1 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
31 July 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা জ্ঞানের যে মিষ্টি - মিষ্টি কথা শোনান, তাকে ধারণ করতে হবে - খুবই মিষ্টি ক্ষীরখণ্ড হয়ে থাকতে হবে, কখনোই নুন-জল হয়ো না"
প্রশ্নঃ --
কোন্ মহামন্ত্রের দ্বারা তোমরা বাচ্চারা নতুন রাজধানীর তিলক প্রাপ্ত করো ?
উত্তরঃ -:-
বাচ্চারা, বাবা এই সময় তোমাদের মহামন্ত্র দেন যে – মিষ্টি, অতি প্রিয় বাচ্চারা, তোমরা বাবা আর তাঁর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো । ঘর – গৃহস্থে থেকে যদি কমল পুষ্পের মতো থাকো, তাহলে তোমরা রাজধানীর তিলক প্রাপ্ত করবে ।
প্রশ্নঃ --
বলা হয় – যেমন দৃষ্টি, তেমন সৃষ্টি…এই প্রবাদ কেন প্রচলিত রয়েছে ?
উত্তরঃ -:-
এই সময়ের মানুষ যেমন পতিত, অসুন্দর(কালো), তেমনই তারা তাদের পূজ্য দেবতাদের, লক্ষ্মী – নারায়ণকে, রাম – সীতাকে, শিব বাবাকেও কালো বানিয়ে তাঁদের পূজা করে । তারা বুঝতেই পারে না যে, এর অর্থ কি, তাই এমন প্রবাদ রয়েছে ।
গান:-
অন্তর্মুখকে দেখ রে প্রাণী..
ওম্ শান্তি । মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা এই গীতের লাইন শুনেছে যে, হৃদয় রূপী দর্পণে দেখো যে, কতটা পাপ আর কতটা পুণ্য করেছো । পাপ আর পুণ্য হৃদয় রূপী দর্পণে বিচার করা হয় তো, তাই না । এ তো হলোই পাপ আত্মাদের দুনিয়া । সত্যযুগকে পুণ্য আত্মাদের দুনিয়া বলা হয় । এখানে পুণ্য আত্মা কোথা থেকে আসবে, সবাই পাপই করতে থাকে, কেননা এ হলো রাবণ রাজ্য । নিজেরাই বলতে থাকে – হে পতিত পাবন, এসো । আমরা জানি যে, এই ভারতই পুণ্য আত্মাদের খণ্ড ছিলো । কেউই সেখানে পাপ করতো না । বাঘে গরুতে একসাথে জল পান করতো, ক্ষীরখণ্ড ছিলো । বাবাও বলেন – বাচ্চারা, ক্ষীরখণ্ড হও । পুণ্য আত্মাদের দুনিয়াতে তমোপ্রধান আত্মা কোথা থেকে আসবে । বাবা এখন জ্ঞানের প্রকাশ বা রোশনাই প্রদান করেছেন । তোমরা জানো যে, আমরাই সেই সতোপ্রধান দেবী – দেবতা ছিলাম । তাঁদের মহিমাই হলো – সর্বগুণ সম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ …..আমরা নিজেরাও তাঁদের মহিমা করি । মানুষ বলে থাকে, আমি নির্গুণ, আমার মধ্যে কোনো গুণ নেই । প্রভু, তুমি এসে যখন আমাদের প্রতি দয়া করবে, তখনই আমরাও এমন হতে পারবো । একথা আত্মা বলেছে । আত্মা বুঝতে পারে যে, এই সময় আমরা পাপ আত্মা । পুণ্য আত্মা তো দেবী – দেবতা, যাঁদের পূজা করা হয় । সবাই গিয়ে দেবতাদের চরণে মাথা নত করে । সাধুসন্ত ইত্যাদিরাও তীর্থে যায় । তারা অমরনাথ, শ্রীনাথ দ্বারে যায় । তাই এ হলোই পাপ আত্মাদের দুনিয়া । এই ভারতই পুণ্য আত্মাদের দুনিয়া ছিলো, যখন এখানে লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজত্ব ছিলো । সেই দুনিয়াকে স্বর্গ বলা হয় । মানুষের মৃত্যু হলে বলা হয়, স্বর্গে গিয়েছেন, কিন্তু স্বর্গ কোথায় ? স্বর্গ যখন ছিলো তখন সত্যযুগ ছিলো । মানুষের তো যা মনে আসে, তাই বলে দেয় । বুঝতে কিছুই পারে না । স্বর্গে যখন গেছে তখন অবশ্যই নরকে ছিলো । সন্ন্যাসীর মৃত্যু হলে বলা হয়, জ্যোতি, জ্যোতিতে মিলিয়ে গিয়েছে । তাই তফাৎ তো হলো, তাই না । জ্যোতিতে মিলিয়ে গেছে অর্থাৎ এখানে আর আসবেই না । তোমরা জানো যে, যেখানে আমরা আত্মারা থাকি তাকে নির্বাণ ধাম বলা হয় । বৈকুণ্ঠকে নির্বাণ ধাম বলা হবে না । বাবা বাচ্চাদের খুব মিষ্টি – মিষ্টি জ্ঞান শোনান, যা খুব ভালোভাবে ধারণ করা উচিত ।
তোমরা জানো যে, বাবা এসেছেন আমাদের বৈকুন্ঠের রাস্তা বলে দেওয়ার জন্য । বাবা এসেছেন আমাদের রাজযোগ শেখাতে । তিনি আমাদের পাবন দুনিয়ার মার্গ বলে দিয়ে গাইড হয়ে আমাদের সেখানে নিয়ে যান । অবশ্যই বিনাশও সামনে দাঁড়িয়ে আছে । বিনাশ হয় পুরানো দুনিয়ার । পুরানো দুনিয়াতেই উপদ্রব ইত্যাদি হয় । তাই আমাদের বাবা কতো মিষ্টি । তিনি অন্ধের লাঠি হন । মানুষ তো ঘোর অন্ধকারে ধাক্কা খেতে থাকে । গায়ন আছে যে, ব্রহ্মার দিন আর ব্রহ্মার রাত । ব্রহ্মা তো এখানেই, তাই না । বাবা আসেনই রাতকে দিন করার জন্য । অর্ধেক কল্প হলো রাত আর অর্ধেক কল্প হলো দিন । তোমরা এখন বুঝতে পেরেছো, ওরা তো মনে করে কলিযুগ এখন সম্পূর্ণ বাচ্চা । কখনো কখনো ওরা বলে থাকে, এই দুনিয়ার বিনাশ তো হয়েই যাবে, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না । আজকাল তো কেউই প্রায় ঘরবাড়ি ত্যাগই করে না । কোনো কারণ হলে তবেই গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়ে যায় । মাঝে গভর্ণমেন্টও নির্দেশিকা জারি করেছিলো যে, সন্ন্যাসীদেরও লাইসেন্স হওয়া উচিত । এমন তো হবেই না যে, ঘরের প্রতি রাগ করে তারা গিয়ে সন্ন্যাসী হয়ে গেলো । এখানে অর্থ খরচ ছাড়াই অনেক জিনিস পাওয়া যায় । সেটা হলো জাগতিক সন্ন্যাস । তোমাদের হলো অসীম জগতের সন্ন্যাস । এই সময় সম্পূর্ণ দুনিয়াই হলো পতিত । তাকে আবার পবিত্র করা এক পতিত পাবন বাবারই কাজ । সত্যযুগে পবিত্র গৃহস্থ ধর্ম ছিলো । লক্ষ্মী – নারায়ণের চিত্রও আছে, দেবী – দেবতাদের