08 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
7 July 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - সমগ্র দুনিয়ায় তোমাদের মতো সৌভাগ্যবান কেউ নয়, তোমরা হলে রাজঋষি, তোমরা রাজত্বের জন্য রাজযোগ শিখছো"
প্রশ্নঃ --
নিরাকার বাবার মধ্যে কোন্ সংস্কার রয়েছে, যা সঙ্গমযুগে তোমরা ধারণ করে থাকো ।
উত্তরঃ -:-
নিরাকার বাবার মধ্যে জ্ঞানের সংস্কার রয়েছে, তিনি তোমাদেরকে জ্ঞান শুনিয়ে পতিত থেকে পবিত্র বানিয়ে দেন। সেই কারণে ওঁনাকে জ্ঞানের সাগর, পতিত পাবন বলা হয় । তোমরা বাচ্চারাও এখন সেই সংস্কার ধারণ করতে থাকো। তোমরা নেশার সাথে বলে থাকো যে, আমাদেরকে ভগবান পড়ান। আমরা ওঁনার থেকে শুনে অন্যদেরকে শোনাই।
গান:-
অবশেষে সেই দিন এল আজ..
ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চারা (রুহানী) এই গীত শুনল। এই মহিমা কার ? একমাত্র বাবার। শিবায় নমঃ ; উচ্চ থেকে উচ্চ তো ভগবান, তাই না ! বাচ্চারা জানে যে, তিনি হলেন আমাদের বাবা। এমন নয় যে, আমরা সবাই বাবা। এ’কথা প্রসিদ্ধও আছে যে, সমগ্র দুনিয়া হল ব্রাদারহুড।সন্ন্যাসী অথবা বিদ্বানদের বক্তব্য অনুসারে ঈশ্বর সর্বব্যাপী বলে দিলে যেমন ফাদারহুড হয়ে যায়। ব্রাদার হওয়ার ফলে বাবার থেকে উত্তরাধিকার নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়ে যায়। ফাদারহুড হলে তবে তো উত্তরাধিকারের ব্যাপারই নেই। বাচ্চারা জানে যে, আমরা সব আত্মাদের বাবা হলেন সেই একজন। ওঁনাকে বলা হয় ওয়ার্ল্ড গড ফাদার। ওয়ার্ল্ডে কারা রয়েছে ? সব ব্রাদার্স, আত্মারা রয়েছে। সকলের গড ফাদার একজনই। সেই বাবারই সকলে প্রার্থনা করে। সেই এক এরই বন্দনা বা পূজা করা হয়। সেটা হল সতোপ্রধান পূজা। এও বোঝানো হয়েছে – জ্ঞান – ভক্তি আর বৈরাগ্য। বাবা জ্ঞান প্রদান করেন সদ্গতির জন্য। সদ্গতি বলা হয় জীবন – মুক্তি ধামকে। এটা আত্মাকে বুদ্ধিতে ধারণ করতে হবে। আমাদের প্রকৃত গৃহ হল শান্তিধায। তাকে মুক্তিধাম, নির্বাণধামও বলা হয়। সব থেকে ভালো নাম হল – শান্তি ধাম। এখানে তো অরগ্যান্স থাকার কারণে আত্মা টকিতে থাকে, কথা বলতে হয়। সূক্ষ্মলোকে হল মুভি। ইশারাতে সেখানে কথা হয়, আওয়াজ হয় না । তিন লোককে তোমরা জেনে গেছ। মূল বতন, সূক্ষ্ম বতন, স্থূল বতন, তোমাদের বুদ্ধিতে এগুলো খুব ভালো ভাবে বসে গেছে। মনুষ্য সৃষ্টির বিষয়ে বলা হয়ে থাকে যে, সৃষ্টি আবর্তিত হয়। একে বলা হয় ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি জিওগ্রাফি। মানুষই তো সেটাকে জানবে, তাই না ! ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি জিওগ্রাফি বলা হয়ে থাকে । বাবা হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ । ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি জিওগ্রাফি কীভাবে রিপিট হয়, সে’কথা তো তিনিই জানবেন। এই চক্রকে জানার ফলেই তোমরা চক্রবর্তী রাজা হয়ে গেছিলে। গাওয়াও হয়, দেবতারা হলেন সম্পূর্ণ নির্বিকারী । লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র রয়েছে না ? দেবতারা হলেন সম্পূর্ণ নির্বিকারী আর মানুষ নিজেকে বলে সম্পূর্ণ বিকারী। সত্যযুগে হল সম্পূর্ণ নির্বিকারী বা সম্পূর্ণ পবিত্র। এ তো ভারতেই কথা। এ’কথা বাবাই এসে বুদ্ধিতে বসান, আর কেউই এ’ সব কথা জানে না। মানুষ তো সত্যযুগের সময়কাল অনেক লম্বা বলে দিয়েছে। মানুষ মনে করে লক্ষ বছর পূর্বে সত্যযুগ ছিল। অতএব কারো বুদ্ধিতে এ’সব কথা আসেই না।
এখন বাচ্চারা জানে যে – আমরা এখন সম্পূর্ণ বিকারীর থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্বিকারী বানাচ্ছি। সম্পূর্ণ পতিত থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র হতে হবে । বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান যে, আত্মাতেই খাদ পড়ে রয়েছে, গোন্ডেন এজ থেকে এখন আয়রন এজের হয়ে গেছে। এটা আত্মার সাথে তুলনা করেই বলা হয়। এটা খুব ভালো ভাবে বুঝতে হবে। তোমরা বাচ্চারা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। তোমাদের মতো সৌভাগ্যবান আর কেউই নয়। এখন তোমরা রাজযোগে বসে আছো, রাজঋষি তোমরা। রাজা হওয়ার জন্য কোথাও পড়ানো হয় নাকি ? ব্যারিস্টার বানানো হবে, কিন্তু বিশ্বের মহারাজা কে বানাবে ? বাবা ছাড়া আর কেউই বানাতে পারে না। এখানে তো মহারাজা কেউ নেই। সত্যযুগের জন্য তো অবশ্যই প্রয়োজন। তার জন্য তো কাউকে আসতেই হবে। বাবা বলেন, আমি তখনই আসি যখন ভক্তি সম্পূর্ণ হয়। এখন ভক্তি সম্পূর্ণ হয়েছে আর কোনো কথা এর মধ্যে ওঠারই নয়। আমাদেরকে বাবা বসে পড়ান – এই নেশা থাকা উচিত। আমরা আত্মাদেরকে নিরাকার বাবা পরমপিতা পরমাত্মা শিব পড়ান। শিবকে তো কেউ জানেই না। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো যে, বাবা পুনরায় স্বর্গের রাজত্ব স্থাপন করছেন। আমরা তাঁদেরকে মহারাজন শ্রী নারায়ণ আর মহারানী শ্রীলক্ষ্মী বলি। ভক্তি মার্গে সত্য-নারায়ণের কথকতা হয়, অমরকথা, তিজরীর কথা। বাবা তো তৃতীয় নেত্রও প্রদান করেন। নর থেকে নারায়ণ হওয়ার কথা তিনি শোনান। সেই সব কথাই যখন পাস্ট হয়ে যায়, সে’সব তখন ভক্তি মার্গে কাজে আসে। এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পারো যে, বাবা আমাদেরকে স্বর্গের মালিক বানান, আমরা হলাম তার অধিকারী। ভগবান তো স্বর্গের রচয়িতা, তাই না ? আমরা হলাম ভগবানের সন্তান, আমরা স্বর্গে নেই কেন ! কলিযুগে কেন পড়ে আছি ? পরমপিতা পরমাত্মা তো দুনিয়া রচনা করেন। তিনি কী কখনো পুরানো দুনিয়া রচনা করবেন ? আগে তো নতুন দুনিয়াই বানাবেন। তার পরে পুরানোটিকে ভাঙবেন। তোমরা জানো যে, আমরা সত্যযুগের জন্য রাজত্ব নিচ্ছি। সত্যযুগে কারা থাকবে ? এই লক্ষ্মী-নারায়ণের ডিনায়েস্টি থাকবে, আরও অনেক রাজা রাজরারা থাকবে। যার নিদর্শন হল বিজয় মালা। বাচ্চারা জানে এখন আমরা বিজয় মালাতে গাঁথা হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছি। জগতে মালার অর্থ কেউই জানে না যে, কেন মালা পূজিত হয়ে থাকে, উপরে যে ফুল সেটা কে ? মালা জপ করতে করতে এসে ফুলকে নমস্কার করে তারপর আবার মালা জপ করে কেন ? বসে বসে মালা জপ করে যাতে অন্য কোনো দিকে বাইরে মন না যায়। ভিতরে ভিতরে রাম – রাম এর ধুন লাগায়, বাজনা বাজানোর মতো। খুব প্র্যাক্টিস করে। এ সবই হল ভক্তি মার্গের সব কথা। তবে হ্যাঁ, অত্যন্ত ভক্তি যারা করে, তারা কোনো বিকর্ম করবে না। অত্যন্ত ভক্তি যারা করে তাদের প্রতি মানুষ এই শ্রদ্ধা রাখে যে, ইনি অত্যন্ত সত্যবাদী। মন্দিরে মালা রাখা হয়, মালা জপ করতে করতে মুখে রাম – রাম বলতে থাকবে। অনেকেই মনে করে ভক্তিতে পাপ হয় না। বলা হয নবধা ভক্তির দ্বারা মানুষ মুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু হয় কিছুই না। এ হল একটা সৃষ্টি রূপী নাটক। তাতে সতোপ্রধান, সতো, রজো, তমো’তে সকলকেই আসতেই হয়। একজনেরও ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। যেমন উপরে জায়গা খালি হয়ে যাবে তেমনি এখানেও জায়গা খালি হয়ে যাবে। দিল্লির আশেপাশে, মিষ্টি নদীর ধারে রাজধানী হবে। সমুদ্রের দিকে হবে না। এই বম্বে ইত্যাদি থাকবে না। এটা তো পূর্বে জেলেপাড়া ছিল। জেলেরা এখানে থাকত। এখন তো সমুদ্রকে অনেকখানি শুকিয়ে ফেলেছে। তাও জেলেপাড়াই তো হবে। সত্যযুগে তো বম্বে থাকবে না। সেখানে কোনো পাহাড় পর্বতও থাকবে না। কোথাও যাওয়ার দরকারই হবে না। এখানে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়লে রেস্ট নেয়। সত্যযুগে ক্লান্ত হয়ে পড়ার মতো কোনো পরিশ্রমের কাজই হবে না, তোমরা তখন স্বর্গবাসী হয়ে যাও। এতটুকুও কষ্ট হয় না। অতএব এখন বাচ্চাদের বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে।
বাবা বলেন – মিষ্টি আদরের বাচ্চারা, শরীর নির্বাহের জন্য কাজকর্ম করতে থাকো। স্কুলে স্টুডেন্ট পড়াশোনা করে তারপর বাড়িতে ফিরে আবার পড়াশোনা করে। ঘরের কাজকর্মও করে। এও সেইরকমই। এই পড়াশোনাতে তোমাদের কোনো কষ্ট নেই। সেই পড়াশোনাতে কতো গুলো সাবজেক্ট থাকে। এখানে তো একটাই পাঠ আর একটাই পয়েন্ট – মন্মনাভব। এতে তোমাদের পাশ নাশ হবে। ভগবানুবাচ রয়েছে না ! ওরা মনে করে গীতা ; ভগবান দ্বাপরে শুনিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বাপরে শুনিয়ে কী করবেন ? কৃষ্ণের চিত্রের উপরে খুব ভালো ভালো কথা লেখাও রয়েছে । এই যুদ্ধ তো কেবল একটা নিমিত্ত। সবাই মরবে, তবেই তো আবার মুক্তি – জীবনমুক্তিতে যাবে। তাও কী সবাই যুদ্ধে মরবে ! অনেক রকমের দুর্যোগ হবে। বাচ্চাদের কোনো দুঃখ হওয়া