ? সত্যিকারের ব্রাহ্মণ হলে তোমরা। তোমাদের আত্মা পবিত্র থাকে। স্মরণের যাত্রাতেই তোমরা পবিত্র হও। সতোপ্রধান হতে হবে। বাবা বারেবারে বাচ্চাদেরকে লেখেন – মিষ্টি বাচ্চারা। এটা শিব বাবা বাচ্চাদেরকে লিখছেন। আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে সতোপ্রধান দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে । মাত্র এই ডায়রেক্শনই হল মুখ্য ।স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে । স্মরণ না করলে বিকর্ম বিনাশ হবে না, তখন দন্ড ভোগ করতে হবে। বাবা তো বলেন, তোমরা যেখানেই যাও না কেন এই রুহানী উপার্জন করতে পার। ওঠো বসো, খাও দাও কেবল বাবাকে স্মরণ করো। এতেই তোমাদের উপার্জন রয়েছে । বাচ্চাদের জন্য তো আরো সহজ। এতে তো অ্যাটেনশন ইত্যাদির কোনো ব্যাপার নেই। শ্রীনাথের মন্দিরে শ্রীনাথের স্মরণে বসে। ভোগ নিবেদন করে। সেটা তো পাথরেরই মূর্তি না ? ভোগ তাহলে কাকে নিবেদন করা উচিত ? অধিকারী তো কেবল একমাত্র শিব বাবাই। সকলের সদ্গতি দাতা পতিত পাবন কেবল তিনিই । বাবা বলেন – আমি তো ভোগ স্বীকারই করি না। আমার সামনে ভক্তরা ভোগ রাখে, কিন্তু তারা নিজেরাই তা ভাগ করে খেয়ে নেয়। তোমরা জানো যে, শিববাবাকে ভোগ তো অবশ্যই নিবেদন করতে হবে। তারপরেই তোমরা সেটা ভাগ করে নিয়ে খাও। এ হল কাউকে সম্মান দেও। আমরা শিব বাবাকে ভোগ নিবেদন করি। শিববাবারই তো ভান্ডারা এটা যে। যার ভান্ডার তার উদ্দেশ্যে তো ভোগ অবশ্যই নিবেদন করতে হয়। তোমরা ভোগ নিবেদন করে থাকো শিব বাবাকে, খাও তো তোমরা বাচ্চারাই। এই ব্রহ্মা খান, আমি খাই না। কিন্তু সুবাস তো আসবেই, তাই না ! খুব ভালো ভোগ প্রস্তুত করেছ। এ’কথা বলবার জন্য অরগ্যান্স তো আছে, তাই না ! এই ব্রহ্মা খেতে পারেন। এই শরীর তো ওনার, তাই না ! আমি কেবল ওনার মধ্যে এসে প্রবেশ করি। কথা বলার জন্য ওনার মুখটাকেই আমি ব্যবহার করি – তোমাদের, অর্থাৎ বাচ্চাদেরকে পতিত থেকে পবিত্র বানাতে। গোমুখ কথাটা প্রচলিত আছে না ! তোমরা জানো যে, এনার দ্বারাই বাচ্চারা তোমাদেরকে আমি অ্যাডপ্ট করি। ইনি মাতা – পিতা দুটোই। কিন্তু মাতাদেরকে সামলাবে কে ? সেইজন্য সরস্বতীকে নিমিত্ত রাখা হয়েছে – ড্রামার প্লান অনুসারে। মাতা গুরুরও তো মহিমা প্রয়োজন, তাই না ! গুরু হিসেবে এক নম্বরে তো ইনিই প্রসিদ্ধ। গুরু ব্রহ্মা কথাটা ঠিক। যেমন বাবা তেমনই বাচ্চা। তোমরা ব্রাহ্মণরাই সত্যিকারের গুরু হয়ে থাকো। সকলকে স্বর্গের সত্যিকারের কথ দেখিয়ে থাকো। আত্মাই মুখের সাহায্যে রাস্তা বলে দেয় যে, মন্মনাভব, মধ্যাজী ভব। বাবা, মা, বাচ্চারা সকলেই সেই রাস্তার কথাই বলে। এখানে তোমরা সামনে বসে আছো তাই স্মরণে থাকে। এরপর বাড়িতে চলে গেলে অনেক বাচ্চারাই ভুলে যায়। এখানে আনন্দের অনুভব হয়, বাবার কাছে এসেছি। বাবা বলেন, স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে এই যুক্তি সকলকে দেখাও যে, মুক্তিধাম, বাবাকে আর স্বর্গে স্মরণ করো। আচ্ছা !
মিষ্টি – মিষ্টি হারনিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) নিজেদের মধ্যে পরস্পরকে বা বাবাকে যথাযথ রিগার্ড দিতে হবে। বাবা যদিও অভোক্তা, কিন্তু যার ভান্ডারা থেকে লাতিত পালিত হয়ে থাকো, আগে অবশ্যই তাঁকে স্বীকার করাতে হবে।
২ ) পূজনীয় হওয়ার জন্য খুদাই খিদমৎগার হতে হবে। বাবার সাথে সেবাতে সহযোগী হতে হবে। যখন আত্মা আর শরীর দুটোই পবিত্র হবে, তখন তোমাদের পূজা হবে।
বরদানঃ-
এই সময তোমরা সঙ্গমযুগী শ্রেষ্ঠ আত্মাদের প্রতিটি শ্রেষ্ঠ কর্ম সমগ্র কল্পের জন্য বিধান হয়ে যায়। অতএব নিজেকে বিধানের রচয়িতা মনে করো, এতে অসতর্কতার মনোভাব স্বভাবতই বিদায় নেবে। সঙ্গমযুগে আমরা হলাম বিধানের রচয়িতা, দায়িত্বশীল আত্মা – এই নিশ্চয়ের দ্বারা প্রতিটি কর্ম করলে যথার্থ বিধির দ্বারা করা কর্মের সম্পূর্ণ সিদ্ধি অবশ্যই প্রাপ্ত হবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!