10 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

January 9, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - শ্রীমতানুসারে তোমাদের সকলের আধ্যাত্মিক খাতির যত্ন করতে হবে, খুশির পুষ্টিকর আহার খাও আর খাওয়াও, এ'টাই হলো প্রকৃত খাতির-যত্ন করা"

প্রশ্নঃ --

জ্ঞানে আধ্যাত্মিকতার ধারকে ধারালো করবার বিধি কি, তাতে কি কি লাভ হবে ?

উত্তরঃ -:-

যখন কাউকে জ্ঞান শোনাও তখন আত্মা মনে করে আত্মাকে জ্ঞান প্রদান করো। এতে আধ্যাত্মিকতার ধার ধারালো হয়ে যাবে। নতুন এই অভ্যাসের দ্বারা যেকোনো কাউকে জ্ঞান শোনালে তৎক্ষণাৎ তার তীর বিঁধে যাবে। শরীর-বোধও সমাপ্ত হতে থাকবে। তখন মায়ার তুফান বা খারাপ সঙ্কল্পও আসবে না। ক্রিমিনাল আইও (কুদৃষ্টি) থাকবে না।

ওম্ শান্তি । জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রদানকারী আধ্যাত্মিক বাবা বসে আত্মিক বাচ্চাদের বোঝান। জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র বাবা ছাড়া আর কেউই দিতে পারে না। বাচ্চারা, এখন তোমাদের জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়েছে। এখন তোমরা জানো যে এই পুরোনো দুনিয়া বদলে যাবে। বেচারা মানুষ জানে না যে পরিবর্তনকারী কে আর কিভাবে পরিবর্তন করেন। কারণ তাদের জ্ঞানের তৃতীয় নেত্রই নেই। বাচ্চারা, তোমরা এখন জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র পেয়েছো যার দ্বারা তোমরা সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে জেনে গেছো। এ হলো জ্ঞানের স্যাকারিন (মিষ্টত্ব)। স্যাকারিনের এক ফোঁটাও কত মিষ্টি হয়। জ্ঞানেরও একটিই শব্দ ‘মন্মনাভব’। এই শব্দ সব কিছুর থেকেই কতই না মিষ্টি। নিজেকে আত্মা মনে করো আর বাবাকে স্মরণ করো। বাবা শান্তিধাম আর সুখধামের রাস্তা বলে দিচ্ছেন। বাবা এসেছেন বাচ্চাদের স্বর্গের উত্তরাধিকার দিতে। তাই বাচ্চাদের কত খুশিতে থাকা উচিত। বলাও হয় খুশির মতন পুষ্টিকর আহার আর কিছু নেই। যে সদা খুশিতে আনন্দে থাকে তার জন্য ও’সব যেন পুষ্টিকর আহার । ২১ জন্ম আনন্দে থাকার জন্য এ হলো শক্তিশালী আহার। এই আহার সদা একে-অপরকে খাওয়াতে থাকো। একে-অপরের জোরদার এই খাতির-যত্ন করতে হবে। এইরকম খাতির যত্ন কোনো মানুষ মানুষকে করতে পারে না। বাচ্চারা, তোমরা শ্রীমতানুসারে সকলকে আধ্যাত্মিক খাতির-যত্ন করো। সত্যিকারের কুশল-মঙ্গলও এটাই যে, কাউকে বাবার পরিচয় দেওয়া। মিষ্টি বাচ্চারা জানে যে অসীম জগতের পিতার মাধ্যমে আমাদের জীবনমুক্তির পুষ্টিকর আহার প্রাপ্ত হয়। সত্যযুগে ভারত জীবনমুক্ত ছিল, পবিত্র ছিল। বাবা অত্যন্ত বিশাল উচ্চ পুষ্টিকর আহার দেন। তবেই তো গায়ন আছে যে অতীন্দ্রিয় সুখের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে হলে গোপ-গোপিনীদের কাছে জিজ্ঞাসা করো। এ হলো জ্ঞান আর যোগের কত