08 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
7 June 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - বিকর্ম থেকে বাঁচার জন্য কিছুক্ষণ পরে পরেই অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করো, এই অভ্যাসই তোমাদের মায়াজীত করে তুলবে, যোগ স্থায়ীভাবে জুড়ে থাকবে"
প্রশ্নঃ --
কোন্ নিশ্চয় পাক্কা হলে তবে যোগ ছিন্ন হবে না ?
উত্তরঃ -:-
সত্যযুগ এবং ত্রেতায় আমরা পবিত্র ছিলাম, দ্বাপর, কলিযুগে এসে পতিত হয়ে গেছি, এখন আবারও পবিত্র হতে হবে, এই নিশ্চয় পাক্কা হলে যোগ ছিন্ন হতে পারে না। মায়া হার খাওয়াতে পারবে না।
গান:-
যে পিয়ার (প্রিয়) সাথে আছে..
ওম্ শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা এই গানের অর্থ বুঝেছে। ঐ বৃষ্টির বিষয় নয়। ঐ যে সাগর বা নদী আছে তার কথাও নয়। ইনি হলেন জ্ঞানের সাগর, তিনিই এসে জ্ঞানের বর্ষা ঝরিয়ে থাকেন, তখনই অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর হয়ে যায়। এই বিষয়ে কারা বুঝে থাকে ? যারা নিজেদের ব্রহ্মাকুমার-কুমারী মনে করে। বাচ্চারা জানে যে আমাদের পিতা শিব, তিনি হলেন আমাদের অর্থাৎ সমস্ত বি.কে.দের দাদা এবং তিনি হলেন নিরাকার। যখন তোমাদের নিশ্চয় থাকে যে আমরা প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার এবং কুমারী সুতরাং এটা ভুলে যাওয়ার কথাই নয়। সমস্ত বাচ্চারাই পিয়ার সাথে আছে। এমন নয় যে শুধু তুমি আছ, মুরলী তো সবাই শুনবে। বাচ্চাদের জন্যই এই জ্ঞানের বৃষ্টি, যে জ্ঞানের দ্বারা গভীর অন্ধকারের বিনাশ হয়ে যায়। তোমরা জানো আমরা গভীর অন্ধকারে ছিলাম। এখন আলো পেয়ে সবকিছুই জানতে পারছ। পরমপিতা পরমাত্মার বায়োগ্রাফি তোমরা জানো। যারা শিববাবার বায়োগ্রাফি সম্পর্কে জানো না তারা হাত তোলো। সবাই পরমাত্মার জীবন কাহিনী জানে। তাও সেটা শুধুমাত্র এক জন্মের জন্য নয়। শিববাবার কত জন্মের বায়োগ্রাফি আছে ? তোমাদের জানা আছে ? তোমরা জানো এই ড্রামায় শিববাবার পার্ট কী ? তোমরা আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত ওঁনাকে এবং ওঁনার বায়োগ্রাফি সম্পর্কে জেনেছ। ভক্তি মার্গে যে যেমন ভাবনা নিয়ে ভক্তি করে তার ফল আমাকেই প্রদান করতে হয়। মূর্তি তো চৈতন্য নয়, সুতরাং আমিই সাক্ষাৎকার করিয়ে থাকি। তোমরা জানো অর্ধকল্প ধরে ভক্তি মার্গ চলে। ভক্তির মনোকামনা পূর্ণ হয়েছে, এখন আবারও বাবার বাচ্চা হয়েছে সুতরাং ওরা তো অবশ্যই উত্তরাধিকার পাবে। বাবা বাচ্চাদের উত্তরাধিকার দেবেন, এটাই নিয়ম। তোমাদের মুখ এখন সদ্গতির দিকে। তোমরা মূলবতন, সূক্ষ্ম