08 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

08 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

7 September 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা — নিজের থেকে বড়দের সম্মান করা, এও দৈবীগুণ, যে খুব সচেতন এবং ভালো বোঝায়, তাকে অনুসরণ করতে হবে"

প্রশ্নঃ --

সত্যযুগে কোনো ভক্তির রীতিনীতি থাকে না — কেন ?

উত্তরঃ -:-

কেননা, জ্ঞানের সাগর বাবা জ্ঞান দান করে সদগতি করিয়ে দেন । ভক্তির ফলও প্রাপ্ত হয় । জ্ঞান প্রাপ্ত হলে ভক্তির সঙ্গে যেন বিচ্ছেদ হয়ে যায় । এখন যখন জ্ঞানের প্রালব্ধের সময়, তখন ভক্তি, তপ, দান – পুণ্য করার প্রয়োজন আছে কি ! ওখানে এই ধরনের কোনো রেওয়াজ থাকে না ।

ওম্ শান্তি । পতিত-পাবন শিব ভগবান উবাচঃ । বাবা এখন বসে বাচ্চাদের জ্ঞান শোনান । বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে, যখন আমি আসি, তখন পতিতকে পবিত্র করার জন্য জ্ঞান শোনাই, আর কেউই এই জ্ঞান শেখাতে পারে না । তারা ভক্তিই শেখায় । জ্ঞান তোমরাই শেখো, তাই তোমরা নিজেদের ব্রহ্মাকুমার – কুমারী মনে করো । দিলওয়াড়া মন্দির তোমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে । ওখানেও মূর্তি রাজযোগের তপস্যাতেই বসে আছে । জগদম্বাও আছেন, প্রজাপিতা ব্রহ্মাও আছেন । কুমারী কন্যা আর অধর কুমারীও আছে । বাবা তোমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন । উপরে রাজত্বের চিত্রও আছে । বাবা কোনো ভক্তি শেখান না । ভক্তিও তাঁদের করা হয়, যাঁরা শিখিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু তাঁরা জানেনই না যে, কে রাজযোগ শিখিয়ে রাজত্ব স্থাপন করে গেছেন । বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে, ভক্তি আলাদা জিনিস আর জ্ঞান আলাদা জিনিস । জ্ঞান কেবলমাত্র একজনই শোনান, আর কেউই তা শোনাতে পারে না । জ্ঞানের সাগর একজনই । তিনি এসেই জ্ঞানের দ্বারা পতিতকে পবিত্র বানান । আর যে সব সৎসঙ্গ আছে, সেখানে কেউই জ্ঞান শেখাতে পারে না । যদিও নিজেদের তাঁরা শ্রী শ্রী ১০৮ জগৎগুরু, ভগবানও বলে থাকে, কিন্তু এমন কেউই বলবে না যে, আমি সকলের পরমপিতা, জ্ঞানের সাগর, ওদের তো কেউ পরমপিতা বলেই না । এ তো জানেই যে, পরমপিতা হলেন পতিত পাবন । এই পয়েন্টস বুদ্ধিতে খুব ভালোভাবে রাখতে হবে । মানুষ তো বলে, এই ব্রহ্মাকুমারীরা ভক্তির সঙ্গে বিচ্ছেদ করে, কিন্তু যখন জ্ঞান প্রাপ্ত হয়, তখন ভক্তির সঙ্গে বিচ্ছেদ করতেই হয় । আবার এমন নয় যে, যখন ভক্তি করে, তখন জানতে পারে যে, আমরা জ্ঞানকে ডিভোর্স দিই । তা নয়, রাবণ রাজ্যে এ তো স্বাভাবিক ভাবেই এসে যায় । তোমরা এখন বুঝতে পেরেছো যে, বাবা আমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন । রাজযোগ হলো জ্ঞান, একে ভক্তি বলা হবে না । ভগবান হলেন জ্ঞানের সাগর, তিনি কখনোই ভক্তি শেখাবেন না । ভক্তির ফলই হলো জ্ঞান । জ্ঞান থেকেই সদগতি হয় । কলিযুগের অন্তিমে সবাই দুঃখী, তাই এই পুরানো দুনিয়াকে দুঃখধাম বলা হয় । এই কথা তোমরা এখন বুঝতে পারো । বাবা এসেছেন ভক্তির ফল অর্থাৎ সদগতি দান করতে । তিনি রাজযোগ শেখাচ্ছেন । এ হলো পুরানো দুনিয়া, যার বিনাশ হয়ে যাবে । নতুন দুনিয়াতে আমাদের রাজত্ব চাই । এ হলো রাজযোগের জ্ঞান । এই জ্ঞান শেখান এক পরমপিতা, পরমাত্মা শিব । কৃষ্ণকে নয়, তাঁকেই জ্ঞানের সাগর বলা হয় । কৃষ্ণের মহিমাই আলাদা । অবশ্যই তিনি আগের জন্মে এমনকিছু কর্তব্য করেছিলেন, যে প্রিন্স হয়েছিলেন ।