ফার্স্টক্লাস ওয়ান্ডারফুল আহার আর এই আহার একজন আধ্যাত্মিক সার্জেনের কাছেই রয়েছে, আর কারোর এই আহারের (ওষুধের) কথা জানাই নেই। বাবা বলেন — মিষ্টি বাচ্চারা, তোমাদের জন্য হাতের ওপরে করে উপহার নিয়ে এসেছি। মুক্তি-জীবনমুক্তির এই উপহার আমার কাছেই থাকে। প্রতি কল্পে আমিই তোমাদের দিয়ে থাকি। তারপর রাবণ ছিনিয়ে নেয়। বাচ্চারা, তাই এখন তোমাদের খুশির পারদ কত ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। তোমরা জানো ইনি হলেন আমাদের একমাত্র বাবা, টিচার আর সত্যিকারের সদ্গুরু যিনি আমাদের সাথে করে নিয়ে যান। সর্বাধিক প্রিয় বাবার থেকে আমাদের বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত হয়। এ কি কম কথা নাকি! তাই সদা প্রফুল্লিত থাকতে হবে। গডলী স্টুডেন্ট লাইফ ইজ দ্য বেস্ট। এ হলো এখনকারই গায়ন, তাই না! পরে নতুন দুনিয়াতেও তোমরা খুশী পালন করতে থাকবে। দুনিয়া জানে না যে প্রকৃত খুশী কখন পালন করা হবে। মানুষের তো সত্যযুগের জ্ঞানই নেই। সেইজন্য এখানেই পালন করে থাকে। কিন্তু পুরোনো এই তমোপ্রধান দুনিয়ায় খুশী কোথা থেকে আসবে। এখানে তো ত্রাহি-ত্রাহি করতে থাকে। এ কত দুঃখের দুনিয়া। বাচ্চারা, বাবা তোমাদের কত সহজ রাস্তা বলে দেন। গৃহস্থী জীবনে থেকে পদ্মফুল-সম হয়ে থাকো। কাজ-কর্ম করতে-করতেও আমাকে স্মরণ করতে থাকো। যেমন প্রিয়তমা (আশিক) আর প্রিয়তম (মাশুক) হয়। ওরা তো একে-অপরকে স্মরণ করতে থাকে। এ হলো ওর প্রিয়তমা, আর ও হলো এর প্রিয়তম। এখানে এইরকম কোনো কথা নেই। এখানে তো তোমরা সকলেই একমাত্র প্রিয়তমের জন্ম-জন্মান্তরের প্রিয়তমা হয়ে থাকো। বাবা কখনো তোমাদের প্রিয়তমা হন না। তোমরা সেই প্রিয়তমের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য স্মরণ করে আসছো। দুঃখ যখন অধিক হয়ে যায় তখন অধিক স্মরণ করে। গায়নও করে যে দুঃখে সকলেই স্মরণ করে, সুখে করে না কেউ। এইসময় বাবাও সর্বশক্তিমান, আর দিনে-দিনে মায়াও সর্বশক্তিমান, তমোপ্রধান হতে থাকে। তাই এখন বাবা বলেন — মিষ্টি বাচ্চারা, দেহী-অভিমানী হও। নিজেকে আত্মা মনে করে পিতারূপী আমায় স্মরণ করো আর সঙ্গে সঙ্গে দৈবী-গুণও ধারণ করো তবেই তোমরা এইরকম (লক্ষ্মী-নারায়ণ) হয়ে যাবে। এই পড়ার মুখ্য বিষয়ই হলো স্মরণের। সর্বাপেক্ষা উচ্চ বাবাকে অত্যন্ত প্রেম, স্নেহপূর্বক স্মরণ করা উচিত। সেই সর্বোচ্চ বাবাই নতুন দুনিয়ার স্থপতি। বাবা বলেন – বাচ্চারা, আমি এসেছি তোমাদের বিশ্বের মালিক বানাতে, সেইজন্য আমাকে স্মরণ করো তবেই তোমাদের অনেক জন্মের পাপ খন্ডিত হয়ে যায়। পতিত-পাবন বাবা বলেন, তোমরা অনেক অপবিত্র হয়ে গেছো সেইজন্য এখন তোমরা আমাকে স্মরণ করো তবেই তোমরা পবিত্র হবে আর পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে। পতিত-পাবন বাবাকেই তো আহ্বান করা