09 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

8 January 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"ত্রিদেব রচয়িতা দ্বারা বরদান প্রাপ্তি"

আজ ত্রিদেব রচয়িতা তাঁর আপন সাকার রূপের এবং আকারি বাচ্চাদের দেখছেন। উভয় রচনা অতি প্রিয়, সেইজন্য রচয়িতা রচনাকে দেখে উৎফুল্ল হন। রচনা সদা খুশির এই গীত গায়, “বাঃ রচয়িতা” আর রচয়িতা সদা এই গীত গেয়ে থাকেন – “বাহঃ আমার রচনা।” রচনা প্রিয়, যে প্রিয় হয় তাকে সবকিছু দিয়ে সম্পন্ন বানান। সুতরাং বাবা প্রত্যেক শ্রেষ্ঠ রচনাকে বিশেষ তিন সম্বন্ধে কতো সম্পন্ন বানিয়েছেন ! বাবার সম্বন্ধ দ্বারা দাতা হয়ে জ্ঞান ভাণ্ডারে সম্পন্ন বানিয়েছেন, শিক্ষক রূপে ভাগ্যবিধাতা হয়ে অনেক জন্মের জন্য ভাগ্যবান বানিয়েছেন, সদ্গুরু রূপে বরদাতা হয়ে বরদানে ঝুলি ভরে দেন। এ’ হ’ল অবিনাশী স্নেহ ও ভালোবাসা। ভালোবাসার বিশেষত্ব এটাই – যার প্রতি ভালোবাসা হয় তার ত্রুটিবিচ্যুতি ভালো লাগবে না,