বতন, স্থূলবতনকে জানো। অসীমের এই ড্রামার মুখ্য অ্যাক্টর্স কারা। তিনি হলেন ক্রিয়েটার এবং ডাইরেক্টর এবং তিনি করণকরাবনহার। তিনি ডায়রেকশন দেন, পড়াশোনাও করান। তিনি বলেন আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাতে এসেছি। এও কর্ম করাই তো হল, তাই না ? আর করাইও। অর্ধকল্প ধরে তোমরা মায়ার বশীভূত হয়ে অসত্য কর্তব্য করে এসেছ। এ হল হার-জিতের খেলা। মায়া তোমাদের অসত্য কর্তব্য করিয়ে এসেছে। অসত্য কর্তব্য করার জন্য ভগবান কীকরে বলতে পারেন ? ভগবান বলেন আমি একজনই, যিনি সবাইকে সৎ কর্ম করাতে শেখান। এখন সবকিছুরই বিনাশের সময়। সবাইকে কবর থেকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এখানে সবাই কবরস্থ হয়ে আছে। বাবা এসে জাগিয়ে তোলেন। মৃত্যু সামনে অপেক্ষা করছে। শিববাবা ব্রহ্মা তনের দ্বারা আমাদের সবকিছু বোঝাচ্ছেন। তোমরা সবার বায়োগ্রাফি, এমনকি শিববাবার বায়োগ্রাফি সম্পর্কেও জানো। সুতরাং উচ্চ স্থান হলো না ! যে অনেক শাস্ত্র অধ্যয়ন করে, তার সামনে যারা শাস্ত্র অধ্যয়ন করেনি তারা মাথা নত করে। তোমাদের মাথা নত করতে হবে না। খুব সহজ কথা। বাচ্চারা জানে আমরা মূলবতন, শান্তিধামের নিবাসী হব, তারপর সুখধামে যাব। এখন আমরা প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার কুমারী। আমরা এখন শিববাবার দৌহিত্র (নাতি)। শিববাবাকে স্মরণ করলে আমরা সুখের উত্তরাধিকার পাব। বাচ্চারা তোমাদের নিশ্চয় আছে যে আমরা পবিত্র ছিলাম তারপর পতিত হয়ে গেছি এখন আবারও পবিত্র হতে হবে। যদি নিশ্চয় না থাকে যোগযুক্ত হতে পারবে না, পদও পাবে না। পবিত্র জীবন কত সুন্দর তাইনা। কুমারীদের কত সম্মান, কেননা এই সময় তোমরা কুমারীরা অনেক সার্ভিস কর তাইনা। এখন তোমরা পবিত্র থাকো, এই পবিত্রতাকেই ভক্তি মার্গে পূজা করা হয়। এই দুনিয়া বড় নোংরা, কিচকের কাহিনী আছে না ? মানুষের বিচার বড় নোংরা, তাকেই কিচক বলা হয়, সেইজন্যই বাবা বলেন খুব সতর্ক হতে হবে। এই দুনিয়া হলো দুর্গন্ধযুক্ত কাঁটার। তোমাদের তো অতীব খুশি হওয়া উচিত যে, আমরা শান্তিধামে গিয়ে তারপর সুখধামে যাব। আমরা সুখধামের মালিক ছিলাম আবার চক্র ঘুরে আসছি। এই বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস থাকা উচিত। অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে, নয়তো মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, যোগ ছিন্ন হয়ে যাবে, বিকর্ম বিনাশ হবেনা। কত পুরুষার্থ করতে হবে স্মরণে থাকার জন্য। স্মরণেই এভার- হেল্দী হতে পারবে। যতখানি সম্ভব অশরীরী হয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। আমরা