তোমরা জানো যে, আমরা রাজযোগের জ্ঞান ধারণ করে নতুন দুনিয়াতে, স্বর্গের প্রিন্স – প্রিন্সেস হবো । স্বর্গকে সদগতি আর নরককে দুর্গতি বলা হয় । আমরা নিজেদের জন্য রাজ্য স্থাপন করছি । বাকি যারা এই জ্ঞান প্রাপ্ত করতে পারবে না, পবিত্র হতে পারবে না, তারা রাজধানীতে আসতে পারবে না, কেননা সত্যযুগে অনেক অল্প মানুষ থাকবে । কলিযুগের অন্তিমে এতো যে অনেক মানুষ আছে, তারা অবশ্যই মুক্তিধামে থাকবে । কেউই হারিয়ে যায় না, সবাই ঘরে ফিরে যায় । বাচ্চাদের এখন ঘরের কথা স্মরণে থাকে যে, এখন ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে । নাটক সম্পূর্ণ হয়ে যায় তোমরা অনেকবার এই চক্র সম্পূর্ণ করেছো । তোমরা ব্রাহ্মণ বাচ্চারাই একথা জানো । ব্রাহ্মণ তো হতেই থাকে । ১৬ হাজার ১০৮ এর মালা আছে । সত্যযুগে তো অনেকে থাকবে না । সত্যযুগের মডেল রূপও দেখানো হয় । বড় জিনিসের মডেল ছোটো হয় যেমন সোনার দ্বারকা দেখানো হয় । বলা হয় — দ্বারকাতে কৃষ্ণের রাজ্য ছিলো । এখন দ্বারকাতে বলা হবে, নাকি দিল্লীতে বলা হবে ? যমুনার উপকণ্ঠ তো এই দিল্লীতেই আছে । ওখানে তো সাগর । বাচ্চারা তো একথা বুঝতে পারে যে, যমুনার উপকণ্ঠেই রাজধানী ছিলো । দ্বারকা রাজধানী নয় । দিল্লী হলো বিখ্যাত । যমুনা নদীও তো চাই । যমুনার মহিমা আছে । পরীস্থান দিল্লীকেই বলা হয় । বড় গদি দিল্লীতেই হবে । বাচ্চারা তো এখন বুঝতে পারে যে, ভক্তিমার্গ শেষ হয়ে এখন জ্ঞান মার্গ হয় এ এখন দৈবী রাজধানী স্থাপন হচ্ছে । বাবা বলেন — ভবিষ্যতে তোমরা সব জানতে পারবে । কে – কে কতখানি পাস করে । স্কুলেও সবাই জানতে পারে যে – অমুকে – অমুকে এতো নম্বরে পাস হয়েছে । এখন অন্য ক্লাসে যাবে । পরের দিকে বেশী করে জানা যাবে । কে কে পাস করবে, যারা ট্রান্সফার হয়ে যাবে । ক্লাস তো অনেক বড়, তাই না । এ হলো অসীম জগতের ক্লাস । সেন্টার দিন দিন বাড়তে থাকবে । কেউ কেউ গিয়ে সাত দিনের কোর্স খুব ভালোভাবে করবে । এক – দুই দিনের কোর্সও কম নয় । দেখতে পায় যে, কলিযুগের বিনাশ সামনে উপস্থিত, এখন সতোপ্রধান হতে হবে । বাবা বলেছেন – আমার সঙ্গে বুদ্ধিযোগ যুক্ত করো, তাহলে তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে । তোমরা পবিত্র দুনিয়াতে আসবে, তোমাদের তো অবশ্যই অভিনয় করতেই হবে । ড্রামাতে যেমন পূর্ব কল্পেও অভিনয় করেছিলে । ভারতবাসীরাই রাজত্ব করতো, তারপর বৃদ্ধি পেয়েছে । সৃষ্টিরূপী এই বৃক্ষ বৃদ্ধি পেতে থাকে । ভারতবাসীরা হলো দেবী – দেবতা ধর্মের, কিন্তু তারা পবিত্র না হওয়ার কারণে পবিত্র দেবী – দেবতাদের পূজা করে । খ্রীস্টানরা যেমন ক্রাইস্টের পুজো করে । সত্যযুগে থাকে — আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম । বাবা সত্যযুগের স্থাপনা করেন । বরাবর সত্যযুগে এই দেবী – দেবতাদের রাজত্ব ছিলো । তাহলে অবশ্যই তারা এক জন্ম পূর্বে পুরুষার্থ করেছিলো । তাহলে অবশ্যই তা সঙ্গম যুগই হবে, যখন পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তন হয়ে নতুন দুনিয়া হয় । কলিযুগ পরিবর্তন হয়ে সত্যযুগ আসতে হবে, তাহলে কলিযুগে সবাই পতিত থাকবে । বাবা বুঝিয়েছেন যে, তোমরা যে লক্ষ্মী – নারায়ণের চিত্র তৈরী করো বা বই ছাপাও, সেখানে লিখে দেওয়া উচিত যে, এনারা এই সহজ রাজযোগের জ্ঞানের দ্বারা পূর্ব জন্মে এই পুরুষার্থ করেছিলেন । কেবল রাজা – রানী তো হবে না । প্রজাও তো তৈরী হয়, তাই না । অজ্ঞানকালে মানুষ তো কিছুই জানে না, কেবল পুজো করতে থাকে । তোমরা এখন বুঝতে পারো, ওরা যে পুজো করে, ওরা কেবল লক্ষ্মী – নারায়ণকেই দেখতে থাকে । জ্ঞান কিছুই নেই । মানুষ মনে করে, ভক্তি ছাড়া ভগবান লাভ সম্ভব নয় । তোমরা যদি কাউকে বলো যে, ভগবান এসেছেন, তখন মানুষ তোমাদের কথা শুনে হাসতে থাকে । তারা বলে – ভগবান তো আসবেন কলিযুগের অন্তিমে, এখন কোথা থেকে এলেন ! কলিযুগের অন্তিমেও কেন বলে, তাও বুঝতে পারে না । ওরা তো কৃষ্ণকে দ্বাপর যুগে নিয়ে গেছে । মানুষের যা মনে হয়, না বুঝেই তাই বলে দেয়, তাই বাবা বলেন, তোমরা সম্পূর্ণ অবুঝ হয়ে গেছো । বাবাকে সর্বব্যাপী বলে দেয় । ভক্তি তো বাইরে থেকে খুব সুন্দর দেখা যায় । ভক্তির কতো চমক । তোমাদের কাছে তো কোনো চমক নেই । অন্য কোনো সৎসঙ্গ ইত্যাদিতে যাবে তো সেখানে অবশ্যই কতো আওয়াজ হবে । তারা গান গাইবে । এখানে তো বাবা রেকর্ডও পছন্দ করেন না । পরের দিকে সম্ভবত এও বন্ধ হয়ে যাবে ।