ত্রুটিকে নৈপুণ্যে পরিবর্তন করবে। বাবার সদা শুভ সঙ্কল্প থাকে বাচ্চাদের ভুল-ত্রুটি সর্বদা নৈপুণ্যে পরিবর্তন করার। ভালোবাসার কারণে বাচ্চাদের পরিশ্রম বাবা দেখতে পারেন না। কোনো পরিশ্রম যদি আবশ্যক হয় তাহলে কর, কিন্তু ব্রাহ্মণ জীবনে পরিশ্রম করার আবশ্যকতাই নেই, কেননা, দাতা, বিধাতা আর বরদাতা – তিন সম্বন্ধের দ্বারা তোমরা এতটা সম্পন্ন হয়ে যাও যাতে বিনা পরিশ্রমে অধ্যাত্ম সুখানুভবে থাকতে পার। অবিনাশী উত্তরাধিকারও আছে, পঠন-পাঠনও আছে আর বরদানও আছে। যার তিন রূপে প্রাপ্তি হয়, সে’রকম সর্বপ্রাপ্তির আত্মাকে পরিশ্রম করার কী প্রয়োজন ! কখনো অবিনাশী উত্তরাধিকারের রূপে বা বাবাকে দাতারূপে যদি স্মরণ কর তাহলে অধ্যাত্ম অধিকারী বোধের নেশা থাকবে। শিক্ষকের রূপে যদি স্মরণ কর তো গডলি স্টুডেন্ট অর্থাৎ ভগবানের স্টুডেন্ট হওয়ার ভাগ্যের নেশা থাকবে। সদগুরু প্রতি কদমে বরদান দ্বারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তোমাদের প্রতিটা কর্মের জন্য শ্রেষ্ঠ মত প্রদান – বরদাতার বরদান। যে প্রতি কদম শ্রেষ্ঠ মতে চলে তার প্রতি কদমে কর্মের সফলতার বরদান সহজে আপনা থেকেই অবশ্যই প্রাপ্ত হয়। সদগুরুর মত শ্রেষ্ঠ গতিকে প্রাপ্ত করায়। গতি-সদগতি প্রাপ্ত করায়। শ্রেষ্ঠ মত আর শ্রেষ্ঠ গতি। নিজের সুইট হোম অর্থাৎ গতি, আর সুইট রাজত্ব অর্থাৎ সদ্গতি, এতো তোমরা প্রাপ্ত করেই থাক। কিন্তু ব্রাহ্মণ আত্মাদের আরও বিশেষ গতি প্রাপ্ত হয়, তা’ হ’ল এই সময়ে শ্রেষ্ঠ মতের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ কর্মের প্রত্যক্ষফল অর্থাৎ সফলতা। এই শ্রেষ্ঠ গতি শুধু সঙ্গমযুগেই তোমরা সব ব্রাহ্মণের প্রাপ্ত হয়, সেইজন্য বলা হয় যেমন মতি, তেমন গতি। লোকে তো মনে করে মৃত্যুর পর গতি প্রাপ্ত হবে, সেইজন্য তারা বলে, যথা অন্ত মতি তথা গতি। কিন্তু তোমরা সব ব্রাহ্মণ আত্মার জন্য এই অন্তিম মরজীবা জন্মে প্রতিটা কর্মের সফলতার ফল অর্থাৎ গতি প্রাপ্ত হওয়ার বরদান লাভ করেছ তোমরা। বর্তমান আর ভবিষ্যৎ – সদা গতি-সদ্গতি অবশ্যই হয়। ভবিষ্যতের প্রতীক্ষায় থাক না। এটাই সঙ্গমযুগের প্রাপ্তির মহত্ত্ব। এখনই কর্ম কর আর এখনই প্রাপ্তির অধিকার নাও। একেই বলে, এক হাতে দাও, এক হাতে নাও। কোনো এক সময় প্রাপ্ত হবে বা ভবিষ্যতে প্রাপ্ত হবে, এই আশ্বাসে তোমাদের সওদা হয় না, বরং হয় এই ধারণায় তাৎক্ষণিক দান মহাপুণ্য, এমনই প্রাপ্তি তোমাদের ! একে বলে, অতি দ্রুততার সওদা। ভক্তিতে তোমরা এই ভেবে অপেক্ষা করতে থাক – কোনো এক সময় পেয়ে যাব, পেয়ে যাব…। ভক্তিতে হ’ল কোনো এক ক্ষণে, সেখানে বাবা বলেন – এখন নাও। স্থাপনের আদিতেও এটা প্রসিদ্ধ ছিল যে এখানে তোমাদের সাক্ষাৎকার তাড়াতাড়ি হয়। আর তা’ হ’তো। সুতরাং আদি থেকে তাড়াতাড়ির সওদা হয়েছে। একে বলে, রচয়িতার রচনার প্রতি সত্য ভালোবাসা। সারা কল্পে এমন প্রিয়তম কেউ হতেই পারে না। যতই কেন খ্যাতনামা প্রিয়তম হোক, কিন্তু এ’ হ’ল অবিনাশী ভালোবাসা আর অবিনাশী প্রাপ্তি। সুতরাং এমন প্রিয়তম কেউ হতেই পারে না। সেইজন্য বাচ্চাদের মেহনতে বাবার করুণার উদ্রেক হয়। বরদানী সদা উত্তরাধিকারের অধিকারী, কখনো পরিশ্রম করতে হয় না। ভাগ্যবিধাতা শিক্ষকের ভাগ্যবান বাচ্চারা সদা পাস উইথ অনার হয়। না ফেল হয়, না কোনো ব্যর্থ বিষয় ফীল করে।

