1 September 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 31, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - এখন তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদেরকে দেবতা থেকেও বেশী রয়্যালটির সাথে চলতে হবে, কেননা তোমরা এখন হলে নিরাকারী আর সাকারী উচ্চ কুলের"

প্রশ্নঃ --

কোন্ বাচ্চাদের মুখ মন্ডল (চেহারা) ফুলের মতো প্রস্ফুটিত থাকবে?

উত্তরঃ -:-

যাদের গুপ্ত খুশী থাকবে যে বাবার থেকে আমরা অসীম উত্তরাধিকার নিয়ে বিশ্বের মালিক হয়ে উঠি। ২ ) যারা জ্ঞান আর যোগের দ্বারা সতোপ্রধান হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আত্মা পবিত্র হতে থাকে। এই রকম বাচ্চাদের মুখ মন্ডল ফুলের মতো খুশীতে প্রস্ফুটিত (খিলখিলিয়ে ওঠে) হয়ে থাকবে। আত্মাতে শক্তিমত্তা আসতে থাকবে। মুখ থেকে জ্ঞান রত্ন নির্গত হতে হতে রূপ-বসন্ত হয়ে যাবে। নতুন রাজধানীর সাক্ষাৎকার হতে থাকবে।

গান:-

মরণ তোমার গলিতে… 

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা খুব ভালো ভাবে বুঝে নিয়েছে যে, আমাদেরকে বাবার গলার মালা হতে হবে। এটা কে বলেছে? আত্মা বলেছে যে, এখন তোমাদেরকেই গলার মালা হতে হবে। দেহ-অভিমান ছাড়তে হবে। এখন আমরা রুদ্র মালাতে গ্রথিত হবো। ঘরে ফিরে যেতে হবে, সেইজন্য বেঁচে থাকতেই দেহ-অভিমানকে ছাড়তে হবে। আত্মা হল পরমাত্মার সন্তান, তাঁর থেকেই এখন আমরা অবিনাশী উত্তরাধিকার নিচ্ছি। বাচ্চাদের এই নেশা থাকা উচিত। তাহলে বুদ্ধি শিব বাবার কাছে চলে যাবে। আমরা আত্মারা হলাম তাঁর সন্তান। এখন ব্রহ্মার দ্বারা ওঁনার পৌত্র হয়েছি। নিরাকার বাবা আর সাকার হলেন দাদা (ব্রহ্মা) । বাবা হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ । যে সব মানুষ উচ্চ ধনবান হয়ে থাকে তারা অত্যন্ত রয়্যালটির সাথে থাকে। নিজের পজিশনের নেশা থাকে । বাচ্চারা তোমাদের মধ্যে অনেক অনেক খুশী থাকা উচিত । বাবার স্মরণে থাকা এটাই হল দেহী-অভিমানী অবস্থা। যারা দ্বারা তোমরা অত্যন্ত লাভবান হও। তোমরা বাচ্চারা জানো যে, আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান, ব্রহ্মার সন্তান। বাবা বলেন, তোমরা তো হলেই আমার সন্তান, এখন তোমাদেরকে ব্রহ্মার দ্বারা আমি অ্যাডপ্ট করি। তোমাদের এই নেশা থাকা উচিত যে – আমরা নিরাকারী এবং সাকারী উচ্চ ব্রাহ্মণ কুলের। নিজেকে ব্রাহ্মণ ভাবতে হবে। আমরা ঈশ্বরীয় সন্তান, আমরা হলাম ব্রহ্মার সন্তান। তোমরা জানো যে আমরা ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হতে যাচ্ছি। এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। তোমাদের ব্রাহ্মণদের দেবতাদের থেকেও অধিক রয়্যালটির সাথে চলতে হবে। তোমাদের অমূল্য জীবন এখন তৈরী হয়। আগে কড়ি তুল্য ছিলে। এখন হীরে তুল্য হতে হবে। সেইজন্যই হল তোমাদের মহিমা। মন্দির গুলিও তোমাদের স্মরণিক হিসাবে নির্মিত হয়েছে। সোমনাথ, যিনি দেবতাদেরকে এই রকম বানিয়েছিলেন তাঁকেই স্মরণ করে বানানো । তোমাদেরও স্মরণিক রয়েছে। সোমনাথ অবিনাশী জ্ঞান রত্ন দিয়েছেন ওঁনার মন্দির কত সুন্দর বানানো হয়েছে। তোমরা যখন গান শোনো তখন তোমরা জানো যে আমরা শিববাবার গলার হার হয়েছি। বাবা আমাদেরকে পড়ান। আমাদেরকে কে পড়াচ্ছেন? সেটার খুশীও থাকা চাই। আগে যখন অল্ফ বে পড়তে (সিন্ধ পাকিস্তানে ঊর্দু পড়তে হত) তো মেঝেতে বসে পড়তে, পরবর্তী কালে বেঞ্চে বসে পড়তে, তারও পরে চেয়ারে। প্রিন্স প্রিন্সেস তো কলেজে কাউচে (সোফা) বসে। তাদেরকে কোনো প্রিন্স প্রন্সেস নিশ্চয়ই পড়াবে না, কোনো টিচারই নিশ্চয়ই পড়াবেন। তা সত্ত্বেও উচ্চ স্থান তো প্রিন্স প্রিন্সেরই হবে। তোমরা তো হলে সত্যযুগী প্রিন্স প্রিন্সেসদেরও উপরে। যদিও তারা হল দেবতাদের সন্তান। তোমরা হলে ঈশ্বরীয় সন্তান, যার থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে আর ওঁনাকে স্মরণও করতে হবে। উঠতে বসতে কর্ম ব্যবহারে থেকে, ওঁনার স্মরণ যেন বিস্মৃত না হয়। স্মরণের দ্বারাই হেল্দী-ওয়েল্দী হয়ে থাকে ।

