08 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

7 March 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এক বাবার প্রতিই সত্য প্রেম রাখো, তাঁর মতে চলো তাহলে বাকি সব মিত্র - সম্বন্ধী প্রমুখদের থেকে মমত্ব দূর হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

বাবা ছাড়া কোন্ শব্দ কোনো মানুষই বলতে পারে না ?

উত্তরঃ -:-

আমি, তোমাদের আত্মাদের বাবা তোমাদের পড়াতে এসেছি, আমি তোমাদের আমার সঙ্গে করে ফিরিয়ে নিয়ে যাবো । এমন কথা বলার ক্ষমতা বাবা ছাড়া আর কোনো মানুষের নেই । তোমরা নিশ্চিত যে – এই নতুন জ্ঞান নতুন বিশ্বের জন্য, যেই জ্ঞান স্বয়ং আত্মাদের পিতা আমাদের পড়ান, আমরা হলাম গডলী স্টুডেন্ট ।

গান:-

ভোলানাথের মতো নিরালা আর কেউ নেই…

ওম্ শান্তি । বাচ্চাদের সবসময় বাবাই দেন । এক বাবা হয় জগতের, যে তার ৫ থেকে ৮ টি সন্তানকে উত্তরাধিকার প্রদান করেন । আর অসীম জগতের পিতা অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রদান করেন । তিনি হলেন সকলের একমাত্র বাবা । লৌকিক বাবা তো অনেকেই আছেন । তাদের অনেক সন্তান হয়, কিন্তু ইনি হলেন সমস্ত বাচ্চাদের বাবা । ব্রহ্মা – বিষ্ণু – শঙ্করকেও বাবা বলা হবে না । শঙ্করের কার্যই হলো পৃথক । তিনি দাতা নন । নিরাকার বাবা একজনই, যাঁর থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় । তিনি হলেন পরমপিতা, তিনি মূলবতনে অনেক ঊর্ধে থাকেন । একথা বোঝার জন্য বড় যুক্তির প্রয়োজন, মিষ্টি বাণীরও প্রয়োজন । কাম হলো মহাশত্রু – একে জয় করতে হবে । এখন কন্যারা তো হলো স্বতন্ত্র । এমন অনেক মানুষ আছে যারা ব্রহ্মচর্যে থাকা পছন্দ করে । তারা বিকারী কুটুম্ব পরিবারে যেতে চায় না, তারা এমনই থেকে যায়, এতে কোনো মানা নেই । কন্যাদের সাথে কানাইয়া বাবা তো বিখ্যাত । কৃষ্ণ কিন্তু কন্যাদের বাবা নন । এরা তো হল ব্রহ্মাকুমারী । কৃষ্ণকুমারী হয় না । কৃষ্ণকে প্রজাপিতা বলা হয় না । এই যে কন্যারা, মাতারা, তাদের অনেক সহন করতে হয় কিন্তু হৃদয় স্বচ্ছ হওয়ার প্রয়োজন । বুদ্ধির যোগ যদি এক বাবার সঙ্গে ভালোভাবে জুড়ে থাকে তাহলে অনেকের থেকে ছিন্ন হতে পারে । দৃঢ় নিশ্চয় যেন থাকে যে, আমাকে এক বাবার হতে হবে । তাঁর মতে চলতে হবে । বাবা বুঝিয়েছেন যে, তোমরা নিজেদের পতিকেও বুঝিয়ে বলো যে, এখন কৃষ্ণপুরী স্থাপন হচ্ছে । কংসপুরী বিনাশের আয়োজন হচ্ছে । কৃষ্ণপুরীতে যদি যেতে হয় তাহলে বিকার