09 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

October 8, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - মাতা-পিতাকে ফলো করে সিংহাসনাসীন হও, এতে কোনো কষ্ট নেই, কেবল বাবাকে স্মরণ করো আর পবিত্র হও"

প্রশ্নঃ --

দীননাথ বাবা তাঁর বাচ্চাদের ভাগ্য গড়বার জন্য কোন্ রায় দেন ?

উত্তরঃ -:-

বাচ্চারা, শিববাবা তোমাদের কাছ থেকে কিছুই চান না। তোমরা খাও-দাও, পড়াশোনা করো – এখান থেকে রিফ্রেশ হয়ে যাও, কিন্তু এক মুষ্ঠি খুদেরও গায়ন রযেছে। ২১ জন্মের জন্য সমৃদ্ধশালী হতে হলে গরীবের এক পয়সাও বড়লোকের ১০০ টাকার সমান, সেইজন্য বাবা যখন ডাইরেক্ট আসেন, তখন সবকিছু সফল করে নাও।

গান:-

তুমিই মাতা পিতা তুমিই..

ওম্ শান্তি । গীতের অর্থ তো বাচ্চারা সঠিক ভাবে বুঝেছে। তারা আহ্বান হয়ত করে, কিন্তু বোঝে না। তোমরা জানো যে তিনি হলেন আমাদের বাবা। বাস্তবে তিনি কেবল তোমাদের বাবাই নন, সকলের বাবা তিনি। এটাও বুঝতে হবে। যত যত আত্মারা রয়েছে, অবশ্যই সেই সকল আত্মাদের বাবা হলেন পরমাত্মা । বাবা – বাবা বলতে থাকলে অবশ্যই অবিনাশী উত্তরাধিকারের কথা স্মরণে আসবে। বাবাকে স্মরণ করলেই বিকর্ম বিনাশ হবে । বাবা বাচ্চাদেরকে বলেন তোমাদের আত্মা পতিত হয়ে গেছে, এখন তাদেরকে পবিত্র বানাতে হবে। বাবা আছেন যখন তখন সকলের নির্বিকারী হওয়া উচিত। কোনো সময় সবাই নির্বিকারী ছিল। স্বয়ং বাবা বোঝাচ্ছেন যে, যখন শ্রী লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল তখন সবাই নির্বিকারী ছিল। এত সব যে মনুষ্য আত্মাদেরকে দেখছো, তারাই নির্বিকারী হবে, কেননা শরীর বিনাশ হয়ে যাবে বাকি আত্মারা গিয়ে নিরাকারী দুনিয়াতে থাকে। সেখানে বিকারের তো নামটুকুও নেই। সেখান থেকেই সব আত্মারা আসে – এই দুনিয়াতে ভূমিকা পালন করতে। সবার প্রথমে ভারতবাসী আসে। ভারতে সবার প্রথমে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল আর সব ধর্মের লোকেরা নিরাকারী দুনিয়াতে ছিল। এই সময় সবাই সাকারী দুনিয়াতে রয়েছে। এখন বাচ্চারা, তোমাদেরকে বাবা নির্বিকারী বানান, নির্বিকারী দেবী-দেবতা বানানোর জন্য। যখন তোমরা দেবী-দেবতা হয়ে যাও তখন নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য নতুন দুনিয়ার প্রয়োজন। পুরানো দুনিয়ার অবসান হয়ে যাওয়া দরকার। শাস্ত্রে মহাভারতের যুদ্ধও দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে যে, ৫ পান্ডব রয়ে যায়, তারপর তারাও পাহাড়ে গিয়ে গলে যায়। কেউই আর বাঁচেনি। আচ্ছা তবে এতো আত্মারা কোথায় গেল ? আত্মার তো বিনাশ হয় না। তখন বলবে নিরাকারী, নির্বিকারী দুনিয়াতে গেছে। বাবা বিকারী দুনিয়ার থেকে নিরাকারী, নির্বিকারী দুনিয়াতে নিয়ে যান। তোমরা জানো যে, বাবার কাছ থেকে অবশ্যই বর্সা পাওয়া উচিত। এখন দুঃখ বেড়ে গেছে। এই সময় আমাদের সুখ শান্তি দুটোই চাই। ভগবানের কাছে সবাই চায় – হে ভগবান আমাদের সুখ দাও, শান্তি দাও। প্রতিটি মানুষ পুরুষার্থ (পরিশ্রম) ধনের জন্যই করে। টাকা পয়সা আছে তো সুখ আছে। তোমাদেরকে বেহদের বাবা তো অনেক টাকা পয়সা দেন, সত্যযুগে তোমরা কতইনা ধনবান ছিলে। হীরে জহরতের মহল ছিল। তোমরা বাচ্চারা জানো যে, আমরা বেহদের বাবার থেকে অসীম স্বর্গের বর্সা নিতে এসেছি। সমগ্র দুনিয়া তো আসবে না। বাবা ভারতেই আসেন। ভারতবাসীই এই সময় নরকবাসী, বাবা এরপর স্বর্গবাসী বানান। ভক্তিতে দুঃখের কারণে বাবাকে জন্ম জন্মান্তর ধরে স্মরণ করেছে। হে পরমপিতা পরমাত্মা, হে কল্যাণকারী দুঃখ হরণকারী, সুখ প্রদানকারী ! তাঁকে স্মরণ করে যখন তাহলে নিশ্চয়ই তিনি এসে থাকেন। বিনা কারণে স্মরণ করে নাকি। মানুষ মনে করে ভগবান বাবা এসে ভক্তদেরকে ফল দেবেন। সেটা তো সবাইকেই দেবেন, তাই না ? বাবা তো সকলের !