হয়, তাই না! এখন বাবা এসেছেন তাই অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। বাবা হলেন দুঃখহরণকারী, সুখপ্রদানকারী। বরাবর সত্যযুগে পবিত্র দুনিয়া ছিল তাই সকলেই সুখী ছিল। এখন বাবা পুনরায় বলেন – বাচ্চারা, শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ করতে থাকো। এখন হলো সঙ্গমযুগ। মাঝি তোমাদের এপার থেকে ওপারে নিয়ে যায়। কোনো একটি নৌকা নয়, সমগ্র দুনিয়াই যেন একটি বিশাল জাহাজ, তাকে পারে নিয়ে যায়। মিষ্টি বাচ্চারা, তোমাদের কত খুশি হওয়া উচিত। তোমাদের জন্য তো কেবল খুশীই খুশী । অসীম জগতের বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন। বাঃ! এ তো কখনো না শুনেছি, না পড়েছি। ভগবানুবাচ — আত্মারূপী বাচ্চারা, আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছি, তাই সম্পূর্ণ বিধিসম্মতভাবে শেখা উচিত । ধারণা করা উচিত । সম্পূর্ণ রীতি অনুযায়ী পড়া উচিত । পড়ায় নম্বরের অনুক্রম তো সদা হয়েই থাকে। নিজেকে দেখতে হবে যে আমি উত্তম, মধ্যম নাকি কনিষ্ঠ ? বাবা বলেন — নিজেকে দেখ, আমি উচ্চ পদ লাভের উপযুক্ত কি? আধ্যাত্মিক সার্ভিস করি কি ? কারণ বাবা বলেন — বাচ্চারা, সার্ভিসেবেল হও, ফলো করো। আমি এসেছিই সার্ভিসের জন্য। রোজ সার্ভিস করি সেইজন্যই তো এই রথ নিয়েছি। এঁনার রথ (শরীর) অসুস্থ হয়ে যায় তবুও আমি এই রথে বসেই মুরলী লিখি। মুখে তো বলতে পারে না তাই আমি লিখে দিই, যাতে বাচ্চাদের মুরলী মিস না হয় তাহলে আমিও সেবায় রয়েছি, তাই না! এ হলো আধ্যাত্মিক সেবা। তোমরাও বাবার সার্ভিসে যোগদান করো। অন গড ফাদারলী সার্ভিস। বাবা-ই তোমাদের বিশ্বের মালিক বানাতে এসেছেন, যারা ভালো পুরুষার্থ করে তাদের মহাবীর বলা হয়। দেখা হয় কে মহাবীর, যে বাবার ডায়রেক্শনে চলে। বাবার আদেশ হলো নিজেকে আত্মা মনে করে ভাই-ভাইকে দেখ। এই শরীরকে ভুলে যাও। বাবাও শরীরকে দেখেন না। বাবা বলেন — আমি আত্মাদের দেখি। এছাড়া এই জ্ঞান তো রয়েছে যে শরীর ব্যতীত আত্মা কথা বলতে পারে না। আমিও এই রথে এসেছি, ধার নিয়েছি। রথের(শরীরের) সঙ্গে থেকেই আত্মা পড়তে পারে। বাবার বৈঠক এখানেই। এ হলো অকাল সিংহাসন। আত্মা অকাল মূর্তি। আত্মা কখনো ছোট-বড় হয় না, শরীর ছোট-বড় হয়। যত আত্মা রয়েছে তাদের সকলের আসন হলো এই ভ্রুকুটির মধ্যভাগে। শরীর তো সকলেরই আলাদা-আলাদারকমের হয়। কারোর অকাল তখ্ত (ভ্রুকুটি) পুরুষের, কারোর অকাল তখ্ত স্ত্রীলোকের হয়। কারোর অকাল তখ্ত বাচ্চার হয়ে থাকে। বাবা বসে থেকে বাচ্চারা তোমাদেরকে আত্মিক ড্রিল শেখাচ্ছেন। যখন কারোর সঙ্গে কথা বলো তখন প্রথমে নিজেকে আত্মা মনে করো। আমি আত্মা অমুক ভাইয়ের সাথে কথা বলি। বাবার পরিচয় দিই যে শিববাবাকে স্মরণ করো। স্মরণের দ্বারাই খাদ (জং) নিষ্কাশিত হয়। সোনায় যখন অ্যালয়(খাদ) পড়ে, তখন