08 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
7 November 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা -- শিববাবার (সমর্পিত) হয়ে গিয়ে কোনো ভুল কোরো না, ভুল করলে বাবার নাম কলঙ্কিত হয়ে যাবে"
প্রশ্নঃ --
সবচেয়ে বড় প্রবৃত্তি(গৃহস্থ সংসার) কার এবং কিভাবে ?
উত্তরঃ -:-
সবচেয়ে বড় প্রবৃত্তি শিববাবার। ভক্তিতে সবাই “ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা ত্বমেব” অর্থাৎ তুমিই মাতা, পিতাও যে তুমি বলে ডেকে থাকে, তাহলে তো প্রবৃত্তিমার্গীয়, তাই না! কিন্তু যতক্ষণ না তিনি সাকারে আসছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর কোনো প্রবৃত্তি নেই। কারণ উপরে তো আত্মারা বাবার সঙ্গে নিরাকারী রূপে থাকেন। যখন সাকারে এসে এঁনার মধ্যে প্রবেশ করেন তখন হয় সবচেয়ে বড় প্রবৃত্তি।
ওম্ শান্তি । বিশেষভাবে ভারত আর সাধারণভাবে বিশ্ব এ’কথা জানে না যে অসীম জগতের বাবা নিবৃত্তি-মার্গীয় নাকি প্রবৃত্তিমার্গীয় ? যখন বাবা আসেন, তখন বাচ্চা-বাচ্চা বলে ডাকেন, কারণ ওঁনাকে আবাহনও করা হয় — ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা ত্বমেব (তুমিই মাতা, পিতাও তুমি….)…..তখন গৃহস্থী হয়ে যায়। ওখানে তো সকলেই জানে যে — শিব নিরাকার। যদিও শিবের আকার রয়েছে কিন্তু সন্তান-সন্ততি তো নেই। আর যদি থাকেও তবে তা হলো আত্মারূপী সন্তান। সব একই রকমের সন্তান, সেইজন্য মনে করে সবই পরমাত্মা। আত্মাও বিন্দু-রূপী, পরমাত্মাও বিন্দুরূপী। গৃহস্থীরাই গায়, তুমিই মাতা পিতাও….. নিবৃত্তিমার্গীয় সন্ন্যাসীরা বলে দেয় যে পরমাত্মা হলেন ব্রহ্ম। তারা ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা বলে না। তাদের মার্গ আলাদা। এরাও ভুল করে লক্ষ্মী-নারায়ণের সামনে গিয়ে গায় — ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা…. অথবা বলবে অচ্যুতম কেশবম্…. ভক্তিমার্গে অনেক স্তুতির গায়ন রয়েছে। বাস্তবে পরমাত্মা হলেন বাবা। তাঁর কাছ থেকে উত্তরাধিকার কিভাবে এবং কি পাওয়া যাবে। তোমরা বাচ্চারা জানো — উনি বাবাও, দাদাও, বড়মাও, প্রজাপিতাও। এঁনার মাধ্যমে বলেন — বাচ্চারা, আমি তোমাদের বাবাও, আমাকে প্রবৃত্তিমার্গে আসতে হয়। এ আমার যুগলও আবার বাচ্চাও। যখন এর মধ্যে প্রবেশ করি তখন তখন প্রবৃত্তিমার্গীয় হয়ে যাই। আমায় সুপ্রীম বাবা, সুপ্রীম টিচার, সুপ্রীম গুরুও বলা হয়। গুরু গাইড করে মুক্তির জন্য। ও’সব হলো মিথ্যা। এ হলো সত্য। ইংরেজীতে পরমাত্মাকে সত্য বলা হয়। তাহলে সত্য এসে কি সত্য(কথা) বলেন, তা কারোর জানা নেই। আমার তোমারও জানা ছিল না। তাহলে যেন নতুন