বাবা বাচ্চাদেরকে উইল করে বাণপ্রস্থে চলে যান তারপর আর কোনো কিছুই থাকে না। সব কিছুই দিয়ে দিয়েছেন। যেমন তোমরা উইল করে থাকো যে, বাবা এই সব কিছু হল তোমার। তখন বাবাও বলেন আচ্ছা ট্রাস্টি হয়ে দেখাশোনা করো। তোমরা আমাকে ট্রাস্টি বানাও, তারপর আমি তোমাদেরকে ট্রাস্টি বানিয়ে দিই। তাই শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে, কোনো উল্টো পাল্টা কাজ কারবার করবে না। আমাকে জিজ্ঞাসা করে নিতে থাকবে। কেউ কেউ তো এটাও জানে না যে বাচ্চাদের কীভাবে আহার করা উচিত । ব্রহ্মা ভোজনের মহিমা অনেক। দেবতারাও ব্রহ্মা ভোজনের আশ রাখেন, সেই কারণেই তো তোমরা ব্রহ্মা ভোজন নিয়ে যাও। এই ব্রহ্মা ভোজনে অনেক শক্তি রয়েছে। পরে গিয়ে যোগীরা ভোজন বানাবে। এখন তোমরা হলে পুরুষার্থী। যতখানি সম্ভব শিব বাবার স্মরণে থাকার চেষ্টা করতে হবে। বাচ্চা যে তোমরা। ব্রহ্মা ভোজন যে বাচ্চারা খাবে তারা পোক্ত যেমন হয়ে উঠবে তেমনই বানানোর মতো পোক্ত বাচ্চারাও উঠে আসবে। ব্রহ্মা ভোজন বলে থাকে। শিব ভোজন বলে না। শিব এর ভান্ডারা বলে থাকে। যা কিছু পাঠিয়ে দেওয়া হয় শিব বাবার ভান্ডারাতে গিয়ে পবিত্র হয়ে যায়। শিব বাবার ভান্ডারা যে। বাবা বলেন – শ্রীনাথ দ্বারে ঘী এর কূঁয়া রয়েছে। ওখানে পরিপাক করা ব্যঞ্জন প্রস্তুত হয় আর জগন্নাথ দ্বারে বিনা আগুনে পরিপাক করা ব্যঞ্জন প্রস্তুত হয়। তফাৎ আছে না? সে হল শ্যাম আর সে হল সুন্দর। শ্রীনাথ মন্দিরের অনেক ধন রয়েছে, ওড়িশার যেটা সেখানে এত ধন হয় না। গরীব আর বিত্তবান এটা তো আছেই। এখন তো অনেক গরীব, এরপর বিত্তবান হবে। এই সময় তোমরা হলে খুব গরীব। সেখানে তো তোমরা ৩৬ প্রকারের ব্যাঞ্জন (ভোজন) পাবে। সুতরাং এই রকম প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। যদিও প্রজারাও ৩৬ প্রকারের ভোজন খেতে পারবে, কিন্তু রাজার পদ মর্যাদা তো অনেক উপরে না ? সেখানকার খাবার দাবার তো অনেক ফার্স্ট ক্লাস হবে। সব জিনিস এ ওয়ান কোয়ালিটির হবে। এখানে সব জিনিস হল জেড কোয়ালিটির। দিন রাতের পার্থক্য। আনাজ ইত্যাদি যা কিছু উৎপাদিত হয় সবই নিকৃষ্ট মানের। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের তো অনেক নেশা থাকা উচিত । অনেক বড় কোনও পরীক্ষা পাশ করলে যেমন অনেক উন্মাদনা তৈরি হয়! তোমাদের তো বিপুল উন্মাদনা আসা উচিত যে – আমাদেরকে ভগবান পড়াচ্ছেন, যিনি হলেন সদ্গতি দাতা। বাবা বলেন আমি হলাম তোমাদের ওবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট। বাবা, বাচ্চাদের ওবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট হয়ে থাকে। বাচ্চাদেরকে সবকিছু সঁপে দিয়ে নিজে বাণপ্রস্থে চলে যায়। বাবা বলেন আমিও নিজেকে তোমাদেরকে সঁপে দিই। কিন্তু তার আগে তোমরা সঁপে দাও। মানুষ মারা গেলে তার জিনিসপত্র করণীঘোর ব্রাহ্মণকে দিয়ে দেয় না? বড়লোক হলে ফার্নিচার ইত্যাদিও দিয়ে দেয়। তোমরা বাচ্চারা কী দাও? ছাইপাঁশ (আবর্জনা) । তার বিনিময়ে তোমরা কী পাও? গরীবই উত্তরাধিকার নিয়ে থাকে। নিজেকে সঁপে দেয় । বাবা কী নেন আর কী দেন? তো বাচ্চারা, তোমাদের নেশা থাকা উচিত । অসীম জগতের বাবাকে পেয়েছি, তিনি পূতিগন্ধময় কাপড় ধুয়ে দেন। শিখরা বলে থাকে – এই বাণী গুরু নানক এর – যা সংকলিত করে গ্রন্থসাহেব বানানো হয়েছে। ভারতবাসীর এটাও জানা নেই যে আমাদের গীতা কে গেয়েছে? গীতার ভগবান কে ছিলেন? তিনি কোন্ ধর্ম স্থাপন করেছিলেন? তারা তো হিন্দু ধর্ম বলে দেয়। আর্য ধর্ম বলে দেয়। অর্থ কিছুই বোঝে না। তারা মনে করে যে আর্য ধর্ম ছিল, এখন তো সমগ্র ভারত হল অনার্য। এই নাম দয়ানন্দ (সরস্বতী) রেখেছে। পরের দিকে যে সব শাখা-প্রশাখা নির্গত হয় খুব দ্রুত সেগুলির বৃদ্ধি হয়ে যায়। তোমাদেরকে তো পরিশ্রম করতে হয়। তাদেরকে কনভার্ট করতে বেশি সময় লাগে নাকি! এখানে তো কনভার্ট হওয়ার কোনো ব্যাপারই নেই। এখানে তো শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হতে হবে। ব্রাহ্মণ হওয়া মাসির বাড়ি যাওয়ার মতো সহজ কাজ নয়। এই পথে চলতে চলতে হাওয়া হয়ে যায়। বাবা বলেন কেউ যদি গলাও কেটে দেয় তাও অপবিত্র হবে না। বাবাকে জিজ্ঞাসা করে যে এই অবস্থায় কী করব? তো বাবা বুঝতে পেরে যান যে সহ্য করতে পারবে না। তো বাবা বলেন যাও গিয়ে পতিত হও। এ তো হল তোমাদের উপরে । সে তো তোমাকে এই এক জন্মের জন্য মেরে ফেলবে, তোমরা তো ২১ জন্মের জন্য নিজেকে নিজে হত্যা করছো। চলতে চলতে মায়া জোরে থাপ্পড় মেরে দেয়। বক্সিং যে। একটি ঘুষিতেই একেবারে ফেলে দেবে। ১৫ – ২০ বছরের, প্রথম থেকে আছে এমনও রয়েছে যারা একেবারে ছেড়েছুড়ে চলে যায়, মৃত হয়ে যায়। এই রকম দুর্বলমতিও রয়েছে । ভুল করলে তো তার জন্য অনুশোচনাও হয়। বাবা বোঝান যে, বাচ্চারা তোমরা এই ডিসসার্ভিস করে থাকো, এটা ঠিক নয়। শিক্ষা তো প্রদান করা হচ্ছেই। ঘুষি তো মারা হয় না। যেমন বলে না যে, বাড়িতে বাচ্চারা খুব বেশী বিরক্ত করলে চড় থাপ্পড় লাগিয়ে দিতে হয়। বাবা বলেন আচ্ছা তবে ওদের কল্যাণের জন্যই একটু না হয় কান টেনে দাও। যতখানি সম্ভব অত্যন্ত ভালোবেসে বোঝাও। কৃষ্ণের বিষয়েও বলা হয় যে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখত। কিন্তু এত চঞ্চলতা সেখানে হয় না এই সময়ের বাচ্চারাই মাথা খারাপ করে দেয়।

