09 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
8 November 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - মিষ্টি বাবা আর মিষ্টি রাজধানীকে স্মরণ করো তাহলে খুব খুব মিষ্টি হয়ে যাবে"
প্রশ্নঃ --
বাচ্চারা, তোমরা কোন্ পুরুষার্থ করে মনুষ্য থেকে দেবতা হও ?
উত্তরঃ -:-
তোমরা এখন জ্ঞান মানস সরোবরে ডুব দিয়ে জ্ঞান পরী হও, জ্ঞান স্নানে তোমাদের চরিত্রের পরিবর্তন হয়ে যায় । তোমাদের যে অপগুণ থাকে তা দূর হয়ে যায় । বাবা আর বিষ্ণুপুরীকে স্মরণ করে তোমরা পবিত্র দেবতা হয়ে যাও । দেবতাদের মধ্যে পবিত্রতারই আকর্ষণ থাকে । এই কারণেই মানুষ দূর দূর থেকে দেবতাদের মন্দিরে আকৃষ্ট হয়ে আসে ।
গান:-
আমাদের তীর্থ হলো অনুপম..
ওম্ শান্তি । মিষ্টি – মিষ্টি আত্মারূপী সন্তানরা গীত শুনেছে । বাচ্চারাই ভাগ্যবান নক্ষত্র, এমন গায়ন হয় । জ্ঞান সূর্য, জ্ঞান চন্দ্রমা, জ্ঞান ভাগ্যবান নক্ষত্র । ওই সূর্য, চন্দ্রমা তো মণ্ডপকে আলোকিত করে, তাই তোমাদেরই মহিমা করা হয় । তোমরাই হলে জ্ঞান নক্ষত্র, ওদের জ্ঞান নক্ষত্র বলা যায় না । জ্ঞান সূর্য নাম শুনে মনে করে, সম্ভবত ওই সূর্য হল জ্ঞান স্বরূপ, কেননা মানুষ মনে করে যে, নুড়ি – পাথরের মধ্যেও ভগবান আছে, তাই সূর্যকে অনেক মান্যতা দেয় । নিজেকে সূর্যবংশীও বলে থাকে । মানুষ সূর্যের পূজা করে, সূর্যের পতাকাও রেখে থাকে । তোমাদের হলো ত্রিমূর্তির ঝান্ডা । এ কতো আশ্চর্যের । এতে লেখাও আছে, সত্যমেব জয়তে । সত্যিকারের এই বিশ্বে বিজয় তো তোমরাই প্রাপ্ত করাও । তোমরা হলে শিবশক্তি পাণ্ডব সেনা । ওরা নাম রেখে দিয়েছে — ত্রিমূর্তি মার্গ, ত্রিমূর্তি হাউস । এর অর্থও বাবাই বুঝিয়ে বলেন যে, এই ত্রিমূর্তির দ্বারা আমি কি কর্তব্য করাই । ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা… । ওরা ত্রিমূর্তি থেকে শিবকে বাদ দিয়ে চিত্রের অর্থকে খণ্ডিত করে দিয়েছে । তোমরা এখন জানো যে, এই ত্রিমূর্তির চিত্রে কতো রহস্য আছে । সত্য শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা রাজত্ব প্রদান করেন । আমরা বাচ্চারা পূর্ব কল্পের মতো শিববাবার থেকে পবিত্রতা, সুখ – শান্তি আর সম্পত্তির রাজ্য গ্রহণ করছি । পড়া সবসময় ব্রহ্মচর্য অবস্থায় পড়তে হয় । এখন তো কেউ কেউ বিয়ের পরও কোর্স করে, কেননা আমদানি বেশী হয়ে যায় । তোমাদের এখানে অগুন্তি আমদানি । বাচ্চারা জানে যে, শিববাবা আমাদের বিশ্বের মালিক বানাতে এসেছেন । শ্রীমৎ হলো