কথা হয়ে গেল, তাই না! উনি জ্ঞানের সাগর, সত্যখন্ড স্থাপনকারী। অবশ্যই কখনো সত্য বলে গিয়েছিলেন তবেই তো গায়ন রয়েছে। সত্যখন্ডকে হেভেন বলা হয়। ওখানে দেবতাদের সার্বভৌমত্ব দেখানো হয়। এখন হলো পুরোনো দুনিয়া, পুনরায় নতুন দুনিয়া হবে। পুরোনো দুনিয়ায় আগুন লাগবে। স্থাপনার সময় বিনাশেরও কথা বলা হয়। করণ-করাবনহার পরমাত্মার গায়ন করা হয়। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপন করেন। কিভাবে করান ? সে তো স্বয়ং এসে বলবেন। মানুষ কিছুই জানে না। বলে যে পরমাত্মা করণ-করাবনহার। আর ড্রামাও জেনে গেছে। কলিযুগের অন্ত, সত্যযুগের আদি… এই সঙ্গমকেই উঁচু মনে করা উচিত। কলিযুগের পর আসে সত্যযুগ, তারপর নীচে নামতে হয়। স্বর্গ-নরক গায়ন রয়েছে। মানুষ মারা গেলে বলা হয় স্বর্গবাসী হয়েছে। অবশ্যই কোনো সময় স্বর্গবাসী হয়েছিল। বিশেষভাবে এ’কথা ভারতবাসীরাই বলে থাকে কারণ জানে ভারত সবচেয়ে প্রাচীন। তাহলে অবশ্যই এ’টাই হেভেন হবে। কথা কত সহজ কিন্তু ড্রামানুসারে বোঝে না, তবেই তো বাবা আসেন বোঝাতে। আহ্বানও করে বাবা এসো। তোমার মধ্যে যে নলেজ রয়েছে এসে তা আমাদেরকে দাও। পতিতদের পবিত্র করতে এসো। আবার বলে আমাদের দুঃখ হরণ করে সুখ দাও। কিন্তু তা জানা নেই যে কি নলেজ দেবে! কি সুখ দেবে! বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে তিনি বাবা তাহলে বাবার থেকে অবশ্যই রচনা হয়েছে। ফাদার অর্থাৎ রচয়িতা। বাচ্চা ফাদার বলে তবে তো ক্রিয়েশনই (রচনাই) হলো। রচনাও কোথা থেকে সৃষ্টি হয়েছে হয়তো। তারপর বাচ্চাদের প্রপার্টি দিয়েছে হয়তো। এ তো সাধারণ কথা। সেইজন্যই আমাকে ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা… বলা হয়ে থাকে। তাহলে বাবা তো বড় গৃহস্থী হয়ে গেলো, তাই না! আহ্বানও করে যে — হে মাতা-পিতা, এসো, এসে পবিত্র করো। এখন বাবা তো রয়েছে কিন্তু মা ছাড়া রচনা কিভাবে হতে পারে। বাবা আবার এখানে রচনা কিভাবে করে! এ হলো সম্পূর্ণ নতুন কথা। এখানেও অনেকের বুদ্ধিতে বসে না আর সব জায়গায় পরমাত্মাকে বাবা বলে ডাকা হয়। এখানে দুজনেই আছে ফাদার-মাদার, তবে তো প্রবৃত্তিমার্গ হলো, তাই না! ওখানে কেবল ফাদার বললেই ওদের মুক্তির আশীষ প্রাপ্ত হয়। তারা আসেও পরে। এ তো সকলেই জানে যে খ্রিস্টান ধর্মের পূর্বে বৌদ্ধ ধর্ম ছিল, তাঁর পূর্বে ইসলাম ধর্ম ছিল। এই সিড়িতে অন্য ধর্ম তো নেই সেইজন্য গোলকের পাশে একে রাখা উচিত। এ হলো পাঠশালা। এখন পাঠশালায় কি কেবল একটি বই-ই থাকবে নাকি! পাঠশালায় ম্যাপও চাই। ওই শরীর-বৃত্তিয় বিদ্যা তো কাজে আসবে না। ম্যাপের দ্বারা মানুষ তৎক্ষণাৎ বুঝে যাবে। এইগুলি