তোমরা জানো যে, আমরা সুখধামে যাব। বাকি সবাই শান্তিধামে যাবে। যখন সুখধামে থাকে তখন সুখ-শান্তি সমস্ত সৃষ্টিতে বিরাজ করে। বাবার তো বাচ্চাদের প্রতি ভালোবাসা থাকে তাই না! এও গাওয়া হয় – তুমিই মাতা-পিতা…. জৈবিক মাতা-পিতা থাকা সত্ত্বেও গায় তুমি মাতা – পিতা….তোমার কৃপাতেই অগাধ সুখ। লৌকিক মাতা-পিতার জন্য তো এইভাবে গায় না। তারাও তো বাচ্চাদেরকে লালন পালন করে, পরিশ্রম করে, যা কিছু সম্পত্তি থাকে দিয়ে দেয়। বিবাহ দেয়। তথাপি অগাধ সুখ পারলৌকিক মাতা-পিতাই দেন। এখন তোমরা হলে ঈশ্বরীয় ধর্মের সন্তান। তারা সবাই হল আসুরিক ধর্মের সন্তান। সত্যযুগে কখনোই কেউ ধর্মের সন্তান করে না। সেখানে তো কেবল সুখই সুখ। দুঃখের নামটুকুও নেই। বাবা বলেন – আমি এসেছি ২১ প্রজন্মের জন্য তোমাদেরকে গহন সুখ দিতে।