শ্রেষ্ঠ, এমন গায়ন আছে । বাবার বাচ্চা হলে অবশ্যই বাবার মতে চলবে । ভাই – ভাইয়ের মতে নয় । সে তো অনেক জন্ম চলেছো, তাতে কোনো লাভই হয়নি । এখন বাবার মতে চলতে হবে । সাধু – সন্ত ইত্যাদি সবাই হল ভাই – ভাই । বাবা এখন এসেছেন উচ্চ মত প্রদান করতে । নেচার – কিওরেরও অনেকে ওষুধ খায় । সে সব হলো অল্পকালের জন্য । এ হলো ২১ জন্মের নেচার – কিওর । ওরা বলবে ঠান্ডা জলে স্নান করো । এই করো – ওই করো, খাওয়াদাওয়ার সাবধানতা অবলম্বন করো । এখানে সেইসব খাওয়াদাওয়ার কথা নেই । এখানে তো মিষ্টি বাবা বাচ্চাদের বলেন, তোমরা এখন আমাকে স্মরণ করো, তাহলে খুব মিষ্টি হয়ে যাবে । দেবতারা তো খুব মিষ্টি, তাই না, তাঁদের মধ্যে কতো আকর্ষণ থাকে । আগে উঁচু পাহাড়ের উপর শিবের মন্দির তৈরী করা হতো । মানুষ পায়ে হেঁটে দর্শন করতে যেতো, কেননা পবিত্রতার আকর্ষণ থাকতো । দেবতারা যখন পবিত্র ছিলো তখন এই বিশ্বে রাজত্ব করতো । এখন মানুষ তাঁদের চিত্রের সামনে গিয়ে বন্দনা করে, নমন করে । সেই মিষ্টি বাবাকে তো সবাই স্মরণ করে । তাঁকে এখানেই আসতে হয় । তাঁর কাছে অবশ্যই বৈকুন্ঠের গহন সুখ পাওয়া যায়, তাই তো সবাই তাঁকে স্মরণ করে । এখন এই রাবণ রাজ্যের অন্ত হবে, তাই তো বাবা এসে স্বর্গের রাজত্ব প্রদান করবেন । বাবা এই ভারতেই আসেন । শিব জয়ন্তীও এই ভারতেই পালন করা হয়, কিন্তু তাঁর থেকে কি পাওয়া যায়, তা কেউ জানে না । বাবা বলেন – বাচ্চারা, আমি তোমাদের মিষ্টি বানাতেই এসেছি । তোমরা কতো ছিঃ ছিঃ হয়ে গিয়েছিলে । বাবা হলেন নলেজফুল, তোমরা এখন সব নলেজ পাচ্ছো । বীজের মধ্যেই তো সব নলেজ থাকবে, তাই না । তিনি হলেন বীজ, সত্য, চৈতন্য, আবার জ্ঞানের সাগর, তিনি সত্য বলেন । তিনিও আত্মা কিন্তু পরম । পরম আত্মার অর্থ পরমাত্মা । তিনি সদা পরমধামে থাকেন, উঁচুর থেকেও উঁচু । অনেকেই তাঁকে বলেন তিনি নাম রূপ থেকে পৃথক, কিন্তু নাম রূপ থেকে পৃথক কোনো বস্তুই হয় না । তাঁর নাম হলো শিব । সবাই তাঁর পূজা করে । তিনি নিরাকার । তিনি এখন এসেছেন । আগে আমরা দেহ – অভিমানী ছিলাম । বাবা এখন বলেন – বাচ্চারা, আত্ম – অভিমানী ভব । গীতাতেও আছে – মন্মনাভব । ওখানে কেবল শিবের বদলে কৃষ্ণের নাম দেওয়াতে খণ্ডিত হয়ে গেছে । তবুও বই পড়লে তো আর রাজ্য পাওয়া যাবে না । রাজত্ব থাকে সত্যযুগে । বাবা অবশ্যই সঙ্গম যুগে আসবেন । এখন ড্রামা অনুসারে ভক্তি সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে । ভক্তির পরে আসে জ্ঞান । এ হলো পুরানো দুনিয়া, সত্যযুগ হলো নতুন দুনিয়া । সত্যযুগে সূর্যবংশীরা রাজত্ব করতো । এ হলো রাজযোগ নর থেকে নারায়ণ আর নারী থেকে লক্ষ্মী হওয়ার । সত্যযুগে এনাদের রাজ্য ছিলো । এখন কলিযুগে দেখো কি অবস্থা । তোমরা এখন সত্যযুগে যাওয়ার জন্য আবার পড়াশোনা করছো । ভক্তিমার্গের যে সব বেদ – শাস্ত্র ইত্যাদি আছে তাকে ছাড়তে হয় । জ্ঞান প্রাপ্ত হলে আর ভক্তির দরকার থাকে না । জ্ঞানের দ্বারাই আমরা বিশ্বের মালিক হই ।
বাবা এসেছেন ভক্তির ফল প্রদান করতে । আমাদের এখন অবশ্যই পতিত থেকে পবিত্র হতে হবে, কেননা পতিত তো ফিরে যেতে পারবে না । মুক্তিধামেও সব পবিত্র আত্মারা থাকে । সুখধামেও সব পবিত্র আত্মারা থাকে । এখন কলিযুগে সবাই পতিত । এখন এদের কে পবিত্র করবে ? পতিত – পাবন হলেন একমাত্র বাবা । বাবা এখন বলছেন – আমি এনার অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে আসি । এই দাদা সবথেকে বেশী এক নম্বর ভক্ত ছিলেন । তারপর একে ব্রহ্মার আত্মা বা লক্ষ্মী – নারায়ণের আত্মা, যাই বলো না কেন । এ হলো বোঝার মতো অতি গুহ্য কথা । বিষ্ণুর নাভি থেকে ব্রহ্মা আর ব্রহ্মার নাভি থেকে বিষ্ণু বের হয়েছে… বিষ্ণু ৮৪ জন্মের পরে ব্রহ্মা হন । এই কথা কোনো শাস্ত্রে নেই । বাবাও গীতা পাঠী ছিলেন । যখন জ্ঞান পেলেন, তখন বুঝতে পারলেন যে, বাবা তো বিশ্বের বাদশাহী দেন । তাঁর বিষ্ণুর সাক্ষাৎকারও হয়েছিলো, তখন গীতা ইত্যাদি পাঠ সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো । বাবা প্রবিষ্ট হয়েছিলেন যে । এরপর কখনোই আর গীতাতে হাত দেননি । এক বাবাকেই স্মরণ করতে লেগেছিলেন। ইনি বলেন, আমিও ওই বাবার থেকে শুনতে শুরু করেছিলাম । শিব বাবা বলেন – আমি যখন বাচ্চাদের শোনাতাম তখন ইনিও শুনতেন । আমি এনার তনে প্রবেশ করেছি, তাই এনার নাম রেখেছি অর্জুন । শাস্ত্রে ঘোড়ার রথ দেখানো হয় । কতো তফাৎ । ঘোড়ার গাড়িতে একজনকে বসে জ্ঞান দিয়েছিলেন কি ? তোমরা এখন বুঝতে পারো, এ কিভাবে হতে পারে ? তোমরা প্রত্যক্ষভাবে দেখছো – বাবা কিভাবে পড়ান । এখানে কতো সেন্টার । তাই পড়ানোর জন্য অবশ্যই পাঠশালার প্রয়োজন, নাকি যুদ্ধের ময়দান ? বাবা রাজযোগ শেখান । সত্যযুগে কোনো শাস্ত্র থাকে না । আমি এখন জ্ঞান শোনাচ্ছি, ব্যস, সত্যযুগে আর কোনো দরকারই নেই । পুরানো দুনিয়ার যা কিছুই আছে, সব ভস্ম হয়ে যাবে । এ হলো রাজস্ব অশ্বমেধ যজ্ঞ । অশ্ব এই রথকে বলা হয়, একেও স্বাহা করতে হবে । আত্মা বাবার হয়ে গেলে এই