মহিমা তো গাওয়া হয় — সর্বগুণ সম্পন্ন …..। জগতে হলো হঠযোগ কর্ম সন্ন্যাস, কিন্তু কর্মের সন্ন্যাস তো আর হতে পারে না । কর্ম বিনা তো মানুষ এক সেকেন্ডও থাকতে পারে না । কর্ম সন্ন্যাস – অর্থই হলো ভুল, এ হলো কর্মযোগ, রাজযোগ । তোমরা সূর্যবংশী দেবী – দেবতা ছিলে। তোমরা জেনে গেছো যে, আমাদের ৮৪ জন্মগ্রহণ করতে হয় । বর্ণেরও গায়ন আছে, কিন্তু এই ব্রাহ্মণ বর্ণের খবর কেউই জানে না ।
বাচ্চারা, বাবা তোমাদেরকে মহামন্ত্র দেন যে, তোমরা বাবা আর তাঁর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে থাকো, তাহলে তোমরা রাজধানীর তিলক প্রাপ্ত করবে । মিষ্টি – মিষ্টি অতি প্রিয় বাচ্চারা, তোমরা ঘর – গৃহস্থে থেকে কমল পুষ্পের ন্যায় পবিত্র থাকো, প্রেমের দ্বারা যতটা কাজ করিয়ে নেওয়া যায়, ক্রোধের দ্বারা তা সম্ভব নয় । তোমরা খুবই মিষ্টি হও । বাবার স্মরণে সর্বদা হাসিখুশি থাকো । দেবতাদের চিত্র দেখো, তাঁরা কতো হর্ষিত থাকে । তোমরা এখন জানো যে, সে তো আমরাই ছিলাম । আমরাই সেই দেবতা ছিলাম, তারপর আমরাই ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র হয়েছি । এখন আমরা সঙ্গম যুগে ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী হয়েছি । ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী, তারাই ঈশ্বর বংশী । বাবার কাছে মুক্তি আর জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার পাওয়া যায় । তোমরা এও জানো যে, যখন দেবী – দেবতাদের রাজ্য ছিলো তখন অন্য কোনো ধর্ম ছিলো না, চন্দ্রবংশীরাও ছিলো না । এ তো বোঝার মতো কথা, তাই না । ‘আমিই সেই’ এই অর্থকেও ওরা ‘আত্মাই পরমাত্মা’ বলে দিয়েছে । তোমরা তো এখন জানো, আমরাই সেই দেবতা তারপর ক্ষত্রিয় হয়েছিলাম । একথা আত্মা বলে যে – আমি আত্মা যখন পবিত্র ছিলাম, তখন আমার শরীরও পবিত্র ছিলো । সে হলো নির্বিকারী দুনিয়া । এ হলো বিকারী দুনিয়া । দুঃখধাম, সুখধাম আর শান্তিধাম, যেখানে আমরা সব আত্মারা থাকি । বলা হয়, আমরা সব হিন্দু – চীনি ভাই – ভাই, কিন্তু এর অর্থও তো বুঝতে হবে । আজ ভাই – ভাই বলে, কাল আবার বন্দুক ধরতে থাকে । আত্মারা তো সবাই ভাই – ভাই । পরমাত্মাকে সর্বব্যাপী বললে তো সবই ‘বাবা’ হয়ে যায় । ফাদারকে উত্তরাধিকার প্রদান করতে হবে । ব্রাদার্সকে (ভাইদের) উত্তরাধিকার নিতে হবে । এতে তো রাত – দিনের তফাৎ হয়ে যায় । তিনি তো পতিত পাবন, তাই না, তাঁর থেকেই তো পাবন হতে হবে । আমরা মনুষ্য থেকে দেবতা হতে চাই । গুরুগ্রন্থতেও আছে…. মনুষ্য থেকে দেবতা হতে সময় লাগে না, এমন গায়নও আছে…সেকেন্ডে জীবনমুক্তি । আমরা দেবতারা জীবনমুক্ত ছিলাম, এখন জীবনবন্ধ হয়েছি । দ্বাপর যুগ থেকে রাবণ রাজ্য শুরু হয়, তখন দেবতারা বাম মার্গে চলে যায় । এর চিহ্নও প্রাপ্ত হয়েছে । জগন্নাথ পুরীতে দেবতাদের খুবই মন্দ চিত্র দেওয়া আছে । আগে তো এসব বোঝা যেতো না । এখন এই চিত্রের অর্থ সবই বোঝা যাচ্ছে । মানুষ আশ্চর্য হয় যে, দেবতাদের এমন মন্দ চিত্র এখানে কিভাবে খোদাই করা হতে পারে, আর মন্দিরের ভিতরে তো আবার কালো জগন্নাথ বসে আছে । শ্রীনাথ দ্বারেও কালো চিত্র দেখানো হয় । এটা কেউই জানে না যে, জগন্নাথের চিত্র কালো কেন দেখানো হয় । কৃষ্ণের জন্য তো বলা হয়, তাঁকে সাপে দংশন করেছিলো । রামের কি হয়েছিলো ? নারায়ণের মুখও কালো দেখানো হয়, শিবলিঙ্গও কালো দেখানো হয়, সব কালোই কালো দেখানো হয় । দৃষ্টি যেমন, তেমনই সৃষ্টি । এই সময় সকলেই পতিত, কালো, তাই তারা ভগবানকেও কালো বানিয়ে দিয়েছে। সবার প্রথমে মানুষ শিবের পূজা করতো, হীরের লিঙ্গ বানাতো । এখন ওইসব লিঙ্গ আর নেই । ওইসব তো অতি মূল্যবান জিনিস । পুরানো জিনিসের কতো মূল্য! এই পূজা শুরু হয়েছে ২৫০০ বছর হলো, তাই এতটাই পুরানো হবে, আর কি ! পুরানো – পুরানো চিত্র হলো দেবী – দেবতাদের । এরা আবার বলে দেয়, এ হলো লক্ষ বছরের কথা ।
তোমরা এখন জানো যে, পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভারতে স্বর্গ ছিলো । এখন তো কলিযুগ, বিনাশ সামনে উপস্থিত । সবাইকে চলে যেতে হবে । বাবাই সবাইকে নিয়ে যান । ব্রহ্মার দ্বারা তোমরা ব্রাহ্মণ হয়েছো, তারপর তোমরা দেবতারা পালনা করবে । এইসব কথা ভাগবত গীতাতে কিছুই নেই । বাবা বলেন, এই নলেজ হারিয়ে যায় । লক্ষ্মী – নারায়ণ তো আর ত্রিকালদর্শী নন, তাহলে এই জ্ঞানের পরম্পরা কিভাবে চলতে পারে । তোমরাই এই সময় হলে ত্রিকালদর্শী । সবথেকে ভালো সেবা তোমরাই এই সময় করো । তাই তোমরা হলে প্রকৃত রুহানী সমাজ সেবক । তোমরা এখন আত্ম – অভিমানী হও । আত্মার মধ্যে যে খাদ জমা হয়ে আছে, তা কিভাবে দূর হবে ? বাবা তো জহুরি, তাই না । সোনার মধ্যে আয়রনের খাদ জমতে জমতে আত্মা পতিত হয়ে গেছে । এখন কীভাবে পাবন হবে ? বাবা বলেন – হে আত্মা, মামেকম্ (শুধুমাত্র আমাকে ) স্মরণ করো । পতিত পাবন বাবা শ্রীমৎ প্রদান করেন । ভগবান উবাচঃ হলো — হে আত্মারা, তোমাদের মধ্যে খাদ জমা হয়, তোমরা এখন পতিত হয়ে গেছো । পতিত তো মহাত্মা হতেই পারে না, একমাত্র