বাবা তাই বোঝান যে, বাচ্চারা লক্ষ্যস্থল অনেক অনেক উচ্চ। সব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে নাও – বাবা সব যুক্তি বলে দেবেন। প্রত্যেকের অসুখ আলাদা আলাদা। প্রতি পদে সাবধান থাকতে হবে। না হলে ধোঁকা খেতে হবে। অত্যন্ত মিষ্টি (স্বভাবের) হতে হবে। শিব বাবা কতো মিষ্টি কতো প্রিয়। বাচ্চাদেরও এই রকম হওয়া উচিত। বাবা তো চাইবেনই যে – বাচ্চারা আমার থেকেও যেন বড় হয়ে ওঠে। নাম হয়। এই রকম ফার্স্ট ক্লাস হও যাতে আমার থেকেও উঁচু পদ প্রাপ্ত হয় তোমাদের । অবশ্যই উচ্চ পদ দিয়ে থাকেন তাই না! কারো মাথাতেও আসবে না যে এরা বিশ্বের মালিক কীভাবে হল? সুতরাং তোমাদের আচার আচরণ বড়ই রয়্যাল হওয়া চাই। চলা ফেরা, কথা বলা, খাওয়া অত্যন্ত রয়্যাল্টির সাথে হওয়া উচিত। মন খুশীতে ভরিয়ে রাখা দরকার যে – আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান। লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র তো প্রত্যক্ষ রয়েছে। তোমরা তো হলে গুপ্ত । তোমাদেরকে অর্থাৎ ব্রাহ্মণদেরকে ব্রাহ্মণরাই জানে আর কেউই জানেই না। তোমরা জানো যে, আমরা গুপ্ত বেশে বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিয়ে বিশ্বের মালিক হয়ে যাই। অনেক উচ্চ পদ, এই কারণে মনের মধ্যে অপার খুশি থাকে। মুখাবয়ব ফুলের মতো প্রস্ফুটিত থাকে – এই রকম পুরুষার্থ করতে হবে । আগে গিয়ে তোমাদের অনেক মান হবে। সন্ন্যাসীদের আর রাজাদেরকে পরবর্তীকালে জ্ঞান প্রদান করতে হবে, যখন তোমাদের মধ্যে অনেক শক্তি চলে আসবে।