ত্যাগ করতে হবে । কৃষ্ণপুরীতে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ নির্বিকারী হতে হবে । তোমাদের এখন নিজেরও এবং সেইসঙ্গে আমারও কল্যাণ করতে হবে, আর আমি আর তুমি দুজনেই এক ভগবানের সন্তান । তুমিও বলো যে, ভগবান আমার বাবা, তাহলে তো আমরা একে অপরের ভাই – বোন হলাম । এখন আমরা বিকারী হতে পারি না । ভারত যখন পবিত্র ছিলো, তখন সকলেই সুখী ছিলো, এখন তো সকলেই দুঃখী । সকলেই নরকে ধাক্কা খেতে থাকে । বাবা বলেন, তোমাদের দুই হাত আমার হাতে দিয়ে পবিত্র হয়ে স্বর্গে চলো । এখন আমরা কেন ২১ জন্মের উত্তরাধিকার হারিয়ে ফেলবো ? রোজ বোঝালে অস্থি নরম ( পূর্ব ধারণা ) হয়ে যাবে । কন্যারা তো স্বাধীন, কেবল তাদের সঙ্গ যেন খারাপ না হয় । এই অপবিত্র, ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে । বাবা বলেন – তোমরা পবিত্র হও, তাহলে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে । এমন যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে, এই বুদ্ধি হলো বিষ্ঠার পোকার তুল্য, তাই তাদের সামনে ভোঁ – ভোঁ করে নিজের সমান বানাতে হবে । শক্তি সেনাতে শক্তিও তো চাই, তাই না । বাচ্চাদেরও তো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, বাকি মোহ রাখা চলবে না । বুদ্ধির যোগ যেন একের সঙ্গেই থাকে । এইসব কাকা, মামা ইত্যাদি সকলেই এই ড্রামার অভিনেতা । এখন এই খেলা সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে, এখন ফিরে যেতে হবে । বিকর্মের হিসেব – নিকেশ শোধ করতে হবে । এই পুরানো দুনিয়ার সঙ্গে হৃদয়ের যোগ ছিন্ন করতে হবে । এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে । বাবা বলেন, তোমরা যদি শ্রীমতে চলো তাহলে স্বর্গের বাদশাহী পাবে । এই শ্রীমৎ হলো ভগবানের । এই রাজযোগের দ্বারা বরাবর রাজার রাজা হওয়া যায় । এই মৃত্যুলোক তো এখন শেষ হয়ে যাবে । তাহলে কেন না বাবার থেকে ২১ জন্মের সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নিয়ে নিই । স্টুডেন্ট মনে করে – আমরা যদি খুব ভালোভাবে পড়ি, তাহলে ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করবো । এখানে যদি খুব ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করো তাহলে স্বর্গে উচ্চ পদ পাবে । প্রিন্স – প্রিন্সেসই তো হওয়া উচিত, কিন্তু সবাই তো আর তা হবে না । প্রজা তো অনেকই তৈরী হয় । প্রদর্শনী দেখে ধীরে ধীরে অনেকেই প্রভাবিত হবে ।

তোমরা জানো যে, যে অভিনয় চলে আসছে, তা পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও চলেছিলো । বাবা বলেন, আমিও ড্রামার বন্ধনে আবদ্ধ । এই পার্ট ছাড়া আমি আর কিছুই করতে পারি না । এমন নয় যে, আমি স্বদর্শন চক্রের দ্বারা কারোর শির কেটে দেবো । বাচ্চারা, স্বদর্শন চক্রের অর্থও তোমাদের বোঝানো হয় । শাস্ত্রতে তো অনেক কথা লিখে দেওয়া হয়েছে । স্বদর্শন অর্থাৎ সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তকে জানা । স্ব অর্থাৎ আত্মার দর্শন হলো এই সৃষ্টিচক্রের যে বরাবর আমরা ৮৪ র চক্র সম্পূর্ণ করি । সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী… এখন চক্র সম্পূর্ণ হয়েছে । আবার নতুন চক্র শুরু হবে । এই চক্র হলো ভারতেরই । এখানে আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত ভারতবাসীদেরই পার্ট । ভারতের দুই যুগ পূর্ণ হয় । এই দুই যুগ যখন পূর্ণ হয়, তাকেই স্বর্গ বলা হয় । বাকি অন্য ধর্ম তো পরে আসে । তোমরা ওদের বলো, তোমাদের পূর্বে এখানে স্বর্গ ছিলো, নতুন দুনিয়া ছিলো, এখন হলো পুরানো দুনিয়া । তোমরা জানো যে, আদিতে ছিলো সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী । সেই রাজধানী যখন সম্পূর্ণ হয় তখন মধ্য হয়ে যায় । নতুন আর পুরানোর মাঝামাঝি । প্রথমে অর্ধেক কল্প ভারতই ছিলো । এই নাটক সম্পূর্ণ আমাদের উপরেই বানানো হয়েছে । আমরাই সেই শ্রেষ্ঠাচারী ডবল মুকুটধারী রাজা ছিলাম । আবার আমরাই এমন ভ্রষ্টাচারী হয়েছি, পূজ্য থেকে পূজারী, আর কেউই এমন কথা বলতে পারবে না । বোঝার জন্য এ কতো সহজ কথা । এই আত্মিক জ্ঞান সুপ্রীম আত্মা বাচ্চাদের দিচ্ছেন । তোমরা জানো যে, আমাদের মতো আত্মাদের বাবা জ্ঞান দান করছেন । বাবা বলেন যে, আমি আত্মাদের পড়াই । আমিই আত্মাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাবো, আর কারোরই এমন বলার শক্তি নেই । যদিও কেউ নিজেকে ব্রহ্মাকুমার – কুমারী বলে, বা এখানকার কিছু জ্ঞানও কপি করে নেয়, তবুও তারা যেতে পারে না । সত্য তো সত্যই, সত্য কখনো লুকানো যায় না । পরের দিকে অবশ্যই বলবে – অহো প্রভু, তুমি যা বলছো তা সত্য, বাকি সবই মিথ্যা । পরমপিতা পরমাত্মা হলেনই সত্য । তিনি হলেন নিরাকার । শিবরাত্রির অর্থও মানুষ বুঝতে পারে না । যদি কৃষ্ণের তনে আসেন, তাহলে বলবেন, আমি কৃষ্ণের তনে এসে জ্ঞান দান করি, এও হতে পারে না । এ হলো জ্ঞান, এতে খুব ভালোভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত । আমি গডলী স্টুডেন্ট, একথা যদি বুদ্ধিতে না থাকে, তাহলে বুদ্ধিতে কিছুই বসবে না । এ হলো তোমাদের অনেক জন্মের অন্তেরও অন্তিম জন্ম । এই মৃত্যুলোক এখন শেষ হতে হবে । তাই আমি এখন তোমাদের অমরপুরীর মালিক বানাতে এসেছি । সত্যনারায়ণের কথা অর্থাৎ নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জ্ঞান, এ কোনো কথা নয়, কথা পুরানো, প্রাচীনকে বলা হয় । এ হলো জ্ঞান । এইম অবজেক্টও এখানে বলা হয় । এ কলেজও । হিস্ট্রি – জিওগ্রাফিও পুরানো কথা হলো । অমুকে – অমুকে রাজত্ব করতো । বাবা এখন বলছেন, ড্রামাতে আমারও পার্ট আছে । ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা আর শঙ্করের দ্বারা বিনাশ । ওদের তো এই বম্ব ইত্যাদি বানাতেই হবে বিনাশের জন্য । যাদব, কৌরব, পাণ্ডবরা কি করবে । শাস্ত্রতে তো উল্টোপাল্টা লিখে দিয়েছে । যাদবদের জন্য ঠিকই লিখেছে যে, নিজের কুলের বিনাশ স্বয়ংই করেছে । বাকি পাণ্ডব, কৌরবদের হিংসক যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে । এ তো হয়ইনি । তোমাদের সঙ্গে আছে পরমপিতা পরমাত্মা । তিনি হলেন মূখ্য পাণ্ডা আর গাইড, তিনি পতিত পাবনও, আবার উদ্ধারকর্তাও । তিনি রাবণ রাজ্য থেকে মুক্ত করে রাম রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছেন । বাবা বলেন, এই রাবণ রাজ্য শেষ হয়ে, মুর্দাবাদ হওয়ার পর পাবন, শ্রেষ্ঠাচারী সত্যযুগী রাজ্য শুরু হবে । এ তোমরা বাচ্চারাই জানো আর কাউকে বোঝাতেও পারো, আর কেউই জানতে পারে না । ভক্তিমার্গের শাস্ত্র তো অনেকেই জানে । তারা মনে করে, ভক্তির দ্বারা ভগবানকে পেতে হবে । অর্ধেক কল্প হলো ভক্তি মার্গ । ভক্তির অন্তে জ্ঞানের সাগর এসে জ্ঞানের ইনজেকশন দেবেন । বাচ্চারা, তোমাদের পতিত পাবন, গড ফাদারলী স্টুডেন্ট লাইফ । পতিত পাবন অর্থাৎ সদগুরু । ও গড ফাদার অর্থাৎ পরমপিতা পরমাত্মা, আর তিনি আবার শিক্ষক রূপে রাজযোগ শেখান । এ কতো সহজ কথা । প্রথমে পতিত পাবন তো অবশ্যই লেখা উচিত । গুরু সবথেকে তীক্ষ্ণ হয় । মানুষ মনে করে, গুরু দুর্গতি থেকে মুক্ত করে সদগতি দান করেন । বাবা কতো ভালোভাবে বোঝান, কিন্তু এই কথা কারোর বুদ্ধিতে বসে না যে, আমরা ভগবানের সন্তান তাই আমাদের অবশ্যই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করা উচিত । বাবা বলেন – বাচ্চারা তোমরা রাবণকে জয় করো তাহলে জগৎজিৎ হয়ে যাবে । তোমাদের শ্রীমতে চলতে হবে । বাবা যেমন মিষ্টি, বাচ্চাদেরও তেমনই মিষ্টি হতে হবে । তোমাদের যুক্তির দ্বারা বোঝাতে হবে, ভবিষ্যতে বুঝতে পারবে । তোমাদের উপর বিশ্বাস করবে । তারা দেখবে যে, লড়াই তো লেগে গেছে, তাহলে বাবার থেকে উত্তরাধিকার কেন নেবো না । এমনিতে লড়াই ইত্যাদির সময় বিকারের কথা স্মরণে থাকে না । এমন কেউই বলবে না যে, বিনাশ হওয়ার পূর্বে একবার বিষের স্বাদ তো গ্রহণ করি । ওই সময় নিজেকে রক্ষায় সচেষ্ট হবে । জন্ম – জন্মান্তর ধরে কাম কাটারি চালানোর কারণে তোমাদের এমন অবস্থা হয়ে গেছে, তোমরা দুঃখী হয়ে গেছো । পবিত্রতার মধ্যেই সুখ আছে । সন্ন্যাসীরা পবিত্র থাকে, তাই তো তাদের পূজা করা হয়, কিন্তু এইসময় দুনিয়াতে অনেক ঠগী । প্রভু এবং মালিক (ধনী – ধণী) তো কেউই নেই । এখানে প্রজার উপর প্রজার রাজত্ব । স্বর্গে লক্ষ্মী – নারায়ণের কেমন এক নম্বর রাজ্য ছিলো । ভারতকে কি বলা হতো, এসব সবাই ভুলে গেছে । রুদ্রের মালা আছে, তারপর হলো বিষ্ণুর মালা । ব্রাহ্মণের মালা তো তৈরী হতে পারে না, কেননা উপর – নীচে উঠতে – নামতে থাকে । আজ পাঁচ বা ছয় নম্বরে, কাল দেখো আর নেই-ই । তারা তাদের উত্তরাধিকার থেকে, রাজত্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে যায় । বাকি রইলো প্রজা পদ । এখানে থেকেও যদি ছেড়ে দেয় তাহলে প্রজাতেও ভালো পদ পেতে পারবে না । খুব বেশী বিকর্ম হয়ে যায় । তোমাদের ভগবান পড়ান । এ কতো আশ্চর্যের কথা । নতুন দুনিয়ার জন্য এ হলো নতুন জ্ঞান । তোমরা নতুন বিশ্বের মালিক ছিলে, এখন পুরানো বিশ্বে কড়ি তুল্য । বাবা কড়ি তুল্যকে আবার হীরে তুল্য বানান । তোমরা কাঁটা থেকে ফুল তৈরী হচ্ছো । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের জন্য মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ – সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কোনো সম্বন্ধে মোহে আটকে যেও না । অন্তরের স্বচ্ছতা আর সত্যতায় নির্বন্ধন হতে হবে । বিকর্মের হিসাব শোধ করতে হবে ।

