08 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

May 7, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - নিজেকে জিজ্ঞাসা করো আমি কর্মেন্দ্রিয়-জিৎ হয়েছি, কোনও কর্মেন্দ্রিয় আমাকে ধোঁকা দেয় না তো !”

প্রশ্নঃ --

কর্মাতীত হওয়ার জন্য বাচ্চারা তোমাদের নিজের কাছে কোন্ প্রতিজ্ঞাটি করা উচিত ?

উত্তরঃ -:-

নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করো যে কোনও কর্মেন্দ্রিয় কখনও চলমান হতে পারবে না। আমাকে আমার কর্মেন্দ্রিয় গুলি বশ করতে হবে। বাবা যা নির্দেশ দিয়েছেন, সেসব পালন করতে হবে। বাবা বলেন – মিষ্টি বাচ্চারা, কর্মাতীত হতে হবে, তাই কোনও কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা বিকর্ম করবে না। মায়া খুব প্রবল। চোখ দুটি ধোঁকা দেয়, তাই নিজেকে সামলে রাখো।

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা, তোমরা আত্ম – অভিমানী হয়ে বসেছো? নিজেকে জিজ্ঞাসা করো, প্রতিটি কথা নিজেকে জিজ্ঞাসা করা উচিত। বাবা যুক্তি বলে দেন যে নিজেকে জিজ্ঞাসা করো আত্ম-অভিমানী হয়ে বসেছো ? বাবাকে স্মরণ করো? কারণ এ হল তোমাদের রূহানী সেনা অর্থাৎ আত্মিক সেনা। ওই সেনাবাহিনীতে কেবল যুবক ভর্তি হয়। এই সেনায় ১৪-১৫ বছরের যুবকও আছে তো ৯০ বছরের বৃদ্ধও আছে, ছোট বাচ্চারাও আছে। এই সেনাটি হল মায়াকে পরাজিত করার সেনা। প্রত্যেককে মায়ার উপরে জয় লাভ করে বাবার কাছে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে । কারণ মায়া খুব প্রখর। বাচ্চারা, নিজেরা জানে মায়া খুব বলশালী। প্রত্যেকটি কর্মেন্দ্রিয় খুব ধোঁকা দেয়। সবচেয়ে প্রথমে বেশিরভাগ সময় ধোঁকা দেয় কোন্ কর্মেন্দ্রিয়টি ? চোখ দুটিই সবচেয়ে বেশি ধোঁকা দেয়। নিজের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য কাউকে সুন্দর দেখলে আকৃষ্ট হবে। চোখ দুটি খুব ধোঁকা দেয়। ইচ্ছে হবে স্পর্শ করার। আত্মারূপী বাচ্চাদের বোঝানো হয় – সর্বদা বুদ্ধির দ্বারা এই কথা বুঝবে যে আমরা হলাম ব্রহ্মাকুমার- কুমারী ভাই-বোন, এতেই মায়া খুব গুপ্তভাবে ধোঁকা দেয়, তাই কর্মের চার্টে লেখা উচিত – আজ সারাদিন কোন্ কর্মেন্দ্রিয় গুলি আমাদের ধোঁকা দিয়েছে ? সবচেয়ে বড় শত্রু হল এই চোখ দুটি। অতএব এই রূপ লেখা উচিত – অমুককে দেখেছি, আমাদের দৃষ্টি সেই দিকে গেছে। সুরদাসের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়, তাইনা। নিজের চোখ দুটি নষ্ট করে দিল। নিজের পরীক্ষা করলে দেখবে চোখ দুটি বেশি ধোঁকা দেয়। নিজের স্ত্রী ব্যতীত অন্য সুন্দর স্ত্রী দেখলে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়। কেউ ভালো গান করে, কেউ ভালো শৃঙ্গার করে তো চোখ দুটি অবিলম্বে সেই দিকে চলমান হবে। তাই বাবা বলেন, এই চোখ খুব ধোঁকা দেয়। যদিও ভালো সার্ভিস করে কিন্তু চোখ দুটি ধোঁকা দেয়। এই শত্রুর প্রতি সতর্ক থাকবে। নাহলে আমরা নিজেরাই নিজেদের পদ ভ্রষ্ট করবো। যে বুদ্ধিমান বাচ্চারা আছে তাদের নিজের নিজের ডায়রিতে নোট করা উচিত – অমুককে দেখে আমার দৃষ্টি চলমান হয়েছে তখন নিজেই নিজেকে দন্ড দাও। ভক্তিমার্গেও পূজার সময় বুদ্ধি অন্য দিকে বিচরণ করলে নিজেদেরকে চিমটি দিয়ে সতর্ক করে। অতএব যখন এমন কোনো স্ত্রী সম্মুখে এসে যায় তখন এড়িয়ে চলা উচিত। দাঁড়িয়ে দেখা উচিত নয়। চোখ দুটি খুব ধোঁকা দেয় তাই সন্ন্যাসীরা চোখ বন্ধ করে বসে। স্ত্রীকে পিছনে, পুরুষকে সামনে বসানো হয়। অনেকে এমন আছে যারা স্ত্রীকে দেখেই না। বাচ্চারা, তোমাদেরকে তো অনেক পরিশ্রম করতে হবে। বিশ্বের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করা কম কথা নয়। তারা তো ১০, ১২, ২০ হাজার, এক-দুই, লক্ষ কোটি একত্র করে শেষ হয়ে যাবে। বাচ্চারা, তোমাদের তো অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। সব কিছু প্রাপ্তি হয়ে যায়। এমন কোনো জিনিস থাকে না যা প্রাপ্তির জন্য মাথা ঘামাতে হয়। কলিযুগের অন্ত এবং সত্যযুগের আদিতে রাত-দিনের তফাৎ আছে। এখানে তো কিছুই নেই।