এখন তোমরা জানো বেহদের বাবার কাছ থেকে আমরা স্বর্গের অগাধ সুখ পাচ্ছি। এই দুঃখের সব বন্ধন সমাপ্ত হয়ে যাবে । সত্যযুগে হল সুখের সম্বন্ধ । কলিযুগে হল দুঃখের বন্ধন। বাবা সুখের সম্বন্ধে নিয়ে যান। তাঁকে বলাই হয় – দুঃখ হর্তা সুখ কর্তা। বাবা এসে বাচ্চাদের সেবা করেন। বাবা বলেন – আমি হলাম ওবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট। তোমরা আমাকে অর্ধ কল্প ধরে স্মরণ করেছো, হে বাবা এসে আমাদেরকে গভীর সুখ দাও। এখন আমি দিতে এসেছি, তখন শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে তোমাদের। এই মৃত্যু লোকের সব কিছুর বিনাশ হয়ে যাবে । অমর লোক স্থাপন হতে চলেছে। অমরপুরীতে যাওয়ার জন্য তোমরা অমরনাথ বাবার কাছ থেকে অমরকথা শুনছো। সেখানে তো কেউ মরে না। তারা কেউ বলবে না যে অমুকে মারা গেছে। আত্মা বলে আমি এই জরাজীর্ণ শরীরকে ত্যাগ করে নতুন নিচ্ছি। সেটা তো ভালোই, তাই না ? সেখানে কোনো অসুখ বিসুখ হয় না। মৃত্যুলোকের নাম নেই। আমি এসেছি তোমাদেরকে অমরপুরীর মালিক বানাতে। সেখানে তোমরা যখন রাজত্ব করবে, তখন মৃত্যু লোকের কোনো কিছুই মনে পড়বে না। নীচে নামতে নামতে আমরা কী হবো, সেটাও মনে থাকে না। নইলে তো সুখই উধাও হয়ে যাবে। এখানে তো তোমাদের সমগ্র চক্র বুদ্ধিতে থাকে। অবশ্যই স্বর্গ ছিল, এখন হল নরক, তবেই তো বাবাকে আহ্বান করে। তোমরা আত্মারা হলাম শান্তিধামের বাসিন্দা। এখানে এসে তোমরা পার্ট প্লে করে থাকো। এখান থেকে তোমরা সংস্কার নিয়ে যাবে পরমধাম গৃহে। তারপর সেখান থেকে এসে নতুন শরীর ধারণ করে রাজত্ব করবে। এখন তোমাদেরকে নিরাকারী, আকারী আর সাকারী দুনিয়ার সমাচার শোনাচ্ছি। সত্যযুগে কি এ’সব জানতে পারবে নাকি ? সেখানে তো কেবল রাজত্ব করবে। ড্রামাকে এখন তোমরা জানো। তোমাদের আত্মা জানে যে, সত্যযুগের জন্য আমরা পুরুষার্থ করছি। স্বর্গে যাওয়ার উপযুক্ত অবশ্যই তৈরী হবো। নিজেরও কল্যাণ আর অন্যদেরও কল্যাণ করবো। তারপর তাদের আশীর্বাদই তোমাদের মাথায় বর্ষিত হতে থাকবে । তোমাদের প্ল্যান দেখো কেমন ! এই সময় সকলের নিজের নিজের প্ল্যান রয়েছে। বাবারও প্ল্যান রয়েছে। তারা তো ড্যাম ইত্যাদি বানায়, বিদ্যুতের পিছনেও কোটি কোটি টাকা খরচ করে। বাবা বোঝান এ সব হল আসুরিক প্ল্যান। আমাদের হল ঈশ্বরীয় প্ল্যান। এখন কাদের প্ল্যান জিতবে ? তারা তো নিজেদের মধ্যেই লড়াই করতে লেগে পড়বে। সবার প্ল্যান মাটিতে মিশে যাবে। তারা তো কোনো স্বর্গ স্থাপন করে না। তারা যা কিছু করে দুঃখের জন্য। বাবার তো প্ল্যান হল