উচিত নয়। কারো যখন হার্টফেল হয় তাতে কোনো দুঃখ হয় না। মৃত্যু হলে এই রকম মৃত্যু । বসে বসেই হার্টফেল, সব শেষ। যতক্ষণে ডাক্তার আসবে, আত্মা বেরিয়ে যাবে। এখন তো সকলের মৃত্যু নিশ্চিত। তখন না হাসপাতাল, না ডাক্তার থাকবে। না ক্রিয়াকর্ম করার মতো কেউ থাকবে। কিছুই থাকবে না। সকলের প্রাণ শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। মুষলধারে বৃষ্টি হবে। মৃত্যু হতে থোড়াই কোনো টাইম লাগবে ! এমন বম্বস্ বানাতে চেষ্টা করছে যাতে ফট্ করে মানুষের মৃত্যু হয়। এমন এমন সব বম্বস্ বানাতে থাকে। বম্বসের ইম্প্রুফমেন্ট করতে থাকে। এ’সব ড্রামাতে রয়েছে । ড্রামাতে পূর্ব থেকে রচিত খেলা রয়েছে, কল্প কল্প বিনাশ হয়ে থাকে । সত্যযুগে তোমাদের এই জ্ঞান থাকবে না। বাবাকেই এসে জ্ঞান প্রদান করতে হবে। স্থাপনা হয়ে গেলে তখন জ্ঞানের কথাই আর থাকে না। তারপর যখন রাবণ রাজ্য শুরু হয় তখন ভক্তি শুরু হয়। এখন ভক্তি সম্পূর্ণ হয়। এখন তোমাদেরকে যোগবলের দ্বারা পবিত্র হতে হবে । পবিত্র হলেই সুখধাম শান্তিধামে যেতে পারবে। চার্ট রাখতে হয়। এটা তো তোমরা বুঝে গেছো যে – বাবাকে স্মরণ করে আমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান এখানে হতে হবে। এই রকম কোনো শাস্ত্র ইত্যাদিতে লেখা নেই। বাচ্চারা গীত শুনেছে – অবশেষে সেই দিন এল আজ…. যখন ভারতবাসী রাজাদেরও রাজা হয়। রাজাদেরও রাজা অথবা মহারাজা হয়। এরপর ত্রেতাতে হয় – রাজা – রানী। তারপর যারা পূজ্য রাজা রানী ছিলেন, তারা দ্বাপরে বাম মার্গে এসে পূজারী হয়ে যায়। নিজে পূজ্য নিজেই পূজারী হয়ে যায়। বাবা বলেন, আমি পূজারী হই না। দেবতারা পূজ্য হয়, আমি হই না। না পূজারী হই। ভারতবাসী দেবী দেবতাদের মন্দির বানিয়ে তাদের পূজা করে থাকে । লক্ষ্মী-নারায়ণ যারা পূর্বে পূজ্য ছিলেন পুনরায় ভক্তি মার্গে গিয়ে তারাই শিব বাবার পূজারী হয়ে যায় । যে শিব বাবা মহারাজা মহারানী বানিয়েছিল, তাঁরই মন্দির বানিয়ে তারপর পূজা করতে থাকে। বিকারী কেউ ফট্ করে হয়ে যায় না। ধীরে-ধীরে তৈরী হয় । নিশানও দেবতাদের বাম মার্গের দেখায়। যারা পূজ্য লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিলেন তারাই পুনরায় পূজারী হয়ে যায় । সবার প্রথমে শিবের মন্দির বানায়। সেই সময় তো হিরেকে কেটে কেটে শিব লিঙ্গ বানায় পূজা করবার জন্য। এটা কারোরই জানা নেই যে, পরমাত্মা হলেন ছোট্ট একটা বিন্দু। এটা তোমরা এখন বুঝতে পারো যে, বড় লিঙ্গ হয় না। মন্দির তো অনেক অনেক বানাবে। রাজাকে দেখে প্রজারাও এই রকম করবে। সবার প্রথমে শিব বাবার পূজা হয়। তাকে বলা হয় অব্যভিচারী সতোপ্রধান পূজা। এরপর রজো, তমো’তে আসে। তোমরা রজো, তমো’তে আসো, তাই নামও হিন্দু রেখে দিয়েছে। আদতে ছিল দেবী দেবতা। বাবা বলেন তোমরা আসলে হলে দেবী দেবতা ধর্মের। কিন্তু তোমরা অনেক পতিত হয়ে গেছ। সেইজন্য নিজেকে দেবতা বলতে পারে না। কেননা অপবিত্র যে। হিন্দু নাম তো অনেক পরে রাখা হয়েছে।