এখন তোমাদের এই হল পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। পুরুষোত্তম শব্দটি অবশ্যই লিখতে হবে। মানুষ থেকে দেবতা করতে বেশী সময় লাগে না….। তোমরা হলে এখন ব্রাহ্মণ । মানুষ তো ঘোর অন্ধকারে আছে। অনেকে আছে যারা স্বর্গ দেখবে না। বাবা বলেন – বাচ্চারা, তোমাদের ধর্ম অনেক সুখ প্রদান করে। মানুষ তো জানেনা। ভারতবাসী ভুলে গেছে স্বর্গ কি জিনিস। খ্রিস্টানরাও বলে হেভেন ছিল। এই লক্ষ্মী-নারায়ণকে গড-গডেজ বলে, তাইনা। নিশ্চয়ই গড স্বয়ং এমন স্বরূপ প্রদান করেছেন। অতএব বাবা বোঝান – অনেক পরিশ্রম করতে হবে। রোজ নিজের কর্মের চার্ট দেখো। কোন্ কর্মেন্দ্রিয়টি আমাদের ধোঁকা দিয়েছে ? মুখও ধোঁকা দেয়। আগে কোর্ট বসানো হত। সবাই নিজের ভুল স্বীকার করতো। আমি অমুক জিনিস লুকিয়ে খেয়েছি। ভালো ঘরের কন্যারা বলে দিতো, এমন ভাবে মায়া আঘাত করে। লুকিয়ে খাওয়াও একপ্রকার চুরি। তাও শিববাবার যজ্ঞের থেকে চুরি – খুব খারাপ কাজ। এক টাকার চোর হলেও চোর, লাখ টাকার চোর হলেও চোর । মায়া নাক দিয়ে ধরে। এই স্বভাব খুব খারাপ। খারাপ স্বভাব থাকলে আমরা কি রূপ ধারণ করবো! স্বর্গে যাওয়া কোনো বড় কথা নয়। কিন্তু সেখানে পদ মর্যাদা তো আছে, তাইনা। কোথায় রাজা কোথায় প্রজা। কতখানি তফাৎ হয়ে যায় । সুতরাং কর্মেন্দ্রিয় গুলি খুব ধোঁকা দেয়। খুব সতর্ক থাকা উচিত। উঁচু পদের অধিকারী হওয়ার জন্য বাবার নির্দেশ অনুসারে পুরোপুরি চলতে হবে। বাবা নির্দেশ দেবেন মায়া মাঝে মাঝে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। বাবা বলেন – ভুলে যেও না, তা নাহলে শেষ সময়ে অনুশোচনা হবে। ফেল হওয়ার সাক্ষাৎকারও হবে। এখন তোমরা বলো আমরা নর থেকে নারায়ণ হবো। কিন্তু নিজেকে জিজ্ঞাসা করো, নিজের কর্মের চার্ট দেখাও। অনেকে আছে, যারা খুব কষ্ট করে বুঝে সেসব ব্যবহার করে। কিন্তু বাবা বলেন এর দ্বারা তোমাদের উন্নতি হবে। পুরো দিনের কর্মের চার্ট লেখা উচিত। এই চোখ দুটি খুব ধোঁকা দেয়। কাউকে দেখলে চিন্তন চলবে, অমুকে খুব ভালো, তারপর তা সাথে কথা বলতে চাইবে। ইচ্ছে হবে – কিছু উপহার দিতে, খাওয়াতে, এই সব চিন্তন চলতে থাকবে। বাচ্চারা বুঝতে পারে এতেই অনেক পরিশ্রম আছে। কর্মেন্দ্রিয়গুলি খুব ধোঁকা দেয়। রাবণ রাজ্য তাইনা। বাবা বলেন – সেখানে চিন্তার কোনো কথা থাকে না কারণ রাবণ রাজ্যই নেই। চিন্তার কথাই