বাবা বলেন — আমি এই গীতের সমস্ত সার তোমাদের বুঝিয়ে বলি । তোমরা অর্থ জানো । এ হলো পড়া । বাচ্চারা জানে যে, আমরা রাজযোগ শিখছি । তোমরা যদি কম পড়ো, তাহলে প্রজাতে চলে যাবে, তাই যারা খুব সচেতন, তাদের অনুসরণ করা উচিত, কেননা তাদের পড়ার প্রতি মনোযোগ বেশী, তাই এদের থেকে লাভ হবে । যারা ভালো বোঝায় তাদের থেকে শেখা উচিত । যারা ভালো বোঝায় সেন্টারে তাদের কথা মনে করা হয়, তাই না । ব্রহ্মাকুমারী তো বসেই থাকে, তবুও বলে অমুকে এসেছেন । মনে করে এ অনেক জ্ঞানী । এমন হলে তাকে অবশ্যই সম্মান, আদরও করতে হবে । এভাবেই বড়দের সম্মান করতে হয় । ইনি জ্ঞানে আমার থেকে তীক্ষ্ণ, অবশ্যই ইনি উঁচু পদ পাবেন, এতে অহংকার আসা উচিত নয় । বড়দের অনেক সম্মান হয় । প্রেসিডেন্টের সম্মান অবশ্যই বেশী হবে । প্রত্যেকেরই নম্বর অনুযায়ী সম্মান প্রাপ্ত হয় । একে অপরের প্রতি সম্মান তো করবে, তাই না । ব্যারিস্টারদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসার থাকে । বড় কেসে অনেক হুঁশিয়ার উকিল নেওয়া হয় । কেউ কেউ তো লাখ টাকার কেসও করে থাকে । নম্বরের ক্রমানুসার অবশ্যই থাকে । এতে সচেতন থাকলে সম্মান করা উচিত । সেন্টারেরও দেখভাল করতে হবে । সব কাজও করতে হবে । বাবার তো সারাদিন এই খেয়াল থাকে, তাই না কিভাবে প্রদর্শনী করতে হবে, এতে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে । আমরা তমোপ্রধান থেকে কিভাবে সতোপ্রধান হবো । বাবা আমাদের সতোপ্রধান বানাতে এসেছেন । বাবাই হলেন পতিত পাবন । এখানে আবার বলা হয় পতিত পাবনী গঙ্গা, এতে মানুষ জন্ম – জন্মান্তর ধরে স্নান করে এসেছে । কেউই তো তাতে পবিত্র হয় নি । এ সব হলো ভক্তি । যখন বলে – পতিত পাবন এসো । তিনি তো অবশ্যই সঙ্গমে আসবেন, আর তিনি একবারই আসেন । প্রত্যেকেরই নিজের – নিজের রীতি – রেওয়াজ আছে । নেপালে যেমন অষ্টমীতে বলি দেওয়া হয় । ছোটো বাচ্চার হাতে বন্দুক দিয়ে চালাতে দেওয়া হয় । তারাও বলি দেবে । বড় হলে এক কোপে বাছুর কেটে ফেলবে । কেউ কম কোপ লাগালো, এক কোপে না মরলে তাকে বলি বলা হবে না, তা দেবীর কাছে অর্পণ করা যাবে না । এ সব হলো ভক্তি মার্গ । প্রত্যেকের নিজের নিজের কল্পনা আছে । এই কল্পনা অনুযায়ী অনুসরণকারী তৈরী হয়ে যায় । এখানে এ হলো নতুন কথা । এ তো বাচ্চারাও জানতে পারে । এক বাবা বসেই সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান শোনান । তোমাদের এই খুশী থাকে যে, আমরা স্বদর্শন চক্রধারী, আর কেউই তা বুঝতে পারবে না । তোমাদের সভাতে আমি বলবো – সর্বোত্তম ব্রাহ্মণ কুল ভূষণ, স্বদর্শন চক্রধারী, এর অর্থ তোমরা বুঝতে পারবে । নতুন কেউ এলে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যাবে যে, এ কি বললো ? স্বদর্শন চক্রধারী তো বিষ্ণু । এ তো নতুন বিষয়, তাই না, তাই তোমাদের জন্য বলা হয়, বাইরে ময়দানে এলে জানতে পারবে ।