পরিশ্রম করার কারণ দু’টো – হয় মায়ার বিঘ্ন দ্বারা ফেল হয়ে যাও অথবা যখন ব্রাহ্মণ আত্মাদের বা অজ্ঞানী আত্মাদের সম্বন্ধ-সম্পর্কে আস। এই উভয় সম্বন্ধে যখন কোনো কর্ম করছ, তখন সামান্য বিষয়ে ব্যর্থ ফীল করতে শুরু কর, যাকে তোমরা বলো, ফ্লু-এর অসুস্থতা। ফ্লু কী করে ? এক তো শেকিং (চঞ্চলতা ) হয়, তা’তে শরীর কম্পিত হয় আর সেই আত্মার স্থিতি নড়াচড়া করে, মন সংশয়াপন্ন হয় এবং মুখ হয় তিক্ত। মুখে তিক্ত বোল বলতে শুরু কর। আর কী হয় ? আকস্মিক প্রবাহ; কখনো ঠান্ডা, কখনো গরম। এখানেও যখন ফিলিং আসে তো অভ্যন্তরে ক্রোধের উদ্রেক হয়, উত্তেজনা বাড়ে – এ’ এ’টা কেন বলল, এ’ কেন করেছে ? এ’টা তোমাদের অভ্যন্তরীণ ক্রোধ। তোমরা তো এর অনুভাবী, না ? আর কী হয় ? ভোজনপান কিছু ভালো লাগে না। এক্ষেত্রে, যদি জ্ঞানের কোনো ভালো পয়েন্টও বলা হয় তা’ও তোমাদের ভালো লাগবে না। পরিশেষে রেজাল্ট কী হয় ? দুর্বলতা আসে। এখানেও, কিছু সময় পর্যন্ত দুর্বলতা স্থায়ী হয়। সেইজন্য না ফেল হও, না ফীল কর। বাপদাদা শ্রেষ্ঠ মত দেন। শুদ্ধ ফিলিং যেন থাকে – কোটির মধ্যে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মা। আমি দেব আত্মা, মহান আত্মা, ব্রাহ্মণ আত্মা, বিশেষ পার্টধারী আত্মা। এই ফিলিংয়ে যারা থাকে তাদের ব্যর্থ ফিলিংয়ের ফ্লু হবে না। এই শুদ্ধ ফিলিংয়ে থাক। যেখানে শুদ্ধ ফিলিং হবে, সেখানে অশুদ্ধ ফিলিং হতে পারে না। সুতরাং ফ্লু-এর রোগ থেকে অর্থাৎ পরিশ্রম থেকে রক্ষা পাবে, আর সদা নিজেকে এমন অনুভব করবে – আমি বরদানে প্রতিপালিত হচ্ছি, বরদানের সাথে সোজা সামনের দিকে উড়ছি, বরদান দ্বারা সেবায় সফলতা পাচ্ছি।

পরিশ্রম ভালো লাগে, নাকি পরিশ্রম করার অভ্যাস পাকাপোক্ত হয়ে গেছে ? পরিশ্রম ভালো লাগে, নাকি সুখানুভবে থাকা ভালো লাগে ? কারও কারও পরিশ্রমের কাজ ছাড়া আর কোনো কাজ ভালো লাগে না। তাদেরকে আরামে চেয়ারে বসাবে তো তখনো বলবে, আমাকে পরিশ্রমের কাজ দাও। এখানে তো আত্মার পরিশ্রম, আর আত্মা ৬৩ জন্ম পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে গেছে। ৬৩ জন্ম খুঁজে বেড়িয়েছে, তাই না ! কাউকে খুঁজতে পরিশ্রম তো লাগে, না ! তাহলে আগে থেকেই ক্লান্ত হয়ে আছ। ৬৩ জন্ম পরিশ্রম করে নিয়েছ, এখন এক জন্ম তো খুশিতে থাক। ২১ জন্ম তো ভবিষ্যতের ব্যাপার। কিন্তু এই এক জন্ম বিশেষ। পরিশ্রম আর মনের খুশি – দু’য়ের অনুভব করতে পার। ভবিষ্যতে তো ওখানে এ’সব বিষয়গুলো ভুলে যাবে। মজা তো এখন। অন্যেরা পরিশ্রম করছে আর তোমরা আছ পরমানন্দে। আচ্ছা !

টিচাররা তোমরা ভক্তি করেছ ? কতো জন্ম ভক্তি করেছ ? এই জন্মে তো ভক্তি করনি, না ! বিগত জন্মে তোমাদের ভক্তি সমাপ্ত হয়ে গেছে।

আবার কবে থেকে ভক্তি শুরু করেছ ? কার সঙ্গে শুরু করেছ ? ব্রহ্মাবাবার সাথে সাথে তোমরাও ভক্তি করেছ। কোন মন্দিরে করেছ ? তাহলে, ভক্তিতেও তোমরা আদি আত্মা হও আর, জ্ঞান মার্গেও আদি আত্মা। ভক্তির আদিতে অব্যভিচারী ভক্তি হওয়ার কারণে ভক্তির আনন্দ, সুখ সেই সময় অনুসারে কম হয়নি। সেই সুখ আর আনন্দও তাদের নিজস্থানে শ্রেষ্ঠ ছিল।

ভক্তের মালায় তোমরা আছ ? যখন তোমরাই ভক্তি শুরু করেছ তো ভক্ত মালায় তোমরা নেই ? ডবল ফরেনার্স, তোমরা ভক্ত মালায় ছিলে ? ভক্ত হয়েছ, নাকি ভক্ত-মালায় ছিলে ? এখন সবাই তোমরা ভাবছ আমরা ছিলাম কি ছিলাম না ! বিজয় মালাতেও ছিলে, ভক্ত-মালাতেও ছিলে ? কেননা, পূজারী তো হয়েছ কিন্তু ভক্ত মালায় ছিলে?