২ ) মধুর ভাষী আর যুক্তিপূর্ণ বাণীর দ্বারা সেবা করতে হবে । পুরুষার্থ করে খুব ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে ।

বরদানঃ-

শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থী সেই, যে সেকেণ্ডে নিয়ন্ত্রণের শক্তির দ্বারা ভুলকে সঠিকে পরিবর্তন করে দেয় । এমন নয় যে ব্যর্থকে কন্ট্রোল তো করতেই চাই, বুঝতেও পারি যে এটা ভুল, কিন্তু আধ ঘণ্টা পর্যন্ত সেটাই চলতে থাকে । একেই বলা হবে অল্প – অল্প অধীন আর অল্প – অল্প অধিকারী । যখন বুঝতে পারো যে, এ সত্য নয়, অযথার্থ বা ব্যর্থ, তখন সেই মুহূর্তেই তাতে ব্রেক দিয়ে দেওয়া – এটাই হলো শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থ । নিয়ন্ত্রণের শক্তির অর্থ এই নয় যে, এখানে ব্রেক দিলে আর সেই ব্রেক লাগলো অন্য জায়গায় ।

স্লোগানঃ-

*অমূল্য জ্ঞান রত্ন (দাদীদের পুরানো ডায়রী থেকে )*

এই পুরুষার্থের সময় প্রত্যেকের মধ্যেই কিছু না কিছু কমতি অবশ্যই থাকে, যা পূরণের জন্য প্রত্যেকেই পুরুষার্থ করে । কারোর মধ্যে ধৈর্যের গুণ নেই, আবার কারোর মধ্যে সহনশীলতার গুণ নেই বা আরো অন্য কোনো গুণ নেই, যা ধারণ করার জন্য নিজে মালিক হয়ে সেই গুণকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে । এমনিতে এই গুণ তাদের কাছে নিজে থেকে আকৃষ্ট হয়ে আসে না, মালিকের মধ্যে কমতি থাকার কারণে গুণ বলে, আমি কিভাবে মিত্রতা রাখবো, তার তো মালিকের প্রতি ভালোবাসা থাকে না, কিন্তু যে স্বয়ং মালিক হয়ে দাঁড়ায়, গুণও তাকে ভালোবাসে । জ্ঞানীর তো গুণই প্রিয় লাগে, তাই না । তারা গুণের নেশায় থাকে, সেই কারণেই তারা মালিককে আকৃষ্ট করে, কিন্তু এমন অবশ্যই হয় যে, স্বয়ং মালিক হয়ে স্থির থাকলে সেই গুণ নিজে থেকেই তার মধ্যে এসে যায় । তাই নিজের মালিক ভাবের প্রতি সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া চাই । অহম্ ( আমি ) আত্মা পরমাত্মার সন্তান, এই নিশ্চয় থাকলে সম্পূর্ণ দৈবী গুণও আসতে থাকবে । জ্ঞানের পয়েন্টস জানা, এতে সময় লাগে না, কিন্তু দৈবী গুণ ধারণ করাতেই সময় লেগে যায় । আচ্ছা – ওম্ শান্তি ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top