তোমাদের হলো জ্ঞান মার্গ । তোমরা পাঁচ বিকারকে জয় করো । এই বিকার রূপী অসুরদের সঙ্গে তোমাদের লড়াই । এরপর তোমরা দেবতা হও, তখন আর কোনো লড়াইয়ের বিষয় থাকে না । যেখানে অসুর থাকে সেখানে দেবতারা থাকে না । তোমরা হলে ব্রাহ্মণ, তোমরাই দেবতা হবে, যারা পুরুষার্থ করছো । রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে অবশ্যই ব্রাহ্মণের প্রয়োজন । ব্রাহ্মণ ছাড়া যজ্ঞ সম্পূর্ণ হয় না । রুদ্র হলেন শিব, তাহলে কৃষ্ণের নাম কোথা থেকে এলো । তোমরা এই দুনিয়া থেকে সম্পূর্ণ পৃথক । আর তোমরা হলে কতো অল্প । পাখি সাগরের জল গিলে ফেলেছে, শাস্ত্রতে এমন দন্ত কথা কতো আছে । বাবা বলেন – এখন সেইসব ভুলে আমাকে ( মামেকম ) স্মরণ করো । আত্মাই বাবাকে স্মরণ করে । বাবা তো একজনই, তাই না । মানুষ ‘হে পরমাত্মা প্রভু’ বলে থাকে, কিন্তু সেই সময় লিঙ্গও স্মরণে আসে না । কেবল ‘ঈশ্বর বা প্রভু’ বলে দেয় । আত্মা বাবার থেকে অর্ধেক কল্পের জন্য সুখ পেয়েছে, তাই তারা ভক্তিমার্গে স্মরণ করে । এখন তোমরা এই জ্ঞান পেয়েছো যে — আত্মা কি আর পরমাত্মা কি । আমরা সমস্ত আত্মারা মূল বতনে থাকি, সেখান থেকে নম্বর অনুসারে অভিনয় করতে আসি । প্রথমে আসে দেবী – দেবতারা । মানুষ বলে থাকে যে – ক্রাইস্টের পূর্বে দেবী – দেবতা ধর্ম ছিলো । এ হলো পাঁচ হাজার বছরের কথা । ওরা বলে দেয়, এ হলো পঞ্চাশ হাজার বছরের পুরানো জিনিস, কিন্তু পঞ্চাশ হাজার বছরের পুরানো জিনিস কিছু হতে পারে না । এই ড্রামা হলো পাঁচ হাজার বছরের । মূখ্য ধর্ম হলো এটাই । এই ধর্মের যাঁরা তাঁদেরই প্রাসাদাদি থাকবে । দ্বাপরের প্রথমদিকে তো রজোগুণী বুদ্ধি ছিলো । এখন তো আরো তমোগুণী বুদ্ধি সম্পন্নরা আছে । প্রদর্শনীতে কতো বুঝিয়ে বলা হয়কিন্তু কারোর বুদ্ধিতে তো আসেই না । ব্রাহ্মণদের চারাই লাগতে হবে । তাই বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে — জ্ঞান আলাদা জিনিস, আর ভক্তি আলাদা জিনিস । জ্ঞানের দ্বারা সদগতি হয়, তাই বলেও থাকে, হে পতিত পাবন, এসো, আমাদের দুঃখ থেকে মুক্ত করো । তারপর তিনি গাইড হয়ে সাথে নিয়ে যাবেন । বাবা এসে আত্মাদের সঙ্গে করে নিয়ে যান । শরীর তো ব্যস, শেষ হয়ে যাবে । বিনাশ হয়ে যাবে, তাই না । শাস্ত্রে একই মহাভারতের লড়াইয়ের গায়ন আছে । এমন বলাও হয়, এ হলো সেই মহাভারতের লড়াই । এ তো হতেই হবে । তোমরা সবাইকে বাবার পরিচয় দিতে থাকো । তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার উপায় তো একটাই । বাবা বলেন — আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে, আর আত্মারা আমার সঙ্গে চলে যাবে । সবাইকে সন্দেশ দিতে থাকো তাহলে অনেকের কল্যাণ হবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা – বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) যারা এই ঈশ্বরীয় পড়া সম্বন্ধে সচেতন, খুব ভালো বুঝতে পারে — তাদের সঙ্গ করতে হবে, তাদের সম্মান করতে হবে । কখনোই যেন অহংকার না আসে ।

২ ) জ্ঞানের নতুন – নতুন কথা খুব ভালোভাবে বুঝতে এবং বোঝাতে হবে । এই খুশীতে থাকতে হবে যে, আমরা হলাম স্বদর্শন চক্রধারী ।

বরদানঃ-

এখন এমন পেপার আসবে যা সঙ্কল্প, স্বপ্নেও মনে আসে নি, কিন্তু তোমাদের অভ্যাস এমন হওয়া চাই, যেমন জাগতিক ড্রামা সাক্ষী হয়ে দেখা হয়, তখন তা দুঃখদায়ক হোক বা হাসিরই হোক, অন্তর হয় না । কারোর মনোরম পার্ট হোক বা কোনো স্নেহী আত্মার গম্ভীর পার্টই হোক — প্রতিটি পার্ট সাক্ষীদ্রষ্টা হয়ে দেখো, একরস অবস্থা যেন থাকে, কিন্তু এমন অবস্থা তখনই থাকবে, যখন সদা এক বাবার স্মরণে মগ্ন থাকবে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top