এখন তোমরা বুঝতে পেরেছো যে আমরাই পূজনীয় ছিলাম। এখন সঙ্গমযুগে পূজনীয়ও নয় আর পূজারীও নয়! তোমরা কী করছো ? শ্রীমত অনুসারে পূজনীয় হচ্ছো এবং অন্যদেরকেও বানাচ্ছো। তোমরা হলে ব্রাহ্মণ, তোমরা আত্মারা পবিত্র হচ্ছ। সম্পূর্ণ পবিত্র হলে এই পুরানো শরীর ছাড়তে হবে। বাবা বলেন, একদম সহজ। বৃদ্ধা মাতাদের হয়তো ধারণা হয় না। বাবা বলেন – এটা তো বুঝতে পারো যে আমরা আত্মা। আত্মার মধ্যেই ভালো অথবা খারাপ সংস্কার থাকে। আত্মারা যে কর্ম করে, পরের জন্মে তার ফল ভোগ করতে হয়। বাবাও আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন। বাবা বলেন – হে বাচ্চারা আত্ম-অভিমানী হও। নিরাকার শিববাবা নিরাকার আত্মাদেরকে পড়ান। নিরাকার বাবার মধ্যে জ্ঞানের সংস্কার আছে। ওঁনার শরীর নেই। উনি হলেন জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন। ওঁনার মধ্যে সকল গুণ আছে। বাবা বলেন আমি এসে তোমাদের মতো বাচ্চাদেরকে পবিত্র বানাই। কতো সহজ যুক্তি। একটাই শব্দ – মন্মনা ভব অর্থাৎ আমাকে স্মরণ করো। স্মরণের দ্বারাই তোমাদের বিকর্ম বিনষ্ট হবে। এটাও জানো যে আমরা এখন ব্রাহ্মণ হয়েছি। তারপর সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী, বৈশ্য এবং শেষে শূদ্রবংশী হবো। আমরাই এই ৮৪ জন্মের চক্রে আসব। উপর থেকে নীচে নামব, তারপর বাবা আসবেন। বরাবর এই সৃষ্টিচক্র আবর্তিত হতে থাকে। এই সৃষ্টি পুরানো হলে আবার বাবা আসেন নতুন বানানোর জন্য। এটা তো বুদ্ধিতে ঢোকে, তাই না ? এই চক্রকে বুদ্ধিতে ঘোরানো দরকার। এখন তোমরা স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে যাও, যার ফলে ওখানে গিয়ে আবার চক্রবর্তী রাজা হবে। আচ্ছা!
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) শ্রীমতের দ্বারা পূজনীয় হতে হবে। আত্মার মধ্যে যে খারাপ সংস্কার এসে গেছে, তা জ্ঞান যোগের দ্বারা সমাপ্ত করতে হবে। সম্পূর্ণ নির্বিকারী হতে হবে।
২ ) শরীর নির্বাহের জন্য কাজকর্ম করতে করতেও পড়াশোনা করতে হবে এবং অন্যকেও পড়াতে হবে। যোগবলের দ্বারা পবিত্র হয়ে রাজপদ নিতে হবে।
বরদানঃ-
এখনই তোমাদের দুঃখ এবং সুখের জ্ঞান আছে। দুঃখের দুনিয়ার সামনে থেকেও সর্বদা নিজেকে বেগমপুরের বাদশাহ অনুভব করা – এটাই অষ্ট শক্তির স্বরূপ, কর্মেন্দ্রিয়জিৎ বাচ্চাদের লক্ষ্মণ। এখনই বাবার দ্বারা সর্বশক্তির প্রাপ্তি হয় কিন্তু কোনো না কোনো সঙ্গদোষ বা কর্মেন্দ্রিয়ের বশীভূত হয়ে যদি নিজের শক্তিকে হারিয়ে ফেলো তাহলে বেগমপুরের যে নেশা বা খুশি তোমরা পেয়েছো, তা স্বাভাবিক ভাবেই হারিয়ে যাবে। তখন বেগমপুরের বাদশাহও কাঙাল হয়ে যায়।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!