সোনার ভ্যালুই কম হয়ে যায়। আত্মা-রূপী তোমাদের মধ্যেও মরচে পড়ে যাওয়ায় তোমরা ভ্যালুলেস হয়ে গেছো। এখন পুনরায় পবিত্র হতে হবে। তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের এখন জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়েছে। সেই নেত্র দ্বারা ভাইদের দেখ। ভাই-ভাইকে(আত্মারূপে) দেখলে কর্মেন্দ্রিয় কখনো চঞ্চল হবে না। রাজ্য-ভাগ্য নিতে হবে, যদি বিশ্বের মালিক হতে হয় তবে এই পরিশ্রম করতে হবে। ভাই-ভাই মনে করে সকলকে জ্ঞান প্রদান করতে হবে। তাহলেই পুনরায় এই অভ্যাস পাকা হয়ে যাবে। বাবাও উপর থেকে এসেছেন, তোমরাও উপর থেকে এসেছো। বাচ্চারা-সহ বাবা সার্ভিস করছেন। বাবা সার্ভিস করার সাহস দেন। হিম্মতে মর্দা… (সাহসী ব্যক্তির সহায়তা বাবাও(ঈশ্বর) করে থাকেন)। তাই এই প্র্যাকটিস করতে হবে — আমি আত্মা ভাইকে পড়াই। আত্মা পড়ে, তাই না! একে স্পীরিচুয়্যাল নলেজ বলা হয় যা আধ্যাত্মিক বাবার থেকে প্রাপ্ত হয়। সঙ্গমেই বাবা এসে এই নলেজ দেন যে নিজেকে আত্মা মনে করো। তোমরা নগ্ন (অশরীরী) এসেছিলে তারপর এখানে শরীর ধারণ করে তোমরা ৮৪ জন্ম ভূমিকা পালন করেছো। পুনরায় এখন ফিরে যেতে হবে সে’জন্য নিজেকে আত্মা মনে করে ভাই-ভাইয়ের দৃষ্টিতে দেখতে হবে। এই পরিশ্রম করতে হবে। বাচ্চারা, তোমাদের নিজেদের পরিশ্রম করতে হবে, অন্যে করলে আমাদের কি এসে যায়। চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম অর্থাৎ প্রথমে নিজেকে আত্মা মনে করো তারপর ভাইদের বোঝাও তবেই ভালভাবে তীর বিদ্ধ হবে। এই ধার ভরপুর করতে হবে। পরিশ্রম করবে তবেই উচ্চপদ পাবে। বাবা এসেছেনই ফল প্রদান করতে সেইজন্য পরিশ্রম করতে হবে। কিছু সহ্যও করতে হয়। তোমাদের কেউ উল্টোপাল্টা কথা বললেও তোমরা চুপ করে থাকো। তোমরা চুপ থাকলে তখন অন্যেরা আর কি করবে। তালি দুই হাতে বাজে। একজনে মুখে তালি বাজালে, অন্যে চুপ করে গেলে তখন সে আপনা থেকেই চুপ হয়ে যাবে। তালির সাথে তালি পড়লে (বাজলে) শব্দ হয়ে যায়। বাচ্চাদের একে-অপরের কল্যাণ করতে হবে। বাবা বোঝান, বাচ্চারা সদা খুশিতে যদি থাকতে চাও তাহলে মন্মনাভব। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। ভাইদেরকে (আত্মাদের) দেখ। ভাইদেরকেও এই জ্ঞান প্রদান করো। এই অভ্যাস হয়ে গেলে কখনো ক্রিমিনাল আই ধোঁকা দেবে না। জ্ঞানের তৃতীয় নয়ন দ্বারা তৃতীয় নয়নকে দেখ। বাবাও তোমাদের আত্মাকেই দেখে। এই প্রচেষ্টাই করতে হবে যে সদা আত্মাকেই দেখি। শরীরকে দেখবোই না। যোগ যদি করাও তাহলেও নিজেকে আত্মা মনে করে ভাইদের দেখতে থাকবে তবেই সার্ভিস ভাল হবে। বাবা বলেছেন যে ভাইদের বোঝাও। সকল ভাইয়েরাই বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে। এই আধ্যাত্মিক নলেজ একবারই তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের বাচ্চাদের প্রাপ্ত হয়। তোমরা ব্রাহ্মণরাই পুনরায় দেবতা হতে চলেছো। এই সঙ্গমযুগকে ত্যাগ করবে নাকি! তাহলে পারে কীকরে যাবে, ঝাঁপ দেবে নাকি! এ হলো ওয়ান্ডারফুল সঙ্গমযুগ। তাই বাচ্চাদের আত্মিক যাত্রায় থাকার অভ্যাস করতে হবে। এই কথা তোমাদের লাভের জন্যই। বাবার শিক্ষা ভাইদের দিতে হবে। বাবা বলেন — আমি তোমাদের আত্মাদেরকেই জ্ঞান প্রদান করে থাকি। আত্মাকেই দেখি। মানুষ-মানুষের সঙ্গে কথা বললে তখন তাদের মুখ তো দেখবে, তাই না! তোমরা আত্মার সঙ্গে যখন কথা বলো তখন আত্মাকেই দেখবে। যদিও শরীরের দ্বারা জ্ঞান প্রদান করো কিন্তু এতে শরীরের বোধ ভাঙতে হয়। তোমাদের আত্মা বোঝে যে পরমাত্মা বাবা আমাদের জ্ঞান প্রদান করছেন। বাবা বলেন আত্মাদের দেখি, আত্মারাও বলে আমরা পরমাত্মা বাবাকে দেখছি। ওঁনার থেকে নলেজ গ্রহণ করছি, একে বলা হয় আত্মার সঙ্গে আত্মার স্পিরীচুয়্যাল জ্ঞানের আদান-প্রদান। আত্মাতেই জ্ঞান রয়েছে। আত্মাকেই জ্ঞান দিতে হবে। এ হলো যেম ধার। তোমাদের জ্ঞানে এই ধার ভরপুর হয়ে যাবে তখন কাউকে বোঝালে তৎক্ষণাৎ তীর বিদ্ধ হয়ে যাবে। বাবা বলেন — প্র্যাকটিস করে দেখ তীর বিদ্ধ হয় কি না। এই নতুন অভ্যাস করতে হবে তবেই তো দেহ-বোধ নিষ্কাশিত হয়ে যাবে। মায়ার তুফান কম আসবে। খারাপ সঙ্কল্পও আসবে না। কুদৃষ্টিও থাকবে না। আমরা আত্মারা ৮৪-র চক্রে আবর্তন করেছি। এখন নাটক সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এখন বাবার স্মরণে থাকতে হবে। স্মরণের দ্বারাই তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে, সতোপ্রধান দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে। কত সহজ। বাবা জানেন বাচ্চাদের এই শিক্ষা দেওয়াও আমার পার্ট। কোনো নতুন কথা নয়। প্রতি ৫ হাজার বছর পর আমায় আসতে হয়। আমিও (ড্রামায়) আবদ্ধ হয়ে রয়েছি। বসে থেকে বাচ্চাদের বোঝাই — মিষ্টি বাচ্চারা, আধ্যাত্মিক স্মরণের যাত্রায় থাকো তবেই অন্তে যেমন মতি তেমনই গতি হয়ে যাবে। এ হলো অন্তিমকাল, তাই না! মামেকম্ স্মরণ করো তবেই তোমাদের সদ্গতি হয়ে যাবে। স্মরণের যাত্রায় পা (স্থিতি) মজবুত হয়ে যাবে। বাচ্চারা, এই দেহী-অভিমানী হওয়ার শিক্ষা একবারই তোমরা পাও। কত বিস্ময়কর (ওয়ান্ডারফুল) জ্ঞান। বাবা ওয়ান্ডারফুল সে’জন্য বাবার জ্ঞানও ওয়ান্ডারফুল। আর কেউই কখনো বলতে পারে না। এখন ফিরে যেতে হবে সেইজন্য বাবা বলেন — মিষ্টি বাচ্চারা, এ’সব প্র্যাকটিস করো। নিজেকে আত্মা মনে করে আত্মাকে জ্ঞান প্রদান করো। তৃতীয় নেত্র দ্বারা ভাই-ভাইকে দেখতে হবে। এ’টাই হলো বড় পরিশ্রমের। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র দ্বারা আত্মাকে দর্শন করার অভ্যাস করতে হবে। প্রচেষ্টা করতে হবে সদা আত্মাকেই দেখব শরীরকে নয় তবেই কুচিন্তা আসবে না। খারাপ সঙ্কল্প সমাপ্ত হয়ে যাবে।