উপায় হলো – মামেকম্ (একমাত্র আমাকে) স্মরণ করো । এই যোগ অগ্নিতে তোমাদের বিকর্ম দগ্ধ হবে । এখানে কতো আশ্রম আছে, সেখানে অনেক প্রকারের হঠযোগের চিত্র লাগানো থাকে । এ হলো যোগ, বা স্মরণের ভাট্টি । তোমরা যদি গৃহস্থ জীবনেও থাকো, ভোজন ইত্যাদি প্রস্তুত করো, বাচ্চাদেরও দেখভাল করো । আচ্ছা, ভোরবেলা তো সময় আছে, তাই না । এমন তো বলাও হয় — হে মন, প্রভাতে রাম নাম জপ করো । আত্মার মধ্যেই বুদ্ধি থাকে । ভক্তিও মানুষ সকালেই করে । তোমরাও ভোরবেলা উঠে বাবাকে স্মরণ করো, বিকর্ম বিনাশ করো । তোমাদের সমস্ত আবর্জনা দূর হয়ে আত্মা কাঞ্চন হয়ে যাবে, তখন কায়াও কাঞ্চন প্রাপ্ত করবে । এখন তোমাদের আত্মা দুই ক্যারেটেরও নয় । ভারতের দেবী দেবতাদের ৮৪ জন্মের হিসাব নিতে হবে । এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি রিপিট হয়, কিন্তু আয়ু কতো, এ কেউই জানে না । কল্পের আয়ুও কেউ জানে না । বাবা বলেন, আমি এসেছি তোমাদেরকে শ্রীমৎ প্রদান করতে, শ্রেষ্ঠ বানাতে । এই স্মরণের অগ্নিতেই তোমাদের খাদ দূর হবে, আর অন্য কোনো উপায় নেই । বাচ্চাদের বাহাদুর হতে হবে, তোমরা ভয় পেও না । যার রক্ষক স্বয়ং ভগবান বসে আছে, সে কাকে ভয় পাবে ? তোমাদেরকে কেউ কীভাবে অভিশাপ দেবে ? কিছুই পারবে না । আচ্ছা ।
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) যে কোনো কাজ ভালবাসার সাথে করাও, ক্রোধের দ্বারা নয় । বাবার স্মরণে সদা হর্ষিত থাকতে হবে । সদা দেবতাদের মতো মুখে স্মিত হাসি রাখতে হবে ।
২ ) আত্মার মধ্যে যে খাদ জমা হয়ে আছে, তা স্মরণের অগ্নিতে দূর করতে হবে । বিকর্ম বিনাশ করতে হবে । বাহাদুর হয়ে সেবা করতে হবে । ভয় পেলে চলবে না ।
বরদানঃ-
মাস্টার সর্বশক্তিমান রাজযোগী সে-ই, যে রাজা হয়ে নিজের কর্মেন্দ্রিয় রূপী প্রজাকে নিয়ম এবং নির্দেশ অনুযায়ী চালাবে । রাজা যেমন রাজ্য দরবার লাগায়, তেমনই তোমরা তোমাদের রাজ্য কারবারী কর্মেন্দ্রিয়ের রোজই রাজ্য দরবার লাগাও, আর তাদের খোঁজখবর নাও, কোনো কর্মচারী বিরোধিতা তো করে না, সব নিয়ন্ত্রণে আছে তো । যে মাস্টার সর্বশক্তিমান, তাকে একটি কর্মেন্দ্রিয়-ও কখনো ধোঁকা দিতে পারে না । স্টপ বললেই স্টপ হয়ে যাবে ।
স্লোগানঃ-
মাতেশ্বরী জী’র অমূল্য মহাবাক্য –