হলো তোমাদের মুখ্য ম্যাপ। কত বিস্তারিতভাবে বোঝানো হয় তবুও প্রস্তরবুদ্ধি হওয়ার জন্য বোঝে না। বাবা বুঝিয়েছেন — প্রদর্শনীতে ত্রিমূর্তির উপরেই প্রথমে বোঝাতে হবে। ইনি তোমাদের বাবা, উনি দাদা। জ্ঞান কিভাবে দেবে? উত্তরাধিকার কিকরে দেবে? ভারতবাসীরাই পাবে। পরমপিতা পরমাত্মা ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয় — এই ৩ ধর্ম স্থাপন করেন। ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণই রচনা করেন, এ হলো যজ্ঞ, একে বলা হয় রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ। আর ভক্তিমার্গে যে যজ্ঞ রচিত হয় — তা দেরী করে শুরু হয়। কারণ সর্বপ্রথমে হয় শিবের পূজা তারপর হয় দেবতাদের পূজা। সেইসময় কোনো যজ্ঞ হয় না। পরে যজ্ঞ করা শুরু করে। প্রথমে দেবতাদের পূজো করে, ফুল অর্পণ করে। এখনও তোমরা পূজন-যোগ্য হওনি। লোকেরা গিয়ে শিবের উপর আকন্দ-ধুতরা ফুল কেন অর্পণ করে ? বাবা বোঝান যে তোমরা সকলে কাঁটা ছিলে। তার থেকে কেউ সদা গোলাপ, কেউ গোলাপ, কেউ মতি হয়ে যায়। কেউ আবার আকন্দ ফুলও হয়ে যায়। পড়াশোনা সম্পূর্ণরূপে পড়া না করলে আকন্দ ফুলও হয়ে যায়। কোনো কর্মের থাকে না। শিবের উপর সমস্ত কাঁটাই সমর্পিত হয়ে যায়, তারপর তাদের ফুলে পরিনত করে কিন্তু ভ্যারাইটি (বিভিন্নরকমের) ফুল হয়ে যায়। বাগানে ভ্যারাইটি ফুল হয়, তাই না! তোমাদের মধ্যেও নম্বরের অনুক্রম রয়েছে। কেউ সিংহাসনের অধিকারী হবে, কেউ আবার কি হবে — এ’সব কথা বাবা-ই বোঝান আর কেউ বোঝাতে পারে না। ভক্তিমার্গ কত লম্বা-চওড়া। কিন্তু তাতে জ্ঞান সামান্যও নেই। সত্যযুগে দেবী-দেবতারা ছিল। কলিযুগে একজন দেবতাও নেই। তাহলে অবশ্যই পরমাত্মা মানুষ থেকে দেবতা তৈরী করেছিল। তাহলে বাবা এসে এমন কর্ম শেখান, যা মানুষ শিখে, দৈব-গুণ ধারণ করে দেবী-দেবতা হয়ে গেছে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা কি শেখাবে? ওরা তো উপর থেকে ওনার(ধর্মস্থাপকের) পরে আসবে। তাই ওরা কেবল পবিত্রতার জ্ঞান দিয়ে থাকে। খ্রাইস্ট যখন আসে তখন খ্রিস্টানরা তো কেউ থাকে না। উপর থেকে ওনার পরে আসে। বাবা বুঝিয়েছেন যে মুখ্য ধর্ম হলো ৪, যিনি ধর্ম স্থাপন করেন তার যে শাস্ত্র, তাকে বলা হয় ধর্মশাস্ত্র। তাহলে মুখ্য হলো ৪ ধর্ম। বাকি সব হলো ছোট-ছোট ধর্ম যা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ইসলাম ধর্মের নিজস্ব শাস্ত্র, বৌদ্ধদের নিজস্ব রয়েছে। তাহলে ধর্মশাস্ত্র কেবল এগুলোই। ব্রাহ্মণ-ধর্ম হলো এখনকার। ওরা(ভক্তরা) গায় ব্রাহ্মণ দেবতায় নমঃ….. তাহলে ওই ব্রাহ্মণদের বোঝাতে হবে যে পরমাত্মা এসে যখন ব্রহ্মার দ্বারা