ভক্ত-মালা আলাদা। তোমরা তো জ্ঞানী, যারা পরে ভক্ত হয়েছ। তারা ভক্তই। সুতরাং ভক্ত-মালা আর জ্ঞানীর মালায় প্রভেদ আছে। জ্ঞানীদের মালা হ’ল বিজয় মালা। আর যারা শুধু ভক্ত তারা এমন নবধা ভক্ত (যারা ন’ রকম উপায়ে ভক্তি করে) যে ভক্তি ছাড়া অন্য কিছু শুনতেই চায় না, ভক্তিকেই শ্রেষ্ঠ মনে করে। তাইতো, ভক্ত-মালা আলাদা, জ্ঞান মালা আলাদা। ভক্তি অবশ্যই করেছ কিন্তু তোমাদেরকে ভক্ত-মালায় বলা হবে না কেননা, ভক্তির পার্ট প্লে করার পরে তোমরা জ্ঞানে এসেছ। তারা হ’ল নবধা ভক্ত আর তোমরা হ’লে

জ্ঞানের পরাকাষ্ঠা তথা উচ্চমার্গের জ্ঞানী। আত্মার মধ্যে সংস্কারের তারতম্য আছে, ভক্ত মানে চাওয়ার সংস্কার থাকবে। আমি নীচ, বাবা শ্রেষ্ঠ -এই সংস্কার হবে। তারা রয়্যাল ভিখারী আর, তোমরা সব আত্মার মধ্যে অধিকারী বোধের সংস্কার হবে। সেইজন্য পরিচয় পেয়েই তোমরা অধিকারী হয়ে গেছ। বুঝেছ ? ভক্তদেরও দু’টো জায়গা, তাই না ! সেই দু’য়ের মধ্যে তোমরা আসবে কি ? তাদেরও অর্ধেক কল্প, তোমাদেরও অর্ধেক কল্প। গায়ন-মালায় তাদেরও আসতেই হয়। তবুও দুনিয়ার লোকের তুলনায় তো তারা ভালো। অন্যদিকে বুদ্ধি যায় না, বরং বাবার দিকেই থাকে। অন্ততঃ পবিত্র তো থাকে। তাদের পবিত্রতার ফল প্রাপ্ত হয় – “গায়ন যোগ্য হওয়ার।” তোমাদের পূজা হবে। তাদের পূজা হয় না, মহিমান্বিত করতে শুধুমাত্র স্ট্যাচ্যু বানিয়ে রাখে। মীরার কখনো মন্দির হবে না। দেবতাদের মতো করে মীরার পূজা হয় না, শুধু গায়ন হয়। এখন লাস্ট জন্মে লোকে যে কোনো কাউকে পূজা করবে। তারা ভূমিকেও পূজা করে তো বৃক্ষকেও পূজা করে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তাদের শুধু গায়ন হয়, পূজন হয় না। তোমরা পূজ্য হও। সুতরাং তোমরা হলে পূজনীয় আত্মা – এই নেশা সদা স্মৃতিতে রাখ। পূজ্য আত্মা কখনো কোনো অপবিত্র সঙ্কল্পকে টাচও করতে পারে না। তোমরা এমন পূজ্য হও ! আচ্ছা !

চারিদিকের অবিনাশী উত্তরাধিকারের অধিকারী আত্মাদের, পঠন-পাঠনে সদা পাস উইথ অনার হয়, সদা বরদান দ্বারা বরদানী হয়ে অন্যদেরও বরদানী বানায় – এ’রকম বাবা, শিক্ষক আর সদ্গুরুর প্রিয়, সদা অধ্যাত্ম সুখানুভবে থাকা শ্রেষ্ঠ আত্মাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