স্বর্গ রচনা করবার। নরকবাসী মানুষ নরকে থাকার জন্যই প্ল্যান বানায়। বাবার প্ল্যান স্বর্গ রচনা করবার জন্য চলছে। তাহলে তোমাদের কতখানি খুশী হওয়ার কথা ! গায়ও তোমার কৃপায় অগাধ সুখ। সেটা তো পুরুষার্থ করে নিতে হবে, তাই না ! বাবা বলেন যতখানি চাও নিয়ে নাও। বিশ্বের মালিক রাজা-রানী হতে চাইলে হও অথবা দাস-দাসী হতে চাইলে হও। যতখানি পুরুষার্থ করবে। বাবা কেবল বলেন এক তো পবিত্র হও আর প্রত্যেককে বাবার পরিচয় দিতে থাকো। অল্ফ’কে স্মরণ করো তাহলে বে বাদশাহী তোমার। বাবাকে স্মরণ করলেই মায়া ভীষণ বিঘ্ন সৃষ্টি করে। বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে দেয়। বাবা বলেন, যতো আমাকে স্মরণ করবে ততই পাপ ভস্ম হবে আর উচ্চ পদও প্রাপ্ত করতে পারবে। সেইজন্য ভারতের প্রাচীন রাজযোগ প্রসিদ্ধ। বাবাকে লিবারেটরও বলা হয় । ২১ জন্মের জন্য বাবা তোমাদেরকে দুঃখের থেকে লিবারেট করেন। ভারতবাসী সুখধামে থাকবে, বাকি সবাই শান্তিধামে থাকবে। নিরাকারী দুনিয়া আর সাকারী দুনিয়ার প্ল্যান দেখানোর সাথে সাথেই বুঝে যাবে, অন্য ধর্মের যারা তারা স্বর্গে আসতে পারবে না। স্বর্গে তো হলই দেবী-দেবতারা। এই ড্রামার নলেজ বাবা ছাড়া আর কেউই দিতে পারে না। বাচ্চারা আসেই বাবার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে। গহন সুখ তো সত্যযুগেই রয়েছে । পরে তো রাবণ রাজ্য হয়ে যায় । তাতে হয় গহন দুঃখ। এখন তোমরা বুঝতে পারো যে, বাবা আমাদেরকে সত্যিকারের কথা শুনিয়ে অমরলোক যাওয়ার যোগ্য বানান। এখন তোমরা এমন কর্ম করো তবেই তো ২১ জন্মের জন্য ধনবান হয়ে যাও। বলাও হয় ধনবান ভব, পুত্রবান ভব… সেখানে একটি পুত্র সন্তান, একটি কন্যা সন্তান অবশ্যই হবে। আয়ুষ্মান ভব, তোমাদের আয়ুও ১৫০ বছর হবে। অকালে মৃত্যু কখনোই হয় না। এ’কথা বাবা’ই বোঝান। তোমরা অর্ধ কল্প আমাকে ডেকে এসেছো। সন্ন্যাসীরা এই রকম বলবে নাকি। তারা কীকরে জানবে ? বাবা বসে কতো ভালবাসার সাথে বোঝান। বাচ্চারা, এই এক জন্ম যদি পবিত্র হবে তবে ২১ জন্ম পবিত্র দুনিয়ার মালিক হবে। পবিত্রতাতেই সুখ রয়েছে । তোমরা পবিত্র দৈবী ধর্মের ছিলে। এখন অপবিত্র হয়ে দুঃখের মধ্যে পড়েছো। স্বর্গে নির্বিকারী ছিল, এখন বিকারী হওয়ায় নরকে দুঃখী হয়ে গেছে । বাবা তো পুরুষার্থ করাবেন, তাই না ! স্বর্গে মহারাজা মহারানী হও। তোমাদের বাবা মাম্মাও তো হচ্ছেন, তাই না ? তাহলে তোমরাও পুরুষার্থ করো। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বাবা তো কাউকেই পায়ে পড়তে দেন না।