পুরানো শরীরও শেষ হয়ে যাবে । কৃষ্ণপুরীতে তো এই ছি – ছি শরীর নিয়ে যাবেই না । আত্মা হলো অমর । হোলিতে দেখানো হয় — মিষ্টি চাপাটি (কোকি) জ্বলে যায় কিন্তু তার সুতোটি জ্বলে না । বাবা তো অসীম জগতের কথা বুঝিয়ে বলেন – এতকাল যা যা শুনেছো, সব ভুলে যাও । ভারত এখন মিথ্যা খণ্ড হয়ে গেছে, আগে সত্য খণ্ড ছিলো । সত্য খণ্ড বাবা বানিয়েছিলেন, তারপর রাবণ মিথ্যা খণ্ড বানিয়েছিলো । এই রাবণ হলো সকলের পুরানো শত্রু । ব্যস, কেউ যা কিছু বলল, তাতেই চলতে থাকে । দিলওয়াড়া মন্দিরে যেমন আদিদেবের নাম মহাবীর রেখে দিয়েছে । মহাবীর হনুমানকে বলা হয় । এখন কোথায় সে, আর কোথায় এ । এই মন্দিরে হুবহু তোমাদের স্মরণ আছে । উপরে স্বর্গ আর নীচে তপস্যা । আদিনাথের মূর্তি গোল্ডেন বানানো হয়েছে । বলা হয় না — ভারত সোনার পাখি ছিলো ! ভারতের মতো সোনা আর কোথাও ছিলো না । সোনার মহল প্রাসাদ তৈরী ছিলো । ছাদে, দেওয়ালে হীরে – জহরত লাগানো ছিলো । মন্দিরে কতো হীরে – জহরত ছিলো যা লুণ্ঠন করা হয়েছিলো । সেসব মসজিদে গিয়ে লাগানো হয়েছিলো । তাহলে সেইসময় এর কি মূল্য থাকতো । অগাধ ধন ছিলো, তাই তো লুঠ করে নিয়ে গিয়েছিলো । এ সবাই জানে যে, প্রাচীন ভারত খুব বিত্তবান ছিলো । এখন কতো গরীব হয়ে গেছে । গরীবের উপর দয়া আসে । রাবণ কতো দেউলিয়া করে দিয়েছে । বাবা আবার সক্ষম করেন । এ হলো অসীম জগতের নাটক, যার আদি – মধ্য – অন্ত কেউই জানে না । বাবা হলেন নলেজফুল । এমন নয় যে, আমি সবার ভিতরে বসে দেখি । এ সবই ড্রামাতে নিহিত আছে । যে পাপ করে, সে সাজা তো পায়ই । আমাকে তো বলাই হয় নলেজফুল, পতিত – পাবন । মানুষ ডাকতে থাকে – হে বাবা এসো, এসে আমাদের জ্ঞান দান করো । পবিত্র বানাও । তাই আমি এসে এই কার্য করি । বাকি শাস্ত্রের যে সব কথা আছে, বাবা বলেন – সেসব ভুলে যাও, আর আমি যা শোনাচ্ছি, তা শোনো । তোমরা এখন বাবার কাছে রাজযোগ শিখছো । এরপর তোমরা সূর্যবংশী হবে । তারপর চন্দ্রবংশী, বৈশ্যবংশী এবং শূদ্রবংশী হবে । এই জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে আছে । সত্যযুগে সবই ভুলে যাবে । ওখানে বাবাকে কেউ স্মরণই করে না । উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়ে গেলে তখন স্মরণ কিসের জন্য করবে । তোমাদের কতো ভালোভাবে বোঝানো হয় । এই কথা কোনো শাস্ত্রতেই নেই । বৃহস্পতি হলেন বাবা । তিনি বলেন – আমাকে স্মরণ করো । সৃষ্টিকর্তা একজন হবেন, নাকি নুড়ি – পাথরের মধ্যে থাকবেন ?