ব্রহ্মা মুখ-বংশাবলী রচনা করেন, তারাই হলো প্রকৃত ব্রাহ্মণ। তোমরা তো প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তানই নও। তোমরা কেবল নিজেদের ব্রাহ্মণ বলো, কিন্তু অর্থ জানো না। যখন ব্রহ্মা ভোজন খায় তখন সংস্কৃতে শ্লোক পাঠ করে ব্রহ্মার মহিমা গায়। বেকারই মহিমা করে। তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তোমরা ব্রাহ্মণ কিভাবে হলে! প্রথমে তো ব্রহ্মা চাই — যার দ্বারা পরমাত্মা সৃষ্টি রচনা করবে। তাহলে তোমরা হলে প্রকৃত ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণদের কেশ-শিখা দেখানো হয়, তাই না! আবার বিরাটরূপে ব্রাহ্মণদের দেখানো হয় না। তাহলে ব্রাহ্মণ কোথা থেকে এসেছে। তোমরা নিজেদের ব্রাহ্মণ বলো তাহলে যখন পরমাত্মা এসে ব্রহ্মার দ্বারা নতুন রচনা করেন তখন ব্রাহ্মণ হও, তারপর ব্রাহ্মণরাই দেবতা হয়। ব্রাহ্মণ হয়ই সঙ্গমে। কলিযুগে সকলেই শূদ্র। ব্রাহ্মণদের অনেক মহিমাও করা হয়। এ’সব কথা বাবা বোঝান। অল্ফ-বে (বাবা-বাদশাহী), বাকি হলো বিস্তার। ভক্তির বিষয়েও বোঝাতে হবে। বাবা বলে দেন যে তোমরা কি ভক্ত! এছাড়া বাবা কখনো ক্রোধাদি করেন না। বাবা তো বোঝাবেন তাই না! যদি বাচ্চারা ভুল করে তাহলে নাম কলঙ্কিত কার হবে? শিববাবার। সেইজন্য বাবা বাচ্চাদের কল্যাণার্থে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। মনে করো এঁনার(ব্রহ্মা) যদি কোনো ভুল হয়ে যায় তা শুধরে নেওয়াও ড্রামায় নির্দিষ্ট করা রয়েছে। তাতেও লাভই আছে, কারণ ইনি তো বড়(প্রথম) সন্তান, তাই না! সবের ভিত এঁনার উপরেই, এঁনার দ্বারা কোনো লোকসান হবে না। ইনি যখন বলছেন এ’ভাবে করো তখন করে দেওয়া উচিত। তাহলে লোকসান থেকেও লাভ বেরিয়ে আসবে। লোকসানের কোনো কথা নেই। প্রতিটি কথায় কল্যাণই কল্যাণ রয়েছে। অকল্যাণও ড্রামায় ছিল। ভুল তো সকলেরই হতে থাকবে। কিন্তু অন্তে যেকোনো অবস্থাতেই কল্যাণ হবেই কারণ বাবা কল্যাণকারী। সকলের কল্যাণ করতে হবে। সকলের সদ্গতি করে দেয়। এখন সকলেরই কয়ামতের (বিনাশের) সময়। সকলের মাথায় পাপের বোঝা রয়েছে তাই সকলের হিসেব-নিকেশ চুক্ত হবে। সাজা ভোগ করতেও দেরি লাগে না। সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয় তাহলে সেকেন্ডে সাজা ভোগ করতে পারো না কি! যেমন কাশী কলবটে হয়ে থাকে। শরীর মুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু এ’রকম নয় যে শিববাবার সঙ্গে গিয়ে মিলিত হয়েছে। না, কেবল পুরোনো পাপের হিসেব চুক্ত হলে তখন নতুন করে শুরু হয়ে যায়। মাঝখান থেকে কেউ ফিরে যেতে পারে না। যদিও জ্ঞান সেকেন্ডের কিন্তু পড়াশোনা তো করতে হবে। প্রত্যহ শিববাবার আত্মা যিনি জ্ঞানের সাগর, তিনিই এসে পড়ান। কৃষ্ণ তো দেহধারী। পুনর্জন্মে আসে। বাবা বাবা অজন্মা, যে পড়বে না সে তো অবশ্যই বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। যজ্ঞে বিঘ্ন তো আসবে। অবলাদের উপর অত্যাচার হবে। এ’সবকিছু হচ্ছে কল্পপূর্বের মতনই। অসুর কিভাবে গোলমাল করে, চিত্র ছিড়ে ফেলে, কোনো সময় আগুন লাগিয়ে দিতেও দেরি করে না। আমরা কি করবো। মনে-মনে ভাবে এ ভবিতব্য, বাইরে পুলিশ ইত্যাদিকে রিপোর্ট করতে হবে। মনে-মনে জানে যে কল্প-পূর্বেও যা হয়েছিল তাই হবে, এতে দুঃখের কোনো কথা নেই। লোকসান হয়েছে, ধোপার (বাবা) ঘর থেকে পালিয়ে যায়। তারপর অন্য কিছু হবে। বাবা বলে দিয়েছেন — যেখানে প্রদর্শনী ইত্যাদি করো সে’টা ৮ দিনের জন্য ইন্সিওরেন্স করে দাও। যদি কোনো ভাল মানুষ হয় তবে সে চার্জও নেবে না। ইন্সিওরেন্স না করলেও কি আর হবে। আবার ভাল-ভাল নতুন চিত্র তৈরী হয়ে যাবে। প্রতি পদক্ষেপে পদমগুণ উপার্জন। তোমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ, সেকেন্ড(সময়) অত্যন্ত মূল্যবান। তোমরা পদমপতি হয়ে যাও, ২১ জন্মের জন্য বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিয়ে নাও তাহলে কথ ভাল করে বোঝানো উচিত। ওখানে স্বর্গে তোমাদের কাছে অগণিত ধন থাকবে। গোনার কোনো কথাই নেই। তাহলে বাবা তোমাদের কত ধনবান সুখী করে দেন। উপার্জন অত্যধিক। প্রজাও কত ধনবান হয়। এ হলো ২১ জন্মের সোর্স অফ ইনকাম। এ হলো মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার পাঠশালা। পড়ায় কে ? বাবা। তাহলে এ’রকম পড়াশোনায় গাফিলতি করা উচিত নয়। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) সদা যেন স্মৃতি থাকে যে এই কল্যাণকারী যুগে প্রতিটি কথায় কল্যাণ নিহিত রয়েছে, আমাদের অকল্যাণ হতে পারে না। প্রতি কথায় কল্যাণ রয়েছে মনে করে সদা নিশ্চিন্ত থাকতে হবে।
২ ) সদা গোলাপ হওয়ার জন্য পড়ায় পুরোপুরি ধ্যান দিতে হবে। পড়ায় গাফিলতি করবে না। আকন্দ (কাঁটাযুক্ত) ফুল হয়ো না।
বরদানঃ-
যে যত সকলকে রিগার্ড দেয় ততই সে নিজের রেকর্ড ঠিক রাখতে পারে। অন্যদের সম্মান রাখা মানে নিজের রেকর্ড তৈরী করা। যেমন যজ্ঞে সহায়ক হওয়ার অর্থ সহায়তা প্রাপ্ত করা তেমনই সম্মান দেওয়াই হলো সম্মান প্রাপ্ত করা। একবার দেওয়া আর অনেকবার নেওয়ার অধিকারী হয়ে যাওয়া। যেমন বলা হয় ছোটদের স্নেহ আর বড়দের রিগার্ড দাও কিন্তু যে সকলকে বড় মনে করে রিগার্ড দেয়, সে সকলের স্নেহী হয়ে যায়। এরজন্য সব কথায় “প্রথমে আপনি”-র পাঠ পাকা করো।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!