আত্মাদের পিতা পরমপিতা পরমাত্মা আমাদের পড়াচ্ছেন। তিনি কল্পে-কল্পে এসে পড়ান এবং রাজত্বের ভাগ্য প্রদান করেন। তোমরা যোগবলের দ্বারা নিজেদের রাজধানী স্থাপন করে থাকো। রাজা রাজত্ব করে, সেনা রাজ্যের জন্য লড়াই করে। এখানে তোমরা নিজেদের জন্য পরিশ্রম করছ, বাবার জন্য নয়। আমি রাজত্ব ভোগ করিনা। আমি তোমাদের রাজত্ব দেওয়ার জন্য যুক্তি বলে দিই। তোমরা সবাই এখন বাণপ্রস্থে, সবারই মৃত্যুর সময়। এখানে ছোট-বড়র কোনো হিসেব নেই। এমনটা মনে করবে না যে ছোট বাচ্চা হলে বাবার উত্তরাধিকার পাবে। এই দুনিয়াই থাকবে না যে পাবে। মানুষ ঘোর অন্ধকারে ডুবে আছে। প্রচুর পয়সা রোজগার করার ইচ্ছা থাকে, ওরা মনে করে আমার নাতি-নাতনিরা ভোগ করবে। কিন্তু ইচ্ছা কারো পূর্ণ হবে না। এ’সবই মাটিতে মিশে যাবে। এই দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে। একটা বোমার বিস্ফোরণেই সব শেষ হয়ে যাবে। কেউ বের করতে পারবে না। এখন তো সোনার খনি সবই খালি হয়ে গেছে। নতুন দুনিয়াতে আবার সব ভরপুর হয়ে যাবে। নতুন দুনিয়াতে সবকিছুই নতুন পাবে। এখন ড্রামার চক্র সম্পূর্ণ হতে চলেছে, আবার নতুন করে শুরু হবে। রোশনাই এসে গেছে। গাওয়াও হয়ে থাকে জ্ঞান সূর্যের প্রকাশে, অজ্ঞান অন্ধকারের বিনাশ হয়। এখানে ঐ সূর্যের কথা নয়, মানুষ তো সূর্যকে জল দিয়ে থাকে। সূর্য তো সম্পূর্ণ দুনিয়াতে জল পৌঁছে দেয়। তাকেই আবার জল প্রদান করে, অদ্ভুত এই ভক্তি! তারপর বলে থাকে সূর্য দেবতায় নমঃ, চন্দ্র দেবতায় নমঃ। ওরা দেবতা কি করে হবে ? এখানে তো মানুষ অসুর থেকে দেবতা হয়ে ওঠে। ওদের দেবতা বলতে পার না। ওরা সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র। সূর্যেরও পতাকা লাগিয়ে থাকে। জাপানে সূর্য বংশী বলা হয়। বাস্তবে জ্ঞান সূর্য বংশীয় তো সবাই। কিন্তু নলেজ নেই। কোথায় ঐ সূর্য, কোথায় এই জ্ঞান সূর্য। এখানে সায়েন্সের দ্বারা অনেক কিছু আবিষ্কার হয়, কিন্তু কি লাভ হয় ? কিছুই না। বিনাশ তো হবেই। বিচক্ষণ যারা তারা জানে যে এই সায়েন্সের দ্বারা নিজেরই বিনাশ করে থাকে। ওদের হচ্ছে সায়েন্স আর তোমাদের সাইলেন্স। ওরা সায়েন্সের দ্বারা বিনাশ ঘটায়, তোমরা সাইলেন্সের শক্তির দ্বারা স্বর্গ স্থাপনা করে থাকো। এখন এই নরকে সবার নৌকা ডুবে আছে। ঐ দিকে উদ্ধারকারী সেনা, এইদিকে তোমরা যোগবলের সেনারা রয়েছো। তোমরা হলে উদ্ধারকারী সেনা। তোমাদের উপরে কতো দায়িত্ব, সুতরাং সম্পূর্ণ সহযোগী হতে হবে। এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে। এখন তোমরা ড্রামাকে বুঝেছ। এখন সঙ্গমের