বাবা বোঝান আমি তোমাদেরকে সোনা হীরের মহল দিয়েছিলেন। স্বর্গের মালিক বানিয়েছিলাম। তারপর অর্ধ কল্প ভক্তি মার্গে মাথা ঠুকে গেছো, টাকা পয়সাও দিয়ে এসেছো। সেইসব সোনা হীরের মহল কোথায় গেল ? তোমরা স্বর্গ থেকে নামতে নামতে নরকে এসে পড়েছো। এখন তোমাদেরকে এরপর আবার স্বর্গে নিয়ে যাই। তোমাদেরকে কোনো কষ্ট দিই না। কেবল আমাকে স্মরণ করো আর পবিত্র হও। টাকা পয়সা দিতে না পারলেও ক্ষতি নেই। খাও – দাও, পড়াশোনা করো, রিফ্রেশ হয়ে এখান থেকে যাও। বাবা তো কেবল পড়ান। পড়াশোনার পয়সা বাবা নেন না। বাচ্চারা বলে বাবা আমরা তো দেবোই, নইলে ওখানে আমরা মহল ইত্যাদি পাবো কীকরে ? ভক্তি মার্গেও তোমরা ঈশ্বরার্থে গরীবদেরকে দান করতে, ফলও ঈশ্বরই দেবেন। গরীবরা তো দেবে না। কিন্তু সেটা প্রাপ্ত হয় এক জন্মের জন্য। এখন তো বাবা তুমি ডাইরেক্ট এসেছো। আমরা এই সামান্য অর্থকড়ি দিচ্ছি, তুমি আমাদেরকে ২১ জন্মের জন্য স্বর্গে দিও। বাবা সবাইকে সমৃদ্ধশালী বানিয়ে দেন। তোমরা টাকা পয়সা দিলে তোমাদের থাকার জন্যই বাড়িঘর বানাই। নাহলে এ’সব কীভাবে তৈরী হবে ? বাচ্চারাই তো এই সব বাড়ি ঘর বানাচ্ছে, তাই না ! শিববাবা বলেন আমি তো এতে থাকব না। শিববাবা তো হলেন নিরাকার দাতা। তোমরা দিয়ে থাকো, তোমাদেরকে ২১ জন্মের ফল দিয়ে থাকি। আমি তো তোমাদের স্বর্গে আসব না। আমাকে নরকে আসতে হয়, তোমাদেরকে নরক থেকে বের করবার জন্য। তোমাদের গুরুরা তো আরও চোরাবালিতে ছেড়ে দেয়। তারা কোনো সদ্গতি প্রদান করেন না। এখন বাবা এসেছেন পবিত্র দুনিয়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য, তখন আর এই বাবাকে স্মরণ করে না। বাবা বলেন – কোনো টাকা পয়সাও দিও না, কেবল আমাকে স্মরণ করো, তাহলে পাপ নাশ হবে আর আমার কাছে চলে আসবে। এই বাড়িঘর সব বাচ্চারা তোমাদের জন্যই বানানো হয়েছে। এখানে এক মুষ্ঠি খুদের গায়ন আছে না ? গরীবরা তাদের সাহস অনুসারে যতটুকু দেয়, ততটা তাদেরও প্রাপ্তি হয়। যতখানি বড়লোকের পদ ততখানিই গরীবের। উভয়েরই এক হয়ে যায় । গরিবের কাছে আছেই ১০০ টাকা, তার থেকে ১ টাকা দেওয়া আর বড়লোকের অনেক আছে তার থেকে ১০০ টাকা দেওয়া, দুয়েরই ফল এক হবে। সেইজন্য বাবাকে দীননাথ বলা হয়। সবথেকে গরীব হল ভারত। তাদেরকেই আমি এসে সমৃদ্ধশালী বানাই। গরীবকেই তো দান করা হয়, তাই না ? কতখানি ক্লিয়ার করে বাবা বোঝান। বাচ্চারা এখন মৃত্যু সম্মুখে উপস্থিত। এখন তাড়াতাড়ি করো। স্মরণকে তীব্র করো। মোস্ট সুইট বাবাকে যত স্মরণ করবে ততই বর্সা প্রাপ্ত হবে। তোমরা অনেক ধনবান হবে। বাবা তোমাদেরকে এমন বলেন না যে, মাথা নত করে প্রণাম করো, মেলা বা আখড়ায় যাও, না। ঘরে বসেই বাবা আর বর্সাকে স্মরণ করো, ব্যস্। বাবা হলেন বিন্দু। তাঁকে পরমপিতা পরমাত্মা বলা হয়। সুপ্রীম সোল হলেন সকলের থেকে উচ্চ থেকেও উচ্চ। বাবা বলেন আমিও হলাম বিন্দু, তোমরাও হলে বিন্দু কেবল ভক্তি মার্গের জন্য আমার বড় রূপ বানিয়ে রেখেছে। নাহলে পূজা কীভাবে করবে ? তাঁকে বলাও হয় শিব বাবা। কারা বলেছে ? এখন তোমরা বলো যে, শিব বাবা আমাদেরকে বর্সা দিচ্ছেন । আশ্চর্যের বিষয় না ! ৮৪ র চক্র আবর্তিত হতে থাকে। অনেকবার তোমরা বর্সা নিয়েছিলে আর নিতেও থাকবে। কতো সুন্দর ভাবে বাবা বসে বোঝাচ্ছেন। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) মৃত্যু সামনে উপস্থিত, সেইজন্য এখন স্মরণকে তীব্র করো। সত্যযুগী দুনিয়াতে উচ্চ পদ পাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে ।

২ ) নিজের আর অন্যদের কল্যাণ করে আশীর্বাদ নিতে হবে। পবিত্র দুনিয়াতে যাওয়ার জন্য পবিত্র অবশ্যই হতে হবে।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা সম্পূর্ণ মরজীবা হয়ে গেছে তাদের কর্মেন্দ্রিয়ের আকর্ষণই থাকতে পারে না। মরজীবা হয়েছো অর্থাৎ সব তরফ থেকে মরে গেছো, পুরানো আয়ু সমাপ্ত হয়েছে । যখন নতুন জন্ম হয়েছে, তো নতুন জন্ম, নতুন জীবনে কর্মেন্দ্রিয়ের বশ কীকরে হতে পারবে। ব্রহ্মাকুমার-কুমারী নব জীবনে কর্মেন্দ্রিয়ের বশ হওয়া কী জিনিস – এই নলেজেরও তারা ঊর্ধ্বে। শূদ্র ভাবের এতটুকুও শ্বাস অর্থাৎ সংস্কার যেন কোথাও আটকে না থাকে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top