জ্ঞান আর যোগ বলের দ্বারা তোমাদেরকে সতোপ্রধান হতে হবে। মুখ থেকে সর্বদা রত্নই যেন নির্গত হতে থাকে, তবেই তোমরা রূপ-বসন্ত হয়ে যাবে । আত্মা পবিত্র হয়ে উঠতে থাকবে। তোমরা যত যত (সম্পূৰ্ণতার) নিকটে যেতে থাকবে ততই ভিতরে অত্যন্ত খুশি হবে। নিজেদের রাজধানীর সাক্ষাৎকারও হতে থাকবে। তোমাদেরকে নিজেদের পুরুষার্থ খুবই গুপ্ত ভাবে করা উচিত। রাস্তা বলে দেওয়া উচিত। তোমরা সবাই হলে দ্রৌপদী। বাবা বলেন এই সব অত্যাচার সহ্য করতে হবে – বাবার নিমিত্তে। সত্যযুগে কতো পবিত্রতা! ১০০ পার্সেন্ট ভাইসলেস ওয়ার্ল্ড বলা যায়। এখন হল ১০০ পার্সেন্ট ভিশস ওয়ার্ল্ড। তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে, এখন আমরা শিব বাবার গলার মালা হওয়ার জন্য রুহানী অর্থাৎ আত্মিক যোগ এর রেস করছি। তারপর আমরা বিষ্ণুর গলার মালা হবো। তোমাদের প্রথম বংশ (clan) হল – ব্রাহ্মণদের । তারপর তোমরা দেবতা, ক্ষত্রিয় হও। অবতরণ কলাতে তোমাদের পুরো কল্প লাগে আর উত্তরণ (চড়তি) কলাতে সেকেন্ড লাগে। এখন তোমাদের হল চড়তি কলা। কেবল বাবাকে স্মরণ করতে হবে, এটাই হল অন্তিম জন্ম। নীচে নামতে তোমাদের ৮৪ জন্ম লাগে। এই জন্মে তোমরা উপরে চড়তে থাকো। বাবা সেকেন্ডে জীবনমুক্তি দিয়ে দেন। সেই খুশী থাকা উচিত । কন্ট্রাস্ট স্পষ্ট দেখতে পারো যে – এই নলেজের দ্বারা আমরা কী হয়ে উঠবো। এর দ্বারা আমরা কী হবো! এটাও পড়তে হবে, ওটাও পড়তে হবে। বাবা বলেন, গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে ভবিষ্যতের জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। আসুরিক আর দৈবী কুল উভয় দিকেরই তালমেল রাখতে হবে। এক একজনের হিসাব বাবা নেন। তারপর সেটার বিষয়ে সেই হিসেবে যুক্তি বলে দেন যে এইভাবে চলো। কেউ যদি রাগারাগিও করে, তোমাদেরকে কিন্তু অত্যন্ত মিষ্টি হতে হবে। কেউ গালমন্দ করলেই মুখের হাসির রেখা যেন অমলিন থাকে ।