নেই। সেখানেও যদি চিন্তা থাকে তাহলে তো নরক আর স্বর্গে তফাৎ রইলো কোথায় ? তোমরা বাচ্চারা খুব-খুব উঁচু পদের অধিকারী হওয়ার জন্য ভগবানের কাছে পড়াশোনা কর। বাবা বোঝান – মায়া নিন্দে করায়। তোমরা অপকার করো, আমি উপকার করি। বাচ্চারা, তোমরা যদি কু দৃষ্টি রাখবে তাহলে নিজেরই ক্ষতি করবে। লক্ষ্য খুব উঁচু, তাই বাবা বলেন – নিজের কর্মের চার্ট (পোতামেল) লেখো। কোনো বিকর্ম কি করেছি ? কাউকে ধোঁকা দিয়েছি কি ? এখন বিকর্মজিত হতে হবে। বিকর্মাজিত এর সম্বৎ এর কথা কেউ জানেনা, কেবল তোমরা বাচ্চারাই জানো। বাবা বুঝিয়েছেন – বিকর্মজিত হয়ে তারপর ৫ হাজার বছর পার হয়ে গেছে, বিকর্ম করে বাম মার্গে যায়। কর্ম, অকর্ম, বিকর্ম শব্দগুলি তো আছে, তাইনা। মায়ার রাজ্যে মানুষ যা কর্ম করে, সেসব বিকর্মই হয়। সত্যযুগে বিকার থাকে না। তখন বিকর্মও হয় না। এই কথাও তোমরা জানো, কারণ তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত কর। তোমরা ত্রি-নেত্রী হয়েছো। অতএব ত্রিকালদর্শী, ত্রিনেত্রী রূপে পরিণত করেন বাবা। তোমরা ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়েছো তখন ত্রিকালদর্শী হয়েছো। সম্পূর্ণ ড্রামার রহস্য বুদ্ধিতে আছে। মূলবতন, সূক্ষ্মবতন, স্থূলবতন, ৮৪-র চক্র তারপরে অন্য ধর্ম বৃদ্ধি পায়। তারা সদগতি করতে পারে না। তাদের গুরুও বলা যাবে না। সর্বজনের সদগতি করেন একমাত্র বাবা। এখন সবারই সদগতি হবে। তাদের ধর্ম স্থাপক বলা হয়, গুরু নয়। ধর্ম স্থাপক ধর্ম স্থাপন করতে নিমিত্ত হয়। সদগতি করতে নয়। তাদের স্মরণ করলে সদগতি প্রাপ্ত হয় না। বিকর্ম বিনাশ হয় না। সেসব হল ভক্তি। অতএব বাবা বোঝান মায়া খুব প্রবল, এই নিয়েই যুদ্ধ। তোমরা হলে শিব শক্তি পাণ্ডব সেনা। তোমরা সবাই হলে পান্ডা। শান্তিধাম, সুখধামের রাস্তা বলে দাও। তোমরা হলে গাইড। তোমরা বলো – বাবাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে এবং অন্য দিকে যদি কোনো পাপ কর্ম করবে তো একশত গুণ পাপ জমা হবে। যত খানি সম্ভব কোনো বিকর্ম করা উচিত নয়। কর্মেন্দ্রিয় গুলি খুব ধোঁকা দেয়। বাবা প্রত্যেকের আচরণ দেখে বুঝতে পারেন। বাচ্চাদের সম্মুখে মায়ার অনেক ঝড় আসে। স্ত্রী-পুরুষ ভাবলেই ঝড় আসে। অতএব এই দুটি চোখের উপরে অধিকার থাকা উচিত। আমরা তো শিববাবার সন্তান। বাবার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা করে রাখী বেঁধে নেওয়ার পরেও মায়া ধোকা দেয়, তখন মুক্ত হতে পারে না। কর্মেন্দ্রিয় গুলি যখন বশীভূত হবে তখন কর্মাতীত অবস্থা হতে পারে। বলা তো সহজ আমরা লক্ষ্মী-নারায়ণ হবো কিন্তু তার জন্য বোধ চাই তাইনা। বাবা বলেন নির্দেশ গুলি পালন করো। বাবা-বাবা করতে থাকো। বাবার কাছে আমরা সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবো। এমন টিচার কখনও কোথাও পাবে না। এই সব কথা দেবতারাও জানবে না তো পরে আসা ধর্মের মানুষ কীভাবে জানবে। বাবা বলেন আমি যদি কিছু বলি তবু বুঝবে যে শিববাবা বলছেন। এমন ভেবো না ব্রহ্মাবাবা বলছেন। এই হল আমার রথ, ইনি কি করেন, বাচ্চারা তোমাদের রাজত্ব তো আমি প্রদান করি। এই রথ নয়। ইনি তো হলেন বেগার। ইনি বাবার কাছে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেন। যেমন তোমরা পুরুষার্থ কর ইনিও তেমনই করেন। ইনিও স্টুডেন্ট লাইফে আছেন। এই রথ লোনে নিয়েছি, তমোপ্রধান দেহ। তোমরা পূজ্য দেবতা হওয়ার জন্য, মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার জন্য পড়াশোনা করছো। কারো ভাগ্যে নেই তো বলে আমার সন্দেহ হয়, শিববাবা কীভাবে এসে পড়ান। আমি তো বুঝতে পারি না। বাবার স্মরণ ব্যতীত বিকর্ম বিনাশ হবে না। পুরো দন্ড ভোগ করতে হবে। এই রাজ্য স্থাপন হচ্ছে। রাজাদের অনেক দাসী থাকে। বাবা তো রাজাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দাসী তো পণ স্বরূপ দেওয়া হয়। এখানেই এত দাসী আছে তো সত্য যুগে কতগুলি থাকবে। এও রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। বাবা জানেন কি কি কর্ম করছে। প্রত্যেকের কর্মের চার্ট দেখে বাবা বলতে পারেন। এই সময় মৃত্যু হলে কি স্বরূপ ধারণ হবে! কর্মাতীত অবস্থাকে শেষে সবাই নম্বর অনুসারে প্রাপ্ত করবে। সুতরাং এই হল উপার্জন। মানুষ তো উপার্জন করতেই ব্যস্ত থাকে। খাবার খেতে থাকবে, কানে ফোন থাকবে। এমন মানুষ জ্ঞান অর্জন করে না। এখানে গরিব সাধারণ মানুষ ই আসে। ধনী মানুষ বলবে, সময় নেই। আরে, শুধু বাবাকে স্মরণ করো তো বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। অতএব বাবা মিষ্টি – মিষ্টি বাচ্চাদেরকে বার-বার বোঝান। প্রত্যেককে এই বার্তা শোনাতে হবে যাতে এমন একজনও কেউ না থেকে যায় যে বলবে আমরা জানি না শিববাবা এসেছেন। সারাদিন বাবা বাবা করতে থাকো। অনেক কন্যারা খুব স্মরণ করে। শিববাবা বললেই অনেক বাচ্চাদের ভালোবাসার অশ্রু বয়ে যায়। কবে গিয়ে দেখা করবো! দেখা না হয়ে থাকলে কষ্ট পায় আর যারা দেখেছে তারা মানতে চায় না। তারা দূরে বসে অশ্রু ঝরায়। ওয়ান্ডার তাই না। ব্রহ্মার সাক্ষাৎকার অনেকেরই হয়। ভবিষ্যতে অনেকের সাক্ষাৎকার হবে। মানুষ মরার সময় সবাই এসে বলে ভগবানকে স্মরণ করো। তোমরাও শিববাবাকে স্মরণ করো। বাবা বলেন – বাচ্চারা, পুরুষার্থ করে মেকাপ করে নাও। সময় পেলেই মেকাপ করো। উপার্জন তো বিশাল। অনেকে তো এমন আছে যতই বোঝাও, কিছু বোঝে না। বাবা বলেন, এমন হয়ো না। নিজের কল্যাণ করো। বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলো। তোমাদেরকে বাবা পুরুষদের মধ্যে উত্তম বানাচ্ছেন। এ হল মুখ্য উদ্দেশ্য। বাবা সার্ভিস করার জন্য অনেক যুক্তি বলে দেন। বার্তা তো সবাইকে শোনাতে হবে। তারা বুঝবে এরা কথা তো যথাযথভাবে সত্য বলছে। এই যুদ্ধের দ্বারা বিশেষভাবে ভারতে, সাধারণভাবে সম্পূর্ণ বিশ্বে সুখ-শান্তি স্থাপন হয়। এমন এমন লিফলেট সব ভাষায় প্রিন্ট করা উচিত। ভারত তো বিশাল তাইনা। প্রত্যেকের জানা দরকার – যাতে কেউ না বলতে পারে আমরা তো জানি না। তোমরা বলবে আরে, বিমান দ্বারা কাগজ ছড়ানো হল, খবরের কাগজে ছাপানো হল, তবু তোমরা জাগলে না। এও দেখানো হয়েছে। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) নিজের খারাপ স্বভাব যা আছে – সেসব পরীক্ষা করে দূর করবার পরিশ্রম করতে হবে। নিজের কর্মের সত্য চার্ট (পোতামেল) রাখতে হবে। বাবার নির্দেশ অনুসারে চলতে হবে।

২ ) এমন কোনও কর্ম করবে না, যাতে বাবার নাম খারাপ হয়। নিজের উন্নতির খেয়াল রাখতে হবে। একটুও কু দৃষ্টি যেন না থাকে।

বরদানঃ-

দেহ-অভিমানের ত্যাগ করলে অর্থাৎ দেহী-অভিমানী হলে বাবার সর্ব সম্বন্ধের, সর্ব শক্তির অনুভব হয়, এই অনুভবই হল সঙ্গমযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্য। বিধাতা দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া এই বিধিটি ব্যবহার করলে বৃদ্ধিও হবে এবং সর্ব সিদ্ধিও প্রাপ্ত হবে। দেহধারীর সম্বন্ধ বা স্নেহে তো নিজস্ব রাজমুকুট, সিংহাসন এবং নিজ প্রকৃত স্বরূপ ত্যাগ করেছ, তাহলে কি বাবার স্নেহে দেহ-অভিমানের ত্যাগ করতে পারবে না! এই একটি ত্যাগের দ্বারা সর্ব ভাগ্য প্রাপ্ত হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top