সময়। বাবা তরী পার করতে এসেছেন। তোমরা জানো রাজধানী সম্পূর্ণ স্থাপন হবে এবং তারপর বিনাশ হবে। মাঝে-মাঝেই এর রিহার্সাল হতে থাকবে। লড়াই তো লেগেই থাকে। এটা হচ্ছে ছিঃছিঃ দুনিয়া, তোমরা জানো বাবা আমাদের সুন্দর সুন্দর ফুলের দুনিয়াতে নিয়ে যাচ্ছেন। এই পুরানো শরীর ছাড়তে হবে আর নতুন পোশাক(শরীর) পরিধান করতে হবে। বাবা গ্যারান্টি দিয়ে বলেন আমি কল্পে-কল্পে এসে সবাইকে নিয়ে যাই, সেইজন্যই আমার নাম কালেরও কাল মহাকাল নাম রাখা হয়েছে। পতিত-পাবন, রহমদিলও বলা হয়।
তোমরা জানো আমরা স্বর্গে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছি, শ্রীমৎ অনুসারে। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করলে আমি তোমাদের স্বর্গে পাঠিয়ে দেবো, শরীর নির্বাহের জন্য কর্মও করতে হবে। কর্ম ছাড়া কেউ-ই থাকতে পারে না। কর্ম সন্ন্যাস তো হয়না। স্নান ইত্যাদি করা এও তো কর্ম তাইনা। শেষে গিয়ে সবাই সম্পূর্ণ জ্ঞান নেবে, মনে করবে এরা যে বলছে শিববাবা পড়ান, এটা ঠিক। নিরাকার ভগবানুবাচ – তিনি তো একজনই সেইজন্যই বাবা বলেন সবাইকে জিজ্ঞাসা করো নিরাকার শিবের সাথে তোমাদের কি সম্বন্ধ ? সবাই যখন ব্রাদার্স তখন ব্রাদার্সের তো পিতা থাকবেন তাইনা। তা না হলে তারা কোথা থেকে এসেছে। গানও গেয়ে থাকে তুমিই মাতা-পিতা….। এ হচ্ছে বাবার মহিমা, বাবা বলেন আমিই তোমাদের শিখিয়ে থাকি। তারপর তোমরা বিশ্বের মালিক হও। এখানে বসেও শিববাবাকে স্মরণ করতে হবে। এই চোখ দিয়ে তো শরীরকে দেখো, বুদ্ধি দিয়ে জানো যে আমাদের শিববাবা পড়াচ্ছেন। যে বাবার সাথে আছে তার জন্যই এই রাজযোগ আর জ্ঞানের উত্তরাধিকার। পতিতদের পবিত্র করে তোলা – এটাই বাবার কর্তব্য। তিনিই জ্ঞানের সাগর, তোমরা জানো আমরা শিববাবার পৌত্র, ব্রহ্মার সন্তান। ব্রহ্মার পিতা শিব, তিনিও শিববাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার পান। তাঁকেই স্মরণ করতে হবে। এখন আমাদের বিষ্ণুপুরীতে যেতে হবে। এখান থেকে তোমাদের নোঙর উঠে গেছে। শূদ্রদের নৌকা দাড়িয়ে আছে। তোমাদের নৌকা চলতে শুরু করেছে। এখন তোমরা সরাসরি ঘরে ফিরে যাবে। পুরানো কাপড় এখানেই ছেড়ে যেতে হবে। এখন এই নাটক শেষ হতে চলেছে, এখন কাপড় (শরীর) ছেড়ে ঘরে যাব। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) কখনও অসৎ কর্ম করা উচিত নয়, মৃত্যু সামনে অপেক্ষা করছে, প্রলয়ের সময় এখন। সেইজন্যই সবাইকে কবর থেকে জাগিয়ে তুলতে হবে। পবিত্র হওয়া এবং পবিত্র করে তোলার সেবা করতে হবে।
২ ) এই ছিঃ ছিঃ দুনিয়ার প্রতি কোনো ইচ্ছা রাখা উচিত নয়। সবার ডুবে যাওয়া নৌকাকে উদ্ধারের জন্য বাবার কাজে সম্পূর্ণ সহযোগী হতে হবে।