বাবা বলেন যে, রাবণ তোমাদের বুদ্ধি কতো খারাপ করে দিয়েছে । বড় – বড় বিদ্বানদের কতো অহংকার । বাবাকে জানেই না । না তারা রচনার আদি – মধ্য – অন্তকে জানে । বাবা বলেন – আমি তোমাদের রাজত্ব দিয়ে দিয়েছি । তোমরা সব ধন – দৌলত শেষ করে দিয়েছো, এখন তোমরা ভিক্ষা চাইছো, তাই তোমাদের আসুরিক সম্প্রদায় বলা হয়েছে । দেবতাদের কতো মহিমা করা হয়েছে । আবার বলেও — আমাদের মতো নির্গুণের কোনো গুণ নেই । বাচ্চারা, এখন তোমাদের গুণ ধারণ করতে হবে তাই অপগূণ দূর করো । রাবণ তোমাদের বানরের সদৃশ্য করে দিয়েছে । বাবা এখন তোমাদের দেবতা বানান । যাদের মধ্যে পাঁচ বিকার আছে, তাদের বানর বলা হয় । (নারদের উদাহরণ ) তোমাদের এখন চরিত্রের পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, এরপর তোমরা দেবতা হয়ে যাবে । এই জ্ঞান সাগরে ডুব দিয়ে আমরা জ্ঞান পরী হয়ে যাই । ওরা আবার জলকে মানস সরোবর মনে করে নিয়েছে । এ হলো জ্ঞান স্নানের কথা । এ তো বাচ্চারা জানেই যে, বাবা হুবহু পাঁচ হাজার বছর পূর্বের মতো আমাদের আবার বোঝাচ্ছেন, এতে কোনো সংশয় উৎপন্ন হতে পারে না । তোমরা পতিত পাবন বাবাকে আর বিষ্ণুপুরীকে স্মরণ করো, তাহলে পবিত্র হয়ে যাবে । মনুষ্য মুক্তির জন্য কতো মাথা ঠুকতে থাকে, কিন্তু ঘর কোথায় তা কেউই জানে না । কেউ মনে করে আত্মা লীন হয়ে যাবে । কেউ আবার মনে করে, আত্মা দ্বিতীয় কোনো শরীর ধারণ করে না । এখানে অনেক মত আছে, বাবাকে কেউ জানেই না । সম্পূর্ণ দুনিয়া মনে করে – কৃষ্ণ ভগবান উবাচঃ । বাবা এখানে বলেন – শিব ভগবান উবাচঃ । এ কতো রাত – দিনের তফাৎ । নামই একদম পরিবর্তন করে দিয়েছে । আচ্ছা ।
মিষ্টি – মিষ্টি বাচ্চারা ? বাপদাদা দুজনেই বলেন । দুজনেরই তো বাচ্চা, তাই না । ইনিও স্টুডেন্ট, তোমরাও স্টুডেন্ট । ইনিও পড়ছেন । যারা ভারতকে পবিত্র বানানোর সেবা করছে, তারাই বাবার বাচ্চা হবে । যারা পবিত্র হয় না, বাবা তাদের দেখেও দেখেন না । মনে করেন, সাজা ভোগ করে আবার এসে (সত্যযুগে) বাবুর্চি হবে । যারা পবিত্র হতে পারে, তারাই বিশ্বের মালিক হবে । আচ্ছা ।
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা – বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) মিষ্টি হওয়ার জন্য মিষ্টি বাবাকে খুব ভালোবেসে স্মরণ করতে হবে । সত্য বাবার প্রতি স্বচ্ছ থাকতে হবে । এক বাবার শ্রেষ্ঠ মতে চলতে হবে ।
২ ) পুরুষার্থ করে সম্পূর্ণ হতে হবে ভারতকে পবিত্র বানানোর সেবা করতে হবে কোনো বিষয়েই যেন সংশয় উৎপন্ন না হয় ।
বরদানঃ-
যে বিষয়ই দেখো বা শোনো, তার সারকে বোঝো, আর যে বাণীই বলো বা যে কর্মই করো তা যদি সারে পরিপূর্ণ থাকে তাহলে পুরুষার্থ সরল হয়ে যাবে । এমন সরল পুরুষার্থী সব বিষয়েই অলরাউন্ড হয় । তার কোনো দুর্বলতা দেখাই যায় না । কোনো বিষয়ে সাহসের অভাব হয় না, মুখ থেকে এমন শব্দ কখনোই বের হয় না যে, আমরা এ করতে পারবো না । এমন সরল পুরুষার্থী নিজে যেমন সরল চিত্ত থাকে, অন্যকেও সরল চিত্ত বানিয়ে দেয় ।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!