আচ্ছা – তোমরা গালমন্দ করছো, ঠিক আছে আমরা তোমাদের ওপরে পুষ্প বৃষ্টি করছি। তাহলে একেবারে শান্ত হয়ে যাবে। এক মিনিটের মধ্যে ঠান্ডা হয়ে যাবে। বাবা হলেন মনোরঞ্জনকারী (রান্ঝু- রমজবাজ) । নানান যুক্তি বলে দেন। পতিতদেরকে পবিত্র বানান তিনি, তবে তো অবশ্যই তিনি সুন্দর সুন্দর মনোরঞ্জক যুক্তি প্রদানকারীই হবেন। শ্রীমৎ নিতে হবে। শ্রীমতের দ্বারা শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্যই তো এসেছো। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এইরূপ ফার্স্ট ক্লাস মিষ্টি মধুর আর রয়্যাল হতে হবে যাতে বাবার নাম খ্যাত হয়। কেউ রাগারাগি করল, গালমন্দ করল তবুও মুখের হাসি যেন অমলিন থাকে।

২ ) শ্রীমৎ এর আধারে পুরোপুরি ট্রাস্টি হতে হবে। কোনো প্রকারেরই উল্টো কাজকর্ম করবে না। নিজেকে পুরোপুরি সঁপে দিতে হবে।

বরদানঃ-

যে কোনো ধর্মের আত্মাদের সাথে মিলিত হলে কিম্বা তাদেরকে দেখলে এই স্মৃতি যেন থাকে যে, এ সকল আত্মারা হল আমাদের গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদারের বংশের, আমরা ব্রাহ্মণ আত্মারা হলাম পূর্বজ। পূর্বজ সকলকে পালন করে। তোমাদের অলৌকিক লালন পালনের স্বরূপ হল – বাবার দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া সর্ব শক্তি গুলি অন্য আত্মাদের মধ্যেও ভরে দেওয়া । যে আত্মার যে শক্তি আবশ্যক, তাকে সেই শক্তির দ্বারা লালন পালন করা। এর জন্য নিজের বৃত্তি অতীব শুদ্ধ আর মন শক্তি সম্পন্ন হওয়া চাই।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top