বরদানঃ-
বাবার দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া সব খাজানায় (সম্পদ) যোগের প্রয়োগ করো। খাজানার খরচ কম হোক আর প্রাপ্তি অধিক হোক – এই হলো প্রয়োগ। যেমন সময় এবং সংকল্প হচ্ছে শ্রেষ্ঠ খাজানা। সুতরাং সংকল্পের খরচ কম হয়ে প্রাপ্তি যেন অধিক হয়। যে সাধারণ ব্যক্তি দুই-চার মিনিট ভাবার পরে সফলতা প্রাপ্ত করে সেটা তোমরা এক -দুই সেকেন্ডের মধ্যেই করে নাও। কম সময়ে, কম সংকল্পের রেজাল্ট অধিক হলে তবেই বলা হবে – যোগের প্রয়োগকারী সফল তপস্বী।
স্লোগানঃ-
মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য –
কাঁটার দুনিয়া থেকে ফুলের ছায়ায় নিয়ে চলো, এখন শুধুই পরমাত্মার প্রতি এই আহ্বান করা হচ্ছে। যখন মানুষ অতি দুঃখী হয়ে পড়ে তখন পরমাত্মাকে স্মরণ করে বলে, পরমাত্মা এই কাঁটার দুনিয়া থেকে ফুলের ছায়ায় নিয়ে চলো, এর থেকে প্রমাণ হয় যে নিশ্চয়ই ঐ রকম কোনো দুনিয়া আছে। এখন এটা তো সব মানুষই জানে যে এখন যে সংসার সেটা কাঁটাতে ভর্তি। যে কারণে মানুষ দুঃখ আর অশান্তি ভোগ করছে আর স্মরণ করছে ফুলের দুনিয়াকে। নিশ্চয়ই তবে ঐ রকম কোনো দুনিয়া আছে যে দুনিয়ার সংস্কার আত্মার মধ্যে ভরা আছে। এখন আমরা তো জানি যে দুঃখ অশান্তি এ’সবই হলো কর্মবন্ধনের হিসেব-নিকেশ। রাজা থেকে ভিখারী প্রতিটি মানুষ এই হিসেবের মধ্যে জড়িয়ে আছে সেইজন্যই পরমাত্মা স্বয়ং বলেন এখন কলিযুগের সংসার, সুতরাং সমস্ত কর্মবন্ধন তৈরি হয়েছে এর আগে ছিল সত্যযুগের সংসার যাকে ফুলের দুনিয়া বলা হয়। ওটা হল কর্মবন্ধন রহিত জীবনমুক্ত দেবী-দেবতাদের রাজ্য, যা এখন নেই। এখন এই যে আমরা জীবনমুক্ত বলছি, এর অর্থ এই নয় যে আমরা দেহ থেকে মুক্ত ছিলাম, ওদের কোনো দেহের চেতনা ছিল না, দেহে থেকেও দুঃখ ভোগ করতে হতো না, কারণ ওখানে কোনো কর্মবন্ধনের ব্যাপার নেই। তারা জীবন গ্রহণ করে, জীবন ত্যাগ না করা পর্যন্ত আদি মধ্য অন্ত সুখ ভোগ করত। সুতরাং জীবনমুক্তির অর্থ হলো জীবনে থেকেও কর্মাতীত, এখন এই সম্পূর্ণ দুনিয়া ৫ বিকারে পুরোপুরি জড়িয়ে আছে, অর্থাৎ ৫ বিকারই পুরোপুরি ভাবে বাস করছে, কিন্তু মানুষের মধ্যে এতো শক্তি নেই যে এই ৫ ভূতকে জয় করতে পারে, তবেই তো পরমাত্মা স্বয়ং এসে এই ৫ ভূতের থেকে ছাড়িয়ে ভবিষ্যতের প্রালব্ধ দেবী-দেবতা পদ প্রাপ্ত করান। আচ্ছা – ওম্ শান্তি।
নোট : কিচকের কাহিনী – অজ্ঞাতবাস কালে সৌরেন্দ্রীর (দ্রৌপদী) ওপরে কুদৃষ্টি রাখার কারণে ভীমসেনের হাতে বধ হতে হয়েছিল কিচককে।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!