২ ) তালি দু’হাতে বাজে তাই যখন তোমাদের কেউ উল্টোপাল্টা কথা বলে তখন তোমরা চুপ থাকো। যদি তোমরা চুপ থাকো তবে অপরজন আপনা থেকেই চুপ হয়ে যাবে।

বরদানঃ-

যদি বলো যে ব্রহ্মাবাবার সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত ভালবাসা রয়েছে তবে ভালবাসার নিদর্শন হলো যার সঙ্গে বাবার ভালোবাসা ছিল তার প্রতি ভালবাসা থাকুক। যে কর্মই করো, কর্মের পূর্বে, বোলের পূর্বে, সঙ্কল্পের পূর্বে চেক্ করো যে এ’সব কি ব্রহ্মাবাবার প্রিয় ? ব্রহ্মাবাবার বিশেষভাবে এই বিশেষতাই ছিল – যা ভেবেছেন তাই করেছেন, যা বলেছেন তাই করেছেন। বিরোধ হলেও সদা স্ব-স্থানে সেট হয়ে থেকেছেন, তাহলে প্রেমের প্র্যাকটিক্যাল প্রমাণ দেওয়া অর্থাৎ ফলো ফাদার করে সুপুত্র আর সমকক্ষ হওয়া।

স্লোগানঃ-

লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –

পরমাত্ম-প্রেম অফুরন্ত, অটল। এত আছে যে সকলেই প্রাপ্ত করতে পারে কিন্তু পরমাত্ম-প্রেম প্রাপ্ত করার বিধি হলো – সব কিছুর থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া। যত পৃথক হবে ততই পরমাত্ম-প্রেমের অধিকার প্রাপ্ত হবে। এমন পৃথক এবং প্রিয় (ন্যায়ারী-প্যায়ারী) আত্মারাই লভলীন (প্রেমবিভোর) স্থিতির অনুভব করতে পারে।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top