১ ) বাস্তবে জ্ঞান প্রাপ্ত করা এক সেকেন্ডের কাজ, কিন্তু মানুষ যদি এক সেকেন্ডেই বুঝে যায় তাহলে তার জন্য এক সেকেন্ডই লাগে, কেবল নিজের স্বধর্মকে জেনে যাবে যে, আমি প্রকৃতপক্ষে শান্ত স্বরূপ আত্মা, আর আমি পরমাত্মার সন্তান । এখন এই কথা বোঝা তো এক সেকেন্ডের কথা, কিন্তু এই কথা নিশ্চয় করাতে কোনো হঠযোগ, কোনো জপ তপ, যে কোনো প্রকারের সাধন করা, এইসবের কোনো প্রয়োজন নেই, কেবল নিজের অরিজিনাল রূপকে আঁকড়ে ধরো । বাকি আমরা যে এতো পুরুষার্থ করছি, তা কীসের জন্য ? এখন এর উপর বোঝানো হয়, আমরা যে এতো পুরুষার্থ করছি, তা কেবল এই বিষয়ের উপরই করছি । যেমন নিজের প্রাকটিক্যাল জীবন যদি তৈরী করতে হয় তাহলে নিজের এই দেহ বোধ থেকে সম্পূর্ণ বের হতে হবে । প্রকৃতপক্ষে এই আত্ম অভিমানী স্থিতিতে স্থির হওয়ার জন্য বা এই দৈবী গুণকে ধারণ করার জন্য পরিশ্রম তো অবশ্যই করতে হয় । এতেই আমরা প্রতি মুহূর্তে, প্রতি পদে সাবধান থাকব। এখন আমরা যত মায়ার থেকে সাবধান থাকবো, তখন যত যত ঘটনাই সামনে আসুক না কেন, আমাদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না । মায়া তখনই সামনা করে, যখন আমরা নিজেকে নিজেই বিস্মৃত হই, এখন এই যে এতটা মার্জিন রয়েছে তা হল প্র্যাকটিক্যাল লাইফ বানানোর জন্য । বাকি জ্ঞান তো এক সেকেন্ডের কথা ।
২ ) এই যে আমাদের ঈশ্বরীয় জ্ঞান, তা আমাদের বুদ্ধি থেকে নির্গত হয়নি, না এ কোনো নিজের বুদ্ধি বা নিজস্ব কল্পনা অথবা সঙ্কল্প, এই জ্ঞান কিন্তু সম্পূর্ণ সৃষ্টির যিনি রচয়িতা, তাঁর কাছে শোনা এই জ্ঞান । আর সাথে সাথে শুনে অনুভব আর বিবেকে যা জাগ্রত হয়, তাই আপনাদের প্রত্যক্ষ ভাবে শোনাচ্ছি । যদি নিজের বিবেকের কথা হতো, তাহলে তা নিজের কাছেই চলতো, কিন্তু এ তো পরমাত্মার কাছে শুনে নিজের অনুভবের দ্বারা ধারণ করি । যে বিষয় ধারণ করি, তা যখন অবশ্যই বিবেক আর অনুভবে আসে, তখনই নিজের বলে মানা হয় । এই কথাও আমরা এনার কাছেই জেনেছি । তাই পরমাত্মার রচনা কি ? পরমাত্মা কে ? বাকি নিজের কোনো সঙ্কল্পের কথা নয়, যদি হতো, তা নিজের মনেই উৎপন্ন হতো, তাই আমরা পরমাত্মার কা থেকে নিজের জন্য যে সব মুখ্য ধারণার যোগ্য পয়েন্টস পেয়েছি, তার মধ্যে মুখ্য হলো যোগযুক্ত হওয়া, কিন্তু এই যোগের আগে জ্ঞানের প্রয়োজন । যোগের পূর্বে জ্ঞান কেন বলা হয় ? প্রথমে চিন্তা করা, বোঝা, তারপরে যোগযুক্ত হওয়া – সর্বদা এমন বলা হয়, প্রথমে বোধের প্রয়োজন, না হলে উল্টো কর্ম চলতে থাকবে, তাই প্রথমে জ্ঞান জরুরী । জ্ঞান হলো এক উচ্চ স্থিতি, যা জানার জন্য বুদ্ধির প্রয়োজন, কেননা উঁচুর থেকেও উঁচু পরমাত্মা আমাদের পড়াচ্ছেন । আচ্ছা – ওম্ শান্তি ।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!