পাঞ্জাব – রাজস্থান গ্রুপ

সদা নিজেদের হোলিহংস অনুভব কর ? হোলিহংস অর্থাৎ যথাযোগ্য এবং ব্যর্থের পার্থক্য করতে পারে। সে’সব যে হংস হয় তারা রত্ন থেকে কাঁকর আলাদা করে, মোতি থেকে পাথর আলাদা করে। কিন্তু তোমরা হোলিহংসরা কিসের পরখ করবে, শক্তিশালী আর ব্যর্থের মধ্যে, শুদ্ধ আর অশুদ্ধির মধ্যে ? যেমন হংস কখনো কাঁকর কুড়ায় না, সেগুলো আলাদা করে পাশে সরিয়ে দেবে, নেবে না। ঠিক সে’ভাবেই তোমরা সব হোলিহংস ব্যর্থকে একপাশে সরিয়ে দাও এবং শক্তিশালী সঙ্কল্প ধারণ কর। যদি ব্যর্থ এসেও যায় তবুও তোমরা তা’ ধারণ কর না। যদি ব্যর্থকে ধারণ কর তবে হোলিহংস বলা হবে না। সে’সব তো বক ধারণ করে। ব্যর্থ তো অনেক শুনেছ, বলেছ, করেছ কিন্তু তার পরিণাম কী হ’ল ? খুইয়েছ, সবকিছু খুইয়ে ফেলেছ। তনও নষ্ট করে ফেলেছ। দেবতাদের তন দেখ, আর এখনের তন দেখ, কতো পার্থক্য ! যুবকদের থেকেও বৃদ্ধ ভালো। তাহলে, তনও নষ্ট করেছ, মনের সুখ-শান্তিও হারিয়েছ, ধনও খুইয়ে ফেলেছ। তোমাদের কাছে কতো ধন ছিল ? অগাধ ধন কোথায় গেল ? ব্যর্থতে নষ্ট করে দিয়েছ। এখন সঞ্চয় করছ, নাকি এখনো ক্ষয় করে ফেলছ ? হোলিহংস নষ্ট করে না, তারা সঞ্চয় করে। এখন ২১ জন্ম তনও ভালো প্রাপ্ত হবে আর মনও সদা খুশিতে থাকবে। ধন তো এমন হবে, এখন মাটি যেমন। এখন মাটিরও কতো মূল্য হয়ে গেছে, যেমনই হোক, ওখানে তো রত্ন দিয়ে খেলবে, রত্ন দিয়ে বাসভবনের সজ্জিকরণ হবে। সুতরাং কতো সঞ্চয় করছ ! যার কাছে সঞ্চিত থাকে তার খুশি হয়। যদি সঞ্চিত না হয় তাহলে হৃদয় সঙ্কুচিত হয়, যদি সঞ্চয় হয় তাহলে হৃদয় হয় উদার (বড়)। তোমাদের হৃদয় এখন কতো উদার হয়ে গেছে ! তাইতো, প্রতি কদমে সঞ্চয়ের খাতা বেড়ে চলেছে, নাকি জমা করছ কখনো কখনো ? নিজের চার্ট ভালো করে দেখেছ ? এমন সময়তেও, কখনো কোনকিছু ব্যর্থ চলে যায় না তো ? এখন তো সময়ের ভ্যাল্যুর গুরুত্ব তোমরা বুঝেছ, তাই না ! সঙ্গমের এক সেকেন্ড কতো মহান ! বলতে গেলে তো এটাই বলা হয় যে দু’ এক সেকেন্ডই তো গেছে কিন্তু এক সেকেন্ড কতো গুরুত্বপূর্ণ ! এ’টা যদি স্মরণে থাকে তবে এক সেকেন্ডও নষ্ট করবে না। সেকেন্ড নষ্ট করা মানে বছর নষ্ট করা – সঙ্গমের এক সেকেন্ডের এতই মহত্ত্ব ! তাইতো তোমরা সঞ্চয় কর, যারা নষ্ট করে তোমরা তারা নও, কেননা হয় নষ্ট হবে কিংবা উপার্জন হবে। সারা কল্পে উপার্জন করার সময়, এখন। অতএব, হোলিহংস অর্থাৎ যে স্বপ্নে, সঙ্কল্পেও কখনো কোনকিছু ব্যর্থভাবে হারাবে না।

হোলি অর্থাৎ যে সদা পবিত্রতার শক্তি দ্বারা অপবিত্রতা সেকেন্ডে তাড়িয়ে দেয়। না শুধু নিজের জন্য বরং অন্যের জন্যও, কারণ সারা বিশ্বকে পরিবর্তন করতে হবে, তাই না ! পবিত্রতার শক্তি কতো মহান, এতো তোমরা জান, তাই না ! পবিত্রতা এমন অগ্নি যা সেকেন্ডে বিশ্বের আবর্জনা ভস্ম করতে পারে। সম্পূৰ্ণ পবিত্রতা এ’রকমই শ্রেষ্ঠ শক্তি ! অন্তে যখন সবাই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখন তোমাদের শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্পে নিষ্ঠা ও একাগ্রতার অগ্নিতে এই সব আবর্জনা ভস্ম হয়ে যাবে। তোমরা সব যোগ-অগ্নিশিখা। অন্তে এ’ভাবে ধীরে ধীরে সেবা হবে না। কিছু ভাবা আর সাথে সাথে হওয়া – একে বলে বিহঙ্গ মার্গের সেবা। এখন নিজেদের পরিপূর্ণ করছ, তারপরে কার্যে প্রয়োগ করবে। যেমন, দেবীদের স্মারকচিহ্নে দেখানো হয়, তারা নিজেদের ভিতরের অগ্নি দ্বারা অসুরদের ভস্ম করে দিয়েছে। অসুর নয়, কিন্তু আসুরিক শক্তিকে বিনাশ করে দিয়েছে। এই স্মরণিক কোন সময়ের ? এই সময়ের, তাই না ! সুতরাং এই রকম জ্বালামুখী হও। তোমরা হবে না তো কে হবে ! সেইজন্য এখন জ্বালামুখী হয়ে আসুরিক সংস্কার, আসুরিক স্বভাব সবকিছু ভস্ম কর। তোমরা তো করে নিয়েছ, তাই না ! নাকি তোমরাও করছ ? আচ্ছা !

যারা পাঞ্জাব থেকে তারা তো অন্ততঃ নিঃশঙ্ক হয়েছ। তোমরা ভীত নও তো না ? তোমরা জ্বালামুখী, ভয় কেন ? মরেই তো পড়ে আছ, তাহলে আবার ভয় কা’কে ? আর রাজস্থানের তো “রাজত্বের অধিকার” কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়। রাজত্ব ভুলে রাজস্থানের মরুভূমি স্মরণে এসে যায়না তো ? রাজস্থানে অনেক বালুভূমি আছে, আছে না ! তো সদা নতুন রাজত্বের স্মৃতি যেন থাকে। সবাই শঙ্কাহীন জ্বালামুখী হয়ে প্রকৃতি আর আত্মাদের ভিতরে যে তমোগুণ আছে তার ভস্মকারী হও। এ’টা অনেক বড় কাজ, যদি স্পীডে করবে তবেই পুরো হবে। এখনো তো লোকজনের কাছেই বার্তা পৌঁছায়নি, প্রকৃতির ব্যাপার তো পরে। সুতরাং স্পিড আরও তীব্র কর। গলি গলিতে সেন্টার হোক, কারণ সার্কমস্ট্যান্স অনুসারে এক গলি থেকে অন্য গলিতে তোমরা যেতে পারবে না, একে অপরকে দেখতেও পাবে না। তাহলে, ঘরে ঘরে, গলি গলিতে হয়ে যাবে তো না ! আচ্ছা !

বরদানঃ-

যেমন, ব্রহ্মাবাবা সাধারণ তনে থাকা সত্ত্বেও, সদা তাঁকে দেখে পুরুষোত্তম অনুভব হতো । সাধারণ রূপের মধ্যে পুরুষোত্তমের ঝলক তোমরা দেখেছ, সে’ভাবে ফলো ফাদার কর। কর্ম যদিও বা সাধারণ হয়, কিন্তু স্থিতি মহান হোক। চেহারায় শ্রেষ্ঠ জীবনের প্রভাব পড়বে। যেমন, লৌকিক জীবনে অনেক বাচ্চার আচরণ আর চেহারা তাদের বাবার মতো হয়, এখানে মুখাবয়বের ব্যাপার নয়, বরং তোমাদের আচরণই চিত্র। তোমাদের প্রতিটা আচরণে বাবার অনুভব হতে দাও, ব্রহ্মাবাবা সমান পুরুষোত্তম স্থিতি হবে, তবেই বলা হবে বাবা সমান।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top